হুজুগ শুরু হতে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোন কারন লাগেনা। একটু মজা লুটার সুযোগ পেলে কেইবা সেই সুযোগ মিস করতে চায় ? এভারেস্ট এর চূড়ায় আরোহণ নিয়ে অতি সাম্প্রতিক কালে সৃস্ট বিতর্ক কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রাক্তন এক্স ক্যাডেট রা বেশ সাজ সাজ রবের সাথেই ফেসবুকে ছবি আপলোডের মাধ্যমে রেকর্ড সংখ্যক বারের মতন এভারেস্ট আরোহন করে ফেললেন। প্রথমেই পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ এভারেস্টের চূড়ায় উঠে দুই হাত উচু করে হেড়ে গলায় হুঙ্কার ছাড়েন এমসিসি ১৯৯৯ ইনটেকের তুহিন ভাই.. উনাকে অনেকেই হয়তো উনার অনেক প্রিয় একটা নিক নেম ,”কুচ্ছিত হাসের ছানা” নামে চিনে থাকবেন। পাসপোর্ট সাইজের ছবি কেন ব্যবহার করেছেন এই অভিযানে , এ প্রশ্ন করা হলে তুহিন ভাই উদাসী হয়ে ডান পাশের নারিকেল গাছের দিকে তাকিয়ে বলেন,” আমি বাস্তববাদী মানুষ। তাই একখান রিয়েলিস্টিক ও ফটোজেনিক ছবিই দিলাম”
এরপরের সারপ্রাইজ টা আসলো পিসিসি এর ২০০১ ইনটেক এর সাকিব মাহফুজ ভাইয়ের মাধ্যমে। উনি আবার মতিকন্ঠের স্পেশাল রিপোর্ট অনুযায়ী সহীহ স্টাইলে চূড়ায় উঠেন। ছবিতে সাকিব ভাইকে একটি বিশেষ পতাকার সাথে হাস্যরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। উনি কেন এই পতাকা নিয়ে এভারেস্টে উঠেছেন এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি গলা ছেড়ে “যাব তাক হ্যা যান” মুভির একটা গান গাওয়া শুরু করেন ও বলতে থাকেন ” জিয়া জিয়া রে জিয়া ! জিয়া লাগেনা জিয়া ” গান খানা দেখুন এইখানে
সাকিব মাহফুজ ভাই কে দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হলাম। উনি পারলে আমিও পারবো। ইদানিং মনে কোন খায়েশ আসলে তা কখনো অপূর্ণ রাখিনা। সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ করলাম বিখ্যাত “ছবি দোকানদার” তথা “ফটোশপার” বন্ধু রাফি আলম কে। সেও প্রাক্তন মকক সহপাঠী। খুলে বললাম তাহাকে আমার এভারেস্ট জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা.. বন্ধু অভয় জানিয়ে ১৫ মিনিটের মাঝে পাঠিয়ে দিল এই ছবিখানা। দেখে নিজেই আমি নার্সিসিস্ট এর মতন গোফে তা দিচ্ছি। ছবির ক্যাপশন হতে পারে “এভারেস্ট জয় করে বিষন্ন আমি:বেরি বেরি কোল্ড”
এই বিজয়ের খানিক পরেই ২০০৪ ইনটেকের আরো দুই সদস্য হিসেবে জোড়া বেধে এভারেস্টের চূড়ায় উঠে যান এক্স ফৌজিয়ান আসিফ-এ- এলাহী পাবন ও এবং এক্স এমজিসিসি আননিসা রহমান। তারা এভারেস্ট জয়ী প্রথম ক্যাডেট কাপল ও বটে.. এ অভিযান সম্পর্কে আননিসা বলেন,”সেদিন বিকালে ভালো লাগতেছিল না, তাই আমি আর পাবন মিলে হাটতে হাটতে এভারেস্ট ঘুরে আসলাম। ভাল্লাগছে, হানিমুন এ যাব ভাবতেছি ” যুক্তরাস্ট্রের পতাকা কেন ধরে আছেন এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পাবন হুঙ্কার দিয়ে বলেন,”খামোশ ! আমি গ্রীণ কার্ড পাইতেছি আগামী বছর.. সবাইকে পরী সাপ্লাই দেওয়া হবে” পরী বিষয়ক কথা শুনে পাশ থেকে আননিসা পাবন কে জোরে চিমটি কেটে বসে.. এ চিমটির ব্যথায় পাবন জিহ্বায় কামড় দিয়ে বসে ! ছবিতে ব্যথায় পাবনকে জিহ্বায় কামড় দিতে দেখা যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরেই হাজির হয়ে যান এমসিসি ২০০৩ ইনটেকের সাব্বির ভাই.. এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”মুসা ইব্রাহীম ভাই এর এভরেস্ট বিজয় নিয়ে চলছে বিতর্ক। এই বিতর্কে ঠান্ডা পানি ঢেলে দেওয়ার অভিপ্রায়ে ছোটভাই নাফিস এর দেখাদেখি আমিও এভারেস্ট বিজয় করলাম, এই দেখেন আমার এভারেস্ট ছবি । ছবিতে দেখা যাচ্ছে আমি কোন রকম কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়াই শুধু একটি সানগ্লাস পড়েই এভারেস্টের চুড়াই উঠে পড়েছি । উঠার সাথেসাথেই আমি সেখান থেকে এ্যন্ড্রয়েড ফোন্দিয়ে ফেসবুকে চেক ইন দিয়েছি (প্রমাণ এক)। উল্লেখ্যঃ উঠার সময়ে আমি আমার ছুট ভাই নাফিস কেও পর্বতচূড়া থেকে নামতে দেখেছি (প্রমাণ দুই)। কয়েক ঘন্টার মধ্যে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে আমি দুনিয়ার সবচে উচা পর্বতে উঠলাম সেটা আমি নিজেও জানিনা। তবে নেপালী শেরপারা আমার এহেন ম্যানলি কাজের জণ্য তারা আমার প্রতি জেলাস ফিল করছেন, তাদের কোন পত্রিকাতেই আমার নাম দেন নাই তারা।
আমার এভারেস্ট জয় স্পন্সর করেছিলেন প্রথমালু পত্রিকা এবং এডোবি ফটোশপ। আপনাদের কারো কোনরকম ডাউট থাকলে EXIF ডাটা মিলায়ে দেখেন ছবি ভুয়া কিনা।”
কথা সত্য। চূড়া থেকে নামার সময় আমি নিজ চোখে সাব্বির ভাইকে দেখছি। ভালো এলিবাই। আর কোন সন্দেহ নাই এতে..
এরপরে মাঠে নামেন একই ব্যাচের আহমেদ ভাই। নার্ডি একটা চশমা পরে তিনি সব বাধা বিপত্তিকে থোড়াই কেয়ার করে উঠে যান সর্বোচ্চ চুড়ায়। চূড়ায় উঠে তিনি সেই চশমা পরে মারদাঙ্গা এক হাসি উপহার দেন। এসময় উনার মাথায় একটি গো প্রো ক্যামেরা বাধা ছিল। সেই ক্যামেরায় উনার অভিযানের ভিডিও দেখতে চাইলে তিনি বিষণ্ন গলায় বলেন,”ব্যাটারি শেষ। চার্জার আনতে ভুইলা গেছি। এখন চার্জ নাই, পরে দেখামু নে”
এরপরে অভিযানে নামলেন একই ব্যাচের আসিফ ভাই.. এই দুর্গম অভিযানের ব্যাপারে তিনি লেখেন ,” নাহ! আর পারলাম নাহ! আমিও একটা রেকর্ড করে ফেললাম!! হাতে সেভেন আপ আর বুকে “হাইজেনবার্গ” নিয়ে হাপ্পেন্ট পরে আমিও এভারেস্ট জয় করে ফেললাম। শুধু প্রথম বাংলাদেশী হিসেবেই নয়, পুরো বিশ্বে প্রথম কেউ হাপ্পেন্ট পরে এভারেস্টের উপর বরফ দিয়ে সেভেন আপ খাইসে!!! শেষ করব “হাইজেনবার্গ”-এর বিখ্যাত ডায়লগ দিয়ে, “হে গিনেস বুক, REMEMBER MY NAME”
ছবিতে পর্বত চূড়ায় একটি হাফপ্যান্ট পরে তাকে সেভেন আপ পান করতে দেখা যাচ্ছে। এত পানীয় থাকতে তিনি কেন সেভেন আপ পান করছেন তা জানতে চাওয়া হলে তিনি লাজুক হাসি দিয়ে বলেন,”আমি হালাল পানীয় পান করি”
বিসিসির সুশান্ত ভাই ও একফাকে দাবি করলেন এভারেস্ট চড়ে আসার। একটা ছবিও পোস্ট করলেন তিনি। যদিও ছবি দেখে মনে হচ্ছে তিনি ভার্সিটির ব্যাগ নিয়ে ঢাল থেকেই ছবি তুলে এনেছেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি আবেগঘন কন্ঠে বলেন ,”তুমি যেটা বললা, সেটাই” এরপরেই তিনি নিশ্চুপ হয়ে যান.. অনেক চেষ্টা করেও আর উনার মুখ খোলানো যায়নি এরপরে।
অতপর পাবনা ক্যাডেট কলেজ কে প্রতিনিধিত্ব করতে এভারেস্ট জয় করেন ৯৮ ইনটেকের মোরশেদ ভাই.. ছবিতে তাকে পতাকা হাতে পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। সেইসাথে তার গলায় ঝুলন্ত মাম এর পানির বোতল দেখা যাচ্ছে। যদিও বোতল টি শেষ পর্যন্ত খোলা হয়নি। তার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি আকাশ পাতাল প্রকম্পিত করে চিত্কার করে বলেন,”বাস থামবে , ক্যাডেট মুতবে। ক্যাডেট থামবে, বাস মুতবে”
২০০৪ ইনটেকের আধিপত্য বাড়াতে এবার এভারেস্ট জয় করলেন প্রাক্তন এমজিসিসি সারার উমাইমা.. এ অভিযানের বিশেষ দিক ছিল বন্ধু সারার নাকি চার ঘন্টা ব্যাপী এই ট্রেকিং এর পুরো সময় জুড়ে একখানা বাশ ব্যবহার করেছে। এই বাশের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে সে আবেগঘন কন্ঠে বলে,”এই বাশ আমার জীবন রক্ষা করেছে। বেশ কয়েকবার পিচ্ছিল এই ঢালে আমার পড়িয়া যাইবার উপক্রম হইয়াছিল। এই বাশ ই আমাকে দিয়েছে দাড়াইয়া থাকিবার প্রেরণা। এই বাশ পোলিও টিকার মতন ই গুরুত্বপূর্ন” সারার সমস্ত বাঙালি অভিভাবক দের উদ্দেশ্যে বলেন,”আপনার শিশুকে টিকা দিন ও তাদের হাতে বাশ তুলে দিন। হিমালয় পর্বতমালা তারা জয় করবেই একদিন ”
ছবিতে বাশ হাতে দাড়ানো সারার কে এভারেস্ট চূড়া থেকে উকিঝুকি মারতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে প্রাক্তন মির্জাপুরিয়ান ও সিলেট এর ২ বন্ধু রাশিদ আর শাকিল তাদের আইইউটি র পুরো রুম নিয়ে জয় করে আসলো এভারেস্ট চূড়া । এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রাশিদ আবেগপ্রবণ হয়ে যায়..সে বাকি বন্ধুদের গলা জড়িয়ে ধরে বলে,” একতা ই বল” তখন অবশ্য শাকিল মুচকি হেসে দ্বিমত পোষণ করে বলে,” আসলে বিদ্যা ই বল” (বিদ্যা শব্দটিতে ক্লিক করে নতুন একটা লিংক থেকে ঘুরে আসতে ভুলবেন না )
আর এই ছবিটা যার তিনি কোন এক্স ক্যাডেট না.. উনি বন্ধু রাশিদ আর শাকিলের ই বন্ধু। উনার নাম নাফিউল আশফাক নাফি। পড়ছেন আইইউটি তে !এই ছবিখান এখানে না দিয়ে আর পারলাম না.. উনি এভারেস্ট চূড়ায় উঠে গিটার বাজিয়ে ওপেন এয়ার কনসার্ট করে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে সঙ্গীত মানে না কোন বাধা, মানেনা কোন উচ্চতা !
প্রাক্তন এমসিসি ক্যাডেট শাদমান ও ঘুরে এলেন মাউন্ট এভারেস্ট এর চূড়া থেকে। তিনি আবার ক্যাডেট কলেজের গেমস ড্রেস সাদা হাফপ্যান্ট , সাদা ভেস্ট পরে চূড়ায় উঠে যান.. এসময় তার হাতে একটি বাস্কেটবল দেখা যায়.. এ ব্যাপারে তিনি চোখের জল মুছতে মুছতে মৃদু গলায় বলেন,”কলেজে আমি কলেজ গেমস প্রিফেক্ট ছিলাম। তাই খেলাধুলার প্রতি আমার বিশাল ভালুবাসা। কলেজ থেকে এই গেমস ড্রেস এনে ওয়ার্ডড্রবে রাখিয়া দিয়াছিলাম। এভারেস্ট জয় উপলক্ষ্য এ ব্যবহার করলাম।” তিনি এভারেস্টে উঠে বাস্কেটবল ম্যাচে কত স্কোর করেছেন সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি আমতা আমতা করে বলেন,” ইয়ে , মানে ইয়ে। কিছু কথা থাকনা গুপন”
এদিকে এসসিসি এর প্রাক্তন ক্যাডেট পার্থ হাসনাত এভারেস্ট জয় করে কোন ছবি না তুলেই চলে এসেছেন। উনি এ ব্যাপারে বলেন,” ওই টিলায় আমি উঠছিলাম আসলে একটু হাওয়া খাইতে। হাওয়া বাতাস খাওয়া শেষ, এখন আমি সুরসুর করে ক্যাডেটিয় স্টাইলে স্নো বোর্ডিং করতে নেমে যাবো। ছবি তোলা মহাপাপ” অবশ্য তিনি নামার সময় জনৈক পাপারাজ্জি তার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে দেন.. নিচের ছবিতে তাকে এভারেস্ট থেকে নায়কের মতন নামতে দেখা যাচ্ছে।
এরমাঝে সবচেয়ে চমকপ্রদ অভিযান টি করে আসে এক্স এমসিসি ২০০৪ ব্যাচের সানি । বন্ধু লুঙ্গি পরে ও সাথে মুড়ি চানাচুর নিয়ে উঠে এভারেস্টের চূড়ায়। এ ব্যাপারে সে তার ফেসবুকে লেখে,”কে বা কারা প্রথম এভারেস্ট বিজয় করল তা নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। কোন রকম কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়া শুধু একটি সানগ্লাস পরে এভারেস্ট এর চূড়ায় উঠে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সাব্বির ভাই আর নাফিস।
দেখা হল তাদের দুজনের সাথেই।এর পর যারা যারা এভারেস্ট জয় করবেন, ৫ টাকার ঝালমুড়ি খেয়ে যাবেন।”
লোকমুখে শোনা গেছে যে এভারেস্ট চূড়ায় এই ঝালমুড়ি ব্যবসা নাকি প্রচন্ড রকমের জনপ্রিয় হয়েছে। শেরপারা নাকি লাইনে দাড়ানোর জন্য নিজেদের মাঝে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অভূতপূর্ব এই চাহিদা দেখে সানি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সবার উদ্ধেশ্য বলেন,”লাইনে আসুন” … এদিকে প্রচুর লালমরিচ আর বিট লবণ মেশানো এই ঝালমুড়ি খেয়ে নাকি পাশ্চাত্য দেশের কতিপয় অভিযাত্রী নাকি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এভারেস্ট চূড়ায় ভালো স্যানিটেশন সুবিধা না থাকে তারা কিছুক্ষণ পরপর যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এতে এভারেস্ট চূড়ায় বায়ুদুষণের সূত্রপাত হয়েছে। এই গন্ধ দূর করার ব্যাপারে সানি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে,” কোন টেনশন নেই.. আমার কাছে বাজারের এক নাম্বার আগরবাতি আর গোলাপজল আছে। সব গন্ধ এখনি দূর হয়ে যাবে”
আর আমাদের ই অতি প্রিয় মোস্তাফিজ ভাই মুখোমুখি হয়েছেন এক নির্মম ট্র্যাজেডির। কোন স্পন্সর না পাওয়ায় উনার আর এভারেস্ট অভিযান করা হয়ে উঠেনি। তাই স্যুট টাই পরে উনি বিষন্ন চিত্তে এভারেস্ট এর সামনে থেকে ই ছবি তুলে চলে আসেন। এ ব্যাপারে তিনি অভিযোগের স্বরে বলেন,”এই দিন দিন না , আরো দিন আছে”
ট্র্যাজেডির স্বীকার হয়েছেন রাফায়েত ভাই ও। সামরিক বাহিনীর দুর্গম ক্যাম্পে তিনি আলো, বাতাস, ইলেকট্রিসিটি সহ অনেক মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সেই কারনে তিনি এভারেস্টে উঠার গৌরব অর্জনে ব্যর্থ হয়ে বলেছেন,”তোদের ভাগ্য ভাল আমি ক্যাম্পে… ইলেকট্রিসিটি নাই… নইলে এমন Adobe Everest এ উঠতাম যে তোরা আসল এভারেস্ট থিকাও হা কইরা আসমানে তাকায় থাকতি… আর আমি সাব্বিরের মুরির ঠোঙ্গা ফালাইতাম” তবে তিনি এই হতাশার দুয়ার থেকে ঘুরে দাড়াবার তীব্র অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন,”অসম্ভব কে সম্ভব করাই রাফায়েতের কাজ”
আর নিয়মিত যারা ফুটবল দেখেন তারা নিশ্চয় আর্সেনাল বেঞ্চ গরম করা ফুটবলা লর্ড নিকোলাস বেন্টনার কে চিনেন। তো গোপন তথ্য আর ছবির ভিত্তিতে জানা গেছে যে লর্ড বেন্টনার নাকি মুসা ইব্রাহিম কে চ্যালেঞ্জ করেছে.. তার মতে সেই বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্রথম এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছে। এর প্রমাণ হিসেবে সে একটি ছবি মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করে..
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খবরে জানা গেছে এ অভিযান চলছে। এর মাঝে কতিপয় দুষ্টু মনের এক্স ক্যাডেট এই অভিযান কে “ঠু মাচ মেইনস্ট্রিম” বলে অবিহিত করেন। এমসিসি ৯৮ ইনটেকের মোকাব্বির ভাই নাকি মাথা নাড়তে নাড়তে হতাশ হয়ে বলেছেন,” আমি মেঘনা পারের দামাল ছেলে। এইসব ছোটখাট পাহাড়ে চড়ে আমি কি করবো? আমি যাবো মঙ্গল গ্রহে!” এর কিছুক্ষণ পরেই নাকি তিনি মঙ্গল ভ্রমণ শেষে করে এসে এ ছবি পোস্ট করেন।
(বি. দ্র : পর্বতারোহন একটি ঝুকি পূর্ণ ক্রীড়া। বাংলাদেশের সমস্ত পর্বতারোহী দের প্রতি আমাদের রয়েছে অপরিসীম শ্রদ্ধা। এই পোস্ট টা নিছকই মজা করে দেওয়া। এর কোন কিছু সিরিয়াসলি নিয়ে কেউ মনোকষ্ট নিবেন না)
:brick:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:))
আমার ছবি কই????
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই , অতিসত্বর একজন ফটোশপার এর সাথে যোগাযোগ করে দো জাহানের কামিয়াবি হাসিল করুন। 😀
ক্যামেরা আবিষ্কারের আগেই এভারেস্ট ঘুরে এসে কি বিপদেই না পড়লাম, পাবলিক সচিত্র প্রতিবেদন ছাড়া আজকাল কিছু বিশ্বাষই করতে চায় না :-B
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান ভাই ভাবতেসি এভারেস্ট, চাঁদ এইসব টু মেইনস্ট্রিম। মার্স কিউরিউসিটি রোভারের সাথে ছবি দিব ভাবতেসি! আপনেও দিতে পারেন।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আহসান ভাই , উপযুক্ত এলিবাই লাগবে। B-) আছে প্রমাণ ?
প্রথম লাইনে সুনির্দিষ্ট বানান ভুল উজরাত! তোমার রক্তের বিষ নামে নাই দেখা যায়। :chup:
মোর্শেদের সাথে একটা মাম পানির বোতল ছিল খেয়াল করলাম। কোন একটা কারণে ছবিগুলা গত তিনচার দিন ধরে যতবার দেখতেসি হেঁচকি উঠার মত করে হাসি আসে। লাইব্রেরীতে আরো ঝামেলা! মাথা নষ্ট!
মোস্তাফিজ ভাইয়ের দুঃখে আমি সমব্যথি। আমিও পারলাম না! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বানান ঠিক করে দিলাম। কিরণ কুমার স্যার দেখি যথার্ত ই বলিয়াছিলেন 🙁
যাই হোক, লেখা আরো ঘষামাজা করে অনেক পরিবর্তন আনলাম।
স্পেশালি সানির লুঙ্গি আর মুড়ি চানাচুর এর টা দেইখা আমি পাক্কা ৫ মিনিট হাসছি =)) :khekz:
দোস্ত আমার স্পন্সর ছিল পারটেক্স গ্রুপ, মামের বোতলটাই আসল মডেল আমি তো উসিলা মাত্র। 😛
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
🙁
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
সিরিয়াসলি সানির লুঙ্গি পড়াটা এপিক লেভেল: ভেটেরান! :khekz:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সানির এই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে 🙂
হাহাহাহাহাহা। ভাইরাস হওয়ার মত একটা ছবি!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আরেক বার পড়ে দেখেন পারলে। অনেক কিছু এড করছি আর চেঞ্জ করছি 🙂
=)) =)) =)) কি যে শুরু হইলো! চিন্তা করতাসি মার্স কিউরিউসিটি রোভারের সাথে একটা ফটুক দিয়া দিব নিজের! (সম্পাদিত)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
তাড়াতাড়ি আপলোড করেন অথবা এটলিস্ট আমারে মেসেজ করে ছবিটা পাঠান। এই পোস্টেই এড করে দিমু 🙂
সময় পাইতেসিনা। একটা ছবি তোমার সময় পাইতেসিনা! হুজুগও চলে যাচ্ছে। দেখি কালকে একটা চেষ্টা করবো!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
খিল মি, সামুয়ান খিল মি। বর্ণনা অতিব মচেতকার হয়েছে।
আইচ্চা এক খান কতা আচিল। ছবি তো বহুত তুলিলাম। এইবার এবারেস্ট এ এক্কান ফ্লেস মোব করা যায় না? বাঙালির এব্বারেস্ট বিজিয় কম্পলিট হয় না তাহলে।
এভারেস্ট এর টপে ফ্ল্যাশ মব ? :duel: :brick: :khekz:
আমরা টয়লেট ফ্ল্যাশ ও করতে পারি 😀
চাঁদে যায় সাঈদী
এভারেস্ট চূড়া-
এ আর এমনকি?
মঙ্গলে রোদ পোহাতে-
যাবে নাকি?
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এইডা কি ছিল ? :boss: :boss: =)) :khekz: :khekz: :just: :pira:
সারাদিন ব্যস্ততার পর স্বস্তি ও আরাম এনে দেয় মঙ্গল ভ্রমণ।
প্রচারেঃ বাঙলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশান।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মেইন পোস্টে এড করে দিয়েছি 😀
হাহাহাহাহা। এই পোস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে সবখানে!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমার পোস্ট ছরাইলে আমি তো ব্যাপক খুশিই হমু 😛 (সম্পাদিত)
আমারো খুব শখ ছিল মঙ্গলে যাওয়ার, স্পন্সর পাচ্ছি না দোস্ত। ~x( ~x( ~x( ~x(
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
আম্রিকা দেশে আছি। কইলো ঘুইরা আসো ভাল লাগবে। এরকম অফার ফালায় দেয়া যায় না। তাই ঘুইরা আইলাম। যদিও ধূলাবালি। বাজে অবস্থা!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
জঙ্গলেই মঙ্গল B-)
:hatsoff: :gulti: :tuski:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
”বাস থামবে , ক্যাডেট মুতবে। ক্যাডেট থামবে, বাস মুতবে”
😀
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10203222374378309&set=a.1602444259141.2085815.1177134077&type=1&theater
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
আমিও যাইতাছি ভাই। তবে হাফপ্যান্ট না অন্যকিছু পরুম বুঝতাছি না।
লুঙ্গি খুব ভালো অপশন। অলরেডি একজন চলে গেছে ওখানে লুঙ্গি পরে 🙂
ঝালমুড়ি সানি জোস হইছে......... :pira2: :pira2:
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
:hatsoff:
পড়ার চাপে এভারেস্ট এ আপাতত যাচ্ছি না। চাপ কমলেই উঠে মুতে আসবো।
" বাস থামবে, ক্যাডেট মুতবে।"
"এভারেস্টে উঠবে, ক্যাডেট মুতবে।"
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
কাজ শেষ করে আগরবাতি ধরাতে ভুলে যাস নে আবার 😛
Imrul Kayes Rajib এর ছবি বাদ গেছে
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10203222374378309&set=a.1602444259141.2085815.1177134077&type=1
হা হাহা, আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগছে, চানাচুর ভাইয়া।
ওনার যে এক্সপ্রেশন, এককথায় অসাধারণ। উনি যে এভারেস্টে উঠেছেন তা নিয়ে ওনার কোনো ভ্রূক্ষেপ নাই, আর বেচারার ঠান্ডা টান্ডাও লাগেনা।
নাফিস অনেকদিন পর সিসিবিতে প্রাণ ফিরে এল যেন।
দেখি ভাইয়া অন্যকোথাও যেতে পারি কিনা।
চানাচুর ভাই আসলেই কঠিন মাল ! আমার নিজের হাউজের ক্লাসমেট। ৬ বছরে সেইটা টের পাইছি। অন্য কোথায় যেতে চান ? ইউরেনাস / নেপচুন ? 😛
আমার ইচ্ছা জুপিটার, সাবুর দেশ B-)
চাচা চৌধুরী 😛
এস সি সি এর ম্যাক ভাইয়ের ছবি চাই।
ছবি টা দাও এখানে
ম্যাক ভাই ৫০ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করেছেন।
খাইছে! এত্ত লোক! পোলাপাইন তো কয়েকদিন পর এভারেস্ট এর উপর রিসোর্ট এর বিজনেস শুরু করে দেবে মনে হচ্ছে!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
উই উইল রক ইউ 😛
...একদিন সবকিছু মুছে যায় হিমেল হাওয়ায়, স্মৃতিমাত্র লিখে নাম...সেইখানে আমিও ছিলাম...
আমি দেখতে পারতেছিনা ছবিটা 🙁
অলিম্পাস মন্স জয় করুম :dreamy:
মোকা আর উজরাতের সাথে :khekz:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
হবে! এবার হবে! B-)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10202765517972180&id=1627000373&set=a.1390877185092.54321.1627000373&source=46&refid=17
https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=10202774151908023&id=1627000373&_rdr#10202774162028276