“সেই সাত জন নেই আজ
টেবিলটা তবুও আছে
সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই…………
একই সে বাগানে আজ
ফুটেছে নতুন কলি
শুধু সেই সে দিনের মালি নেই………।।”
মান্না দে’র সেই কালজয়ী গানটা যখনই মনে আসে তখন আমার মনে পড়ে যাই সেই দিনের কথা। ক্যাডেট কলেজের শেষের দিকে একটা ছুটির দিনে হুনাইন হাউসের সামনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় বেঞ্চের উপর বসে আমরা ক্যাডেট কলেজের ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করছিলাম।
একটা প্রশ্ন করলেন ম্যাডাম বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের ভিত্তি কি? আমরা সবাই অবাক্ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। প্রথম প্রথম প্রশ্নটি বুঝলাম না। ম্যাডাম এবার পরিষ্কার করে দিলেন। বলো এমন কি আছে যা আমাদের অন্য জাতি হতে পৃথক্ করে দিয়েছে? আমরা একে একে বলতে লাগলাম বাঙ্গালী সাহসী, অথিতিপরায়ন, বিদ্রোহী, আরো অনেক কিছু। কিন্তু তিনি একে একে দেখিয়ে দিলেন আমরা যা বলেছি তা আমাদের থেকে অন্য অনেক জাতিসমুহের মাঝে আরো বেশি পরিমাণে বিদ্যমান।
ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিনটির কথা আজো ভীষন মনে পরে । দিনটি ছিল ১২ই মে । গেট খোলার কথা ২ টায় । আমি, বড় আপু এবং রশিদ স্যার ১২ টার সময় পৌছেছিলাম গেট এ। আমার বাড়ি কলেজ থেকে ৮০ কিমি দূরে হবে । লক্কর মারকা বাস এ ২ ঘন্টার মত লাগল। আমার যে খুব মন খারাপ হচ্ছিল বাড়ির জন্য এমন নয় । তবু আজগুবি একটা অনুভুতি হচ্ছিল,
[অনেকদিন পর কিছু লেখার সাহস করলাম। সাহস করলাম বলাটাই বেশি যুক্তিসংগত কেননা একরকম জোর করেই সিসিবিতে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্য এই লেখার অবতারণা। যাদের অযথা বগর বগর এ ধৈর্যচ্যুতির সম্ভাবনা আছে তাদের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়ে লেখাটা শুরু করছি।]
ইদানিং আমার জীবনটাকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি না। আমার গতিবিধিগুলো খুব বেশিরকম গণ্ডিবদ্ধ হয়ে পড়ছে।অনেক আগের একটি লেখায় বৃহন্নলাদের জীবন নিয়ে লিখতে গিয়ে একটি লাইন লিখেছিলাম- ”
ভালোবাসার বন্ধুত্ব- [১][২][৩][৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০]
৪৭।
“শেরটা ভালো ছিলো কালকের। কারো অফার দিতে গেলে কাজে লাগবে।“
পরদিন নীলিমা বললো নীলের সাথে দেখা হতেই।
নীলঃ তাই তো তোমাকে দিয়েছি।
নীলিমাঃ মানে?
নীলঃ মানে আশা করি বুঝতেই পারতেছো।
পাঁচ আমার সবচাইতে প্রিয় সংখ্যা,আমার অনেক কিছুর সাথেই পাঁচের একটা রিলেশন আছে।তার কিছু নমুনা দেই…
*আমার জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৫ মার্চ……২টাই ৫ দ্বারা বিভাজ্যা
*জন্মের সময় আমার ফ্যামিলি মেম্বার ছিলো ৫জন 😀 আমরা ৩ ভাই ,আব্বু আম্মু।
*ক্লাস থ্রীতে নতুন স্কুলে ভর্তি হলে আমার রোল নম্বর ছিলো ২৫…পরের বছর সেইটা হয় ৫
*ক্লাস সিক্সে আবার নতুন স্কুলে ভর্তি হলে আমার রোল নম্বর ছিলো ৫০।।পরের বছর সেইটা হয় ৫
*ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় আমার রোল নম্বর ছিলো ১০৩৩৮..যার ডিজিটগুলো যোগ করলে হয় ১+০+৩+৩+৮=১৫…যা ৫ দ্বারা বিভাজ্যা :awesome: :awesome:
*কলেজে আমার সাথে আরো ৫০ জন বন্ধু জয়েন করে।(আমরা মোট ৫১ জন ,আমি ছাড়া ৫০)
*আমার ক্যাডেট নাম্বার ১১৫০
*ক্লাস সেভেন এ আমার রুম নম্বর ছিলো ১০৫
*ক্লাস এইটে আমার রুম নম্বর ছিলো ১০৬ যেখানে ৬-০-১=৫ :awesome: :awesome:
*ক্লাস টেন এ ছিলাম ১২৭ নম্বর রুমে..১+২+৭=১০,যাহা ৫ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য =)) =))
*১২ এ ছিলাম ১১৫ নম্বর রুমে
*এস.এস.সি পরীক্ষায় আমার রো নম্বর ছিলো ১০০০১৫
*আমার এস.এস.সি’র রেজাল্ট জিপিএ ৫ 😀 😀
*ক্লাস ইলিভেন এ আমার এপুলেটে ছিলো ৫ দাগ :awesome: :awesome:
*আমার এইচ.এস.সির রোল নম্বর ১০২৩০৯ যেখানে ১+০+২+৩+০+৯=১৫
*আমার এইচ.এস.সি’র রেজাল্ট জিপিএ ৫ 😀 😀
*বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় আমার রোল নম্বর ছিলো ৩২৫
*আমি বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ৯৪ হইছিলাম …৯-৪=৫ :tuski: :tuski:
*বুয়েটে আমার রোল নম্বর হলো ৮৭ যেখানে ৮+৭=১৫
*সর্বশেষ আমি একটা নতুন মোবাইল সিম নিয়েছি যেটা হলো ০১৬৭৩১৮০৮৩৮ যেখানে ০+১+৬+৭+৩+১+৮+০+৮+৩+৮=৪৫,যাহা ৫ দ্বারা বিভাজ্য
*আমার ব্যাচ হলো ২৩,২+৩=৫ এইটা বের করে দেওয়ার জন্যে রবিন ভাইয়াকে থাঙ্কস 🙂
তাহলে পাঁচ কেন আমার প্রিয় সংখ্যা হবে না বলুন তো???
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নুরেমবার্গ ট্রায়াল/ জেনেভা কনভেনশন
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে যতবার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা শোনা যাছছে ততবার শুনতে হচ্ছে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের কথা। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের অনুকরণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সঙ্গত নয়।কেননা নুরেমবার্গ ট্রায়াল ছিল একটি special tribunal act (IMT, NMT). এছারাও তখন যুদ্ধাপরাধ সাম্পর্কিত কোনো আন্তর্জাতিক আইন ছিলোনা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পুর্বেই ১৯৪৯ সালে জেনেভা কনভেনশন আন্তর্জাতিকভাবে গৃহিত হয়।
প্রথমেই বলে নেই যে, এই লেখায় বিজ্ঞানের সংজ্ঞাটা নিয়েছি মূলত উইকিপিডিয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে। বিজ্ঞানের সিরিয়াস আলোচনায় শুধু সংজ্ঞা নিয়েই কেটে যেতে পারে কয়েক ঘন্টা। কিন্তু এই লেখাটা খুবই সাধারণ অর্থে বিজ্ঞানকে এবং এর সাথে তুলনা করে ‘জনপ্রিয় বিজ্ঞান’কে বোঝার একটা সরলীকৃত চেষ্টা মাত্র। আমি আগে কখনোই এই তুলনামূলক বিষয়টা সিরিয়াসলি নেই নাই। জনপ্রিয় বিজ্ঞানের প্রতি প্রথম আগ্রহ জন্মেছে মুহাম্মদের কাছ থেকে, তাই এই কৃতিত্ব ওরই।
১
আমার মনের মধ্যে একাধিক ঘড়ি থাকে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে যখন দেখি সকাল ৯টা বাজে সাথে সাথে আমার মনের একটা ঘড়ি বলে এখন ৬ টা বাজে দেশে আম্মু ঘুমাচ্ছে। মোবাইল হাতে নিয়ে তাই আর ফোন করা হয় না।
পেশায় ভিক্ষুক হলেও মানুষের কাছে হাত পাততে একদমই ভালো লাগে না বশির মিয়ার। অবর্ণনীয় অসহ্য লাগে। তবুও যত অবর্ণনীয় অসহ্য কিংবা বিরক্তই লাগুক না কেন অবশেষে পেটের যন্ত্রনায় নাক মুখ খিঁচিয়ে, দাঁত কিড়মিড় করে হাত কিন্তু পাততেই হয় পথচারীর সামনে গিয়ে। কখনো ডাক্তার, কখনো উকিল, কখনো শিক্ষক- কখনো বা স্কুলছাত্রের সামনেও।
বাম হাতে একটা থালা নিয়ে হঠাৎ করেই গিয়ে হাজির হয় ফার্মগেটের মোড়ের কোন এক পথচারীর সামনে।