আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। তাই স্বপ্ন দেখি বিচার হচ্ছে সেইসব ঘাতকদের যারা একটা শিশু জন্মাবার আগেই তাকে চরম আঘাত করেছিল ডিসেম্বরের এই ১৪ তারিখ আটত্রিশ বছর আগে। তাই বিচারের স্বপ্নে আঙ্গুল গুনি, বছর গুনি। আটত্রিশ বছর। হয়ত ক্রমান্বয়ে এই সংখ্যাটার বেড়ে চলা মনে হতাশা বাড়ায়। কিন্তু এইসব হতাশা ঝেড়ে ফেলতে চাই। তাই খুঁজে ফিরি আটত্রিশ বছর আগে সেইসব যুদ্ধ বিজয়ী মানুষ গুলোর মনোবলের ভান্ডার। আশায় থাকি নিশ্চয় একদিন শেষ হবে আমাদের এই বছর গণনা।
বিস্তারিত»যুদ্ধপরাধ : ১৬ ডিসেম্বরের আগেই তদন্তকারী নিয়োগ হবে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই বাস্তব কাজের অগ্রগতি সরকার দেখাতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, এদের বিচারের বিরুদ্ধে বাইরের কোনো শক্তির চাপ নেই। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংন্থা, মানবাধিকার সংগঠন ও দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের দিক থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কোনো চাপ নেই। তারা বরং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচার দেখতে চায়। এক্ষেত্রে সহায়তাও দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
বিস্তারিত»চলো আমরা নতুন লড়াই শুরু করি
ক্যাডেট কলেজ ব্লগ- সিসিবি’র সূচনাকালটা এখন প্রায় সবাই জানি। বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময়, স্মৃতিচারণ, যোগাযোগ-সম্পর্ক বাড়ানোর আগ্রহ থেকে এর জন্ম। ক্রমেই এটা বড় হয়েছে। কিছু দ্বৈত সদস্যপদ বাদ দিলেও দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১১’শর বেশি প্রাক্তন ক্যাডেট ও তাদের স্ত্রী-স্বামী সিসিবিতে যুক্ত হয়েছে।
সিসিবি’র জগতটা যতোটা বড় হচ্ছে, বিভিন্ন সময় ততোই একে আরো বড় ভূমিকায় নিয়ে যাওয়ার দাবি উঠেছে।
বিস্তারিত»‘যুদ্ধাপরাধ’ ইস্যুতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামিল হতে চাইলে
ইতোমধ্যেই সিসিবি-র কয়েকজন সদস্য যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। সিসিবি-র সদস্যদের যতটুকু চিনি, সত্যি বলতে কি, তাতে একটুও অবাক হইনি। আর সবার মতো আমি নিজেও একজন স্বেচ্ছাসেবক। আরও অনেকেই আছেন, যাঁরা তাঁদের সাধ্য এবং সময় মত নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বর্তমানে। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, আমাদের আরও অনেক বেশী জনবল দরকার, এই সুনির্দিষ্ট ইস্যুটির ধরণ এবং ব্যাপ্তির কারণেই।
বিস্তারিত»যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আমাদের গলাবাজি, আমাদের দায়িত্ববোধ
এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোনো সশস্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফোজদারীতে সোপর্দ কিংবা দন্ডদান করিবার বিধান সম্বলিত কোন আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের কোনো বিধানের সহিত সামঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী, আই কারণে বাতিল বা বেআইনী বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা কখনও বাতিল বা বেআইনী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না।
বিস্তারিত»ফাঁসির রশিতে মুক্তিযোদ্ধা রওশন ইয়াজদানী
মূল : সাইফুদ্দাহার শহীদ; ৬ষ্ঠ ব্যাচ; ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ।
অনুবাদ : সানাউল্লাহ
ভুমিকা
লেখাটি একটি ভূমিকা দাবি করে। নিচের লেখাটির মূল লেখক ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ৬ষ্ঠ ব্যাচের সাইফুদ্দাহার শহীদ। লেখাটির লিংক তিনি দিয়েছিলেন ফৌজদারহাটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ইয়াহু গ্রুপ মেইলে। এটি আমাকে আবেগতাড়িত করে। সিসিবির সক্রিয় সদস্যরা জানেন, আমি গত কয়েকমাস ধরে এখানে একটি স্মৃতিকথা লিখছি। লেখার বর্তমান পর্যায়ে আশির দশকের রাজনৈতিক অস্থিরতা,
পাকিস্তানের জন্য গোলাম আযমের আক্ষেপ ফুরাবে না!
গোলাম আযমের লেখা আত্মজীবনী মাত্রই শেষ করলাম। একটা মানুষকে বোঝার জন্যই কষ্ট করে তিন খন্ড জীবনী পড়া। পড়ে বুঝলাম এই লোকটার মতো অভাগা আসলেই কেউ নেই। বুকে পাকিস্তান নিয়ে বাস করতে বাংলাদেশে। তাই সারা বই জুড়েই পাকিস্তান নিয়ে আক্ষেপ। এটা পড়ে বুঝলাম তার আন্ডা-বাচ্চারাও কি পরিমান মনোকষ্টে থাকে।
আসুন দেখি কি লিখেছেন গোলাম আযম।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় অধ্যাপক গোলাম আযম নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় জনগণকে আওয়ামী লীগকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলতেন,
আবার যুদ্ধ হলে আমি রাজাকার হব…
তিন যুগ পেরিয়ে গেল, কেউ কথা রাখেনি।
আমার বাবার কথা কেউ মনে রাখেনি।
কেউ খুঁজে দেখেনি আমার হারানো ভাইয়ের লাশ।
কেউ মনে রাখেনি আমার বোনের সর্বনাশ।
তাই আজ আমি বিদ্রোহী…
আবার যুদ্ধ হলে আমি রাজাকার হব,
আবার যুদ্ধ হলে আমি বন্দুক হাতে নেব,
তারপর… …
আমাদের বাঁশিওয়ালা
মানুষটাকে কাছ থেকে দেখেছিলাম দু’তিনবার। আকাশের মতো এমন বিশাল এক মানুষ। এমন সিংহহৃদয় মানুষ, আমাদের জাতির জীবনে একজনই এসেছিলেন। কিছুটা নিজের ক্যারিশমা, কিছুটা সাহস আর বাকিটা সময়- তাকে করে তুলেছিল এই জনপদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতায়। মানুষকে ভীষণ বিশ্বাস করতেন তিনি। হয়তো রবীন্দ্রনাথের মতোই মনে করতেন, ‘মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ।’
এই বাঁশিওয়ালা আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তি সংগ্রামে, বাঙালি জাতির মুক্তির যুদ্ধে।
বিস্তারিত»সেই রাত্রির কল্পকাহিনী
এই কবিতাটা পড়ার আগে আমি এটার আবৃত্তি শুনেছিলাম, শিমুল মুস্তাফার কন্ঠে। এখনো মনে আছে, একবার শুনেই স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম কিছুক্ষণ। প্রচন্ড অপরাধবোধ আর লজ্জায় আমার নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছিলো। খুঁজে বের করে কবিতাটা পড়ার সাহস হচ্ছিলো না। কিন্তু তারপরও পড়েছি, নিজেকে ধিক্কার দেবার জন্যে বইটা কিনে এনে কবিতাটা খুঁজে বের করে পড়েছি। একবার, বারবার।
বিস্তারিত»জাগো বাহে
আমি স্বাধীনতা বলছি
আমি রাজ্য হারনো এক রিক্ত রাজা
আমি আজ টোকাই এর গায়ের শতছিন্ন জামার মত মলিন
আমার সূর্য সৈনিকের দল
আমার দামাল ছেলেরা আজ আমারই মত
তজিম আলী
আজ ঘরের বারান্দায় বসে তার পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করে
ছানি পড়া চোখে চেনা জগতটা ছায়া ছায়া অচেনা লাগে
রমিজ শেখ
যার মেশিনগান চলত অবিরাম
আজ তার সেই অনামিকায়
ভ্যান গাড়ির বেল বাজে
হতাশ চোখে তার হাজারো অভিযোগ
তবে কোন চাওয়া নেই কারন
পাবার আশায় কিছুতে করিনি
তবে শুধু কষ্ট হয়
নাম না জানা সহযোদ্ধার কথা মনে করে
হাত ধরে বলেছিল দেখিছ
আবার বর্গীরা যেন না আসে
ওর কথা রাখতে পারিনি
তোরাক উদ্দিন
চাদ তারা পতাকার একনিষ্ঠ সেবক
আজ তার মার্সিডিস গাড়িতে
পতপত করে উড়ে লাল সবুজের পতাকা
আচ্ছা আপনাদের কি সেই ছেলেটার কথা মনে আছে
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানী কুত্তাদের হেয় কথার জবাব দেয়ায়
যাকে জীবন দিতে হয়েছিল বিদেশ বিভূয়ে
জানেন এই কথা কেন বললাম
অনেকে বলেন পুরোন কথা ভুলে যেতে
তাদের মুখে আমি থতু দিই
মনে আছে সেই তরুণীর কথা
প্লাকাডে যে লিখেছিল”আফ্রিদি মেরি মি”
আগুন যখন অশ্রু
‘টিয়ারস অব ফায়ার’ (tears of fire) প্রামান্যচিত্রটার কথা আমি প্রথম জানি হারুন হাবীবের ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ’ বই থেকে।
গত বইমেলায় খুঁজে খুঁজে ৭১’র যুদ্ধাপরাধ নিয়ে অনেকগুলি বই কিনেছিলাম। সব পড়া হয়নি। কিছু আধপড়া ফেলে রেখেছি, কিছু একদমই ধরিনি। কাল হঠাৎ শেষরাতে বিছানায় শোবার পরও যখন ঘুম আসছিলো না তখন উঠে বাতি জ্বালালাম। সেলফ থেকে একটা বই বের করে ভাবলাম দেখি পড়তে পড়তে ঘুম আসে কিনা।
বিস্তারিত»স্মৃতির ঝাঁপি : নরক ছেড়ে পালালাম
প্রথম পর্ব
দুই.
বাবার একটা পদোন্নতি হলো। মুক্তিযুদ্ধের আগেই আমরা বাসা বদল করে কলোনীর আইডিয়াল স্কুল অঞ্চলে চলে গেলাম। এফ-৪৯ নম্বর ভবনে। এই বাসাটা কমলাপুর রেল স্টেশনের কাছে। ‘৭০-৭১ সালে কলোনীর ভেতরে প্রায় প্রতিদিনই মিছিল-সভা হতো। সন্ধ্যায়-রাতে নিয়মিত ছিল মশাল মিছিল।
‘৭১-এর ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকেই বাইরে রাস্তায় প্রবল উত্তেজনা দেখছি। তরুণ-যুবক বয়সীরা কেউ বাসায় নেই। সবাই রাজপথে নেমে গেছে।
বিস্তারিত»রাজাকারনামা……………৪/ক(বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতা)
যুদ্ধাপরাধে বিষয়টিতে পাকিস্তান সরাসরি একটি পক্ষ তাই বাংলাদেশ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করছে তখন পাকিস্তানও বসে না থেকে বাংলাদেশের সাথে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, প্রলোভন এবং সম্পর্কের অবনমন হতে পারে বলে হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে। এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশ পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বাংলাদেশ যেমন আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে ব্যস্ত ঠিক তেমন করেই পাকিস্তানও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে নিরোধ করার জন্য কূটনৈতিক প্রচারণা চালাতে পারে।
বিস্তারিত»রাজাকারনামা- ৩ (যুদ্ধাপরাধের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা)
এই লেখাটি একটি অনুবাদ মাত্র। এটি একটি পাকিস্তানি নাগরিকের ব্লগ হতে প্রাপ্ত।
১৩ই মে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তান সরকারকে ১৯৭১ সালের গনহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করে,পাকিস্তান সরকার এই দাবীকে নাকচ করে দেয়। এর জবাবে পাকিস্তান জানায় বাংলাদেশের উচিত অতীতকে ভুলে যাওয়া এবং পাকিস্তান কে ভুলে যেতে দেওয়া। এমন নয় যে এবারই প্রথম বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানকে সাধারণ ক্ষমা পার্থনার দাবি করল প্রত্যুত্তর ধৃষ্ট পাকিস্তান যৌক্তিক দাবীকে নাকচ করে দিল।
বিস্তারিত»