বিতংস – পাঠক প্রতিক্রিয়া

 

বিতংস

লেখকঃ ওয়াহিদা নূর আফজা

প্রচ্ছদঃ সামিয়া হোসেন

প্রাকাশকঃ আগামী প্রকাশনী, ফেব্রুয়ারী ২০১৩ খ্রীঃ

পৃষ্ঠাঃ ২৮০

মূল্যঃ ৫৫০ টাকা

————————————————————

বিতংস এর ঘেরা টোপে পাঠক। লেখক তার স্বকীয়তায় সুনিপুণ রচনাশৈলী দিয়ে সুক্ষ সুক্ষ জালে আটকে ফেলবে পাঠককে – হ্যাঁ ওয়াহিদা নূর আফজার লেখা ‘বিতংস’ আগা-গোড়া পড়ে পাঠক হিসাবে এই আমার অভিমত।

বিস্তারিত»

বলধা গার্ডেন – ঢাকা

যে কোন নগর সভ্যতার অন্যতম উপাদান বাগ-বাগিচা-উদ্যান। মুঘল সাম্রাজ্যের হাত ধরে ঢাকায় বাগ-বাগিচার সূচনা হয়, যেমনঃ বাগ-ই-বাদশাহী, নবাব বাগিচা, হাজারীবাগ, বাগ-ই-মুসা, বাগ হোসেনউদ্দিন ইত্যাদি। বৃটিশ আমলেও এই ধারা অব্যাহত থাকে, রমনা এর বড় উদাহরণ। দেশের জমিদারদের পাশাপাশি ঢাকার নবাব পরিবারও এক্ষেত্রে বেশ বড় ভূমিকা রাখে। রোজ গার্ডেন, শাহবাগ উদ্যান, মতিঝিল কিংবা দিলখুশা বাগানবাড়ি সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশী অবহিত। ১৭৬৫ খ্রীঃ বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাঙলার দেওয়ানি লাভ করে রাজধানী,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রম্যের দ্বিতীয় সংস্করণ ও ই-বুক প্রকাশ

‘ক্যাডেট রম্য’ নামে আমার একটা বই আছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় বইপত্র প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশ পেয়েছিলো। মাত্র আটদিন বইটি মার্কেটে ছিলো। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মেলার পর বিভিন্ন কারণে বইটার হার্ড কপি আর প্রকাশ করা হয় নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ বইটির খোঁজ করেছেন। ‘ক্যাডেট রম্য’ নামে প্রথম আলোর অধুনালুপ্ত ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলো এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ফান সাপ্লিমেন্ট ঠাট্টায় ২০১১-২০১৪ সময়কালে লিখেছি। ফলে, ‘ক্যাডেট রম্য’-এর এক ধরণের পাঠক শ্রেণী গড়ে উঠেছিলো।

বিস্তারিত»

ভালোবাসা অধরা

ভালোবাসো আমায় ?
হ্যাঁ………কিন্তু না…
স্বপ্নে দেখো আমায় ?
হ্যাঁ………কিন্তু না…
তবে, আমি ভালোবাসি ?
উমম………হ্যাঁ………কিন্তু না…
স্বপ্নে আসবে আমার ?
জানিনা………

জীবনের অতল গহীনে দ্বিধা আর দ্বন্দ্ব
চাওয়া পাওয়া, আর না পাওয়া চাওয়া সব ধূসর হয়ে
সাঙ্গ হবে খেলা একদিন
মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ।
তবুও ভালোবাসি প্রিয়তমা, জেনে রেখো…
ভালোবাসি তোমায় ।

বিস্তারিত»

বিনত বিবির মসজিদ – ঢাকা

পূর্বকথা
সপ্তম শতাব্দী থেকেই মুসলমানরা ইসলামের ঝান্ডা উড়িয়ে বিশ্বের, বিশেষ করে ইউরোপের স্পেন থেকে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির উত্তর-দক্ষিণে ও এশিয়ার ভারতীয় তটরেখা তাদের বলিষ্ঠ পদচারণায় উত্তাল করে রাখে। সে সময় মুসলমানদের শানিত তরবারির ঝলকানিতে রাজনীতি ও ইসলাম ধর্ম প্রচার যুগপথভাবে আরব গন্ডি পেরিয়ে উক্ত ৩টি মহাদেশে সম্প্রসারিত হয়। ভারত উপমহাদেশে এর ধামাক্কা লাগে ১১ শতাব্দীতে, যদিও ভারতভূমি তার আগে থেকেই (৮ম শতাব্দী) আরবদের চেনা ছিল।

বিস্তারিত»

জব্বারের বলি খেলা ঃ ঐতিহ্যের অভিব্যক্তি

জব্বার এর বলি খেলার কথা অনেক অনেক বার শুনেছি শুধু। অনেক সময় টিভি তে বা খবরে এক নজর  দেখারও সুযোগ হয়েছে। তবে এবার বৈশাখী মেলায় বলি খেলা সামনা সামনি দেখার সুযোগ হয়েছে। এই কুস্তি/বলি খেলা যে কতটা থ্রিলিং সামনা সামনি না দেখে বুঝা মুশকিল। সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো শুধু শক্তিশালী বা আকারে বড় হলেই যে এই খেলায় যে জিত নিশ্চিত তা নয়, বরং টেকনিকটাই আসল।

বিস্তারিত»

হাজী খাজা শাহবাজ মসজিদ ও সমাধি -ঢাকা

হাজী খাজা শাহবাজ

হাজী খাজা শাহবাজ মুঘল আমলে ভারতের কাশ্মীর থেকে বনিক হিসাবে বাঙলায় আগমন করেন। একজন সফল সওদাগর হিসাবে অচিরেই তিনি ঢাকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ফলে তিনি ‘মালিক-ই-তুজ্জার’ বা ‘ব্যবসায়ীদের চূড়ামনি/সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী’ উপাধি ও ঢাকার টাইকুন হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ধনাঢ্য এই ব্যবসায়ী শহরতলী টঙ্গী এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। বাঙলায় যখন মুঘল নৃপতি আওরঙ্গজেবের (রাজত্বকালঃ ১৬৫৮-১৭০৭ খ্রীঃ) ৩য় পুত্র সুবাহদার শাহজাদা মুহম্মদ আযমের শাসন (১৬৭৮-৭৯ খ্রীঃ) চলছিল সেই সময় ১৬৭৯ খ্রীঃ তিনি একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।

বিস্তারিত»

টেঙ্গা মসজিদ – শ্যামনগর, সাতক্ষীরা

বঙ্গের বীরপুত্র, বাংলার বারভূইয়ার অগ্রগণ্য, যশোরাধিপতি মহারাজা প্রতাপাদিত্যের (রাজত্বকাল ১৫৮৪ খ্রীঃ – ১৬০৯ খ্রীঃ) নৌ-বাহিনী প্রধান খোজা কমল/খাজা কামাল রাজধানী ঈশ্বরীপুরে একটি ‘টেঙ্গা’ প্রতিষ্ঠা করেন। টেঙ্গা ফার্সী শব্দ যার অর্থ ‘সেনাছাউনি/ছাউনি’। ছাউনি থেকে আধা কিলোমিটার দূর দিয়ে বয়ে যাওয়া কদমতলী নদীর পাশে এবং নিকটবর্তী ধুমঘাট নৌ-দূর্গের সৈনিকদের জন্য এই ছাউনি গড়ে তোলা হয়েছিল বলেই প্রতীয়মান হয়। তার বাহিনীতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ধর্মাবল্বীদের মধ্যে মুসলমান সৈনিকরাও ছিল।

বিস্তারিত»

খাজা আম্বর মসজিদ –ঢাকা

শূরী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতবর্ষের সম্রাট শেরশাহ শূর (১৫৪০ খ্রীঃ – ১৫৪৫ খ্রীঃ) সুলতানী বাঙলার রাজধানী সোনারগাঁও থেকে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুলতান পর্যন্ত ৪,৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘সড়ক-ই-আযম’ বা ‘গ্র্যান্ড ট্রাক রোড’ নামে এক মহাসড়ক নির্মাণ করেছিল। আমরা সবাই জানি, তিনিই প্রথম ঘোড়ার ডাকের ব্যবস্থা করেছিলেন। দ্রূত সংবাদ আদান-প্রদান, পথচারীদের নিরাপত্তা ও রাত্রিযাপন, সংবাদবাহকের ঘোড়া বদল ইত্যাদি কারণে এই সড়কে কিছু দূর পর পর তার প্রশাসন নিরপত্তা চৌকি ও তৎ-সংলগ্ন সরাইখানা স্থাপন করেছিল।

বিস্তারিত»

গান নয়, প্রেমের চিঠি

প্রেয়সী,

কেমন আছো? আমি ভালই আছি, বললে ভুল বলা হবে। আমি যেনো কেমন পাথরের মত নির্লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি। মগজের ভিতরের সুক্ষ অনুভূতিগুলো কেমন যেনো শ্যাওলা জমা ছত্রাকের মত নিথর হয়ে পরেছে। আমি জানিনা কোন ঠিকানায় এই চিঠি পাঠাবো, কিন্তু লিখতেতো কোনো অসুবিধা নাই। তাই না? হৃদয়ের অলিন্দ নামক স্থানে আনকোরা এক অনুভূতি আজকাল বোধ হচ্ছে। সেখানে কোনো আশার আলো আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বিস্তারিত»

এ সময়ে সুনামগঞ্জ ভ্রমন

সুনামগঞ্জ কে এ সময়কার অন্যতম বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পট বললে কম বলা হবে না।  অত্যন্ত সুন্দর এই জেলার টাংগুয়ার  হাওর এর কথা প্রায় সবাই জানি। এখনকার দিনে আমরা কম বেশি প্রায় সবাই অবসরে ঘুরতে যেতে চাই, না গেলেও জেনে রাখি ভবিষ্যৎ এর জন্য বাকেট লিস্ট।  এ কারনেই আজকের পোস্টটি দিচ্ছি।

আমার ঘোরাঘুরির শখ দিন দিন স্বভাবে পরিণত হচ্ছে। যদিও শত ব্যস্ততার কারণে বর্ষার সময় সিলেট এলাকা ঘুরার কোনভাবেই অবসর বের করতে পারলাম না।

বিস্তারিত»

কতিপয় কথার কোলাজ

রজনীগন্ধার ঘ্রাণ

রজনীগন্ধা নিয়ে মাতম ছিলো একদা। আমাদের কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাগানের দু’ধারে ফুটে থাকতো সারিসারি রজনীগন্ধা। বাজারি রজনীগন্ধার সাথে এই রজনীগন্ধার তফাত ছিলো বেশ। মূলত এর গন্ধ আচ্ছন্ন করে রাখতো আমাকে। আধাসামরিক আবাসিক বিদ্যাপিঠে বিবিধ নিয়মের ভেতরে ছিল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা। একটু সিনিয়র হবার পর প্রায়ই রাতের ডিনার শেষে রজনীগন্ধার গন্ধযুক্ত হাসপাতালের পথে হাঁটতাম। শরতের রাতে আকাশে যখন ঝুলে থাকতো শারদীয় জোছনা,

বিস্তারিত»

আমার ইজিপ্টনামা

এক
……………………………………………………………………………………………………
ইউ এন মিশনের ছুটি থেকে ৯ দিনের ছুটি জমিয়ে রেখেছিলাম। হিসাবটা এরকম- ৫ দিন ইজিপ্ট যাবো আর ৪ দিনের জন্য ঈদের সময় দেশে গিয়ে সবাইকে সারপ্রাইজ দিব। সারপ্রাইজ জিনিষটা জীবনে আমি কখনও দিতে পারিনা; হয় কিছু একটা ঝামেলা লাগে, নয়তো আগেই লোকজন জেনে যায়। পরিবারকে ঈদের সারপ্রাইজ দিতে গিয়েও একই অবস্থা। আমি নিজেই সারপ্রাইজড! প্রায় ৩ মাস আগে কাতার এয়ারওয়েজের ১টা অফার ছিল।

বিস্তারিত»

চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং গুলিয়াখালি সি বীচ ভ্রমণ

মাঝে মাঝে নিজের মন কে ছুটি দিতে হয় এই শহুরে কোলাহল থেকে। ক্লান্ত-শ্রান্ত মন কে নিয়ে যেতে হয়  প্রকৃতির কাছে, সবুজের মাঝে। এজন্যই গত সপ্তাহে ঘুরতে গিয়েছিলাম সীতাকুণ্ড এর চন্দ্রনাথ পাহাড়ে।

শহর থেকেমাত্র ২৫ কিমি দূরেই সীতাকুণ্ড। সেখানে সিএনজি অটো বা মাইক্রো ভারা করে আপনি সহজেই যেতে পারেন। আমরা ১৩ জন মিলে লেগুনা ভাড়া করেছিলাম। সকাল ৮ টায় চিটাগাং এ কে খান বাস স্টপ থেকে যাত্রা শুর করে দেড় ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যাই।

বিস্তারিত»

ইডি কথন

শরীরটা ভালো না। আমার একটা পার্মানেন্ট অসুখ আছে। এটা আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন পর পর ই এটা আসে এবং আমি এর আগমনের সিম্পটম গুলোর ক্রমধারা অবলীলায় বলে দিতে পারি। এই অসুখের অনেকগুলো উপসর্গের একটি উপসর্গ হচ্ছে মাথা ব্যাথা। মাথা ব্যাথা হলেই আমার কলেজের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যায়। অবশ্য স্মৃতি না বলে দু:সহ স্মৃতিও বলা যেতে পারে। এই মাথা ব্যাথা-ই আমার কলেজ জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনার কারণ হয়ে যায় পরবর্তীতে।

বিস্তারিত»