বইপোকার আত্মকথা

মনিষী বলেছিলেন -‘জীবনে শুধু তিনটি জিনিষের প্রয়োজন। আর তা হল বই,বই এবং বই’।

কথাগুলার মর্মার্থ বুঝতে আমারও বেশী দিন লাগে নি ।আগে টুকটাক বই পড়লেও ,বইয়ের নেশা মূলত চেপে ধরে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার পর । কলেজ এর সুবিশাল পাঠাগার দেখে নিজেকেই হারিয়ে ফেলতাম । বই,বই আর বই । সব ধরনের বই সুন্দর করে সাজানো । সপ্তম শ্রেণীর এই পুচকে তখনি একটা নিয়ত করে ফেলে,

বিস্তারিত»

আমাদের মিজান এবং একটি মানবিক আবেদন

রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের এ্যাডজুটেন্ট হিসেবে জয়েন করেছি কয়েক মাস হলো। এর আগে ছিলাম মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে। আমার এ পর্যন্ত চাকুরি জীবনে খুব অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কাজের ধরন, পারিপার্শ্বিকতা আর অনেকখানি নস্টালজিয়া তো রয়েছেই।

সেদিন সকালে অফিসের সামনে দাড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম হঠাৎ চোখ পড়ল একজনের উপর, হলুদ শার্ট পরনে, আমাদের বয়সী হবে। হাবভাবে মনে হল কলেজে ঢুকতে চায়। অফিসে বসে গার্ডকে দিয়ে ডেকে আনালাম।

বিস্তারিত»

ব্রাজিল জিতলে আমার কী লাভ ?

প্রত্যেক সফল পুরুষের নেপথ্যে থাকে একজন নারী। এই যেমন আমি। সাধারণ দেখোয়াড় থেকে বিশ্বকাপ দেখোয়াড় হয়েছি। শ্রেষ্ঠতর অর্ধাংশের অনবদ্য অনুপ্রেরণায় পদোন্নতি ঘটতে চলেছে। এবার হব রাজ দেখোয়াড়। বিশ্বকাপ ফাইনাল ছাড়া ফুটবল খেলা দেখবনা।পদোন্নতি ঘটলেই যে পরমানন্দ লাভ করা যায় তা কিন্তু নয়। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কিন্তু তাঁর আগের জীবনকে ঈর্ষা করেন।আমিও করছি। এলোমেলো অনেক কথাই মনে হচ্ছে তাই।

ব্রাজিলের সমর্থকরা নিজেদের ফুটবল বোদ্ধা মনে করে আর অন্যদের আঁতেল ।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকারঃ ৩য় পর্ব

ব্রিটিশ আমলে ফিরিঙ্গি ঠেঙ্গান রিয়াছত উল্লাহ সরকার। ছেফাত উল্লাহ সরকার, গ্রামঃ মাড়িয়া, থানাঃ বাগাতিপাড়া, মহকুমাঃ নাটোর, জেলাঃ রাজসাহীর ২য় পুত্র তিনি।দেখতে রাজপুত্রের মতই ছিলেন তিনি।সোনার মত গায়ের রং। বাঘের মত চেহারা।মতির মত চোখ। অসুরের মত শক্তি। দারুণ মেজাজী।দোর্দন্ড প্রতাপ। দুহাতে রোজগার করেছেন, দেদার খরচ করেছেন।অত্যন্ত অতিথি বৎসল।রাজকীয় চালচলন। তাই সংসারে শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনি। সব সময় ইয়ার বন্ধু পরিবেষ্টিত থেকেছেন। সুতরাং এজাতীয় কিছু দোষে দুষ্টও ছিলেন।একটু খোলাসা করেই বলি।তখনকার সম্ভ্রান্ত লোকদের মত পান করার অভ্যাস ছিল।

বিস্তারিত»

ব্রাজিল আমার প্রথম ফুটবল প্রেম

সাল ২০০২,চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ি।খেলাধুলা বলতে ক্রিকেট কেই বুঝতাম,ফুটবল অত দেখা হইতো না।ক্রিকেট কে এতই ভালবাসতাম যে বাসায় ডিশ ছিল না দেখে সারাদিন কানের কাছে রেডিও নিয়ে ঘুরতাম স্কোর জানার জন্য।কিছুদিনের মধ্যে দেখলাম বাসার আশেপাশে ব্রাজিল,আর্জেন্টিনার পতাকা ঝুলানো হচ্ছে বুঝতে বাকি রইলো না বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে।বাসায় আব্বু,চাচাতো ভাই সবাই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার আমি তখন ও কোন টিম সাপোর্ট করা শুরু করিনি।
আমি প্রাইভেট পড়তাম বাসার থেকে একটু দূরে স্যার এর ছেলে ছিল না ছিল একটা মেয়ে তখন মনে হয় ক্লাস ১২ এ পড়তো তাই স্যারের বাজার করা,দোকানে যাওয়া এগুলা আমাদের দিয়েই করাইতো।

বিস্তারিত»

রাজশাহীর পুঠিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নতুনমাত্রা

এমন হতভাগা কেউ আছেন যার পা ভেঙ্গেছে ? প্লাষ্টার করার পর ডাক্তার যখন বলেন ঐ পায়ে ভর দেবেন না । সাথে যত বন্ধু বান্ধবই থাক কেমন লাগে ? তারা আপনাকে যথাসম্ভব উঁচু করে রাখলেও কিন্তু খুবই অসহায় লাগে । এ অবস্থায় একটি হুইল চেয়ার আপনার কষ্ট অনেকখানি কমিয়ে দিতে পারে। একজন চলৎশক্তিহীন প্রতিবন্ধী রিক্সা , ভ্যান বা অন্য কোন যানবাহনে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌছালো । জরুরী বিভাগ বা অন্যকোন শাখায় সেবা নিতে সে যখন গড়িয়ে গড়িয়ে,

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকার-২য় পর্ব

প্রপিতামহ

বাপুরে, তুমরাও তো মুণ্ডল আচেলে ।বাড়িউ আচিলি মুণ্ডল পাড়াত। বড়লোক হয়া সরকার হয়া গিচো। ঝুমর মুণ্ডলের ব্যাটা  হারু মুণ্ডল । তার ব্যাটা পাঁচু মণ্ডল । তার ব্যাটা ছেরফাত সরকার, তুমার বাপের দাদা।ট্যাকা কড়ি বেশি হয়া  সরকার হয়া গেলো।

ছেফাত উল্লাহ সরকার, পিতাঃ পাঁচু মণ্ডল/সরকার, গ্রামঃ মাড়িয়া, থানাঃ বাগাতিপাড়া, মহকুমাঃ নাটোর, জেলাঃ রাজশাহী। তিনি বিয়ে করেছিলেন গালিমপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।হিন্দু জমিদারদের শাসনামলে তাদের পুকুর ,

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকার- ১ম পর্ব

ফিরিঙ্গী ঠেঙ্গা

ঝুন্ডুর পালের জ্বালায় আতালুত গোবরা ফকির। মাছ খাওয়ার জন্য খালি মালামু করতিচে। নিজের তো পুকুর মাটিয়াল নাই। কি করা যায়। লাইনের খাদে মাছ ধরলে হয়।সরকারী মাল দরিয়ামে ঢাল। ১৯৩২/৩৩ সালের কথা বলছি।সবে রেল লাইন চালু হয়েছে ( ১৯৩০ সালে আব্দুলপুর-আমনুরা ব্রডগেজ সেকশন চালু হয়)। পূর্ব বাংলা রেলের (EBR) জনৈক ইংরেজ সাহেব ট্রলিতে চড়ে দাপ্তরিক কাজে যাচ্ছিলেন। রেল লাইনের পাশে নিচু জায়গায় (খাদ) এক নেটিভকে মাছ ধরা দেখে চান্দি গরম হয়ে যায় তার।

বিস্তারিত»

সুশীল অবকাশ

সুশীল অবকাশ

রাজপথে ছুটে চলে কলের দানব যত
লোকটা ঘুমায় অঘোরে  জিন্দালাশের মত
মাছি বসলেও নড়ে না
কারও দিকে তাকায় না
সুশীল অবকাশে মানবতা নত।

[ শিরোনামটি মোকাব্বির সরকারের ব্লগ থেকে ধার করা]

Humanoid

বিস্তারিত»

জ্যৈষ্ঠের দুপুর ও বৃষ্টি আবাহন

জ্যৈষ্ঠের দুপুর

করোটিতে সূর্যকিরণ
মগজ হলো কর্পূর
জ্যৈষ্ঠের দুপুর।

বৃষ্টি আবাহন

ডিম মুখে পিঁপড়ের দল চলছে সারি সারি
ঝালাপালা হলো কান ঝিঁঝিঁর কিরি কির কিরি।
গলা ফুলিয়ে কোলা ব্যাঙ
গাইবে শুধু ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।
ঝমঝমিয়ে মুষলধারে নেমে আসুক বারি !

[০১.০২.১৪২১]

বিস্তারিত»

একটি তথাকথিত কবিতার পিছনের গল্প

২০১৪ সাল।এপ্রিল মাসের প্রথম পক্ষ ।আমার স্বামী বেচারা খুব অন্যমনষ্ক।ন্যাড়া মাথা বিমর্ষ মুখ।কী যেন ভাবে।মনে হয় ঘোরের মধ্যে আছে।জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে রাস্তার দিকে তাকায়।বিশেষ কিছু খুজে।রাতে ঠিক মত ঘুমায় না।ছোট চার্জার লাইট জালিয়ে ডায়েরীতে কী সব লেখে।হঠাৎ করে তার খুব হাইকু লেখার বাতিক হয়েছে। বাস্তব জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক দিন আগে হুমকি দিয়েছিলাম। ছন্দের আকারে-

হাইকু লেখলে হাত ভাঙ্গব
কলম আর কম্পিউটার
কবি হতে চাইলে ফের
বাড়ি খাবে ঝাঁটার।

বিস্তারিত»

কালবৈশাখী

কালবৈশাখী

ধূলা বালি  শিমুল তুলা
খড়কুটা ঝরা পাতা
শোঁ শোঁ শোঁ পাগলা হাওয়া
রাতকানা চোখে
খিচখিচে ধোঁয়া।

গুড় গুড় গুড় মেঘের ডাক
কড় কড় কড় বিজলীর হাঁক
মড় মড় মড়াত
কড় কড় কড়াত
ঘরের চাল গাছের ডাল
কলা বাগান পেপের ক্ষেত
জলে ভেজা বজ্রপাত
শেকড় বাকড় চিতপাত।
[০১.০৫.২০১৪ রাতে যেমন দেখলাম]

বিস্তারিত»

ফেইসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রসংগ ৬০৩ (১৯৮৮-’৯৪), সিসিআর

ফেইসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রসংগ ৬০৩ (১৯৮৮-’৯৪), সিসিআর

কেন যেন হঠাৎ করেই নীচের লাইনগুলো লিখতে ইচ্ছা হল। ইদানিং ইমোশোন চেপে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। ৬৪২-এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী আসলেই বোধহয় আমাদের ঘণ্টা বাজার সময় শুরু হয়ে গেছে।

গত কয়েকদিন খুব কষ্ট করে নেট ব্যবহার করতে হয়েছে। ছিলাম দিনাজপুরে, থ্রী-জি কাজ করেনা সেখানে। গরুর গাড়ির গতিতে ৬০৩-এর ব্যপারে প্রতিটা খবর নিচ্ছিলাম। মনের অবস্থা কেমন ছিল,

বিস্তারিত»

বৈশাখ ১৪২১

শিমুল তুলো

গগনবিহারী শিমুল তুলো
মিতা গরম হাওয়া
আর ধূলো।

তপ্ত বিষাদ

অনল প্রবাহে তপ্ত মগজ
শীতলীতে মস্তক মুণ্ডণ
হরিষে বিষাদ স্বমেহন।

ফটিক জল

দিঘীর তলার কাদা ফাটে
মিন মণ্ডুক চাতক কাঁদে
ফটিক জল ফটিক জল।

বৈশাখী অশ্রু

বৈশাখী গরম হাওয়া
আগুনের হলকায়
কাঁদার আগেই অশ্রু শুকায় !

বিস্তারিত»