২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ করেছিলাম । সেই সাথে ক্যাডেট পরিবার এর সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেললাম । আমি ছিলাম সিরাজী হাউস (লাল) আর জিসান ছিল ভাসানী হাউস ।প্রথম দিকে পরিচয় না হলেও আস্তে আস্তে ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ।জিসান ছিল A ফর্মে আর আমি ছিলাম B ফর্মে ।জিসান A ফর্মে থাকলেও A ফর্ম আকারে ছোট থাকার কারণে A ফর্মের ৫ জন আমাদের B ফর্মে ছিল ।কারণ B ফর্মের রুম ছিল আকারে অনেক বড় ।সেই ৫ জন এর ভিতর জিসান ছিল ।৭এবং ৯ এ আমরা এইভাবেই ছিলাম ।
আমরা অনেক সময় ফাজলামি করে স্যার ক্লাস এ ঢুকার সময় ” Form be shunt ” এর পরিবর্তে ফাজলামো করে জিসানকে খেপানোর জন্য “Form JISHUNT ” বলতাম ।ওর যেকোনো কিছুতেই ধরা খাবার প্রবণতা ছিল অনেক বেশি ।এই যেমন ক্লাসে ঘুমালে আর কেউ ধরা খাক আর না খাক জিসান ঠিকি ধরা খেত ।তারপর অনেক সময় কোন কারণে লেট করে আসলে আমরা সবাই সিনিওর অথবা স্যারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসতে পারলেও জিসান কেমন যেন ধরা খেয়ে যেত ।এই নিয়ে আমরা সবাই তারে কম খেপাতাম না ।আসলে আমরা সবাই এক এক বিশেষ গুণাবলীতে গুণান্বিত যে কারণে আমরা একে অন্যকে খেপাইতাম । কলেজে জিসান এর সাথে কতো গল্প করেছি তার কোন ঠিক নাই । আমার এখনো মনে পড়ে সে মাসুদ রানার গল্প অনেক বেশি পড়তো ।খেলাধুলার মধ্যে ওর সাথে বাস্কেট বল খেলা আমার খুব জমত । এই রকম আরও অসংখ্য সৃতি আসে জিসান এর সাথে তা হয়ত বলে শেষ করা যাবে না ।
কলেজ থেকে বেরিয়ে কোচিং করার সময় জিসান এর সাথে প্রায় দেখা হতো ।মাঝে মাঝে ওর হোস্টেলে ওর রুমে যেয়ে দেখতাম ওর গায়ে অনেক জ্বর । তখন বলতাম কিরে ডাক্তার দেখাস নি? তখন ও বলতো নারে ডাক্তার দেখানো লাগবে না ।আমার কাছে অসুধ আছে ।ইনশাল্লাহ আমি ঠিক হয়ে যাবো । কোচিং লাইফ এর পড়ে ওর সাথে আর আমার দেখা হয় নি ।ফেসবুকে আর ফোনে কথা হতো । সেইদিন এর একটা ঘটনা মনে পড়ল । ফেসবুকে একদিন টম অ্যান্ড জেরিকে নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম বলে জিসান আমাকে বলেছিলো ,” কিরে তুই এখনো বাচ্চা আছিস নাকি যে টম অ্যান্ড জেরিকে নিয়ে পোস্ট দিস ?” এইভাবেই আসতে আসতে দিন পার হচ্ছিল ।
গত পরশু হঠাৎ আমার আর এক ব্যাচমেট ওমর এর কাছ থেকে মেসেজ পেলাম ,”Jisan is admitted at ICU,United Hospital 2 for excessive bleeding. Pray for him and visit him if possible”.মেসেজটা পেয়ে আমার মনে হয়েছিল জিসান হয়ত অ্যাকসিডেন্ট করছে । পরে ওমরকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেশ করলাম জিসান কি অ্যাকসিডেন্ট করছে? ওমর বলল ,” না জিসান অ্যাকসিডেন্ট করে নি ।ওর হঠাৎ মুখ দিয়ে অনেক রক্ত পড়েছে ।ডাক্তার বলেছে ওর ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে । খবরটা শুনে রীতিমত শিউরে উঠলাম এবং তখনি ভেবেছিলাম জিসান হয়ত বুঝি আর বাঁচবে না । তবু ওর জন্য মনে মনে দোয়া করছিলাম যাতে ও সুস্থ হয়ে ওঠে ।রাজশাহীতে থাকার দরুন আর ক্লাস ,ল্যাব ও আরও বিভিন্ন ঝামেলার দরুন জিসানকে দেখতে হসপিটালে যেতে পারিনি ।কিন্তু মনে মনে খুব ছটফট করছিলাম জিসানকে দেখার জন্য ।
আজ ক্লাস শেষ করে যখন ওমরকে ফোন দিলাম, “জিসান কেমন আছে?” ওমর বলল, ” জিসান আর আমাদের মাঝে নেই রে।” খবরটা শুনার পর চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করছিলো । আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো এই রকম জলজ্যান্ত হাস্যউজ্জ্বল ছেলেটি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে । কলেজে ঢুকেছিলাম আমরা ৫০ জন। কিন্তু সবার আগে আমাদের একা করে দিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারলি জিসান? যাওয়ার আগে বলতে পারলাম না, ” দোস্ত যদি তোর মনে কোন ব্যাথা দিয়ে থাকি তাইলে আমায় মাফ করে দিস । আর কোনোদিন তোর সাথে দেখা হবে না । কলেজ এর রিউনিওনে সবাই থাকবে খালি থাকবি না তুই ।একসাথে খেলেছি, একসাথে কতো মজা করেছি ।সেই সৃতিগুলো এখন শুধু কাঁদাবে । এত কষ্ট যে মনের ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
আজ জিসান এর মৃত্যুর পর আমার আর এক ফ্রেন্ড আহসান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে নিজের চোখের পানি ধরে রাখা কষ্টের ছিল ।
আহসান এর স্ট্যাটাস ছিল,“একদিন TSC তে এক G2G তে কেউ একজন বলেছিল “দোস্ত আর কয়েকটা বছর, এর পরে আর এত ঘন ঘন G2G করা যাবে না। এখনও অনেকেই ছাত্র । সবাইকে দেখতে ইচ্ছে হল, ব্যাস ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম, “দোস্ত TSC তে আয়, আজ একটা হয়ে যাক।” সবাই তখন টিউশনি, gf সবার কাছে এক দিনের ছুটি নিয়ে এখানে এসে জড় হই। কিন্তু কয়েক বছর পর, এক একজন এক একটা প্রফেশন নিয়ে থাকব এক এক জায়গায়। তখন? হঠাত আর একজন আইডিয়া দিলো,”কিরে, তোরা বিয়েতে দাওয়াত দিবি না? এক একজনের বিয়েতে এক একটা G2G হবে। এরপর তো ফ্যামিলি থাকবে,তখন ওদের সময় দিস। তখন কলেজের রিউনিওনি ভরসা।” এর পর সবাই বাজি ধরতে লাগল কে সবার আগে বিয়ে করবে। আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম প্রথম wedding+g2g এর। কিন্তু কখনও ভাবিনি এরও আগে আমাদের g2g করতে হবে কারো অসুস্থতায় ICU এর সামনে বা কারো জানাজায়। really, we never saw it coming………. goodbye দোস্ত, may the Creator be merciful to your soul…..
আসলেই তার এই মরণ আমি মন থেকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আজ যখন আমার ইনটেক এর বন্ধুরা BMA এর পাসিং আউট প্যারাড শেষে অফিসার হিসেবে বের হচ্ছে ঠিক সেইদিনি জিসান এর এই রকম মৃত্যু হল । সবাই আর্মি পার্টির কাছে treat পেলেও জিসানের আর কোনদিন আর্মি পার্টির কাছে treat খাওয়া হবে না । নিজের ব্যাচের ফ্রেন্ডদের অভিনন্দন জানাতে পারবে না । তাদেরকে অফিসার হিসেবে আর দেখতে পারবে না । সত্যি খবরটা খুব কষ্টের ।
আজ আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছে ।নিজের কোন ব্যাচমেটকে কাছে পেলে কিছুক্ষণ কাঁদব ।তা না হলে আমার মন হালকা হবে না।আমার এই হাস্যউজ্জ্বল বন্ধু জিসান আর বেঁচে নেই ।২১-১২-২০১১ আজ রাত ৯ টায় আমার এই বন্ধুর জানাজা দেয়া হবে । সবাই আমার এই বন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন ।জিসান এর বাবা-মাকে সান্তনা দিবার মতো কোন ভাষা আমাদের জানা নেই ।জিসান এর বাবা-মাকে আমরা শুধু একটা সান্তনাই আমরা দিতে পারি:আপনার একটি সন্তান চলে গিয়েছে ।চিন্তা করবেন না আমরা ৪৯ জন সন্তান এখনো বেঁচে আছি ।
এতো অল্পবয়সে কেন ওকে পৃথিবী ছেড়ে যেতে হলো? তোমার লেখা পড়ে খুব খারাপ লাগছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপা জিসান এর দুই দিন আগে ক্যান্সার ধরা পরে এই খবরটা ঠিক । কিন্তু তার এই মৃত্যুর পিছনে ছিল excessive brain bleeding ।এই খবরটা আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম । যে কারণে আমার এই বন্ধুটি আমাদের উপর অভিমান করে চলে গেলো ।যা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না । তার চাইতেও বড় কষ্ট যে তাকে শেষ দেখা দেখতে পারলাম না ।নিজে হাতে দাফন দিতে পারলাম না। ৬ বছর এই সৃতি কিভাবে ভুলি আপু? 🙁
ভাইয়ার সাথে আমার পরিচয় মাত্র কয়েক মাসের।কিন্তু এই ক'মাসেই তার সাথে বেশ ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল।ভাইয়া জীবনে অনেক বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন।বলতেন বিবিএ কমপ্লিট করে FCMA করবেন,দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশুনা করবেন।আমি বলতাম ভাইয়া,আমি এসবের কোন খবর রাখিনা।আপনি নিজ দায়িত্বে আমাকে জানাবেন কিন্তু।ভাইয়া জানাবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।খোঁজ খবর রাখতেন আমার।আমি সারা জীবন এই মানুষটার সাথে যোগাযোগ রাখতে চেয়েছিলাম।
ভাইয়ার অসুস্থতার খবর শুনে বুঝতে পারিনি উনি আমাদের কোন সুযোগ না দিয়েই চলে যাবেন।আমি ভেবেছিলাম আমরা সব ক্যাডেটরা ওনাকে বাঁচিয়ে তুলব।
জিসান ভাইয়া,আপনার এ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিনা।আপনার এ বোনটি আপনাকে মিস করবে।আপনাকে শেষ দেখা দেখতে পারলাম না।খারাপ লাগছেখুব।
কলেজ থেকে বের হবার সময় আমরা সবাই সবাইকে ডাইরি লিখতে দিতাম । আমিও এর ব্যতিক্রম নই । জিসান এর মৃত্যুর পর আমি আবার সেই আমার ডায়রিটা খুললাম । আমার ডায়রিতে জিসান এর ওই লেখাটা দেখে আমার এখন খুব কষ্ট হচ্ছে ।সাধারণত নিজের ডায়রির লেখা কেউ অন্যকে বলে না অথবা দেখায় না ।কিন্তু আজ মনে এতো কষ্ট যে আমার ডায়রিতে জিসান এর লেখা সেই কথাগুলো কোট করছি :
পিয়া তাইলেই দেখ কয়েক মাসের পরিচয়ে তুমি এখনো তাকে ভুলতে পারছ না । আর আমি যার সাথে ৬ বছর কাটাইছি তার সৃতি কিভাবে ভুলি? আমি তো এখনো তার মৃত্যুর খবর বিশ্বাস করতে পারছি না ।
এমন মৃত্যু ভীষণ কষ্টের। মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের ভালোবাসা সঙ্গে নিয়ে যেও জিসান।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া আমি এখনো জিসান এর মৃত্যু হজম করতে পারছি না ।
.......
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙁 .....................................
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। জীবনটা তো শুরুই হলোনা।
শরিফ, তোমাদের এই বন্ধুটি চিরকাল এই বয়সেই রয়ে যাবে, আর কোনদিন বুড়ো হবেনা।
বারবার ফিরে ফিরে আসবে এই নিষ্পাপ হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়েই।
এতো অল্প বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে জিসান এই কথা আমরা ভাবতেও পারিনি ভাই । 🙁
..................
🙁 ..................................
খারাপ লাগছে খুব :((
🙁
শরীফ আজকে জানাজা এত তাড়াতাড়ি হইসে যে আমরা কেউ যেতে পারি নাই ঢাকা থেকে। পরের শুক্রবার (৩০) খুব সম্ভবত পুরো ব্যাচ যাওয়া হবে...সেরকম চিন্তা করা হচ্ছে...bma এর ছেলেগুলাও আসুক,এইজন্য পরের সপ্তাহ কনসিডার করা। তুই খোঁজ খবর রাখিস
আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।
নাফিজ আমিও যেতে পারিনিরে । সামনের শুক্রবার আমরা অবশ্যই যাবো
ইনশাল্লাহ ।সবাই মিলে না কাঁদলে নিজে হালকা হতে পারবো না । :'(
:'(
:'(
ছেলেটা সিসিবিতে ছিল; কয়দিন আগেও একটা পোষ্টে ওর মন্তব্য দেখেছি।
এভাবে সহসা চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছি না।
বড় অসময়ে চলে গেলে।
ভাল থেকো ছোট ভাই; শান্তিতে ঘুমাও ...
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
জিসান শান্তিতে ঘুমাক এই দোয়া করি ।
রকিব বলায় বুঝলাম, কেন নামটা আমার চেনা চেনা লাগছে। ব্যাপারটা অদ্ভুত কোন সুযোগ না দিয়েই কাছের মানুষগুলো হঠাৎ চলে যায়। এ জাতীয় খবরে কিছু বলার থাকে না। খুউব মন খারাপ হয়ে আছে খবরটা শোনার পর থেকেই।
........ .... .......... ........
.......... .........
.....................................
অত্যন্ত দুঃখ জনক।
কিছু বলার পাচ্ছি না। জিসান বেচেঁ থাকবে চির কিশোর হয়ে আমাদের মাঝে। আমাদের সবার বয়স হবে, পরিবর্তন আসবে, কিন্তু জিসান থেকে যাবে অপরিবর্তিত।
জিসানকে আমরা কোনোদিন ভুলতে পারবো না ভাইয়া 🙁
শরিফ, আরেকবার কাঁদালি । আমারও ইচ্ছা হয় কাউকে জড়িয়ে ধরে খুব জোড়ে কাঁদি । একা কেঁদে কষ্ট কমাতে পারছি না ।
সাজ্জাদ দোস্ত চলে আয় সামনের শুক্রবার ( ৩০ তারিখ)।
সবাই মিলে না কাঁদলে কষ্ট দূর হবে না।
ছুটিতে জয়পুরহাট যাওয়ার সময় ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে আমাদের কয়েক ঘণ্টা ওয়েট করতে হতো। মাঝে মাঝেই দেখা যেতো, বাসা থেকে খাকী ড্রেসটা খুলেই আমাদের দুই বছরের জুনিয়র এই ছেলেটা স্টেশনের দিকে দৌড় দিয়েছে।
ওয়েটিং রুমের সেই আড্ডা, হাউস করিডোর আর বাস্কেটবল মাঠের অনেক কিছুই চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
ভাইরে তুই যেখানেই থাকিস, ভাল থাকবি।
আর কখনো জিসান এর সাথে আপনার আড্ডা দেয়া হবে না ভাইয়া । 🙁
মানুষ হিসেবে নিজেদের সীমাবদ্ধতাগুলো দেখে খুবই হতাশ লাগে। এতো কম বয়সে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছি না।
.............................................
জিসানকে দেখি নাই কখনও, পরিচয়ও ছিল না। কিন্তু নিজের কলেজের ছোটো ভাই, এইভাবে চলে গেল......... আমরা চেষ্টাও করতে পারলাম না। নুন্যতম সুযোগও পেলাম না। অকালে চলে যাওয়াটা মানতে কষ্ট হচ্ছে......... কিন্তু এখন এটাই বাস্তব। আল্লাহ ওকে মাফ করুন, আখিরাতের জীবনটা সহজ করে দিন।
জিসান এতো তাড়াতাড়ি চলে গেলো যে শেষ মুহূর্তে তার সাথে কথা বলতে পারলাম না ,তার কাছে মাফ চাইতে পারলাম না ।
সহমত ভাইয়া ।
এমন মৃত্যু ভীষণ কষ্টের।জিসানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
..................................................
জিশানকে চিনি ফেইসবুকের মাধ্যমে।এই ব্লগের অনেকেই হয়ত জানেন এক্স ক্যাডেট ফোরাম ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।আমার ইচ্ছে ছিল ওই গ্রুপে ১টা ডাটাবেইস খুলব।সে বিষয় নিয়েই জিশানের সাথে ১দিন অনেক সময় কথা হয়েছিল।ওর ঐ কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে আমি খুবি খুশি হয়েছিলাম।আজ ও আমাদের মাঝে নেই।তাই এখন সুধু ওর সাথে চ্যাটে যে কথা গুলো বলা হয়েছিল তাই বারবার পড়ছি আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিনা।আল্লাহ জিশানকে ক্ষমা করুন।
ওই ডাটাবেজ এবং জিসান এর ওই কমেন্ট আমি দেখেছি ভাইয়া । সবকিছুই এখন সৃতি । সৃতি এখন শুধু কাঁদাবে । 🙁
ওর মাগফিরাত কামনা করি। আমরা যেকোন ভাল কাজ করে মনে এই রাখতে পারি যে, আমি ওর পক্ষ থেকে করলাম। আর ওর বন্ধুরা ওর পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখ।
আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করবো ভাইয়া জিসান এর পরিবারের সাথে নিয়মিত খোজ খবর রাখার ।
শরিফ,
শুধু ৪৯ নয়, কয়েক হাজার।
সান্তনা দেবার ভাষা জানা নেই।
::salute::
এমন তরুণ বয়সে কেউ হটাৎ জীবন থেকে হারিয়ে গেলে কি বলার থাকতে পারে!
আমার সমবেদনা ...
আমার বন্ধুয়া বিহনে
.................................
chole jawa manae prosthan noy...
জিয়াদ ভাই আপনার কথা ঠিক বুঝলাম না ।
..................
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
......................................
আল্লাহ ওকে মাফ করুন,জিসানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
আল্লাহ জিসানকে বেহেস্ত দিন এই কামনা করি ।
নানান ঝামেলায় সব পোস্টে ঢুকা হয় না। এই খবরটা আমি জানলাম এত পড়ে,
শান্তিতে থাক জিসান।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
শান্তিতে থাক জিসান ।
আমাদের ব্যাচ এর ৬/৭ জন মিলে উনাকে জেয়দিন দেখতে যাব ঠিক করছিলাম,সেইদিনেই উনি মারা গেলেন,আমার গিয়ে দেখতে হল উনার লাশ,ভাইয়া,৪ বছর আমরা এক হাউসে ছিলাম,এই সময়ে যদি আপনাকে আমাদের ব্যাচ এর কেউ কষ্ট দিয়ে থাকে,প্লীজ মাফ করে দিবেন।আমি আমার ব্যাচ এর সবার পক্ষ থেকে জিসান ভাই এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
আল্লাহ ওকে শান্তিতে রাখুন
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আয়রে মরণ তোরে
:duel:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো....... 🙁