তোমায় কিছু বলার ছিল

আজ আমি বলবোই। গত তিনদিন ধরে ভেবেছি কয়েকবার এই নিয়ে, ঘুরে ফিরে একটাই জবাব এসেছে- আমাকে বলতেই হবে।

বারবার একটা দুরাশঙ্কায় মন কুকড়ে যাচ্ছে। ‘না’ শব্দটার সাথে আমার আজন্ম বৈরীতা, সেটা যেই বলুক না কেন। তারপরো এক অক্ষরের এই ক্ষুদ্র শব্দটা মাঝে মাঝেই জীবনকে ভীষনভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। আজ যদি ওর মুখ থেকেও না শুনতে হয়, তবে ভার্সিটিতে থাকার কোন ইচ্ছে বা কারণ আর অবশিষ্ট থাকবে না।

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৩

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২

দুইজনের ছোট্ট একটা গ্রুপ। আর বাকীদেরও ঠিক তাই। কেমিস্ট্রি কোনকালেই আমার প্রিয় বিষয় ছিলনা, ল্যাবগুলো তো না-ই! পিপেট, ব্যুরেট, বীকার, টেস্টটিউব, রাসায়নিক দ্রবণ- এইসব জড় পদার্থের প্রতি উৎসাহের কোন কারণ আছে কিনা আমার জানা নাই, আর কারণ থাকলেই বা আমার কি! প্রথম ল্যাবে স্যার কি কি জানি ইন্সট্রাকশন দিলেন, বুঝলাম না বা বুঝার চেষ্টা করলাম না।

বিস্তারিত»

কিছু এক্স ক্যাডেট এর সাক্ষাৎকার

গত দুই/আড়াই মাস ধরে সিসিবির সাথে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয়। সেই সাথে এরই মধ্যে আশেপাশের হাতে গোনা ক’জন এক্স ক্যাডেট এর সাথে সিসিবিকে নিয়ে হয়েছে আমার কিছু কথপোকথন। তারই কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে আমার আজকের এই পোষ্ট…

আরিফ ভাই (সিসিসি, ৯০-৯৬ ব্যাচ)

প্রশ্নঃ স্যার, আপনি কি ক্যাডেট কলেজ ব্লগের মেম্বার?
উত্তরঃ হ্যাঁ, আমি তো ওখানে নিয়মিত যেতাম। কেন, তুই মেম্বার না?

বিস্তারিত»

একটি জেন্ডার বিষয়ক ম্যাগাজিনের বিজ্ঞাপন

একটা সময় ছিলো যখন আমাদের সমাজে নারীদের প্রতি প্রকট বৈষম্য বিরাজমান ছিলো। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। আমরা বলতে পারি, ভাবতে পারি যে তারাও মানুষ। তারাও পারে ভাবতে। তাদেরও অধিকার আছে। তারাও পারে পুরুষের মত সমাজের সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখতে। কিন্তু তারপরও তাদের বিড়ম্বনা কম নয়। আবার পুরুষরাও যে সবসময় শুধু কাঠগরাতে, তাও নয়। আর এইসব সমস্যা এবং চিন্তাধারা নিয়ে একটা ম্যাগাজিনের আবির্ভাব।

‘শব্দ’

বিস্তারিত»

এক্সট্রা ড্রিলের দুষ্ট চক্র

ক্যাডেট কলেজ ভেদে এক্সট্রা ড্রিলের চলনের রকমফের থাকলেও ( আমার জানা মতে) সিলেট ক্যাডেট কলেজের স্টাফ (এন,সি,ও/ওস্তাদ) দের ই,ডির ব্যাপারে উদারতা মোটামুটি ঐতিহাসিক পর্যায়ের। যে কারণে ক্লাস ইলেভেন এক সময় আমরা কজন বন্ধু দেখলাম আসলে এক টার্মে আমারা কদিন গেমস ড্রেসে গেমস টাইমে মাঠে গিয়েছি তা আঙ্গুলে গুনে বলা যায়।

এই ধারাবাহিকতায় আমার বন্ধু সাইফ (১১২২, স্থপতি হতে যাচ্ছে) একটি সুত্র বানিয়ে বসলো!

বিস্তারিত»

আজকে কার জন্মদিন ভাই???

প্রায় দশ বছর আগে কুমিল্লার এক গন্ডগ্রামের এক কলেজে ৩জুন তারিখে প্রবেশ করেছিল ঐকলেজের ভবিষ্যৎ এর একজন সুপারস্টার। তাহার পড়াশুনায় ধারে আর রূপ সৌন্দর্যে তখন ডুবিয়াছিল পুরা কলেজ। আমরা তখন তাকে ভয়ে ভয়ে দেখিতাম আর ভাবিতাম আল্লাহ যাকে দেয় ছাপ্পড় মারিয়া দেয়। আমরা যখন বাংলায় কোনমতে পাশ করিতাম তখন এই ব্যাটা হায়েস্ট এর পর হায়েস্ট পাইয়া আমাদের ইজ্জতের ফালুদা বানাইত। x-(
কিন্তু কালেকালে অনেকবেলা তো হল।

বিস্তারিত»

হাবিজাবি: স্পেশাল ডিনার!

বিষ্যুদবার। বৃহস্পতিবার।

ইংরাজিতে থার্সডে। সন্ধ্যে নামার অনেকক্ষণ আগে থেকেই আমাদের অপেক্ষা শুরু হতো। আজ ডিনারে কে কার কাছ থেকে কাস্টার্ড পাবে- কে কাবাবের সাথে স্যুপ অদলবদল করবে অন্য কারো সাথে। এসব আলোচনা শুরু হতো পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা কলেজটায় – আমার প্রানের কলেজটায় সন্ধ্যে নামার অনেক আগে!

টিভি রুমের ভিসিডি শোতে সামনের চেয়ারে কে বসবে এসব নিয়ে খুনসুটির মাঝপথে যখন ডিনারের হুইসেল বাজতো- আমরা য়খন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন সাথে সাথে ছুটতাম ফলইনে।

বিস্তারিত»

মেঘ পিয়নের চিঠি

তারা তিনজন

সাউথ হলের পাঁচতলার আমাদের ব্লকের সীমানায় একেবারে পূর্ব দিক ঘেঁষে করিডোরের শেষ মাথায় যে জায়গাটুকু সেটা আমাদের সবারই খুব প্রিয় জায়গা। সেখানে হাত দিয়ে হেলান দেয়ার জায়গাটুকুতে পা ছড়িয়ে বসে আয়েশ করে অনেক কিছুই দেখা যায়। ইট কাঠের জঞ্জালের ধোঁয়া ওঠা শহরে এখনো যে কিছু গাছ আছে সেটা বোঝা যায় সবচে ভালোভাবে।

বিস্তারিত»

আত্ম-পরিচয় নিয়ে আমার ভাবনা-৩

আত্ম-পরিচয় নিয়ে আমার ভাবনার দ্বিতীয় কিস্তিতে সানাউল্লাহ ভাইয়ের একটা মন্তব্য থেকে নেওয়া প্রশ্নমালা ধরে তৃতীয় কিস্তি শুরু করলাম। “আমি এলাম কোথা থেকে? কিভাবে? আমি নাকি সৃষ্টির সেরা জীব! এই মিথ কে তৈরি করলো? আমি সৃষ্টির কতোটা জানি?”

আমাদের ইতিহাস, মানে মানুষের ইতিহাস এক অর্থে মানুষের নিজেদেরকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে জাহির করার ইতিহাস। প্রতি যুগেই মানুষ নিজেদেরকে জগতের মধ্যে সেরা হিসেবে উপস্থাপণ করার চেষ্টা করে গেছে।- এই অনুকল্প’কে ভিত্তি ধরে আমি আজকের আলোচনা এগিয়ে নিতে চেষ্টা করব।

বিস্তারিত»

একডজন অণূকাব্য … অনেকগুলা কম (নামকরণের কপিরাইটঃ টিটো)

১।
দখিনা বাতাসে তার এলোচুল উড়ে যায়
উড়ে যায়
উড়ে যায়
ছুয়ে যায় আমার বুকের তপ্ত বালুচর
নিঃস্বঙ্গ মরুকে যেমন অকস্মাৎ ছুয়ে যায়
সাইমুম ঝড়

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১

সেদিন কি যেন একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল, ক্লাসের সব মেয়েদের সাথে স্বাতীও দেখি শাড়ি পড়ে এসেছে। শাড়ি পড়ার সাথে সাথে মেয়েদের মধ্যে একটা অন্যরকম পরিবর্তন আসে, আমি আগে কখনও খেয়াল করিনি। ওকে দেখার পর আমার মধ্যে তৈরী হওয়া বিষ্ময়-ভালোলাগা মিশ্রিত এই অনুভুতিটাকে কেন জানি একান্তই নিজের মনে হল! সেসময় হ্যাবলার মত তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করছিলাম বলে মনে পড়ছেনা।

বিস্তারিত»

সকালের মুক্তা

সকাল যখন মুচকি হেসে..
ছড়িয়ে আলো চারদিকে..
চোখের উপর আস্তে বসে..
ডাকে আমায় তার দিকে..

তন্দ্রা তখন দৌড়ে পালায়
হুড়মুড়িয়ে তার ছোটা..
ঝকমকানো মুক্তো দেখি
আসলে পানির ফোটা!!

বিস্তারিত»

একটি মূর্তিনির্মাণের সময় যা যা ঘটে

“উদভ্রান্ত সফেদ, দুলে ওঠো নীল তেপান্তর!”
আমি তার প্রান্তরেখায় তোমার মূর্তি বানাই,
ক্রমশ এগিয়ে আসা তারাদল; সেখানে
স্মিত হাসিমুখঃ নিয়ন-সুলভ- এঁকে রাত জেগে থাকে। আর
আমি হাতুড়ি বাটাল মেপে, নিখুঁত আঘাতে
প্রান্তরেখা ঝকঝকে ধারালো করি

যারা পর্যটক ছিলেন। আমাদের দেশে, মাটি ঘেঁষা সে’সকল
জটাচুলো পথিকেরা, এসে খুব মনোযোগী, দেখে
আমার কেরদানি। মূর্তির গায়ে দিগন্তভেদী আলো জমে থাকে,

বিস্তারিত»

কলেজের গন্ধ

কতই বা বয়স ছিল আমাদের। ১১/১২/১৩? ঐ অতটুকু বয়সে ছাড়লাম ঘর। আর ফেরা হয়নি। মা-বাবার আদরের সান্নিধ্য ছেড়ে শতাধিক ক্রোশ দূরে এক অজানা অচেনা জায়গাকে কি সহজেই আপন করে নিলাম। আসলেই কি আপন করতে পেরেছিলাম? হোম-সিকনেস আর ‘কলেজ ফিলিংসের’ একটা দ্বৈতস্বত্বা কি বাস করেনি আমার মাঝে? কলেজে থাকতে বাড়ির টান, আর ছুটিতে থাকতে কলেজের টান – এই দুইয়ের মাঝে পার করে দিলাম শৈশব-তারুণ্যের ছয় ছয়টি বছর।

বিস্তারিত»