কিছু কৈশোর… (৩য় খন্ড)

(শিরোনামটি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ’র একটি আত্মজৈবনিক গন্থ হতে অনুপ্রাণিত)

 

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষা বা পুরো ব্যাবস্থাটা বাইরে থেকে অনেক আলাদা। কোন সন্দেহ নাই। একটা স্কুল বা কলেজের যে সকল কর্মকান্ড বাইরেও হয় সেগুলোও ক্যাডেট কলেজে একটু অন্যভাবে হয়। তবে কিছু আছে যেগুলো খালি ক্যাডেট কলেজেই সম্ভব। এমন একটা জিনিস ছিলো কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে বা চলতি ঘটনা প্রদর্শনী। সব কলেজেই এই প্রতিযোগীতাটা হতো।

বিস্তারিত»

“তেলাপোকা কেন উল্টে মরে ”

অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ

 

চিঠিটা খুলে বার বার দেখি

আরও একবার-

লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,

নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?

কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার;  জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ,  আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।

খাটের পাশে রাখা  গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –

বিস্তারিত»

মধ্যবিত্ত আমরা

আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার, তাই আমরা এক ঈদে মার্কেটের মোটামুটি সবচেয়ে সুন্দর জামা পড়ি আর আরেক ঈদে আম্মার হাতে বানানো জামা পড়ি। আমাদের মাসের শুরুতে অনেক টাকা ওড়ানো হয় কিন্তু সেই মাসের শেষেই আমাদের পরিবার প্রধান হিসাবের খাতা খুলে ভ্রু কুঁচকে ভাবতে থাকেন কিভাবে বাকি আট দশটা দিন যাবে। আমাদের ইগো এত বেশি যে আমরা আমাদের উচ্চবিত্ত পরিচিতদের কাছ থেকে নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে সাহায্য নেই না,

বিস্তারিত»

খেলাঘর

খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)

আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।

বিস্তারিত»

একটি অসমাপ্ত তালিকা

ক্যাডেট কলেজের কিছু জায়গা প্রায়ই মিস করি। শুধু আমি না, আমার ধারণা আরো অনেকেই হয়তো এই জায়গা গুলো কে এখনো ফিল করে। একটা ইনকমপ্লিট লিস্ট বানানোর চেষ্টা করলাম। লিস্টে শুধু আনকনভেনশনাল জায়গা গুলো রাখার চেষ্টা করেছি।

১) টিভি রুম: নতুন করে কিছু বলার নেই। অনেক স্মৃতি এর সাথে জড়িত। বৃহস্পতিবারের মুভি শো , হিন্দি গানের চ্যানেল, ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগ .. কত স্মৃতি। জুনিয়র লাইফে নিচে বসে অনেক কষ্ট করে মাথা উচু করে টিভি দেখা আর সিনিয়র লাইফে ২/৩ টা চেয়ার নিয়ে পুরো মহারাজা স্টাইলে টিভি দেখা কোনটাই ভুলবার নয়!

বিস্তারিত»

একটি নিঃস্বার্থ মৃত্যু এবং আমার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ

আমার জীবনের প্রথম লেখা, সত্য একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করছি। এখানে কোনোকিছুই কাল্পনিক অথবা অতিরঞ্জিত নয়।
একটি বিষয়ে প্রথমেই বলে রাখা দরকার, বিষয়টি হচ্ছে – লেখার ভিতরে হয়তো অনেক ভুল পাবেন, আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। লেখাটি আমার খুব প্রিয় বন্ধু জহির কে নিয়ে।

২১মে, ১৯৯২, চট্টগ্রাম
আমরা ৫৬ জন ১১-১২ বছর বয়সী দুরন্ত ছেলে এক অচেনা জায়গায় একত্রিত হলাম।

বিস্তারিত»

ফুটবল বিষয়ক নৈশ অভিযান !

ক্যাডেট কলেজে ঢোকার আগে ফুটবল নিয়ে এতোটা ক্রেজ ছিল না। খেলা দেখতাম, ব্যাস এতটুকুই। এর বেশি কিছু ভাবার কোনো কারন কখনো দেখি নি । যাই হোক ক্যাডেট কলেজের বাধ্যতামূলক গেমস পিরিয়ড অল্প কয়েকদিনের মাঝে আমি সহ আমার আরো কতিপয় সহপাঠীকে পুরোদস্তুর ফুটবল প্লেয়ার বানিয়ে দিলো। গেমস টাইম এ ফুটবল খেলি আর প্রেপ , ক্লাস টাইমে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল নিয়ে আড্ডা মারি। খেলা দেখার সুযোগ খুবই কম।

বিস্তারিত»

আমার অ্যাথলেট জীবন


আমি কখনই নিবেদিতপ্রাণ অ্যাথলেট ছিলাম না, ছিলাম না কোন দুর্দান্ত দৌড়বিদ, লম্ফবিদ, নিক্ষেপকারীও। তাই লেখাটার নাম “আমার অ্যাথলেট জীবন” না হয়ে “আমার দর্শক জীবন” হলেই বোধহয় নামকরণের সার্থকতা প্রকাশ পেত।

অতীতের কোন এক ক্লান্ত বিকেলে প্রিফেক্ট/জে.পি.-র চাপে পড়ে একদল ক্লাস সেভেনের দিক-বিদিগ্‌জ্ঞানশুণ্য দৌড়ে (যেটাকে ইংরেজীতে HITS বলে) প্রথম সারিতে না থাকতে পারার দরুন আমি কোনদিন স্প্রিন্টার হতে পারলাম না!

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

প্রবাস জীবন ও প্রথম পোস্ট এর সাময়িক উত্তেজনা

১)মাঝে মাঝে ভাবতেই অবাক লাগে। দেখতে দেখতে ছয় মাস কাটিয়ে দিলাম ইউএস এ তে। গত ডিসেম্বর এর সময় শুনলাম একাডেমি তে ১ টা অফার এসেছে  । ১ জন ক্যাডেট নিবে ওরা। চার বছর এর জন্য।  ইউএস নেভাল একাডেমি ! সেই বিখ্যাত আনাপোলিস। এই মুভি টা  দেখে ফাস্ট টার্ম এ মোরাল  নেবার চেষ্টা করেছিলাম। যাই হোক, আমার কি? আমার দরকার কমিশন। ঐটাতে ই  আমি খুশি। আনাপোলিস আমার লাগবে না।

বিস্তারিত»

অসুখের অসুখ

আমার হুমায়ুন আহমেদের মতো অসুখবিসুখে চিৎকার করে লোক জড় করতে ভাল্লাগে। বাসায় মা কে কাজ করতে দেইনা, একটু পর পর ডাক দিয়ে রান্নাঘর থেকে নিয়ে আসি।অসুখ সহ্য করতে পারিনা। ছোটবেলায় হতও না। ক্লাসে কতবার গর্ব করে বলেছি আমি সিজারিয়ান বাচ্চা কিন্তু আমার অসুখ হয়না(শোনা কথা _সিজারিয়ান বাচ্চাদের অসুখ বেশি হয়)… এখন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ক্লাস এইটের আগে কোনদিন কলেজের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি।

বিস্তারিত»

ঈদের চাঁদের হাসি

অণুগল্প লিখবো বলে অনেক আয়োজন করে বসেও থেমে যেতে হয় শুরুতেই। ট্রেনের হুইসেল শুনে কানপাতি আমি, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে আপনমনেই বলি,” মহানগর এক্সপ্রেস! ট্রেন এসে গেছে!” নৈঃশব্দের রাজ্য ক্যাডেট কলেজের নীরব-নিশ্চুপ বাতাস কেটে ট্রেনের হুইসেল থেকে থেকে কানে আসে অনেকক্ষণ। স্পষ্ট শুনতে পাই, হেলেদুলে যেতে যেতে ট্রেনটা আমাকে বলছে,” ভালো থেকো খেয়াসোনা!” শ’কিলোমিটার দূরে বসে এই ট্রেনের জন্যে যে আরেকজন অপেক্ষা করে থাকে।

বিস্তারিত»

যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!

যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!

বেশ কয়েক বছর আগে একজন সাহিত্যের শিক্ষক আমাদের ক্লাশে বলেছিলেন, একজন কবির কাছে কবিতা জন্ম দেয়া নাকি অনেকটা সন্তান প্রসবের মতই একটা ব্যাপার। যতক্ষন কবিতাটা বের না হয়, একটা যন্ত্রনা হতেই থাকে। আর বের হবার সাথে সাথেই এক অনাবিল প্রশান্তি। এ বিষয়ে আমার উপলব্ধি হল, মনের কথা বলে ফেলার মধ্যেই একটা বিরাট রিলিফ কাজ করে। তা সে সুখের হোক,

বিস্তারিত»

১০ টাকা,১টি ফোন নাম্বার এবং অন্যান্য

পরদিন পরীক্ষা। এই চিন্তায় কিনা জানি না,রাত ১২ টায় যখন ফেসবুক ব্রাউজ করছিলাম দেখলাম-পরীক্ষার হলে অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াও যাবতীয় অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হবে এবং তাও সত্যায়িত করে। মাথায় যথারীতি আকাশ ভেঙ্গে পড়ল এবং নিজে পরীক্ষার নোটিশ না দেখলেও সমস্ত দোষ প্রথমেই আর্মির প্রতিষ্ঠান (BUP) কে দিলাম তারপর মার সাথে রাগারাগি করে বাসা থেকে বের হলাম যদি কাগজ গুলার ফটোকপি করা যায়। বাসা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেয়ে (জানি যে সব বন্ধ) ক্ষীণ আশা টা দূর হোলে বাসায় ফিরলাম।

বিস্তারিত»