ক্যাডেট কলেজ ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ, নবীন ও প্রবীণ, উদীয়মান ও প্রতিষ্ঠিত এক্স ক্যাডেট কবি-লেখকদের এবং তাদের কাজকে সকলের সামনে তুলে ধরার এক অনন্য সুযোগ দানের জন্য। বিশেষ করে শাওনকে (এসসিসি/৯৫-০১) ধন্যবাদ, কারণ সেই প্রথম আমাকে টেলিফোন করে এই মহতি অনুষ্ঠান আয়োজিত হবার খবর দেয়, এবং এ ব্যাপারে আমাকে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে। যদিও এ ব্যাপারে ইসিএফ এ একটা পোস্ট দেখেছিলাম, তথাপি স্মৃতিভ্রমের কারণে অনুষ্ঠানটির কথা আমি ভুলেই যেতে বসেছিলাম। গত একুশে ফেব্রুয়ারীতে একটা সুন্দর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একুশের অনুষ্ঠানমালার ভেতরে এক্স ক্যাডেটদের সদ্য প্রকাশিত অথবা পুরনো বই প্রদর্শনীর ব্যাবস্থা করে ক্যাডেট কলেজ ক্লাব কর্তৃপক্ষ সুধী সমাবেশের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। যতদূর জেনেছি, গত বছর থেকে এ আয়োজন শুরু হয়েছে। আশা করছি, এ ব্যাবস্থা সাংবাৎসরিক চলতেই থাকবে।
অনুষ্ঠানটিতে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে এবং তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সেখানে কয়েকটি নতুন বই এর মোড়ক উন্মোচন করেন, যার মধ্যে আমার “জীবনের জার্নাল”ও ছিল। প্রতিষ্ঠিত লেখক শাকুর মজিদ এবং ইকরাম কবীরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদেরও বই এর মোড়ক সেখানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি দ্বারা উন্মোচিত হয়। সিসিবি’র নিয়মিত লেখক, পাঠক ও মন্তব্যকারী পারভেজকে দেখলাম সেলফি তুলতে মোটামুটি ব্যস্ত, তাই সুযোগ নিয়ে তার সেলফিতে আমিও ঢুকে পড়েছিলাম। সে অনুষ্ঠানের কিছু স্মৃতিচিহ্ন এখানে দিলাম।
এক্স ক্যাডেট এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ, যারা নবীন প্রবীণ লেখকদের বই কিনে তাদেরকে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পরিশেষে, এমসিসি’র দুই আনিসকে, আমার বন্ধু ডাঃ আনিসুর রহমান (৫ম ব্যাচ) আর ১৩তম ব্যাচের আনিসুর রহমানকে অশেষ ধন্যবাদ, ওদের ক্যামেরায় তোলা আমার কিছু ছবি এখানে দেয়ার সুযোগ করে দেবার জন্য। পারভেজকেও ধন্যবাদ, ওর তোলা সেলফি দুটো আমাকে ট্যাগ করার জন্য।
“জ়ীবনের জা্র্নাল” সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য…শুনছেন সকলে।
আনিসুর রহমান, এমসিসি-১৩ ব্যাচ এর সাথে।
আমার বই “জ়ীবনের জা্র্নাল” হাতে সব্যসাচী লেখক সৈ্যদ শামসুল হক, কিছুটা পড়ে দেখছেন, আর লেখিকা আনোয়ারা সৈয়দ হক, আমার মুখ থেকে বইটির পটভূমি সম্বন্ধে শুনছেন।
অনুজপ্রতিম আনিস এর হাতে আমার বই “জীবনের জার্নাল”, পাশে দাঁড়ানো আমাদের এককালের প্রবাদপ্রতিম হাউস ক্যাপ্টেন খন্দকার বদরুল হাসান ভাই।
আমার বই “জীবনের জার্নাল” হাতে লেখিকা ও অধ্যাপিকা আনোয়ারা সৈয়দ হক, পাশে দাঁড়িয়ে কবি সৈয়দ শামসুল হক বইটি সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য শুনছেন। আমার ডান পাশে লেখক শাকুর মজিদ, আর বাঁয়ে পেছনে লেখক ইকরাম কবীর।
পারভেজ এর সেলফিতে আমরা ক’জনা…অনুষ্ঠানের ফাঁকে কিছুটা বিশ্রাম, আমার পাশে বসা সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং তাঁর পাশে উপবিষ্ট লেখক শাকুর মজিদ, এক্স ক্যাডেট-এফসিসি।
ব্লগার, শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা কাজী আহমাদ পারভেজ এর সেলফিতে…
ডঃ সাজ্জাদ হোসেন (এফসিসি) এর সাথে….
আমার বন্ধু ডাঃ আনিছুর রহমান (এনডক্রিনোলজিস্ট, ডায়েবেটিসিয়ান) এর সাথে (এমসিসি/৫ম)….
আমার বন্ধু ডাঃ আনিছুর রহমান (এনডক্রিনোলজিস্ট, ডায়েবেটিসিয়ান) এর সাথে (এমসিসি/৫ম)….
দুই প্রজন্মের দুই এক্স ক্যাডেট, যোগসূত্র-লেখালেখি। বিসিসি এর গোলাম রাব্বী আহমেদ এর সাথে….
ক্যাডেট কলেজ ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রাক্তন সভাপতি, এমসিসি ২য় ব্যাচের খন্দকার বদরুল হাসান ভাই এর সাথে….
এমসিসি ২য় ব্যাচের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহেদুল ইসলাম মন্ডল (অবঃ) ভাই এর সাথে (আমার ডানে)….
দুই প্রজন্মের দুই এক্স ক্যাডেট- এমসিসি ৪৩তম ব্যাচের পলাশ শাকিলের সাথে। বহু গুণের অধিকারী বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যার ছাত্র এই পলাশ দারুণ ছবি আঁকে, একজন সুপরিচিত কন্ঠশিল্পী এবং একজন কার্টুনিস্ট। ক্যাডেট কলেজ ক্লাব থেকে যখন বের হই, তখন ওরা প্রবেশ করছে। ওদের সমসাময়িক বিসিসি’র গোলাম রাব্বী আহমেদ আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। পরের দিন অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসে সে আমার একটি কার্টুন এঁকে আমাকে গিফট করে, যা পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
পলাশের চোখে আমি, ওর পেন্সিল স্কেচে এভাবেই আমার মুখাবয়ব এসেছে।
চমৎকার একটা আর্কাইভ প্রচেষ্টা.........
এই যে কাজটা করলেন, এখানে ঘটনাটা এভাবে রেখে, এখন থেকে শতবর্ষ পরের ক্যাডেটদের জন্য একটা রেফারেন্স তৈরী হয়ে গেল।
ফেবু-এ যে যত যাই লিখুক, ব্লগের এই আর্কাইভিং ক্ষমতা ওটার কখনোই হবে না।
আমার মনে হয়, তাতক্ষনিক প্রতিক্রিয়া পেতে ফেবু নির্ভরতা ঠিক আছে, তবে যেসব তথ্যের আর্কাইভিং ভ্যালু আছে, যা ফিউচার রেফারেন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ন, সেগুলার একটা ব্লগ ভার্শানও এভাবেই রেখে যাওয়া উচিত।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে এ মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরকে এবং যারা বই কিনে লেখকদেরকে উৎসাহিত করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানানোর জন্যই মূলতঃ এই পোস্টটা লিখা।
ক্লাবের উদ্যোগ টি ভালো লেগেছে।
বিশেষ করে হক দম্পতি কে অতিথি করে আনা টা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নিঃসন্দেহে এটা ক্লাবের একটি ভালো উদ্যোগ ছিলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর পোস্টের জন্য খায়রুল ভাইকে ধন্যবাদ।
বই বিষয়ক যেকোন আয়োজনে আমার আকুন্ঠ সমর্থন এবং আগ্রহ। এই মহতী অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা, সংগঠক সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন। লেখক পাঠক সবাইকে শুভেচ্ছা।
কলম চলুক...
ধন্যবাদ মাহবুব, তোমার 'অকুন্ঠ সমর্থন' এর জন্য।
এরকমের ছোট ছোট বাক্যই লেখকেরদেরকে প্রভূত অনুপ্রাণিত করতে পারে, আয়োজকদেরকেও।
শুভেচ্ছা জেনো।