বর্ণমালার আর্তি

‘ঘ’ ছিটকে পালালো ঘাসের সঙ্গী হবে বলে,
জ্যামুক্ত ছুটে গেলো তৃণের মূর্ধণ্য ণ
‘আমি কি ভুলিতে পারি’ কণ্ঠে তুলে
নিয়েছে “আ’-কার —
করজোড়ে ঋ-ফলা এসেছে কাছে
অনুনয়ে বলেছে
‘ঘৃণা’ শব্দেরও যোগ্য নয়
কোন রাজাকার।

(গতকালের ফেসবুক স্ট্যাটাস)

বিস্তারিত»

শাহবাগ শাহবাগ!

মোড় ঘুরতেই জ্বলজ্বলে চোখে এ কে?
ভড়কে গেছি তার ডোরাকাটা বেশ দেখে।
মৃদু হেসে বলেছে টাইগার,
‘ডরাস ক্যান, নস তো রাজাকার,
বেজন্মাদের টুঁটি ছিঁড়বো বলে
এবেলা রাজপথে এলাম চলে;
ততক্ষণ বিনিদ্র বসে থাক
রুদ্র আর বিস্ফোরিত শাহবাগ
ততক্ষণ ঠহল দিতে যাক
বাংলার যত দুর্বীনিত বাঘ’।

(দু’দিন আগের ফেসবুক স্ট্যাটাস)

বিস্তারিত»

ট্রাইবুনালের বিচারপতির তথ্যাদির অপরাধমূলক ‘হ্যাকিং’ সংক্রান্ত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তির প্রতি আহ্বান

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর পক্ষ থেকে আমরা গভীর দুঃখ এবং ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছি যে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির চক্রটি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করার একটি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা অপরাধমূলকভাবে লঙ্ঘন করে কিছু ব্যক্তিগত কথপোকথন এবং ইমেইল হ্যাকিং করে এবং তা বিভিন্নভাবে বিকৃত করে দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে ছড়াতে শুরু করেছে। নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চিহ্নিত এই চক্রটি নানান রকম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে।

বিস্তারিত»

ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধতা জরুরী, বিভেদ নয়- আহমেদ জিয়াউদ্দিন

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সম্মানিত চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এর ব্যক্তিগত স্কাইপ কথোপকথন এবং ইমেইল হ্যাকিংকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাপ্রবাহ তার সাথে বাংলাদেশের অনেকেই ইতোমধ্যে বোধ করি অবগত হয়েছেন। গত কয়েকদিনে ইকনমিস্টসহ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে আমার সাথে এবং আইসিটির বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করার জন্য আরও যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের অনেকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ট্রাইবুনালের বিচারাধীন থাকায়, এবং এ বিষয়ে ট্রাইবুনালের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকায় আমরা সচেতনভাবেই কোনো মন্তব্য দেয়া থেকে বিরত ছিলাম।

বিস্তারিত»

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালস বাংলাদেশ: জাস্টিস ইন পারস্পেকটিভ


ফটোঃ আইসিএসএফ সদস্য নোরা শরিফ ও রায়হান রশিদ- প্রশ্নোত্তর পর্বে।

১৪ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোয়াসে “ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালস বাংলাদেশ: জাস্টিস ইন পারস্পেকটিভ” শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটিত নৃশংসতা ও অপরাধের বিচারের দাবিতে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মূলত মানবতাবিরোধী অপরাধ,

বিস্তারিত»

ইকোনমিস্ট-আমার দেশের অপপ্রচারণা : ষড়যন্ত্রের নতুন ফ্রন্ট (প্রসঙ্গঃ ICT হ্যাকিং)

বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু থেকেই নানা ধরণের শত্রুর মোকাবেলা করে কাজ করছে। দেশে এবং বিদেশে, মিডিয়ায় অথবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচারণা, ট্রাইবুনালের ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা, ট্রাইবুনালের কাজকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা। আমরা দেখেছি বহির্বিশ্বে টবি ক্যাডম্যানের মতো লোকেরা কীভাবে ট্রাইবুনাল সম্পর্কে মিথ্যাচার করে বেড়িয়েছে, দেখেছি আলি আলগামদির মতো মিডিয়াবাজেরা সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকায় বাংলাদেশ এবং ট্রাইবুনাল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়েছে,

বিস্তারিত»

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (ICT) বিষয়ক হেগ-এর অধিবেশনে আলোচনা

নেদারল্যান্ডস-এর হেগ শহরে গত ২১ নভেম্বর রোম সংবিধি-এর আওতাধীন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)-এর রাষ্ট্রপক্ষসমূহের সম্মেলনের (Assembly of States Parties) অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)-এর ওপর বিশেষ একটি অধিবেশন আয়োজিত হয়। মূলত দেশীয় আইনের প্রক্রিয়ায় দেশীয় ট্রাইবুনালে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের উদাহরণ হিসেবেই আইসিটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই আগ্রহ। এখানে উল্লেখ্য, রোম সংবিধি কেবল এ-ধরনের দেশীয় বিচারের উদ্যোগের অনুমোদনই করে না, উৎসাহিতও করে।

বিস্তারিত»

আইসিএসএফ: পাক্ষিক অনলাইন কর্মশালা

আইসিএসএফ: পাক্ষিক অনলাইন কর্মশালা সিরিজ!! (২য় পর্ব)
[স্কাইপ : ৩ নভেম্বর ২০১২, বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা থেকে]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

❖ এই পর্বের নির্ধারিত আলোচ্যসূচী:
—————————————

☛ ট্রাইবুনালের সাক্ষী সংক্রান্ত বিষয়গুলো, যেমন:
— ✔ সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিধান
— ✔ সাক্ষীদের মান
— ✔ সাক্ষীদের ভয়ভীতি, লোভ এবং হয়রানীর ঘটনাসমূহ
— ✔ অত্যধিক সংখ্যক সাক্ষী পেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো

বিস্তারিত»

ছাত্র রাজনীতি ও বিব্রতকর কিছু প্রশ্ন

এই লেখাটা যখন শুরু করার জন্য কি বোর্ডে আঙ্গুল চালাই তখন দেখলাম দুজন সদস্য ও জনাকয়েক ভিজিটর রয়েছেন সিসি ব্লগে। একজন সদস্য আমি আর আরেকজন ব্লগ অ্যাডজুটান্ট। ক্যাডেট কলেজের ছয় বছর অ্যাডজুটান্ট নামক প্রাণিটি হাড় মজ্জায় যে ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছিলো তা আজো যায়নি। আজো অ্যাডজুটান্ট নামধারী কাউকে দেখলেই হয়। হৃদকম্প বেড়ে যায় নয়তো কয়েকটা মিস করি। অ্যাডজুটান্টরা বা সামরিক বাহিনীর লোকেরা যে ততটা ভীতিপ্রদ না তা প্রথম বুঝতে পারি ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পরে।

বিস্তারিত»

হে বীর, তোমায় সালাম

সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।

বিস্তারিত»

স্বপ্নচূড়া-২

প্রথম পর্ব

গত দুই দিনে অনুপমার সাথে একটা কথা বলারও সুযোগ হয়ে উঠেনি দিলীপের।প্রথম কাজ যেটা করতে হয়েছে সেটা মাকে মামার বাড়ি রেখে আসতে হয়েছে।স্থানীয় যারা বন্ধু আছে,তাদের সাথে কথা বলে সব ঠিক করতে হয়েছে।সব করতে হয়েছে গোপনে এবং সময় নিয়ে।কয়েকজনকে পুরো ব্যাপারটা বুঝানোও খুব সহজ হয়ে উঠছিল না।এসব করতে করতে অনুপমার সাথে কথা বলার সুযোগই হয়ে উঠেনি।শুধু স্যারের সাথে দেখা করতে যেয়ে একবার চোখে চোখ হয়েছিল একবার,কিছুক্ষণের জন্য।রাতে রওনা দেবার আগে যেভাবেই হোক দেখা করতে হবে।সন্ধ্যার পরে নাট মন্দিরের সামনে দেখা হবার কথা।

বিস্তারিত»

স্বপ্নচূড়া-১

চায়ে চুমুক দিতেই ভুলটা ধরা পড়ে।সিগারেট আনা হয় নি।বালিশের পাশে যে দু’টা সিগারেট রাখা ছিল,সেগুলো সেখানেই গড়াগড়ি খাচ্ছে অথবা কে জানে এতক্ষণে মনসুর অথবা প্রকাশের ঠোঁটে শোভা পেয়ে রক্তে নিকোটিন ছড়াতে ছড়াতে নিজেকে ভষ্ম করে দিয়েছে কিনা!চায়ের সাথে সিগারেটের অনুপস্থিতি ব্যাপারটাকে অনেকটা তরকারীতে লবণ না দেওয়ার মতই মনে হয় দিলীপের।আর সেটা যদি হয় দুধ চা,চিনি বেশী, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।পুরোপুরি অত্যাচার বলেই মনে হয় তখন।এক কাঠি সিগারেট যে কিনে নিবে সেই যোও নেই।কি আর করা?উদাস মনে চায়ের কাপে চুমুক দেয় দিলীপ।

বিস্তারিত»

একজন রইচ উদ্দিন

বয়স ঠিক কত হবে? ১৩ বা ১৪। নাম রইচ উদ্দিন।সবেমাত্র নবম শ্রেণীর পাঠ চুকিয়েছেন। স্বভাবগত চাঞ্চল্যে মন তার উড়ে বেড়ায়। পরের বাগানের ফল  চুরি করে, নয়ত বিকেলে ফুটবল আর নদীতে ঝাপাঝাপিতে দিন কেটে যায় তার নদীর স্রোতের মত। কিন্তু এরই মাঝে সময়টা থমকে দাঁড়ায়। ৭০- এর শেষের দিকের কথা। মাঝে মাঝে এলাকার বড় ভাইদের কাছ থেকে দেশের অবস্থা শুনে একটুআধটু। ইচ্ছা থাকলেও সবসময় সবকিছু জানা হয়ে উঠে না তার।

বিস্তারিত»

কিছু বিদেশী ছাগু ও একটি দুঃখ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তুরস্ক সফর চলাকালিন সময়ে কিছু বিদেশি ছাগু একত্র হয়ে ছাগু(সংবাদ) সম্মেলন করেন।তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমে বেশ ঘটা করে ছাপানো হয় খবরটা। আপনাদের নির্মল বিনুদনের জন্য খবরটা বাংলা অনুবাদ করে দিলাম।(http://www.medya73.com/cemaat-i-islamiye-yapilan-zulme-son-verilsin-haberi-912615.html)

*Cemaate- i Islamı’ye yapılan zulme son verilsin(জামাতের বিরুদ্ধে জুলুমের অবসান হোক)
বাংলাদেশে মুসলমানদের উপর চলতে থাকা অন্যায় অত্যাচার এর প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ‘Mazlum-Der’এর ইস্তানবুল শাখায় তুরস্কের মানবাধিকার কর্মীরা একত্র হন এবং তুরস্ক সফররত (১১-১৩ এপ্রিল ) বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মুসলমানদের উপর চলতে থাকা এই শোষণ নিপীড়ন বন্ধের আহবান জানান ।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি শেষের গান

লেখার শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের তৃতীয় ব্যাচের ক্যাডেট, মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্নেল(অবঃ) খায়রুল আলম বেলাল ভাইকে। ভাইয়া অশেষ ধন্যবাদ,এই সময়ের একজনকে সেই সময়ে নিয়ে যাবার জন্য।

আমার মা’র কথা

মা’র জন্য আমাকে প্রায়ই বিব্রত হতে হয়। বিশ্বাস করুন প্রায়ই হতে হয়। বিশেষ করে ছুটি শেষে কলেজে ফেরার সময়। মা আমাকে বিদায় দিতে রেলষ্টেশন পর্যন্ত চলে আসেন । আমি সব সময়ই চাইতাম- বিদায় পর্বটা অন্তত বাড়িতেই শেষ হোক।

বিস্তারিত»