মনে আছে খুব ছোট বেলায় আমার মা আমাকে আলালের ঘরে দুলাল বইটা কিনে দিয়েছিল। বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস। পড়েছিলাম এবং কিছুই যে বুঝি নি সেটাও বেশ মনে আছে। আলালের ঘরে দুলাল ছিল আমার প্রথম নিজের বই।
সিক্সে পড়া সেই আমার তখন বই কেনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। মনে আছে একবার শিশু একাডেমিতে যেয়ে ৫/৬টা বই কিনে এনেছিলাম। নাম এখন আর মনে নেই। একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরি করার ইচ্ছা তখন থেকেই আমার মাথায়।
সিসিআর-এ আমার প্রথম দিন
লিখতে চাইছি কলেজে আমার প্রথম সকালের কথা। কিন্তু মনে নাই তো :(( –
আসলে প্রথম সপ্তাহের অনেক কথাই মনে নাই। শুধু মনে আছে অভিষেক অনুষ্ঠানে ‘হাসিব’ ভাইয়ের হাওয়া ‘বুঝিনি তো আমি’ গান’টা।অডিটোরিয়ামে আম্মা, আব্বা আর এক মামার সাথে বসে গান’টা শুনতে বেশ ভাল লেগেছিলো। শেষ বিকেলে যখন হাউস অফিস থেকে আব্বা-আম্মা’কে বিদায় জানাচ্ছিলেন নাজনীন ম্যাডাম, দুচোখের পানি ধরে রাখতে না পেরে দৌড়ে রুমে চলে গিয়েছিলাম।
বিস্তারিত»ছন্নছাড়া-র ছন্নচিন্তার সময়লিপি
জাপানে কয়েকদিন পরপর যেন কিসের সব ছুটির দিন থাকে। কিসের ছুটি তা জানার ইচ্ছাটাও জাগে না অনেক সময়। ভাবি ছুটি পাইছি আর কি দরকার বাকিসব জানার। আজও সেরকম একটা ছুটির দিন। এক্সাম এর মাঝে ছুটি পড়ছে ,এতে আরো বেশি খুশি। একবার ক্যালেন্ডার খানার দিকে তাকাইলাম। দেখতে ছুটিটা কিসের। কানজিতে যা লেখা আছে তার মানেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর ইচ্ছে করল না। নিজেকে আগের মতোই বুঝালাম ,“এতো মাথা ঘামায়ে কি হবে,ছুটি পাইছোস মজা নে” ।
বিস্তারিত»কিংকর্তব্যবিমূঢ় …
টুশকি আর পুশকিকে দেখে আমিও এট্টু দুঃসাহস দেখানোর ট্রাই দিলাম 😡
১। ডাইনিং হলে অনেকবার বলার পরও টেবিল লিডারের পারমিশন ছাড়া খাবার নষ্ট করায়, কোন এক জুনিয়রকে আধাঘন্টা পাঙ্গা এবং উপদেশ শুনতে হলো। অতঃপর ওর লকার পার্টনার (গাইড) বিরক্তি সহকারে জিজ্ঞেস করলেন, “এক কথা কতবার বলতে হয়, তুমি কোন কথা একবারে বুঝো না?” জুনিয়রের সরল প্রত্যুত্তোর, “বুঝতে পারলাম না,
বিস্তারিত»মেডেল প্যারেড ২০০৯ (আনমিল, বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টস্)
গতকাল লাইবেরিয়াতে হয়ে গেল আমাদের এতদিনের বহু প্রতীক্ষিত “মেডেল প্যারেড”। দীর্ঘ দেড় মাস প্যারেড অনুশীলনের পর আমাদের এই ফাইনাল প্যারেড হলো। শেষ হলো আমাদের মেডেলের প্রতীক্ষার পালা। আমরা সবাই ইউ এন মেডেল পেলাম। প্যারেডের পরে হলো কেক কাটা, প্রীতি ভোজ এবং একটি কালচারাল প্রোগ্রাম। সমস্ত দিনের উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নিয়ে আমার আজকের এই ব্লগ, সেই সাথে আমার প্রথম ছবি ব্লগ
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৫)
ক্লাশ সেভেনে আমদের রুমমেট, বেস্টফ্রেন্ড আর কিছু ক্লাশমেটের কথা :
আমার রুমমেট দিয়েই শুরু করি। আমাদের কলেজের রুমগুলি পুরাতন ক্যাডেট কলেজের মতো নয়। রুমগুলো ছোট ছোট এবং এক রুমে তিনজন করে থাকতে হতো। আমার রুমমেট ছিল মোঃ খালেকুজ্জামান জর্জ( ১২৭) এবং মোঃ রেজাউল হক ( ১৪৯)। নতুন ক্যডেট কলেজ হবার সুবাধে আমরা কেউ ইংরেজীর চর্চা করতাম না। জর্জ সুযোগ পাক না পাক ইংরেজীতে কথা বলার চেষ্টা করতো এবং ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে অনেক কিছু আগে থেকে জানতো,
বিস্তারিত»মেমেন্টো
ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস না করার শাস্তি আমি এখনো মাঝে মাঝে পাই। একবারে পথে ঘাটে।
ফার্স্ট ইয়ারে আমি কার্জন হল ভালো করে চিনতামই না। দিনরাত কাটতো কলাভবনে। টিএসসিতে। ওখানে মেয়েরা কতো সুন্দর করে সেজেগুজে আসে। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। তার তুলনায় কার্জন হলের মেয়েরা একেবারে রসকষহীন। যেমন ডিপার্টমেন্ট, তেমনি তার ছাত্রী। দুই একটা ব্যাতিক্রম অবশ্য ছিলো। যেমন জুয়োলজি। আমরা বলতাম ‘লিপ্সটিক সাইন্স।’ এই নামের অবশ্য একটা মাহাত্ম্য ছিলো।
বিস্তারিত»সিসিবি গুরুদের কাছে একটা অনুরোধ
ব্লগ সিনিয়র সানাউল্লাহ ভাইয়ের কাছে ‘যথাযথ’ ওয়েলকাম পাবার পরে বেশ ফুরফুরে অনুভব করলাম। আর তখনই একটা জিনিস মাথায় এলো। ব্লগে দেখলাম এই পর্যন্ত ১২৭৪টা পোস্ট, ৪৮২ জন সদস্য, ৪২,১৮৬ মন্তব্য।
সময়ের স্বল্পতা, ইন্টারনেট স্পীড, ‘সারভার ডাউন’ ইত্যাদির কারণে অনেকের হয়তো বেশ পেছনের পোস্টগুলো পড়া হবে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত এই ব্লগে অনেক দামী অথবা মজার রচনা অতীতে হারিয়ে যাচ্ছে। ব্লগের অধিকাংশ যেহেতু আমাদের অতীত-কেন্দ্রিক,
বিস্তারিত»স্যার ডানছের ছোডে খালি বাত্তি জ্বলে আর নিভে
প্রেপটা রীতিমতো একটা যন্ত্রণা! এইভাবে ধইরা-বাইন্ধা কি পড়াশুনা হয়? কিন্তু কি আর করা! ক্যাডেট কলেজের নিয়ম বলে কথা। সন্ধ্যার পর সাদা ফুল শার্ট, ফুল প্যান্ট, ব্ল্যাক সু’র সঙ্গে আবার কলেজ ক্র্যাস্টের প্রিন্টে টাই গলায় ঝুলিয়ে ফুল বাবু সেজে পড়তে বসতে হবে! অ্যাকাডেমিক ব্লকে তখন চক্কর দেবেন একজন ডিউটি মাস্টার। তিনি ঘুরে ঘুরে দেখবেন ছেলেরা পড়ছে, নাকি দুস্টুমি করছে! ধরা পড়লে এক্সট্রা ড্রিল তো বান্ধা।
তখন ক্লাস নাইন কি টেনে পড়ি আমরা।
বিস্তারিত»ট্রেইনড ক্রিমিনাল
আমাদের এক মেজর সাহেব বলেন আমরা নাকি ‘ট্রেইনড ক্রিমিনাল’ মানে cadet college guys.
তয় কথাটা ভুল কয় নাই।এখানকার বিভিন্ন গাছের ফল দেখলে হাত টা খালি নিশপিশ করে, ইসসস-যদি একটু চুরি কইরা খাইতে পারতাম।
এমনি খাইতে একদমই মজা নাই 😛
একটি অদ্ভুত, নির্লোভ অথবা সরল প্রার্থনা
এসেই দেখলাম একটা মন খারাপ করা পোস্ট। উপমার জন্য। ও ভাল হয়ে যাক দোয়া করি। ছোটদের কষ্ট আর ভাল্লাগে না।
আমি ধর্মে বিশ্বাস করি। আমি ধর্মপ্রাণ না হলেও ধর্মভীরু। তবে এই ব্যাপারটা ধর্মের সীমানায় আবদ্ধ নয়।
আমার একটা অদ্ভুত অভ্যাস আছে। রাস্তা দিয়ে যখন হুটার বা সাইরেন বাঁজিয়ে ছুটে যেতে দেখি কোন এম্বুলেন্সকে, আমি চট করে আমার নিজস্ব ভাষায় একটা ছোট্ট দোয়া পড়ে ফেলিঃ
“হে আল্লাহ্!
বিস্তারিত»আমার কাজলাদিদিরা -৩ (চামু)
আমার কাজলাদিদিরা ২
ওর আসল নাম হচ্ছে চামেলী। আমার খালাত বোন। কলেজে ৯ এ উঠার সময় এক ছেলের সাথে আমার বাজি হল পরের টার্মে ওর থেকে আমি বেশি চিঠি পাব। কিন্তু টার্ম শুরু হওয়ার পর বুঝতে পারলাম খুবই অসম্ভব ব্যাপার। আমার বাসা থেকেই আমাকে মাসে একখানা চিঠি লেখে। আর ও প্রতি সপ্তাহে ৩-৪টা চিঠি পেয়ে যাচ্ছে। কি আর করা বাজিতে হারব বুঝে গেলাম।
মাই বেস্ট ফ্রেন্ড…!!!
শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়ত নষ্টালজিক হয়ে যাবেন, চোখে ভেসে উঠবে প্রিয় মুখগুলো একের পর এক…কেউ কেউ পুরনো দিনগুলোর কথা মনে করে নিজের অজান্তেই হয়ত হেসে উঠবেন। আবার যারা ইদানিং বন্ধুদের কাছে ‘সিল’ খেয়েছেন- তাদের ক্ষেত্রে দাঁত কিড়মিড় করে গাল দিয়ে ওঠাটাও বিচিত্র কিছু হবে না…তবে, আমার পছন্দ সেই পার্টিকে- যাদের কিছুই মনে হবে না, এবং যারা টানা লেখাটা পড়তে থাকবেন…!!!
আমরা সবাই অনেক ভাগ্যবান।
বিস্তারিত»এক অযোগ্য মামা ও তার অংকন প্রতিভার গল্প
আমি আর্টের টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি কিছুই বুঝি না। এমনকি এবিষয়ে কোনো পড়াশুনাও নাই। তারপরও শিল্পের এই দিকটা আমাকে খুব টানে। একটা মুগ্ধতা ছিল সব সময়ই। নিজে যেমন কলস আঁকলে ড্রয়িং টিচার খাতা নিয়ে হাসতে হাসতে বলত ” তুই কিছু আঁকলে নিচে নাম লিখে দিস, না হলে কলস কে বদনা মনে হয় ” । আমার হাতি সবসময়ই ছাগলের কাছাকাছি হতো, পেঁপেঁ হতো লিচুর মতো। আমার গোলাপফুল আঁকা দেখলে দুনিয়ার কোন প্রেমিকই তার প্রেমিকাকে ভুলেও কোনদিন গোলাপফুল দিতে চাইবে না ।ক্যাডেট কলেজের আর্টের শিক্ষক আরিফুর রহমান স্যারের কিছু শর্ট লিস্টেড তালিকায় আমার নাম ছিল যাদেরকে শুধু অন্য বিষয়ের রেজাল্টের জোরে আর্টে পাশ করতে হতো।
বিস্তারিত»চাকরি ইজ ইম্পরট্যান্ট
একটা জোক শুনলাম। মজা লাগসে… সো এখানে দিয়া দিলামঃ
জার্মান-রা বলতেসেঃ আমরা এমন একটা টেকনোলজী বাইর করসি কিডনী অপারেশন-এর, রোগী ২ সপ্তাহের মধ্যে ভাল হয়ে যাবে, এন্ড উইল স্টার্ট লুকিং ফর জব।
রাশিয়ান-রা বলতেসেঃ আমরা এমন একটা সিস্টেম বাইর করসি হার্ট অপারেশন-এর, রোগী ১ সপ্তাহের মধ্যে দৌড় দিবে এন্ড উইল স্টার্ট লুকিং ফর জব।
আমেরিকান-রা এখন বলতেসেঃ আমরা এমন একটা স্ট্র্যাটেজি খাটাইসি ব্রেইন অপারেশন-এর –