তিন তিতলী

“মেঘ বলেছে যাবো যাবো” বইটি দ্বিতীয় বারের মত পড়া শেষ করেছি। আমি তখন নবম শ্রেনীতে। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। ছুটি আর কয়েক দিন পর। আমাদের ক্যাডেট কলেজে অনেক নিয়ম কানুন। গল্পের বই পড়ার সময় ও সুযোগ সব সময় মেলে না। তবে এই সময়টা সবাই গল্পের বই পড়ে কাটায়। শিক্ষকরাও আমাদের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে তেমন কিছু বলেন না। হাতে পড়ার মত কোন বই না থাকায় বন্ধু তৌফিকের কাছ থেকে নিয়ে এই বইটিই আবার পড়লাম।

বিস্তারিত»

একটি ভালবাসার গল্প

১.

এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে টানা চার মাস পর ক্যাডেট কলেজ থেকে বাসায় আসলাম। ছুটিতে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু বাসায় এসে আমার মাথায় হাত। আমি কলেজে থাকা অবস্থায় আমাদের বাসা চেঞ্জ হয়েছে। নতুন বাসায় এসে কিছুটা অস্বস্তিতে পরলাম। কাউকে চিনিনা। বাসায় এসে কিছুক্ষন ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি, এমন সময় কেউ একজন ডেকে উঠল-

–      আন্টি……………

একটা মেয়ে দৌড়ে ঘরে এসে ঢুকল।

বিস্তারিত»

বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও ??

১৫  নভেম্বর  ২০০৯

ঢাকা থেকে যাওয়ার আগে ফেসবুক এ একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম

‘ যেদিন কোচিং এর জন্য প্রথম ঢাকাই আসলাম সেদিন এর লক্ষ্য আর আজ যখন চলে যাচছি তখন কার প্রাপ্তি !! হয়ত ফার্মগেটের এই সাত রাস্তার মোড়ের মতই আমাদের জীবনের একটা টার্ন তৈরি হচ্ছে’

ক্লাস ১ থেকে শুরু করে ক্লাস ১২ পর্যন্ত যে কইবার Aim in Life বা জীবনের লক্ষ্য রচনা লিখেছি সব গুলোর বিষয়ই আমি ডাক্তার হব ।

বিস্তারিত»

ছিনতাইকারী এবং আমি

“ভাই কই যাবেন? ভাড়া দেন জলদি”।

কথাটা শুনেই বুঝি হুশ ফিরল আমার। তাকিয়ে নিজের ল্যাপটপের ব্যাগটা কে আর একটু জোড়ে আকড়ে ধরে বললাম “জিয়াকলনি, কত?”ভাড়াটা দিয়েই জানালার বাইরে তাকালাম। আগারগাও ক্রস করছি। হটাৎ হাসিই পেল। এতদিন যে বড় বড় বুলি ঝেরে এসেছি আজ তার একটা পরিক্ষাই দিয়ে আসলাম। মাত্র ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড এর ঘটনা, কিন্তু একটু এদিক সেদিক হলেই দেউলিয়া হতে চলেছিলাম।

বিস্তারিত»

আমার নতুন পরিচয়: আমি ক্যাডেট

১৫ এপ্রিল, ২০০৬। বাসে উঠলাম সকাল বেলায় আব্বু আম্মুর সাথে…… গন্তব্য ফেনী। বাসে উঠেই আম্মু প্রথমে  আমাকে যা যা বোঝানো শুরু করল তা হল ক্যাডেট কলেজে যেন ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করি,নামাজ পড়ি, ঠিক মতো পড়াশোনা করি,নিজের যত্ন নেই আর…… আর যাই হোক মাথা গরম করে আমি যেন কার সাথে মারামারি না করি। কারণ সেই পিচ্চি বেলায় ক্লাস থ্রি তে থাকতে ঘুষি মেরে ১ টা  ছেলের নাক ফাটিয়ে দিয়েছিলাম।

বিস্তারিত»

“মাঙ্কিজ, ওইদাউট টেইল”!!!

 

 

 

 

 

 

৩০শে মে, ১৯৮১ সাল।

স্টুডেন্টস্ হোস্টেল।পিটার হিলি ওয়েগ ১৩। প্যাডারবর্ণ উনিভার্সিটাট।শনিবারের আলসে সকাল। সবাই ঘুমে বিভোর। আমার রুমের দেয়ালে কানের কাছে ধুম ধুম শব্দ পেতেই পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করি।এই এক মহা জ্বালাতন। পাশের রুমে ইরানী একটা মেয়ে থাকে।রুশি! কিছু লাগলে কলিং বেল না দিয়ে,

বিস্তারিত»

স্যারদের আদর-ভালবাসা-২

যেকোনো সময় বৃষ্টি ক্যাডেটদের খুব আকাঙ্ক্ষার। এর পেছনে অনেক কারণ, যেমন সকালের বৃষ্টি ফলইন ও পিটি-প্যারেড থেকে বিরত রাখে, ক্লাস টাইমের বৃষ্টি মনকে ভাবুক বা আবেগী করে তোলে এবং ক্লাসে ঘুমানোর আবহাওয়া তৈরি করে দেয়, দুপুরের বৃষ্টি ঘুমাতে হেল্প করে ইত্যাদি আরও অনেক কিছু …।

যাই হোক সেদিন বিকাল থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। টি- ব্রেকে, প্রেপে ও ডিনার এ গেলাম করিডোর দিয়ে। ডিনার থেকে আমরা সবাই সবে মাত্র ফর্মে এসেছি।

বিস্তারিত»

সেই দেশ আর এই দেশ!

অনেক পুরানো দিনের একটা ফাইল খুজে পেয়ে নিজে নিজে বহু ক্ষন হাসলাম। পিয়নটা এর মাঝে দুইবার উকি দিয়ে দেখে গেছে। নিশ্চয়ই ভাবছে,স্যার কি পাগল হয়ে গেল?

আমাদের সাইকোলজি হেড অব দা ডিপার্টমেন্ট এমন একা একা রুমে ছাদের দিকে মুখ করে হাসতেন। একদিন ওর এসিসট্যান্ট কে কথাটা বলেই ফেলি সাহস করে, সে হেঁসে আমাকে আরো মজার উত্তর দেন। তাকে নাকি আত্মভোলা এই মানুষটি প্রায়ই প্রশ্ন করেনঃ আচ্ছা তুমি কি জান,

বিস্তারিত»

জন্ম পদ্যের গদ্যরূপ

এই রকম একটা লেখা লেখার কোন ইচ্ছাই ছিল না,তবুও লিখছি। স্মৃতিচারণে পুরনো লেখা পড়তে জুড়ি নেই।
আজ ২৫শে মে। আমার জন্মদিন। সেই সাথে সাথে নজরুল জয়ন্তী। তবে আজ কবি নজরুলের ঢোল না পিটিয়ে নিজের ঢোল পিটানোর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

তুষখালি ও আমি

আমার জন্ম এইসব কংক্রিট পাথর ইটের শহরগুলো থেকে অনেক দূরে। বর্তমান পিরোজপুর জেলার,মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালি নামক ইউনিয়নে।

বিস্তারিত»

স্যারদের আদর-ভালবাসা-১

কলেজে কাটানো দিনগুলিতে অনেক স্যারদের আদর-ভালবাসা বুঝতে পারিনি, যেটা বুঝতে পেরেছি কলেজ থেকে বের হবার দিন বা এরও অনেক পরে। সেইসব কিছু সৃতি তুলে ধরার চেষ্টা।

আমাদের ব্যাচের বি সেকশনের ফর্ম মাষ্টার ছিলেন আমাদের অনেক শ্রদ্ধেয় ও বন্ধু-সুলভ মিজান স্যার। বন্ধু-সুলভ কেন? কারণ আমাদের অনেকের গার্ল ফ্রেন্ড এর কাছে লিখা প্রেমপত্র ও বিভিন্ন অকেশান এর সময় কার্ডও আমরা স্যারকে দিয়ে কিনিয়ে পোস্ট করিয়েছি।

বিস্তারিত»

আমার নতুন পরিচয়ঃ আমি ক্যাডেট

অনেক দিন ধরে ভাবছি কিছু  একটা লিখব…… কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেল…। শেষ কবে বসেসিলাম লিখার জন্য মনে করতে পারছি না । কিছু একটা লিখার চেষ্টা করছি ভুল ত্রুটি হলে নবীন  হিসেবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশাকরি ।

অনেক ইনটেকের বর্ষপূর্তি দেখে কলেজ এর প্রথম দিন গুলোর কথা মনে পড়ছে। এবং আরও বেশি মনে পড়ছে ভর্তির ইতিহাসের কথা।

কলেজ এর প্রথম কথা মনে  হলেই মনে পরে যায় আইয়ুব বাচ্চুর সেই গান “হাসতে দেখ গাইতে দেখ,

বিস্তারিত»

যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম (পর্ব ৪)

নতুন জীবন ও একজন জুনায়েদ স্যারঃ

নেমপ্লেটটার দিকে তাকিয়ে ফোঁস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি। পাশের বেডে বসা তারান্নুম (সেই রোগা টিংটিঙে মেয়েটা) পা দোলাতে দোলাতে জিজ্ঞাসা করলো,” এমন বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলছিস কেন?” আমি আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি,”আমার নেমপ্লেট দেখে! এটা কোন নাম হলো বল তো? রাহাত আরা! খেয়া নামটা কতো সুন্দর না?” তারান্নুম হি হি করে হাসে,” সত্যিই তো! রাহাত আরা,কি আজব নাম!

বিস্তারিত»

যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম (পর্ব ৩)

প্রথম দিন,অমলিনঃ

“দেখি ভাই, আমাকে একটু দেখতে দেন………“- বলতে বলতে ভীড় ঠেলে নিজের জন্য একটু জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা চালায় পাপা। “আয়েশা হাউস।“- বিড়বিড় করে নামটা বারকয়েক আউড়ে নিলাম আপনমনে। ইতোমধ্যে জানা হয়ে গেছে আমার, ক্যাডেট কলেজে ‘হল’ বলা হয় না, বলতে হয় হাউস; রুম না বলে বলা হয় ডরমেটরি। পাপা অভিভাবকদের লিস্টে স্বাক্ষর করে বিজয়ীর ভঙ্গিতে ফিরে আসে। “বেটি, তোমার ডর্ম নাম্বার ২০৭,

বিস্তারিত»

“মা”

দিনটা ছিল শুক্রবার ।

সারা দিন টানা ক্লাশ ছিল। দুপুরে খাবার ও সময় মিলেনি। পেটে ইঁদুরের দৌড়োনি।হোস্টেলে এসে ভাত রেধে খাবো ভেবেই ভাল লাগছে।পিটার হিলি ওয়েগ-১৩, স্টুডেন্টস হোস্টেল, ১০০৮ নম্বর রুম। ‘এক’ নিচের তলা নির্দেশক।ইন্টারনেশনাল উইং। পার্টিকোতে থরে থরে সাজানো লেটার বক্স থেকে নিজের টাতে হাত দিয়ে একটা কার্ড পেলাম। একটা ‘প্যেকেট’ ডেলিভারি নোটিস।বাংলাদেশ থেকে এসছে। বিকাল পাঁচটার মধ্যে ‘ হোপ্ট পোস্ট আম্ট ‘

বিস্তারিত»

আমি যখন ক্যাডেট ছিলাম

 

লক্ষ্য যখন ক্যাডেট হওয়া :

রাগে গজগজ করতে করতে মোড়টা পেরোলাম ।-“এতো সকালে মানুষ ওঠে ঘুম থেকে ? ওঠে কাক । আমি কি কাক ? কেন কোচিংটা এই কাকডাকা ভোরেই হতে হবে ?” প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে ভীষণ কষ্ট হয় আমার । কোনমতে নামায পড়ে পোশাকটা বদলে আসতে গিয়ে অবধারিতভাবে দেরী হয় প্রতিদিন । তাই প্রথম ক্লাসে দাঁড়িয়ে থাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ।

বিস্তারিত»