ঘুম থেকে উঠে দরজা খোলা মাত্রই দেখলাম প্রচুর ভীড়।বিকেল ৫.৩০ বাজে।আবার কি হল?? ভীড় নীচতলার করিডোর জুড়ে, সিঁড়ির ধাপে ধাপে,দোতলায় গিয়ে তুঙ্গে!! কোমরে তোয়ালে পেঁচিয়ে বের হয়েছিলাম গোসল করার আশা নিয়ে! জুলাই মাসে দিনে অন্তত একবার গোসল না করলে নিজেকে বড় বিবেকহীন মনে হয়। কিন্তু অনুসন্ধিৎসু অন্তঃকরণের কাছে হার মেনে গেলাম! আবার দরজা লাগায়ে হাফ প্যান্ট আর টিশার্ট পরলাম! জুলাই মাসে গোসল রাতেও করা যাবে!
বিস্তারিত»গোলাম আজমের এসি চাই।
একজন আলেম বুজুর্গ ব্যক্তিকে ৯০বছরের জেল !!! আল্লাহর লানত পরবে। গজব আসবে, গজব। অতিশয় বৃদ্ধ, অসুস্থ, মৃতপ্রায় একজন আলেম মানুষের ওপর বড় জুলুম !!! আল্লাহ আমাদের এই অন্যায় থেকে রক্ষা করুন।
মানলাম আদালতে ওনার শাস্তি হইছে ৯০ বছরের জেল। সরকারের হয়ত কিছুই করার নাই, সবই আদালতের রায়। তাই বলে উনার জন্য তো সরকার এই ৯০বছর সামান্য আরাম আয়েসের ব্যবস্থা করতে পারে। পিজি তে ওনাকে এটাচ বাথ ওয়ালা কেবিন দেয়া হয়েছে এজন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সরকারের প্রতি।
বিস্তারিত»বনলতার চুলঃএকটি কনফেশন!!!
কয়দিন আগে ডক্টর’স ক্লাবে লাঞ্চ পূর্ববর্তী বিনোদন হিসেবে ক্যারম খেলতেছি! লাঞ্চের জন্য প্রচুর ডাক্তারদের আনাগোনা। অধিকাংশই সিনিয়র,ডাক্তার।দু একজন স্টুডেন্টস দের মধ্যে আমি একজন।
আমার চেয়ে ১৮ বছরের একজন এবং ১৩ বছরের একজন সিনিয়র এসে ক্যারম বোর্ডের পাশে দাঁড়ালেন। কথাবার্তায় বোঝা গেল পোস্ট গ্য্রাজুয়েশন লাইব্রেরি থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত MBBS পরবর্তী উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের প্রস্তুতি হিসেবে একটানা পড়ালেখা করে লাঞ্চ ব্রেক এ আসছেন উনারা!
তেঁতুল সমাচার
চিরল চিরল তেঁতুল পাতা
তেঁতুল বড় টক …
তোমার সাথে প্রেম করিতে
আমার বড় শখ …
তেঁতুল আমাদের দেশে একটি অতি পরিচিত ফল । জিভের লালা ঝরাতে এর জুড়ি নেই । তো আসুন চট করে এই তেঁতুল সম্পর্কে কিছু জেনে নেই ।
তেঁতুল । ইংরেজীতে নাম Tamarind । বৈজ্ঞানিক নাম Tamarindus indica
তেঁতুল গাছ একটি দীর্ঘজীবি,মধ্যম উচ্চতার ঝাউ জাতীয় উদ্ভিদ ।
বিস্তারিত»বাংলা বাতাস
১ নিম্নলিখিত একটি বিষয়ে রচনা লিখঃ পূর্ণমান ২০
ক) বাংলা লিঙ্ক
খ) বাংলা ভাই
গ) বাংলা বাতাস
ঘ) বাংলা বাজার
১নং প্রশ্নের উত্তর
“বাংলা বাতাস”
সূচনাঃ
নিজেকে মাঝে মাঝে খুব ভাগ্যবান মনে হয়। বাংলাদেশে জন্ম হয়েছে বলে। এই বাংলা নামে পৃথিবীতে কত কিছু আছে। আর কিছু অন্যদেশের মানুষ জানুক কিংবা নাই জানুক, “রয়েল বেঙ্গল টাইগার” আর “বে অফ বেঙ্গল” এর কথা ত অনেকেই জানে।
জাপানী মামার সনেট
আহা কি সুন্দর দেখো, পূর্ণিমার রাতি
আকাশেতে উড়িতেছে একপাল হাতি।
শরীরেতে নেই কোনো উড়িবার পাখা
পদগুলো নীচে থেকে মেলে দেয় শাখা॥
পদের শাখার দ্বারা জুড়িয়া আঘাত্
হাতি গুলো উড়ে যায় মেলে দিয়ে হাত॥
গগনে দেখিয়া হাতি তেলাপোকা ভাবে,
আমি কি পারিব কভু এভাবে উড়িতে?
হাতিদের আছে মুখে শুঁড় একখানা,
দুইখানা শুঁড় মোর, সাথে আছে ডানা॥
যেই ভাবা সেই কাজ,
হঠাৎ দেখা
প্রিজনের ভ্যানে হঠাৎ দেখা
ভাবিনি সম্ভব হবে কোনদিন।
ওয়াজে ওকে বারবার দেখেছি
লালরঙের দাড়িতে
মেন্দির রঙে রাঙা
আজ পরেছে যমটুপি
ফাঁস এটেছে গলায়
কাঁঠালপাতার কচি ঘ্রাণ সারা মুখটি ঘিরে
মনে হলো, কালো রঙের একটা গভীর কুয়োয়
নেয়া হচ্ছে ওকে,
যে কুয়োর পাড়ে মঞ্চ অপেক্ষমান,
রজ্জু দোলে হাওয়ায়
চমকে গেলো আমার ভেতরটা;
চেনা পাঁঠাকে শুঁকলুম আনকোরা বোঁটকা গন্ধে।
ডায়েরি প্রেমী শিক্ষক ও কতিপয় ক্যাডেট
কলেজে নতুন টিচার এসেছেন । তিনি নাকি আবার কোন কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপল স্যারের পুত্র। এসব নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা ছিলোনা। কিন্তুু মাথাব্যথা বেড়ে গেলো যখন জানা গেলো স্যারের অভ্যাস ক্যাডেটদের ডায়েরি পড়া। একে তো ব্যক্তিগত ডায়েরি, তার উপর ক্যাডেটের ডায়েরি, সেটাও আবার সিভিলিয়ান হয়ে! পুরো কলেজের মাথায় আগুন ধরে গেলো। শিক্ষা দিতে হবে উনাকে!
প্রথম পরিকল্পনা, ক্লাসের যে পার্টি ডায়েরি লিখত,তারা ডায়েরি আনা বন্ধ করে দিল প্রেপ টাইমে।
বিস্তারিত»হ্যালো, স্লামলিকুম! দৈনিক উন্মাদ থেকে বলছিলাম।
Prank – শব্দটির সাথে পরিচয় ছিলোনা সে সময়। কিন্তু এর পিছনে সময় না দেওয়াটা অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিলো। কিন্তূু আমি ছিলাম নেহাতেই চুনোপুটি। এ লাইনে পি এইচ ডি করা বড় বড় ওস্তাদ লোকজনের অভাব ছিলোনা। এরকম একজন ছিলো মোতাকাব্বের ওরফে মোবারক।
উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার রেজাল্ট দিছে সেদিন। পরিক্ষায় সেই রকম ডাইল মারছি। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরিক্ষার নম্বরের পার্থক্য হোলো ১৭২ নম্বর। সূতরাং ১ ঘন্টার মধ্যে বাপের প্যাদানির ভয়ে এক বস্ত্রে বাসা ছাড়লাম।
বিস্তারিত»হাবুল হোসেনের সাথে হুমায়ুন আহমেদের একান্ত আড্ডা (অপ্রকাশিত সাক্ষাতকার)
রিকশাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে নিজের ঘরে পা দেয়ার পরে ছোট ভাইবোনদের হুমায়ুন বিষয়ক জল্পনা কল্পনা, মুখরোচক আলোচনায় এতক্ষণ ভুলে ব্যথাটা নতুন করে জেগে উঠে হাবুলের। হুমায়ুনের মৃত্যুতে যেখানে সবাই হুমায়ুনের সাথে স্মৃতিচারণ নিয়ে মেতে রয়েছে, তখন তার ভাণ্ডার একদম খালি। তার সহকর্মীদের কেউ হুমায়ুনের সাথে এক বিকালে চা খাওয়ার গল্প লিখছে, কেউ হুমায়ুনের বাসায় বসে দেওয়া আড্ডার কথা লিখছে, সাহিত্যিক কাম সাংবাদিকরা যেখানে হুমায়ুনের মুখ থেকে বুলি বের করে নিজের কৌতুককে জাতে উঠাচ্ছে,
বিস্তারিত»তিন দশক পর সফল হলেন জিয়াউর রহমান
গত শতকের আশির দশকে নেওয়া জিয়াউর রহমানের ‘কর্মসূচি’র সাফল্য দাবি করতে পারি এখন আমরা! পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী : বাঙালি অনুপাত এখন প্রায় ৫০ : ৫০! তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে দুটিতে এখন আমরা বাঙালিরা সংখ্যায় পাহাড়িদের চাইতে বেশি! আমরা বাঙালি শাসকগোষ্ঠি এখন ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারি’ এই ভেবে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর স্বাধীন হতে পারবে না! পাহাড়িরা বড়জোর আগামী দশকে প্রকৃতভাবেই নিজভূমে পরবাসী হবে!
যারা জানেন অথবা জানেন না তাদের সবার জন্যই বলি,
বিস্তারিত»সুখ ও শান্তি
কেমন চাও জীবনটা?
দুমুঠো ভাত আর একটু কাপড়
আরেকটু মাথা গুঁজার স্থান,
ভালোবাসা আর সম্মান।
ঠুনকো, ভনিতাময় বা মিথ্যা নয়।
এতটুকুই দেবো,
কী???? নিতে রাজি?
সাথে পাবে শান্তি, একদম ফ্রি।
অথবা প্রাসাদ, গাড়ি, নারী
আর খাবার রকমারি,
পোশাক বাহারি ঢঙের,
মনকাড়া রঙের, নতুন প্রতিক্ষন।
কুর্নিশে কুর্নিশে ক্লান্ত সবে,
মহামতির তরে জান যতক্ষন রবে।
“হরতাল”-একটি সামাজিক উৎসব
সূচনাঃ হরতাল একটি সর্বধর্মীয় সার্বজনীন সামাজিক অনুষ্ঠান। এটি সাধারণত প্রধান বিরোধীদলের দলীয় স্বার্থ রক্ষার্থে পালন করা হয়। আমাদের দেশে সাধারণত নির্বাচনের আড়াই থেকে তিন বছর পর থেকে বিরোধী দল কারণে অকারণে হরতাল ঘোষণা করে জনগণের জন্য এক্সট্রা ছুটি ও অবসরের আয়োজন করে।
প্রকৃতিঃ হরতাল সবসময়ই বিরোধী দল কর্তৃক ডাকা হয়। এই দিনে রাস্তায় প্রচুর পুলিশ, র্যাব, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের কর্মী দেখা যায়।
বিস্তারিত»চালকের বাংলাদেশ, বাংলাদেশের চালক
১
হাড়ির একটা ভাত টিপেই বোঝা যায় হাড়ির সব ভাতের অবস্থা। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে বাংলাদেশের অবস্থা বোঝার জন্য সারা বাংলাদেশ না ঘুরলেও হয়। বিভিন্ন যানবাহনের চালকের সাথে গল্প জুড়ে দিলেই হবে। বাংলাদেশে যখন বেড়াতে যাই তখন আমি ছিন্নমূল। নিজের কোন বাহন নেই। তাই অনেকের বাহন ব্যবহার করতে হয়। অনিচ্ছাতেই। দেশে থাকতে আমি সব সময়ই একা চলে অভ্যস্ত। পদব্রজ, পাবলিক বাস, রিক্সা, গাড়ি –
মাত্রতো একটা যুগের একটু বেশী….
বন্ধূ চয়নকে ফোন দিয়েছিলাম বহুদিন পর- চিনতেই পারেনি।
নাম বললাম- ভালো নামটা, যে নামে স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতি ডাকত রেবেকা আপা
সেই নামটাই বললাম, ডাক নাম অবশ্য ইচ্ছে করেই বলিনি
নাহ! বন্ধু আমাকে চিনতেই পারেনি।
সময়ও অবশ্য কম গড়ায়নি, এক যুগেরও একটু বেশী।
আমার আবেগ এখনো কাঁচা কিন্তু বন্ধুরা কেউ মনে রাখেনি।
যাই হোক, চয়নের কথা বলছিলাম।
ফাল্গুনের নতুন বাতাসে আজিজের দুই তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চয়নকে একবার ফোন দিলাম-
স্নাতক শেষ,