ছয়টি তারে লুকিয়ে আছে…

একটা বেসিন ভাঙা দিয়া শুরু ক্লাস সেভেনে। পুরাকালে পেপসির লিটার যখন কাচের বোতলে বিক্রি হইত, একটা বোতল খালি করে কলেজে নিয়ে গেছিলাম। পানির কনটেইনার হিসাবে ব্যবহার করার ইচ্ছা। বাথরুম থেকে পানি ভরার পর বোতলটা হাত ফস্কে পড়ে গেল বেসিনের উপর। কি কেরমতি বোতলের! বোতল তো ভাঙলই না, বেসিনের মধ্যখান থেকে চারকোনা একটা টুকরা টপ করে ভেঙ্গে নিচে পড়ে গেল। দেখলাম বাথরুমে কেউ নাই, তাড়াতাড়ি ভাঙা টুকরাটা বেসিনের উপর চেপেচুপে বসিয়ে দিয়ে চলে আসলাম। সাক্ষী নাই কোন, আমারে আর পায় কে। কিন্তু কথায় আছে, ধর্মের গিটার বাতাসে বাজে। আধা ঘন্টা পর যখন ওজু করার জন্য বাথরুমে গেলাম (পুরাকালে আমি বেশ নামাজী ছিলাম :shy: ), পা পিছলে পড়বি তো পড় ওই ভাঙ্গা বেসিনের উপরই পড়লাম। শকে ভাঙ্গা টুকরাটা পড়ে গেল মেঝেতে। এইবার কপাল খারাপ, বেশ কয়েকজন সাক্ষীর সামনে ঘটায় দায়-দায়িত্ব আমাকেই নিতে হয়েছিল। অবশ্য হাউস মাস্টার রফিক নওশাদ স্যার কিছু একটার গন্ধ পেয়েছিলেন। আমার শরীরের ধাক্কায় বেসিন ভেঙে যাবে এটা তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি। অবশ্য বেশি জেরাও করেননি। বেসিনের জরিমানা বাবদ ১৬০০ টাকা পরের প্যারেন্টস ডেতে আব্বা রফিক স্যারকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আমার ভাঙ্গা-ভাংগির ইনিংসের উদ্বোধন হইল এইভাবেই।

এরপর ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত ভাঙ্গাভাংগিতে বেশি সুবিধা করতে পারি নাই। খুচরা খাচরা জিনিস ভাংগছি বটে, ওইগুলা মেজর কিছু না। মেজর জিনিস ভাঙলাম ক্লাস টুয়েলেভ-এ এসে। সেই গল্প বলার জন্যই আজকের পোস্ট।

আই সি সি-র জন্য বাংলা আবৃত্তিতে হিট দিয়ে সিলেক্ট হলাম। কবিতা যেটা আবৃত্তি করতে হবে, সেটা হল শামসুর রাহমানের “তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা।” কোচ ছিলেন মতিয়ার রহমান স্যার। উনি প্রত্যেকদিন গেমস টাইমে এসে আমাকে প্র্যাকটিস করান। প্র্যাকটিস ভালোভাবে করানোর জন্য টেপ রেকর্ডারে আবৃত্তি রেকর্ড করার ব্যবস্থা করলেন। তখন আবার অন্য ইভেন্টের লোকজনেরাও পুরোদমে প্র্যাকটিস করছে। তবে অন্যসব ইভেন্টের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল ব্যান্ডের ইভেন্ট। লাইন আপটা ছিল এরকম, বেইজে আহনাফ, লিডে জোবায়েদ, কি-বোর্ডে মোস্তফা, ড্রামসে আল-রাজী আর ভোকালে আল-মাহমুদ। জোবায়েদ বেশ ঝুলাঝুলি করে একটা নতুন গিভসন ইলেকট্রিক গিটার ম্যানেজ করেছিল অথরিটির কাছ থেকে। একটা নতুন প্রসেসরও পেয়েছিল মনে হয়, ঠিক যদি মনে পড়ে থাকে। সেই নতুন গিটারের কি যত্ন-আত্তি। রেক্সিনের কেইস ব্যাগে ভরে রাখা হয়, সেইটাতে আবার তালা মারা থাকে। চাবি থাকে গিটারিস্ট জোবায়েদের কাছে। ব্যান্ড দল প্র্যাকটিস করে অডিটরিয়ামে, স্টেজের উপর। অন্য ইভেন্টের অসুবিধা হয় বলে ওরা সাধারণত প্র্যাকটিস করত কোয়াইট আওয়ারে।

সেদিন অন্য আই সি সি পার্টিসিপেন্টদের মত গেমসের পর আমি গেলাম একাডেমিতে। চেঁচামেচি প্র্যাকটিস করতে। আমার টেপ রেকর্ডারটা থাকত স্টেজের পেছনে, গ্রিনরুমে। প্রায় অন্ধকার অডিটরিয়াম পার হয়ে স্টেজে উঠলাম, টেপ রেকর্ডারটা বের করতে হবে। স্টেজ পার হচ্ছি, হঠাৎ মট করে একটা শব্দ হল। ভালো করে তাকিয়ে দেখি জোবায়েদ গিটারটা ব্যাগে ভরে তালা দিয়ে স্টেজের উপর ড্রামসের পাশে শুইয়ে রেখে গেছে। আমি সেই গিটারটাই মাড়িয়েছি। গিটারের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কিনা বুঝতে পারি নাই তখনো, তালা দেওয়া ছিল বলে। সাক্ষী-সাবুদ আশেপাশে না থাকলেও বন্ধুর কথা ভেবে ডেকে আনলাম গিটারিস্টকে। জোবায়েদ ব্যাগের তালা খুলে দেখে গিটারের নেক ভেঙে গেছে। ঠিক দুটুকরো হয়নি, তবে জবাই করা মুরগির মাথার মত ল্যাকপ্যাক করছিল গিটারের ঘাড়। গিটারটা যে বরবাদ হয়ে গেছে বোঝা যাচ্ছিল পরিষ্কার।

নতুন কেনা গিটারের এই অবস্থা দেখে সবার মাথা কিঞ্চিত গরম হল। ক্যাডেটীয় কোন বুদ্ধি না খাটিয়ে ও আই সি কিরণকুমার স্যারকে ঘটনা জানালাম। স্যার বললেন চিন্তা না করতে, উনি দেখবেন ব্যাপারটা। কলেজে তখন কুইস্টা প্রিন্সিপাল। এই ঘটনার ডিসপোজাল যে বাজেরকম কিছুই হবে আমি নিশ্চিত ছিলাম। পরদিন জানা গেল প্রিন্সিপাল কলেজে নাই (আমার জন্য অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল সেটা)। এডজুট্যান্ট মেজর মামুন স্যার (এক্স ক্যাডেট, কুমিল্লা) তখন দায়িত্বে। উনি সব শুনলেন আমাদের কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট আল-মাহমুদের কাছ থেকে। তারপর আমাদের একটা বেইল আউট অপশন দিলেন। বললেন, আজকে দিনের মধ্যে যদি আমরা ৫০০০ টাকা জোগাড় করতে পারি তবে উনি নতুন একটা গিটার কিনে আনার ব্যবস্থা করবেন। এবং এটা যদি করতে পারি তবে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে টাকাটা ওইদিনের মধ্যেই জোগাড় করতে হত, কারণ প্রিন্সিপাল কলেজে ফিরে আসলে এডু স্যারের কথা প্রিন্সিপাল রাখতেন বলে মনে হয় না। জরিমানার পাশাপাশি শাস্তিটা ফ্রি হয়ে যাবে প্রিন্সিপাল শুনলে।

আল-মাহমুদ যখন এসে আমাকে বলল এডু স্যারের প্রস্তাবের কথা, আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম। কোথা থেকে জোগাড় করব এত টাকা। এমনিতেই টার্মের শেষ, ক্যান্টিনের বিল আর বাস ফেয়ার দিয়ে সবার হাতই মোটামুটি খালি। ৫০০০ টাকা তখন অনেক টাকা, ৫০ টাকায় বেনসনের প্যাকেট পাওয়া যায়। আল-মাহমুদ আমাকে অভয় দিল। বলল, টাকা জোগাড় হবেই, ফর্মে গিয়ে সব পোলাপানকে বললে একটা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। ফর্মে গিয়ে বললাম ঘটনা, এ ফর্মে আমি, বি ফর্মে আল-মাহমুদ। এরপর শুরু হল ভেল্কি। কেউ বলল পঞ্চাশ দেবে, কেউ একশ, কেউবা দুইশ। এরকম করে চলতে চলতে একসময় পুরো টাকাটা উঠে গেল। লাঞ্চের পর সবাই আমার রুমে এসে ক্যাশ বা চেক দিয়ে গেল। চেকগুলো হাউস বেয়ারার রউফ ভাইকে দিয়ে ক্যাশ করিয়ে আনলাম। একজন পিয়নকে টাকাগুলো দিয়ে দিলাম তখনি। উনি ঢাকা গিয়ে নতুন আরেকটা গিটার কিনে আনলেন। পরেরদিন প্রিন্সিপাল এসে সব শুনলেন। তবে ড্যামেজ ইতিমধ্যে কন্ট্রোল করা হয়ে গেছে দেখে বেশি উচ্চবাচ্য করলেন না। তবে কিরণ কুমার স্যারের মুখে শুনেছি, প্রিন্সিপাল নাকি বলেছিলেন গিটারের দামের ডবল দাম আমার কাছ থেকে জরিমানা হিসাবে আদায় করার দরকার ছিল। এই প্রিন্সিপালের নামে আরেকটু গীবত না করে পারছি না। ইনি ছুটির সময় ঢাকায় এসে ক্যাডেট পড়াতেন টিউটর হিসাবে। যাকে পড়াতেন তার ছোট ভাই (নন-ক্যাডেট) আমার কাছে কনফার্ম করেছেন এ তথ্য। যখন পড়াতেন তখন অবশ্য প্রিন্সিপাল ছিলেন না, কুমিল্লায় সিনিয়র টিচার ছিলেন।

কলেজে ওই গিটারটা এখনো আছে কিনা জানি না। তবে স্যারদের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এ ঘটনা। আমরা যে এক ঘন্টার নোটিশে পাঁচ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলব উনারা ভাবতেও পারেননি। টার্ম এন্ড ডিনারে মামুন স্যার বলেছিলেন, ক্লাসমেট ফিলিংস নাকি এরকমই হওয়া উচিত। একসাথে অপকর্ম করে কে দায়ী এইটা শত পানিশমেন্টের মুখেও না বলার চেয়ে ক্লাসমেট ফিলিংসের বহিঃপ্রকাশ এরকম ইতিবাচক হওয়া উচিত।

সেই ভাংগা গিটারটা আমি নিয়ে এসেছিলাম বাসায়। স্ক্রু মেরে নেক ঠিক করে নিয়েছিলাম। টিউন বেশিদিন থাকে না বটে, কিন্তু বাজানো তো যায়। ৩৪ তম ব্যাচের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, ওরা না থাকলে ছাপোষা বাপকে ডবল জরিমানা দিতে হত।

৩,১২৯ বার দেখা হয়েছে

৫০ টি মন্তব্য : “ছয়টি তারে লুকিয়ে আছে…”

  1. রকিবুল ইসলাম (৯৯-০৫)
    টার্ম এন্ড ডিনারে মামুন স্যার বলেছিলেন, ক্লাসমেট ফিলিংস নাকি এরকমই হওয়া উচিত। একসাথে অপকর্ম করে কে দায়ী এইটা শত পানিশমেন্টের মুখেও না বলার চেয়ে ক্লাসমেট ফিলিংসের বহিঃপ্রকাশ এরকম ইতিবাচক হওয়া উচিত

    আগেও একবার পড়েছিলাম আপ্নারা যখন চলে আসেন তখন আল-মাহমুদ ভাই মনে হয় কলেজ ম্যাগাজিনে।
    মাহমুদ স্যার :salute: খুবই ভালো মানুষ
    যদিও আমারে ক্লাশ সেভেনে থাক্তেই ইডি দিছিলো তার পরেও উনি বস

    জবাব দিন
  2. রাজীউর রহমান (১৯৯৯ - ২০০৫)
    ক্লাসমেট ফিলিংস নাকি এরকমই হওয়া উচিত।

    :salute: :salute:

    পুরা ৬ বছরে একটা টিউব লাইট আর জানালার একটা কাচ ভেঙেছিলাম। ২টাই অল্পের উপ্রে দিয়ে গেছে।

    আমার ওজন বেশি ছিল না। WWF তখন কলেজে বেশ হিট। নাম বলা যাবে না এমন একজন (বর্তমান ওজন ৯৬ কেজি) আমাকে একবার ১১৩ নাম্বার রুমে বেডের উপর আছাড় মেরেছিল। বেশ একটা শব্দ করে বেডটা ভেঙে গিয়েছিল। 😀

    আমি তো ভাঙি নাই বেডটা । :no: (লজ্জা পাবার ইমো.)

    জবাব দিন
  3. রকিব (০১-০৭)

    কলেজে কি কি ভাঙছি তার একটা লিস্টঃ
    ১. তোফায়েলের ঠ্যাং :grr: (এইটা যদিও আমি ভাঙ্গি নাই, কিন্তু পোলাপাইন ক্রেডিটটা আমারেই দিয়া একটা গল্প ফাঁদছিল। ফলাফল ইন্টার হাউসে নতুন ডিফেন্ডার হিসেবে যোগদান।)
    ২. ডালের বাটি
    ৩. জানালার গ্লাস (আরেকটু হইলে আমি ভাইঙ্গা যাইতাম ঐদিন 🙁 )
    ৪. ফুটবলের গোলবার ( ~x( ঝুলাঝুলি করতে গিয়ে)
    ৫. সি এম এইচের টিউব লাইট ( :grr: ছক্কা মারার অপপ্রচেষ্টা)
    আর মনে পড়তেছে না এখন। 😕


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    তোর আগের পোস্টটা পড়ার পর থেকেই অপেক্ষায় ছিলাম কখন পরেরটা দিবি... তুইতো আবার টুইন ছাড়া ডেলিভারি দিস না 😛


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. তানভীর (৯৪-০০)

    তোমাদের এই প্রিন্সিপাল স্যারকে চিনে ফেলছি, গণিতের শিক্ষক ছিলেন, আমাদের হাউস মাস্টার ছিলেন। 🙂

    ক্যাডেটদের পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব, অল্প সময়ে ৫০০০ টাকা যোগাড় করাও কোন ব্যাপার না। তোমাদের ফ্রেন্ডশিপকে :salute:

    জবাব দিন
  6. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    পরশু পরুম এই পোস্ট, মেলা লম্বা, তাও আবার ক্যাডেট নিয়া মনে হইলো, ক্লাস এইটে আমিও বেসিন ভাংছিলাম একটা, বেসিনের উপরে চইড়া বসছিলাম। কাহিনী একখান


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  7. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    টুকটাক ভাঙ্গার কথা মনে নেই তবে টুয়েল্ভে থাকতে একটা আছাড় মেরে জিকরুলের চেয়ার ভেঙ্গে ৮ টুকরা করে সরাসরি বজলুর রহমান স্যারের কাছে ধরা খাইলাম...
    এই ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য রাত ১২ টা ৩০ মিনিট থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত পুরা হুনাইন ক্লাস টুয়েল্ভকে হাউজ মাস্টার রুমে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছিল, কিন্তু কিছুই বের করতে পারেনি...

    জবাব দিন
  8. নাজমুল (০২-০৮)

    কলেজে কি কি ভাঙছি তার একটা লিস্টঃ
    ১। কমন রুমের দরজা 🙁 (মেহেদির মোবাইল আর আমাদের গোপন জিনিস বের করতে গিয়ে)
    ২। নিচের হাউজের টিউব লাইট
    ৩। বেশ কিছু রুমের জানালা
    ৪। কয়েকটি গ্লাস ও কাপ
    ৫। আর্টস ফেকাল্টির চেয়ার ও ভুগোল ডিপার্ট্মেন্ট এর মুল্যবান কিছু জিনিস 😀
    ৬। অল্প কিছু তালা(হসপিটাল,ছাঁদ কমনরুম ইত্যাদি)
    ৭। আমড়া গাছের ডাল
    ৮। 😕 (মনে পড়তেসেনা পড়ে বলবো)

    জবাব দিন
  9. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    কলেজে কি কি ভাঙছি তার একটা লিস্টঃ
    ১. নিয়ম
    ২. প্রিন্সিপাল সোহরাব আলি তালুকদার সাহেবের হৃদয়।

    আয় হায়, আমি তো দেখি খুব ভালো পোলা। বেশি কিছু ভাঙতে পারি নাই। 🙁


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  10. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    বেসিন একটা ভাংছিলাম বিএমএ'তে 😛 😛 ।
    উপরের ফক্সহোল থেকে কিছু একটা বাইর করার জন্য বেসিনের উপর দাঁড়াইছিলাম 😀 😀 ।
    ওইখানে কোন জরিমানার মামলা নাই।

    আর ১০/- টাকা জরিমানা দিছিলাম ক্যামিস্ট্রি ল্যাবের একটা গ্লাস লিড ভাঙ্গার জন্য 😛 😛 ।


    Life is Mad.

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।