প্রেমিক হিসেবে আমরা কেমন??????

আমি ব্লগের একদম নতুন সদস্য। আজকে কমেন্ট দেখতে যেয়ে দেখি আমাদের এক বড় ভাই লিখেছেন ক্যাডেটরা নাকি খুব ভালো স্বামী হতে পারে।আমিতো এখনও স্বামী হতে পারিনি বহুত দেরি :(( :((
যা হোক নিজের অভিঞ্জতা থেকে বলছি যে আমরা আসলে পার্টনার হিসেবে অসাধারণ।কারন আমরা একটা সর্ম্পকের মূল্য খুব ভালো করে বুঝি,সেটা যে ধরনের সর্ম্পকই হোক।আমরা বন্ধু হিসেবে ভালো, ক্যাডেটদের বন্ধুর সংখ্যা বরাবর বেশি। এই নিয়ে মায়েদের অনেক চিন্তা।ওসব কথা থাক আজ দেখি আসলেই কি আমরা প্রেমিক হিসেবে ভালো।

বিস্তারিত»

ভাঁজবিহীন সময়ের গল্প

আমরা কিছু সময়কে পুরনো কাঁপড়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখি। সেসব সময়ের রং চাররঙা খবরের কাগজের মত জ্বলজ্বলে ছিলো হয়তো একসময়। অনেকদিন কাপড়ের ভাঁজে থাকতে থাকতে সেসব সময়ের গায়ে সেলাইয়ের দাগগুলো স্পষ্ট হয়। সুতোর গন্ধ তীব্র হয়। রংসমূহ ধীরে ধীরে খয়েরি ও বাদামি হয়ে উঠতে থাকে। মনের ভুলে কেউ এসে ড্রয়ার থেকে কাপড়টা বের করে নেয়, আর তখনই তার ভেতর থেকে ভাঁজবিহীন সময়ের পাতাটা ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ে যায়।

বিস্তারিত»

ব্যবধান

আমায় হন্যে হয়ে খুঁজে খুঁজে মানুষের ভীড়ে,
হতাশায় ভেজা চোখ ফিরে আসে শূন্যে তোমার।
অথচ তোমায়, কেবলি যে ছুঁয়ে গেল আর্দ্র বাতাস,
আমারি নিঃশ্বাস তাতে অশ্রুর বাষ্পে ছিল মাখা।
তোমার চোখের পরে উল্টানো আকাশের ফ্রেমে,
এলোমেলো মেঘের ধূসর ক্যান্‌ভাসে আঁকা,
আমার ছবি তুমি পাও নাই খুঁজে কোনদিন।

তোমাতে আমাতে কোনো বিভেদ-সংঘাত নাই,
সুহৃদ বন্ধুতা তবু, রয়ে যায় এই সুক্ষ আঁড়াল।

বিস্তারিত»

সিসিবি’টা গল্প: টোকা।

(মজার জন্য লেখা। ফাজলামি করে লেখা। কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না আশা করি।)
এক:

চিত্রনায়িকা কুয়েলিকা তার ছিপছিপে দেহে হাসির ঝলক তুলতে তুলতে বলে, “যাহ, কামরুল ভাই!”

পরিচালক কামরুল হাসান জর্দা দেয়া পান মুখে পুরে দিয়ে বিড়ি ধরান। আয়েশ করে একটা টান দিয়ে বলেন, “আরে চিন্তার কিছু নাই। ছেলে আমার ছোট ভাইয়ের মত। ভেরি গুড বয়। এইএইসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।”

কুয়েলিকার মুখ লজ্জায় লাল হয়।

বিস্তারিত»

আজ স্বপ্নের দিন

১.
পুরানো কাগজপত্রগুলো গুছাচ্ছিলাম। হঠাৎ কাগজটা চোখে পড়লো, ১২ লাইনের ছোট্ট একখানা কবিতা। আমার খুব প্রিয় একজন মানুষের লেখা। বয়সটা আমার চেয়ে খানিকটা বড়, কিন্তু মনটা বোধহয় বয়সের সাথে পাল্লা দেয়া গাম্ভীর্যের আতিশায্যে আটকা পড়েনি। দেশ ছেড়েছে প্রায় বছর আটেক হলো, আর দেশে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়েছিল বলে বাংলার সাথে তার সখ্যতাটা সেভাবে গড়ে উঠেনি। কথা ঝরঝরে বাংলাতেই বলেন, কিন্তু লিখতে গেলেই অশনি সংকেত।

বিস্তারিত»

হারিয়ে খুজি তারে

কলেজ লাইফের কথা আমার খুব মনে পড়ে।মনে পড়ে কলেজ জীবনের প্রথম দিনটির কথা,কয়েকটি মাসের কঠোর পরিশ্রমের সুখময় পরিসমাপ্তি।আসলে ক্যাডেট কলেজে যদি আমি না যেতাম তাহলে হয়ত জীবনে বোঝাই হতনা বন্ধুত্ব কি?আমার ড্রমলিডার ছিল মাহফুজ ভাই একটু কড়া প্রকৃতির ছিল।আর আমাদের মিফতাহ ছিল একটু আদুরে প্রকৃতির।প্রতি রাতে ও বাসার জন্য কাদত,আর আমি ওর সঙ্গী।
কলেজে সেভেনে শান্তির সময় বলতে ছিল ব্লকে যতটুকু সময় থাকতাম।তাও যদি প্রেপ গার্ড ভাল হয়।আমার বরাবরই মুখচোরা অভ্যাস।আর কলেজ আমার এত খারাপ লাগত যে কারোর সাথে কথাও বলতে ইচ্ছা করত না।প্রেপে সবাই একটু কথা বলত কারণ প্রেপ গার্ড আদনান ভাই খুব ভালো ছিল।তখনও আমি চুপচাপ বসে থাকতাম।আর করতাম কি বাথরূমে যেয়ে কান্নাকাটি।একদিনের কথা আমার টেবিলের সিনিয়র ভাই নকীব ভাই আমাকে কি কারণে খুব বকাঝকা করছে,আমি চুপচাপ কাদছি।হঠাৎ কে যেন পিঠে হাত দিল।

বিস্তারিত»

পড়বে আমায় মনে

ফাগুন মাসে নীরব রাতে,
দক্ষিণের ওই জানালাতে,
চাঁলতাগাছের ছাঁয়া ঘেঁষে,
জ্যোৎস্না হয়ে রইব বসে।
দেখবে তখন তাদের মাঝে,
আলোছাঁয়ার কারুকাজে,
আলো হয়ে থাকব ঠিকই মিশে।
দুপুরবেলা পুকুরধারে,
হলদেরঙা ঘাসের পরে,
তুমি যখন আসবে ছুটে,
শালুক হয়ে রইব ফুটে;
ভ্রমর এসে গাইবে আমার কানে।
তখন আমায় পড়বে তোমার মনে।
শিমুলগাছে সাঁঝের বেলা,
বাঁদুড় যখন করবে খেলা;

বিস্তারিত»

||দৃশ্যকল্প||

(মাঝে আমার একজন প্রিয়কবি বলেছেন, আমি ইদানিং কবিতায় নিরীক্ষামূলক কাজ কমিয়ে দিয়েছি। কথাটা কিছুটা টনক নড়িয়ে দিল। কবিতার ব্যাপারে আমি এই সময়েও অচল পয়সার মত মায়া পুষে রাখি। যে দৃশ্যের প্রেমে পড়ে আমার ভেতরে শব্দ, পংক্তি ও স্তবক ঝরে পড়ে সেগুলোর প্রতি একটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চেষ্টা করলাম। নিচের লেখাগুলো পুরোপুরি নিজস্ব বিচারে লেখা, মানে অনেকটা রাইটিং ফর প্লেজার। তবে সবার মতামতের জন্য আকাঙ্ক্ষাটুকু নির্লজ্জের মত বলেই সাহস করে দেয়া…)

ড্রয়ার
দৃশ্যকল্পের কয়েকটা গাছ বুনেছিলাম ঘরের কোণে রাখা পুরনো আলমারির ভেতরের
চাবি দেয়া ড্রয়ারে।

বিস্তারিত»

ফেরারী

আবীরের একসময় নিজের জন্য অফুরন্ত সময় ছিল।তখন বিকেলে বুড়িগঙ্গার তীরে বেনসনের প্যাকেট নিয়ে বসে যেত। রাত নিঝুম হওয়া
পর্যন্ত চলত সিগারেটে অগ্নি সংযোগ।কখনো বা খালি পায়ে হাটাহাটি করত সংসদের সামনের রাস্তার,কৃষ্ণচূড়ার ফুল ঝরা লাল গালিচায়।তখন জীবনের স্বাদটা সত্যিই অন্যরকম ছিল।এখন আর নিজের করে সময় বের করা হয়ে ওঠেনা।সারাদিন অফিস তারপর সংসারের টুকিটাকি কাজ করতে করেত মধ্যরাত
তারপর পরের দিনের জন্য ঘুমিয়ে পড়া।আবীর একটু পাশ ফিরে শোয়.পুরোন অভ্যাস মত হাতঘড়ি দেখে।রেডিয়ামের জ্বলজ্বলে কাটাটা জানিয়ে দেয় রাত পৌনে চারটা।পুরো বাসা নিঃস্তব্ধ।পাশের বস্তিতে একটা বাচ্চা কেদে ওঠে।ঢাকার অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে।আবাসিক এলাকায় রঙহীন বাসা আজকাল দেখা যায়না বললেই চলে।কিন্তু এই বস্তিগুলো আর তার ভিতরের মানুষগুলোর জীবন সংগ্রাম একই রকম আছে,আদিম অকৃত্রিম।

বিস্তারিত»

জানার আছে অনেক কিছু – ১৯ দিনের একটি মাস

কিভাবে সম্ভব…??? ব্যাপারটা শোনার পর আসল কাহিনি জানতে ইচ্ছা হল, আর আসল কাহিনি জানার পর মনে হল অনেকেই হয়তো আমার মত ব্যাপারটা জানেন না। তাই আমার মত ব্যাপারটা যারা জানেন না তাদের জন্য ঘটনাটা সিসিবিতে শেয়ার করার ইচ্ছা হল।
————————————————————————

২ সেপ্টেম্বর ১৭৫২। এইদিন রাতে স্বাভাবিক নিয়মে সবাই ঘুমাতে গেলেও অনেকটা সরকারী নির্দেশেই সবার ঘুম ভাঙ্গে ১১ দিন পর অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে।

বিস্তারিত»

শেষ চিঠি

fragments_home_editor_letter_image1

অহনা
কি লিখব ভেবে পাচ্ছিনা,অনেক কথা মনে জমে আছে।অনেক কষ্ট জমে আছে,অনেক অভিমান।জানিস তোর চিঠি গুলো এতবার পড়েছি সব মুখস্ত হয়ে গেছে।জানিস একসময় অনেক স্বপ্ন দেখতাম,আর দেখিনা।স্বপ্ন হারানোর কষ্ট সহ্য করা খুব কঠিন।আমি আর স্বপ্ন দেখিনা কারণ আমি তোর স্বপ্ন গুলো নষ্ট করে দিয়েছি।মনে আছে তুই আমাকে বলতি যদি আমাদের বিয়ে হয় বিয়ের রাতে তুই আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদবি,আর আমি চুপচাপ বসে থাকব।সত্যি কথা আমি চুপ করে থাকতাম।তুবও কেন এমন করে চলে গেলি।জানিস তুই তো সবসময় বলতি আমি নাকি তোকে কখনো অনুভব করিনা মন থেকে,

বিস্তারিত»

নিঃশব্দ কবিতা

মাঝরাতে করোটির জরাজীর্ণ ছোট্ট কুটিরে,
আচম্‌কা হানা দেয় অশরীরি কবিতার দল;
দৈত্যের ক্ষুধা নিয়ে তারা শুধু শব্দ খেতে চায়।
তাদের আপ্যায়নে মগজ ব্যস্ত হয়ে ওঠে,
আবেগের তেলে ভেজে ক’রে দেবে শব্দের ফ্রাই,
তাই শব্দ হাঁতড়ে মরে স্মৃতির নিঃস্ব ভাঁড়ারে।

বিস্তারিত»

মধ্যমাস জর্নালঃ

সকলের মত সকাল আসে না আমার
জানালায়
ভোর কিংবা সকালের রোদসকল দানাবাঁধা
সিলুয়েট
ছবিহীন দুপুর আঁকতে থাকে নিরলস শ্রমে।

২.
আমাদের শহরে বছরের মাঝের মাস দু’টা ঘুণপোকার মতো একাগ্রতায় বিঁধে থাকে। কাঠের শরীর কুরে কুরে খাওয়ার সুখ পেতে থাকে মধ্যমাসের ঘন্টাগুলো। তারা শ্লথ এবং নির্বিকার, সেই কারণে অনেকাংশেই নিঃসংশয়ে আমাদের শহরের ইতিহাস থেকে মধ্যমাসের ঘটনাবলি ঝরে যায়। জুন ও জুলাই মধ্যমাসের টানাহ্যাঁচড়ায় পড়ে বাদী-বিবাদী অথবা বাঁদী হয়ে আদালত চৌকাঠে আছড়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

ফোল্ডার অপশন/ ভিউ/ শো হিডেন ফাইল্‌স এন্ড ফোল্ডার্‌স…!!!

শুক্রবার দুপুরবেলা। জম্পেশ খানা-দানার পর আমার রুমে সবাই মিলে গল্প করছি। আমরা মানে আমি, আদিব, শান্ত এবং অভিজিৎ। গান শোনার জন্য পিসি অন করতেই পংটা আদিব প্রশ্ন করল,
-তো মামা, তোমার পিসিতে ‘সেই রকম’ কিছু নাই??? থাকলে দেখাও না…

আমি কিছু না বলে প্রথমে ‘ভিউ হিডেন ফাইলস এন্ড ফোল্ডারস’ অপশন চালু করলাম। এরপর একটি ফোল্ডার আসার পর সবার দিকে তাকিয়ে নাটকীয়ভাবে বললাম,

বিস্তারিত»

জানো কি?

তোমার চোখের রঙ কি জানো
আমি নিশ্চিত তুমি জানো না
আমি এটাও নিশ্চিত
শ্রাবণের এই বৃর্ষ্টির রাতে যার বুকের উত্তাপে তুমি উষ্ণ থাক
সেও জানেনা
কিন্তু আমি জানি ঈষত লালচে কালো

বিস্তারিত»