স্বপ্নবাজ মানুষ মাত্রই স্বপ্ন দেখতে আর দেখাতে পারে। আমি স্বপ্নবাজ কিনা জানি না, আমি শুধু স্বপ্নই দেখে যাই, কাউকে কোন স্বপ্ন দেখাতে পারি না। তবুও মাঝে মাঝে নিজেকে স্বপ্নবাজ বলেই মনে হয়। আমি জেগে জেগে… ঘুমের মাঝে সব সময়ই স্বপ্ন দেখি।
একবার স্বপ্ন দেখি- আমি শৈশব এ ফিরে গেছি আবার দেখি আমি মৃত্যু শয্যায়। কিছু স্বপ্ন নষ্টালজিয়ার ভিন্ন রূপ কিনা সেটাও বুঝতে পারি না।
এই ব্লগের কামরুল ভাইরে আমি বড়ই ভালা পাই। উনার জন্মদিনের পোস্ট সময়ের দুই দিন আগে দিয়া এই ব্লগে যেই ডিস্টিং ডিস্টিং ঠা ঠা হইছিল সেইটার রেশ ধইরাই অনেক দিন ধইরা ঝিমায় থাকা সিসিবি বেশ চাঙ্গা হইয়া উঠছিল। আমার ইজ্জতের ফালুদা তথা ঘটি বাটি চাটি করার পরেও উনি কথা রাখছিলেন-সবাইরে স্টার কাবাবে “যেমন খুশি খাও” করাইছিলেন। সিসিবির একটা বিশাল অংশ সেইদিন জমায়া খাইছিল-প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে নতুন জামাই সামী আর তার “ইয়ে”
দূরত্বের নাম নেই, শহর কিংবা গ্রামে আমাদের দূরত্ব নিয়ম মেনেই বাড়ে-
স্থবির চোখ মেলে নিমেষব্যাপী আমরা দুঃখ থেকে দূরগামী হই
দুঃখ সিঁড়ি বেয়ে সাপের মত উঠে আসে সন্তর্পণে হৃদয়ের কাছে
ধাতব রেলিঙে যাবতীয় অনুসর্গ ছেড়ে আসা সাপের চোখে আমি কাতরতা পাই
শহরে কিংবা গ্রামে, এই প্রাপ্তি আমাকে সুখ দেয়
আমার চেয়েও অধিক কাতর দুঃখের অবয়ব আমার স্বভাবজাত অহমিকায়
পরশ বুলায় সাপের মায়ায় সিঁড়িঘরে একটি বাগান তৈরি করি
বাগানে বিষের ফুল ফুটে উঠবে একদিন,
বেশ কিছুদিন ধরে আবারো স্বরূপে ফিরেছে সিসিবি… :guitar: :awesome: দিহান ভাবি কাম আপ্পুর একচ্ছত্র আধিপত্য :gulli2: :gulli2: ,সানাভাইয়ের দিযুগী প্রতীক্ষার অবসান,এসএসবিঃসর্ষেয় ভূত’এর মাধ্যমে জুনা ভাইয়ের ‘ভাবি মাসুদ রানা’ হয়ে উঠা,নীলা’র বদৌলতে জাবিরের ফর্মে ফেরা,বর্ষণমুখর সন্ধ্যায়ে সামীউরের কণ্ঠে বাদলা দিনের গান ,ভাবিপ্পুর কাছে মাস্ফুর খিচুরি খাওয়ার বায়না(মাস্ফুর নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের আবদার পেশ করার চেষ্টা 😉 ),রকিবের বিখ্যাত চায়ের দোকানের স্পেশাল পাত্তির :teacup: রমরমা ব্যবসা,মার্জনামূলক পোস্টের মাধ্যমে আন্দালিব ভাইয়ের সিসিবিতে ফেরা,আদনানের জ্যাকসন প্রীতির বহিঃপ্রকাশ =(( ,মাস্ফুর ব্যান চেয়ে রায়হানের ব্যাপক গণসংযোগ :khekz: ,কামরুল ভাই,ফয়েজ ভাই ,রবিন ভাইদের চমৎকার সব লেখনীর মোহ…সবমিলিয়ে আজকাল দিনের অনেকটা সময় সিসিবিকে দিতে হচ্ছে।ভাবলাম এই জম্পেশ :party: নিজেকে শামিল করার সুযোগটা না হারাই…একটা সুবর্ণ সুযোগও পেয়ে গেলাম…ক্যাডেট কলেজের ইনটেক’ ১৯৯৭-২০০৩ এর ১২তম জন্মদিন…সেই সোনালী দিনগুলির স্মৃতি রোমন্থন…
কোন এক ছুটির দিনে এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত। খাওয়া দাওয়া এবং আড্ডার পরপর যেটা হয়, ডিভিডি কালেকশন নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। বন্ধুটির বড়ভাই বেশ উদার এবং কালেক্টিভ মানুষ। আমরা একটা ঢাউস ব্যাগ খুলে থরে থরে সাজিয়ে রাখা ডিভিডি দেখছি। কোনটা দেখা হয়ে গেছে আর কোনটা দেখা লাগবে সেটাও হিসাব করছি। এমন সময় পরপর অনেকগুলো ডিভিডি দেখলাম একই। একজন কে জানি বললো, এটা একটা সিরিজ। আমি আগ্রহের বশে বললাম,
-‘স্যার, নিজাম বলছি।’
-‘বল নিজাম।’
-‘স্যার, লোকটার পিছু নিয়ে আমরা মিরপুর ২ এসেছি। প্রায় মিনিট বিশেক হল সে এক বাড়িতে ঢুকেছে। আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম ওটায় এক পরিবার থাকে। অনেক দিন ধরেই নাকি ওরা এখানে আছে।’
-‘তোমরা কতজন ওখানে আছ?’
-‘স্যার, এই মুহুর্তে তিনজন। অবশ্য অফিস থেকে আরো দুইজনকে আসতে বলেছি,
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে জামশেদ আলম এবং নাদিয়া ইসলাম। তাদেরকে বলা হয়েছে, কোন এক উচ্চপদস্থঃ কর্মকর্তা তাদের সাথে দেখা করবে। ওরা দুইজনেই যখন ‘আর কতক্ষণ লাগবে’ ভাবছে, এমন সময় দরজায় দেখা দিল কায়সার চৌধুরি।
-‘দুঃখিত, আপনাদেরকে বসিয়ে রাখার জন্য। আমি স্পেশাল এজেন্ট কায়সার চৌধুরি, এসএসবি।’
-‘আপনাকে দেখে খুব খুশি হয়েছি বলতে পারছি না।
[ডিস্ক্লেইমারঃ এই একটা জিনিশই আমি ভাল পারি! 😉 ] দ্বিচরণ
তোমাকে আমার ভাল লাগে
এই নির্দোষ বাক্যে কারো রাগ বা ক্ষোভ
হওয়ার কথা নয়, যদিও আমার সামনে বসে
তুমি ক্ষেপে ওঠো, ভীষণ সুন্দরভাবে
আমি দ্বিধায় পরিমাপ করি
রাগের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা, মাত্রাসমূহ
১।
রাত আটটা। বারিধারা ডিওএইচএস এর চার নম্বর রোড থেকে সাদা রঙের টয়োটা প্রিমিও গাড়ি নিয়ে বের হ্ল শামীম আহম্মেদ। কম্পিউটার প্রকৌশলী এই লোকটির বয়স ২৯, অবিবাহিত। বুয়েট থেকে প্রথমে গ্রাজুয়েশন করে পরবর্তীতে আমেরিকা থেকে ডেটাবেইজ তৈরির উপর উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে বর্তমানে ‘ডিভাইন ডট কম’-এ কর্মরত। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশী হলেও বিদেশী ক্লায়েন্টদের জন্যও সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে। প্রতিদিনের মতন শামীম এখন অফিস থেকে বের হল।
কষ্টরা বারেবারে আমার বুকে আঘাত পেয়ে যায়;
কষ্টরা আমাকে ভালবাসে তাই
আমাকে ছেড়ে যেতে তাদের কষ্ট হয়।
আমিও কষ্টকে ভালবাসি তাই কষ্টকে আমি কষ্ট দেই;
কেন না কষ্টরা আমাকে কষ্ট দেয়,
কষ্টের বদলে তাদেরকে সুখ কি করে আমি দেই!
আমি কষ্টকে ভালবাসি তাই কষ্টকে পেতে চাই,
কষ্ট আমার বুকে আছে তাই সুখকে ঘৃণা করে যাই।
কোনো একটা ব্লগে লিখেছিলাম, কলেজে ৭ম শ্রেণীতে পদার্পণ করার পর ১২এর সিনিয়র ভাইরা ডেকে নিয়ে যায়, সেখানে আমাকে ড্যান্স করে মাইকেল জ্যাকসনের গান গাওয়ানো হয়। ঐটুকু পিচ্চির মাইকেল জ্যাকসনের আস্ত একটা ইংরেজী গান মুখস্ত ছিল এটা তো কম কথা নয়।
হ্যা, আমি মাইকেলের সেরকমই একজন ভক্ত ছিলাম। আমাকে এই সিরিয়াস ট্যালেন্টেড আর্টিস্ট-এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার খালাত ভাই রাজীব। তখন আমরা মনে হয় ক্লাস 3/4 এ পড়ি।
গত চার বছর ধরে গাড়ির হাট বসছে ঢাকায়। আসাদ গেট কলোনির মাঠ জুড়ে শ দুয়েক গাড়ি ঘিরে চলে ক্রেতা বিক্রেতাদের তুমুল দরদাম। নিত্য প্রয়োজনীয় সদাইয়ের হাট দেখেছি, দেখেছি গরু-ছাগলের হাট, তবে বাংলাদেশে গাড়ির হাট এই প্রথম। আর হাটে আসা গাড়ির এই সংখ্যা অনেক গরু-ছাগলের হাটকেও হার মানায়। এক সময়ে গাড়ি বলতে গ্রামে-গঞ্জের মানুষ গরুর গাড়ি বুঝতো। কালেভদ্রে মটরগাড়ি গাঁয়ে ঢুকলে দল বেঁধে দেখতে যেত সবাই।
১।
নিজের অফিসে আপন মনে চেয়ারে দোল খাচ্ছিল কায়সার। পুরো নাম মেজর কায়সার চৌধুরি। এসএসবির এক নম্বর এজেন্ট। গত কয়েক বছরের অমানবিক খাটা-খাটুনির পর আপাতত সে রিলাক্স টাইম পার করছে। এসএসবি মাঠে নামার পর বেইমানদের রীতিমত মূর্তিমান আতংকে পরিনত হয়েছিল সে। দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ডে ওর নাম দেয়া হয়েছে ‘বাজ পাখি’। কারন, বাজের মতনই ও শত্রুদের উপর ছোঁ মেরে ঝাঁপিয়ে পড়ত। প্রয়োজনে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তা ওরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।
আজকে একটা দিন গেল বটে। অসম্ভব রকমের গরমের মধ্যে অফিসের কাজে জীপে (নন-এসি অবশ্যই) দু’শ কিলোমিটার পাড়ি দেয়া খুব একটা আরামের কিছু না। তবে যাত্রা শুরু করার পর নিজের অজান্তেই একা একা মিটমিট হাসতে লাগলাম। আমার যাত্রাপথে ঝিনাইদহ পড়বে। ১৫ টা মিনিট সময় কি পাওয়া যাবে না? অবশ্যই যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। সহযাত্রীদের বিশ্রামের সুযোগ দিয়ে প্রবেশ করলাম সেই গেট দিয়ে যেটা পার হলে আজ ২০ বছর পরেও মনে হয় এখনও ক্যাডেট আছি।
“বাবা কতদিন…কতদিন দেখিনা তোমায়…
কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়।
বাবা কতরাত…কতরাত দেখিনা তোমায়…
কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়……”
আজ ২১শে জুন ,যদি ভুল না করি আজ ‘বাবা দিবস’। বিদেশ বিভূঁইয়ে বসে আজকাল দেশের সব ‘বিশেষ দিবস’ এর হিসাব অতোটা রাখা হয়ে উঠেনা। মাঝে মাঝে পত্রিকার পাতায় দৃষ্টিগোচর হলে সেটা নিয়ে কম বেশি ভাবা হয়।