১৯৭১ সাল -আমার দেখা প্রথম মুক্তিযোদ্ধা

সিসিবিতে এসে দেখলাম আজ মাত্র একটা পোস্ট। ভাবলাম আগামি কাল পোলাপান মন্তব্য করবে কিসে। তাই সামুতে প্রকাশিত আমার একটা গল্প আজ দিয়ে দিলাম এখানে। গল্প হলেও এটা একটা সত্যা ঘটনা। ২/১ মাস এদিক ওদিক হতে পারে কারন ৩৭ বছর আগের ঘটনা সম্পূর্ন স্মৃতি থেকে লেখা।

প্রায় ৩৭ বছর আগের ঘটনা। আমার বয়স তখন চার বছরের একটু বেশি।

বিস্তারিত»

ভিকি ক্রিস্টিনা আর বার্সেলোনা

ভিকি ক্রিস্টিনা আর বার্সেলোনা একটা হালকা, মাস ফুরানোর আগেই ভুলে যাওয়ার মতো কিন্তু মজার সিনেমা। ইদানিং কালের কমেডি সিনেমা গুলোর তুলনায় যথেষ্ট মজার।

সিনেমার টাইটেল এর ভিতরেই আছে তিন চরিত্র। ভিকি একজন সেরিব্রাল সচেতন তরুনী, (ব্রিটিশ রেবেকা হল আমেরিকান উচ্চারনে দারুন করেছে) ক্যাটালান সংস্কৃতির উপর পড়াশুনা করছে। বিত্তশালী ফিয়াঁসেকে নিউ ইয়র্কে ফেলে বন্ধুর সাথে বার্সেলোনা এসেছে গ্রীস্মের ছুটি কাটাতে। ভিকির বন্ধু উদ্দাম, খেয়ালী ক্রিস্টিনা (স্কারলেট জোহান্সন),

বিস্তারিত»

বুলশীট

[এই লেখাটি কেবলমাত্র প্রচন্ড নিরাবেগ, স্থিরবুদ্ধি এবং চিন্তাশীল ক্যাডেটদের জন্যে…কাজেই, আমার মতন আউলা ঝাউলা পাবলিকরা ফুটতে পারেন!!!!!!!!!]
প্রারম্ভঃ
আমি আগেই বলেছিলাম…[আমি আবারও কিছু বলিতে পারিলামনা-৭ (শেষ পর্ব)]…প্রত্যেকটি ক্যাডেটের মাঝেই একটা দ্বৈতসত্ত্বা বাস করে।
নিজেকে দিয়েই আমি ব্যাপারটা পুরোপুরি উপলব্ধি করি…
প্রতিটা ক্যাডেটই একই সাথে…casual & serious; অলস আবার শেষ রাইতে ঠিকই বাড়ি দিয়া পইড়া ফেলায়…; চরম ইনফরমাল আবার একইসাথে ফরমালিটির বিশাল বস!!!!!

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ ০০৫

জুলহাস ভাইর টানা ৪টা পোস্ট পড়ে বিশাল অনুপ্রাণিত হয়ে গেলাম। আসলেই দেশের জন্য চায়ের কাপে আড্ডা ছাড়া কোনদিন কিছু করেছি বলে মনে পড়ছে না। রাজনীতিতে নামব বলে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দেশের বাইরে চলে এসেছি আর বাসায় যখন এটা বলতাম তখন সবাই মিলে ঝাড়ি দিত। জুলহাস ভাইর লেখা পড়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম কি করা যায়। সবসময় এইসব নিয়ে কথা হয় কিন্তু কখনই শেষ পর্যন্ত কেউ কোন প্রস্তাবনা দেয় না।

বিস্তারিত»

রবি ভাই ও অন্যান্য

রবি ভাইকে আমি চিনি বড় সংকটের সময়। আমার পকেটে তখন টাকা নেই। বাবার কথা না শোনার কারণে বাড়ি থেকে টাকা বন্ধ। মাও তার গোপনে জমানো টাকা দিতে সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। অপরাধ- নিজের টাকা কামানোর মুরোদ নেই অথচ বাপের টাকায় সিগারেট খাই। অবিচার আর কি।

একদিন ভুল করে ছোট ভাইকে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। দুপুরে কি কি যেন খাওয়ারও বায়না করেছিল। কিন্তু ভারি বিস্ময়ের সাথে ও লক্ষ্য করল দুপুরে আমার কাছে খাওয়ার টাকা থাকে না কিন্তু সিগারেট খাই গন্ডায় গন্ডায়।

বিস্তারিত»

বই পড়া, বই উপহার পাওয়া

মনে আছে খুব ছোট বেলায় আমার মা আমাকে আলালের ঘরে দুলাল বইটা কিনে দিয়েছিল। বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস। পড়েছিলাম এবং কিছুই যে বুঝি নি সেটাও বেশ মনে আছে। আলালের ঘরে দুলাল ছিল আমার প্রথম নিজের বই।
সিক্সে পড়া সেই আমার তখন বই কেনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। মনে আছে একবার শিশু একাডেমিতে যেয়ে ৫/৬টা বই কিনে এনেছিলাম। নাম এখন আর মনে নেই। একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরি করার ইচ্ছা তখন থেকেই আমার মাথায়।

বিস্তারিত»

সিসিআর-এ আমার প্রথম দিন

লিখতে চাইছি কলেজে আমার প্রথম সকালের কথা। কিন্তু মনে নাই তো :(( –

আসলে প্রথম সপ্তাহের অনেক কথাই মনে নাই। শুধু মনে আছে অভিষেক অনুষ্ঠানে ‘হাসিব’ ভাইয়ের হাওয়া ‘বুঝিনি তো আমি’ গান’টা।অডিটোরিয়ামে আম্মা, আব্বা আর এক মামার সাথে বসে গান’টা শুনতে বেশ ভাল লেগেছিলো। শেষ বিকেলে যখন হাউস অফিস থেকে আব্বা-আম্মা’কে বিদায় জানাচ্ছিলেন নাজনীন ম্যাডাম, দুচোখের পানি ধরে রাখতে না পেরে দৌড়ে রুমে চলে গিয়েছিলাম।

বিস্তারিত»

ছন্নছাড়া-র ছন্নচিন্তার সময়লিপি

জাপানে কয়েকদিন পরপর যেন কিসের সব ছুটির দিন থাকে। কিসের ছুটি তা জানার ইচ্ছাটাও জাগে না অনেক সময়। ভাবি ছুটি পাইছি আর কি দরকার বাকিসব জানার। আজও সেরকম একটা ছুটির দিন। এক্সাম এর মাঝে ছুটি পড়ছে ,এতে আরো বেশি খুশি। একবার ক্যালেন্ডার খানার দিকে তাকাইলাম। দেখতে ছুটিটা কিসের। কানজিতে যা লেখা আছে তার মানেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর ইচ্ছে করল না। নিজেকে আগের মতোই বুঝালাম ,“এতো মাথা ঘামায়ে কি হবে,ছুটি পাইছোস মজা নে” ।

বিস্তারিত»

কিংকর্তব্যবিমূঢ় …

টুশকি আর পুশকিকে দেখে আমিও এট্টু দুঃসাহস দেখানোর ট্রাই দিলাম 😡

১। ডাইনিং হলে অনেকবার বলার পরও টেবিল লিডারের পারমিশন ছাড়া খাবার নষ্ট করায়, কোন এক জুনিয়রকে আধাঘন্টা পাঙ্গা এবং উপদেশ শুনতে হলো। অতঃপর ওর লকার পার্টনার (গাইড) বিরক্তি সহকারে জিজ্ঞেস করলেন, “এক কথা কতবার বলতে হয়, তুমি কোন কথা একবারে বুঝো না?” জুনিয়রের সরল প্রত্যুত্তোর, “বুঝতে পারলাম না,

বিস্তারিত»

মেডেল প্যারেড ২০০৯ (আনমিল, বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টস্‌)

গতকাল লাইবেরিয়াতে হয়ে গেল আমাদের এতদিনের বহু প্রতীক্ষিত “মেডেল প্যারেড”। দীর্ঘ দেড় মাস প্যারেড অনুশীলনের পর আমাদের এই ফাইনাল প্যারেড হলো। শেষ হলো আমাদের মেডেলের প্রতীক্ষার পালা। আমরা সবাই ইউ এন মেডেল পেলাম। প্যারেডের পরে হলো কেক কাটা, প্রীতি ভোজ এবং একটি কালচারাল প্রোগ্রাম। সমস্ত দিনের উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নিয়ে আমার আজকের এই ব্লগ, সেই সাথে আমার প্রথম ছবি ব্লগ

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৫)

ক্লাশ সেভেনে আমদের রুমমেট, বেস্টফ্রেন্ড আর কিছু ক্লাশমেটের কথা :

আমার রুমমেট দিয়েই শুরু করি। আমাদের কলেজের রুমগুলি পুরাতন ক্যাডেট কলেজের মতো নয়। রুমগুলো ছোট ছোট এবং এক রুমে তিনজন করে থাকতে হতো। আমার রুমমেট ছিল মোঃ খালেকুজ্জামান জর্জ( ১২৭) এবং মোঃ রেজাউল হক ( ১৪৯)। নতুন ক্যডেট কলেজ হবার সুবাধে আমরা কেউ ইংরেজীর চর্চা করতাম না। জর্জ সুযোগ পাক না পাক ইংরেজীতে কথা বলার চেষ্টা করতো এবং ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে অনেক কিছু আগে থেকে জানতো,

বিস্তারিত»

মেমেন্টো

ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস না করার শাস্তি আমি এখনো মাঝে মাঝে পাই। একবারে পথে ঘাটে।

ফার্স্ট ইয়ারে আমি কার্জন হল ভালো করে চিনতামই না। দিনরাত কাটতো কলাভবনে। টিএসসিতে। ওখানে মেয়েরা কতো সুন্দর করে সেজেগুজে আসে। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। তার তুলনায় কার্জন হলের মেয়েরা একেবারে রসকষহীন। যেমন ডিপার্টমেন্ট, তেমনি তার ছাত্রী। দুই একটা ব্যাতিক্রম অবশ্য ছিলো। যেমন জুয়োলজি। আমরা বলতাম ‘লিপ্সটিক সাইন্স।’ এই নামের অবশ্য একটা মাহাত্ম্য ছিলো।

বিস্তারিত»

সিসিবি গুরুদের কাছে একটা অনুরোধ

ব্লগ সিনিয়র সানাউল্লাহ ভাইয়ের কাছে ‘যথাযথ’ ওয়েলকাম পাবার পরে বেশ ফুরফুরে অনুভব করলাম। আর তখনই একটা জিনিস মাথায় এলো। ব্লগে দেখলাম এই পর্যন্ত ১২৭৪টা পোস্ট, ৪৮২ জন সদস্য, ৪২,১৮৬ মন্তব্য।

সময়ের স্বল্পতা, ইন্টারনেট স্পীড, ‘সারভার ডাউন’ ইত্যাদির কারণে অনেকের হয়তো বেশ পেছনের পোস্টগুলো পড়া হবে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত এই ব্লগে অনেক দামী অথবা মজার রচনা অতীতে হারিয়ে যাচ্ছে। ব্লগের অধিকাংশ যেহেতু আমাদের অতীত-কেন্দ্রিক,

বিস্তারিত»

স্যার ডানছের ছোডে খালি বাত্তি জ্বলে আর নিভে

প্রেপটা রীতিমতো একটা যন্ত্রণা! এইভাবে ধইরা-বাইন্ধা কি পড়াশুনা হয়? কিন্তু কি আর করা! ক্যাডেট কলেজের নিয়ম বলে কথা। সন্ধ্যার পর সাদা ফুল শার্ট, ফুল প্যান্ট, ব্ল্যাক সু’র সঙ্গে আবার কলেজ ক্র্যাস্টের প্রিন্টে টাই গলায় ঝুলিয়ে ফুল বাবু সেজে পড়তে বসতে হবে! অ্যাকাডেমিক ব্লকে তখন চক্কর দেবেন একজন ডিউটি মাস্টার। তিনি ঘুরে ঘুরে দেখবেন ছেলেরা পড়ছে, নাকি দুস্টুমি করছে! ধরা পড়লে এক্সট্রা ড্রিল তো বান্ধা।

তখন ক্লাস নাইন কি টেনে পড়ি আমরা।

বিস্তারিত»

ট্রেইনড ক্রিমিনাল

আমাদের এক মেজর সাহেব বলেন আমরা নাকি ‘ট্রেইনড ক্রিমিনাল’ মানে cadet college guys.
তয় কথাটা ভুল কয় নাই।এখানকার বিভিন্ন গাছের ফল দেখলে হাত টা খালি নিশপিশ করে, ইসসস-যদি একটু চুরি কইরা খাইতে পারতাম।
এমনি খাইতে একদমই মজা নাই 😛

বিস্তারিত»