উত্তরবঙ্গের যে ছোট্ট জেলা শহরে আমার বাড়ি, সেখানে অনেক বাতাস। ঠিক সন্ধ্যা বেলা আমরা রেললাইন ধরে হাঁটতে যেতাম।পাশে থাকত বাবলা গাছের সারি,আর একটু আগে ভাগেই বেরিয়ে পড়া দলছুট কিছু জোনাকি। অনেকটা পথ হেঁটে তুলসীগঙ্গার ওপর যে রেলসেতুটা আছে,তার গার্ডারে পা ঝুলিয়ে বসতাম। অস্পষ্টভাবে কানে আসত প্রায় মরে আসা তুলসীগঙ্গার বয়ে চলার শব্দ।আমরা অবশ্য অপেক্ষায় থাকতাম বাতাসের।প্রায় মাতাল করে দেয় এমন একটা বাতাস। তুলসীগঙ্গার ওপারের ধানক্ষেত গুলো কাঁপিয়ে এ বাতাস আমাদের চুল ছুঁয়ে যেতো।
বিস্তারিত»প্রতীক্ষা
প্রতীক্ষা
—কবি রোমিও
আমার মনের আকাশে মেঘ জমে
মাঝে মাঝেই জমে
নিকষ কালো মেঘ
আমার জীবনের প্রকৃ্তি মাঝে মাঝে হয়ে যায় থমথমে
থেমে যায় আমার চলার বেগ
সাদা মেঘ ও জমে
তবে সে অনেক দেরীতে
বর্ষণের বহু পরে
তখন মন টেকেনা ঘরে
বাঁধতে পারেনা শেকল বেড়ীতে
ঘুরে বেড়াই পাড়াময়
উচ্ছাস তবেই কিছুটা কমে
মনের সমুদ্রে উথাল পাথাল ঢেউ চীর বহমান
বহু ঘুরেও মিলল না কেউ
করতে পারল না মিথ্যা প্রমান
প্রয়োজন মোর সীমাহীন ভালোবাসা
আর তাহার তরে অনন্ত প্রতীক্ষা।
অটোয়ার জার্নাল – চার
হারিয়ে যাবার নিয়ম নেই এখানে
আমি বুঝতে চাই এই অনুভূতিগুলো আমার মতো অন্যদের হয় কিনা। আমরা যখন সাংঘাতিক ভঙ্গুর অবস্থায় থাকি। ওলটপালট জীবনকে একদম নতুন করে সাজাতে চেষ্টা করি। কিংবা বার বার পিছলে যাই শূন্য থেকে পূর্ণ হবার চেষ্টায়, তখন হয়তো একবারে ছন্নছাড়া অবস্থা থেকেই শুরু করি। ব্যাপারটা কখনোই এমন হয় না যে হঠাৎ একদিন তুমি একখণ্ড লাল ইট দিয়ে নতুন ঘর বাধার মতো করে তোমার জীবন নতুন করে শুরু করলে।
জ্ঞান পাপীদের কে বলছি…!!
মাধ্যমিক পরিক্ষার ফল প্রকাশিত হল। ছোট ভাইটা ছিল এবারের পরীক্ষার্থী। যাই হোক,কোন ভাবে উতরে গেছে তিন বিষয়য়ে এ প্লাস মিস করে। গোল্ডেন/ সিলভার বিষয়ক মাথা ব্যাথা আমার কোন কালেই ছিল না। স্বভাবতই খুবই খুশি ছিলাম ওর ফলাফলে। অল্প বিস্তর চিন্তিতও ছিলাম,গিফট ব্যাপার টা নিয়ে। বদটার আবার আকাশ ছোঁয়া আবদার।।
গত কাল খুব ভোর বেলা বদটার ফোনে ঘুম ভাঙল।”ভাইয়া আজকের প্রথম আলোটা এক বার খুলে দেখিস,
বিস্তারিত»আঁতলামি আপডেট
– স্যার, আগামী এক সপ্তাহ পড়বো না।
– ক্যানো ? কোথাও ঘুরতে যাচ্ছ নাকি ?
– না স্যার, এই সপ্তাহে আমার এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে
– ও, আচ্ছা।
মূহুর্তেই মনে পড়ে গেলো সেই ২০০৪ এর কথা, যখন ঠিক একই রকম চিন্তা আর উত্তেজনা নিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম আমার এস.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট এর জন্যে। এখনো মনে পড়ে ক্যাডেট কলেজের ফোন নাম্বারটা ব্যস্ত থাকায় আমার বাবার চিন্তামগ্ন মুখের কথা।
বিস্তারিত»আরেকবার, আর একটি বার…।।
নতুন বাসা টা শহরতলীর বাইরে। ফাঁকা ফাঁকা চার দিক। পেছনে জংলা মত একটা জায়গা।আর জংলামুখী আমার বারান্দা।ক্লাস থেকে ফিরেই অধিকাংশ সময় এই বারান্দায় চলে যাই।বিষণ্ণ বিকেল গুলো এখানেই কাঁটে।বাংলাদেশ সময় এখন মনে হয় রাত ১২ টা। এখানে ৮ টা।। সন্ধ্যা হতে এখনও ঢের দেরি। সামারে এখন সূর্য ডুবছে ১০ টায়। এই সময়টায় কেন জানি আশ্চর্য নিরব হয়ে যায় চার দিক। মাঝে মাঝে দম বন্ধ লাগে।।
বিস্তারিত»অটোয়ার জার্নাল – তিন
এমনি
এক একটি দিন কখনো কখনো যায় শুধুই নষ্টালজিয়ায়। আমি বোধহয় এই সময়টায় সাংঘাতিক অতীতচারিতায় ভুগছি। হয়তো এটাই হোমসিকনেস। আমি হোমসিক! কয়েকটি শহরে নিজেকে খুঁজে ফিরছি। আমার জন্ম যশোরে, সেইখানে আমার নাড়ি পোঁতা আছে। গেঁদা শৈশব সাতক্ষীরায়, সেই স্মৃতি খুব অস্পষ্ট যদিও। খুলনা এবং যশোর, শৈশব এবং কৈশোরের রঙীন দিনগুলো। মাঝে রাজশাহীতে কিছুদিন – সাহেব বাজার, টি-বাঁধ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, টেনিস ক্লাব, চিড়িয়াখানা, উপশহর,
অনুবাদঃ পাকিস্তান কিভাবে ১৯৭১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেঃ কয়েকটি সাক্ষ্য
[কয়েকদিন আগে ই-লাইব্রেরি থেকে এই বইটি পড়ছিলাম। পড়ার পর মনে ভীষণ চাপ পড়ছিল, সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। বইটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড এফেয়ার্স কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। মোট ২৬ টি সাক্ষ্য এতে আছে। আমি শুধু প্রথমটাই অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। অনুবাদের দূর্বলতা হয়তো পুরো অনুভূতি তুলে ধরতে পারেনি, সেটার দায় আগে থেকেই মেনে নিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের ছবিটা ওই স্ক্যান করা বই থেকে নেয়ার কারণে এত খারাপ অবস্থা।
বিস্তারিত»ডাকঘর – দুই
ক্ষণে ক্ষণে বসন্তদিন ফেলেছে নিঃশ্বাস
[আগের চিঠিটি এখানে]
প্রিয় পুণ্ডরীক,
তোমার চিঠি আমাকে চমকে দিলো এতো বছর পর। বিরিশিরি গিয়েছিলাম একটি রেসিডেন্সিয়াল আর্ট এ্যাপ্রিসিয়েশন ওয়ার্কশপ করাতে। দুদিন আগে ফিরে দেখি অমুক বিলের চিঠি, তমুক দাওয়াতের কার্ডে লিভিং রুমের চায়ের টেবিলে খামের স্তূপ। আজ সেগুলো ঘাটতে গিয়ে অপ্রত্যাশিত তোমার এই চিঠি আমাকে ভীষণ আশ্চর্য করলো।
বিস্তারিত»ডাকঘর – এক
অতীত হয় নূতন পুরানায়
একসময়কার পুরানো ঢাকার তরুন-তরুণীর গল্প। দেশে পড়ালেখার পর্ব চুকিয়ে প্রেরক এবং প্রাপক একই সময়ে বিদেশে যায় পড়তে। প্রাপক স্পেনে এবং প্রেরক কিউবাতে। একসময় তাদের বিচ্ছেদ হয়। প্রাপক দেশে ফিরে আর্ট হিস্ট্রির শিক্ষকতা করে আর প্রেরক হ্যাভানার একটি কলেজে পেইন্টিংসের শিক্ষক। অনেক বছর পর এই চিঠি লেখা হয়।
প্রিয় জারুলফুল,
পরশু শেষরাতে নেভিলের টেলিফোনে আমার ঘুম ভাঙ্গলো।
বিস্তারিত»অটোয়ার জার্নাল – দুই
নেসলে টেস্টারস চয়েস
আগে বেশি কফি খাওয়া হতো না। এখন কেন জানি একটু বেশিই খাওয়া হয়। বাসায় থাকলে বাংলা স্টাইলের কফিই সই। মানে হলো আচ্ছা মতো কফিমেট আর চিনি দিয়ে। এরমাঝে একদিন ইউনিভার্সিটিতে লম্বা সময় থাকবো ঠিক করে আগের রাতে ঘটা করে পরের দিনের জন্য খাবারটাবার সব গুছিয়ে একেবারে গুডবয় স্টাইলে রাতে ঘুমালাম। সকালে সময়মতো উঠলাম। হালকা একটা নাস্তা সারলাম। তারপর ইলেকট্রিক কেটলিতে পানি গরম বসিয়ে বৈয়াম খুলে কফিমেট আর চিনি দিয়ে কাপ রেডি করে রাখলাম।
অটোয়ার জার্নাল – এক
এবং ফেসবুক –
২০০৭ সালে ফেসবুকে একাউন্ট খোলার পর থেকে গত চারবছর প্রায় টানা ব্যবহার করে গেছি। ঢাকায় থাকতে একদিন অফিসে বসে তানিয়া আপুর ইমেইলে ফেসবুক খোলার জন্য একটা ইনভাইটেশন পেলাম। “এইটা অনেক মজার, তোমার একটা একাউন্ট করে ফেলো”। সেখানে আমার বন্ধু জুয়েলও আছে। তানিয়া আপু ইউসিএল-এ বায়ো-কালচারাল এ্যানথ্রোপলজিতে পিএইচডি করছেন তখন। আর জুয়েল মাষ্টারস করছে। ওদের সুন্দর সব ছবিটবি দেখে বোঝার চেষ্টা করলাম যে ব্যাপারটা আসলে কি।
অনুগ্রহ
আকাশের জানালা খুলে দিয়েছি
বাতাসের বাঁধন দিয়েছি ছিঁড়ে
তুমি আজ আসবে আমার কাছে
সাগরের ঐ নীল বুকটা চিঁড়ে।
কুসুমকলিদের বলে রেখেছি
ফোঁটে যেন তোমার চরণতলে
চাঁদের কাছে মিনতি করেছি
ভরা পূর্ণিমা যেন দেয় সে ঢেলে।
ভি ডে প্রলাপ…
কোঁকড়ানো পাঞ্জাবী আর রংচটা জিন্স দিয়ে চুয়ে চুয়ে পড়ে আমার ভালবাসা
মাঝ রাতে শেষ সিগারেটের ধোঁয়ায় দড়ি পাকানো আমার ভালবাসা
আমার ভালবাসা চিৎকার করতে জানে
আমার ভালবাসা উচ্চস্বরে হাসতে জানে
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে জানে
আমার ভালবাসা কথা বলতে জানে
পাবলিক ফোরাম কিংবা জমজমাট আড্ডায় সে নির্বাক থাকতে জানে
আমার ভালবাসা সময়কে পেছনে ফেলে বহু বছর ধরে
একটি জানালা দিয়ে একটি আকাশকে দেখতে জানে
আমার ভালবাসা গীটার বাজাতে জানে
আমার ভালবাসা আমার সাথে লুকোচুরি খেলতে জানে
গোধূলির সময় পাহাড়ের ওপাড়ে হারিয়ে যাওয়া সূর্য দেব এর মত হারিয়ে যেতে জানে
আমার ভালবাসা অপেক্ষা করতে জানে
আমার ভালবাসা ফুলের ঘ্রাণ শুকতে জানে
আমার ভালবাসা কষ্ট দিতে জানে
………………………………………
আমার ভালবাসা ভালবাসতে জানে…
………………..ভালবাসাতে জানে……।।
বৈপরীত্য
অস্পষ্টতাই আমার ভাষা
অলসতাই আমার কর্ম
ঘৃণাই আমার ভালবাসা
অধর্মই আমার ধর্ম।
দুর্বোধ্যতাই আমার সরলতা
মৃত্যুই আমার মুক্তি
অসম্ভব আমার লক্ষ্য তাই
ঠাট্টাই আমার যুক্তি।
শ্রদ্ধা আমার মানহানিকর
অবজ্ঞা আমার কাম্য
হিংসা আমার শখ আর
বঞ্চনা আমার সাম্য।
ব্যথাই আমার বিনোদন
আনন্দ আমার কষ্ট
সবকিছুই উল্টো আমার
কারণ আমি যে নষ্ট।