নতুন এক ভরং ধরছি আমি, প্রতি শুক্রবার ক্যামেরা নিয়ে হাটি। তবে একা না, সাথে আরও কয়েকজন বড় বড় ক্যামেরা সহ ভাল ভাল ফটোগ্রাফার থাকে বলে খুব একটা খারাপ লাগে না হাটতে। হিসাব করে দেখলাম, সকাল ১০টা থেকে যে হাটা শুরু হয় সেটা শেষ হয় বিকাল ৪-৫টায়, মাঝে শুধু একটা কাচ্চি বিরিয়ানী ব্রেক। O:-)
এগুলা গত ২ ডিসেম্বরের তোলা ছবি, শিডিউল সদ দেয়ার চেস্টা করি নিচে।
জমায়েত হয়েছিলাম ভিক্টোরিয়া পার্কে, যেটার আসল নাম হল বাহাদুর শাহ পার্ক। ওখানে অবশ্য ছবি নিতে পারি নাই কারন অনেক মানুষ আর যেটা তুলতে চেয়েছিলাম সেটাও পারি নাই। তবে সেখানে অনেক পুরোন একটা ওবেলিস্ক/স্মৃতিস্তম্ভ আছে, ইতিহাস ভুলে গেছি তবে মোঘল আমলের কিছু হবে।
সেখান থেকে গেলাম জগন্নাথ ভার্সিটিতে, ঐতিহাসিক এই ভবনকে অদ্ভুত গোলাপী রং করে বারোটা বাজায়ে দিছে পুরোই।
সেখান থেকে শাখারীবাজার ঢুকার মুখে পোগোজ স্কুল, এটাও অনেক ঐতিহাসিক। এই স্কুল শুরু করেন পোগোজ সাহেব, ওনার একটা সমাধী আছে নারিন্দা কবরস্থানে, সেই ১৮৭৬ সালের।
শাখারীবাজারের অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে কিছু ছবি, এই এলাকায় ঢুকলেই মন খারাপ হয় কেন যে এখানে জন্ম হয় নাই !
চলার পথে মন্দির –
এরপর গেলাম আহসান মঞ্জিলে, বেটারা যে ৩টার পরে খোলে জানতাম না, তাই বন্দিদশার ছবি –
পিছেই সদরঘাট, তবে কুচকুচে কাল পানির মধ্যে ভাল কিছু খুজে পাই নাই আমি
এবার লালকুঠি। এখন সেটা ভাড়ায় খাটা কমিউনিটি সেন্টার, আর ফরাশগঞ্জ ক্লাব।
চলার পথে ইতিহাসের সাক্ষীরা –
সেই বিউটি বোর্ডিং –
বিউটি বোর্ডিং এর পিছনেই এক মন্দির –
নিচের ছবিটা কলেজিয়েট স্কুলের। এখানে উল্লেখ্য, এই উপমহাদেশের সর্বপ্রথম হাইস্কুল লেভেলের স্কুল এটা।
এরপরে ব্রাম্ম সমাজ, এর ইতিহাস নিয়ে আমি অনেকখানিই অন্ধকারে।
সওগাত আর বেগমের সেই প্রেস –
সময় ছিল দেখে আবারও আহসান মঞ্জিলের দিকে হাটা, নিচের ছবিটা হল আহসান মঞ্জিলের পুরাতন গেইট যেটা দিয়ে আহসান দাদু ঢুকত।
আহসান মঞ্জিলে ঢুকতে গিয়ে দেখি দুর্দান্ত এক আকাশ
এবারে আহসান মঞ্জিল, অনেকগুলা ছবি
আহসান মঞ্জিলের সামনে
নিচের ছবিটা আমার বেশ প্রিয় একটা ছবি
পুরাতন আর ঐতিহাসিক সব স্থাপনার ছবি নিয়ে একটা গ্যালারী করার ইচ্ছা আছে সামনে, তবে কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় অনেক কিছু তোলা সম্ভব না আসলে। আমার সাথের ফটোগ্রাফারদের ছবি দেখলে যে একেবারে টাসকি খেয়ে পড়বেন, সে ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহই নাই।
ছবি এবং লেখা দুটোই সুন্দর। ভালো লেগেছে।
আতঙ্কিত বোধ করছি। বিশেষ করে, - পানির অপর নাম জীবন - কথাটি মনে পড়ায়।
সদরঘাটের পানি কুচকুচে কাল অনেক আগে থেকেই, ররং বাস্তবের চেয়ে ছবিতে কম কাল আসছে। সাথে আছে দুর্গন্ধ। বুড়িগংগার আশা শেষ, ইন্নালিল্লাহ বলে ফেলতে পারেন
great job done.
থ্যাঙ্কস
:thumbup:
থ্যাঙ্কস 🙂
ভালো হয়েছে। (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:boss:
দারুণ ছবি এবং বিষয়বস্তু! লেখা এতো কম 🙁
ভিক্টোরিয়া পার্কে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর সৈন্যদের ফাঁসিতে ঝোলানো হইছিল। স্মৃতিস্তম্ভটা সম্ভবত সেই স্মৃতির স্মারক। ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সংগঠিত স্বাধীনতার ডাক। এরপর ভারত শাসন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে ব্রিটিশ রাজে ন্যস্ত করা হয়।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
না এটা সিপাহী বিদ্রোহেরটা না। সিপাহী বিদ্রোহের সময় যেটা সেটা মুল গেইটে, বিশাল বড় আর উচু। ছবির স্মৃতিস্তম্ভটা পার্কের অন্য পাশে, তবে এটা ওই মুঘল আমল বা কাছাকাছি সময়ের। লেখাও আছে, যদিও ইতিহাসটার ছবি তুলি নাই ভাবছিলাম মনে থাকবে
দারুণ ফটোব্লগ রাকেশ।ঐতিহাসিক ঢাকা নিয়ে একটা সিরিজ করে ফেলো।
ইতিহাস মনে থাকে না 🙁
অনেক ধন্যবাদ, আপাতত চেস্টা করছি ছবি রাখার, পরে অন্য কারো সাহায্য নিয়ে ইতিহাস যোগ করব
ভাই,এরপর গেলে আমাকে সংগে নিবি রে ? আমি কি যাওয়ার মতো যোগ্য ?
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
পরের শুক্রবার আছে নেক্সট ইভেন্ট, পুরান ঢাকার অনেক জায়গাই বাকি আছে এখনো। এই যে ফেসবুক ইভেন্ট লিঙ্ক।
আর ঘন্টা ৩-৪ হাটতে পারলেই হবে, যোগ্য টোগ্য লাগে না 🙂
অসাধারন সব ছবি :clap:
🙂 🙂 🙂
:clap: