(১৯৩৩ সালে স্বনামধন্য পত্রিকা আটলান্টিক মান্থলিতে ‘Three Days to See’ শিরোনামে মহীয়সী হেলেন কেলার-এর লেখা একটি মর্মস্পর্শী নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। লেখাটি আজো আলোড়িত করে অনুভূতিশীল যে-কোনো পাঠককে।)
১.
একদিন যে মারা যাব এটা সবাই জানি। কিন্তু, আমরা ধরেই নিই সেই দিনটি আসতে এখনো অনেক দেরি। যৌবনে মৃত্যুকে তাই এক অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হয়। জীবনের ব্যাপারে আমরা যেমন ঝিমোতে থাকি, ইন্দ্রিয়গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও তেমনিভাবে ঝিমোই।
জীবনের সহজপাঠঃহুমায়ূন আহমেদ
মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের ছোট ছোট দুঃখ, বেদনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, আশা-হতাশাময় শহুরে আটপৌরে জীবনের রূপকার হুমায়ূন আহমেদ। স্বাধীনতা পরবর্তী অস্থিতিশীল এলোমেলো সময়ে যার লেখা শীতল বাতাসের মতোই নাড়িয়ে গেছে সাহিত্য পিপাসু বইপড়ুয়া অগণিত মানুষদের। সহজ বাক্য, অনাড়ম্বর বর্ণনা আর নিজস্ব স্টাইল তাঁকে এনে দিয়েছে বাংলাসাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকের সম্মান। আমাদের চারপাশের নিত্যনিয়ত ঘটে যাওয়া টুকরো টুকরো ঘটনাকে তিনি মিহিসুতোর কারুকার্যে একই সাথে সেলাই করেছেন অপরূপ নকশীকাঁথায়। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাগুলোই উঠে এসেছে তাঁর লেখায়।
বিস্তারিত»ববি ডারিন – “ভুল সময়” যাকে “কিংবদন্তি” হতে দেয়নি
“কাম সেপ্টেম্বর” ছবিটা তরুণ্যের কালে বিটিভিতে দেখেছিলাম।
কিন্তু তখন রক হাডসন আর জিনা লোলা ব্রিজিডাকে দেখায় এতটাই মশগুল হয়ে ছিলাম যে এ ছবির তরুণ সাপোর্টিং একটর-একট্রেসদের কে লক্ষ করা হয়নি সেভাবে।
তাছাড়া তখনতো আর তথ্য-প্রযুক্তির কাল আসে নাই, তাই পরে তাঁরা এছবি থেকে কি কি স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন, তার কোন কিছুও জানা হয়নি আর।
কিছুদিন আগে অনেকটা হঠাৎ করেই এক বন্ধুর কাছে জানলাম,
বিস্তারিত»হংসধ্বনি — পণ্ডিত রনু মজুমদার
পায়ে পায়ে উঠে আসে জল;
যদিও মৌন সমতল
ছিল আদিতে।
কিসের ঈষৎ স্পর্শে অত:পর
বৃত্তাকার বিক্ষেপ —
বিকেন্দ্র বিচ্ছুরণ!
আলতো চুম্বন ছুয়ে গেলে পাড়
সে কোন পাহাড় হয়ে
নেমে আসে সুর,
ধেয়ে আসে প্রশান্ত গড়ানে
বাঁশরীর হাত ধরে
পায় পায় জল উঠে আসে —
স্পর্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে
পাকিয়ে ওঠে
হাওয়ার প্রবল আহবানে,
দৈবায়ত্তং কুলে জন্ম, মদায়ত্তং হি পৌরুষম্
১.
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত গণিতবিদ জি এইচ হার্ডি বিরক্তমুখে তার অফিসে বসে আছেন। কিছুক্ষণ আগে একটি চিঠি এসেছে তাঁর হাতে। শ্রীনিবাস রামানুজন নামে এক ভারতীয় তাঁর মতামত জানতে চেয়ে ১২০ টি গাণিতিক উপপাদ্য পাঠিয়েছে। যার সবগুলোই নাকি সে ‘আবিষ্কার’করেছে! হার্ডি প্রায়ই এরকম উদ্ভট চিঠি পেয়ে থাকেন। এটাও সেরকমই হবে হয়তো। চরম বিতৃষ্ণার সাথে তিনি চিঠিটাতে একনজর চোখ বুলালেন।
বেশিরভাগ উপপাদ্যেরই মাথামুন্ডু স্পষ্ট নয়।
বিস্তারিত»একজন মৌলিক ‘চাঁদ সদাগর’
[ কবির জন্মদিনে স্মরণ ও শ্রদ্ধা হিসেবে পুরোনো এ লেখাটাকেই সিসিবি-র ফোরামে শেয়ার করলাম ]
স্বপ্ন দেখার সক্ষমতাই সম্ভবত মনুষ্য জীবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র। স্বপ্ন দেখতে পারে বলে মানুষ নিয়ত নির্মাণ করে আপন স্বভাব, সভ্যতা, সৌকর্য; তার আপন প্রভায়। মানুষ মাত্রেই বলতে পারি স্বাপ্নিক। স্বপ্নদ্রষ্টা তাই হয়তো সবাই। কিন্তু স্বপ্নস্রষ্টা ক’জন! কবিরা সম্ভবত স্বপ্নস্রষ্টাদের মাঝে অগ্রগণ্য।
একজন সহজ সরল সাবলীল বিনয়ী মানুষ,
বিস্তারিত»~ ধন্যবাদ বুকার। ধন্যবাদ জ্যামাইকা। ~
সেন্ট পল, মিনেসোটা, আমেরিকা। লিবারেল আর্টস-এর এক শিক্ষাঙ্গন ‘ম্যাকাল্যাস্টা কলেজ’’। ‘সাহিত্য আর সৃজনশীল লেখনী’ (লিটারেচার এন্ড ক্রিয়েটিভ রাইটিং) বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। পড়াচ্ছেন ২০০৭ সাল থেকে। তাঁর নিজের পড়াশোনাও ছিল এসব নিয়েই। ‘ভাষা ও সাহিত্য’ (ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেচার) নিয়ে গ্রাজুয়েশন করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে, ১৯৯১ এ। মাস্টার্স করেছেন ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিং’ বিষয়ে উইল্কস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ২০০৬ এ।
মিনেসোটা, নিউইয়র্ক আর জ্যামাইকা – এই তিন জায়গায় তাঁর নিয়মিত বিচরণ।
বিস্তারিত»আলাপচারিতার স্মৃতি, পাবলো নেরুদার সঙ্গে — দিয়েগো মুনিও
পাবলো নেরুদাকে নিয়ে নানান ব্যক্তির সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণের সংকলন এ বইটি। নেরুদাকে যাঁরা জানেন ও পছন্দ করেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে। গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় অনূদিত।
Pablo Neruda: Absence and Presence
মূল:Luis Poirot
ইংরেজি অনুবাদ:Alastair Reid
১৯৭৩ এর গ্রীষ্মে আমি ও পাবলো পনের দিনব্যাপী এক আড্ডায় মেতেছিলাম। আমি ছিলাম El Tabo তে, Isla Negra থেকে সহজ হাঁটা দূরত্বে।পাবলো সিয়েস্তা থেকে ওঠার পরপরই প্রতিদিন নিয়ম করে সেখানে হাজির হতাম আমি।
বিস্তারিত»জোনাথন সুইফট কি ডিমোস আর ফোবস এর মূল আবিষ্কারক?
অ্যামেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আসফ হল ১৮৭৭ সালের ১১ আগষ্ট রাতে মঙ্গল গ্রহের ছোট চাঁদ ডিমোস আবিষ্কার করেন। তার ছয় রাত পর ১৭ আগষ্ট আবিষ্কার করেন বড় চাঁদ ফোবস। কিন্তু ১৭২৬ সালে প্রকাশিত গালিভার্স ট্রাভেলস এর ৩য় খণ্ডের ভয়েজ টু লাপুটায় মঙ্গল এবং তার উপগ্রহ দুইটির বর্ণনা আছে। তা হলে জোনাথন সুইফট কি ডিমোস আর ফোবস এর মূল আবিষ্কারক ?
Travels into Several Remote Nations of the World.
বিস্তারিত»১৬ বছর বয়সী নিজেকে লেখা চিঠিঃ পিট স্যাম্প্রাস
প্রিয় ১৬ বছর বয়সী পিট,
কয়েকদিনের মধ্যেই তুমি পেশাদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছ এবং আমি জানি-এটা নিয়ে তুমি অনেক রোমাঞ্চিত! নিজের সামর্থ্যের ব্যাপারে তুমি যথেষ্ট অবগত আছো বলে মনে মনে নিশ্চিত জানো যে-ঠিকমত পরিশ্রম করলে, খেলাটার প্রতি সৎ থাকলে সাফল্য তুমি পাবেই। বিশ্বাস কর, যতটা আশা করছ-তারচেয়ে অনেক আগেই তুমি সাফল্যের স্বাদ পাওয়া শুরু করবে! শুরুতে কিছুটা উত্থান-পতন থাকবে, তবে বছর দুয়েকের মধ্যে তুমি বিশ্বের প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে চলে আসবে এবং ইভান লেন্ডল,
ওয়ান্স আপন এ ট্রেজার্ড টাইম
শেখ আব্দুল হামিদ । ক্যাডেট নম্বর ১, ব্যাচ নম্বর ১। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের জীবন্ত কিংবদন্তী। ক্যাডেট , কর্মচারী কিংবা শিক্ষক সবার মাঝেই সমান জনপ্রিয় তিনি। তবে ক্যাডেটদের মাঝে তাঁকে নিয়ে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। শাহী ভাই (১৭/৯৫২) ( লেঃ কঃ এ কে এম ইকবাল আজিম জি+ ) অধ্যক্ষ থাকাকালে ২০১২ সালের ১৩ ই মার্চ আব্দুল হামিদ ভাইয়ের পার্সোনাল ফাইল হাতে পেয়ে স্টোরকীপারকে আবেগাপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন।
বিস্তারিত»কোর্টের রাণীঃ স্টেফি গ্রাফ!
১৯৯৫ সাল। উইম্বলডন,লন্ডন। প্রমীলা টেনিসের দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ খেলা চলছে! সার্ভ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্টেফি গ্রাফ।
-স্টেফি, আমাকে বিয়ে করবে?
দর্শকের সারি থেকে কে যেন হঠাৎ চিৎকার করে উঠল।
কয়েক সেকেন্ডের জন্য নীরবতা। প্রতিপক্ষের উপর থেকে চোখ না সরিয়েই স্টেফি গ্রাফ প্রশ্নকর্তার দিকে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন,
-কত টাকা আছে তোমার??!!
দর্শক থেকে শুরু করে উপস্থিত সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল!
বিস্তারিত»এ ট্রিবিউট আফটার দ্যা ফাদার্স ডে
এ ট্রিবিউট আফটার দ্যা ফাদার্স ডে
সোলায়মান চাচাকে আমি দীর্ঘদিন থেকে চিনতাম। লাবু ক্লাস সেভেন এবং এইটে, ১৯৮৮ এবং ১৯৮৯-এ, রংপুর ক্যাডেট কলেজের ওমর ফারুক হাউজের ৩১২ নম্বর রুমে আমার রুমমেট ছিল। আশ্চর্যজনক কো-ইন্সিডেন্স হলো আমার বাবা এবং লাবুর বাবা তাদের টিন-এইজে ঠাকুরগাঁ হাইস্কুলে রুমমেট ছিলেন। বাবার মুখে শুনেছি সোলায়মান চাচা খুব ভাল ফুটবল খেলতেন। লাবুও ভাল ফুটবলার। ১৯৯৩ সালে ‘ইন্টার ক্যাডেট কলেজ ফুটবল মিট’-এ লাবুর ফুটবলের চমৎকারিত্ব কখনো ভোলার নয়।
বিস্তারিত»আর্থার অ্যাশের উইম্বলডন বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি!
দীর্ঘ ২৭ বছর কারাগারে কাটিয়ে মুক্তির পর নেলসন ম্যান্ডেলা যে গুটিকতক মানুষের সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করলেন- তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সাবেক উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন আর্থার অ্যাশ! দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ-বৈষম্য ও সারা পৃথিবীর জাতিগত ভেদাভেদ দূর করার অভিপ্রায়ে এই দু’জন কিংবদন্তীর মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল! পরবর্তীতে তাঁরা এইডস এর ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই এইডস এর করাল গ্রাসেই ১৯৯৩ সালে আর্থার অ্যাশ এর জীবনের অবসান ঘটে।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন কবি
সেই সুদূর শৈশব থেকে শুরু করে আজ অবধি যাদের কবিতার আবেদন আজো ম্লান হয়ে যায়নি আমার কাছে তাদের অন্যতম নির্মলেন্দু গুণ।
আজ প্রিয় কবির জন্মদিন। শুভ জন্মদিন কবিকে।
কবির পুরো নাম নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী। ১৯৪৫ সালের ২১ শে জুন তারিখে কাশবন, বারহাট্টা, নেত্রকোণায় সুখেন্দু প্রকাশ গুণ এর ঔরসে বিনাপানির গর্ভে কবির জন্ম হয়।