এ্যাডওয়ার্ড সাইদ এর orientalism গ্রন্থের উপজীব্য বিষয় হলো প্রাচ্য সম্পর্কে পশ্চিমাদের যে ধারণা তা সত্য কে নয় বরং পশ্চিমা কল্পনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। পশ্চিমাদের ধারণা প্রাচ্যের সকল নৃ-তাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী মৌলিকভাবে একইধরনের। কিন্তু ইহা পশ্চিমাদের একটি ভ্রান্ত ধারণা। প্রাচ্য সম্পর্কে পশ্চিমাদের এই ধারণা মূলতঃ গড়ে উঠেছে Limited literary text and historical records এর উপর ভিত্তি করে। আর তাদের এই জ্ঞান মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান করছে।
সাইদ তার orientalism গ্রন্থে orient এবং occident কে দুটিকে বিপরীত শব্দ হিসাবে দেখিয়েছেন। তার গ্রন্থে তিনি সর্বদা orient কে occident এর নেতিবাচক শব্দ হিসাবে দেখিয়েছেন। orientalism গ্রন্থে তার পশ্চিমা বিদ্বেষ প্রবল। সাইদ তার গ্রন্থে গ্রীক এবং পারস্য সভ্যতার মধ্যকার যুদ্ধকে উদাহরণ হিসাবে আলোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন গ্রীকরা গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত হলেও অগণতান্ত্রিক পারস্যের নিকট যুদ্ধ এবং শান্তিকালীন সমৃদ্ধি উভয়দিক হতে পরাজিত হয়েছে। অর্থাৎ পশ্চিমা গণতন্ত্র সর্বাধিক উপযোগী শাসনতন্ত্র নয়। তাই পশ্চিমা শক্তি গণতন্ত্র নিয়ে যে বিশ্বজুড়ে ক্যাম্পেইন করছে তা অতিকথন মাত্র। তিনি বলতে চেয়েছেন অগণতান্ত্রিক সরকার কোনো দেশের মূল সমস্যা নয়। ( 300 মুভিটি পারস্য এবং গ্রীক সভ্যতার মধ্যকার যুদ্ধকে উপজীব্য করে তৈরি করা হয়েছে )
সাইদ তার orientalism গ্রন্থে orient বলতে মধ্যপ্রাচ্যকে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ “পশ্চিমাদের চোখে মধ্যপ্রাচ্য” এটাই তার গ্রন্থের মূল উপজীব্য বিষয়। কিন্তু orient বলতে অ-পশ্চিমা সকল জাতিগোষ্ঠীকে বুঝায়। তিনি তার গ্রন্থে চীন বা ভারতীয় উপমহাদেশ নিয়ে তেমন বিশেষ কিছু বর্ণনা করেন নাই। তিনি তার এই ভুল শুধ্রে নেন ১৯৯৩ সালে। চীন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি এবং পশ্চিমা ধারণা ও ঔপনিবেশিক প্রভাব নিয়ে culture and imperialism শিরোনামে তিনি একটি নিবন্ধ রচনা করেন এবং গ্রন্থে সংযোজন করেন।
এক কথায় সাইদের orientalism গ্রন্থটি প্রাচ্যের প্রতি পাশ্চাত্য অবজ্ঞা ও ঔপনিবেশিক শোষণ, নিপীড়ন, এবং উপনেবেশিকোত্তর নানা রকম অসহযোগিতা ও ষড়যন্ত্র এর কথা বিবৃত করেছেন।
🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂
খুব ছোট। পরের পর্বের জন্য wait করছি। :-B :-B
আমার বাংলা টাইপ ভয়ংকর রকম স্লো.................................তাই ছোট
আর হা আমি সবাইকে orientalism গ্রন্থটি পরার জন্য suggest করছি। খুব IMPORTANT বই।
খুব ভালো লাগল যে, ওরিয়েন্টালিজম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই জন্য মাসুদকে ধন্যবাদ।
তবে আমার মনে হচ্ছে এখানে কিছু 'অপর্যাপ্ত/অগ্রহনযোগ্য' ব্যাখ্যা আছে যা ওরিয়েন্টালিজমের মূল বইয়ের (১৯৭৮) আরেকটু 'কেয়াররফুল রিডিং' দাবি করে।
-এটা খুবই অযৌক্তিক একটা দাবি। কারণ, সাইদ কোন 'নরম্যাটিভ/জাজমেন্টাল' কমেন্ট করেন নাই পশ্চিম সম্পর্কে। সাইদ যা করেছেন তা ঠিক উল্টোটাই- সিস্টেম্যাটিক্যালি দেখিয়েছেন কিভাবে পাশ্চাত্যে একটা 'বিশেষ জ্ঞানচর্চা'র ধারা গড়ে উঠেছে যা প্রাচ্যকে 'খন্ডিত+বিকৃত' করে উপস্থাপন করে। পুরো 'ওরিয়েন্টালিজম' বইয়ে পাশ্চাত্য সম্পর্কে কোন বিরূপ মন্তব্য চোখে পড়েনি আমার। (আমার ভূল হলে ধরিয়ে দিও।) ইন ফ্যাক্ট, 'প্রাচ্য বনাম পাশ্চাত্য' এই জাতীয় সরল-সাধারণীকরনের বিরূদ্ধেই তার মূল আরগুমেন্ট।
-তাইলে ক্যামনে সাইদ পাশ্চাত্য-বিরোধী হলেন?
তবে এটা ঠিক যে, পাশ্চাত্য যেভাবে প্রাচ্যকে 'অযৌক্তিক+অগ্রহনযোগ্য' উপায়ে ইনফিরিয়র হিসেবে উপস্থাপন করে তা দেখিয়ে ইনডিরেক্টলি
সাইদ পাশ্চাত্যের স্বার্থহানি করেছেন।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমিও বলব বেশী ছোট হইয়া গেছে...... ব্যাপার না, পরেরটা নিঃশ্চয়ই বড় হবে :clap:
ভাইয়া আপনার কমেন্ট পরার আগে একটা কথা বলার আগেই একটি কথা বলে রাখছি orientalism আমি আজ হতে ৬ বছর আগে পরেছি। যা মনে ছিল তা হতেই লিখলাম। প্রবলেম হলো বইতা আমার একবন্ধুর কাছে দার নিয়ে পড়া।
ভাইয়া আপনার কথা ঠিক আছে আমারই ভুল হইছে। আসলে আমার মনের প্রকাশ ভুল শব্দে হয়েছে। আমার মনে হয় তিনি প্রতিবছর জেভাবে এর কলেবর এবং এডিট করছেন তাতে আমার বার বার গ্যোথের ফাউস্ট এর কথা মনে পরছে। ফাউস্ট লেখার পর তিনি আরো ২৩ বছর জিবীত ছিলেন। আর এই ২৩ বছর তিনি ২৩ বার তার ফাউস্ট মহাকাব্য সম্পাদনা করেছেন। তিনি মরার আগে বলেছিলেন আরো সম্পাদনা করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু সময় পেলাম না।
আমার পরামর্শ হল, আবার পড়ে ফেলো 😀 । (তা নাহলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক)।
দুইয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে, একটা সাহিত্য, আরেকটা বিজ্ঞান। সাহিত্যিক তার রচনা যতবার খুশি যেভাবে খুশি পরিবর্ধন+পরিমার্জন করতে পারেন, কিন্তু বিজ্ঞানীর সেই সুযোগ নাই। তাই গ্যোথে যত খুশি ফাউস্ট রিভাইজ করলেও সাইদের পক্ষে ওরিয়েন্টালিজমে মৌলিক কোন পরিবর্থন নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আর এটা সাইদ ভালো করেই জানতেন। সেই কারণে সাইদের পরবর্তী লেখাগুলোতেও আরগুমেন্টের কোন মৌলিক পরিবর্তন নাই। আমি পরের বইগুলো+আর্টিক্যাল+ইন্টারভিউ গুলোর বেশিরভাগই পড়েছি 🙂 ।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আপনার কথার সাথে আমি একমত। তবে তার লেখাই কলেবর বারছে। আমার বই তা কেনার ইচ্ছা আছে। কিন্তু তাকা আর সময় করে উঠতে পারছিনা। ধন্যবাদ আপনার মত একজনের দরকার আছে জার কাছ থেকে ভুলগুলো শুধরে নিতে পারছি।
আপনার কথার সাথে আমি একমত। তবে তার লেখাই কলেবর বাড়ছে। আমার বই টা কেনার ইচ্ছা আছে। কিন্তু টাকা আর সময় করে উঠতে পারছিনা। ধন্যবাদ আপনার মত একজনের দরকার আছে যার কাছ থেকে ভুলগুলো শুধরে নিতে পারছি।
বইটার আসল টাইটেল দে। সফট কপি আমাদের লাইব্রেরিতে থাকলে সিস্টেম করে পাঠায়া দিব নে।
Orientalism, by Edward Said
সরি দোস্ত, সফট কপি নাই। হার্ড কপি আছে। নেটে খোঁজাখুঁজি করে দেখতে পারস। অনেকে স্ক্যান করে আপলোড করে দেয়। আমি মাস্টার্সের জন্য একটা বই কিনি নাই, সব এভাবেই চালাইছি। 🙂
ভালো কথা, সেইম টাইটেলে চারজন লেখক আছেন। ম্যাকফাই, জিয়াউদ্দিন সরদার, সুইটম্যান আর এডওয়ার্ড সাইদ। আমি দেইখা হালকা টাসকি খাইছি, এক টাইটেলে চার বই। আরো দেখলাম এই বইয়ের রিভিউ বইয়ের তালিকাটাও বিরাট বড়।
চালায়া যা, আমরা কিছু শিখি। 🙂
এই মাত্র একটা বই নামাইলাম...এইখান থেকে...
এই বইটাই কিনা দেইখো তো... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনায়েদ, বইটা ঠিকঠাক মত পইড়া পরশুদিন আফটার লাঞ্চ নিকেতনে রিপোর্ট করবি :grr: :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হায় হায়... :bash:
আপনে এই কইবেন জানলে ঐ বই না নামায়া 'শিক্ষামূলক' কিছু নামাইতাম...(রিপোর্ট করা সহজ হইত আর কি... 😀 )
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনায়েদ ভাই,
শুকরিয়া।
জুনায়েদ ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবে সাহায্য করবেন।
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা। জুনায়েদ ভাই কওন বইএর কথা বলছেন।