আমি যে বদ এ ব্যাপারে আমার বাপ মা ছোট কাল থেকেই নাকি নিশ্চিত ছিল । আরো ভাল করে বললে আমার দুই বছর বয়সে যখন আমি আমার পাঁচ বছরে বড় বোন কে কামড়ে রক্ত বের করে দিলাম তখন থেকেই তারা আমার বজ্জাতির ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন । কিন্তু ব্যাপার হল বদ হিসেবে আমার সুনাম শুধু আমার বাবা মার মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল না আস্তে আস্তে এটা আত্মীয় স্বজন থেকে পাড়া প্রতিবেশী সবার মধ্যে ছড়িয়ে পরতে থাকল যাদের প্রধান কাজ হল তাদের ন্যাদা ন্যাদা পোলাপাইন গুলারে আমার কাছ থেকে যত সম্ভব দূরে রাখা । আর এভাবে এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পড়তে আমার বদ গুণাবলী আরো অক্ষুন্ন হল আরো ভাল করে বললে ভার্সিটির কিছু ফাউল নাখাস্তা টাইপ পোলাপাইন আমাকে গুরু মাইনা নিল ।
অবশ্য আমি যে কখনো ভাল ছেলে হইতে চাইছি তাও কিন্তু না । আমাদের ক্লাসের মাসুদের মত গুডু গুডু পোলাপাইন গুলার মত আমি কখন ক্লাসে বেশি নাম্বার পাইতে চাই নাই কিংবা একটু লায়েক হবার পর থেকে নিজের মা বোন ছাড়া আর কোন মেয়ে কে মা বোনের নজরে দেখি নাই । আর মাঝে মাঝে রাত্রে বেলা আওলা লাগলে যে মাল টানি নাই তা বলবো না । ক্লাসে আমি কখনোই ঠিক মত যাই নাই আর গেলেও লাস্ট বেন্চ ছাড়া বসি নাই । ক্লাসের মেয়েরা কখনো আমার পাশে বসার সাহস করে নায় কিংবা কথা বলতে চায় নায় কারণ মেয়েদের সুন্দর ফিগার নিয়ে জোরে কমেন্ট দিতে আমি কখনো ছাড়ি নাই । তবে এইগুলা আমি কখনো অস্বীকার করি নাই কেননা আমি কখনো ভাল ছেলে হইতে চাই নাই ।
ক্লাস টেনের পর থেকে কোন মেয়ের শরীর ছাড়া তার অন্য কোন দিকে তাকাই নাই তবে এক পহেলা বৈশাখে কেন জানি আমাদের ক্লাসের রিনি মেয়েটা যখন শাড়ি পড়ে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হেটে যাচ্ছিল তখন আমার মনের মধ্যে একটা করুন হিন্দি গানের সুর বার বার চিড়িক মারতে লাগল । তখন কিছু না বুঝলেও পরে যখন বার বার ঐ গানের সুর মনের মাঝ খানে চিড়িক দিতে লাগল তখন বুঝলাম যে আমার রিনিরে কিছু কথা বলা দরকার । মাল খাইয়া টাল হইয়া আমি যখন এই কথা দোস্তদের বললাম তখন দোস্তরা বলে – মামা তোমার তো হয়ে গেছে , শালা তোমারতো ইশক হয়ে গেছে । সেই রাত্রেও আমি ভাল ছেলে হইতে চাই নাই , এমনকি যখন রিনিরে নিয়া রাতের বেলা গরম স্বপ্ন দেখলাম তখনো না ।
কিন্তু ………… কিন্তু যখন আমি তারপরের দিন রিনিকে লাইব্রীরির কোণায় আমার স্টাইলে সরাসরি বললাম – রিনি আমি তোমাকে ভালবাসি । তখন রিনির উত্তরে আমি চমকায়ে গেলাম কারণ কোন মেয়ে আমার সাথে এইভাবে কথা বলে নায় তারা সবসময় আমার এইসব ফাউল কথাবার্তার পর আমাকে এড়ায়ে গেছে কিন্তু সরাসরি কিছু বলে নায় , তবে রিনি বলল । এই মেয়ে আমাকে বলে কিনা- তোমার মত এত বড় ফাউল ছেলে কিভাবে আমাকে প্রোপোজ করার সাহস পায় । আমি বললাম- আমার মধ্যে তুমি খারাপ ছেলের কি দেখলা ? মেয়ে বলে কিনা আমি গাঞ্জাখোর , বেয়াদপ , মেয়েদের সম্মান করতে জানি না । হায় হায় , মেয়ে বলে কি ? বলে কিনা মাসুদ কে দেখে আমাকে শিখতে ভদ্র ছেলে কি রকম , প্রেম করলে এইসব ছেলের সাথে করবে যাদের কিনা মাসুদের মত উজ্জল ক্যারিয়ার আছে । এইসব শুইনা আমি কিছুটা টাসকি খাইয়া গেলাম আর আমারে সেই রকম টাসকি খাওয়া অবস্থায় রাইখা মেয়ে আবার চলে গেল মাসুদের সাথে লাইব্রীরির কোণায় গল্প করতে ।
সব শুনে দোস্তরা বলল – তুই খালি একবার বল , মাসুদরে রিনি কেন নিজের বাপের নাম ভুলাইয়া দিমু , শুধু তুই একবার বল । কিন্তু আমি বললাম – থাক বাদ দে । এইটা বললাম কারণ তখনো আমার মনের মাঝখানে ঐ হিন্দি গান টা বাজতেছিল । তবে আমি তখনো ভাল ছেলে হইতে চাই নাই ।
আমি ভাল ছেলে হইতে চাই নাই তাই ঐ দিন রাত্রেও সবার সাথে আমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাড় অন্ধকারে মাল খাইতে বসে যাই । তবে মাল খাইলে আমরা সবাই সত্যবাদী হয়ে যাই আর আমাদের মুখ বন্যার মত খুলে যায় । তাই আমরা মাল খাইতে বসলে রায়হানরে সাথে আনি না কারণ ব্যাটা কখনো মাল খায় না । কিন্তু শালা আমাদের ঠিকই খুজে বের করে ফেলে । আমরা তখন আর কিছু বলি না কারণ আমরা সবাই তখন সত্যবাদী হয়ে যাই ।
ঐদিন রাত্রে কয়েক ঢোক পেটে পরতেই আমি সত্যবাদী হয়ে যাই । তখন কথার বন্যায় আমি সবার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত ভাসিয়ে দিতে চাই কিন্তু কেও কিছু বলে না কারণ বাকি সবার তখনো সত্যবাদী হতে আরো অনেক ঢোক বাকি । তখন হঠাত আমি আরো সত্যবাদী হয়ে যাই । আমি বলি আজকের বোতলটা ফাউল, তোরা সব ফাউল আর আমি সবচেয়ে বড় ফাউল । তখন সবার সত্যবাদী হতে আর মাত্র কয়েক ঢোক বাকি তাই সবাই কয় – কেন কেন ? এমন কি মিথ্যুক রায়হানো বলে- কেন কেন ?
তখন গলায় কয়েক ঢোক ঢাইলা আমি বলি – কারণ রিনি কইছে আমি ফাউল । সব কয়টা এক সাথে কয় ঠিক ঠিক কিন্তু রায়হান শালার পুত কিছু কয় না ।
আমি আবার বলি- এই হারামির বাচ্চারা আইজ থাইকা আমি আর তোদের সাথে থাকুম না , আমি ভাল হইয়া যামু আমি লেখাপড়া করুম । বাকি সব শালাই কয় আমরাও তোর সাথে থাকুম না আমরাও ভাল হইয়া যামু । কিন্তু রায়হানের বাচ্চা কিছু কয় না শুধু আন্ধার মাঠের মধ্যে গান ধরে চান্নি পসর রাইতে যাতে আমার মরণ হয় । আমার মাথায় রক্ত উইঠা যায় আমি কই- ঐ হারামি না ভাল হইয়া আমি মরুম না ।
এই সময় একটু দূরে লাইটপোষ্টের নিচে এক মাইয়া হঠাত এক ছেলের জামা ধরে চিতকার দেয়- এই খানকির পোলা আমার বাকি বিশ টেকা দিয়া যা । ছেলেটা তখন মেয়েটাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, ঠিক তখন রায়হান পোলা মাইয়া দুইটার দিকে দৌড় দেয় । মারুফ কয় শালা একা একা ভাল হইতে ভাগতাছে । আমিও ভাল হমু এই বইলা আমিও পিছে পিছে দৌড় দিই সাথে বাকি সবাই । তখনো মাইয়া টা চিতকার করতাছে- ঐ হারামি কাজের আগেতো ৫০ টেকা দিবি কইছিলি এখন বাকি ২০টেকা দে । আমরা এই সময় রায়হানের পিছে পিছে পোলা মাইয়া দুইটার সামনে দাড়াই ঝাপসা চোখে বুঝার চেষ্টা করি কি হচ্ছে । পোলাটা তখন কয় – এই মাগী ভাগ , যা দিছি তা নিয়া ভাগ । ঠিক এই সময় রায়হান বলে – কিরে মাসুদ তুই ?
নিবিড়
nibir110@hotmail.com
১ম? 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি অবসর নিছি। তাই হইতে দিলাম। 😛
যখন নায়ক দৌড় দিল তখন ভাবলাম যে বাংলা নাটক-সিনেমার মতো ভুড়িতে চাক্কু দিয়া মাইরা ফেলবা।
ফেল নাই এবং অনাকাংক্ষিত একটা মোচড় দিছ।
ভালো ছিল। :clap:
🙂
প্রথম লেখার অভিনন্দন...!!! :clap: B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ধন্যবাদ জুনায়েদ ভাই 😀
রাশেদ নি... 😀
ফেরাস্টে ফেরাস্টে লেখা পইড়া ধান্দা খাইছিলাম, এ আমাগো কোন রাশেদ। 😛
পরে বিভাগে দেখি গল্প। 😀
হারামী তুই নাকি বহু আগে থেকে ব্লগাস। x-(
এদ্দিনে বাড়ির কথা মনে পড়ল। 😛
ভাল লাগছে। :hatsoff:
সমসাময়িক ব্লগীয় ধারা অনুযায়ী আরো লেখ, আরো লেখ।
ক্লাস নাইন !!!!!!! 😀
তুই!!!!!!
আমি ব্লগাই তোকে কে বলল??????
বাড়িতে যখন আসছি তখন ব্লাগামু তো অবশ্যই 😛
গোপন সুত্রে সূত্রে খবর পাইসি। :-B
আলমম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্ম দিছে নাকি খবর ......... 😛
আলম আলম আলম :grr: :grr: :grr:
(সর্বসাধারণের জন্যঃ- ইহা আমাদের পরিচিত ব্লগার আলম নহে)
আশেপাশে এত পাবলিক থাকতে আলমের কথা কইলি ক্যান। :-B
আমি তো তোদের দেখেই শিখলাম।
আজকে রহমানের সাথে ছিলাম অনেক্ষণ- বেশ কয়েকবার আলম আলম স্লোগান দেওয়া হয়েছে। 😀
এই পোলাডা নির্ঘাত বেহেশতে যাইব।
ভাইয়া ভালো লাগলো..
ধন্যবাদ ভাইয়া
অসাধারণ :boss:
আপ্নারেও :boss: দিলাম
মামা...............এদ্দিন পর...কই ছিলি তুই...আয় আগে বুকে আয় :hug: :hug: :hug:
খুবি সুন্দর হইসে মামা... :clap: :clap: :clap:
থামিস না...ভরাইয়া দে সিসিবি... :awesome: :awesome: :awesome:
মামা............ খোজ পাইতে একটু দেড়ই হইছে তাই ফলইনে লেট 😀 😀 😀
থ্যাঙ্কু দোস্ত :shy: :shy:
আইচ্ছা ঠিক আছে :grr: :grr:
পড়তে পড়তে ভাবতেছিলাম এই ব্লগে এর আগে একজন 'তার' রিনির ঠ্যালায় হুজুর হইছিল, এইবার বুঝি আরেকজন ভালো হইলো।
কিন্তু শেষমেষ সত্যিই এক্সেলেন্ট হইছে। ধারণাও করি নাই এইভাবে শেষ হবে :clap: :clap: :clap: :clap: ।
রিনিরে স্যালুট। রিনির আরও গল্প চাই 🙂 😛 ।
Life is Mad.
না না না এ হতে পারে না...... :(( :(( :(( :(( :((
আমরা রিনি না মাসুদের গল্প চাই... :grr: :grr: :grr: :grr:
মাসুদের গল্প জানতে চাইলে রসময় দা কে ডাক 😀
সাযেদ ভাই রিনি নামের মাইয়ারা আসলেই ছ্যাকা দেয় 😕
রেজয়ান ভয় নাই মাসুদ আর রায়হান সবার গল্প আসতাছে :grr:
আমারে দেয় নাই 😀
তাহরিন তানজিনের ডাক নাম রিনি 😀
উনিই আমার সেই যাস্ট ফেরেন্ড যারে নিইয়া জিহাদ আমার ইজ্জতের ফালুদা কইরা ব্লগ দিছিল x-(
x-( ওই মিয়া হার্ড ডিস্ক থিকা কিছুই কি ডিলিট হয়না আপনের?যা মনে পড়ছে চাইপা যান কইতাছি x-(
=)) =)) =)) শেষটা দারুণ হয়েছে।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
থ্যাঙ্কু ভাইয়া :shy: :shy: :shy:
দূর্দান্ত ফিনিশিং।
:clap: :clap: :clap:
থ্যাঙ্কু ভাইয়া 😀
*
মারাত্মক একটা লেখা। কঠঠিন ভালো লাগলো।
*
লেখাটি পড়তে মারাত্মক মনোযোগ দরকার। কারণ প্রতিটা বাক্যের রস ধীরে ধীরে আস্বাদন করতে হয়।
*
রায়হানের নামের পোলারা মাল খায়না- এবং তারা সত্যিকার অর্থেই ভালো ছেলে। শুধু রাশেদ নামের পোলারা... 😀
অফ টপিকঃ
শহীদুল জহির ফ্যান ক্লাবে স্বাগতম। অনেকদিন আগে আমি এই স্টাইলে একটা ব্লগ লেখার চেষ্টা করছিলাম।
মনের কথা........ :thumbup: ।
Life is Mad.
প্রথমে বলি লইজ্জা পাইছি :shy:
.........................................................
আমার রুমমেট জাহিদ বলত -শালা তুই কোন কথা সহজ করে বলতে পারস না । এখন দেখি তুইও একি কথা কস । কেম্নে কি 🙁
............................................................
দাড়াও চান্দু রায়হান সিরিজের বাকি গুলা নামাই তাইলে বুঝবা কে মাল 😀
রাশেদ নামের পোলাপাইনদের কিছু বলা হইলে সহজে ছাড়া হবে না x-(
..................................................................
ফ্যান ক্লাবের মেম্বার হইতে পাইরা আমার কি যে খুশি লাগতাছে 😀
তোর এই লেখাটা ঈদের দিন বা তার পরের দিন লেখা ছিল । আর দেখতো তোরে এই গল্পে নজু ভাইয়ের পর কে যেন কইছে তুই শহীদুল জহিরে আক্রান্ত কিনা ভাল কইরা দেখতো পোলাডা কে 😉
হ তোরে লিংকটা পেস্ট করে আমি নিজে একবার দেখে আসলাম। তোরে কমেন্ট দেখি দুই নম্বরে। 😀
কঠিন করে লেখা আর তোর লেখার মাঝে পার্থক্য আছে। আমি কখনই কঠিন লেখা পড়িনা। কিন্তু এইটা পড়লাম। এইটা হলো খুব ধীরে ধীরে মনযোগ দিয়ে পড়ার জিনিস। কঠিন বলে নয়। বুঝাইতে পারি নাই মনে হয়। 😛
এইবার বুঝছি 😀 😛
তোরে ধইরা এই শীতের রাইতে পুকুরে নিয়া চুবান দরকার।
তুইই যে নিবিড় এইটা আমি আজকে জানলাম।
লেখা এখনো পড়িনাই। পড়ে পরে কমেন্ট দিতেসি 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ইয়েছ স্যার :salute:
আমিও জানতাম না 😀
পড় তারপর হবে ......... B-)
তুমি কী সামুর ব্লগার নিবিড় নাকি?
যাই হোক রম্য রচনার প্রতি আমার একটু ব্যক্তিগত দুর্বলতা আছে,
এই লেখাটার সৌন্দর্য তার টুইস্টে।
আরো লিখ।
না না ভাইয়া আমি সামুর নিবিড় না । আমি সচলে একটু একটু লিখি আরকি 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
কি লিখলি মামু। একটানে পইড়া ফালাইলাম। বেশি জোশ। :hatsoff:
আর রায়হান নামের পোলাগুলার আসলেই সমস্যা আছে। এইটা আমি আগেও খিয়াল কৈরা দেখসি।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ঠিক্মতো পড়স নাই বলে মনে হচ্ছে- :-B :-B
জিহাদের সাথে আমি একমত :thumbup: রায়হান নামের পোলাগুলা নাকি আসলেই 😛
১.
সিসিবির সাম্প্রতিক কালের সেরা লেখাগুলির একটা। দূর্দান্ত ফিনিশিং।
২.
গল্পবয়ান-কৌশলে শহীদুল জহির ধাঁচ আছে, তবে পুরোপুরি আসেনি। অন্য কারো আসবে না বলে আমার ধারনা। শহীদুল জহির অনন্য। তার কাছাকাছি যেতে পারাটাও গর্বের।
৩.
প্রথমবার যখন আমি শহীদুল জহিরের 'ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প' পড়ি আমার ভিতরে নাড়া পড়ে গিয়েছিলো। বাংলায় এমন করে আর কেউ ভাষার ঘোর তৈরী করতে পারেন নি।
ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প' বইতে প্রথম গল্প ছিলো 'কোথায় পাব তারে'। সেটা বাদ দিয়ে আমি পড়া শুরু করেছিলাম 'আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস।' এবং এই এক গল্পেই আমার নিজের মধ্যে ঘোর তৈরী হয়ে গেলো। এক ধরনের বিভ্রম । সামান্য উদ্ধৃত করি:
আহা!! জহির জহিরই। আমাদের গরম আর আমাদের তরমুজ তার মতো করে কে আর লিখেছেন?
তারপর পড়লাম 'কোথায় পাব তারে?' শেষ করে দেখি আমার ভিতরেও আব্দুল করিমের মতো এক ধরনের হাহাকার তৈরী হয়েছে।
কোনো রকম জটিল প্রতীক বা বুদ্ধিবৃত্তিক আবহ তৈরি না করে কেবল ভাষার টানে একটি অসাধারণ গল্পের নমুনা ‘কোথায় পাবো তারে’, যা বাংলা সাহিত্যে অনন্য।
৪.
সিসিবিতে স্বাগতম রাশেদ।
:thumbup: :thumbup:
আপনার প্রথম কথার জন্য লইজ্জা পাইছি কামরুল ভাই :shy:
আর শেষ কথার জন্য বলি বাড়িতে তো একদিন আসতে হইতই
শহীদুল জহিরের স্টাইলের আইডিয়াটা আমার ধারণা অনুবাদ করতে গিয়ে এসেছিল। যাই হোক
রাশেদ দারুণ
তোমার জন্য :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আপনার জন্যও রইল :hatsoff:
অসাধারন হয়েছে, কামঅরুল ভাই এর সাথে একমত, সিসিবির সাম্প্রতিক কালের সেরা লেখাগুলির একটা।
তবে পরবর্তি জ্ঞানগর্ভ আলোচনার পুরোটাই মাথার উপর দিয়া গেল। 😕
বহুত পিছাইয়া আছি মনে হচ্ছে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সরি কামরুল ভাই, টাইপিং মিসটেক এর জন্য ~x(
কেউ যদি একটু ঠিক কইরা দিত...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আকাশ ভাই ।
সিসিবির মেম্বার হইতে পারার গর্বটা দিন দিন বাড়তাছে এই অসাধারণ সব লেখকের সাথে থাকার সুযোগ পেয়ে।
অসাধারণ একটা লেখা, প্রথমে ভাবছিলাম তাড়াহুড়া কইরা লেখা। কিন্তু শেষের দিকে আইসা বুঝলাম পুরোটাই লেখকের ইচ্ছাকৃত ক্যারিশমা।
চমৎকার রাশেদ। তোমারে ভাই :salute: :salute:
আরো লেখ আরো লেখ :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফৌজিয়ান ভাই আপনার জন্য রইল :salute: :salute: :salute:
ঠিক কথা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এই গল্পটা আগেই পড়েছিলাম সচলে সম্ভবত, নিজের বাড়িতে আসার জন্য রাশেদ তোমাকে অনেক স্বাগতম ভাইয়া। তোমার আর নতুন নতুন হাইফাই লেখা পড়ার অপেক্ষায়। কুমিল্লা আগে অনেক এগিয়ে ছিল এখন পিছিয়ে পড়েছে দেখ ত টান দিতে পার কিনা, কলেজে কলেজে ব্যপক কম্পিটিশন চলছে।
দেখি কলেজে কলেজে কম্পিটিশনে টান দেওয়ার জন্য নতুন নতুন লেখা দেওয়া যায় নাকি ।
আর কইয়ো না ভাই মেয়ে মানুষ আজ়ীবনই এর পেছনে দৌড়াইতেছে। কে যেন বলছিল আমার ঠিক মনে পড়তেসে না যে, "প্রত্যেক পুরুষের সাফল্যের পেছনে নারীর অবদান আছে কারণ, মেয়েরা কেবল তাদের পেছনেই ঘুরে।"--যাউকগা মনের ব্যথা আর বাড়াইয়ো না।
রেজওয়ানঃ
ভরাইয়া দেওয়া ব্যাপারটা কেমন কেমন জানি লাগতেছে 😕 তবে বেশি বেশি লিখ, কামরুল ভাই এর মতন গুণী পাব্লিক যেখানে ISO সার্টিফিকেট দিসেন, ঐখানে আমি ত নিতান্তই নালায়েক। লেখার স্টাইল চমৎকার এবং গতিময়তা অনেক এক্সাইটিং ছিল। :thumbup: :thumbup: আরো বেশি বেশি লিখে রেজওয়ান এর ভাষায় 'ভরাইয়া' দাও। 😉 😉 😉
তবে যেই হারে লাল পানি সেবনের কথা লিখস, আমার আসলেই ভয় লাগতেসে যে তোমারে মশা কামড়াইলে অর তুমি আগের মতন মানুষ কামড়াইলে না মানুষ আবার অক্কা পায়। ডোজ তা একটু কমানো যায় না?wish u good luck and life. :party:
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ভাইয়া ।
দারুন লিখেছ রাশেদ দারুন। চমৎকার গতি লেখায়।
ব্লগে সু-আগতম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ধন্যবাদ ভাইয়া 😀
রাসুরে,তুই শালা চাপা মারার অভ্যাস কবে ছাড়বি?????????????
চরম হইছে মামা.........
কে এইটা????????? আরে মঞ্জুর তুই ???????
আল্লার দুনিয়ায় এইটা কেমন বিচার...... চাপা মারস তুই কস আমাকে x-(
ধন্যবাদ মামা 😀
আরেক টা কথা মামীর খবর কি 😉
অসম্ভব ভাল লাগসে । দূর্দান্ত ফিনিশিং । প্রিয়তে রাখলাম । :hatsoff:
আপনার শেষ কথায় দারুন অনুপ্রাণিত হইলাম ভাই 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়