আর কতো সূর্যসন্তানদের হারাবো আমরা?

শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধ চলছে, তামিল গেরিলা ও সরকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের খবর দৈনিক কাগজ ও টিভি মিডিয়াতে আসছে। তামিল গেরিলারা যারা স্বাধীন স্বায়ত্ব শাসনের জন্য প্রাণ দিচ্ছে তাদের ও হয়তো মৃত্যকালে একটা পরিতৃপ্তি থাকে, যে তারা একটা আদর্শের জন্য প্রাণ দিচ্ছে। আর যে শ্রীলংকান সেনাটির বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে বুলেটে তারও আত্মার পরিতৃপ্তি থাকে যে দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য সে নিজের জীবনের মায়া তুচ্ছ করে এগিয়ে এসেছে।
সাদা ফসফরাসে ‘জতুগৃহের’ মতো পুড়ে যাওয়া ঘরে নিজের দেহের মাংসপোড়া ঘ্রাণেও গাজার অধিবাসীরা স্বপ্ন দেখে এক শান্তির ভবিষ্যতের, যেখানে তার পরের প্রজন্ম হয়তো বেড়ে উঠবে ভুমধ্যসাগরের নির্মল বাতাসে।
কিন্তু ৩৮ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশে কি দেখেছি আমরা? ১৯৭১ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯, এই জীবদ্দশায় আমরা দেখেছি ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ৭ নভেম্বর, ৩০ এপ্রিল ১৯৮১,২০মে ১৯৯৬ এবং সবশেষ পিলখানার রক্তাক্ত অধ্যায়।
জেনারেল জিয়া, কর্নেল তাহের, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, ব্রিগেডিয়ার সাফায়াত জামিল, ব্রিগেডিয়ার রহিম, কর্নেল সালাম, সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট সিকান্দার, সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট সেলিম ও নাম না জানা আরো অনেক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে প্রাণ দিতে হয়েছে। না কোন বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশ কে বাঁচাতে নয়, অবিশ্বাস আর সঙ্ঘাতের রাজনীতির নির্মম শিকার হয়ে।
দেশের গৌরবজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার জন্য বীরত্বের সম্মান পাওয়া এই সূর্যসন্তানদের করুণ পরিণতি কি কারো কাম্য ছিলো?
৯৬ এর ২০ মে তারিখে তদকালীন সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল এ এস এম নাসিমের অভ্যুত্থান যদি বিনা রক্তপাতে সমাপ্ত না হোত তাহলে কি দেখতাম আমরা?
আর আজ যখন পিলখানা থেকে লাশ হয়ে বেরিয়ে আসছে জাতির সূর্যসন্তানেরা লজ্জ্বায় হেঁট হয়ে আসছে আমার মাথা, শিঊড়ে উঠছে আত্মা। এভাবে আর কতো সূর্যসন্তানদের হারাবো আমরা?

১,৮১১ বার দেখা হয়েছে

১১ টি মন্তব্য : “আর কতো সূর্যসন্তানদের হারাবো আমরা?”

  1. জেনারেল জিয়া, কর্নেল তাহের, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, ব্রিগেডিয়ার সাফায়াত জামিল, ব্রিগেডিয়ার রহিম, কর্নেল সালাম, সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট সিকান্দার, সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট সেলিম ও নাম না জানা আরো অনেক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে প্রাণ দিতে হয়েছে। না কোন বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশ কে বাঁচাতে নয়, অবিশ্বাস আর সঙ্ঘাতের রাজনীতির নির্মম শিকার হয়ে।

    হাসাইলেন ভাই!!! এর পেছনে রাজনীতি ছিলো ঠিক-ই, তবে তা সামরীক বাহিনী-র অভ্যন্তরীণ রাজনীতি...nothing else..

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।