বলের বদলে গ্রেনেড (১ম পর্ব)

১।

জানুয়ারি, ১৯৭১।

কথায় আছে- ‘মক্কার লোক হজ্জ্ব পায় না’!!
অনিকের জন্য কথাটা শতভাগ প্রযোজ্য! ওর বাসা খুলনা পুলিশ লাইনের ঠিক পাশের গলিতেই। বাসা থেকে সার্কিট হাউজের মাঠে যেতে এক মিনিটেরও কম সময় লাগে। অথচ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বিকালের প্র্যাকটিসে ও সবার শেষে উপস্থিত হচ্ছে! কোচ সুনীলদা ওকে খুব স্নেহ করেন বলে তেমন কিছু বলেন না, শুধু ওয়ার্ম আপের সময় দুই চক্কর বেশি দৌড়াতে পাঠান।

বিস্তারিত»

এক বালকের যুদ্ধ-স্মৃতি

স্মৃতির পাতা থেকে বলছি। এটি এমন সময়ের স্মৃতি যা আমার মনে থাকার কথা নয়। এটি এমন সময়ের গল্প যখন বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষকে নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বড়-বড় হেডলাইন তৈরি হচ্ছিল। এই হেডলাইনগুলোর কথা আমি জীবনে আরো অনেক পরে জেনেছি। জেনেছি সেই গৌরব-গাথা যার গল্প মানুষ মনে করবে আরো হাজার বছর ধরে। গৌরবের পাশাপাশি এ এক ব্যর্থতার গাথাও। এই গৌরবকে মনে না নিয়ে, আলোর পথে না এসে কিছু মানুষ মানবতার চেহারায় কালিমা লেপে দিয়েছিল।

বিস্তারিত»

বীরাঙ্গনার স্বপ্ন

বিজয় দিবসের প্রাক্কালে
মুমুর্ষু  এক বীরাঙ্গনা বল্লেন
শত  লজ্জা অপমান সয়ে
আজও  আমি বেঁচে আছি
পাশে  ঠেলে মরণ
কবে আসবে?
সেই  মাহেন্দ্রক্ষণ!

করজোড়ে  নতজানু
মাগিবে পাকিস্তান
দাসী হতে চাই প্রভু
ভিখ দাও চরণ।

[ পুরাদস্তুর বাঙ্গালের ভবিষ্যত বাণীঃ এক দিন বাংলাদেশের অঙ্গরাজ্য হবার জন্য কেঁদে কেটে একাকার হবে পাকিস্তান ]

বিস্তারিত»

কিশোর পারেখ

কিশোর পারেখ নামক এক ভারতীয় ফটো জার্নালিষ্ট মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাঙলাদেশে যুদ্ধকালীন সময়ের ছবি তুলে তিনি বিখ্যাত হন। এতে তিনি পাকিস্থানী সামরিক বাহিনীর বর্বরতা সহ বাঙালি জণগণের দুঃখ-দুর্দশা এবং আশাবাদ তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কিশোরের কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে পাবলো বার্থলমিউ বলেন,

“Bangladesh was Kishor’s highest point. Self-assigned, self-funded, driven by his own instincts, emotions and guts, in a two week period he produced a startling set of images that became a powerful book and statement.”

বিস্তারিত»

উনিশ শো একাত্তর ৭

লাঞ্চের আগে সিও(অধিনায়ক), লেফ্টেনেন্ট কর্নেল মাসুদুল হকের সালাম পেয়ে (ডাক) মেজর শফিউল্লাহর মনে হল, ঘটনা আর একটু খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে। মার্চ মাসটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। ১০ তারিখে তাঁর শশুরের মৃত্যু হলো আচমকাই। ১৯ তারিখে হঠাৎ করেই ব্রিগেড কমান্ডারের আনশিডিউল্ড ভিজিট নিয়ে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল! আবার সেদিনই পাঁচজন সৈনিককে মারধর করে কালিয়াকৈর বাজার থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেলো সিভিলিয়ানরা। আওয়ামীলীগের দু’জন নেতার সহযোগিতায় তিনদিন পর গফরগাঁও থেকে উদ্ধার করা হলো সে অস্ত্র।

বিস্তারিত»

উনিশ শ’ একাত্তর -১

ব্রিগেডিয়ার মজুমদারের রবিবাবের সকালটা পানসে হয়ে গেল। মিনিট দুই আগে কোয়ারটার মাষ্টার জানিয়েছে, ঢাকা থেকে হেলিপ্যাড রেডি করতে বলা হয়েছে। তার মানে সিনিয়র কারো আসার কথা, অথচ তিনি কিছুই জানেন না। তিনি ঢাকায় ফোন বুক করলেন। কোর্সমেট জাহাঞ্জেব আরবাব ঢাকায় ৫৭ ব্রিগেডের অধিনায়ক। তিনি বললেন “আশ্চর্য তুই কিছুই জানিস না? চীফ যাচ্ছেন, কিঊএমজিকে নিয়ে, জিওসিও যেতে পারেন”।
মার্চের শুরু থেকেই একের পর এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

বিস্তারিত»

৭৩ এর যুদ্ধবন্দী

ব্যাপারটা যে কাকতালীয় তাতে সন্দেহ নেই – “সবুজ সিল্ক শাড়ী” পরা মহিলাটির সাথে আমার দেখা হয়ে গেল। আমি তাকে দেখামাত্রই চিনতে পেরেছি। ইন ফ্যাক্ট আমরা চোখাচোখি হওয়া মাত্র একে অন্যকে চিনতে পেরেছি। সে আমার দিকে হাত নাড়ল। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর একসাথে বসব বলে সাব্যস্ত হল।

১৯৭৩ সালের ডিসেম্বরের কোন এক সকালে তার সাথে আমার প্রথম ও শেষ দেখা। ১৯৭১ এর পাক-ভারত যুদ্ধের সহস্র যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে সেও একজন।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন মেজর আখতার আহমেদ বীর প্রতীক

আজ বৃহষ্পতিবার। মন ফুরফুরে, অফিসের জন্যে রেডি হতেহতে ফেসবুকে উকি দিয়ে দেখি আজ এক বিখ্যাত মানুষের জন্মদিন। তাঁর কীর্তি নিয়ে গবেষণা (এত ভারী শব্দলিখতে চাইনি।)করতে গিয়ে দেখি স্যার আমাদের আমাদের মেডিকেল অফিসার ছিলেন, কলেজে আমার জন্মের আগে। হ্যাপি বার্থ ডে স্যার, এই লেখাটি আপনার জন্যেঃ
———————————————————————————

উনিশ শ’ একাত্তর ১৮

২৬ তারিখ সকালে রেডিও অন করে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল আখতারের।

বিস্তারিত»

আমি, আমরা হারিয়ে যাবো

অমরত্বের নিদান যেহেতু এখনো আসে নি তাই নিশ্চিত করেই বলা যায় আমি, আমরা সবাই মারা যাবো। কয়েক সপ্তাহ আগেই আমার প্রথম শিক্ষক যিনি আমাকে অ আ ক খ শিখিয়েছিলেন সেই লাভলু ভাই মারা গেলেন (মামাতো ভাই) । আরেক মামাতো ভাই জানালো ফেবু তে যে লাভলু ভাই নেই। ওনারা চার ভাই ছিলেন। মেজ জন এখন জীবিত। ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যেই সবাই মারা গেলেন। বছর দুই হল মা মারা গেছেন।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকারঃ জেনারেল উবাচ

“দ্যাশের অবস্থা খুব খারাপ। সাবধানে যাও ব্যাটা। বিজয়ী হয়া ফিরি আসো। যদি খারাপ অবস্থা চলতেই থাকে বা আরো অবনতি ঘটে, আয়সো না।ইচ্ছা করলে বিয়া করি ওখানে থাকতে পারো। তুমার মা, ভাই বোনদের লিয়া ভায়বিনা। অরে আমি দেখি রাখব।” কথাগুলো বলছিলেন আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমাণ্ডার মতিউর রহমান সরকার।অনেক কষ্টে মানুষ করা প্রথম সন্তানকে যুদ্ধে পাঠানর সময়।

তখন মে মাস, ১৯৭১ সাল।ফুফাতো ভাই রফিক মাসখানেক আগেই ভারতে চলে গেছে।

বিস্তারিত»

আবার কলকাতা ৮

আবার কলকাতা ৪

পার্ক সার্কাসের পশ্চিম কোনায় যেখানে পার্কস্ট্রিট আর সার্কাস এভিনিউ মিলে একটি ত্রিভুজ রচনা করেছে সেখান থেকে বেরিয়ে পার্কস্ট্রিট আর আচার্য জগদিশ চন্দ্র বসু (এজেসি) রোডের প্রায় সমান্ত্রাল একটি সড়ক পশ্চিমে জওহার লাল রোড পর্যন্ত গিয়েছে। আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির নাম শেক্সপিয়ার সরণী। এই সড়কেরই পুরনো নাম থিয়েটার রোড। এখন অবশ্য কলামন্দিরের কাছে একটি যাত্রীছাউনি ছাড়া থিয়েটার রোড নামটি আর কোথাও চোখে পড়েনা।

বিস্তারিত»

চলমান সময়টাকে জানতে হলে ……..

আমার লেখার কিছু নেই। যশমান লিখিয়ে+বলিয়েরা কিভাবে বাংলাদেশের চলমান সময়টাকে তৈরী করছেন, তা’ রেকর্ড করে রাখার জন্য প্রথম আলো থেকে একটা সংবাদের লিঙ্ক যোগ করে নিলাম আমার ব্লগে………

সময়ের চিহ্ন

বিস্তারিত»

বাংলাদেশী নারীদের লজ্জাশীলতার শিক্ষা দিন, সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধেও সামিল হোন

ছোটবেলায় নানান প্রবাদ-প্রবচন, খনার বচন, নীতিকথা ইত্যাদি শুনে এসেছি। সেগুলোর একটা ছিল ‘লজ্জা নারীর ভূষণ’। ইদানিং দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের নারীসমাজ এই কথা বেমালুম ভুলে গেছে।

বটে! এই সেদিনই ত’ ১লা বৈশাখে কেমন বেহায়াপনা করার জন্য রাস্তায় নেমে যৌনসন্ত্রাসের মাধ্যমে অগণিত নারীকে শিক্ষা দেওয়া হল। এরপরেও তাদের টনক নড়েনি? এখন শুনছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষকও বেহায়াদের মত রাস্তা-ঘাটে পর-পুরুষের গায়ে হাত তুলেছে। তা-ও আবার যে সে পুরুষ নয়,

বিস্তারিত»

এপিটাফ

নাম না জানা শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের কথা ভেবে

যাও পাখি, উড়ে যাও,অন্য কোথাও
এখানে ঘুমিয়ে আছে এক বিপ্লবী
তোমাদের গানে তার ভেঙে যাবে ঘুম
চারিদিক হয়ে থাক নিথর নিঝুম

শুয়ে আছে গায়ে দিয়ে ঘাসের চাদর
কোথায় প্রেমিকা তার হায়
কে করে আদর

রাইফেল পড়ে আছে তার
হাতে নেই ধারালো ড্যাগার
বিপ্লবী মিশে আছে এ মাটির সাথে
সব চেয়ে ভালো যাকে বেসেছিলো সে

যেতে যেতে বলেছিলো নেড়ে দুই হাত
যদি রোখে সকলেই রেখে কাঁধে কাঁধ
কেটে যাবে দুর্দিন আর কালো রাত

***

বহু দিন হয়ে গেছে পার
বিপ্লবী জেনেছে কী আর ?

বিস্তারিত»

নূর মোহাম্মাদ

নূর মোহাম্মাদ

সকাল থেকেই তোঁতাবিবির কথা মনে হচ্ছিল নুর মোহাম্মাদের। সে মহেষখোলা ছেড়েছে এপ্রিলে আর এখন সেপ্টেম্বর। বঊএর সাথে অনেক দিন দেখা নাই। অসুখ বিসুখ মানুষের মন নরম করে দেয়। সাতদিন আগে টাইফয়েড শুইয়ে দিয়েছে তাঁকে। জ্বর জারির সাথে খুব একটা পরিচয় ছিলো না তার। এই জ্বর তাকে অকম্মা বানিয়ে ছেড়েছে। স্ট্যান্ড টু’র (সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের আগে নিয়ম করে সতর্ক অবস্থান নেওয়া) মত নিয়ম করে সকাল বিকাল কাঁপিয়ে জ্বর আসে।

বিস্তারিত»