নিজের দেশকে ভালবাসি – একথা আমি কখনও সরাসরিভাবে স্বীকার করিনি। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমাদের দেশের লোকদের মাঝে বিদেশে যাওয়ার একটা প্রবণতা কাজ করে। বিদেশে পড়তে যাওয়া, বিদেশে চাকরি পাওয়া, প্রবাসী বাংলাদেশী বিয়ে করা ইত্যাদি অনেকের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হয়ে পড়ে এবং এইসব কার্যক্রম সাধারণত সফলতার দাড়িপাল্লায় পড়ে।
আমার মা-বাবাও ব্যতিক্রমধর্মী নন, আমি ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময় থেকেই তাদের বড় সখ তাদের মেয়েরা স্কলারশীপ পেয়ে বিদেশে পড়বে। আমি খুব ‘ভাল’ মেয়ে, মা-বাবার প্রতিটা সখ আমি ৫ম শ্রেণী থেকে পুরণ করে আসছি – ট্যালেণ্টপুলে বৃত্তি পাওয়া, ক্যাডেট কলেজে যাওয়া, স্কলারশীপে বিদেশে একাধিক উচ্চশিক্ষা অর্জন করা, নিজের সমাজের মাঝে বিয়ে করা, স্বাবলম্বী হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি তিনটি দেশে (ব্রিটেন, জার্মানী এবং অস্ট্রেলিয়া) পড়াশোনার জন্য বসবাস করেছি এবং অনেকগুলো দেশে (প্রায় ১২-১৪ টি) ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছি। কোন দেশের সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে চলতে আমার তেমন কোন অসুবিধা হয়নি। বাইরে সেটেল করার অনেক সু্যোগও পেয়েছি এবং আমার পরিবার এ ব্যাপারে আমাকে উৎসাহিত করলেও আমি বারবার দেশে ফিরে এসেছি। আমার কথা ছিল আমি ভৌগলিকভাবে কোথায় আছি এইটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আমার চারপাশের মানুষগুলো আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ, আমার এত বিলাসিতার দরকার নেই, সীমিত জীবনে আমার আন্তরিক ভালবাসার সংস্পর্শ বেশি প্রয়োজন, কাজেই আমি দেশেই থাকতে চেয়েছি। আমি জানিনা দেশের মানুষকে ভালবাসা মানে দেশকে ভালবাসা কিনা। কিন্তু ইদানীং আমি চরম হতাশায় ভুগছি। অনেকের কাছে হয়ত কথাটি শুনে আহ্লাদ মনে হচ্ছে – কিন্তু আমার হতাশাটা আমার কাছে প্রবল। দেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলী আমার দেশে থাকার ইচ্ছাটাকে দুর্বল করে দিয়েছে, বিশেষভাবে পিলখানার বি. ডি. আর.-এর ঘটনাটি।
আমার বাবা একজন আর্মি অফিসার। গত ২৯ বছর ধরে নিজের ঘাম দিয়ে ও জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশকে সার্ভ করার পর সর্বসাকুল্যে তার বেতন ২৪ কি ২৫ হাজার টাকা আর সাম্প্রতিক সে মিরপুরে একটুকরা জমি পেয়েছে। সে কর্নেল হওয়ার পর থেকে সরকারী ইন্ডিপেন্ডেন্ট বড় বাসা ও একটা গাড়ি/ড্রাইভার পাচ্ছে পার্সোনাল ব্যবহারের জন্য। এছাড়াও আরও অনেক মেইন্টেন্যান্সের ও সার্ভিসের সুযোগ সুবিধা আছে যার মূল কারন আর্মির বাজেটের সদ্ব্যবহার। বাংলাদেশে আমার বাবার কোন বাড়ি নেই, নিজের গাড়ি কিনার সামর্থও নেই। আমার মা সবসময় দুঃখ করে বলে যে, তার বাচ্চারা সব বাইরে, এত বড় বাসা দিয়ে কি করবে? বরং ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের আর্মির মত সুযোগ সুবিধা কমিয়ে বেতন একটু বেশি দিলে মেয়েদেরকে হাতখরচ দেয়ার জন্য বাংকে ও. ডি. করতে হতনা। আর জাতিসংঘের মিশনকে যারা এখনও খুব সহজভাবে ডলার কামানোর উপায় মনে করছেন দয়া করে সাব্বির আহসানেরর লেখা The Peacekeeper বইটা পড়বেন। আমি শুধু এইটুকুই বলব যে আমরা অনেক ভাগ্যবতী যে আমাদের বাবা সোমালিয়ার মিশনে অস্ত্রহীন অবস্থায় এক ইঞ্চি গুলির ব্যবধানের জন্য লাশ হয়ে দেশে ফিরে আসেনি।
২৫শে ফেব্রুয়ারী আমার বাবার মত অফিসাররা যখন কুকুরের মত গুলি খেয়ে ড্রেন দিয়ে লাশ হয়ে ভেসে আসে আর আমার মায়ের বয়সী আন্টিরা ধর্ষিত ও লাশ হয়ে গাছে ঝুলে থাকে নিজের অজান্তেই সে জায়গায় আমার নিজের মা-বাবার ছবি কল্পনায় ভেসে উঠে, – আর অসহ্য এক কষ্ট হতে থাকে। বারবার মনে হয়, আমার বাবারওতো কর্নেল গুলজারের মত দু’সপ্তাহ আগে পিলখানায় পোস্টিং হতে পারত। দেশের উচ্চশিক্ষিত সুশীল সমাজের লোকেরা এই সুযোগে কফির কাপে চুমুক দিয়ে অফিসারদের সরকারী সুযোগ সুবিধা নিয়ে পরশ্রীকাতরতা প্রকাশ করে নেয়। Meanwhile, সরকার পিলখানার ক্রাইসিস মোকাবেলার জন্য একজন most অনভিজ্ঞ প্রতিনিধি পাঠায় যে গিয়ে খুনীদের মা হয়ে যায় আর আমাদের সবাইকে মিথ্যা আশ্বাস দেয় যে ‘সব’ অস্ত্র তিনি জমা নিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু অফিসার ও তাদের পরিবারের জন্য কোন মা যায় না এবং সেটা নিয়ে কার কোন মাথাব্যথাও দেখা দেয় না। মন্ত্রী নানক মাইক নিয়ে কিছু ভিত্তিহীন কথা প্রচার করে পরে চিকিৎসার উছিলায় সিঙ্গাপুরে চলে যান, বানিজ্য মন্ত্রী মিডিয়ার সামনে এসে আরো কিছু বেফাঁস কথা অপপ্রচার করতে থাকেন। অন্যদিকে জনগন ব্লগে ও মিডিয়ার কার পক্ষপাতিত্ব করবে সেই আলোচনায় মেতে উঠে। তারপর দেশ ও বিদেশ এই ক্রাইসিস ‘গণতান্ত্রিক’ উপায়ে মোকাবিলা করার জন্য সরকারকে বাহাবা দিতে থাকে। পত্র-পত্রিকায় বি. ডি.আর. -এর কলাম ক্রমশ ছোট হতে থাকে – ঘটনার দুই’মাসেরও বেশি হয়ে গেছে, এখনো তদন্তের কোন সুরাহা হয়নি। মধ্যে দিয়ে এই বিরাট ‘mess’-এর মাঝে ‘loser’ হলো আর্মি অফিসারের শহীদ পরিবারগুলা, যাদের স্থানের সাথে আমি নিজের স্থানের পার্থক্য দেখি শুধু বাবার একটা পোস্টিং-এর।
আমি আর্মি-শাসন সাপোর্ট করিনা। মিলিটারী নেতৃত্ব কত ভয়াবহ হতে পারে তা আমরা ভুক্তভগী পাহাড়ীরা জানি। বাংলাদেশ আর্মির সাপোর্টেই আমার নিজের প্রকৃত গ্রাম আজকে হিল ট্র্যাক্টসের ৮০ দশকের বহিরাগতদের দখলে, আর আমার গ্রামবাসী আর চৌদ্দগুষ্টি আজও গণকবরের নিচে। কিন্ত তারপরেও সানাউল্লাহ ভাইয়ের মত আমিও ওয়ান-ইলাভেনের চেয়ে ভালো কোনো বিকল্প না পেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেছি। কারন at least আর্মি যখন উত্তরবঙ্গে শীতের কাপড় দেয়, বন্যার্তদের রিলিফ দেয়, ভবন ধ্বসে পড়লে, আগুন লাগলে উদ্ধারকাজ চালায়, রাস্তা নির্মাণ করে – তখন কাজগুল সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়। ভোটারদের লিস্ট নিয়ে যতই সমালোচনা হোক, ভোটার হিসেবে ভোটের কার্যক্রম কমপক্ষে আমার আকাংখা পুরন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুদকের aggressive কর্মকান্ডে আমার মনে আশা জেগেছিল যে, হয়ত দিন বদলে যাচ্ছে, এরপর নিশ্চ্য় কিছু শিক্ষিত ও নৈতিক মানুষ রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। কিন্তু গনতন্ত্র আসতে না আসতেইতো ছাত্রনেতাদের সন্ত্রাস শুরু হয়ে গেল, গনপ্রতিনিধিরা গরীবের ভি. জি. এফ. কার্ড চুরি করতে ব্যস্ত হয়ে গেল, হাসিনা ম্যাডাম খালেদা ম্যাডামের বাসা ছিনিয়ে নেয়ায় ব্যস্ত হল আর সাংসদরা ব্যস্ত হল দু.দ.ক.-কে পঙ্গু করতে। বলা বাহুল্য বি. ডি. আর. হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচারের আশা আমি অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি। আর কতদিন রাজনীতিবিদেরা গরীবের রক্ত চুষে নিজের বিলাসিতা নিশ্চিত করার আর দেশটাকে পঙ্গু করার পায়তারা করবে? কবে দেশে ভালমানুষের জায়গা হবে? বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধরন দেখে গনতন্ত্র ও নৈতিকতার প্রতি আমার আস্থা দিনদিন ধুলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে। A Wednesday ছবির নাসিরুদ্দিন শাহ-এর মত আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে গুলি করে সব ক্ষমতালোভী স্বার্থপর অশিক্ষিত নেতার দলগুলোকে মেরে ফেলি, আমারতো এর চাইতে বেশি কিছু করার ক্ষমতা নেই।
আমিওতো উচ্চডিগ্রীধারী একজন ‘সফল’ মানুষ ও এই সুশীল সমাজেরই অংশ, কই কিছুই তো করতে পারলাম না, পারছিনা এবং পারার স্বপ্ন ক্রমশ হারিয়ে ফেলছি। কি লাভ হলো এত শিক্ষা নিয়ে? নিজের নিরাপত্তার কথা দূরে থাক, এদেশে আমার মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী ও ভবিষ্যত সন্তানাদিকে কিভাবে হয়রানি, ধর্ষন ও খুন না হওয়ার নিশ্চয়তা দিব, দয়া করে বলবেন কি? আমার বিপদে আমি এবং আমার পরিবারের পাশে তো কেউ থাকেনা, রাস্তায় একা বের হতেও বুকে ইভটিজিং, ছিনতাই, মানহানির ভয় নিয়ে বের হতে হয়। কিসের জন্য আমি এদেশে থাকব? কারও আশার বানীর প্রতি আমার আজকাল আর আস্থা হয়্না, কাউকে বিশ্বাস করতে পারিনা, বড়ই হতাশ লাগে।
আমার মনের অনেক কথাই বলে দিলে... :boss:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
trimita apu, thanks for all the comments......
আপু,
অসম্ভব ভালো গুছানো লেখা।
:boss: :boss:
আমার মনের অনেক অনেক কথা , যেগুলো আমি কখনও বলার মত করে গুছিয়ে ভাবতে পারিনি, তা এই লেখায় আমি খুঁজে পেলাম বলে মনে হলো...
আমারও এমনই লাগে সত্যি...
আশা করার মত কিছুই হয়নি । যেই লাউ সেই কদু অবস্হায় চলে গিয়েছি আবার ।
ত্রিমিতা আপু,
আমার আব্বু বনবিভাগের চাকরি করতেন দেখে আমার শৈশব কেটেছে পাহাড়ী এলাকায়।আর পাহাড়ের সহজ সরল মানুষগুলো ছিল আমার খেলার সাথী।সেখানে পাহাড়ী মানুষদের সাথে আমার স্বজাতির আচরণ দেখে নিজেকে মাঝে মাঝে বাঙ্গালি বলে পরিচয় দিতে লজ্জা হয়।আমার বাবা তার সাধ্যমত এই বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতেন বলে আমাদের পরিবারকে যথেষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে(যদিও যে অন্যায় আমরা পাহাড়ের মানুষদের সাথে করেছি তাতে এটা ন্যায্য পাওনা বলে যদি দাবী করেন তাহলে মাথা পেতে মেনে নিতে হবে)।এটুকু বলতে পারি আপু,আমার বাবা যেমন তাঁর সাধ্যমত পাহাড়ের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন,আমার যখন সময় আসবে আমিও ঠিক একই ভাবে দাঁড়াব বলে ঠিক করেছি।
হয়ত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল,কিন্তু আপনার লেখার কয়েক লাইনে পাহাড়ী মানুষদের বঞ্চনার কথা পড়ে এ মুহূর্তে এটাই মনে আসছে।আপাততঃ এখানেই শেষ করছি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আমি নিজে পাহাড়ে থাকার সু্যোগ খুব কম পেয়েছি। তুমি এবং তোমার বাবার মত মানুষ আছে বলেই এদেশে আমরা সবাই জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে মিলেমিশে টিকে আছি।
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
খুবি ভাল লাগল আপু :clap:
আপু, লেখাতে বর্তমান অরাজক অবস্থার উপর অনেক অনেক সত্যি কথা বলেছেন। এগুলো আমরা সবাই কম-বেশি জানি। কিন্তু মানতে চাই না।আপনার হতাশার ব্যাপারটা জাতি হিসেবে আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য। তারপরো তো একটা কথা থাকে, আমরা মানুশ, আশা নিয়েই বেঁচে থাকি। এতো এতো সমস্যা, তারপরও কেন জানি আশা ছাড়তে ইচ্ছা হয় না, স্বপ্ন দেখি, আমার জিবদ্দশায় এদেশের সমৃদ্ধি দেখে যাওয়ার। হয়তো পুরণ হবে, হয়তো হবে না, কিন্তু আশা করতে, স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নাই।
শেষ প্যারাটায় যা বললেন তা এখন পর্যন্ত আমার মধ্যে তেমন কাজ করে না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, আপনাদের মত সিনিয়র দের মুখে শুনলে ভয় লাগে, হয়তো ঐ বয়সে পৌঁছে আমিও এরকম কথা বলবো!!
সমস্যা কে যদি সম্ভাবনা মনে করা যায় তবে কিন্তু অনেক পজিটিভ কাজই করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
তোমার ইতিবাচক মনোভাবের কিছু অংশ আমাকে ভাগ দাও ভাইয়া, আমাকে pessimism রোগে ধরেছে।
দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ক্ষমতায় থাকার চেয়ে সামরিক শাসন ভাল.....যে যাই বলুক আমি এটাই বলব....
অবাক হলাম আপনার শেষ প্যারার লিখাগুলো পড়ে....... কারণ বিডিআর হত্যাকান্ডের ঘটনাটা ছাড়া আর কখনো আর্মি পরিবারের কেউ বিপদে পড়েছে ???? নিরাপত্তাহীনতা শব্দটা কি তাদের অভিধানে আছে ?? ? বাংলাদেশের কোন গুন্ডার সাহস আছে ভাই আর্মি অফিসার এমন কোন মেয়েকে টিজ করে ???? কোন ভূমিদস্যুর সাহস আছে আর্মি অফিসারের জমি বেদখল করার ???? কোনদিন বিদ্যুতহীনতায় থেকেছেন তারা ???? কোনদিন পানির কষ্ট পেয়েছেন ?????
উত্তর সম্ভবত একটাই: না ( অন্য কিছুও হতে পারে, আমার জানার বাইরে সেটা )
সুতরাং কেন আপনি হতাশ ???? অনেক অনেক ভাল আছেন আপনি.... হতাশার এই ব্যাপারগুলো আমাদের মত সাধারন মানুষদের জন্যেই রেখে দিন..... 🙂
সিউল,
তোমার প্রশ্নগুলো যুক্তিসঙ্গত কিন্তু শেষ লাইনে সেনা আর সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বিভেদ টানাটা একটু বেশি চোখে পড়ল।"নিরাপত্তাহীনতা" শব্দটা হয়তো ক্যান্টনমেন্টে বসবাসকারী সেনা পরিবারের সদস্যদের কাছে আমাদের চাইতে কম পরিচিত কিন্তু তাঁদের কাছে অনেক বেশি পরিচিত স্বজন হারানোর ভয়।সন্ত্রাসী বা ছিনতাইকারীর হাতে আমাদের আপনজন ক্ষতিগ্রস্ত বা নিহত হতে পারেন এই আকস্মিক ভয়টা আমাদের কাছে যতটা পরিচিত,তার চাইতে আফ্রিকার নরখাদক কিংবা jmb এর সুইসাইড স্কোয়াডের সাথে নিজের প্রিয়জন জেনে শুনে লড়াই করতে যাচ্ছে এটা জানার যে শীতল ভয় -সেটা কিন্তু তাঁরা অনেক বেশি অনুভব করেন।
আশা করি আমার বক্তব্য বুঝাতে পেরেছি।
সিউল, তোমার কথাগুলো সত্য, নিরাপত্তা, নাগরিক সুযোগ সুবিধা এগুলো সেনাবাহিনীর লোকেরা উপভোগ করে, তবে সত্যি কথা বলতে গেলে শুধু এগুলোর কথা ভেবেই আমরা সান্ত্বনা পেতাম, হতাশাবাদিদের সান্ত্বনা দিতাম, আমার ভবিষ্যত লাইফ পার্টনারকে সান্ত্বনা দিতাম কারন এছাড়া আমাদের সেরকম কিছুই প্রাপ্তি নেই, আমাদের প্রাত্যহিক ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের যতটুকু আমরা ব্যয় করি তার বিনিময়ে আমরা কি পাই তা বিস্তারিত না বলাই ভাল, ত্রিমিতা কিছুটা তুলে ধরেছে। আর এখন যখন সেই নিরাপত্তাই প্রশ্নের মুখে তখন আমাদের আর তেমন কিছুই থাকে না। আর বর্তমান তথ্য হল, বর্তমানের বিদ্যুত সংকটে প্রথমবারের মত ক্যান্টনমেন্টও লোডশেডিং এর আওতায় এসেছে, সেটা দিনে ৪/৫ ঘন্টাও গিয়ে পৌছেছিল। আর অনেক কিছুই মাথায় এসেছিল কিন্তু হতাশার কথা বলতে থাকলে হতাশা বাড়তেই থাকবে... তো এই বেশ ভালো আছি কি বলো?
(একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনা)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাইয়া সেরকম প্রাপ্তি নেই বলতে কি বলতে চাইলেন বুঝিনি...... ধরে নিলাম সাইফ ভাইয়ার লিখায় যে পয়েন্টগুলো এসেছিল ( লিংকটা মনে নেই তবে বিডিআর হত্যাকান্ডের সময় লিখেছিলেন মনে আছে ) সেই পয়েন্টগুলো মিন করলেন........
কিন্তু ভাইয়া এগুলো সৎভাবে থাকা যেকোন পরিবারের জন্যেই কি সত্য নয় ??? আমার বাপ-মা সরকারী ব্যাংকের ব্যাংকার হওয়াতে তাদের খুব কমদিনই দেখতাম সন্ধ্যা ৭টার আগে বাসায় আসছে যদিও অফিস টাইম ৫টা পর্যন্ত...... মামনি / বাপী অফিসে ১২টায় যান না, ঠিকই ৯টার সময় যান এবং ৫মিনিট দেরী হলে আজও লাল কালি খান.......ওভারটাইম আপনারা যেমন করেন , সরকারী অফিসেও করতে হয়.......
আবার আপনারা যেরকম সন্ধ্যার পর কিংবা বিশেষ মুহুর্তে পরিবারের সংস্পর্শে আসেন/আসতে চান, একই কথা কি আমার জন্যেও প্রযোজ্য নয়??? কিন্তু সত্যিটা হল আপনারা আপনাদের পরিবারকে যতটা সময় দিতে পারেন, আমার পরিবার তার কাছাকাছি পরিমানেই সময় দেয়....
আরও অনেক লিখা যাবে যা প্রমাণ করবে আর্মি লাইফ আর সিভিল লাইফ মোটামুটি একই (এমনকি আর্থিক সুবিধার ব্যাপারটা পর্যন্ত একই বলা যায় ).... আমি যেটা বলব তা হল: ছা-পোষা এই জীবন যদি বলেন সেটা আপনাদেরও , আমাদেরও.......... কোনই পার্থক্য নাই......
আমি শুধু ফোকাস করেছি এই পয়েন্টে যে: আর্মিদের একটা সুবিধা তা হল তাদের জীবনে সিকিউরিটি বেশী....... এটা আর্মি পার্সনরা সরাসরি বুঝবে না, বুঝবে তাদের চারপাশের মানুষগুলো.... ( হয়তোবা সেটা নদীর এপাড়ে আছি জন্যে মনে হয়েছে..... )
আমার কমেন্টে মাইন্ড করে থাকলে আমি স্যরি.......
দেখ সিউল, তুমি কোন খান থেকে এই কথাগুলো বলছো আমি বুঝতে পারি সেগুলো। আমার চোদ্দগুষ্টিতে আর্মি নাই। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে, তুমি যদি মনে করো আর্মি বেশি সুযোগ সুবিধা পায়, তাহলে তুমি আর্মিতে গেলে না কেন? আমার নিজের বিশ্বাস, এক্সপার্টিজের একটা দাম আছে। আর্মিরা এক্সপার্ট, সেই কথা নিশ্চয়ই তোমাকে বলে দিতে হবে না। আর্মির দরজা তো সবার জন্যই খোলা। তুমি আর্মিতে না গিয়ে বাইরের ক্যারিয়ার বেছে নিয়েছো, তোমার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে, তখন তো তুমি জানতেই যে তুমি কি পাবে আর কি পাবে না। এই অনুযোগ-অভিযোগ করে লাভ আছে কোন?
@আকাশঃ তোরা সুযোগ সুবিধা কেন বেশি পাস এই কথা তোর জাস্টিফাই করার দরকার আছে বলে মনে করি না। অন্তত এই ব্লগে।
একটা একটা করে উত্তর দেই:
১) আর্মিতে যাইনি কারণ আমি আর্মি লাইফ পছন্দ করিনা.... আর পছন্দ করলেও যেতে পারতাম না কারণ যেসকল ক্রাইটেরিয়া থাকে আর্মি পার্সনের তা আমার নাই প্লাস আমার ফিজিকাল স্ট্রেংন্থ জিরোর কাছাকাছি.... তাই ২২ মাস পরে (যখন সব জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা শেষ) বিএমএ থেকে বের হয়ে যদি আসতে হত তাহলে সেটা খুব খারাপ হত.....
২) আমি এখানে কোন অভিযোগ, অনুযোগ করিনি...... শুধু এমন কিছু পয়েন্ট ফোকাস করেছি যেগুলো একজন আর্মি হওয়ার কারণে তার পরিবাররা বাই ডিফল্ট সুবিধা পেয়ে যান.....
আর্মিকে নিয়ে এজন্যে কিছু বলতে ইচ্ছা করেনা....... একটা কারণ ভয় পাই তাদের অন্যটা হল ঠিকমত এক্সপ্রেস করতে পারিনা কি বলছি.....
@ তৌফিক ভাইয়া
ধন্যবাদ উত্তর দেয়ার জন্য। তোমার কথাতে আমার কোন আপত্তি নাই, শুধু কিছুটা জুড়ে দেয়ার আছে। তুমি বাইরের কাজে এমন কিছু সুবিধা পাবে যা ওরা পাবে না। ওরাও তো এমন বলতে পারে। আমার আর্মি বন্ধুদের এবং বাইরের বন্ধুদের মধ্যে বিচার করলে বাইরের বন্ধুরা টাকা অনেক বেশি কামাই করে এবং তাদের ১০-৫ টা অফিস করলেই হয়। ২৪ ঘন্টা স্ট্যান্ডবাই অথবা দুই তিন ঈদের বাড়ি না আসার মতো ঝামেলা পোহাতে হয় না। সবকিছুরই ভালো এবং মন্দ দিক আছে। নদীর এপার থেকে ওপার দেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লে এটাও মনে রেখো ওপারও ঠিক একই রকম দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
ত্রিমিতা অবশ্য বলেই দিয়েছে। আবার বলি। তিনবেলা পেট পুরে খাই, আমার দিকে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ আঙুল তুলে প্রশ্ন করতে পারে, এতো সুবিধা কিভাবে পেলাম।
আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
ভাইয়া ব্যাপারটা অনেকটা এরকম:
২+৯-৫+৪-৩+৮ = ১৫ আবার
১০+৫ = ১৫ ....... ( ২টি আলাদা সমীকরন কিন্তু উত্তর একই)
সবার লাইফকে যদি চুলচেরাভাবে দেখা হয় তাহলে দেখা যাবে সবারই লাইফে পাওয়া-না পাওয়া সমান কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে অসমতা বিরাজ করে........ ( উপরে ৬টি সংখ্যা দিয়ে ১৫ আর ২টি সংখ্যা দিয়ে ১৫ হয়েছে যেমন )
সারাংশ আপনি যা বললেন সেটাই : "নদীর এপার থেকে ওপার দেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লে এটাও মনে রেখো ওপারও ঠিক একই রকম দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে"
তৌফিক, আমি মনে হয় সুযোগ সুবিধা জাস্টিফাই করতে চাইনি, আমি বলতে চেয়েছিলাম যে সুযোগ সুবিধাই আমাদের একমাত্র প্রাপ্তি ছিল সেটা নিয়েই এখন যখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তখন হতাশ হবার কারন আছে সেটাই বলতে চাচ্ছিলাম। আর কিছু নয়।
সিউল, আমিও বলেছি যে আর্মি লাইফে নিরাপত্তা বেশি, কিন্তু বিডিআর ঘটনার পরে সবার মনে বিশেষ করে পরিবারদের মনে স্থায়ি ভাবে একটি ভয় ঢুকে গিয়েছে, সেটাই বলছিলাম।
পুরো দেশকে নিয়ে লেখা ত্রিমিতার এই লেখায় আমার কারনে মনে আর্মি বনাম সিভিল একটা বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে, যার কারনে আমি সত্যি দুঃখিত, আশা করব এর অবসান হবে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ব্যাপার না দোস্ত, আমরা আমরাই তো। 🙂
হুম আমরা আমরাই তো :hug:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাইয়া বিনয়ী হয়ে নিজেকে দোষী বলবেন না প্লিজ....... বিতর্কের সূচনাটা আমার কমেন্ট থেকে......
আর্মি নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, হয়তোবা ভবিষ্যতেও হবে কিন্তু সেটা কোথায় হয়না /?? ক্লাসরুমে কি হয়না ??? চাকরীর বাজারে কি হয়না /??? হল লাইফে কি হয়না ??? এগুলো লাইফের অংশ....
ভাল থাকবেন........
আরে আমরা আমরাই তো...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাইয়া বুঝতে পারছি কি বলতিছেন..........
আমি কিন্তু বলিনি তাদের পরিবারের সদস্যরা পুরোপুরি নিঃসংশয়ভাবে জীবন কাটান.......সবচেয়ে নিচু মানসিকতায় এমনটা ভাবা সম্ভব কারণ দেশ থেকে ১০০০০ মাইল দূরে যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থানরত একজনের জন্যে তার পরিবার অবশ্য অবশ্যই শংকিত থাকবে.....যে এমনটা মনে করেনা তাকে ডাক্তার দেখানো উচিত...
আমি বলেছি তারা অনেক ভাল থাকেন কারণ দেশে সোশাল সিকিউরিটির প্রবলেমগুলোর ভিকিটিম আর্মিরা অত একটা হবেনা যতটা বাকিরা হই.....
@ মাসরুফ ভাইয়া
:)) :)) :)) :))
দেখো ভাই, আমাদের সোশ্যাল সিকিউরিটির প্রব্লেমগুলো তৈরী করছে আমাদেরই মামা খালুরা বা বড় ভাই ছোট ভাইয়েরা। আমরা চোখ বন্ধ করে আছি বা দেখেও না দেখার ভান করছি দেখেই আমরাই ভুগছি।
আর অফিসারের না হয় উর্দি আছে, কিন্তু তার কাছের আত্মীয় স্বজনদের তো তা নেই। রাস্তাতে নামলে তারা আর আমার মধ্যে কি আর পার্থক্য করা যাবে ? অধিকাংশ সোশ্যাল প্রব্লেমগুলো আমরা সবাই সমান ভাবেই ভোগ করি, তাই না ??
ভাইয়া, তুমি কি বলতে চাচ্ছ আমি আপেক্ষিকভাবে কষ্ট কম পেয়েছি বলে আমার হতাশ হবার অধিকার নেই? আমি কি এখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করবো - তুমি উত্তরবংগের মংগার কষ্ট পেয়েছ কিনা- বন্যায় সর্বস্ব হারিয়েছ কিনা -তোমার জন্মগত লিংগের ও জাতের জন্য তোমার দিকে কেউ কুৎসিত মন্তব্য ছুড়েছে কিনা - অথবা ভিড়ের মাঝে তোমাকে কেউ যৌন-হয়রানি করেছে কিনা?
ভাইয়া তোমার এই কথাটা পড়ে কষ্ট পেলাম। আমি মনে করি একজন আর্মি অফিসার প্রথমে একজন সাধারন মানুষ এবং তারপর একজন অফিসার। আমার বাবা আর্মিতে বলে তুমি আমাকে না চিনেই আমাদের মাঝে একটা বিভেদ তৈরি করে নিলা। আর্মিকে generalise করে একজন individual-কে আক্রমন করলা।
(FYI আর্মি পরিবারদের আর্মির বাইরেও অন্য দুনিয়া থাকে, আমার নানীবাড়ি বা শ্বশুরবাড়ির কেউই আর্মিতে না, পানি-বিদ্যুতের কষ্ট না বোঝার কোন কারন নাই। আর এখন যে সংকট, আব্বুর বাসায়ও একঘন্টা অন্তর লোডশেডিং হচ্ছে।)
well said, couldn't agree more.
আমি কি এখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করবো - তুমি উত্তরবংগের মংগার কষ্ট পেয়েছ কিনা- বন্যায় সর্বস্ব হারিয়েছ কিনা -তোমার জন্মগত লিংগের ও জাতের জন্য তোমার দিকে কেউ কুৎসিত মন্তব্য ছুড়েছে কিনা - অথবা ভিড়ের মাঝে তোমাকে কেউ যৌন-হয়রানি করেছে কিনা
** আপু আমার বাড়ী রংপুরে ( মঙ্গাপীড়িত অঞ্চল)........ আমি সেটার ভিকটিম না কারণ সেটার ভিকটিম যেইসব ফ্যামিলি তারা সবাই কর্মহীন.....
** বন্যাতে সর্বস্ব হারাইনি.......
ভিড়ে আমার সাথে এমন ঘটনা হয়নি তবে দুঃখজনক হলেও সত্য --> আমার এক বান্ধবীকে আমি এটা হওয়ার জন্য কাঁদতে দেখেছি......
এখানে আপনি একটা জিনিস মিস করে গেলেন.......... আর্মি পার্সনদের লাইফে এই ঘটনাগুলো কখনোই হবেনা কিন্তু যারা আর্মি পরিবারের না তাদের জন্যে এগুলো হতেই পারে...... আমার পয়েন্ট ছিল এটাই..... আপনাদের লাইফ সিকিউরড অনেক....
এবার আর কি বলি.......... কেন মনে করলেন আমি একজনকে আক্রমন করব সেটা বুঝলাম না.......... আপনাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছি তা ঠিক কিন্তু সেটা শুধুই আপনার হতাশার বিপরীতে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরতে....... কাউকেই হতাশ দেখতে ভাল লাগেনা সেই কারণে লিখা......
আপনার বাবা আর্মিতে বলেই কথাগুলো বলিনি, আমি জেনারালাইজ করেই বলেছিলাম কিন্তু সম্বোধন করেছিলাম আপনার মাধ্যমে....
তিক্ততা বাড়ছে........... আপনি প্লিজ আমার কমেন্ট ও সেইটার রিলেটেড কমেন্টগুলো ডিলিট করে দিন এবং কিছু মনে করলে স্যরি........ আমি আর কমেন্ট করব না....
@ ত্রিমিতা আপু......
@সিউল।
কোন তিক্ততা বাড়েনি। আর বাড়লে বাড়ুক, এইসব কথা বলা উচিত এবং যতক্ষন তোমার পয়েন্ট থাকবে তুমি যত ইচ্ছা কমেন্ট করবে।
যাইহোক, কিছু confusion দুর করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই আর্মির নিরাপত্তা অন্যদের চেয়ে বেশি, সেই পয়েন্টটা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। আমার নিরাপত্তাহীনতাবোধ আসলে বি. ডি. আর.-এর ঘটনার পরেই বেশি বেড়েছে - কারন সমাজের সবচেয়ে নিরাপদ প্রতিষ্ঠানেও এখন আর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই।
দেখো ভাই, আমার বস যদি আমাকে বলে, তোমাকে আফগানিস্তানে যেতে হবে, সেখানকার অপারেটরকে সাপোর্ট দেবার জন্য ...... আমি সোজা বলে দিতে পারি, আমি পারবো না, আমার ফ্যামিলি আছে, আপনি ওইখানে যাবার জন্যে অন্য লোক দেখেন। এই ক্ষেত্রে আমার বস কিছুই করতে পারবেনা।
কিন্তু একজন সেনা অফিসারকে যদি বলা হয়, সীমান্তে যুদ্ধ চলছে, যেতে হবে ......... তাকে সেখানে যেতে হবে। সে যুদ্ধে মারা গেলে তার বউ-বাচ্চা, বাবা-মা, ভাই-বোনের কি হবে, সেটা ভাবার তার কোনো অপশন নেই। মজার ব্যাপার হলো, সে যুদ্ধে করবে, যেন তোমার আমার গায়ে সরাসরি সেটার আঁচ না লাগে। আরও মজার ব্যাপার সে যদি যুদ্ধে মারা যায়, বছরে দুচার দিন বাদে আমরা বাকিরা তার কথা মনে করবনা, তার আত্মীয়-স্বজন খোঁজ নেয়া তো অনেক দুরের কথা।
আশা করি আমি কি বোঝাতে চেয়েছি বুঝতে পেরেছো।
@ সিউল
একটা জিনিস বুঝতে হবে তোমাকে, একজন লোক যখন আর্মিতে বা ডিফেন্সে চাকুরীর জন্য ডুকে সে আসলে ২৪ ঘন্টাই "অন জব"। তার ঘুম, সংসার, অফিস, বিকালে খেলা, রাতের পার্টি, বা সবই বলতে গেলে "অন ডিউটি"। বসের কর্ন্সানে করতে হয়। যে কোন সময় তার বস তাকে ডেকে বসতে পারেন। এটার প্রয়োজনের জন্যই ডিফেন্সে চাকুরীরতরা কিছুটা সুবিধা ভোগ করেন, তবে এটা যত না তাদের নিজেদের প্রয়োজনে তার চেয়ে বেশি সরকারের প্রয়োজনে।
আমরা যারা বে-সরকারী চাকুরী করছি তাদের ৮ ঘন্টার উপরে গেলে ওভার-টাইম পাওয়ার কথা, যদি কোন কোম্পানী তা না দেয়, সেটা কোম্পানীর অপরাধ। ৮ ঘন্টা চাকুরীর পর আমার অন্য সময়গুলোতে বস আমাকে কিছু করতে বললে আমি গাটস নিয়ে "নো" বলতে পারি (বাংলাদেশে বেকার সমস্যা বেশি জন্য এটা হয়ে ঊঠে না হয়ত অনেকের) কিন্তু আর্মিতে এটা কেউ বলতে যাতে না পারে, অন্য অসুবিধা দেখাতে না পারে এইজন্য তাদের পরিবারিক জীবনটাও একটা ফ্রেমে ফেলে দেয়া হয়। এটা সরকারী দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। আর তাই তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সরকার কে দায়ী করাই যায়।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর এ সময়ের বিতর্কের বিষয়গুলো লক্ষ্য করলেই দেশ ও জনগনের জন্য তাদের চিন্তাধারার পরিচয় পাওয়া যায়, সংসদে আসন বিন্যাস, বাড়ি বরাদ্দ বাতিল, এখন মনে হয় শুরু হতে যাচ্ছে ৫ম সংশোধনী নিয়ে...
কিন্তু আলোচনা হচ্ছে না ভয়াবহ বিদ্যুত ও পানি সংকট নিয়ে, বিদেশে শ্রমিকদের চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরা নিয়ে, কৃষকদের ধানের উপযুক্ত মূল্য প্রদান নিয়ে...
এর মধ্যে অবশ্য তারা শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানিসহ আরো কিছু ওয়েলফেয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বদলীয় ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে...
আর বিডিআর হত্যাকান্ড, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মূলাতো আমাদের সামনে ঝুলানো আছেই...
তবে এরকমই হবার কথা ছিল, আমরাই হয়তো বোকার মত অন্য কিছু প্রতাশ্যা করছিলাম
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অসাধারন লেখা ত্রিমিতা ...... :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
ত্রিমিতা, লেখাটা পড়লাম এবং ভাবলাম। পাহাড়ীদের উপর অত্যাচারের কথা আমি আসলেই কম জানি। এ বিষয়ে আরো লিখবে এই অনুরোধটুকু করে গেলাম।
ইনশাল্লাহ লিখব। শোনা কথা লিখতে চাইনা। সময় নিয়ে রেফারেন্সসহ ভালভাবে লিখতে চাই।
আসলেই। তবে চোখকান খোলা রাখলে কিছু কিছু ধারনা পাওয়া যায়। যেমন, প্রথমআলো'তে সঞ্জীব দ্রং এর কলাম 'দেশহীন মানুষের কথা', অথবা 'মাসিক মেঘবার্তা'য় কিছু কিছু পেপার। আর আর্মি-বন্ধুদের থেকে শোনা বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো ত আছেই।
২০০৩ সালে রাঙ্গামাটি গেছিলাম শিক্ষা সফরে। বোটে করে 'পেডা টিং টিং' থেকে ফেরার পথে হ্রদের এক স্থানে এসে নৌকার মাঝি পানির নিচে আঙ্গুল নির্দেশ করে দেখিয়েছিল যে, সেইখানে রাজবাড়ি ডুবে আছে :no: । সে বলেছিল খুব স্বাভাবিক ভাবেই, যেন বন্যা বা অন্যকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ঘটেছে ঘটনাটা। কিন্তু আসলে ত সেটা আমাদের- বাংলাদেশীদের- হাতে তৈরী। ক্ষমতার জোরে একটা বিশাল জনপদকে উচ্ছেদের জ্বলজ্যান্ত-বাস্তব উদাহরন।- সেই থেকে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের তাতপর্য আমার কাছে পরিষ্কার। তখনই জেনেছি, কখন একটা 'গোটা-জাতি' অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হয়।
আমার বোধে 'জাতীয়তাবাদ'-এর পতনের শুরু সেখান থেকেই। বাংলাদেশী হিসেবে তাই গর্ববোধের পাশাপাশি নিজেকে 'পাঞ্জাবী পাঞ্জাবী' লাগে। মনে মনে নিজের 'বাঙ্গালী মুখে' থু থু ছিটিয়েই ক্ষান্ত দেই। যেই পরিচয় (বাংলাদেশী) নিয়ে আমারই স্বগোত্রীয়রা এখনো প্রতিনিয়ত হত্যা-ধর্ষন-লুন্ঠন-উচ্ছেদ চালিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ে (এবং সমতলেও), সেই পরিচয়ের মধ্যে থেকেই তাই একই অপরাধের জন্য বিচার চাইতে আমার সংকোচ লাগে। যে এখনো খুন করেই চলেছে, তার কি কোন প্রকার খুনের বিচার চাইবার অধিকার আছে? যে এখনো ধর্ষন করেই চলেছে, তার কোন প্রকার ধর্ষনের বিচার চাইবার অধিকার আছে?
-আমি অবশ্যই সব অপরাধের শাস্তি চাই। কিন্তু সবার আগে চাই নিজে 'সেইসব' অপরাধ থেকে বিরত হতে। তারপরই কেবল অন্যদের 'সেইসব' অপরাধের বিচার চাইবো।
এসব আমার একান্তই ব্যক্তিগত কথা। মনটা খারাপ, আমার এক পাহাড়ী বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল বলে। ওর নাম ছিল 'মং কিউ যাই চাক' ঢাবি'তে একসাথে ছিলাম ৬ বছর। জানিনা এখন কেমন আছে......
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, সঞ্জীব দ্রং-এর কলাম পড়ি। মাসিক মেঘবার্তার কথা এই প্রথম শুনলাম। পাকিস্থান আমলে তো কর্ণফুলিতে বাধঁ দেয়া হয়, তাই না? তবে পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারও মনে হয় পাহাড়ীদের পৃথক জাতিসত্তাকে স্বীকার করেনি। শেখ মুজিব মনে হয় সরাসরি বলেছিলেন কোন এক পাহাড়ী নেতাকে, বাঙালি হয়ে যেতে (স্মৃতি থেকে নেয়া, ভুল হতে পারে)। যখন এই কথাটা পড়েছিলাম মানে বুঝিনি, এখন বুঝতে পারি। পাকিস্থানীদের সাথে আমাদের বিরোধের সূচনাই তো হয়েছিল আমাদের পৃথক জাতিসত্তাকে স্বীকার না করার কারণে। পরবর্তীতে এরশাদ বা জিয়া কেউই পরিস্থিতি ভালো করার জন্য কিছু করে নাই, কাইয়ূম ভাইয়ের দেয়া ডকু দেখে তাই মনে হল। আরো কিছু কট্টর রাজনৈতিক দল আছে, যারা পাহাড়ীরা দূরে থাক, জনসংখ্যার বড় অংশ অমুসলিমদেরই দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রাখতে চায়। এই রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু লোক আবার ইন্টারনেটে খুব সক্রিয়, গ্রুপ মেইল, ফেসবুক- সর্বত্র নিজেদের মতবাদ প্রচার করে বেড়াচ্ছে। ওদের সূত্র ধরে ইউটিউব একটা ভিডিও দেখেছিলাম, ঘেন্নায় গা রিরি করছে।
আপনিও লেখেন না এই ব্যাপারে। আমরা জাতি হিসাবে মডারেট ও উদারপন্থী- অন্তত আমার তাই ভাবতে ভালো লাগে, সাধারণ জনগণের কাছে এই কথাগুলো পৌঁছালে এক ভুল হয়ত আমরা বারবার করবো না।
এখনো সময় হয়নি। কারণ, এখন যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে 'আমাদের চলমান যুদ্ধাপরাধ' চাপা পড়ে গেছে। এখন এই ইস্যু তুললে আবার ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করার রিস্ক আছে। কাজেই, মনের দুঃখ মনেই রেখে দেই, আর মনে মনে পাহাড়ের অসহায় মানুষগুলোর কাছে ক্ষমা চাই। জাতীয়তাবাদের এই রমরমা সময়ে এছাড়া আর কিছুই করার নেই আসলে।
বাংলাদেশের সব নেতাই ওদের প্রতি একই রকম 'অবিচার' করে গেছেন। তথ্য-প্রমাণসহ উপস্থাপন করলে সেই ১৯৪৭-৭১ সময়কার একই প্রবণতা পাওয়া যায়। কাজেই, ব্যক্তিগত ভাবে আমি কোন শাসককেই দায়ী করি না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমার তো মনে হয়না বাংলাদেশের ইতহাসে কখনোই জাতীয়তাবাদের কোন রমরমা সময় ছিলো।
এই মুহুর্তে রেফারেন্স দিতে পারবনা, তবে আমরা পাহাড়ীরা কমবেশি সবাই এটা জানি। পাহাড়ীদের বাঙ্গালি হতে বলা আর বাঙ্গালিদের পাঞ্জাবি হতে বলার মধ্যে খুব বেশি তফাত আছে কি? জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশ আর্মি পাহাড়ীদের ঠিক সেভাবেই অত্যাচার করেছে যেভাবে পাক সেনাবাহিনী বাঙ্গালিদের অত্যাচার করেছিল।
পাক সেনাবাহিনী বাঙ্গালি নারীর পেটে পাঞ্জাবি জন্ম দিয়ে বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করে দেয়ার নিকৃষ্ট পরিকল্পনা করেছিল। একইভাবে পাহাড়ী নারীদেরকে আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষণ করে অন্তঃসত্তা অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হত। বাঙ্গালিদের প্রতি পাহাড়ীদের তীব্র ঘৃণা অকারনে আর একদিনে তৈ্রি হয়নি। শান্তি বাহিনী আর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কারনের মাঝে আমি বেশি পার্থক্য দেখিনা।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে আমরা মনে হয় ভাল শিক্ষাগুলো নিতে পারিনি। আমাদের জাতির নেতারা সাধারন মানুষের কষ্ট বোঝেনি। এইজন্যই মনে হয় আজকে আমাদের এই দশা।
(বিঃ দ্রঃ এই ইস্যু নিয়ে আমি বিস্তারিত লিখা নিয়ে ফিরে আসব।)
আপুরে, জয়ীরাই সবসময় ইতিহাস লিখে, তাই পরাজিতরা সবসময় ঘৃনাই পায়, আর জয়ীরা হয়ে যায় বীর যোদ্ধা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বাঙ্গালি পরিচয় দিতে নিজের প্রতি আবারো ঘৃণা হচ্ছে।কল্পনা চাকমার তো ১২ বছর ধরে খোঁজ নেই।
ত্রিমিতা,
নিচের লিঙ্কটা দেখো...২০০৮ এর ২০শে এপ্রিল 'সাজেক' ইউনিয়নে ৮টা গ্রাম পুড়ে যাবার ঘটনার উপর একটা রিপোর্ট...
http://www.meghbarta.org/nws/nw_main_p01b.php?bangla=1&issueId=6§ionId=14&articleId=551
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অপেক্ষায় থাকলাম, তখনই মন্তব্য করবো।
নৌকাডুবির কোন এক জাগায় রবীন্দ্রনাথের উক্তি মনে পড়লো, "যেই মেয়ে বউ অবস্থায় যত মার খায় শ্বাশুরী হয়ে মারেও তত বেশী।"
এই তথ্য তথ্যই তো? কথার কথা নয় নিশ্চয়। শুনে কেমন জানি একটু এক্জ্যাজুরেইশন মনে হলো, তাই জিজ্ঞেস করছি। এটা কি নিরপেক্ষ সুত্র সমর্থিত?
মাণবেন্দ্র নারায়ণ লারমা কে বলেছিল বঙ্গবন্ধু।
আমার আজু'র লেখা ব্লগ গুলা পরতে পারো
লিঙ্ক টা আস্ল না ক্যান x-( http://www.somewherinblog.net/sschakma
পোস্টের সাথে রিলেভেন্ট হবে কিনা বুঝতে পারছিনা, তবে পাহাড়ের ঘটনাবলী নিয়ে তানভীর মোকাম্মেলের এই ডক্যুমেন্টারিটি যারা দেখেননি দেখে নিতে পারেন।
কর্ণফুলীর কান্না
সিভিল এবং সামরিক দুই দলেরই কৃতকর্ম কিছুটা রিফ্লেক্ট করেছে এই ডক্যু। দুই তরফের রোষানলে পড়ে এটি ব্যান করা হয়। যেহেতু ব্যান জিনিস তাই দরকার পড়লে এডু স্যার কিংবা মডু স্যার এটি যেকোন মুহুর্তে মুছে দিবেন দয়া করে। তবে আমার মনে হয়েছে এটি দেখলে কিছুটা হলেও আমাদের ভাবাবে বিভিন্ন বিষয়ে।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আরে কিসের ব্যান, আমি দেশ বিদেশে গিয়া এইটার কপি বিলি করসি। ধন্যবাদ কাইয়ুম ভাইকে। ডক্যুমেন্টারিটি পুরান হলেও অসাধারন।
অনেক ধন্যবাদ কাইয়ূম ভাই। ৫ আর ৭ নম্বর পার্ট দেখতে পারি নাই। ভুল ধারণা ভাঙলো অনেক।
পাইছি সবগুলা। ধন্যবাদ।
:hug:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
HTML ট্যাগ উলটা পালটা করছে কেউ, ডাক্তার স্যার কই?
লেখার সাইজের এই অবস্থা কেন? পড়তে তো দূরবিন লাগব এখন।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি মনে হয় বুঝতে পারছি কি কারণে সব লিখার এই অবস্থা.......
লিখাগুলো ছোট হয়ে গেছে স্বপ্নচারী ভাইয়ার কমেন্ট থেকে...... ওটার উপরে আমার যেই কমেন্টটা আছে সেটা্য় আমি ২টা হাইফেন আর একটা > পর পর টাইপ করেছি যেটা এইচটিএমএল কমেন্টের জন্যে ব্যবহৃত হয়....ফলে এখানে কোন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ইগনোরড হয়ে যাচ্ছে.... এজন্যে মনেহয় ঝামেলাটা হচ্ছে......
কমেন্টটা এডিট / ডিলিট করে দিলেই ঠিক হয়ে যাবে.....
সবার কাছে এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্যে দুঃখিত.......
😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আজকে ব্যাপক ক্লান্ত। কোন কি- বোর্ড ধরার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু এই ব্লগে একটা মন্তব্যে করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
*
পাহাড়িদের নিয়ে আমার অনেক আগ্রহ। তাদের প্রতি অত্যাচার। জিয়াউর রহমান, এরশাদের সমতলের মানুষ ঢুকিয়ে পাহাড়িদের আরও উপরে উঠিয়ে দেবার পলিসি। তারপরে কয়েক দশক পার হওয়া। পরিস্থিতি খারাপ হতে হতে মর্মান্তিক হওয়া।
আমরা ভাষা আন্দোলন কেন করেছিলাম। কারণ পাকিস্তানিরা আমাদের ভাষার উপর, আমাদের সংস্কৃতি- স্বাতন্ত্রের উপর আঘাত করেছিল। আমরা গর্জে উঠেছিলাম। ঠিক সেই কাজটাই কি এখন আমরা পাহাড়িদের উপর করছিনা? করছি ...
সেনাবাহিনী পাহাড়ে কেন? অবশ্যই সমতলের মানুষদের নিরাপত্তা দেবার জন্য। আর গুদাম ঘর থেকে আগে থেকেই জমা করে রাখা অস্ত্র বের করে, বাজার থেকে দুই একজনকে ধরে খবরে কাগজে চালান করে দেওয়া। নিজের প্রমোশনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, আর বাইরের পৃথিবীকে জানানো পাহাড় ভালো না। ওখানে জুল্লু সর্দার থাকে। কেউ গেলেই কিডন্যাপ করা হবে। তবে আমি নিশ্চিত নই, আমাদের এইখানের আর্মি পারসনরা স্বীকার করবেন কিনা, তবে পাহাড়ের অনেক কিডন্যাপিং এর ঘটনাই আর্মির সাজানো নাটক।
তাহলে নাটক কেন করে তারা। কারণ বিদেশী এনজিওগুলোকে ভয় দেখানো। তাদের কাছে প্রমান করা যে, পাহাড় একটা গহীন জায়গা। কারণ পাহাড় সত্যিকার ভাবে যত বেশি সারা দুনিয়ার মানষের কাছে এক্সপোজড হবে, তত সেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, আর্মি ডমিনেশন কমবে। এবং অবশ্যই তারা সেটা চায়না।
আর হ্যা!! শান্তি চুক্তি। বড়ই তামাশাময় একটা জিনিস। আমার অনেকদিন ধরে একটা লেখা লেখার আগ্রহ ছিল। কিন্তু লেখা হয়নি। আপনার লেখা পড়ে মনে হলো। পরীক্ষার পর একদিন সময় করে লিখতে হবে এই তামাশা নিয়ে।
এই গেল আপনার ছোট্ট দুই লাইনের লেখা। বাকি লেখাটা অবশ্যই সুখ- পাঠ্য। যদিও শিরোনাম থেকেই আমি লেখার মূল সুরের সাথে একমত নই। যাই হোক আপু, মন্তব্যে আলোচনা অন্যদিকে ঘুরে গেছে। আসুন আমরা দুইটা কথা কই।
আমাদের দেশটা পঁচা জঘন্য। হাজার হাজার উদাহরণ দেখানো। এইগুলো বাদ দিয়ে আসেন আমরা চিন্তা করি, "দেশটাকে কিছু দেবার জন্য আমি কি করতে পারি" আজকে রাতে ভাবুন। আপনি অনেক পড়ালেখা করেছেন, দেশ বিদেশে ঘুরেছেন ভেবে বের করুন আপনার সামর্থ কি, দেশকে দেবার মতো। নিরাপত্তা এখন নাই, একদিন আসবে, অনেক কিছুই এখন নেই, একদিন আসবে। নাই ক্যান, নাই ক্যান বলে রব না তুলে আসুন আমরা ব্যক্তিগত ভাবে কিছু দেবার চেষ্টা করি।
সেটা খুব ক্ষুদ্র হতে পারে, কিন্তু একটা কিছু। এইভাবে একদিন সবাই জেগে উঠবে- একদিন বাংলাদেশ আসলেই গর্ব করার মতো একটা দেশ হয়ে যাবে।
কিছু না পাবার আশা করে কিছু দেবার মানসিকতা নিশ্চয়ই আমাদের আছে? না থাকলে, দেশটা বদলাবে ক্যামন করে বলুন।
আশা করি আমার কথায় মাইন্ড করবে না। হতাশাবাদি না হয়ে বরং আশাবাদি হলেই লাভ। 🙂
রায়হান , তোমার কমেন্ট মনে ধরছে তাই মোবাইল থেকে গুতা দিলাম ।কালকে ডিটেইলস মতামত দিব ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর আশার বানীর জন্য। তোমার মত মানুষই দরকার এখন।
মানসিকতা আর পরিকল্পনা দু'টাই আছে ভাইয়া। সমস্যা একটাই, অনৈতিক ব্যাপারগুলো - যেমন ধর ঘুষ দেওয়ার ব্যাপারটা মেনে নিতে পারিনা। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে গেলে দেশের মানুষই বাধা হয়ে দাঁড়ায় (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)। কিছু পাবার আশা নেই, আজকাল কৃতজ্ঞতাও আশা করিনা। কিন্তু কৃতঘ্নতা আর পরশ্রীকাতরতা আমাকে হতাশ করে। তাই মাঝে মাঝে স্বার্থপর চিন্তা হয়, কি দরকার এত হিরো হওয়ার? শ্রমিকদের মত আমিও বরং বিদেশে গিয়ে দেশে টাকা পাঠাই, সবাই বাহাবা দিক।
পাহাড়ী ইস্যুতে তোমার মতামত ও জ্ঞান দেখে ভাল লাগল। শান্তি চুক্তির তামাশার ঘটনা লিখে ফেলনা প্লিজ। আমিও সময় পাচ্ছিনা।
@রায়হান আবীর, তোমার কথা খুব ভালো লাগলো
:thumbup:
একটা লেখার লিংক দেই। আমার মাঝে মাঝে হতাশ লাগলে পড়ি। পড়ে দেখতে পারেন।
রায়হান তোকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটা শেয়ার করার জন্য । বি ডি আর এরে ঘটনার পর আমার মোরাল ম্যাংগো পিপলের চেয়েও নীচে ছিল । পোলাপান গুলা আসলেই ভস ।
কিংকংএর ওয়ান অব দ্য জট্টিল লেখা। :hatsoff:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তোমার পরীক্ষা শেষ হলে একটা খবর দিয়ো .........
ঠিকাছে ভাইয়া। একটেলের তেরো তলায় যাবার ব্যাপারে আমার একটা "ঘটনা" আছে। :shy: অনেক কাহিনী।
মজা পাইলাম লিখাটা পড়ে।
নিচের কথাগুলো মনে ধরসে।
রায়হান, লিঙ্কটা দেবার জন্য ধন্যবাদ
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ত্রিমিতা,
পুরোপুরি মনের কথা বলেছ। তবে আমি হতাশ নই এবং আমারও ইচ্ছা আছে দেশে ফেরত যাওয়ার। তবে দেশের বাইরে থেকেও দেশের জন্য অবদান রাখা যায়। আমার হিসেবে আমি হয়ত দেশ বদলে দিতে পারব না, তবে কিছু লোকের জীবনে কিছু অবদান রাখতে পারলেও অনেক। একটা গল্প বলি…
জোয়ারের সময় হাজার হাজার তারা মাছ সমূদ্রের পাড়ে এসে ভাটার সময় ফেরত না যেতে পেরে আটকে গেছে। বাকি সময়টা ডাঙ্গায় থেকে তারা নিশ্চিত মারা যাবে। একটা ছোট মেয়ে তাই সমূদ্রের পাড়ে পরে থাকা তারা মাছগুলোকে ধরে ধরে সমূদ্রে ছুঁড়ে মারছে। এটা দেখে এক লোক তার কাছে এসে বললেন,
“তুমি কি দেখতে পাচ্ছ এইখানে কত অসংখ্য তারা মাছ পরে আছে? কয়েকটা মাছ ফেরত পাঠিয়ে তুমি কি বা পরিবর্তন আনতে পারবা এদের অবস্থার?”
মেয়েটা তখন একটা মাছ হাতে তুলে নিল। লোকটার দিকে ঘুরে বলল,
‘আমি সবার জন্য হয়ত কিছু করতে পারব না, কিন্তু এই মাছটার জীবনে আমি বিরাট পরিবর্তন আনলাম’।
এই বলে সে জোরে মাছটাকে সমূদ্রের দিকে ছুঁড়ে মারল।
আমাদের সবাইকেও তাই অন্তত একটা করে তারা মাছকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিতে হবে। 🙂
ভাইয়া তাড়াতাড়ি দেশে আসেন, সবাই মিলে কিছু করি।
:boss: :boss:
চউক্ষে পানি চলি আসলোরে ভাই
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
@জাহিদ,
তোর Optimistic গল্পটা অনুপ্রানিত হওয়ার মত। :hatsoff: তুই নোয়াখাইল্যা হইলেও মাঝে মাঝে ভালো কথা বলিস। আমি ফ্রাউড পিল কইরতেছি। 🙂
মানে কি?
ই...রে... আই তোরে হিডি...
ত্রিমিতা কিছু মনে করো না আগে একটা ছোট্ট প্রশ্ন করি তোমার নামের মানে কি? নামটা শুনে খুব ভালো লাগল তাই জানতে চাইলাম।
তোমার লিখা পড়লাম আমি বুঝতে পারছি তোমার হতাশাটা অনেকটা। আমারও হতাশা জাগে বাংলাদেশের অবস্থা দেখে, কিন্তু আমি তোমার মতো অকপটে লিখতে পারি না। পারি না কারণ দেশটা কে বদলাতে আমি কিছুই সেইভাবে করছি না। আমি মুখে বলে গেলাম এই খারাপ ওই খারাপ কিন্তু তাকে তো বদলানো আমাদেরই দায়িত্ব। আমি জানি কাজটা অনেক কঠিন কিন্তু শুরু একদিন হবে...হয়তো না ...আর যদি না হয় তো আমার সাধ্য হলে আমি আমার মতো করে কিছু চেষ্টা করব দেশে ফিরে।
এখানে (শুধু এখানেই না বিশ্বের যেখানে বাঙ্গালী থাকুক সেখানে) বাঙ্গালীদের আড্ডার প্রিয় বিষয় দেশের গাল মন্দ করা আমি যখনই যেতাম আমি তাদের কে কি ভালো কাজ হচ্ছে তা বারবার তুলে ধরতাম(আজকাল যাওয়া বন্ধ করে দিছি আর এইসব ভাল লাগে না)। একবার একজনকে সোজাসুজি বলছিলাম আপনি এখানে ড্রয়িং রুমে বসে বাংলাদেশ নিয়ে এতো কিছু বলতেছেন কিন্তু আপনি নিজে কি করছেন বদলানোর জন্য? আমার কথা তার পছন্দ হয় নাই।
আমি আশাবাদী আলো আসবেই আর যদি নাও আসে আমি আমার মতো করে কিছু আলো যদি আনতে পারি তাই বা খারাপ কি।
প্রবাসের বেশির ভাগ আড্ডার এই অবস্হা ।
আমার নামটা আসলে অর্থ চিন্তা করে রাখা হয়নি। আমার বাবার সাইড আর আমার মায়ের সাইড থেকে দু'টা নামের অংশ মিক্স করে বানানো হয়েছে।ত্রিপুরা নামের ত্রি আর সুস্মিতা নামের মিতা নিয়ে হলো ত্রিমিতা - যার অর্থ দাড়ায় - সবার বন্ধু/মিত্র। (switzerlandএর মত আরকি। :D)
আসলে আমার হতাশাটা মূলতঃ নিজের সীমাবদ্ধতা নিয়ে - রাজনৈতিক অঙ্গনে
পরিবর্তন আনার কোন qualification আমার নাই। কারন মা-বাবারা আমাদের রাজনীতিতে অনুৎসাহিত করেন এবং ডাক্তারী-ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উৎসাহিত করেন। মজার ব্যাপার হলো, আজ পর্যন্ত ঘুষ খায় নাই এইরকম সরকারী ইঞ্জিনিয়ার খু্ব কম দেখসি।
খালেদা-হাসিনা আপার দল থেকে আমি কিছু আশাও করিনা, তাদের উপর হতাশও হইনা। তারা গালি খাওয়ার মত কাজ করেন, তাই গালাই এবং যত ইচ্ছা গালাব। কিছুটা আশা যদি থাকে - তা হলো দেশের সাধারন জনগোষ্ঠির থেকে।
কুল, কুল,
অবস্থার পরিবর্তন হবেই হবে, আমাদের সময় বেশি লাগছে, কারন আমরা হয়ত খুব দ্রুত চাচ্ছি। এক পা করে আগানোও কিন্তু আগানো। সমস্যা হচ্ছে আমরা এক পা এগিয়ে দেড় পা পিছাই। কোনক্রমে যদি পিছানোটা ঠেকানো যেত।
হতাশা আমারো আসে, কিন্তু আমি আশাবাদী মানুষ। আশায় বুক বাঁধি। বড়ভাইয়েরা, আত্মীয়, বন্ধু ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দেশে, নানা কিছু বলছে। কিন্তু আমি আছি অনেকটা "দেখি না কি করে" মানসিকতা নিয়ে।
আশা নিয়ে বসবাস
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমার ভাবনাও অনেকটা ফয়েজ ভাইয়ের মত। ভাবি,
পার্থক্য হল, আমি নিজে কিছু করতে পারব বলে মনে হয় না। কত বাংলাদেশী কত বস জায়গায় চলে গেছে, কত কিছু করছে। নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে ভাল কিছু একটা হবে। সেই আশায় থাকি।
হলে ভাল, না হলেও খারাপ না। কারণ বর্তমানটাও আমার খুব বেশী খারাপ লাগে না।
হ, কইছে তোরে
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাইয়া, নিজে সৎ থেকে যদি আমি-আপনি কিছু করতে পারি, আমার মনে হয় তাহলেও খুব একটা কম কিছু হবে না। আসলে আত্নন্নোয়ন না করে দেশের উন্নয়ন করা একটু জটিল (আমার ধারণা, কতটুকু সঠিক জানি না)।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হাল ছেড়ো না , বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে 🙂
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কিছু বলার তাগিদ অনুভব করলাম যগুলো না বললেই না। তার মধ্যে যেটা সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট সেটা হলো আমাদের মানসিকতা। আমরা সামাজিক জীব নেবার বেলায় অর্থাৎ যখন কোন প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকে তখন আমরা নির্দিষ্ট অঞ্চলের হয়ে যাই কিংবা সামাজিক জীব সেজে সমাজ থেকে গ্রহণ করি কিন্তু দেবার বেলায় পুরো পারিবারিক জীব হয়ে যাই। পরিবার আরো ছোট করে বললে আমার বাইরে আমাদের চিন্তা যায় না। এটাই সবচেয়ে ঝামেলার কথা। আমরা কী পেলাম না চিন্তা না করে কী পেলাম এটা ভাবা উচিত । যেমন আমি সবসময় ভাবি আমি দেশ থেকে সমাজ থেকে গ্রহণ করেছি ক্যাডেট কলেজে কিংবা বুয়েটে পড়ার সময়। অথচ আমি যখন আজ দেবার পর্যায়ে দাড়িয়েছি তখন সমাজকে কিছু দেই না দেই পরিবারকে।
সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাটুকু আমার আছে বলেই শত অসুবিধা লোডশেডিং জ্যাম দাড়িয়ে বাসে দুই দুই চার ঘন্টা গুলোকে নিয়তি মেনে হাসিমুখে মেনে নেই। অবস্থার পরিবর্তনে আমাদের সবার এই মোর্যাল অবলিগরশনটা থাকাই আমি যথেষ্ট বলে মনে করি। আরো অনেক জকিছুই বলার ছিলো কিন্তু বেশি কথা বলতে ভালো লাগে না।
আরে বল ব্যাটা । আমরা আমরাইতো ।
ত্রিমিতা এবং সবাই : আশার বসতি আমরা বালি দিয়ে বাঁধি। তাই বারবার ধ্বসে যায়। হতাশা গ্রাস করে। ডুবে যেতে যেতে আবার ভেসে উঠি। আবার ঘর বাঁধি। আবার আশা দেখি। এটা আমার অভিজ্ঞতা। আমি জানি আমাদের সবারই তাই। হতাশার বিপরীতে আশা আছে বলেই তো আমরা বেঁচে থাকি। এসবই পুরনো দর্শন। নতুন কিছু না।
এতোসব হতাশার মধ্যে যখন একজন ভালো মানুষ, একজন সৎ মানুষ, একজন লড়াকু মানুষকে দেখি, তখন মনে হয় এসব আমাদের দুঃখবিলাস! এইসব মানুষেরা আমাদের শক্তি যোগান। সামনে এগোনোর পথ দেখান।
পাহাড়, সাগর, নদী, মাটি তো আরো যন্ত্রণা সহ্য করে। কতো গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, অন্যায়-পাপের সাক্ষ্য হয়। তবু ওরা আমাদের মতো অকৃতজ্ঞদের ঠাঁই দেয়। আমরা নিজেদের বুকটাকে ওইরকম বিশাল করে ফেলি না কেন? চলো আমরা সাগর হই, পাহাড় হই। আমরা বারবার লড়াই করার শক্তি-সাহস সঞ্চয় করি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:thumbup: :thumbup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:boss: সানাউল্লাহ ভাই বস।
ঐ.. B-)
ত্রিমিতা আপু,"চল চল চল" টা বাদ গেছে 😛
আপু,
আমার কথাগুলু তোমার পছন্দ নাও হতে পারে, তবু কিছু বলার লোভ সামলাতে পারছিনা।
তুমি কি জানো, বাংলাদেশে একজন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসারের বেতন কত? আমার বাবা একজন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার, তার তো একটুকরা কেন এক বর্গফুট জমিও নাই, সরকার কোনদিন দিবেও না।
আমাদের দেশের না খাওয়া মানুষগুলুর দিকে তাকাও, তোমার কস্ট চলে যাবে।
তুমি যার কথা বলেছ তার বয়স কত জানো? খালেদা জিয়া যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স কত ছিল জানো? তাহলে তো একটা সময় পুরো বাংলাদেশই একজন অনভিজ্ঞ লোকের হাতে পরিচালিত হয়েছে।
আর বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা বলেছ। তিনি তো একজন আর্মি অফিসারই ছিলেন। আর আর্মি এটাক করলে ধানমন্ডির সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হতো, এইটাও ভাবতে হবে।
প্রথম আলো- এর থিমটার কথা মনে করো, নিজেকে বদলাতে হবে আগে।
নিজে বদলাও, রাজনীতি খারাপ কিংবা খারাপ মানুষ রাজনীতি করে এই ধারণা থেকে বের হওয়ার জন্য নিজে কিছু কর।
মানুষকে ব্লেম না দিয়ে দায়িত্ব নিয়ে নিজে চেষ্টা কর আমাদের দেশের মানুষের জন্য কিছু করা যায় নাকি।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ