প্রায় দশ বছর আগে কুমিল্লার এক গন্ডগ্রামের এক কলেজে ৩জুন তারিখে প্রবেশ করেছিল ঐকলেজের ভবিষ্যৎ এর একজন সুপারস্টার। তাহার পড়াশুনায় ধারে আর রূপ সৌন্দর্যে তখন ডুবিয়াছিল পুরা কলেজ। আমরা তখন তাকে ভয়ে ভয়ে দেখিতাম আর ভাবিতাম আল্লাহ যাকে দেয় ছাপ্পড় মারিয়া দেয়। আমরা যখন বাংলায় কোনমতে পাশ করিতাম তখন এই ব্যাটা হায়েস্ট এর পর হায়েস্ট পাইয়া আমাদের ইজ্জতের ফালুদা বানাইত। x-(
কিন্তু কালেকালে অনেকবেলা তো হল।
হাবিজাবি: স্পেশাল ডিনার!
বিষ্যুদবার। বৃহস্পতিবার।
ইংরাজিতে থার্সডে। সন্ধ্যে নামার অনেকক্ষণ আগে থেকেই আমাদের অপেক্ষা শুরু হতো। আজ ডিনারে কে কার কাছ থেকে কাস্টার্ড পাবে- কে কাবাবের সাথে স্যুপ অদলবদল করবে অন্য কারো সাথে। এসব আলোচনা শুরু হতো পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা কলেজটায় – আমার প্রানের কলেজটায় সন্ধ্যে নামার অনেক আগে!
টিভি রুমের ভিসিডি শোতে সামনের চেয়ারে কে বসবে এসব নিয়ে খুনসুটির মাঝপথে যখন ডিনারের হুইসেল বাজতো- আমরা য়খন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন সাথে সাথে ছুটতাম ফলইনে।
বিস্তারিত»মেঘ পিয়নের চিঠি
সাউথ হলের পাঁচতলার আমাদের ব্লকের সীমানায় একেবারে পূর্ব দিক ঘেঁষে করিডোরের শেষ মাথায় যে জায়গাটুকু সেটা আমাদের সবারই খুব প্রিয় জায়গা। সেখানে হাত দিয়ে হেলান দেয়ার জায়গাটুকুতে পা ছড়িয়ে বসে আয়েশ করে অনেক কিছুই দেখা যায়। ইট কাঠের জঞ্জালের ধোঁয়া ওঠা শহরে এখনো যে কিছু গাছ আছে সেটা বোঝা যায় সবচে ভালোভাবে।
বিস্তারিত»আত্ম-পরিচয় নিয়ে আমার ভাবনা-৩
আত্ম-পরিচয় নিয়ে আমার ভাবনার দ্বিতীয় কিস্তিতে সানাউল্লাহ ভাইয়ের একটা মন্তব্য থেকে নেওয়া প্রশ্নমালা ধরে তৃতীয় কিস্তি শুরু করলাম। “আমি এলাম কোথা থেকে? কিভাবে? আমি নাকি সৃষ্টির সেরা জীব! এই মিথ কে তৈরি করলো? আমি সৃষ্টির কতোটা জানি?”
আমাদের ইতিহাস, মানে মানুষের ইতিহাস এক অর্থে মানুষের নিজেদেরকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে জাহির করার ইতিহাস। প্রতি যুগেই মানুষ নিজেদেরকে জগতের মধ্যে সেরা হিসেবে উপস্থাপণ করার চেষ্টা করে গেছে।- এই অনুকল্প’কে ভিত্তি ধরে আমি আজকের আলোচনা এগিয়ে নিতে চেষ্টা করব।
বিস্তারিত»একডজন অণূকাব্য … অনেকগুলা কম (নামকরণের কপিরাইটঃ টিটো)
১।
দখিনা বাতাসে তার এলোচুল উড়ে যায়
উড়ে যায়
উড়ে যায়
ছুয়ে যায় আমার বুকের তপ্ত বালুচর
নিঃস্বঙ্গ মরুকে যেমন অকস্মাৎ ছুয়ে যায়
সাইমুম ঝড়
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২
সেদিন কি যেন একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল, ক্লাসের সব মেয়েদের সাথে স্বাতীও দেখি শাড়ি পড়ে এসেছে। শাড়ি পড়ার সাথে সাথে মেয়েদের মধ্যে একটা অন্যরকম পরিবর্তন আসে, আমি আগে কখনও খেয়াল করিনি। ওকে দেখার পর আমার মধ্যে তৈরী হওয়া বিষ্ময়-ভালোলাগা মিশ্রিত এই অনুভুতিটাকে কেন জানি একান্তই নিজের মনে হল! সেসময় হ্যাবলার মত তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করছিলাম বলে মনে পড়ছেনা।
বিস্তারিত»সকালের মুক্তা
সকাল যখন মুচকি হেসে..
ছড়িয়ে আলো চারদিকে..
চোখের উপর আস্তে বসে..
ডাকে আমায় তার দিকে..
তন্দ্রা তখন দৌড়ে পালায়
হুড়মুড়িয়ে তার ছোটা..
ঝকমকানো মুক্তো দেখি
আসলে পানির ফোটা!!
হাইট অফ ট্রান্সলেশন-২ (ছবিব্লগ)
একটি মূর্তিনির্মাণের সময় যা যা ঘটে
“উদভ্রান্ত সফেদ, দুলে ওঠো নীল তেপান্তর!”
আমি তার প্রান্তরেখায় তোমার মূর্তি বানাই,
ক্রমশ এগিয়ে আসা তারাদল; সেখানে
স্মিত হাসিমুখঃ নিয়ন-সুলভ- এঁকে রাত জেগে থাকে। আর
আমি হাতুড়ি বাটাল মেপে, নিখুঁত আঘাতে
প্রান্তরেখা ঝকঝকে ধারালো করি
যারা পর্যটক ছিলেন। আমাদের দেশে, মাটি ঘেঁষা সে’সকল
জটাচুলো পথিকেরা, এসে খুব মনোযোগী, দেখে
আমার কেরদানি। মূর্তির গায়ে দিগন্তভেদী আলো জমে থাকে,
কলেজের গন্ধ
কতই বা বয়স ছিল আমাদের। ১১/১২/১৩? ঐ অতটুকু বয়সে ছাড়লাম ঘর। আর ফেরা হয়নি। মা-বাবার আদরের সান্নিধ্য ছেড়ে শতাধিক ক্রোশ দূরে এক অজানা অচেনা জায়গাকে কি সহজেই আপন করে নিলাম। আসলেই কি আপন করতে পেরেছিলাম? হোম-সিকনেস আর ‘কলেজ ফিলিংসের’ একটা দ্বৈতস্বত্বা কি বাস করেনি আমার মাঝে? কলেজে থাকতে বাড়ির টান, আর ছুটিতে থাকতে কলেজের টান – এই দুইয়ের মাঝে পার করে দিলাম শৈশব-তারুণ্যের ছয় ছয়টি বছর।
বিস্তারিত»আমার কাজলাদিদিরা – ৪ (নিশুআপু)
আমার কাজলাদিদিরা -৩ (চামু)
২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল দেশ ছাড়লাম। কোন রকম এপ্রিলফুল ছাড়াই আমরা জাপানে চলে আসলাম। বন্ধুরা মজা করে বলছিল তোদের নিশ্চয়ই প্লেনে তুলে চিটাগং নিয়ে নামিয়ে দিবে। চিটাগং এর ভাষা না বুঝে তোরা মনে করবি আসলেই জাপানে আসছিস। এরকম আরো অনেক মজার কথা বলে অনেকেই মন ভাল করার চেষ্টা করছিল। যখন আসছিলাম তখন ভেবেছি ৪-৫ বছর মনে হয় আর দেশে আসতে পারব না বন্ধুদের সাথে দেখা হবে না,
টুকলিফাইং – ০৪
কল্পনার এপিটাফ
ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলে চাইলাম,
নিশ্ছিদ্র অন্ধকার, ছন্দপতনহীন নীরবতা মাঝে।
যখন জেগে ছিলাম মূমুর্ষূ আমার চারপাশে ছিল কত কি!
মা, বাবা, আত্মাহীন আত্মীয়,
ফিনাইলের গন্ধ, সাদা চাদর, নিষ্প্রাণ ডাক্তার
আর ছিল শুকিয়ে যাওয়া কালো গোলাপ, সাদা রজনীগন্ধা।
আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে……
গত দুইদিন ধরে লস এনজেলসে বৃষ্টি হল, সেই সাথে হাড় কাঁপিয়ে ঠান্ডা (অবশ্য এখানকার মাত্রায়)। সাত তলায় আমার ছোট্ট রুমের জানালা দিয়ে চোখে পড়ে সামান্য দূরের ‘শান্তা-মনিকা’ পাহাড়, কুমারীর সযত্ন আঁচড়ে তোলা চুলের শিঁথীর মত তার গা ঘেষে এঁকেবেকে উঠে যাওয়া পাহাড়ি রাস্তা। বৃষ্টি নামলে আবছা কুয়াশামত কিছু একটা দৃষ্টিসীমায় এসে প্রতিদিনকার চেনা দৃশ্যটাকেই খানিকটা অচেনা করে দেয়। গতকালও এমন হয়েছিল, আমার চেনা দৃশ্যটা অন্যরকম হয়ে দেখা দিয়েছিল।
বিস্তারিত»প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১
কয়েকদিন থেকে মনটা খুব খারাপ ছিল। সিসিবি থেকে নীরব নির্বাসনে চলে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু তা আর পারলাম কই? শওকত ভাইয়ের সেরা ১০ মুভি নিয়ে লেখায় ঠিকই কমেন্ট করে ফেললাম। ওখানে আবার সামিয়ার সাথে হালকা ভুল বোঝাবুঝি। বোনের সাথে এরকম হলে কি কারো ভাল লাগে? তাই সিসিবির আমাদের সবার পছন্দের বোনটার জন্য লিখে ফেললাম এই গল্পটা।
স্বাতী নিঃসন্দেহে ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে নয়,
বিস্তারিত»