আবোলতাবোল বাজনা

নতুন বছরে নতুন অত্যাচার দিয়ে শুরু করলাম।
রাগ ভূপালি বাজানোর মিথ্যে প্রচেষ্টা।
ক্ষমাপ্রার্থনাসহ।
যন্ত্র – মোহন বীণা

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-১০

আমার প্রাণের পরে চলে গেলো কে

বসন্তের বাতাসের মতো একটা পোস্টকার্ড এসেছে আজ অফিসের ঠিকানায় – সেখানে সবকটা গাছে আগুন লেগে আছে আর হ্রদের উদ্দামরকমের নীল পাড়ে থোকা থোকা সে-আগুন উল্টো ঝুলে আছে। আমি ব্যস্ত ঢাকার ভেতরে এক ডুবে সাঁতরে সে হ্রদের পাড়ে গিয়ে মাথা তুলতে’ পৃ-র দেখা পেয়ে যাই। তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছিয়ে দিতে দিতে বলে – কতক্ষণ ধরে ডাকছি!

‘এই ভালো।

বিস্তারিত»

প্রেমের পদ্য

গালের টোলে কাব্যদীঘি
চোখের কোলে মুক্‌তো
ঠোঁটের কোণে হাসির রকম
বোঝা বড় শক্ত।

কপট ক্রোধে গভীরতর
গণ্ডদেশের লাল
জানান দেয় ভালোবাসায়
জিভ ছোঁয়ালেই ঝাল।।

———————————————————-
অন্তত বছর কুড়ি তো হবেই। ছন্দ মিলিয়ে মোটামুটি দীর্ঘ একটা কিছু লিখেছিলাম।
তার থেকে এ ক’টা লাইনই মনে আছে। সিসিবিতে প্রেমের পদ্যের জোয়ারে
আমিও খানিক ভেসে গেলাম না হয়।

বিস্তারিত»

রাধাকথন- ১১

চিঠির মতো দুস্তর কিছু না,
বর্তে যাই
মামুলি কিছু এসএমএস পেলে’-
চুমোয় ভরা ক’টা মিসকল
কি ক্ষতি দুচারটা লাইক
ফেস কিংবা বুকে

কী অসুখে
তোর হাত ছুঁলাম কালা!
হোস্টেলের বিছানায়
কবরী হয়ে গাইছি
‘সে যে কেন এলো না’

বিস্তারিত»

মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প- উপদেশমূলক

অন্যের প্রতি অন্ধত্বের চেয়ে নিজের প্রতি অন্ধত্ব অনেক বেশী খারাপ। আপনি যা ভাবছেন সেটা যে সঠিক এমনটা ভাববেন না।

মোল্লা নাসিরুদ্দিনের একটি গল্প পড়ুন।

শিকারে বেরিয়ে পথে প্রথমেই মোল্লা নাসিরুদ্দিনের সামনে পড়ে রাজামশাই খেপে উঠলেন আর বললেন-
‘লোকটা অপয়া। আজ আমার শিকার পণ্ড হল। ওকে চাবকে হটিয়ে দাও।’

রাজার হুকুম তামিল হল এবং মোল্লাকে যথারীতি চাবকানো হল।ঐ দিকে রাজার  শিকার হল জবরদস্ত।

বিস্তারিত»

একরাতে – মিশিগানের পথে

ওই দ্যাখো,
হাইওয়ের শেষে
চাঁদের হঠাৎ উল্লম্ফন!
বুনো ঝাড় আর
দুর্বিনীত-লজ্‌ঝরে ট্রাকের
গা বেয়ে আকাশে
উঠে আসে
একটিমাত্র লাফে’

বিস্তৃত পথ তখন নদী হয়ে গেলে
হরিণেরাও
ত্রস্ত থাকেনা আর।
দী-ঈ-র্ঘ দী-ঈ-র্ঘ পায়
জলাভূমি ঠেলে
এপার ওপার করার
দুর্মর বাসনায়
তাদের চন্দ্রাহত চোখ
খানিক
জুলজুল করে উঠেই –

বিস্তারিত»

Amélie, তুমি আজ হেডফোনে পিয়ানো

একর্ডিয়নে হাঁক দিয়ে
রোদেলা দিন কি আনো?

শহরে নেমে’
ওড়নার পিছু পিছু
ফুসলে নিয়ে গেছো
বারান্দার সব প্রজাপতি

‘হোক না কিছু ক্ষতি!’ বলে
মাছবাজার, ময়লার স্তুপ
নর্দমা পেরিয়ে নির্বিকার
হারমোনিকার সুরে মজে
সার্কাসের টিকিট কিনে
পথ হারিয়ে নাজমা ম্যাডামের
ট্রাপিজে চড়তে’
সমস্ত শহর
ভোকাট্টা
ফেঁসে গেছে
সেলফোন টাওয়ারে
চূড়ায় চূড়ায়

তুমি তবে প্রজাপতি-চোর,

বিস্তারিত»

প্রলাপ-১২

আজকাল আর মন ভালো করার কবিতা হয় না।
আজকাল ফুল,প্রজাপতি বা নীলাকাশ
থইথই নদী কি পাহাড়ি অবকাশ –
সব ফেসবুকে চলে গেছে।

বেছে বেছে
কবিতার বই ওল্টাতে হবেনা আর
সমুদ্র কি হ্রদের ওপার
হবেনা দিতে পাড়ি।
তারচে’ ওখানেই চলো,
হ্যাপি হ্যাপি স্টেটাসে
সেলফি তোলো

আজকাল ফেসবুক আমাদের বাড়ি

উৎসর্গ:প্রবরদা।সুহৃদ এবং ভ্রাতা
মন ভালো করা একটা কবিতা খুঁজে দিতে বলেছিলে আজ।

বিস্তারিত»

স্টেটাস এফ বি

এত্তবড় কাঁচি এসে স্টার্ণাম চিরে দিলে
এবারে দেখো – তার স্টেটাস
কেমন লেপ্টে আছে ফেস, বুকে

তদন্তের ময়না কি ক’বে বলো,
ছলোছলো চোখে সে লিখেছিলো –
‘ফিলিং হ্যাপি।
মরিতে চাহে কোন্‌ উজবুকে’

বিস্তারিত»

অণুব্লগ আন্দোলনে আমিও সামিল

আমাদের এইটুকু দিন সূর্যোদয়ের রঙিন ছটা আর দুর্বোধ্য সব ছন্দাবলির অমলিন কারুকাজে আবদ্ধ থেকে যেতো যদি!
হতাশার ঘেঁষাঘেঁষি স্বপ্নগুলো অথচ কাঁচের জারে বন্দী মাছের মতো পাখনা মেলে আশপাশের ভ্রান্তিময় জগতটাকে না-ভালোবেসে-না-পারার অনুভূতি নিয়ে একটু একটু করে মজে না উঠতে’ কলতলায় কলসি-বালতির ধুন্ধুমার লেগে গেছে — মিহিসকালকে থাপ্পড় মেরেছে খাটা পায়খানার হাওয়া; খবর-কাগজে মৃত্যুর চকচকে উদযাপন, বিজ্ঞাপনী অট্টালিকায় ঢেকেযাওয়াজনপদ আড়মোড়া ভেঙে চায়ের টেবিলে চলে এলে আরেকটি মামুলি দিন তার পরিক্রমা শুরুর আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে

বিস্তারিত»

ক্যাডেটতত্ত্ব (পার্সোনাল ভার্সন)

কোন ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটরা কেমন তা ভালোভাবে বুঝার জন্য আইসিসি কম্পিটিশন কিংবা বিএমএর কোনো বিকল্প নাই ।

দশটি কলেজ নিয়ে দশ রকম গল্প প্রচলিত ছিলো ।(তখনো এফজিসিসি আর জেজিসিসির জন্ম হয় নি )

আজকে অন্য কোন কলেজ নিয়ে বলবো না, নিজের টা নিয়েই বলি । অন্য কলেজের তুলনায় আমাদের কলেজের ক্যাডেটরা কম মাস্তি করে । কেমন জানি, সবাই একটু ভাব নিয়ে থাকে ।

বিস্তারিত»

আমরা কী ভুলে গেছি!

সবাই বুঝি ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছি! ভারচ্যুয়াল জগতটাতেই স্বস্তিতে আছি! একটু কি সময় নেই আমাদের পরস্পরকে দেয়ার জন্য? একটু দেখা সাক্ষাৎ, গল্প আড্ডা, হা হা হি হি, ছবি তোলা, সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া কী করা যায় না?

প্রতিবছর রোজায় ব্লগের ইফতার পার্টির কথা কী আমরা ভুলে গেছি? আমি ভুলিনি। দেখি কার কার মনে আছে? সাড়া দাও, দাও সাড়া।

বিস্তারিত»

ওরা আমাকে এত মারে কেন

আশি, নব্বই আর হালের দশকে এ দেশের কিশোর -তরুণ সমাজের কাছে কিছু ডায়ালগ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। জনমত জরিপ হয়েছে কিনা জানিনা, তবে তিনটা ডায়ালগ আমি বলব টপ চার্টে থাকবে। এক হচ্ছে, “তুই রাজাকার”, আরেকটা হচ্ছে, “ছিল্লা কাইটটা লবণ লাগাইয়া দিমু” আর “ওরা আমাকে এত মারে কেন”? হুমায়ূন আহমেদ এর জনপ্রিয় নাটক “বহুব্রীহি” তে প্রথম “তুই রাজাকার” ডায়ালগ টি ব্যবহার করা হয়। বিটিভি এর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান “ইত্যাদি” এর কোন এক পর্বে “ছিল্লা কাইটটা লবণ লাগাইয়া দিমু” ডায়ালগটিকে,

বিস্তারিত»

ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা

সময়ের ব্যাপ্তি টা ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল। আমার ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর সময়ের কথা। ঢাকা শহরের এ.জি.বি. কলোনীতে তখন থাকি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা এই বিশ্বকাপের সময় মনে পড়ে যাচ্ছে। সময়টা তখন অনেক ধীর গতিতে যেত বলে মনে হত। ঠেলা দিয়েও মনে হয় সময়কে পার করা যেত না। একটা দিন কিভাবে শেষ হবে এই চিন্তা। বাবা সরকারী চাকরী করত। অবশ্য কলোনীতে আমরা যারা থাকতাম সবার বাবাই সরকারী চাকরী করত।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো এমন মানুষ!

দিনটা এমনভাবে শুরু হবে ভাবিনি। মোবাইল নিঃশব্দ করে ঘুমাই। আজ জেগে উঠেই দুঃসংবাদ নিয়ে আসা সুকান্ত গুপ্ত অলকের ক্ষুদে বার্তাটি পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বেনজির ভাই নেই! মুহূর্তের জন্যও কিছুতেই বাস্তবটা মাথা থেকে সরাতে পারছি না, বেনজির আহমেদ আসলেই আর নেই।

প্রথম পরিচয় কবে? মনে নেই। রাজনীতি করতেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) সবার সঙ্গে ঘণিষ্ট ছিলেন। আশির দশকে সচিত্র সন্ধানী অথবা একতা’র সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে পরিচয় হয়েছিল।

বিস্তারিত»