একটি ক্যাডেটীয় প্রেমের গল্প

মণ্ডল স্যারকে আমরা ডাকতাম চড়ুই স্যার বলে। তাঁর আচরণ ছিল কিছুটা চড়ুই পাখির মত। অর্থাৎ তিনি ছিলেন চড়ুই পাখির মতই চঞ্চল প্রকৃতির। এই যেমন ক্লাসে ঢুকেই তিনি কারো ড্রেসের দিকে তাকিয়ে বলতেন, এই ছেলে, তোমার নেমপ্লেট ঠিক নাই কেন? বোতাম একটা ভাঙ্গা কেন? এই ড্রেস পড়ে কি কুস্তি করেছ? এই ফ্যানটা আরো একটু বাড়িয়ে দাও তো। আচ্ছা তোমাদের সিলেবাস কতখানি বাকি? এই তুমি জানালাগুলো সব খুলে দাও।

বিস্তারিত»

১৭ই জুন ২০১৪তে অকৃতজ্ঞ আমি।

ভাল, আমরা(ইনক্লুডিং মি) এখন বড় হয়ে গেছি। আমরা এখন জীবনের অনেক বড় বড় বিষয় নিয়ে ব্যাস্ত। এসব ছোটবেলার ফালতু বিষয়ে নষ্ট করার মত সময় আমাদের হাতে নাই। আমরা এখন প্রাগমেটিক। আমরা এখন জীবনের বড় বড় কঠিন সব ভারী বোঝা টানার জন্য নিজেদের জীবনের ছোট ছোট ভাল লাগাগুলোকে ত্যাগ করতে শিখেছি।

১৬বছর আগে এই দিনের এমন সময় মন খারাপ করে বাপের চৌদ্দ গুষ্টী মনে মনে উদ্ধার করতে করতে পাবনা ক্যাডেট কলেজের দিকে যাচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

নিকের মেলা

তোলা মাটিতে কলার বাগান
ইট গাঁথা লিন্টন সমান
পাল্লা চৌকাঠ জানালা
দরজা নাই বাঁচলো তালা
মেঝের উপর আকাশ খোলা
বসবে হেথায় নিকের মেলা
তাইরে নাইরে নাইরে না
বৃষ্টি হলে ঘামবে না
রোদ হলে ভিজবে না
নিক বাবা কি কানা ?

বিস্তারিত»

ইসলাম, নাস্তিক, ক্যাডেট

প্রথমেই জুম্মা মোবারক।

হ্যা, ইসলাম এখন ডিজিটাল।
আমার ২য় মেয়ের জন্মের সময় আজান ও দিয়েছিলাম ডিজিটালি।

ইন্টারনেট- ফেসবুকের আগে কোনদিন শুনি নাই জুম্মা মোবারক।
মুহাম্মদ নবী ও জুম্মা মোবারক বলেছেন এমন হাদিস ও পাই নি।
কিন্তু কথা দিচ্ছি আজ রাতেই চেক করবো বুখারি।

প্রথমে একটু বিনোদন দিই।
খেলাধূলা কি ইসলাম ধর্ম সম্মত???
আরবে নবীর সময় কুস্তি লড়া হতো।

বিস্তারিত»

মন রে, মন আমার, তুই মানুষ হইলি না………… (২)


গতকাল সন্ধ্যায় সৈয়দ শামসুল হককে চাক্ষুস করে আসলাম। টোকিওর শিবুইয়ায় এখানকার বাংলাদেশী লেখক সংঘের একটা অনুষ্ঠানে একজনের একটা উপন্যাসের মোড়ক-উম্মোচন করতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। প্রবল আগ্রহ নিয়ে গিয়েছিলাম কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হককে চর্মচোক্ষে দর্শন করতে। আফসোস, দেখে এলাম কথাসাহিত্যিকের দেহে অন্য একজনকে, যে আর দশজনের মতই টাকায় বিক্রি হয়, ক্ষমতার অনুগ্রহের লোভে অন্ধ হয়, এমনকি ভুলে যায় নিজের দেবতা-প্রায় অবস্থানকেও!

তখন ক্যাডেট কলেজে,

বিস্তারিত»

এভারেস্ট জয় করে ফেরা এক্স ক্যাডেট দের নিয়ে একটি ছবিব্লগ

হুজুগ শুরু হতে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোন কারন লাগেনা। একটু মজা লুটার সুযোগ পেলে কেইবা সেই সুযোগ মিস করতে চায় ? এভারেস্ট এর চূড়ায় আরোহণ নিয়ে অতি সাম্প্রতিক কালে সৃস্ট বিতর্ক কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে  প্রাক্তন এক্স ক্যাডেট রা বেশ সাজ সাজ রবের সাথেই ফেসবুকে ছবি আপলোডের মাধ্যমে রেকর্ড সংখ্যক বারের মতন এভারেস্ট আরোহন করে ফেললেন। প্রথমেই পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ এভারেস্টের চূড়ায় উঠে দুই হাত উচু করে হেড়ে গলায় হুঙ্কার ছাড়েন এমসিসি ১৯৯৯ ইনটেকের তুহিন ভাই..

বিস্তারিত»

“সুন্দরবনে ব্যাঘ্র-বন্ধন”

সুন্দরবন থেকে জানা গেছে আজ সকাল বেলা সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সামনে টাব (TAB—Tiger’s Association of Bangladesh) এর উদ্যোগে এক ব্যাঘ্র-বন্ধনের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়ারদের টাইগার নামে ডাকার এই প্রতিবাদ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান টাবের সভাপতি।

টাবের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ” বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই উপর্যূপরি হারের পরেও তাদের টাইগার ডাকায় বাঘ সমাজের ভাবমূর্তি খুবই বাজে ভাবে নষ্ট হচ্ছে। আগে যেখানে বাঘ দেখলেই সবাই সম্মান করত,

বিস্তারিত»

“জিনিস বুক” সরি “গিনেস বুক” নিয়ে লাফালাফি

-এই জানিস অমুক জায়গায় এক কোটি কাউয়া এক লগে এক লগে ডাকাডাকি করছে? হেইডা নাকি আবার বিশ্ব রেকর্ড ও হইছে।
– কিসের রেকর্ড?
-আরে ওই যে “জিনিস বুক” আছে না; ওইটাতে লেখছে।
-ধুর ব্যাটা, জিনিস বুক না। গিনেস বুক। এরা দুনিয়ার সব কিছু নিয়া রেকর্ড বানায়। কোন খুটিনাটিও বাদ দেয় না।
আমি অনেক আগে শুনছিলাম যে কই জানি ২ লাখ গরু একসাথে পায়খানা করছে;

বিস্তারিত»

পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৮

দেশপ্রেমের সংজ্ঞা কী জানিনা তাই ছেলেকে কখনও এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতে যাইনি। আর তাছাড়া ছেলের তো আমেরিকান দেশপ্রেম, এই প্রেম আমি শেখাব কেমন করে? একদিন পার্কে বেড়াতে গেলাম। মাঠের একপাশে একটা খালি প্যাকেট পরে ছিল। হয়তো কেউ চিপস খেয়ে ফেলে গেছে। ছেলেকে দেখলাম সে প্যাকেটটা তুলল। ‘ময়লা ধরো না’, আমাকে একথা বলার সুযোগ না দিয়েই ডাস্টবিনের কাছে চলে গেল। তারপর প্যাকেট সেখানে ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে আমার কাছে আসল।

বিস্তারিত»

আমি অপার হয়ে বসে আছি (হল ক্যান্টিন ভার্সন)

আমি অর্ডার দিয়ে বসে আছি,
ওহে ক্যান্টিন বয়,
খাওন দিয়া যাও আমায়……।।।

আমি বসে রইলাম একা (আ আ আ)
তুমি দিলা না তো দেখা।
আমি নুডুলস চাইছি অনেক আগে…।
দিলা না তো হায়…
খাওন দিয়া যাও আমায়……।।।

লাঞ্চে হলে ছিল মুরগী (ই ই ই ই ই)
ঝোলের মধ্যে পাইছি সুরকি।
তোমায় অর্ডার দিসি হালিম-পুরি,

বিস্তারিত»

২০১৩ এর পাওয়া – ল্যাঞ্জা

পহেলা/একলা জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৩ এর ৩৬৫ দিনে কি কি পেলাম আর কি কি  হারালাম তার দিন ভিত্তিক হিসাব দিবো না। সময় ও নেই।

জয় বাংলা শ্লোগান আজ আপামর জনতার শ্লোগান।

দুষ্ট কাদের মোল্লার ফাঁসি অনেক কিছুই অর্জিত হয়েছে এই বছরে।

মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো নৃশংস কাজ ও শুরু হয়েছে এই বছরে। এর আগে আমরা পিটিয়ে মানুষ মারা দেখতাম।

বিস্তারিত»

পরগতিশিল

ইদানিং আমার চারপাশে এক জাতের মানুষ খুব বেড়েছে। খুবই উচ্চ ফলনশীল জাতের জীব এরা। মশা-মাছি-তেলাপকার চেয়েও এদের বিস্তার (মাশাল্লা) অনেক দ্রুত। পথে ঘাটে, হাটে মাঠে, চায়ের দোকানে, নর্দমায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কিলবিলিয়ে বাড়ছেই এরা প্রতিদিন। বাস্তবে বা ভার্চুয়াল জগতে, ঘরোয়া আড্ডা কিংবা সিরিয়াস ” টক শো ” সর্বত্রই এঁদের দৃপ্ত পদচারণায় বাংলাদেশ আজ মুখরিত ; রীতিমতো ধন্য। জে, আপ্নে ঠিকই ধরেছেন- এরাই আগামী দিনের কান্ডারী, দেশের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার,

বিস্তারিত»

একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন

বি.দ্র. এই পোস্টের লেখক “সত্য কোন দিন চাপা থাকে না” টাইপের ফালতু তত্ত্বে বিশ্বাসী। অতএব কাহিনীটি একটি সত্য ঘটনা থেকে প্রণোদিত। যতটুকু প্রকাশ করলে শুধু স্যারদের উপর দোষ চাপানো যায় ততটুকুই দেয়া হল। নামগুলো কাল্পনিক। কারোর সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়।

সন্ধ্যা ৭টা। ইভনিং প্রেপ চলছে। এখন আবার থার্ড টার্মের টার্ম-এন্ড পরীক্ষা। আমি পড়ি ক্লাস এইটে। আগের দুই টার্মে মাশাল্লাহ(!) রেজাল্ট করায় সায়েন্স পাওয়ার জন্য একটু সিরিয়াসলি পড়ছিলাম।

বিস্তারিত»

অথঃবিড়াল সমাচার

দুইটা বিড়াল মিলিয়া এক টুকরা কেক চুরি করিল। কিন্তু কে কতটুকু খাইবে ঠিক করিয়া উঠিতে পারিল না। শুরু হইল ঝগড়া,মারামারি,হরতাল ,গাড়ি ও মানুষ পুড়ানো।
পাশের উঁচু গাছের ডালে বসিয়া এক চালাক বানর দেখিতেছিল সব।ঝগড়া নয় কেকের লোভে নামিয়া আসিলো সে।
গম্ভির চালে বলিল-এই, তোরা ঝগড়া থামা।আমি আসিয়াছি দ্বি পাক্ষিক মীমাংসার জন্য।শীর্ষ হইতে বৈঠকে নামিয়া।
কেক যার হাতে ছিল সেই বিড়াল বলিল-এই কেক আমার পূর্ব পুরুষ এবং আমার স্বপ্ন ।

বিস্তারিত»

চিহ্ন

বৌ অসুস্থ।
নার্ভাস ব্রেক্ডাউন।
হাত-পা নাড়াতে চাড়াতে পারেনা। মুখ দিয়ে কোনরকমে বললো এম্বুলেন্স কল করতে। একে তো শুক্রবার ইভিনিং। হাসপাতাল বেশ বিজি থাকে। প্লাস বৌ হাসপাতালে গেলে বাচ্চাদের কে দেখ্বে এইসব নানা কারণে একটু ওয়েট করে নিশ্চিত হলাম যে কেস ডেঞ্জারাস। ট্রিপল নাইন কল করতে হবেই। সব এম্বুলেন্স বিজি। আসতে সময় লাগলো ওদের। বেশ কয়েকবার ফোন দিতে হলো।

দুই মেয়ে আর আমি,

বিস্তারিত»