~ অযুত নিযুত জীবনের অপার আনন্দ – জীবনানন্দ ~

[ প্রিয় কবির ১১৮তম জন্ম দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি ]

কুসুমকুমারী দাশ যখন লিখেছিলেন – “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে / কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?” তখন নিশ্চিত তাঁর জানা ছিল না আপন গর্ভে তিনি কত বড় মাপের একজন মানুষকে, বাংলা ভাষার একজন প্রধান কবিকে ধারণ করবার মহিমা অর্জন করবেন।

পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে বরিশাল গিয়ে আবাস গড়েন।

বিস্তারিত»

~ কফিপেয়ালায় পরিত্যাক্ত স্মৃতি ~

চুম্বনে নি:শেষিত কফিকাপ
জানুদেশে ফেনার চাদর গায়
ফ্যাকাশে টেবিলে উৎকীর্ণ
প্লেসম্যাট জুড়ে শুয়ে আছে –
ক্লান্ত, শ্রান্ত, অবসাদ প্লাবিত;
পাকা শিল্পীর তুলিতে আঁকা
জলজ্যান্ত স্টিললাইফ
তেলরঙ মাতানো ক্যানভাস;
চিনি দুধের ব্যবহৃত
ছেঁড়াখোঁড়া শ্যাশে,
সাবাড় করা কুকির গুঁড়ো আভাস
এইসব দৃশ্যপটে সেজে,
এলায়ে আছে সে আজো
নাজুক মনের নকশাকাটা আঙ্গিনায়;
গ্লোরিয়া জিনসের ওয়েটার,

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – ১৩

সেলফোনটা ঘুমিয়ে পড়ছিলো। অবশ হয়ে ওর পাশে আমিও শুয়ে ছিলাম রাত দুটো পর্যন্ত। চোখ মেলে দেখি বারান্দার আলো ঘরের ভেতরে এসে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বললেই এক দৌড়ে চার্জারটা এনে দেবে, ভেতরের ঘর থেকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে।

দু’দিন আগে পৃ বলছিল এই দৃশ্যের কথা – আগাম। ছুটির দিন সারা দুপুর এঁটো হাতে বসে রইলো — অনেকক্ষণ আমাকে দেখতেই পাচ্ছিল না যেন। আমি টিভিতে একটা অখাদ্য নাটকের সুখাদ্য নায়িকার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেখিয়েও ওর ধ্যান ভাঙাতে পারলাম না।

বিস্তারিত»

আমার কথা ছাড়ুন

আমার কথা ছাড়ুন,
আপনি অনেক বিখ্যাত হয়েছেন শুনে খুশী হলাম,
তবে ভাবছি, কোন একদিন আপনিও কি আমার মত মাটি হবেন?
এত এত মানুষকে টপকে এতো উপরে উঠেছেন,
এত এত মানুষের ভালোবাসা আপনার জন্য,
এসব কি একটুও কন্সিডার করা হবে না, ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।
আপনার জন্য কি একটু বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতো না?
এ ধরুন, মাটি না হয়ে অন্য কোন মহামূল্যবান খনিজ হবেন।

বিস্তারিত»

~ প্রবাসে পরবাসে নেই, সাত সকালে বেরিয়েছে সে; বহুকাল পর বাড়ী গেছে ~

বলা হয় কোনো লেখা পড়ে পাঠকের মনে যখন সেই দ্যোতনাটি জেগে ওঠে – আর সে ভাবে, ‘আরে এ যে আমারও কথা’; তখনই সে লেখাটা সার্থক লেখা হয়ে ওঠে। যতো বেশী পাঠকের মনে এমন ধারণার জন্ম দিতে পারে কোনো লেখা, ততো বেশী পাঠকপ্রিয়তা, ততো বেশী জনপ্রিয়তা পাবে তা; পাবে দীর্ঘায়ু। সহজ শাদামাটা ভাবে তাই বলাই যায় যে, বিভিন্ন ভাষার শীর্ষ কবি ও লেখকরা যখন লেখেন, এমনটা ভেবে এরকম কিছুই লেখেন।

বিস্তারিত»

আমরা সবাই রাজা

লিজার্ড লগ পার্কে পৌঁছুতে মনে হলো কোন অলিম্পিক ভিলেজে এসেছি বুঝি। উনিশশো ছিয়ানব্বইতে আটলান্টা অলিম্পিকে বিভিন্ন ইভেন্ট দেখার পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে শহরের সাজসজ্জা দেখেছিলাম। ইসিএফ অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত ক্যাডেটস ডে আউটের বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখে অলিম্পিকের পুরনো স্মৃতি ফিরে এলো মনে। পার্কে আমরা পৌঁছুতেই চারপাশের উৎসবমুখরতা চোখে পরে! এখানে শীতের শেষে গাছে গাছে নবীন পাতা আর রংবাহারী ফুলের মেলায় আলো ছড়াচ্ছে প্রিয় সব মুখ। ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন আর কলেজের পতাকায় বর্ণময় বসন্ত সকাল!

বিস্তারিত»

আমার শহীদ কাদরী

“সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো। ঘর-ফেরা রঙিন সন্ধ্যার ভীড়ে
যারা তন্দ্রালস দিগ্বিদিক ছুটলো, চৌদিকে
ঝাঁকে ঝাঁকে লাল আরশোলার মত যেন বা মড়কে
শহর উজাড় হবে, – বলে গেল কেউ – শহরের
পরিচিত ঘণ্টা নেড়ে খুব ঠাণ্ডা এক ভয়াল গলায়
এবং হঠাৎ
সুগোল তিমির মতো আকাশের পেটে
বিদ্ধ হলো বিদ্যুতের উড়ন্ত বল্লম!”

‘বৃষ্টি, বৃষ্টি’ কবিতাটি প্রথম কখন পড়ি মনে নেই,

বিস্তারিত»

~ স্রেফ চার-ছয় মাসের যাদুমন্ত্র এটা নয় ~

অবিশ্বাসে ছেয়ে আছে মানুষের মন। সবার মাঝেই যেনো একই প্রশ্ন, এরা তো অভাবী পরিবারের সন্তান নয় যে এভাবে নিজেকে বিকিয়ে দেবে। নি:সঙ্গ এতিম নয় যে এক বিন্দু পিছুটান নেই, কিংবা এমন নয় যে যাদের কৃপায় বেঁচে থাকা তাদের প্রতি আছে অপার দায়। আলোকিত, নামে উজ্জ্বল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে তো তাদের মনের কোনায় এমন অন্ধকার লুকিয়ে থাকবার কথা নয়। মৃদুভাষী, অমায়িক, বন্ধু বৎসল, নির্দ্বিধায় আর দশ জনের চেয়ে এক কাঠি বেশী ইতিবাচক বলবে এদের যারা চেনে তারা সবাই।

বিস্তারিত»

~ প্রাণঘাতী মৌলবাদী সন্ত্রাসের নীলনকশার তীর, তীরন্দাজ, ফলভোগী ও ভুক্তভোগী নিয়ে কিছু বীক্ষণ ~

আমি বিশ্বাস করি কোনো ধর্মই অশান্তি সহিংসতা হত্যা এসবকে সমর্থন করেনা বা মদত দেয়না। এটা সুদূর অতীতের সেই যুগও না যে বল প্রয়োগ করে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে হবে বা ধর্মালম্বীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর তা না করতে পারলে ধর্ম কিংবা ধর্মালম্বী বিপন্ন হবে।

এই যে গুটিকয় সন্ত্রাসী জেহাদি সাফল্যের আকাক্সক্ষায় ক্রুসেডার হত্যার মিশন নিয়ে প্রাণঘাতী অপকর্মটি ঘটালো। তাতে ইসলামের কি কি প্রাপ্তিযোগ ঘটলো?

বিস্তারিত»

~ স্মৃতিশকট : প্রজন্মের দৃশ্যপট ~

[ গল্প অথবা গল্পের ছায়া ]

বাসাটার সামনে টানা তিনশ ফুটের রাস্তা। সেই পত্তনি থেকে দিনে দিনে বেড়ে এতোদূর এসেছে। এটাই শেষ সীমান্ত আজ অব্দি। আদপে ঠিক শহরের প্রান্ত বলে না মানলেও জনবসতির এখানেই শেষ। তিনশ ফুট রাস্তার পরে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠ। মাঠ ঠিক নয় পরিত্যাক্ত বিরান ভূমি। প্রস্থে প্রায় এক কিলোমিটারের কাছাকাছি, দৈর্ঘ্যে সাতের বেশী। খুব বেশীদিন অবশ্য এর আয়ু বোধ করি আর নেই।

বিস্তারিত»

~ অপঘাত, হত্যা, রক্তপাত ও আমাদের স্বাভাবিক মনস্তাত্বিক উর্বীরূহ ~

Blood and knife
ফিল্মি ফ্যান্টাসিতেই এতোকাল সম্ভব ছিল এমন নির্মমতা। এবার কল্পলোক থেকে বুঝি তা নেমে এসেছ তা বাস্তব জীবনের রোজনামচায়। নিত্য নিত্য ঘটছে হত্যাকাণ্ড। ঘটছে বারংবার। ভয়ংকর রকম ক্ষুদ্র বিরতিতে। আজ পাদ্রী তো কাল সাদা চামড়ার স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক। একদিন এনজিও কর্মী তো অন্যদিন মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন। কোনদিন সমকামী বা তৃতীয় লিংগের মানবাধিকার সমর্থক কি পরদিন হিন্দু দর্জী। কোনোদিন খ্রীস্টান মুদি দোকানী তো পরদিন মন্দিরের পুরোহিত।

বিস্তারিত»

ABCD অথবা বাংলা শক – ১

বিঃ দ্রঃ ঘটনা গুলো সব সত্য, কিছুটা পরিমার্জিত (নাম, পরিচয়, স্থান উহ্য রেখে)। কাউকে অসম্মান অথবা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজের চিন্তার শুদ্ধতার লক্ষেই এই অসলগ্ন চিন্তাকে লেখায় রূপান্তর। অন্যকারো অভিজ্ঞতার সাথে মিনিয়ে বিচিত্র মানুষের ততধিক বিচিত্র কর্মকান্ডের ব্যাখা খোঁজার অপচেষ্টা।

 

কালচারাল শক !!! দেশের বাইরে প্রথম যে বিষয়টি ফেস করেতে হয় তা হল, নিজেকে অন্য একটি দেশের/জাতির সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা। 

বিস্তারিত»

ভাল আছি …. ভাল নেই

জীবন বড়ই বিচিত্র। খুব কম সময়ই আমরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে খুশি থাকি, ভাল থাকি। সেই সাথে জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও সদাসংশয়। এই উইকএন্ডে আম্মার কথায় চাপা ঊৎকন্ঠা, অদূর ভবিষ্যতে ভূমিকম্পে ঢাকা দাঁড়িয়ে থাকবে কিনা তা নিয়ে। ক্যান্সার সার্ভাইবার মা আজ অপরিকল্পিত নগরায়ণের ভয়ে নিজেই সদাকম্পিত।

ব্যক্তি আমি হয়তবা ভূমিকম্প হতে নিরাপদ (ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে)। কাগজে কলমে জীবনের নিরাপত্তাও আছে।আসলে কি তাই ……

ঘটনা একঃ স্প্রিং ব্রেকে ০৪ দিনের ছুটিতে আমার স্ত্রী বেড়াতে এসেছে।

বিস্তারিত»

~ আমার দেশ আমার ভাষা আমার কৃষ্টি আমার ঐতিহ্য – ভালবাসা ও যতনে আমারই মাতা আমারই আত্মজার মতো ~

ঈদ, পূজা, বড়দিন, এসব আমাদের ধর্মীয় উৎসব। পহেলা ফাগুন বা পহেলা বৈশাখ, অগ্রানের উদযাপন কি বর্ষা বরণ বা ধরুন পিঠা উৎসব। বলি এমন সব দিনগুলো কি? এমন কি ১১ জৈষ্ঠ বা ২৫ বৈশাখ? আমাদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের অংশ এবং উদযাপনের উৎস নয় কি? ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর? রক্ত ঝরা অর্জনের উদযাপন নয় কি?

একটা জাতির, একটা দেশের, একটা স্বাধীন ভূখন্ডের জনগোষ্ঠীর (সকল ধর্ম বর্ণের সব্বাইকে মিলিয়ে যে সমষ্টি) উৎসবের উদযাপনের স্মরণের একটা ঐতিহ্য ও কৃষ্টির ধারাবাহিকতায় আমার আপনার রক্ত প্রবাহের মতোই আমাদের ত্বকের নীচে শোণিতের সাথে মিশে আছে এই দিনগুলো।

বিস্তারিত»

~ মহল্লার ভিতরে গুলাবী আছর, গইড়া উঠছে তাজমহল ~

আতকাই কি জানি কি ডাইকা চাউর করলা গল্লির বেবাক মানষেরে !
সোন্দর আলীর গোলাপী পাঞ্জাবীর থিকা ভকভকা আতরসুবাসরে –
য্যান তুমি দিলা সান্ধাইয়া বেবাক মরদের কইলজার ভিতরে।

মহল্লার তামাম নূরজাহান ছোক ছোক কইরা নাক টাইন্না আহারে !
বাদসা হুমায়ুন বানায়া দিবো ভি আইজকা তুমারে।
সুরমা-আতইরা রুমাল লইয়া জিগিরি দোস্তের লাহান –
লাইটপোস্টের খাম্বা হইয়া খাড়াইয়া রইছে গল্লির বেবাক পোলাপান !

বিস্তারিত»