সানশাইনঃ সূর্যস্নানের মানবিক ছবি

[পুরোপুরি স্পয়লারমুক্ত মুভি-রিভিউ 😀 ]

ধরা যাক, আমরা একটি সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র বানাতে যাচ্ছি। ছবিটির কাহিনী অনেকটা সময় পরের পৃথিবীর পটভূমিতে। এমন একটা সময়ে যখন সূর্যের আয়ুষ্কাল শেষের পথে। তারকা হিসেবে সূর্যের দীপ্তি কমে আসছে, ধীরে ধীরে সে নিভে যাচ্ছে। সূর্য নিভে গেলে প্রাণের উদ্ভব হওয়া গ্রহটিতে সকল প্রাণ বিলুপ্ত হবে। মানুষ হিসেবে তখন সবচেয়ে জরুরি কাজই হবে সূর্যকে টিকিয়ে রাখা। মানব সভ্যতার এরকম একটা ক্রান্তি সময়ে একদল নভোচারীকে পাঠানো হলো সূর্যরক্ষা মিশনে। পৃথিবীর সকল খনিজ ও নিউক্লিও রসদ ঘেঁটে বানানো হলো অতি শক্তিশালী বোমা। ফিউশন বিক্রিয়ার চক্রতে সেটা কাজ করবে অনন্তকাল। এই বোমাটিকে সূর্যের ভেতরে ফেলে আসলে মিশন সম্পন্ন হবে। “উই হ্যাভ টু ক্রিয়েট এ স্টার উইদিন এ স্টার!

Poster

Poster

এরকম একটা সায়েন্স ফিকশন বানাতে ঠিক কতো টাকা খরচ হতে পারে? হলিউডের হিসেবে বলি, পরিচালক ড্যানি বয়েল পুরোপুরি নভোযানভিত্তিক এই ছবিটি বানিয়েছেন মাত্র ২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে। ছবিটির নাম “সানশাইন“। তিন বছর আগে আমি ম্যুভিটার ট্রেইলার দেখেছিলাম, তখন থেকেই আমার কাছে এই ছবিটি বেশ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। গত পরশু ম্যুভিটা দেখার পর থেকে মনে হচ্ছে কেন আরো আগেই দেখি নি!

দর্শক হিসেবে, সাধারণ একটি সায়েন্স ফিকশনে আমার কাছে যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় সেটা হলো গল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গল্প বলার (স্টোরিটেলিং) মুন্সিয়ানা। কারণ এখনকার স্পেশাল ইফেক্ট আর কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কল্যাণে যে কোন কিছুই দেখানো সম্ভব সেলুলয়েডের পাতায়। বিশাল অতিকায় কিংকং এখন ডাইনোসরের সাথে যুদ্ধ করতে পারে, মানুষ অভিনীত চরিত্রকে রূপকথার ‘গলাম‘ বানিয়ে ফেলা নস্যি, ছোট একটা পুকুরেই টাইটানিক জাহাজের গল্প বলে ফেলা যায়! সেখানে পরিচালকের আলাদা স্বাক্ষর না থাকলে সায়েন্স ফিকশন কেবল অর্থহীন সময়ক্ষেপণ হয়ে পড়ে।

সানশাইনের শুরুতেই পটভূমিতে একটি কণ্ঠ পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করে দেয়। সূর্যের উদ্দেশ্যে সাত বছর আগে পাঠানো হয়েছে নভোযান ইকারুস ১। ছয়মাস পৃথিবীতে বেস স্টেশনের সাথে তার যোগাযোগ ছিলো। তারপর থেকে আর কোন খবর পাওয়া যায় নি নভোযানটির। এজন্যেই ষোলো মাস আগে যাত্রা করেছে ইকারুস ২। আটজন মহাকাশচারী আর স্টেলার বোমার পে-লোড নিয়ে সূর্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে সেটি।

Observation Deck

Observation Deck

মীথোলজিতে আকৃষ্ট আমি ইকারুসের নাম শুনেই দারুণ মজে গেলাম। দুরন্ত স্পর্ধায় পাখা বেঁধে সূর্যের দিকে রওনা দিয়েছিলো ইকারুস, তারপরে তাপে পাখার মোম গলে যাবার পরে তার মৃত্যু ঘটেছিলো। ইকারুস ২ এর যাত্রীদের মাঝেও ছোট একটা আশংকা কাজ করতে থাকে শুরু থেকেই।
এরপরে যেটা নজরে পড়লো সেটা হলো আটজন মানুষের মাঝে টানাপোড়েনের অংশটি। একটা বদ্ধ অবস্থায় ষোলোমাস কাটানোর সময়ে এরকম পরিস্থিতি হতেই পারে। গোষ্ঠী হিসেবে মানুষের ইতিহাস আধিপত্য বিস্তারের লোভ ও কাঙ্ক্ষায় ভরপুর। সেরকম একটা মাইক্রো-সমাজ এখানেও গড়ে উঠেছে। দলনেতা ও সহ-দলনেতা ছাড়া বাকি ছয়জন নানা বিদ্যায় পারদর্শী- পদার্থবিদ, গণিতবিদ, প্রকৌশলী, বোটানিস্ট, সাইকিয়াট্রিস্ট আর অপারেটর। একটা চারকোণা টেবিলের চারপাশে বসে থাকা আটজনের আলোচনা, বাদানুবাদের দৃশ্যটিতে অনেকগুলো পরিচিত ঘটনা পেলাম। ক্যামেরা সেসময়ে দ্রুত এক একজনের মুখের ওপরে পড়ছে, তাদের অভিব্যক্তির মাঝেই অনেক না-বলা সংলাপ ঘুরছে। এখানেও প্রাগৈতিহাসিক সমাজের মতোন ব্যবস্থাঃ অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্তের সাথে জড়িত থাকছে কেবলই সেই বিষয়ে এক্সপার্ট নভোচারী। বাকিদের উপস্থিতি সেখানে সাধারণ নাগরিক/প্রজার মতোই। একেবারে ধাতব নভোযানের ভেতর এমন দুর্দান্ত নমুনা সমাজের উদাহরণ দেখে আমি বেশ চমৎকৃত।

ম্যুভিতে মূল টেনশনের শুরু হয় যখন বুধ গ্রহের পাশ দিয়ে ছিটকে চলে যাবার সময়ে একটা অজানা ট্রান্সমিশন পাওয়া যায়। রেডিও এনালিস্ট জানালো, সেটি ইকারুস ১- এর ডিসট্রেস সিগন্যাল, গত সাড়ে ছয় বছর ধরে ক্রমাগত পাঠিয়ে যাচ্ছে। বুধ থেকে পৃথিবীর দূরত্ব আর বুধের পৃষ্ঠের লোহার উপস্থিতি সেটিকে বাধা দিচ্ছিলো। এখন ইকারুস ২ কাছাকাছি আসায় সেটা ধরতে পেরেছে। মূলত এই ঘটনাটাই নভোচারীদের দ্বিধায় ফেলে দেয়। তাদের মূল মিশন সফল না হলে পৃথিবী তথা সমগ্র মানবজাতি বিলুপ্ত হবার আশঙ্কা। আবার ইকারুস ১ এর সাথে একটা পে-লোড আছে, দুটাই নিয়ে যেতে পারলে সফল হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে! সব মিলিয়ে খুব কঠিন আর দুরূহ সিদ্ধান্ত! সেখানে পদার্থবিদের একটি সংলাপ এমন- “তুমি আমাকে বলছো এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে যেনো কয়েন ছুঁড়ে দিয়ে সেটি হেড আসবে না টেল আসবে তা বলতে হবে”। অনুমানের ভিত্তিতে এরকম বড়ো সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক বড়ো ঝুঁকি।
মনে পড়ে গেলো, এমন ইতিহাস বদলে ফেলা সিদ্ধান্ত থেকেই আমাদের এখনকার সভ্যতা এভাবে তৈরি হয়েছে!…

সিনেমার বাকি অংশ এর পর থেকেই দুর্দান্ত গতিতে এগিয়েছে, অনেকটা ঐ নভোযানের মতোই। সারাক্ষণই সূর্যের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়, গনগনে উত্তপ্ত সূর্যের এতো কাছাকাছি মানুষ কখনই যায়নি। আর যায়নি বলেই অবজারভেশন ডেক-এ বসে সাইকিয়াট্রিস্ট মুগ্ধ হয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকেন। মনের অজান্তেই বলে বসেন, “ওহ গড! ইজ দিস হেভেন?” অথচ সে তখন মূল দীপ্তির মাত্র ২ শতাংশ দেখছিলো!

এরকম ছোট ছোট বেশ অনেকগুলো দৃশ্য আর সংলাপের কারণে অধিকাংশ সময়েই আমার মনে হয় নি এটা কোন সায়েন্স ফিকশন। ধুম ধাড়াক্কা ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট নেই, আছে গভীর মনস্তত্ত্ব, মানুষের সাইকোলজিক্যাল আর সোশ্যাল ভ্যালুজের পরীক্ষা। আর আছে সেই প্রাচীন দ্বিধা, পুরো মানবজাতির চাইতেও কখনো কি একজন মানুষের জীবন বেশি মূল্যবান হয়ে ওঠে? চূড়ান্ত লজিক্যাল মানুষ কিসের মোহে, কিসের জাদুতে আবেগিক হয়ে ওঠে। পৃথিবী থেকে মিলিয়ন মাইল দূরে, একটা নভোযানের ভেতরে কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণের মাঝে থেকেও মানুষ কেন তার সহজাত প্রবৃত্তি আর আদিম আচরণ ভুলতে পারে না? এই প্রশ্নগুলো বার বার উস্কে দেয়ার জন্যে ড্যানি বয়েল আর অ্যালেক্স গার্ল্যান্ড (লেখক) কে সাধুবাদ। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও শেষমেশ মানবতারই গল্প!

সূর্যস্নানের একটা চমৎকার উক্তি দিয়ে শেষ করছি। এই উক্তিটা সূর্যের আলোর ৩.১ শতাংশ ঔজ্জ্বল্য দেখার পরে সাইকিয়াট্রিস্ট ব্যাখ্যা করছেন:

Searle: It’s invigorating. It’s like… taking a shower in light. You lose yourself in it.
Corazon: Like a floatation tank?
Searle: Actually, no. More like… In psych tests on deep space, I ran a number of sensory deprivation trials, tested in total darkness, on floatation tanks – and the point about darkness is, you float in it. You and the darkness are distinct from each other because darkness is an absence of something, it’s a vacuum. But total light envelops you. It becomes you. It’s very strange… I recommend it.

***
শেষ হইয়াও হইলো না শেষ! সানশাইনের থিয়েট্রিক্যাল ট্রেইলার পাবেন এখানেঃ Sunshine Extended Theatrical Trailer

ভিডিওটি সাড়ে চার মিনিটের। তায় আবার হাইডেফ। যাদের স্পিড আমার মতো কম, তারা নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেনঃ
Sunshine Theatrical Trailer

৩,৩১৫ বার দেখা হয়েছে

২৮ টি মন্তব্য : “সানশাইনঃ সূর্যস্নানের মানবিক ছবি”

  1. রকিব (০১-০৭)

    এইটা আমার খুব প্রিয় কিছু ছবির একটা। ছবির শেষে পদার্থবিজ্ঞানীর উক্তিটা অসাধারণ মনে হয়েছিলঃ
    একদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে যদি আলোকজ্জ্বল এক সুন্দর পৃথিবীর দেখা পাও, তবে জেনো, আমরা সফল হয়েছি।
    মুহাম্মদ ভাইও একবার এই সিনেমাটার রিভিউ দিয়েছিলেন।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      শেষের সংলাপটা আমার দুর্দান্ত লেগেছে। সিলিয়ান মারফি (পদার্থবিদ) এর কণ্ঠে দেয়া বেশিরভাগ সংলাপই অনেক ডাবল-মীনিংয়ের। ভালো লাগছিলো শুনতে।

      মুহাম্মদ এইটার রিভিউ লিখে থাকলে আমি কেন লিখলাম! ওর টা পড়ে নিলেই হইতো! 🙁

      জবাব দিন
  2. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    খুব ভাল লেগেছিল মুভিটা। ড্যানি বয়েলের ট্রাইনস্পটিং আর সানশাইন দুটাই ভাল লেগেছিল। শেষে এসে লোকটা স্লামডগ মিলিওনার বানিয়ে ইতিহাসে নিজের একটি কুখ্যাতি তৈরি করে দিয়ে গেল। মানুষেরযে কেন এমন হয়?

    সানশাইন আমি যখন দেখেছিলাম তখনও বোধহয় কুবরিকের স্পেস অডিসি এবং তারকভস্কির সোলায়ারিস দেখা হয়ে উঠেনি। এই দুটা দেখার পর সানশাইনের উপর এগুলোর প্রভাব বুঝতে পেরেছি। সোলিয়ারিস এর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তো অনন্যসাধারণ, অতুলনীয়। স্পেস অডিসি তো সবকিছুর উর্ধ্বে। সানশাইন সেই ধারায় বেশ ভাল সংযোজন। নব্বইয়ের দর্শকের পর ভাল সায়েন্স ফিকশন মুভি খুব বেশি হয় নি। সানশাইন সেই গুটিকতকের মধ্যে অন্যতম।

    জবাব দিন
    • আন্দালিব (৯৬-০২)

      আমি এখনো সোলিয়ারিস দেখি নাই। স্পেস অডিসি'র নভোযানের ভেতরের গড়ন আসলেও ইকারুসের গড়নের সাথে মিলেছে। আমি কালকে এটা দেখার পর থেকে সংলাপ আর গল্পের মোড়গুলো নিয়ে এখনও ভাবছি! কাহিনীভিত্তিক সায়েন্স ফিকশন একটা দুর্দান্ত সুস্বাদু খাবার যেন!

      আমার দেখা প্রথম সায়েন্স ফিকশন ছিলো স্টার ওয়ার্স। প্রথম প্রেমের মতোন ব্যাপার স্যাপার, ঐটার কাহিনী বরাবরই আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়। বড় হওয়ার পরে অন্য কাহিনী যেমন ভালো লেগেছে, সেই প্রথম ভালো লাগার কাছাকাছি যেতে পারে নাই। আর একটা হলো ম্যাট্রিক্স, কৈশোরের ভালো লাগা! 😀

      ড্যানি বয়েলের বিবর্তন সম্ভবত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র বা পুরষ্কারগ্রাহী চলচ্চিত্রের দিকে ঘুরে গেছে। ট্রেইনস্পটিং নামাতে হবে দেখি...
      (তোমার রিভিউটা আগে পড়া না থাকায় ভালো হয়েছে, এক গাদা স্পয়েলার দিয়ে রাখছো হে! 😛 )

      জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

        কৈশোরে মুভি দেখার অভ্যাস না থাকায় স্টার ওয়ার্স, ম্যাট্রিক্স এর মত সিনেমাগুলোও আমি অনেক পরে দেখেছি। স্টার ওয়ার্স ৪ এবং ১,২,৩ দেখেছি। অর্থাৎ জর্জ লুকাসের নিজের পরিচালনায় করা চারটা। স্টার ওয়ার্স ৪ অর্থাৎ প্রথমটা আসলেই চমৎকার। একটা বিশ্বাসযোগ্য গ্যালাক্টিক এম্পায়ার তৈরি করে ছেড়েছেন লুকাস। R2D2 এবং C3PO নামের দুইটা রোবটকে প্রোটাগনিস্ট এর মত ভূমিকা দিয়ে লুকাস একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

        সানশাইন এর মধ্যে মারদাঙ্গা সস্তা থ্রিল না থাকার একটা বড় কারণ মনে হয় ব্রিটিশ মুভি হওয়া। হলিউড হলে দেখতেন কি বানাইতো।

        আরেকটা মুভি দেখতে বলতেছি আন্দালিব ভাই। "ডার্ক সিটি" এইটা হলিউডেরই, পরিচালক অ্যালেক্স প্রোয়াস। প্রোয়াস ই "আই, রোবট" করেছিলেন। আই, রোবট বেশ মারদাঙ্গা ছিল, সে তুলনায় ডার্ক সিটি অসাধারণ। সানশাইনের চেয়ে ডার্ক সিটির দার্শনিক এবং মরমী আবেদন আরও অনেক বেশি। আমার মনে হয় নব্বইয়ের দশকের পর হওয়া সেরা ৩ টা কল্পবিজ্ঞান সিনেমার মধ্যে ডার্ক সিটি থাকবে।

        আমার সানশাইন রিভিউ আগে পড়লে আসলেই খবর ছিল। ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এইজন্যই দিছিলাম। 😀

        জবাব দিন
        • আন্দালিব (৯৬-০২)

          স্টার ওয়ার্স দেখেছিলাম ক্লাস থ্রি তে থাকতে। আমি আর আমার বাবা। আমি কোনো সংলাপ বুঝতেছিলাম না, তাই বাবা একটু পর পর আমাকে বাংলা করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন! পরে অবশ্য বুয়েটে ঢুকে টানা ম্যারাথন দেখেছি ছয়টাই। গল্পবলার দিক থেকে তোমার সাথে সহমত, ৪ নম্বরটা (এ নিউ হোপ) সেরা। কিন্তু চিত্রনাট্যের দিক থেকে পাঁচ নম্বর (এম্পায়ার স্ট্রাইকস ব্যাক) অনেক এগিয়ে আছে। ট্রিলজির মাঝখানের ছবিটা খুব ক্রুশিয়াল হয়। সেদিক দিয়ে এম্পায়ার স্ট্রাইকস ব্যাক অনেক চাতুর্যের সাথে বানানো। আর শেষে গিয়ে এমন একটা সত্য উদঘাটন হয়েছিলো, যেটা (১ম, ২য়, ৩য় পর্ব) না দেখা থাকলে খুব চমকে দেয়। তখন ছয় নম্বরটা (রিটার্ন অফ দ্য জেডাই) দেখার জন্য মাথা খারাপ হয়ে যায়। 😀

          পরের ট্রিলজিটা (১,২,৩) আমার গল্পের দিক দিয়ে অতো ভালো লাগে নাই।

          ড্যানি বয়েলের ব্রিটিশ হবার কারণে ধুমধাম কম-- এটায় তীব্র সহমত। হলিউড খুব বাজে জায়গা চলচ্চিত্রের জন্যে।

          ডার্ক সিটি দেখা হয় নাই। আজকেই দেখি জোগাড়ের চেষ্টা করবো! B-)

          জবাব দিন
  3. এহসান (৮৯-৯৫)

    দুইটা রিভিউই বেশ ভালো। ভালো কোনো সিনেমা নিয়ে একাধিক রিভিউ পড়তে খারাপ লাগে না; সত্যি বলতে কয়েকটা রিভিউই পড়া উচিত।
    আন্দালিব লেখা ভালো হয়েছে। :clap: উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি ছাড়াই বোঝা গেছে।

    জবাব দিন
  4. মান্নান (১৯৯৩-১৯৯৯)

    এই মুভিটা দেখে খুব ভাল লেগেছিল। এটা দেখতে দেখতে টম হ্যাংকসের অ্যাপোলো ১৩ এর কথা মনে পড়ে যায়। আর এমন ক্রুশিয়াল সিচুয়েশনের মন:স্তত্ত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য টম হ্যাংকসের চেয়ে ভাল কে আছে।

    মুভি রিভিউটা খুব ভাল হয়েছে। :clap:

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।