ভালোবাসাপ্লুত সুরেলা আহবানে ডাকবো একদিন
ছুটে এসো তৃষ্ণাকাতর মোর আলিঙ্গনে
ছিড়ে সমস্ত কাঁটাতারের বেড়া
বাজায়ো হৃদয়ে বীণ
ছায়াঘন কুঞ্জবনে
দিও ঠোঁটজোড়া।
কিছু কিছু পিছুটান গুন টানে উজানে উজানে …………
[অনেকদিন পর কিছু লেখার সাহস করলাম। সাহস করলাম বলাটাই বেশি যুক্তিসংগত কেননা একরকম জোর করেই সিসিবিতে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্য এই লেখার অবতারণা। যাদের অযথা বগর বগর এ ধৈর্যচ্যুতির সম্ভাবনা আছে তাদের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়ে লেখাটা শুরু করছি।]
ইদানিং আমার জীবনটাকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি না। আমার গতিবিধিগুলো খুব বেশিরকম গণ্ডিবদ্ধ হয়ে পড়ছে।অনেক আগের একটি লেখায় বৃহন্নলাদের জীবন নিয়ে লিখতে গিয়ে একটি লাইন লিখেছিলাম- ”
বিস্তারিত»সুহাসিনী মেয়ে
প্রথম যেদিন তোমার সাথে
হলো আমার দেখা
মনে মনে ডেকেছি তোমায়
ভেবে আমার সখা।
কম্পিউটারের চিঠির মাঝে
করলাম যোগাযোগ
পেলাম নাকো তোমার সাড়া
তোমার মনোযোগ।
ভালোবাসার বন্ধুত্ব- ১১
পাঁচ কেন আমার প্রিয় সংখ্যা হবে না…
পাঁচ আমার সবচাইতে প্রিয় সংখ্যা,আমার অনেক কিছুর সাথেই পাঁচের একটা রিলেশন আছে।তার কিছু নমুনা দেই…
*আমার জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৫ মার্চ……২টাই ৫ দ্বারা বিভাজ্যা
*জন্মের সময় আমার ফ্যামিলি মেম্বার ছিলো ৫জন 😀 আমরা ৩ ভাই ,আব্বু আম্মু।
*ক্লাস থ্রীতে নতুন স্কুলে ভর্তি হলে আমার রোল নম্বর ছিলো ২৫…পরের বছর সেইটা হয় ৫
*ক্লাস সিক্সে আবার নতুন স্কুলে ভর্তি হলে আমার রোল নম্বর ছিলো ৫০।।পরের বছর সেইটা হয় ৫
*ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় আমার রোল নম্বর ছিলো ১০৩৩৮..যার ডিজিটগুলো যোগ করলে হয় ১+০+৩+৩+৮=১৫…যা ৫ দ্বারা বিভাজ্যা :awesome: :awesome:
*কলেজে আমার সাথে আরো ৫০ জন বন্ধু জয়েন করে।(আমরা মোট ৫১ জন ,আমি ছাড়া ৫০)
*আমার ক্যাডেট নাম্বার ১১৫০
*ক্লাস সেভেন এ আমার রুম নম্বর ছিলো ১০৫
*ক্লাস এইটে আমার রুম নম্বর ছিলো ১০৬ যেখানে ৬-০-১=৫ :awesome: :awesome:
*ক্লাস টেন এ ছিলাম ১২৭ নম্বর রুমে..১+২+৭=১০,যাহা ৫ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য =)) =))
*১২ এ ছিলাম ১১৫ নম্বর রুমে
*এস.এস.সি পরীক্ষায় আমার রো নম্বর ছিলো ১০০০১৫
*আমার এস.এস.সি’র রেজাল্ট জিপিএ ৫ 😀 😀
*ক্লাস ইলিভেন এ আমার এপুলেটে ছিলো ৫ দাগ :awesome: :awesome:
*আমার এইচ.এস.সির রোল নম্বর ১০২৩০৯ যেখানে ১+০+২+৩+০+৯=১৫
*আমার এইচ.এস.সি’র রেজাল্ট জিপিএ ৫ 😀 😀
*বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় আমার রোল নম্বর ছিলো ৩২৫
*আমি বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ৯৪ হইছিলাম …৯-৪=৫ :tuski: :tuski:
*বুয়েটে আমার রোল নম্বর হলো ৮৭ যেখানে ৮+৭=১৫
*সর্বশেষ আমি একটা নতুন মোবাইল সিম নিয়েছি যেটা হলো ০১৬৭৩১৮০৮৩৮ যেখানে ০+১+৬+৭+৩+১+৮+০+৮+৩+৮=৪৫,যাহা ৫ দ্বারা বিভাজ্য
*আমার ব্যাচ হলো ২৩,২+৩=৫ এইটা বের করে দেওয়ার জন্যে রবিন ভাইয়াকে থাঙ্কস 🙂
তাহলে পাঁচ কেন আমার প্রিয় সংখ্যা হবে না বলুন তো???
রাজাকারনামা……………#১
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নুরেমবার্গ ট্রায়াল/ জেনেভা কনভেনশন
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে যতবার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা শোনা যাছছে ততবার শুনতে হচ্ছে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের কথা। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের অনুকরণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সঙ্গত নয়।কেননা নুরেমবার্গ ট্রায়াল ছিল একটি special tribunal act (IMT, NMT). এছারাও তখন যুদ্ধাপরাধ সাম্পর্কিত কোনো আন্তর্জাতিক আইন ছিলোনা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পুর্বেই ১৯৪৯ সালে জেনেভা কনভেনশন আন্তর্জাতিকভাবে গৃহিত হয়।
বিস্তারিত»বিজ্ঞান ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ে আমার অবস্থান
প্রথমেই বলে নেই যে, এই লেখায় বিজ্ঞানের সংজ্ঞাটা নিয়েছি মূলত উইকিপিডিয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে। বিজ্ঞানের সিরিয়াস আলোচনায় শুধু সংজ্ঞা নিয়েই কেটে যেতে পারে কয়েক ঘন্টা। কিন্তু এই লেখাটা খুবই সাধারণ অর্থে বিজ্ঞানকে এবং এর সাথে তুলনা করে ‘জনপ্রিয় বিজ্ঞান’কে বোঝার একটা সরলীকৃত চেষ্টা মাত্র। আমি আগে কখনোই এই তুলনামূলক বিষয়টা সিরিয়াসলি নেই নাই। জনপ্রিয় বিজ্ঞানের প্রতি প্রথম আগ্রহ জন্মেছে মুহাম্মদের কাছ থেকে, তাই এই কৃতিত্ব ওরই।
বিস্তারিত»তুমি আজ ভালোবাসোনি ………
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – পুরোপুরি কল্পনা থেকে লেখা। বাস্তব কোনো চরিত্র বা ঘটনার সাথে মিল পেলে … কিছুই করার নেই।
——————————————-
আগের গল্প ——-
একজন অসুস্থ মানুষ
ও, আমি এবং আমরা ……
যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………
বলতে চাই … তোমাকেই চাই
—————————————————————-
ভার্সিটি জীবনের শেষ বছরে এসে সবাই কেমন যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রলাপ ০০৯ – মনঘড়ি
১
আমার মনের মধ্যে একাধিক ঘড়ি থাকে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে যখন দেখি সকাল ৯টা বাজে সাথে সাথে আমার মনের একটা ঘড়ি বলে এখন ৬ টা বাজে দেশে আম্মু ঘুমাচ্ছে। মোবাইল হাতে নিয়ে তাই আর ফোন করা হয় না।
বশির মিয়ার একদিন
পেশায় ভিক্ষুক হলেও মানুষের কাছে হাত পাততে একদমই ভালো লাগে না বশির মিয়ার। অবর্ণনীয় অসহ্য লাগে। তবুও যত অবর্ণনীয় অসহ্য কিংবা বিরক্তই লাগুক না কেন অবশেষে পেটের যন্ত্রনায় নাক মুখ খিঁচিয়ে, দাঁত কিড়মিড় করে হাত কিন্তু পাততেই হয় পথচারীর সামনে গিয়ে। কখনো ডাক্তার, কখনো উকিল, কখনো শিক্ষক- কখনো বা স্কুলছাত্রের সামনেও।
বাম হাতে একটা থালা নিয়ে হঠাৎ করেই গিয়ে হাজির হয় ফার্মগেটের মোড়ের কোন এক পথচারীর সামনে।
বিস্তারিত»স্টোলেন কিস: একটি হাইকু
কিছুদিন ধরেই ওয়েট করছিলাম এফসিসির ৯৯তম পোস্ট এর জন্য, সানা ভাই এর চোখে না পড়লে ১০০তম পোস্টটা আমারই হতে যাচ্ছে। :awesome:
এই হাইকুটা পরে কখনো শেয়ার করব ভেবেছিলাম, কিন্তু এর থেকে ভালো সময় মনে হয় হবে না। ইন্ডিয়ান হাইকু সোসাইটির আমন্রণে আমি গত বছর ব্যাংালোরে ৯ম বিশ্ব হাইকু উতসবে যোগ দেই। সকল হাইকু লেখক তিনটি করে হাইকু জমা দেন এবং সেখান থেকে সেরা দশ হাইকুকে পুরস্কার দেয়া হয়।
বিস্তারিত»একটা হওয়া না হওয়া নিয়ে খানিক বাচালতা কিংবা আজীবন ভেবে আমি যা ভেবে পেয়েছি
অ.তুমি শুরু করলেই হয়?
এভাবে হবে না কিছুই – যেমন টের পাই
আমার ভেতরে শব্দগুলো হতাশ হয়ে তাকায়
মাথা নেড়ে তারা খুব ম্রিয়মাণ হয়
ধুস্শালা! নষ্টমানুষ একটা!
স্ফটিক-বিম্বে বন্দী করছে আমাদের।
আ.কী নিরালম্ব আমাদের ঘুম!
ওভাবেও হবে না- তারা বলে, যখনই আমি সুঁই সুতো দিয়ে বাঁধতে গ্যাছি
“শুয়োরের ছাও,
সাংবাদিক জীবন ও কয়েকটা গল্প
১.
শাহ এ এম এস কিবরিয়া তখন অর্থমন্ত্রী। সেবারই প্রথম ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল দাতাগোষ্ঠীর বৈঠক। এর আগে এসব বৈঠক হতো প্যারিসে। গত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভাল না। বিএনপি সংসদ বয়কট করছে। প্রায়ই হরতাল হচ্ছে। বলা যায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল।
সেবার বৈঠকটা হলো হোটেল সোনারগাঁও-এ। আমরা সারাদিন লবিতে বসে থাকতাম সংবাদের আশায়। দুপুর থেকেই গুঞ্জন শুনছিলাম যে দাতাদেশগুলো রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটা যৌথ বিবৃতি দিতে পারে।
পড়ে ছিড়ে ফেলুন………
প্রথম লেখাটা ছিলো কবিতা। এরপর ভাবলাম কবিতা থাক অন্য কিছু লিখি। ২ টি লেখা লিখলাম কিন্তু একটাও আমার এডিটর সাহেব ছাপলেন না। তাই মনে হচ্ছে কবিতা ছাড়া আমি আর কিছু লিখতে পারি না। তাই আবার কবিতা লিখলাম। এটা কলেজ লাইফের শেষের দিকে লেখা। দিন তারিখ দিয়ে আমার কবিতা লেখা হয়না। যাই হোক এবার কবিতায় আসা যাক……
হাতের মুঠোয় এক টুকরো বরফ
হাতের উষ্ণতায় বরফ জল হয়ে গলে
বরফ এর শীতল ছোয়ায় একি ভূতুড়ে
হাত অবশ হয়ে আসে
কিছু সময় পরে মুঠো খুলে,
১৪বছরের স্মৃতি!!!
আব্বু-আম্মু দেখে বেশ খুশি মনে হচ্ছে। আমিও যে খুশি না তা নয়। মাথার ভেতর ঘুর পাক খাচ্ছে কি হয়? কি হতে পারে? এই সব প্রশ্ন। প্রশ্ন গুলো আসাই স্বাভাবিক। জীবনে প্রথম বারের মত আব্বু-আম্মু কে ছেড়ে থাকতে যাচ্ছি। তাও বাসার ধারে কাছে না, সেই সুদূর বরিশালের রহমতপুর গ্রামে ‘বরিশাল ক্যাডেট কলেজ’ নামে এক উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
নির্ধারিত দিন দুপুর ২টার দিকে আমাদের জন্য কলেজের গেট খোলা হবে।