যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নুরেমবার্গ ট্রায়াল/ জেনেভা কনভেনশন
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে যতবার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা শোনা যাছছে ততবার শুনতে হচ্ছে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের কথা। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের অনুকরণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সঙ্গত নয়।কেননা নুরেমবার্গ ট্রায়াল ছিল একটি special tribunal act (IMT, NMT). এছারাও তখন যুদ্ধাপরাধ সাম্পর্কিত কোনো আন্তর্জাতিক আইন ছিলোনা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পুর্বেই ১৯৪৯ সালে জেনেভা কনভেনশন আন্তর্জাতিকভাবে গৃহিত হয়। এবং জেনেভা কনভেনশনের লঙ্গন সুস্পষ্টভাবে যুদ্ধপরাধ বলে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত।
যুদ্ধপরাধী কারা? যারা যুদ্ধাবন্দীদের(POW) সাথে অমানবিক ব্যাবহার করে এবং বেসামরিক লোকজনদের কে যুদ্ধ জয়ের জন্য হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করে তারাই যুদ্ধাপরাধী। যুদ্ধ জয়ের কৌশল হিসাবে অনেক সামরিক বাহিনীকে, বেসামরিক নারী, পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা, ধর্ষণ, লুট, আগ্নিসংযোগ করতে দেখা যায়। সাধারনত সামরিক বাহিনী প্রতিপক্ষকে মানসিক ভাবে দুর্বল করার জন্য এই ঘৃন্য কৌশল নিয়ে থাকে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তারাও একইরকম কৌশল নিয়েছিল। তবে এখানে তারা এই কৌশল বাস্তবায়নে শুধু নিজেরা সাম্পৃক্ত থেকে ক্ষান্ত থাকেনি, সাথে সাথে এদেশীয় কিছু মানুষ নিয়ে গঠন করেছে রাজ়াকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী। এদের কাজ ছিল মুক্তি বাহীনীকে দুর্বল করা। এই কাজ তারা সঠিক ভাবে করার জন্য মুক্তিদের পরিবারের লোকজনদের নানাভাবে অত্যাচার করত। ধর্ষণ, হত্যা, আগ্নিসংযোগ, এমনকি জীবন্ত পুড়িয়ে মারতেও তারা কুন্ঠিত হয়নি। তাই এদের প্রতি সাধারন ক্ষমা প্রদর্শন মানবতার বিরুদ্দে অনৈতিক অবস্থান। তাই আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
তবে আমরা নুরেমবার্গ ট্রায়ালের আদলে investigation cell, policy administration, solicitor cell and the juries board গঠন করতে পারি। কিন্তু বিচার করার বেইস লাইন হতে হবে জেনেভা কনভেনশন। এর ফলে যুদ্ধপরাধের বিচার আন্তর্জাতিকভাবে আইন স্মমত হবে। যুদ্ধাপরাধীদের পুর্বের প্রভু এবং বর্তমান পৃষ্টপোষক এরা এই ইস্যুকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করতে পারবে না। আর যারা দেশের ভিতরে গোপনে ষড়যন্ত্র এবং যুদ্ধপরাধীদের বিচারের বিরুদ্দে ষড়যন্ত্র করবে তারা পুর্বেও করেছে, এখন করছে, ভবিষ্যতেও করবে। এদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই। বরং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে এরা আরো দুর্বল হয়ে পরবে।
জেনেভা কনভেনশনের আওতায় বিচারের একটি প্রব্লেম আছে। এর আওতায় বিচার করলে পাকিস্তানের অনেক সামরিক করমকর্তা, রাজনীতীবিদ, ব্যাবসায়ী, এবং বিচারকদের বিচার করতে হবে। তা না করলে এটা জেনেভা কনভেনশনের আওতায় খন্ডিত বিচার হচ্ছে। আমাদের সরকার ইচ্ছা করলে জেনেভা কনভেনশনের আওতায় সকল দেশি-বিদেশী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারেন। পাকিস্তানের মানা না মানা সেটা তাদের ব্যাপার। তাছারাও আমরা সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পাকিস্তানকে মেনে নিতে বাধ্য করার লক্ষে আন্তর্জাতিক কূটনীতীক ততপরতা এবং আন্তর্জতিক মানবাধিকার কমিশনে আবেদন করতে পারি। যদিও পাকিস্তান এরপরো পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবেনা তা নিশ্চিত করে বলা যায়। তবুও আমরা পাকিস্তান কে আন্তার্জাতিকভাবে যুদ্ধপরাধি দেশ হিসাবে প্রমান করতে সমর্থ হবো। আবার এমনটাও হতে পারে পাকিস্তান সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচারে সরকারের আকাঙ্খা দেখে তারা আনুষ্ঠাণিক ভাবে বাংলাদেশের সকল মানুশের কাছে সাধারন ক্ষমা চাইতে পারে।
কিন্তু আমাদের সরকার কি এতবড় সাহস দেখাবেন। মনে হয়না। কারন সরকার পুর্বেই ঘোষণা দিয়েছে তারা শুধু দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে । ………………………………………চলবে
রাজাকারনামা উল্টোদিক থেকে শুরু করলাম। বর্তমান থেকে অতীতের দিকে যাত্রা চলবে……………আসুন ঘুরে আসি-
:duel:
with pleasure man ...... with pleasure ............
আপনাকে পাশে পেয়ে ভাল লাগবে.........তবে প্রতিবার লেখার পর বিরতি আছে। ক্লান্ত কিম্বা ভুলে জাবেন না আশা করি।
মাসুদুর
কিছু মনে করো না, বানান নিয়ে তুমি খুব অসচেতন।
নতুন নতুন একটু আধটু ভুল হয় সবারই, কিন্তু একটু সচেতন থাকলেই সেগুলো এড়ানো যায়।
বেশি ভুল থাকলে পাঠক হিসেবে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
বিশেষ করে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার সময় আরো একটু দেখেশুনে লিখবে এটাই আশা করি।
ভালো থেকো।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
হুম...আমি আজকে পোস্ট করার আগে ১০ বার পরেছি.........।কিন্তু আমার চোখে ভুল ধরা পরেনা। মনে হয়১ মাশ সময় লাগবে। তার আগে মনে হয় হবে না।
১০ বার 'পরেছো' বলেই ভুল রয়ে গেছে, মনোযোগ দিয়ে একবার 'পড়লেই' ধরা পরতো। ;;; ;;;
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
SORRY মাস হবে.................................। 😀
মাসুদ, আমি তোর প্রুফ রিডার হতে রাজি আছি... কি দিবি বল 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
২ কোন ১ কোক.......................................।
ওহ... কলেজের সেই কোন আর কোক :dreamy: :dreamy:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাই, কোনো দেশকে কি যুদ্ধপরাধী বলা যায়? একটা দেশ তো অপরাধী হতে পারে না। অপরাধী হবে মানুষ। আপনার এই কথাটা মানতে পারলাম না। :frontroll: :frontroll:
আপনার কথার সাথে একটা কথা যোগ করতে ইচ্ছা হল, আমরা তো পাকিস্তানি অপরাধীদের বিচার তাদের অবর্তমানে করে ফেলতে পারি। পরে অভিযুক্ত হলে সেই রায় জাতিসংঘ অথবা কোনো মানবাধিকার সংস্থার কাছে পাঠাতে পারি। তাহলে অন্তত একটা লিগ্যাল ডকুমেন্ট আমাদের হাতে থাকল। অপরাধীদের শাস্তি হয়ত দিতে পারব না, কিন্তু এটা থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে একটা উদাহরন থাকবে। আমরা কোনো অপরাধীকে ছাড় দিই নি।
আপনার মন্তব্য এবং পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।
কথাটা ভাল লাগলো। তবে একটা দেশ যখন তার আর্মির একটি বড় অংশ একটি নিরীহ জনগোষ্ঠীর উপর অস্র ধারণ করাতে পারে তাকে aggressor state বলে। আর যুদ্ধপরাধির বিচারের ভিত্তিমূল হিসাবে এটি একটি যুদ্ধাপরাধ। তবে state living organism না হওয়াতে একে বিচার করা যায়না আর এর বিচারিক আসামি হিসাবে যুদ্ধের জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের বিচার করা হয়। এবং যুদ্ধপরাধী রাষ্ট্রকে যুদ্ধের ক্ষতিপুরন হিসাবে আর্থিক ক্ষতিপুরন করতে হয়। এতএব এই হিসাবে আমরা পাকিস্তানকে যুদ্ধপরাধী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমান করতে পারি। পাকিস্তান এই বিছার মানুক র না মানুক আমাদের কাজ আমাদের সরকারকে করতেই হবে।
:salute:
:salute:
এই ব্যাপারটা মনে হয় বর্তমান সরকার এড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা তো বিচারের পর ICJ-তে কেস করতে পারি। এ ব্যাপারে ICJ-এর কোনো নীতিমালা আছে কি না? এ ব্যাপারগুলো আর একটু পরিষ্কার করলে ভাল হতো। পরের পোস্টে থাকবে আশা করছি।
অনেক ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার :just: ১টা রাজনৈতিক ইস্যু......
অফটপিকঃ আমি কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের না!! :-B
আসল কথা বলতেই তো ভুলে গেছি......আপনাদের মনে নেই?একজন বিশিষ্ট নেতা বলেছিলেন...
'এই দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই'
মাসুদ দোস্ত তোর জন্য এবং অন্য যারা বানান নিয়ে চিন্তায় থাকেন তাদের জন্য একটা লিঙ্ক দিলাম। ঐটা ব্যবহার করে ভুল বানান ঠিক করে ফেলতে পারবি। পুরা লেখা একবার কপি করে যদি সেখানে চেক করে ঠিক করে এনে আবার এখানে পেস্ট করিস তাহলে বানান ভুল থাকবে না।
আপনা বানান
লেখা সম্বন্ধে খুবই দরকারী একটা বিষয়। জেনেভা কনভেনশন সম্বন্ধে আগামীতে আরেকটু খোলাসা করিস। আর ট্যাগ থেকে রাজনীতি বাদ দিলে আমার ভাল লাগত। মুক্তিযুদ্ধ , রাজাকার এইগুলাকে রাজনীতির মধ্যে যদি না ফেলতাম তাহলে অনেক আগেই এইসব বিচার শেষ হইত।
রাজনীতি আমার খুব প্রিয় বিষয়। আমি রাজনীতি বলতে এখানে ইন্টারন্যাশণাল পলিটিক্স বুঝিয়েছি। আর জেনেভা কনভেনশন নিয়ে বিস্তারিত বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু slow typing speed আর বানান নিয়ে বেশি চিন্তা করার কারণে খুব বেশি লিখতে পারি নাই। তবে পরের পর্বে থাকবে। আর এই লেখা direct computer এ লেখার কারণে একদম মোটা দাগে লিখতে হইছে। এর কোনো SOFT COPY নাই।
লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো মাসুদ ......... পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি.........।।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
আরো বিস্তারিত আলোচনার অপেক্ষায় থাকলাম মাসুদ :clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
অবশ্যই........................পরের পর্বটা আর মোটা দাগে লিখতে চাইনা।
😛 😛 😛 😛 😛 😛 জেনেভা কনভেনশন হলো মিথা .তার কতা হলো যুদ্ধ করব তেল নেব .আমি লিবয়া ছিলাম লিবয়া আর্মি আমাকে ইতালি পেঠে দেয়েচে এখন ইতালি কি করি কাজ নাই পেপার নাই .কি হলো জেনেভা কনভেনশন ?জেনেভা কনভেনশন কতা মসলমান মার টাকা লোট .এ টা জেনেভা কনভেনশন