ইকোনমিস্ট-আমার দেশের অপপ্রচারণা : ষড়যন্ত্রের নতুন ফ্রন্ট (প্রসঙ্গঃ ICT হ্যাকিং)

বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু থেকেই নানা ধরণের শত্রুর মোকাবেলা করে কাজ করছে। দেশে এবং বিদেশে, মিডিয়ায় অথবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচারণা, ট্রাইবুনালের ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা, ট্রাইবুনালের কাজকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা। আমরা দেখেছি বহির্বিশ্বে টবি ক্যাডম্যানের মতো লোকেরা কীভাবে ট্রাইবুনাল সম্পর্কে মিথ্যাচার করে বেড়িয়েছে, দেখেছি আলি আলগামদির মতো মিডিয়াবাজেরা সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকায় বাংলাদেশ এবং ট্রাইবুনাল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়েছে, এমনকী বাংলাদেশ সরকারকে নানা ভাবে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়ার নিদর্শনও মিলেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যাগুলোর একটির খলনায়কদের বিচারের আওতায় আনার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রক্রিয়াটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। সুদূর তুরস্কের একটি রাজনৈতিক দল সাদেত পার্টির উদ্যোগে ইস্তাম্বুলে গোলাম আযম সহ এসব অপরাধের দায়ে আটক ব্যক্তির মুক্তির দায়ে সমাবেশ হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ সংযোজন লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্রিকা দি ইকোনমিস্ট, এবং তাদের ল্যাজ ধরে ধরে বাংলাদেশের আমার দেশ।

মূল ঘটনাটুকু এই কয়দিনে সবাই জেনে গেছেন মনে হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সাথে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপ কথোপকথনের একটি রেকর্ড ইকোনমিস্টের হাতে এসেছে। আরো এসেছে নিজামুল হক নাসিমের ইমেইল একাউন্টের তথ্য। এই কথোপকথনে নাকি ট্রাইবুনাল সম্পর্কে বিস্ফোরক সব তথ্য রয়েছে, সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়াটিই যে একটি সাজানো ব্যাপার স্যাপার এমন সব প্রমাণ রয়েছে। ইকোনমিস্টের পক্ষ থেকে নিজামুল হক নাসিমকে ফোন করে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আর গতকাল ৮ ডিসেম্বর, ২০১২ আমার দেশ পত্রিকায় এই কথোপকথনের একাংশের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশিত হয়েছে।সংক্ষেপে এই হলো ঘটনা।

এবার একটু ভালো করে পুরো ঘটনাটির দিকে আমরা তাকাবো। প্রথমেই আসা যাক আমার দেশের প্রতিবেদনটির ব্যাপারে। একেবারে শুরুতেই একটি মারাত্মক ভুল করেছেন আমার দেশের প্রতিবেদক। সেখানে নিজামুল হক নাসিমকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বস্তুত এই নামে কোন ট্রাইবুনালের অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশে যে দু’টি ট্রাইবুনাল চলমান তাদের নাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এক এবং দুই। গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্যগত ভুল দিয়ে শুরু হয়েছে আমার দেশের প্রতিবেদন।প্রতিবেদনের বাকি অংশটুকু লিঙ্ক থেকে পড়ে নিতে পারেন। আমরা সরাসরি আলোচনায় চলে যাবো।

প্রথমত, বিশ্বে এই ধরণের বিচার যখনই হয়েছে, যেটি যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধ নিয়ে কাজ করে এবং যার আন্তর্জাতিক গুরুত্ব অপরিসীম, তখনই বিচারকেরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সোর্স থেকে সাহায্য নিয়েছেন, নিয়ে থাকেন। এর জন্য নিয়োজিত থাকে গবেষক টিম, কপি এডিটর, প্রুফ রিডার, নিয়োজিত ইন্টার্নদের একটি টিম। একটি বিষাল ওয়ার্কফোর্স কাজ করে এরকম একটি বিচার প্রক্রিয়ার পেছনে। বাংলাদেশে সেটি হয়নি নানা জটিলতায় – আমাদের দেশটি দরিদ্র, আমাদের ভেতরে বাইরে শত্রু অসংখ্য, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা প্রচুর। আমাদের সামর্থ্য হয়নি এটি করার জন্য, আবার সে কারণে সমালোচকরাও বসে থাকেননা। সেই অবস্থায় এই কাজটি বিনে পয়সায় করে দিতে এগিয়ে এসেছেন কয়েকজন মানুষ। তারা কী করেছেন? গবেষণা, ড্রাফটিং আর এডিটিং সহায়তাটুকু দিয়েছেন। সেটিও করেছেন বিচারকের অনুরোধে, বিচারকের বেঁধে দেয়া নির্দেশনা অনুসারে। এই প্রসঙ্গে নিজামুল হক বৃহস্পতিবার আদালতে তিনি বলেছেন,

আমরা আগেই বলেছি ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণ নতুন একটি আইনে তার বিচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের জন্য কাজটিও নতুন। সে কারণে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ হিসেবেই আমি আহমেদ জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছি। যা ছিলো একান্তই নিজস্ব আলোচনা।

বইয়ের প্রুফ দেখলেই নিশ্চয়ই কেউ লেখক হয়ে যান না। এই পুরো প্রক্রিয়াটিতে কোন অংশই অস্বচ্ছ বা বেআইনী ভাবে করা হয়নি।

দ্বিতীয়ত, আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে নিজামুল হক নাসিমের যে আলোচনা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিক আলোচনা, আগ্রহী পাঠক উপরের লিঙ্কে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। আলোচনাগুলো হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে, কেমন অগ্রগতি হয়েছে, দেশের মানুষ এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং আগ্রহ কীরকম এইসব নিয়েই। এটি মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়, মানুষ খুব সাভাবিকভাবেই সাধারণ অন্তরঙ্গ আলোচনায় চলমান বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করে। বাংলাদেশে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা ঘটছে সেটি নিয়ে দু’জন মানুষ ঘরোয়া আলোচনা করে নিশ্চয়ই মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলেননি। আমরা দেখেছি সেখানে হজ্ব যাত্রা নিয়ে কথা আছে, দু’জনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা আছে, প্রতিবেশীদের সামাজিক অনুষ্ঠান নিয়ে কথা আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী আছে ট্রাইবুনাল নিয়ে কথা। খুবই স্বাভাবিক, তারা আইনের লোক, চলমান বিচার প্রক্রিয়ার সাথে একজন জড়িত আছেন কাজেই সেটি নিয়েই বেশিরিভাগ আলোচনা হবে এটিই স্বাভাবিক। আব্দুর রাজ্জাক কিংবা তাজুল ইসলাম নিশ্চয়ই তাদের বন্ধুদের সাথে পদ্মার পানি শুকিয়ে যাওয়া কিংবা শ্রীমঙ্গলের বৃষ্টিপাত নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা করেন না।

তৃতীয়ত, আমারদেশে যা এসেছে সেটি দু’জনের কথোপকথনের একটি অংশ। আমরা জানি না এই যে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির জাল এট কতদূর বিস্তৃত। একজন সম্মানিত বিচারপতির ব্যক্তিগত আলাপচারিতার গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে, বেআইনীভাবে। যেহেতু ট্রাইবুনালের বিচারকের উপরেই সাক্ষীদের সুরক্ষার চূড়ান্ত বর্তায় যেহেতু এই পরিস্থিতিতে সাক্ষীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কতখানি সুরক্ষিত রয়েছে সেটিই এখন প্রশ্নের মুখোমুখি। বরং, এই প্রশ্ন করা যেতে পারে, সাক্ষীদের ব্যক্তিগত তথ্য এভাবে বেআইনীভাবে সংগ্রহ করে সেটি যে তাদের বিরুদ্ধের ব্যবহার করা হয়নি তার নিশ্চয়তা কী? একের পর এক সাক্ষীরা যে আদালতে হাজির হতে সংশয় প্রকাশ করেছে, এসবের পেছনে এই ধরণের কোন ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনা চলমান পরিস্থিতিতে বাদ দেয়া যাচ্ছে না একেবারে। এই বিষয়টি নিয়েই বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

চতুর্থত, প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়েছে গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া গেছে তারা একটা রায় চায়। খুবই স্বাভাবিক এক একটি ব্যাপার। প্ররথিবীর ইতিহাসে এরকম বিচারের ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি, বাংলাদেশে ঘটছে। রায়ের ব্যাপারে দেশের মানুষ দারুণ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। এর পেছনে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, লোকবল ব্যয় হচ্ছে। সেটি নিয়ে সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের চিন্তা থাকাই স্বাভাবিক।

পঞ্চমত, আমরা জেনেছি ইকোনমিস্টের পক্ষ থেকে নিজামুল হক নাসিমকে ফোন করে এই রেকর্ডের কথা প্রথম জানানো হয়। এর পর ট্রাইবুনাল-১ যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ এনে তার কারণ জানাতে নোটিশ দেয় ইকোনমিস্টকে

। এছাড়াও বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রীতিবিরুদ্ধ ও তা বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মত দিয়ে নিজামুল হক ইকোনমিস্ট কর্তৃপক্ষকে ওই কথোপকথন প্রকাশ না করার নির্দেশ দেন। তাহলে এই কথোপকথন আমার দেশ পেল কী করে? এই সুস্পষ্টভাবে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন।

এবার ইকোনমিস্টের দিকে চোখ দেই। এটি মূলত কোন প্রতিবেদন নয়, একটি ব্লগ । যাই হোক, এখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে কেন এই কথোপকথনের কথা ৬ তারিখের আগে বিচারপতি জানালেন না। টেলিফোনে অন্য কারো সাথে কথা বলার কথা বিচারপতি বলেননি। এটি খুব হাস্যকর প্রশ্ন।প্রথমত, বিচারপতি কাউকেই কিছু বলতে বাধ্য নন, ইকোনমিস্ট অথবা ব্লগার বেনিয়ান এমন কোন অথরিটি নয় যার কাছে তাকে মুখ খুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, একজন বিচারপতি পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষকে ডেকে ডেকে বলবেন জীবনে কবে কার সাথে কী বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন – এটা বাড়াবাড়ি ধরণের অতিকল্পনা। তৃতীয়ত, যেখানে স্পষ্টত একটি বেআইনী উপায়ে তার ব্যক্তিগত নিরাপতা বিঘ্নিত করা হয়েছে সেখানে নিজের নিরাপত্তাকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়ে তিনি কেন এটি নিয়ে কথা বলতে যাবেন? এবং চতুর্থত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, ইকোনমিস্টের পক্ষ থেকে তাকে যেভাবে ফোন করা হয়েছে সেই প্রক্রিয়াটিই বেআইনী।

দেখা যাক বাংলাদেশের আইন এই ব্যাপারে কী বলে। ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এই ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কয়েকটি ব্যাপার বলা আছে। আইনের কম্পিউটার সিস্টেমের হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও তার দণ্ড সম্পর্কিত ৫৬(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে –

কোন ব্যক্তি যদি-

(ক) জনসাধারণের বা কোন ব্যক্তির ক্ষতি করিবার উদ্দেশ্যে বা ক্ষতি হইবে মর্মে জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও এমন কোন কার্য করেন যাহার ফলে কোন কম্পিউটার রিসোর্সের কোন তথ্য বিনাশ, বাতিল বা পরিবর্তিত হয় বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাস পায় বা অন্য কোনভাবে উহাকে তগতিগ্রস্ত্ম করে;

(খ) এমন কোন কম্পিউটার, সার্ভার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করার মাধ্যমে ইহার তগতিসাধন করেন, যাহাতে তিনি মালিক বা দখলকার নহেন;

তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি হ্যাকিং অপরাধ৷

আরো দেখতে পাই সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশ সংক্রান্ত অপরাধ তার দণ্ড সম্পর্কিত ৬১(১) অনুচ্ছেদে,

নিয়ন্ত্রক, সরকারী বা ঐচ্ছিকভাবে ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে একটি সংরতিগত সিস্টেম হিসাবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও যদি কোন ব্যক্তি উক্ত সংরক্ষিত কম্পিউটার, সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করেন, তাহা হইলে তাহার এই অননুমোদিত প্রবেশ হইবে একটি অপরাধ৷

এবং গোপনীয়তা প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও তার দণ্ড সংক্রান্ত ৬৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,

এই আইন বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকিলে, কোন ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধানের অধীন কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্টার, পত্রযোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোন বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত হইয়া, সংশিস্্নষ্ট ব্যক্তির সম্মতি ব্যতিরেকে, কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্টার, পত্রযোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোন বিষয়বস্তু অন্য কোন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷

বস্তুত ইকোনমিস্ট এবং আমার দেশ উভয়ই গুরুতর ধরণের একটি অপরাধ সংঘটিত করেছে।

এবার দেখা যাক, পূর্বোক্ত স্কাইপ কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট থেকে আমরা আসলে কী দেখতে পাই।

১) সরকারের তরফ থেকে রায়ের ব্যাপারে তাগাদা দেয়া হয়েছে। দেশের জনগণও দ্রুত রায় চায়, গত কয়েকমাসের পত্র-পত্রিকা দেখলে সেটি পরিস্কার হবে। কাজেই সরকারও জনমতের সাথে মিল রেখে ব্যাপারটি দীর্ঘসূত্রিতার প্যাঁচে না ফেলে দ্রুত শেষ করতে। এটি আসলে বিচার কার্য শেষ করার প্রশ্নে সরকারের আন্তরিকতাই প্রকাশ করে।

২) আহমেদ জিয়াউদ্দিন এবং নিজামুল হক নাসিম দুইজনেই চাইছেন সরকারের তাগাদা অনুযায়ী তাড়াহুড়ো না করে একটু সময় নিয়েই কাজ শেষ করতে।

৩) বাংলাদেশের মানুষ শুধু একটি রায় শুনতে চাইলেও আইনী বিচারে তা যথেষ্ট না। এই ব্যাপারে বারবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেন বিস্তারিত রায় দেওয়া হয়, এবং বিচারকও সেই প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।

৪) বাংলাদেশে বিচারক ও বিচারপ্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রেই অযাচিত হস্তক্ষেপ করে, কিন্তু এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করা হচ্ছে আদালত কতটুকু পর্যন্ত জড়িত হতে পারেন।

৫) পরামর্শদাতার কাছ থেকে কোনো ‘রায়’ দেওয়া হচ্ছে না, শুধু রায় লেখার একটি সর্বজনস্বীকৃত কাঠামো সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে।

এর মধ্যে আপত্তিকর অংশটি ঠিক কোনটুকু?

সবশেষে আমরা এই সিদ্ধান্তেই আসতে পারি, খুব বড় ধরণের একটি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হয়েছে এই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কতখানি মরিয়া। এখানে আরো একটি সম্ভাবনা উঁকি দিয়ে যায় আমাদের মনে। ইকোনমিস্টের কাছ থেকে আমার দেশ কীভাবে এই আলোচনার ট্রান্সক্রিপ্ট পেল? তাহলে কী মূল কারিগর আমার দেশ? তারাই এই সব তথ্য বেআইনীভাবে সংগ্রহ করে ইকোনমিস্টের কাছে পাচার করেছে?

আমরা যারা ইতিহাসের এই জঘন্য গণহত্যার বিচার চাই, তারা জোর গলায় এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা চাই ট্রাইবুনাল বিরোধী সব ধরণের ষড়যন্ত্র সমূলে উৎপাটন করা হোক। দেশে বিদেশে ট্রাইবুনাল বিরুদ্ধে যে অপপ্রচারণা চলছে তার উপযুক্ত জবাব দিতে সরকারকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করি আবারও। বিচারক, সাক্ষী সহ এইবিচার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত প্রত্যেকের সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

এবং, বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষের কাছে অনুরোধ আপনারা ট্রাইবুনালের পাশে থাকুন। ভয় পাবেন না, বিভ্রান্তও হবেন না। আমাদের ট্রাইবুনাল সঠিক পথেই আছে। তার যা দরকার তা হলো আপনার সহযোগিতা। আপনিও এগিয়ে আসুন, ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খুলে দিন, এইসব অপপ্রচারণা এবং ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনিই দিতে পারেন। আপনি এক পা এগিয়ে আসুন, শত্রু পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবেই।

মূল লেখকঃ প্রীতম
প্রথম-প্রকাশঃ আমারব্লগ.কম

১,৯১৮ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “ইকোনমিস্ট-আমার দেশের অপপ্রচারণা : ষড়যন্ত্রের নতুন ফ্রন্ট (প্রসঙ্গঃ ICT হ্যাকিং)”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    গত কয়েকঘন্টা ধরে আমি অন্তর্জালে এই ঘটনারই নানান প্রতিক্রিয়া অনুসরণ করছিলাম।প্রথমেই যেটা মনে হলো: এখানে প্রাথমিক ব্যাপারটি হচ্ছে এসব কথোপকথন এবং অন্যান্য তথ্য কুক্ষিগত করার প্রয়াসটি, অর্থাৎ উল্লিখিত ব্যক্তিদ্বয়ের আলাপে আড়িপাতা হয়েছে কিছু সংবেদশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের আশায়।এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এমন আরো কতজনের সিস্টেমে তারা আড়িপাতার ব্যবস্থা করেছে কে জানে।
    যেন একদল ছাত্র পরীক্ষার খাতা চুরি করে (বা শিক্ষকদের কথোপকথন লুকিয়ে শুনে) জানতে পারলো তাদের ফেল করানো হচ্ছে (বা তারা ফেল করছেই)।
    এবং এই ছাত্ররা যদি মনে করে তাদের অন্যায্যভাবে ফেল করানো হচ্ছে তাহলেও কিন্তু টেকনিকাল কারণে তারা বলতে পারেনা, এই তথ্য আগেভাগেই কি করে তাদের হাতে এলো।
    আমার দেশ পত্রিকার কাঁধে ভর দিয়ে জামাত এবং তার কর্মী সমর্থকেরা অন্তর্জালে বিশাল হাউকাউ লাগিয়ে দিয়েছে এবং এই ক্লিপ প্রকাশ পাবার পর তাদের মধ্যে প্রকাশ্য স্বস্তির ছাপ দেখা যাচ্ছে সেটা আসলে এদের ভেতরের ভীতিটাকেই প্রকট করে তুলেছে একেবারে। বোকার মতো ছাগুরা সব এই খড় আর কুটো আঁকড়ে ধরেছে। এদের মধ্যে বেশকিছু ছাগু আইনজীবীকেও লাফাতে দেখলাম।আর 'আমার দেশ' পত্রিকা তো তার নিজের কাছাটা যেটুকু ছিলো, নিজেই খুলে ফেলে দিলো।

    একদিকে ন্যায়বিচার দাবী করা অন্যদিকে অনৈতিকভাবে আহৃত ক্লিপগুলোকে আঁকড়ে ধরে সান্ত্বনা খুঁজে পাবার মরিয়া চেষ্টা --- এই দুই বিপরীত ব্যাপার দেখে জনগণ আরেকবার বুঝে নিক জামাত কি জিনিস। ক'দিন আগে আবার এরা গঠনতন্ত্র থেকে আল্লা রসুল বিদায় করে দিয়েছে; ঢিল মেরে মার্কিন দূতাবাসের কাছে ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু নৈরাজ্যের জন্যে দেশবাসীর কাছে নয়।কাজেই কোনকিছুই এদের ঠিক যাচ্ছেনা। কিছু একটা চাই-ই চাই এদের, মনোবল চাঙা করার জন্যে।

    আর তাও যদি এই কথোপকথনগুলোতে এই মাস্টারমশাইরা ছাত্রদের যে ফেল করিয়েই দিচ্ছেন এমনটা শোনা যেতো। হতাশ হবার মতো ব্যাপার। বরং খাতা দেখার, নাম্বার দেবার নানান খুঁটিনাটি বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ কোন ষড়যন্ত্র করছেন বলে তো মনে হলোনা। তবু ছাগুরা লাফাতে লাগলো তাদের ফেল করিয়ে দেয়া হচ্ছে, ভুলে গেলো এই দাবী করতে গিয়ে চৌর্যবৃত্তির দায়টি তার ঘাড়ে আপনিই চেপে বসেছে। বোঝো!

    এবিষয়ে আমি সিসিবি সবাইকে মুক্তকচ্ছ হয়ে আলোচনায় অংশ নিতে অনুরোধ জানাই। আশা করি নানান আপডেট পেতে থাকবো পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এ ঘটনা বিচারকামী পক্ষের জন্যে ইতিবাচক, বিরোধীপক্ষের জন্যে মহা নেতিবাচক।অন্ধকারের জীবেরা আবার অন্ধকারই বেছে নিয়েছে।

    জবাব দিন
  2. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    আমার যেটা মনে হচ্ছে সেটাই বলি। যদি বিচারপতি সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে বিচার করতেন, এমন কোন কথোপকথনে অংশ না নিতেন, সেটাই দেশ-জাতি অর্থাৎ আমাদের জন্য ভাল হত। এখন সেই কথোপকথনে যাই থাক না কেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বিরোধী পক্ষ এর মাধ্যমে নতুন একটা গ্রাউন্ড তৈরি করে ফেলতে পারবে, তাদের পক্ষে জনগণের কিছু সহানুভূতি বাড়াতে পারবে, এটাতে সন্দেহ নাই।

    জবাব দিন
    • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

      দেখা যাক গুলশান, তবে আমার মনে হয় এই ঘটনা বিচারের পক্ষের লোকজনের কাছে যতই অনভিপ্রেত মনে হোক না কেন, আসলে ধরা খেয়েছে কিন্তু বিরোধীরাই।
      তাছাড়া এতে করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নৈতিক ক্ষেত্রটি কিন্তু ক্ষয়ে যায়নি, ঐতিহাসিক কারণেই যাবেনা। একটু জল ঘোলা হলেও বাংলাদেশ এই বিচারের শেষ দেখতে পাবে এই প্রতীতি আমার আছে।

      জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আমাদের পাঠকদের জন্য, যারা দালালদের পত্রিকা কিনতে চান না ওরা কি লিখেছে তা পড়ার জন্য লিঙ্ক দিয়ে দিলাম
    http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/12/09/177212#.UMSFZYO6eSo


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    এই কমেন্টটা রায়হান রশীদ ভাইএর; আমার কাছে শেয়ার করা দরকারী অনে হলো।
    দেশটা কি মগের মুল্লুক হয়ে গেল? ১৯৭১ এর চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা আজকে বিচারপতিদের বাসায় আড়িপাতা যন্ত্র বসায়, ইমেইল একাউন্ট হ্যাক করে তথ্য চুরি করে, তারপর সেটা আবার দম্ভ ভরে প্রচার করে! তার মানে বাকি বিচারপতিদের প্রত্যেকের, প্রসিকিউটর প্রত্যেকের, তদন্ত অফিসারদের প্রত্যেকের আর রেজিস্ট্রারের সাথেও যে এই নষ্টবীজের দল একই কাজ করেনি তার গ্যারান্টি কি? এখন স্পষ্ট হচ্ছে - কেন সেফ-হাউসের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে যে সাক্ষীদের এনে রাখা হয়েছিল তারা কেন একের পর এক হঠাত ভয়ে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালো! কেন কিছু কিছু সাক্ষী হঠাত আসামী পক্ষের হয়ে যুধিষ্ঠিরী সাফাই গাইতে এতো উতলা হয়ে পড়লো! কেন একজন সাক্ষী হঠাত লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিল! এভাবেই ট্রাইবুনালের গোপনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করে সেটা ব্যবহার করা হয়েছে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের কাজে, লোভ দেখানোর কাজে, কিনে নেয়ার কাজে!

    জাতি হিসেবে এখনই এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। এদের চিহ্নিত করুন, এদের প্রতিহত করুন। দিনের পর দিন আমরা এদের সহ্য করেছি, আর আমাদের এই সব সুশীল সহনশীলতা আর তত্ত্বালোচনার সুযোগ নিয়ে নষ্টবীজের দল বিস্তৃত থেকে বিস্তৃততর হয়েছে। ১৯৭১ এ যেভাবে বাঙালী একদিন যার যা আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আজকের এই সময়ও কিন্তু তার থেকে আলাদা কিছু না। প্রশ্ন হল - আমরা সেটা অনুধাবন করছি তো?

    পৃথিবীর প্রত্যেকটি কোণায় যতজন বিবেকবান বাঙ্গালী আছি - আমরা এই বিচার প্রক্রিয়ার পাশে ছিলাম, পাশে থাকবো, আমাদের সবটুকু সাধ্য দিয়ে, কিংবা প্রয়োজনে তার বাইরে গিয়ে হলেও এই প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করবো, সফল করবো। কোনো ধরণের হুমকি, ব্ল্যাকমেইল বা বেআইনী আড়িপাতা দিয়ে আমাদের লক্ষ কোটি মানুষের বিচারের আর্তিকে থামাতে পারবে এমন শক্তি নেই। আমি, আমরা, এবং আমরা সকল সহযোদ্ধারা বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তুলছি। নিজের যা আছে তার সবটুকু নিয়ে আমরা আছি, আমরা থাকবো, নষ্টবীজমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো। এই ষড়যন্ত্রের জড় উপড়ে না ফেলে, এর শেষ না দেখে আমরা কেউ বাড়ি ফিরছি না।

    নষ্টবীজের দল যতই আড়ি পাতুক, যতই হুমকি দিক, আস্ফালন করুন - কোনো লাভ নেই।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আর আরিফ জেবতিক এর লেখা আর্টিকেলটি আমার দেশের প্রতি একটা থাপ্পর


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. রাব্বী (৯২-৯৮)

    বিচারকের ব্যক্তিগত কথোপকথোন বের হওয়াটা বেশ ভয়াবহ একটা ব্যাপার। কথোপকথোনটা শ্রেফ একটা এক্সপাটিজ লিগ্যাল কনসালটেশন ছাড়া কিছু মনে হয়নি।

    কথোপকথোন থেকে আশ্বস্ত হলাম যে আমাদের সার্বিক দূর্বল আইনি কাঠামো এবং চর্চার ভিতরেও এ্রই বিচার প্রক্রিয়াটা তুলনামূলক ভাল এবং গ্রহনযোগ্য হচ্ছে। এটা মনে হয়েছে যে সরকারে সাপোর্ট সিস্টেম অনেক বেশি জোরদার হবার প্রয়োজন ছিল ট্রাইবুনালের জন্য। বিশেষভাবে, এ্যাডভাইস, গবেষণা, তদন্ত এবং সাক্ষ্মীদের নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত বাজেট এবং অধিকতর যোগ্য লোকবল। সমালোচনা করা অনেক সহজ, কিন্তু বিচারের বিরুদ্ধে সাংঘাতিক আর্ন্তজাতিক এবং রাজনৈতিক আঘাতগুলো মোকাবিলা করেন সত্যিকার অর্থে অল্প সংখ্যক লোক। তাই বাংলাদেশ অস্তিত্বে বিশ্বাস থাকলে নৈতিক সমর্থন করাটা খুব জরুরী।

    যুদ্ধাপরাধ বিচার একটা বড় গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। কথোপকথোন বের হবার পর বিচারক বা বিচার প্রক্রিয়া গেল গেল রব তোলার কোন অর্থ নেই। এটার উদ্দেশ্য হলো এটা করে একটা ফায়দা নেয়া এবং বিচারকে বিতর্কিত করা। মনে হয়না, সেটা সম্ভব হবে। যারা বলছে, বিচারক রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত, তাদের এটা জানা জরুরী, পৃথিবীর কোন বিচারই রাজনীতি বর্হিভূত না। সেই রাজনীতিটা কি সেটা বোঝা জরুরী। রাজনীতির দর্শন ছাড়া তো বিচার ব্যবস্থাটাই ভিত্তিহীন।

    জামাতিরা কিরকম মরিয়া এবং জানপ্রান দিয়ে লেগেছে বিচারটা নস্যাৎ করার জন্য সেটা দেখার মতো। আমরা যারা সাধারণ মানুষ তাদের বিচারের পক্ষে জনমত বাড়ানো এবং জামাতি এজেন্ডা সম্পর্কে সচেতন থাকাটা সময়ের প্রয়োজন।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  7. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    সামহোয়ার এ আমার দেশ এ প্রকাশিত কথপোকথন পড়লাম। এখানে জনৈক 'রায়হান' এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইনি কি আমাদের সিসিবি'র রায়হান রশীদ ভাই নাকি?


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  8. আসিফ খান (১৯৯৪-২০০০)

    আমার প্রশ্ন- এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরতো নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারীর আওতায় থাকার কথা সব ক্ষেত্রে এবং সেটা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই। আর এমন স্তরের মানুষ ইন্টারনেটে কীভাবে এত গুরুতর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন( প্রয়োজনে জিয়াউদ্দীনকে এ দেশে কিছুদিনের জন্য এনে রাখা যেত না?), যেখানে আমরা সবাই জানি ইন্টারনেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা নাজুক! আর এদেশের সরকারের সমস্যাটাই বা কি? এমন গুরুতর ব্যক্তিদেরকে যথেষ্ট নিরাপত্তা না দিয়েই এত বড় দায়িত্ব দেয়া হল । ঘটনাটাতো অন্যভাবেও ঘটতে পারত ( উনিওতো মানুষ, ওনার সাথে একটা আঁতাত-ও তো হতে পারত, তখন?) বা আরো গুরুতর কোন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারত বা গেছে হয়ত!!

    জবাব দিন
  9. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    এইমাত্র বিচারপতি নাজীমউদ্দিনের পদত্যাগের খবর দেখলাম। এতে ঘটনা কোনদিকে গেল? বিভিন্ন ব্লগে সবাই বললেন, কথোপকথনের মধ্যে সমস্যার কিছু নাই। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে কথাটা কি ভুল প্রমাণিত হল না? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে এটার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। দেখা যাক কী হয়।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।