~ বেভুল বিটোভেনে এখন ~

জীবনকে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের শিঙে
আমূল বিদ্ধ করে
দেখতে চেয়েছিলাম
কতোটা রক্তপাত ধারন করে
তার লৌকিক শরীর !

কোষের ভিতর
নুনের পরিমান মাপতে মাপতে
ক্লান্ত জিভের চামড়া খুঁইয়েছি ।
বুঝিনি –
কতোটুকু ছিলো তার ঘাম,
কতোটা রক্তস্নান !

বোধের মরফিনে
ডুবে থাকা অনুভূতির ঢল
তখনো অবাক
ঝরায় অশ্রুজল !

চামড়ার পোষাক খোয়ানো
নাংগা জিভখানা অকস্মাৎ
বুঝে ফেলে অশ্রুতে
জল ও নুনের মিশ্রণ অনুপাত ।

বিস্তারিত»

হংসধ্বনি — পণ্ডিত রনু মজুমদার

পায়ে পায়ে উঠে আসে জল;
যদিও মৌন সমতল
ছিল আদিতে।
কিসের ঈষৎ স্পর্শে অত:পর
বৃত্তাকার বিক্ষেপ —
বিকেন্দ্র বিচ্ছুরণ!

আলতো চুম্বন ছুয়ে গেলে পাড়
সে কোন পাহাড় হয়ে
নেমে আসে সুর,
ধেয়ে আসে প্রশান্ত গড়ানে
বাঁশরীর হাত ধরে

পায় পায় জল উঠে আসে —
স্পর্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে
পাকিয়ে ওঠে
হাওয়ার প্রবল আহবানে,

বিস্তারিত»

~~ নাগর – এক ও দুই ~~

[ আঞ্চলিক ভাষায় এই প্রেম উপাখ্যানটির মূল শিরোনাম “নাগর”। ধরা যাক ওটা হলো গিয়ে গ্রন্থের নাম। তার ভেতর ছোটো ছোটো কবিতাগুলো প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে উপস্থাপিত। ]

ক বি তা এ ক

~ জিগাই ~
(নাগরকে উদ্দেশ্য করে গ্রামবাসীর উচ্চারিত প্রশ্ন)

কেউয়া যায়?
কেডায় !

ভাতের জলের লাহান টগবগায় চান্দি
এই রহম আগুইনা রইদ ভাইঙা;

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব – ৮

ফোঁপালো না?
আধভেজা তোয়ালেটা?

ফোঁস করে ফুলেছে
অভিমান,
বিরহের নরোম তান
গুনগুনিয়ে এগুতে’
ঝপ করে
পড়েছে র‍্য্যাকে –
মরুময়
ধবল ব্যারাকে

জুলুজুলু চোখে
সে-অজগর
অত:পর
শুষে নিতে চায়
তোমার স্নানাবশেষ –
তুলতুলে হরিণছানার মতন
বিন্দু বিন্দু জল

বিস্তারিত»

একজন মৌলিক ‘চাঁদ সদাগর’

[ কবির জন্মদিনে স্মরণ ও শ্রদ্ধা হিসেবে পুরোনো এ লেখাটাকেই সিসিবি-র ফোরামে শেয়ার করলাম ]

স্বপ্ন দেখার সক্ষমতাই সম্ভবত মনুষ্য জীবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র। স্বপ্ন দেখতে পারে বলে মানুষ নিয়ত নির্মাণ করে আপন স্বভাব, সভ্যতা, সৌকর্য; তার আপন প্রভায়। মানুষ মাত্রেই বলতে পারি স্বাপ্নিক। স্বপ্নদ্রষ্টা তাই হয়তো সবাই। কিন্তু স্বপ্নস্রষ্টা ক’জন! কবিরা সম্ভবত স্বপ্নস্রষ্টাদের মাঝে অগ্রগণ্য।

একজন সহজ সরল সাবলীল বিনয়ী মানুষ,

বিস্তারিত»

~ পারছো কি ! ~

পারলে ঠেকাও স্বপ্নগুলি ।
রাত জাগা সব ইচ্ছে ভেলা
চাঁদের সাথে খুনসুটিতে
তারার সাক্ষ্যে মালায় গাঁথা
খামখেয়ালী কথাগুলি ।

সবুজ খোলা মাঠের গায়ে
দুরন্ত সেই কিশোর বেলার
ছুটোছুটি – চঞ্চলতার
ছবি আঁকা সকালগুলি ।

স্মৃতির শহর ঘুরে ঘুরে
শরীর জুড়ে আগলে রাখা
জলের ফোঁটা আলিঙ্গণের
বৃষ্টিসখ্য লগ্নগুলি ।

বুকের ভিতর বামকুঠুরী
ভরাট করে জমানো সব
কথার ঝুড়ি,

বিস্তারিত»

জেগে আছে চাঁদ

তুমি বললে, আজ রাতে ঘুমোবে না
আমাকে নিয়ে চাঁদ দেখবে
স্নান করবে জ্যোৎস্নার আলোয়
আমি বলেছিলাম, পাগল তুমি
কাল আমার অফিস আছে না

অথচ দেখো, আলোয় ভেসে যাচ্ছে
ইট বিছানো সরল পথ
বাড়ির পাশের কলাবাগান
দূরে আরো দূরের স্থবির ডোবা
অথবা সব কিছু স্বপ্নের সমান

সেই তুমি তলিয়ে আছো ঘুমের গভীরে
তোমায় পাহারা দিচ্ছে পূর্ণিমার চাঁদ

উত্তরায়ণ,

বিস্তারিত»

~ মিউজিয়াম কন্যা ~

[ অনুবাদ ঃ ছোটগল্প ]

ট্যুর গাইডের চাকরীটা তার হয়েই যাবে এমন আশার স্বপ্ন দেখতে দেখতে চলছিলো পথে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজস-এর উপর একটা ডিগ্রী সে নিয়েছে কেবলি। বিদেশী নানান ভাষার উপর তার সদ্য অর্জিত জ্ঞান নিয়ে তার অপার আনন্দ ও গর্ব। সেই সাথে বর্ণিল জীবন শুরুর স্বপ্ন। কতো কি সম্ভাবনার স¦প্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো নিত্য নিত্য। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে বাস্তব জীবনে পা রাখতে না রাখতেই সব যেনো সহসাই বুদবুদের মতোন হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছিল।

বিস্তারিত»

~ ধন্যবাদ বুকার। ধন্যবাদ জ্যামাইকা। ~

সেন্ট পল, মিনেসোটা, আমেরিকা। লিবারেল আর্টস-এর এক শিক্ষাঙ্গন ‘ম্যাকাল্যাস্টা কলেজ’’। ‘সাহিত্য আর সৃজনশীল লেখনী’ (লিটারেচার এন্ড ক্রিয়েটিভ রাইটিং) বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। পড়াচ্ছেন ২০০৭ সাল থেকে। তাঁর নিজের পড়াশোনাও ছিল এসব নিয়েই। ‘ভাষা ও সাহিত্য’ (ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড লিটারেচার) নিয়ে গ্রাজুয়েশন করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে, ১৯৯১ এ। মাস্টার্স করেছেন ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিং’ বিষয়ে উইল্কস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ২০০৬ এ।

মিনেসোটা, নিউইয়র্ক আর জ্যামাইকা – এই তিন জায়গায় তাঁর নিয়মিত বিচরণ।

বিস্তারিত»

পাঠ প্রচেষ্টা ঃ আবার সৈয়দ হক

দিনপঞ্জী থেকে/
গাজী ইস্টিমারে বরিশালের পথে সন্ধ্যায়
সৈয়দ শামসুল হক

কাল সকালে যখন তুমি জেগে উঠবে,
যখন অমাবস্যার অন্ধকার চুল সরিয়ে প্রকাশিত হবে
ধবল পর্বতের মতো তোমার মুখ,
তখনই তো দেখতে পাবে এই বদ্বীপের প্রকৃত মানচিত্রটি;
এবং দেখতে পাবে সকলেই আমার সব কিছু —
দিনের ভেতর দিয়ে গলে যাওয়া আয়নার মতো বয়ে চলেছে নদী,
তার স্রোতে ভাসমান সব নৌকো
এবং সেই নৌকোর পাল আমাদেরই জীবনের গল্পের মতো
টুকরো টুকরো সংঘাতময় রঙের কাপড়ে সেলাই করে গড়া।

বিস্তারিত»

~ কারোই কিচ্ছুটি নেই দোষ ~

জেগে আছি ভেবে
পাখিরাও বসেছিলো কাঁধে,
প্রজাপতি
আঙ্গুলের আনাচে কানাচে।

অগোছালো পাতাদের
নিরন্তর আহলাদে
শালিখেরা খেয়েছে
করতল খুঁটে খুঁটে।
বাবুই আর চড়ুইয়ের দল
কথার কোমল বিষাদে
এঁকেছিলো শব্দের আলপনা
কন্ঠার জেগে ওঠা তল্লাটে।

পায়ের পাতার কাছে
অপেক্ষামগ্নতার
লতানো টেরাসে
অচেনা ফোটা ফুল
পাঁপড়ির বিভাজিকা
মেলে ধরা উৎসবে
চেয়েছিলো উঠবে বেড়ে
স্থবির চোখের কাছে
ঠিক চিবুকের সমান।

বিস্তারিত»

ছবিতে পালো ডুরো ক্যানিয়ন

এই উইকএন্ডে ঘুরে এলাম পালো ডুরো ক্যানিয়ন, অ্যামারিলো টেক্সাস এ। ছবিতে ছবিতে  ঘুরে আসি আমরাও…..

স্টেক আর রেড নেক টেক্সানদের গল্পটা সামনে লিখব ইনশাল্লাহ ………..

বিস্তারিত»

“আজ আড়ি কাল ভাব”

তোমার সঙ্গে যতো জিদ আমার
সব মান অভিমান

তোমার সঙ্গে মেঘ রোদ্দুর খেলা
বেলা অবেলা, সারাবেলা

ক্ষণে ক্ষণে ঝগড়া খুনসুটি
চলছে চলুক আড়ি আর ভাব

[চার শব্দের শিরোনামটি স্টার জলসা’র একটি সোপে’র নাম থেকে নেয়া]

বিস্তারিত»

কলোনীবৃত্তান্ত

আ হা সে-উচ্ছ্বাস!
সিঁড়িতে তোমার পায়ের ছাপ দেখে
পানের ছোপে লাল হয়ে ওঠা দেয়াল
আরেকটু আরক্ত।
কতিপয় দুষ্টু ছোঁড়া গোটা গোটা অক্ষরে
আমাদের নামের মধ্যে প্লাস
বসিয়ে দিয়েছে দেখে
বেদম পেটালো বাবা,
শরীরে বেতের দাগ নিয়ে
ফোঁপাতে ফোঁপাতে
মাথা নুয়ে পড়ে
সেসব ছেলেদের প্রতি
অসুস্থ কৃতজ্ঞতায়

প্রাইভেট পড়তে গেলে
বীজগণিতের জটিলরাশিমালা যেন
স্থির আর ধীর দুটো চোখ –

বিস্তারিত»

~ প্যারিস থেকে স্ট্রসবার্গের সেই ফ্লাইট ~

[ দ্য টরান্টো ডেইলী স্টার-এ ৮ সেপ্টেম্বর ১৯২২-এ প্রকাশিত আর্ণেস্ট হেমিংওয়ের কলামের অনুবাদ ]

আমরা বসে ছিলাম সস্তারও সস্তা সেই রেস্টুরেন্টে। যেটা কিনা তীব্র কোলাহলময় সামান্য সেই গলিটাকে আরো সস্তা করে তুলেছিলো। প্যারিসের ‘রু দ্য পেটি চ্যাম্পস’ নামের সেই গলিটার কথাই বলছি।

আমরা মানে মিসেস হেমিংওয়ে, উইলিয়াম ই. ন্যাশ, ন্যাশের ছোট্ট এক ভাই আর আমি। লবস্টার আর ফ্রায়েড সোল মুখে চালান করার ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে থেমে থেমে কথা বলে যাচ্ছিলেন মি.

বিস্তারিত»