ভালোবাসা-
অস্থির ভাবনার কী স্বস্তিময় এক ঠিকানা!
অনুভূতি, অনুরণন,অনোনুমেয় প্রকম্পন,
অবাধ্য আচরন- কতই না অসাধারন ক্ষন
ক্ষনস্থায়ী, আটপ্রৌড়ে, আর দশটা দিনের মত নয়।
তামাশা দর্শনের উদ্দেশ্যহীন দিনের শেষে,
অমূল্য হৃদয় বিকোনোয় লোকসানের ভয় আর
মোহকে ছিন্ন করা স্থির সেই দৃষ্টি,
কেমনে ভুলিব আমি,
আকাংক্ষাহীন, নিশ্চুপ বাক্যপূর্ণ, গভীর সাগর।
কতই না নিরাপদ, বিশ্বস্ত, অটল পর্বত।
তবু অস্বস্তি মনে,
আমি কেন ব্লগে লেখালেখি কমালাম?
[প্রাককথনঃ ‘সদালাপ’ নামে একটা ব্লগের উদ্দেশ্যে মূলত এই প্রবন্ধটা লেখা। তবে বিনে পয়সায় উপদেশ বিতরণের মজ্জাগত খাসলতের ওপরে কোনোক্রমেই উঠতে সক্ষম না হওয়ায় শেষমেশ সিসিবিতেও লেখাটা পাঠালাম। লেখাটা সিসিবির অধিকাংশ লেখার বা আলাপচারিতার ধারার সাথে খুব একটা সংগতিপূর্ণ না হলেও লেখার সার্বিক মেসেজটা হয়ত কারো কারো কিঞ্চিত উপকারে লাগতেও পারে, বিশেষ করে সিসিবির যেসব সদস্যরা ধর্ম নিয়ে অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন, তাদের।
আরেকটা কথা।
বিস্তারিত»বৃষ্টি শেষের গান
লেখার শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের তৃতীয় ব্যাচের ক্যাডেট, মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্নেল(অবঃ) খায়রুল আলম বেলাল ভাইকে। ভাইয়া অশেষ ধন্যবাদ,এই সময়ের একজনকে সেই সময়ে নিয়ে যাবার জন্য।
আমার মা’র কথা
মা’র জন্য আমাকে প্রায়ই বিব্রত হতে হয়। বিশ্বাস করুন প্রায়ই হতে হয়। বিশেষ করে ছুটি শেষে কলেজে ফেরার সময়। মা আমাকে বিদায় দিতে রেলষ্টেশন পর্যন্ত চলে আসেন । আমি সব সময়ই চাইতাম- বিদায় পর্বটা অন্তত বাড়িতেই শেষ হোক।
বিস্তারিত»একটি হ্যাকিং আর ধরা খাওয়ার গল্প
রাত ১টা, ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করছিলাম, হঠাত টেং টেং করে মোবাইলে মেইল আসল। আমার মোবাইলে জিমেইলের ইমেইল সিঙ্ক করা আছে তাই সাথে সাথেই মেইল নোটিফিকেশনস পাই আমি। ভাবলাম কি হাবিজাবি মেইল হবে, খুলে দেখি বিশাল রসের মেইল যাতে লেখা আছে,
The password for your Google account – a****y.shuvro@gmail.com – was recently changed.
If you made this change, you don’t need to do anything more.
গুরু তোমাদের সালাম
পুরোনো সেই দিনের কথা কেন জানি সবাইকেই পীঁড়া দেয়। খুবই মনে পড়ে কলেজের মূহুর্তগুলো। আজ অফিসে বসে আছি। একজন আসলেন তার ছেলের কাগজপত্র সত্যায়িত করতে। তার ছেলে বরিশাল ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়েছে। শুনে কেন জানি না খুব ভালো লাগল। ক্যাডেট কলেজে না গেলে জীবনে অনেক কিছু অদেখা আর অজানা থাকতো। আর তাই আজও প্রতি মূহুর্তে অনুভব করি আমার ক্যাডেট কলেজ। গ্রীষ্মে কলেজের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মা নদীর উড়ন্ত বালূকণার কথা।
বিস্তারিত»ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনঃ আসুন ক্বাফী ভাইকে সমর্থন করি
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আমাদের সিলেট ক্যাডেট কলেজের ৪র্থ ব্যাচের (৭৯ -৮৫) ক্বাফী ভাই (বর্তমান সভাপতি, ওকাস) আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তর এর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনি বাংলাদেশে ক্রীয়াশীল সকল বামদল সমূহের সমর্থিত একক প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী কাফী ভাইকে আসলে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। তারপরও যে কথাটুকু না বললেই নয় সেটি হল- আমরা যারা বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই,
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী । পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছিলেন আমাদের ৫৭ জন সেনা অফিসার। তাদের মধ্যে আমাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনিওর ভাইয়ারাও ছিলেন। তাদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছিল ক্যাডেট কলেজ ব্লগ। আজ ৩ বছর পেরোতেই কি আমরা ঝিমিয়ে গেলাম? আমাদের অনুভূতি গুলো ভোতা হয়ে যাচ্ছে বোধ হয়। আমরা কি আজ তেমনি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করতে পারি না আজ? মতামত চাই। অতিথিদের কেও আমন্ত্রন জানাচ্ছি মতামত দেবার জন্য।
বিস্তারিত»রানওয়ে
আজ দিনের শুরুটা হলো মগজ দৌড়িয়ে। যেমনে পারি গজগজ করে মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগড়ে দিতে পারলে বাঁচি। কিন্তু আফসোস, পড়াশোনার ইচ্ছার সাথে পাল্লা দিয়ে পড়া মুখস্থ করার ক্ষমতা কমছে ধীরে ধীরে। সেটা বুঝলাম পরীক্ষা দিতে বসে। প্রশ্ন কমন নিয়ে প্রস্তুতি নিলে যেটা হয়, ‘কমন পাইলে কোপাও আর না পাইলে কোপ খাও’, আজকে কমন পেয়েও কোপানোর ধারে কাছে যেতে পারলাম না। উৎসাহ নিয়ে একেকটা প্রশ্ন উত্তর করা শুরু করি,
বিস্তারিত»আমার আকাশ
হঠাৎ একদিন মনে হল
অনেকদিন আকাশ দেখি না;
দেখি না মেঘের লুকোচুরি খেলা।
মেঘহীন আকাশের হলদে সূর্যের দিকে চেয়ে
অনেকদিন চোখ রাঙানো হয় না।
আজ আকাশ দেখলাম,
আমার বহু পরিচিত বন্ধুর দিকে যেন চোখ ফেরানো হল।
আকাশটা কেমন যেন
গোমড়া মুখে চেয়ে রইল আমার দিকে।
যেন বলছে, “বহুদিন মনে করনি যে আমায়”।
চকিতে চোখ নামিয়ে নিলাম,
বিস্তারিত»বোকা বাঙ্গালী বলছি-১
আমি বোকা বাঙ্গালীদের দলে। মৌসুমী বিপ্লবীদের দলে আছি কিনা জানি না। আমিও বোকা বাঙ্গালীদের মতই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি।কত কমেন্ট পড়ল সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছি বলে মনে হয় না। ব্লগ লেখার মত পড়াশুনা, জ্ঞান কোনোটাই নাই তাই ব্লগ লিখি না (বলতে পারেন লিখতে পারি না)। কিন্তু সব ব্লগ পড়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের মত আমিও আপ্লুত হয়েছি এই ভেবে যে, আমরা সচেতন হচ্ছি। যদিও খুব বেশি লেখালেখি বা জন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এটি আমি বলতে পারবো না যতটা সৃষ্টি হয়েছিল আবু গারাইব কারাগারের নির্যাতন কিংবা দেশীয় এডাল্ট ক্লিপ বের হবার পর।
বিস্তারিত»কলেজের ডিজিটাল ভার্সন পার্ট ওয়ান
ক্যাডেট কলেজের যে যুগের সাথে আমাদের অনেক সিনিয়র ভাইদের পরিচয় নেই সেই দিনগুলোর কিছু শর্ট ভিউ দিতে চাই । আমরা তখন এইচ. এস. সি ইক্সামের ঠিক আগের পুলসিরাত “টেস্ট” দিলাম । শেষ বারের মতো ইক্সামের প্রিপারেশন নিতে যখন সবাই হিমশিম খাচ্ছে তখন আমাদের কজনের মাথায় শয়তানী বীজ কিলবিলইলো । ভাই খবর দিল আইজ রাইতে হইব । এখানে একটু বলে রাখা ভালো এই “ভাই” কিন্তু সিনিয়র ভাই না আমাদের ব্যাচের “আন্ডার ওয়ার্ল্ড” (কলেজে যা বিধানভুক্ত কাজ না) ভাই ।
বিস্তারিত»ডিজিটাল ক্যামেরা: দরকারী কিছু জানা-অজানা তথ্য
• ভূমিকা
• ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে
• Compact vs SLR
• ফিচার/ফাংশন
• ক্যামেরা কেনার আগে
• ক্যামেরা কেনার পরে
• অটোমুডে ছবি
• শেষ কথা
Compact vs SLR
ডিজিটাল ক্যামেরাকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। Shoot and Point (Compact) ও SLR (Single Lens Reflex) কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় বেশিরভাগ ফাংশন অটোমেটিক যা ক্যামেরা নিজেই নিজস্ব প্রোগ্রামের আলোকে সেটিং করে।
শেষ প্রান্তে
বছর তিনেক আগে কোনো একটা কোরিয়ান মুভি থেকে alzheimer’s symptom সম্পর্কে জেনেছিলাম। যথারীতি অন্যান্য সিনেমার মত সিনেমাটিক রোগ ই মনে হইছিল।পরে অবশ্য অল্প বিস্তর পত্রিকা আর অন্য সিনেমা দেখে জানলাম আসলেই এই রোগের অস্তিত্ব আছে আর এরকম রোগির সংখ্যা ও নেহাত কম নয়।
অফিস এ প্রথম দিন এক কলিগ এর সাথে পরিচয় হল যার বয়স চুরাশি।উনি আমাকে নাম,ধাম,কই থাকি ইত্যাদি সাত সতের জিজ্ঞেস করলেন…
বিস্তারিত»ত্রিশ কোটি হাত বনাম ক্যান্সার
কিরে ব্যাটা মন খারাপ?ধুর বোকা ক্লাস সেভেনে একটু আধটু এরকম হয়।এজন্যে মন খারাপ করতে হয়না।পেছন তাকিয়ে দেখি হোসেন ভাই।
তার সেই চির চেনা হাতটা মাথার ওপর।আমি আরো জোড়ে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেললাম।একটু আগেই রুম লীডারের রুমে ছিলাম।টানা দশমিনিট জানালার গ্রিলের সাথে পা ঝুলিয়ে।ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম লং আপ।হোসেন ভাই তখন রুমে ছিলেন।আমার অবস্থা দেখে ভেতরে ভেতরে হয়তো একটু আধটু কষ্টও পেয়েছিলেন।কিন্তু ক্লাসমেট এর মুখের ওপর কথা বলা নিয়মে নেই।তাই তিনি এখানে নির্বাক দর্শক।
যাচ্ছে জীবন – ৪
গত দশ পনের বছরে ঢাকা অনেক বদলিয়ে গিয়েছে। চারদিকে এত্তো এত্তো সব হাইরাইজ বিল্ডিং। কোন এক কালে সিদ্ধেশ্বরীতে আমাদের বাসার ছাদে উঠলে জাতীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের আলো দেখা যেতো। সম্ভবতঃ ৯৪ এর সাফ গেমসের সময় ঢাকা স্টেডিয়ামে যে অসাধারণ আতশবাজীর প্রদশর্ণী হয়েছিল তা আমাদের বাসার ছাদ থেকেই দেখেছিলাম।
আমাদের বাসার সামনে বেশ বড় জায়গা আছে। আশেপাশের সব বাসা থেকে আমাদের ওই জায়গাতেই খেলতে আসত।
বিস্তারিত»