টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপেজলার লোহানী গ্রামে সাগরদিঘী নামে ঐতিহাসিক এক দিঘী রয়েছে। এলাকাটি বাংলাদেশের অন্যান্য অংশের ন্যায় সমতল নয় বরং এর সাধারন ভূমি উচু, টিলার মতো বা পাহাড়ী। বাংলাদেশের প্রাচীনতম ভূমি গঠনের আদি নিদর্শন মধুপুর-ভাওয়াল গড়ের এক অংশ এটি। ধারনা করি এখানকার সভ্যতার ইতিহাসও তাই বেশ প্রাচীন। গ্রামের পূর্ব দিকে রয়েছে সনাতনী ধর্মের রাধা-কৃষ্ণের তমালতলা, গুপ্ত-বৃন্দাবন আর পশ্চিম পাশে রয়েছে বেহুলা-লক্ষীন্দরের পদ্মদিঘী, লক্ষীন্দরের বাবা চাঁদ সওদাগরের বাড়ী ইত্যাদি।
বিস্তারিত»অব্যক্ত ভালোবাসা
প্রিয়ার অভিশাপ নিয়ে পুড়ে যাওয়া
ভালোবাসার লতা-গুল্মগুলোর উপহাস,
বারান্দায় টবে ঝুলানো মানিপ্ল্যান্ট গাছটির
অহংকার মেশানো দোল খাওয়া,
কোন কিছুই আমায় আজ
স্পর্শ করেনা প্রিয়তমা।
না দেয়া মিথ্যে আশ্বাস
সত্যভাষণের নীল কষাঘাত,
ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় হৃতপিন্ড…।
রক্তক্ষরণ…?
সেতো বুকের মধ্যে চলছে…
চলুক…
না হয় কেউ না-ই বা দেখলো …
না-ই বা জানলো…
শালবন বিহার – কুমিল্লা
বাংলাদেশ তথা কুমিল্লা জেলার ‘আইকনিক ল্যান্ডমার্ক’ শালবন বিহার ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম বিহারসমূহের মধ্যে অন্যতম। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শ্রমন, ভিক্ষু, আচার্য্য, সিদ্ধি-পুরুষদের মূলতঃ ধর্ম-চর্চ্চা কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কেও পড়াশুনার জন্য আবাসিক শিক্ষালয় হল বিহার। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে বাংলার বিহার স্থাপত্যের অনুকরণে রচিত বৌদ্ধবিহারের অস্তিত্ব নজরে পড়ে। সব বিহারগুলো একদিনে তৈরী হয়নি বটে তবে বুদ্ধদেবের জীবদ্দশাতেই বিহারের প্রচলন শুরু হয়। সাধারনতঃ বর্ষাকালে পর্যটনে বিড়ম্বনা,
বিস্তারিত»একদিনের ডে ট্যুরের অভিজ্ঞতা : বারো বাজার, ঝিনাইদহ ভ্রমন
এই ব্লগটি তাদের জন্য এড়ানো সম্ভব হবে না,যারা শুধু ভ্রমন পিপাসুই নয়, পুরাকীর্তি এর প্রতি আগ্রহী।
গত শনিবার আমি গিয়েছিলাম যশোর থেকে ২০ কিমি উত্তরে বারবাজারের মাজার আর প্রাচীন মসজিদ দেখতে। ঢাকা থেকে কেউ আসতে চাইলে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ এর পরেই এর অবস্থান। এখানে আরো আছে প্রাচীনতম বটগাছ আর নানা লোককাহিনী। স্বল্প এই ডে ট্যুর আপনি অবশ্যই উপভোগ করবেন।
shortly describe করছি আমার অভিজ্ঞতা…
বিস্তারিত»কুমিল্লা
প্রাচীন বাঙলা রাষ্ট্রের অখন্ড সীমানা নির্ণয় করা দুস্কর – এ যেমন সত্য, তেমনি প্রাচীন বাঙলা যে ১৬ টি জনপদ নিয়ে গঠিত হয়েছিল আর সমতট যে এর মধ্যে অন্যতম এও সত্য। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাঙলায় ব্রহ্মপুত্র নদের মোহনা ও বাঙলার মধ্যাঞ্চল বিশেষ করে মেঘনা নদীর পূর্বাঞ্চলের সমতল নিম্নভূমি যা বঙ্গ ও সমতট নামে পরিচিত ছিল তা ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, যেশোহর, বরিশাল, নোয়াখালী, ফেনী ও সমগ্র কুমিল্লা এবং ভারতের ২৪ পরগনা ও ত্রিপুরা রাজ্যের বৃহৎ অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল।
বিস্তারিত»নান্দাইল দিঘী – জয়পুরহাট
সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে জুড়ে অসংখ্য নাম জানা-না জানা পুকুর-দিঘী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সব দিঘীই আবার সকলের কাছে সমানভাবে পরিচিত বা জনপ্রিয় নয়। সাধারনতঃ বিনোদন, বনভোজন আর বৈকালিক ভ্রমণের সুবিধা-সম্বলিত অল্প কিছু দিঘীই এই তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের নান্দাইল গ্রামের ‘নান্দাইল দিঘী’র যেমন রয়েছে ঐতিহ্যময় ইতিহাস তেমনি রয়েছে এর অপরিসীম প্রত্ন-মূল্য। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলতা দিঘী কিংবা দিনাজপুরের রামসাগর আজ যেমন সকলের কাছে সুপরিচিত তেমনি ‘নান্দাইল দিঘী’ সকলের মনে এখনো তেমনভাবে স্থান করে নিতে পারেনি।
বিস্তারিত»মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!
মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!
আয়োজন ছাড়া বা আয়োজন করে
প্রয়োজনে কিংবা বিনা প্রয়োজনে
এইতো আমার আশ্ পাশ্ থেকে
মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!
কিছুটা বুঝে বা পুরোটাই না বুঝে
একটু চিনে কিংবা একেবারে না চিনে
এইতো আমার আশ্ পাশ্ থেকে
মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!
স্বল্প শিখে বা একদম না শিখে
শুন্য হাতে কিংবা দুই হাত ভরে
এইতো আমার আশ্ পাশ্ থেকে
মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!
বাংলাদেশের প্রাচীনতম পাথরের সেতু – জয়পুরহাট
আটাপুর-উচাই-মহীপুর জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৩টি প্রাচীন গ্রাম। আটপাড়া/আটাপুর/আতাপুর ইউনিয়নের আতাপুর/নোয়াপাড়া মৌজার দক্ষিণে উচাই মৌজা। আটাপুর ও উচাই মৌজাদ্বয়কে পূর্ব ও দক্ষিন দিক দিয়ে তুলশীগঙ্গা নদী ইংরেজী Y অক্ষরের মাথার ন্যায় জড়িয়ে ধরে আছে। উচাই মৌজার দক্ষিণে, তুলশীগঙ্গা নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে মহীপুর/মাহীপুর মৌজা। পরস্পরের সাথে জড়াজড়ি করে থাকা গ্রামত্রয় বাংলাদেশের সভ্যতার অনন্য পাদপীঠ। আনুমানিক ৮-১০ বর্গকিলোমিটারের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে নিদেন পক্ষে সুলতানি আমলের প্রাচীন নিদর্শনের অস্তিত্ব বাঙলায় এক উন্নত নগর সভ্যতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।
বিস্তারিত»বারো শিবালয় মন্দির – জয়পুরহাট
জয়পুরহাট জেলা সদরের হেলকুন্ডা গ্রামে বাস করতেন কান্ত মন্ডল ও তার পরিবার। পেশায় গন্ধ-বনিক কান্ত মন্ডল নবাবী আমলে (১৭০৭ – ১৭৫৭ খ্রীঃ) অর্থ-বিত্ত-ঐশ্বর্য্যে এতটাই সম্মৃদ্ধি অর্জন করেন যে, তাকে মূর্শিদাবাদের তৎকালীন ধন্যাঢ্য ব্যাক্তি জগৎশেঠের সাথে তুলনা করা হতো। এই বংশেরই অন্যতম সফল পুরুষ রাজীব লোচন মন্ডল।
সম্ভবতঃ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে অথবা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রাজীব লোচন মন্ডল জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বেল আমলা গ্রামে ‘বারো শিবালয় মন্দির’ নামে একটি মন্দির নির্মাণ করেন।
বিস্তারিত»জয়পুরহাট
বাংলার পাল সাম্রাজ্যের (৭৫০ – ১২০০ খ্রীঃ) দ্বিতীয় নৃপতি ধর্মপালের (৭৭০ – ৮১০ খ্রীঃ) ভাই বাকপালের পুত্র জয়পাল। অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, ধর্মপালের অপর ভাই দেবপাল (৮১০ – ৮৫০ আনুঃ খ্রীঃ) তার শাসনামলে জয়পালকে তার প্রধান সেনাপতি হিসাবে নির্বাচিত করে। জয়পাল পরবর্তী কালে এই অঞ্চল শাসন করার সুযোগ/অধিকার পান। স্থানীয়রা খঞ্জনপুরের দক্ষিণ দিকে আনুমানিক ২.৪ কিলোমিটার দূরে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপত্যের নিদর্শনকে জয়পালের রাজবাড়ি বলে চিহ্নিত করে থাকেন।
বিস্তারিত»ক্ষমা করো প্রিয়তমা
চোখের জলে ভেসে যাওয়া বুকে
গুমরে ওঠে কান্নারা
মুক্তোয় গড়া অশ্রু ফোটা
মনকে করে দিশেহারা।
অভিশাপ দাও প্রিয়তমা আজ
ভালোবাসার যোগ্য নই আমি
দু’পায়ে দলেছি প্রেম সকলই
দিয়েছো উজাড়ে যা তুমি।
রিমঝিম ঝিম বৃষ্টির সুরে
একাকার হবো দু’জনেতে
ছোট্ট নীড়ে তুমি আর আমি
আর তো কিছু চাওনি যে।
পারিনি দিতে চেয়েছিলে যা
ক্ষমা করে দিও তুমি মোরে
খেলিনি আমি তোমায় নিয়ে
ভালোবাসি আজো অন্তরে।
রংপুর
ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থিত রংপুর বাংলাদেশের একটি অতি প্রাচীন অঞ্চল। রংপুর জনপদের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য বাংলাদেশের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বিশেষ করে কুচবিহার-কামতা, প্রাগজ্যোতিষ-কামরূপ-কামাক্ষ্যা বা আজকের আসাম ও বিহার অঞ্চলের প্রাগৈতিহাসিক যুগের স্মারক বহন করে চলছে।
জেলার নামকরণ নিয়ে আছে নানা মতবাদ। পৌরানিক যুগে রাজা নরক শ্রীকৃষ্ণের সাথে যুদ্ধে বিজিত হলে তার ছেলে ভগদত্ত প্রাগজ্যোতিষ তথা কামরূপ রাজ্যের রাজা হন। প্রাগজ্যোতিস্বর ভগদত্ত (খ্রীঃপূর্ব ১৫০০ অব্দ) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কুরুপক্ষ অবলম্বন করে নিহত হবার পূর্বে অবসর যাপন,
বিস্তারিত»আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ি/আঙ্গোরা মসজিদ-নীলফামারী
নীলফামারী জেলার দারোয়ানী ও দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা সড়ক ধরে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার পথ চললে রাস্তার দক্ষিন পাশে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ি/আঙ্গোরা/আঙ্গরার মসজিদ অবস্থিত।
মসজিদে প্রবেশের জন্য রাস্তা সংলগ্ন একটি প্রবেশ তোরন আছে যা সাম্প্রতিককালে নির্মিত। প্রবেশ তোরন অতিক্রম করে মসজিদ আঙ্গিনায় ঢুকলে সরাসরি দক্ষিনে একটি মাযার ও পশ্চিমপাশে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা।
বিস্তারিত»নটখানা – নীলফামারী
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে তৎকালীন নীলফামারীর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অর্থাৎ সাকামাছাবন্দরকে কেন্দ্র করে নীল বাণিজ্যের বেসাতি গড়ে তুলেছিল বৃটিশ উপনিবেশকারীরা। বাণিজ্যের লক্ষী ভেবে অন্যান্য ভাগ্যান্বষণীদের মতই ইংরেজ ‘নট’ নামের এক ব্যাক্তি এখানে নীলের পসার সাজিয়ে বসে। নীলফামারী – ডোমার সড়কের যেখানে Danish Bangladesh Leprosy Mission অবস্থিত তার দক্ষিণ সীমানার প্রাচীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্থাপনা আজও মানব ইতিহাসের কলঙ্কিত সেই অধ্যায়ের স্বাক্ষী বহন করে চলছে।
বিস্তারিত»নীলফামারী
উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গার মতো বাংলাদেশের নানা স্থানে পাট গাছের মতো দেখতে নীল গাছও জম্মাতো। ভারতীয় নীল গাছ থেকে উৎপাদিত নীল ইউরোপের নানা দেশে রপ্তানী হতো বলে ইউরোপীয়রা একে ইন্ডিগো নামে চেনে। বৃটিশ উপনিবেশ আমলে বিশেষ করে কোম্পানী আমলে (১৭৫৭ – ১৮৫৭ খ্রীঃ) সারা বাংলায় (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) নীল চাষের ব্যাপক আবাদ শুরু হয়। ১৭৯৫ খ্রীঃ পরপরই এর মাত্রা তীব্রতর আকার ধারন করে যশোহর, খুলনা, কুষ্টিয়া,
বিস্তারিত»