গ তি ও গ ম ন

~ এ ক ~

খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে দু’পাশের গাছ, পাখি, নদী ও সবুজ। পথের দু’পাশের সময়ের স্মৃতিবহ সুবিশাল বৃক্ষরাজির শাখা-প্রশাখা চূড়োরা মিলেমিশে তৈরী করেছে যেন অবিরাম সবুজের এক অন্তহীন সম্ভাষণ তোরণ। দুর্বিনীত এই ছুটে চলার মাঝে অপসৃয়মান সবুজের ফাঁক গলে তীরের ফলার মতোন ধেয়ে আসছে অসংখ্য আলোর রেখা। অবিরাম সবুজ এই তোরণের সুদূর সীমান্তে অত্যুজ্জ্বল আলোর বন্যায় অপেক্ষমান বিদায়ী সূর্য। যেনো বসিয়েছে এক সোনালী স্বাগত সভা।

বিস্তারিত»

প্রেম

কোন কালে’
প্রেম নেবেনা বলে কি
তারা আক্ষেপ
নিয়ে জানলায়
দিয়েছিল টেপ
ভালো করে,
‘আলো ভরে
চাই না কিছু’
তারস্বরে
স্বরলিপি ধরে
প্রতিদিন
গেয়ে গেছে গান;
অথচ যেদিন এলো সে
অপরিচিত
চশমাপরা
গোবেচারা মুখোশে

দোঁহে
কি মোহে
পরিধেয় ভেবে
প্রেম পরে নেয়
প্রেম খুলে ফেলে
আর সব
দূ উ রে
সুদূরে ঠেলে

বিস্তারিত»

বৈ শা খী

~ এ ক ~

এই ঢলঢলে জামাটাকেই সব চাইতে প্রিয় মনে হয় ওর। গা জ্বালা করা গরমে এর চেয়ে আরামদায়ক কোন জামা মেয়েটি আর কখনো পরেনি। জামাটার পিঠের দিকটা ঘাড়ের পাশাপাশি বড় বৃত্তে এগিয়ে কাঁধ পেরিয়ে প্রান্তের দিকে সরে এসেছে বেশ অনেকখানি। সামনের দিকে গলাটা প্রয়োজনের চেয়ে অনেকখানি বড়। ওর চেয়ে স্বাস্থ্যবতী, বড় সড় আর সুখী কোন একটা শরীরের জন্য কখনো তৈরী হয়েছিলো এটা।

বিস্তারিত»

~ এক রকম জীবনের পোর্ট্রেট ~

হতে পারতো একশো দশটা মাসের পরও সেই
মদির সুরভি পেয়ে গেলে পাঞ্জাবীর শরীর থেকে।
হতে পারতো হাতাটায় যেমন, গোটানো ছিলো ভাঁজ
তেমনি নিপাট পেলে তাকে যত্নের সুরম্য র‌্যাকে।

হতে পারতো সাতশো তিরিশ দিনের পরও
সেই সুগন্ধি ছড়ালো সাজানো ফুল। যার
দেহের ভেতরে বাইরে আদৌ নেই কোথাও
একাধি বসন্ত হারাবার দীর্ঘ স্মৃতিভার।

হয়তো পৃথিবীর তাবৎ সময় শুধু,

বিস্তারিত»

কোয়াড্রোলজি ~ পর্ব ৩ | শান দেই মুষ্ঠি ও মগজে

বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে পঞ্চাশ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করেন এমন একটা অন্তত পরিবার নাই । বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে পঁচিশ বছর ধরে নিরন্তর রাজনৈতিক মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি করেন এমন একটা পরিবার আছে । এর পেছনে কারণ এই দুই রাজনৈতিক দলের জন্ম ও এর বিকাশের ইতিহাসে উচ্চারিত । সেই প্রতিটি গ্রামের শেকড়ে প্রোথিত দল আওয়ামী লীগ ১৯৯১ এবং ২০০১ এর নির্বাচনে কেন হারলো এবং একবার অতি শোচনীয় ভাবে হারলো ?

বিস্তারিত»

কোয়াড্রোলজি ~ পর্ব ২ | . . . কেমনে সকাল হবে !!!

যতো মিথ্যে বলা হয় ততোই নাকটা বড় হতে থাকে পিনোকিওর গল্পের মতোন । বাড়তি বেঢপ নাক ছাঁটতে, মিথ্যেবাদীর পরিচয় আড়াল করতে, একেবারে সহজতম সমাধান যেনো নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা । ইচ্ছে হচ্ছে চারপাশের ঘটমান অবিমৃষ্য ধারাবাহিকতা নিয়ে নতুন ধরনের রূপকথার গল্প লিখে ফেলি কয়েক ঝুড়ি ।

আমাদের ছেলেমেয়েদের ইস্কুল নেই বেতাল রাষ্ট্রযন্ত্রের মোহনীয় উপহার শিক্ষা বিরতির কল্যাণে । যা কিছু দু-এক চিলতে খেলার মাঠ খুঁজে পেতে বাচ্চারা হাত-পা ছুঁড়তে যায় –

বিস্তারিত»

কোয়াড্রোলজি ~ পর্ব ১ | আমরা যদি না জাগি মা . . .

স্কুলছাত্র মুনীরের গায়ে আগুন, লেগুনায় আগুনে ছয় জন অগ্নিদগ্ধ, ককটেল আক্রান্ত চলন্ত মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, সিএনজিতে আগুন চালক অগ্নিদগ্ধ, শাহবাগে বাসে পেট্রল বোমা ঊনিশ জন ঢাকা মেডিক্যাল বার্ণ ইউনিটে, বাসে অগ্নিদগ্ধ যুবকের মৃত্যু । এ যেনো ছোটোবেলার অবিরাম গল্প বলা প্রতিযোগিতার মতন এক বিরামহীন রুপকথার কুরুক্ষেত্র ।

ত্যাগের মহিমায় বাঙ্গালীর ইতিহাস অনেক গৌরবের । পৃথিবীর বুকে অনন্য । সময়ের প্রয়োজন ও সামাজিক বিবর্তন দেশে দেশে এমন ত্যাগের প্রয়োজন হাজির করেছে,

বিস্তারিত»

আবোলতাবোল বাজনা – ৩

রাগ ভীমপলাশী। শুনলেই কেন জানি বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। এত দীর্ঘ বাদনের শেষপর্যন্ত যেতে পারাটা চ্যালেঞ্জিং হবে।
প্রচুর বিচ্যুতি এবং ভুলভালসমেত নিবেদন করছি। আলস্য এবং অক্ষমতা কবুল করতঃ ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – ১২

হেডফোন কানে লাগাতেই রাহাত ফতেহ আলী। আ!
উড়নে লাগা কিঁউ
মন বাওলা রে
আয়া কাঁহা সে
ইয়ে হোসলা রে
ও রে পিয়াআআ
হায়য়য়, ও রে পিয়াআআ

পৃ-কে মেসেঞ্জারে লিঙ্কটা পাঠিয়ে দিয়ে চোখ বুঁজে বৃষ্টি শুনি। জানলার বন্ধ কাঁচে কী আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আর কেঁদে কেঁদে ভেসে যাচ্ছে সেই ভোররাত থেকে। নির্ঘুম একটা রাত পার করে দিলাম পৃ-র সঙ্গে ঝগড়া করে করে।

বিস্তারিত»

ত্রিরঙ্গ-চতুরঙ্গে মানসপটে ফৌজদারহাটের পঞ্চভুত

পাহাড়-সমুদ্র-সমতট। পাহাড় তো নয়, ঢেউ খেলানো ভূমির বাঁক যেনো ছন্দবদ্ধ তালে-লয়ে অবিরাম আছড়ে পড়ছে খোল-করতাল-মাদলে-বীণায় মনের গহীণ সন্তর্পে। সমতটের বিস্তৃতি অন্তর্গত ভাবনা-চিন্তা-চৈতন্যে ক্রমশ: বাড়িয়ে যেতে থাকে তার বিস্তার। আর সমুদ্র ! বিশালত্বে উদ্বেল সুপ্রসারিত দু’হাত মেলা মনের ক্যানভাসে, আঁকে ছবি অন্তহীন, ভেঙে দিয়ে গোপন সব প্রকোষ্ঠ। এই তিনের সাথে জুড়ি দেয়া অবারিত উদার আকাশ ত্রিবৈচিত্রের নিয়ত উন্মীলন সংগী। আর কি চাই !

একটি মানুষ।

বিস্তারিত»

মমতা – আনন্দ শঙ্কর

কথাগুলো কি করে
গান হয়ে যায়
কি করে কী-বোর্ডে
ওঠে সুর
তোমার মমতামেদুর
মেসেজ আসে —
উদ্ভাসিত ফেস, বুক

আনন্দ, মমতার
এমন শঙ্কর
দেখিনি আগে
ছিল কোথা
সুখের এ অসুখ!

বিস্তারিত»

The River – আনন্দ শঙ্কর

ইদানিং
নদীর মতন আসেনা কেউ!
তার মতন ঢেউ
তুলে কেউ বলেনা –
চলো,
ছলোছলো
চোখ মুছে নিয়ে

এলে যে কি নির্ভার
হতাম! কি দিয়ে
তাকে ডাকি,
বুকে রাখি
ভেবে বার করার
আগেই, আনন্দ,
আপনি বাজালেন
দি রিভার!

মে ২৭, ২০১৫। ফেসবুক

বিস্তারিত»

পাঠ প্রচেষ্টা : এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি

এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি – ১
———————–
সৈয়দ শামসুল হক

বারান্দায় বসে আছি আমরা। রাত ১১-৩০।
ছাইদান রাখো না ঘরে, তাই পিরীচ
দিয়েছিলে। ছাই উড়ছে মৃত জোনাকির মতো ।
লোকে যা জানে না, মেলে ধরছি প্রণয়ের ক্ষত;
যেন তুমি চিকিৎসক জোছ্‌নার ক্লিনিকে আজ, তোমার সমুখে।
থামের অন্ধকারে, হাতের চাঁদনামা চিবুকে
কি সাবধানে ধারণ করে আছো মমতা
যা তোমার।

বিস্তারিত»

প্রলাপ – ১৪

সে-কথাগুলো কেবলি ভাসতে থাকে।
আকাশের এক টুকরো ফাঁকে
কি করে এঁটে যায়
মস্ত জীবনের সবগুলো ছবি
হার্ড ডিস্ক, যত নেগেটিভ
মামুলি সব লোনাজল,
কথা অনর্গল

তাকে প্রলাপ বলে ভুল করে
ছুঁড়ে ফেলে
হাত মুখ মুছে নিয়ে
জীবনে জীবন ঘষে
আগুন জ্বালাবার মিছে
প্রয়াস নিয়ে
যখন ফুলে ফুলে
দুলে দুলে উঠছে
সব-পেয়েছি-র হাওয়া,

বিস্তারিত»

মিসিং ইউ : আনন্দ শঙ্কর

জলভারাতুর
বিষণ্ণ থোকা থোকা মেঘ দেখে
তোমাকে মনে প’ড়ে গেলো,
আনন্দ শংকর!
বিরহের যথার্থ সুর বেঁধেছিলে বলে
আজ সারা দুপুর
‘মিসিং ইউ’ শুনে
হৃদয় পোড়ে,
মেঘেদের মতন
সমস্ত আকাশে
বিচ্ছেদের স্বরলিপি ওড়ে… …

————————-
ফেসবুক। ১৬ মে ‘১৫

বিস্তারিত»