ইস্তানবুল,কিছু অভিজ্ঞতা এবং আমি (১)

আজকে আবারও হটাৎ করেই লিখতে বসা। আসলে গণহারে এক্সামগুলোতে কাঁচা কাঁচা সব বাঁশ খেতে খেতে লেখতে বসার সময়ই হয় না। সেই সাত সকালে উঠে কাঁধে এক ঝোলা নিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে যেতে হয় ইউনিভার্সিটিতে। সারাটা দিন কানের পাশে তুর্কী ভাষায় প্যাঁচাল শুনতে শুনতে যখন দেখি কানটা  প্রায় ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে তখন ঘড়ির কাঁটায় প্রায় ৬ টা বাজে। এটা হল আমার নিত্ত নৈমিক ব্যাপার।

বিস্তারিত»

আধাঁর

বিদ্যুৎ যাওয়ার অপেক্ষায়,
বসে আছি সেই কতক্ষন!
মাঝে দুবার গেল,
অথচ কি আশ্চর্য! চলে এল।
মিনিট দুই না হতেই।
একদম অসহ্য লাগছে,
শক্তি সংরক্ষক বিজলী বাতিটিকে।
আমার মাঝে এই আমাকেই,
কাটছে ভেংচি, করছে উপহাস।
পরিত্রান চাই, লুকোতে চাই,
পালাতে চাই। তাই,
আধাঁর চাই আধাঁর,
মনের গভীরে ঘুঁট পাকাচ্ছে যে আধাঁর,
নিকষ, কালো,

বিস্তারিত»

প্রার্থনা

সমর্পিত হও, নিজেকে সমর্পন করো আরো ভীরুতার সাথে

বিনম্র হও, নিজকে বিযুক্ত করো সকল মনষ্কাম থেকে

সকল ইচ্ছেকে উজাড় করে দাও, শুধু তারি জন্য

তিতিক্ষা সকল প্রহর জুড়ে, শুধু তাঁকেই ভালোবেসে

উৎসর্গ করো নিজকে- যেনও আর কিছু নেই, কেউ নেই

আদিগন্ত শব্দমালা, যেনও নির্দেশ করে শুধু তাঁকেই

প্রাণের সকল আকুতি, অনুভুতি, অব্যক্ত বেদনা

হৃদয়ের সকল কোঠরে শুধু তাঁরই খোঁজ,

বিস্তারিত»

অন্ধপ্রেমিক

আমি এক অন্ধপ্রেমিক,
সারারাত সারাদিন, গেয়ে যাই প্রেমিকার গান
সূর্য-চাঁদ, পাহাড়-নদী,
তরুলতা প্রজাপতি
আলেয়া বা অমানিশা
কখনো আবার বিদিশার দিশা
আরো কত কত-শত উপমার সম্ভার
খুঁজে বেড়াই, তাতেই হারাই,
তাতেই আমার বসবাস।
প্রেমিকা মোর হাসে মিটিমিটি,
তাতেই আমি খাই লুটোপুটি।
আর ওদিকে দুর্বৃত্তের
পড়ে কামাতুর দৃষ্টি,
ছক কষে ধরতে ভাঙ্গতে,
এই আমারি টুটি।

বিস্তারিত»

হে বীর, তোমায় সালাম

সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।

বিস্তারিত»

বন্ধুর পরিচয়ঃ ৯৬-০২ ব্যাচের ক্যাডেট

ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিনের কথা খুব ১ টা মনে পড়েনা। সৃতি কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে। যেদিন প্রথম যাব কলেজে সেইদিন ছিল জুনের ৪ তারিখ, সাল ১৯৯৬। আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে জুনের ৩ তারিখ ১৯৯৬ সাল, এই দিনে রংপুরের আশে পাশে আমার এক মামার বাসায় উঠেছিলাম একটি অজানা ভবিষ্যতের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সায় করে কলেজের সামনে নেমেছিলাম। বৃষ্টির কারনে আমার সাদা জামার হাতায় দাগ পরে গিয়েছিল এটা মনে আছে।

বিস্তারিত»

অপরাহ্ণের ভ্রান্তি

ঘরের জানালা দিয়ে দিনের প্রথম আলোটুকু আমার চোখের উপর পড়ে আমার ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিলো। জানালা বলা ঠিক হবে না। বলা যায় একটা ফাঁকা জায়গা। জেলে তো আর জানালা থাকে না। আমি অন্যদিনের মতো আলস্য না দেখিয়ে উঠে পড়লাম, সূর্যোদয়টা দেখা দরকার। ফুটোটা দিয়ে যতটুকু পারা যায় দেখে নিলাম। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সূর্যটা তখন অনেক উপরে উঠে গেছে। মানে বেলা অনেক গড়িয়ে গেছে। মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘনিশ্বাস বের হয়ে এলো।

বিস্তারিত»

স্মৃতির রোমন্থন

আমি আসলে ভালো লেখক না, তাই গল্পের মান খুব ভালো হবে না সেটা আগেই বলে রাখছি। এটাকে ঠিক গল্প বলা ঠিক হবে না, আপনারা এটাকে গল্পগুচ্ছ বলতে পারেন। রবীন্দ্রনাথের ভক্তরা রাগ করবেন না এই ভেবে যে, ব্যাটা গুরুদেবের বইয়ের টাইটেল নকল করছে। হ্যাঁ, নকলই করছি, সেজন্যে আগেই ক্ষমা চাচ্ছি। :boss:

১. অর্থনীতির আব্দুস সামাদ স্যার, আমরা অপেক্ষা করে থাকতাম কখন তার ক্লাশ করব।

বিস্তারিত»

আমার লেখাটা একটু পড়বেন কি?

যাবার কয়েকদিন আগে, প্রিন্সিপাল বাংলোর ল্যাম্ব রোস্টের গন্ধে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে, ২ দিন পরে কলেজ থেকে চলে যাবো। চেতনা ফিরলো যখন রানা ভাই এসে একটা হাঁক ছাড়লেন, ভাই কাপড় জমা দেন, কাপড়। হায়রে ক্যাডেট লাইফ। আমার এক ফ্রেন্ডকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,”যৌবনের তেজ আর জোরে চাপা ছোটো বাথরুম দুইটাই ক্ষণস্থায়ী। ” সে যদিও হিন্দিতে বলতো আমি একটু অনুবাদ করে দিলাম আর কি! আরে, আর কি লিখতে গিয়ে মনে পড়লো আমাদের আর্কিমিডিস স্যারের কথা মানে ভূগোলের মকবুল স্যারের কথা।

বিস্তারিত»

সুখ ও শান্তি

কেমন চাও জীবনটা?
দুমুঠো ভাত আর একটু কাপড়
আরেকটু মাথা গুঁজার স্থান,
ভালোবাসা আর সম্মান।
ঠুনকো, ভনিতাময় বা মিথ্যা নয়।
এতটুকুই দেবো,
কী???? নিতে রাজি?
সাথে পাবে শান্তি, একদম ফ্রি।

অথবা প্রাসাদ, গাড়ি, নারী
আর খাবার রকমারি,
পোশাক বাহারি ঢঙের,
মনকাড়া রঙের, নতুন প্রতিক্ষন।
কুর্নিশে কুর্নিশে ক্লান্ত সবে,
মহামতির তরে জান যতক্ষন রবে।

বিস্তারিত»

দুর্বল-সঙ্গীত

কি লিখবো?
উত্তাল হৃদয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ
কার তরে লিখবো? কে আছে মন দিয়ে শুনবে?
কে আছে আফ্রিকায় কাতরানো-
সেই শিশুটির মুখে তুলে দিবে এতটুকু খাবার,
ওষুধ আর
এতটুকু বস্ত্র?
কিংবা কার মনোযোগে আরশীনগরবাসী
অজ্ঞাত অসহায় অভুক্ত সেই প্রতিবেশী।
আমিই কি আছি?
নিজের অধিকার নিয়েই তো তটস্থ,
অস্থির আমি-
যোগাতে অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, ভালোবাসা-
লুটেরা, দুর্বৃত্ত আর প্রতারকের ভিড়ে
হয়তো নিজেও তাদের একজন,

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন ***০৩-০৯***

দেখতে দেখতে গেলো ৯ টি বছর । ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ । এখনো মনে আছে আমার গাইড ইফতেখার ভাই আমাকে নিয়ে কতো ব্যস্ত আমাকে কলেজের নিয়ম কানুন শিখাতে । নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয় হল । কখনো ভাবিনি এই বন্ধুগুলো হবে জীবনের সবচেয়ে নিকট বন্ধু । শুধু একটাই আফসোস যে আমার কলেজের জিসান বেঁচে নেই । গত বছরের এই দিনেও সে বেঁচে ছিল ।

বিস্তারিত»

মধ্যান্তর

নদীর এপারে দাঁড়িয়ে ভাবছি শুধুই আমি,
আবছা ছবির খোঁজে ওপারে আছো তুমি।
আমার স্বপ্নগুলো শুভ্র কুয়াশায়
ভেসে চলে অজানা পথের নিরালায়।

কখনও দেখেছ কি অরুণ রোদন?
ছুঁয়েছ আপন হাতে শশীর বদন?
তবে কি অজানা তারা মোদের কাছে,
এখনও লুপ্ত তারা তোমার পাছে।

ভাবছ তুমি, এখনও ব্যস্ত বুঝি সে আগের মতন,
ভাবছে সে, সবইত রেখেছি তার করে যে যতন।

বিস্তারিত»

বিভ্রান্ত মন

পথহারা আজ সুরের ভেলায়

বসে আমি আকছি ছবি

ভেজা চোখের জল হল রং

স্বপ্নে আমার আমিই কবি।

না পাওয়া আজ স্বপ্ন আলোয়

জেগে থাকার চেষ্টা প্রবল

মেঘলা রোদে হাসছে রবি

তবুও আজ কাদছে সকল।

যুগ বদলের ধুম্রজালে,

পথহারা সব নবীন প্রানে জাগের প্রেমের ভয়

দ্বিগবিজয়ের উল্লাসে তাই

মনকারা তার নয়ন যে ভাই দৃষ্টি করে ক্ষয়।

বিস্তারিত»

প্রশ্ন

অজশ্র বেদনার মাঝে একটু খানি আশা
ভুলিয়ে দিতে পারে তোমার বিরল ভালবাসা
রাত জাগা কোনো আঁধার ঘরে তুমি প্রানের আলো
অপূর্ণ সব আশার মাঝে তুমিই দ্বীপ জ্বালো
হারিয়ে যাবার ক্রান্তিকালে পথ রুধিলে আমার
ফিরল এমন পূর্ণ করতে স্বপ্ন যত তোমার
কিযে এক প্রানের টানে কেঁদে উঠে এমন
বিষন্ন রাতের মাঝে হারাতে চায় যখন,
তুমি এলে আমার মাঝে উষার আবীরের মতন
সুখ দুখের চিরসাথী যেন যুগ সন্ধিক্ষণ।

বিস্তারিত»