মাসরুফ ভাই এর রিসেন্ট পোস্টে সেনাবাহিনীর ভুমিকা নিয়ে কিছু মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই পোস্টের অবতারনা। আলাদা পোস্টের কারন আমি এই সম্পর্কে আলোচনা এবং ভিন্ন মত শুনতে আগ্রহী।
শুরু করা যাকা রবীন্দ্রনাথের একটি প্রবন্ধ দিয়ে। প্রবন্ধটির নাম ভুলে গেছি। তার কালান্তর গ্রন্থে প্রবন্ধটি সংকলিত আছে। তৎকালীন রুশ বিপ্লব কে সামনে রেখে তিনি ঐতিহাসিক সমাজবাস্তবতার কিছু বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। তার আলোচনার সাড়বস্তু ছিল ইউরোপ তথা বিশ্বের সমাজ বিবর্তনের ইতিহাসে ধর্মীয় সংস্থাগুলো প্রাথমিক অবস্থায় রাজনৈতিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ছিল। ক্যাথলিক চার্চের অসীম ক্ষমতার উদাহরন মধ্যযুগে বারবার পাওয়া গেছে। সেনাবাহিনী সবসময়ই রাজার অধীনে থাকত। ক্যাথলিক চার্চ বা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠআনের প্রধান পুজি ছিল সাধারন জনতার আবেগ এবং ঐশ্বরিক বিষয়ে অথোরিটি। তবে ক্যাথলিক চার্চের সাথে একধরনের ঠান্ডা যুদ্ধ সর্বদাই থাকত রাজতন্ত্রের সাথে। তবে জনগনকে শাসন শোষণনের ক্ষেত্রে দুই প্রতিষ্ঠান ট্রেড অফ করত। একদিকে যেভাবে সেনাবাহিনীর কতৃত্ব ধারী রাজতন্ত্র ক্যাথলিক চার্চের সম্পদ ইত্যাদির যোগান দিত অন্যদিকে চার্চ প্রচার করত রাজা হচ্ছে ঐশ্বরিক প্রতিনিধি। তবে বিভিন্ন সময়ে নিয়ন্ত্রন প্রশ্নে এই দুই প্রতিষ্ঠান মুখোমুখি অবস্থানেও দাড়াত। এই বিষয়টি নিয়ে আরও বিশ্লেষণী কিছু মন্তব্য করেছেন বার্ট্রান্ড রাসেল তার পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস বইতে। আধুনিক চেতনার শুরু কিণ্তু হয় এই উভয় প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদের মাধ্যমে। একদিকে মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে ক্যাথলিক চার্চের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব অস্বীকার করা হয়। পাশাপাশি ঐশ্বরিক প্রতিনিধি রাজাকেও টেনে নামানো হয় সাধারনের কাতারে। এই প্রক্রীয়ায় রাষ্ট্র যন্ত্র থেকে আলাদা করা হয় রাজা এবং তার সেনাবাহিনীকে।
আধুনিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র্বে তাই সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে শান্তকালীন কোন সম্পৃক্ততা নেই। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাও সেনাবাহিনীর কাজ নয়। সেজন্যে সকল দেশই মেইনটেইন করে পুলিশ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গুলোকে। শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনী হয় বিলুপ্ত অথবা অকার্যকর থাকাটাই গণতন্ত্রের রীতি এবং মুলবস্তু। পেশী শক্তিকে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারনে অস্বীকার করাটা শিল্পবিপ্লবের অন্যতম শিক্ষা। সুতরাং রাষ্ট্রের অভ্যব্ন্তরীন বিষয়ে শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর কোন হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।
দীর্ঘসময় অন্যরাষ্ট্রের অধীনে থাকা তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে গণতন্ত্রের দুর্বলতার সুযোগে এর নিয়মিত ব্যত্যয় ঘটতে দেখা যায়। এসকল দেশে ক্যু একটি নিয়মিত ঘটনা যা ঐ দেশের গণতন্ত্রের দুর্বলতা প্রকাশ করে। আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশে সেবাভাহিনীর কোন রাজনৈতিক প্রভাব থাকা উচিত নয়। যদিও আমাদের দেশে বিকৃত গণতন্ত্রে তার কোন অভাব হয় না। সামরিক অফিসাররা রাজনীতিতে অত্যন্ত আগ্রহী হন। এবং সরকার গুলোকেও সামরিক বাহিনীর সাথে একটি পাওয়ার স্ট্রাগলে লিপ্ত থাকতে দেখা যায়। সকল সরকারেরই প্রবণতা দেখা যায় সেনাবাহিনীকে খুশি রাখার। আশির দশক থেকে সামরিক বাজেটের যে আকাশচুম্বী বৃদ্ধি ঘটেছে তা অনেকটা এই সত্যকেই প্রতিনিধিত্ব করে। আমার সঠিক পরিসংখ্যানটি মনে নেই তবে বৃদ্ধির পরিমান একশো শতাংশের অনেক উপরে। অথচ বাংলাদেশ এখন শান্তিকালীন অবস্থা চলছে। সেই সাথে রাষ্ট্রের অন্যান্য নীতিনির্ধারণেও সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং সরকারের সামরিক বাহিনীর কাছে দ্বারস্থ হওয়া দুইটি ই গণতন্ত্রের জন্যে ক্ষতিকর এবং তার প্রগতির নয় বরং মধ্যযুগের নিশানা বহন করে। সুতরাং শান্তিকালীন সময়ে গণতন্ত্রের প্রয়োজনেই সেনাবাহিনীকে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করা উচিত যদি।
এইখানে অনেকেই সামরিক ব্যাকগ্রাউন্ডে। আশাকরি কেউ বিষয়টিকে ব্যাক্তিগত ভাবে না নিয়ে নির্মোহ ভাবে চিন্তা করবেন।
উচিত কাজ সবসময় করা হয়না । কেন করা হচ্ছেনা সেটা নিয়ে কথা বলতা মিয়া । এখন অফিসে আছি, পরে মাথায় কিছু আসলে নিজের ধারনা বলে যাব নে (ক.র. আমিন)
সুযোগ পেলে যে কেউই মোটামুটি তার অপব্যবহার করে-তাই আলাদা করে সেনাবাহিনীকে ঠিক দায়ী করা যায়না বলেই আমি মনে করি(এখানে অবশ্য সেরকম কিছু বলাও হয়নি)।আমার মনে হয় এটা একটা দুষ্টচক্রের মত-একদিকে রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য কিন্তু পদলেহী লোকদের উচ্চপদে নিয়োগ দিয়ে মোটামুটি সব কয়টা প্রশাসনের ভেতরে হতাশা সৃষ্টি করেন,অন্যদিকে প্রশাসনের লোকেরা দুর্বলচরিত্র রাজনীতিবিদদের ম্যানিপুলেট করে নিজেদের আখের গোছায়।সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্র থাকায় এই উচ্চাভিলাস চরিতার্থ করবার সুযোগ তাদের ক্ষেত্রে বেশি-এই কারণেই অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরগুলোর চাইতে বেসামরিক সরকারের সাথে তাদের এই অলিখিত পাওয়ার স্ট্রাগলটা বেশি দেখা যায়।এখানে সেনাবাহিনীকে আলাদা করে দোষ দিলে তাদের প্রতি খানিকটা অন্যায় করা হবে,কারণ সুযোগ পেলে অন্যান্য প্রশাসনিক বিভাগগুলো যে তার অপব্যবহার করতনা এটা হলফ করে বলা যায়না।
তবে একেবারে নেতৃস্থানীয় অফিসারগণ যখন বিবেকবান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হন এবং তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ,রাজনৈতিক নেতারা যদি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী হন-কেবলমাত্র তখনই এই দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব বলে আমি মনে করি।শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা সেটা পালনে একদিকে তাঁদের যেমন আন্তরিকতার প্রয়োজন,তার চেয়েও জরুরি হচ্ছে সমধিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব।দ্বিতীয়টি যদি না থাকে তাহলে শ্যাওড়া গাছের ভূতও পারলে সরকারের কাজে নাক গলাবে-আলাদা করে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হবেনা।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি এটাই মনে করি-গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে আমার চিন্তাধারায় যদি কোন ভুল থাকে তবে তা ধরিয়ে দিলে আনন্দিত হব।
মন্তব্য করার মত এলেম নাই।
তবে একটা প্রাণবন্ত আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম। 🙂
x-( এহ,এমুন একটা ভাব নিয়া কথাডা কৈলেন যেন আমি এক্কেরে এলেমের ডুবো জাহাজ।এইখানে মন্তব্য করছি নিজের যদি ভুল কুনো ধারণা থাকে সেইটা ঠিক করার জইন্য।আপনের মতামতও জানতে মঞ্চায় :shy:
"সেনাবাহিনী সবসময়ই রাজার অধীনে থাকত।"
- চার্চের অধীনে শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকত। এবং কোনো কোনো সময় তা রাজার বাহিনী থেকেও অনেক শক্তিশালী হতো। (বিস্তারিতঃ family by mario puzo)
"আধুনিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র্বে তাই সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে শান্তকালীন কোন সম্পৃক্ততা নেই।... শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনী হয় বিলুপ্ত অথবা অকার্যকর থাকাটাই গণতন্ত্রের রীতি এবং মুলবস্তু।"
- ভাইয়া এই 'রীতি এবং মূলবস্তু' বিষয়ক ধারণার তথ্যসূত্র দেয়া যাবে? পৃথিবীর কোন কোন দেশ শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করেছে সে সম্পর্কে একটি তালিকা যোজন থাকলে ভালো হতো। আচ্ছা যখন আগুন লাগে না তখন তো ফায়ার ব্রিগেড এর কোনো কাজ নাই, তখন কি আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিলুপ্ত/স্থগিত করে রাখবো?
"সামরিক অফিসাররা রাজনীতিতে অত্যন্ত আগ্রহী হন।"
- এটা কি কোনো দোষ? আমার তো মনে হয় আমাদের দেশে কেবলমাত্র পেশাদার রাজনীতিবিদ ছাড়া আর সবাই রাজনীতিতে আগ্রহী।
"অথচ বাংলাদেশ এখন শান্তিকালীন অবস্থা চলছে।"
- তাই??? এই ব্লগ না পড়লে ব্যাপারটা জানতেও পারতামনা।
"শান্তিকালীন সময়ে গণতন্ত্রের প্রয়োজনেই সেনাবাহিনীকে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করা উচিত যদি।"
- শান্তিকালীন সময়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই সেনাবাহিনীকে গণতান্ত্রিক সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নাগরিক সহায়তায় লিপ্ত থাকা উচিৎ।
একটা পর্যবেক্ষণঃ
একটা প্রয়োজনীয় ও চমৎকার বিষয়ে ব্লগ লিখেছো সেজন্য তুমি ধন্যবাদ পাও। কিন্তু এই লেখাটায় তোমার স্বাভাবিক সাবলীলতা নাই, যুক্তিও খুব ধারালো হয়নাই। পারলে রি-রাইট কোরো।
“অথচ বাংলাদেশ এখন শান্তিকালীন অবস্থা চলছে।”
- তাই??? এই ব্লগ না পড়লে ব্যাপারটা জানতেও পারতামনা।
ভাইয়া একটু ব্যাখ্যা করবেন প্লিজ?আমার জানামতে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে কোন দেশের সাথে সরাসরি সমরে জড়িয়ে নেই এবং আমাদের সংসদ থেকে যুদ্ধের কোন ঘোষণাও আসেনি।
“সামরিক অফিসাররা রাজনীতিতে অত্যন্ত আগ্রহী হন।”
- এটা কি কোনো দোষ? আমার তো মনে হয় আমাদের দেশে কেবলমাত্র পেশাদার রাজনীতিবিদ ছাড়া আর সবাই রাজনীতিতে আগ্রহী।
রাজনীতিতে আগ্রহী হওয়া দোষ নয় কিন্তু অস্ত্রের মুখে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করার সুপ্ত ইচ্ছা এবং বেসামরিক প্রতিষ্ঠানে অযাচিত হস্তক্ষেপ অবশ্যই দোষের।আমাদের সেনাবাহিনীর এই মুহূর্তে(জরুরী অবস্থা থেকে ২০০৯ এর ইলেকশন পর্যন্ত) সেই অভিলাস আছে কি নেই সে বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করবনা-সুষ্ঠু ইলেকশনে সেনাবাহিনীর সহায়তার ঘটনা এবং বিডিআর ট্রাজেডিতে তাদের অভূতপূর্ব সংযম একদিকে যেমন অত্যন্ত আশাবাদী চিত্র প্রদর্শন করে তেমনি জেনারেল মঈনের বিভিন্ন সময়ের মন্তব্য কিছুটা উলটো চিত্রও দেখায়।
রেশাদ ভাই
প্রথম কথা হচ্ছে বিলুপ্তিকরনের বিষয়টা তাত্বিক দৃষ্টিকোন থেকে বলা। ষুতরাং এটা কোন তথ্য নয় যে তথ্য সুত্র দিতে হবে। তবে সামন্ত সমাজ ব্যবস্থা থেকে ফরাসী বিপ্লব এবং তৎপরবর্তী সামাজিক পটপরিবর্তনের ইতিহাসের ব্যাপারটা খেয়াল করে দেখতে পারেন। সামন্ত ব্যবস্থা ক্ষমতার পাওয়ারহাউজ ছিলেন রাজা এবং চার্চ। সেই ক্ষমতা ডিস্ট্রিবিউট করা হত সামন্ত ভুস্বামীদের মাধ্যমে।
সামন্ত ব্যবস্থায় পেশী ছিল ক্ষমতার উৎস আর তাকে জায়েজ করা হত চার্চের মাধ্যমে। আর গণতন্ত্রের প্রধান কথাই হচ্ছে ব্যাক্তির গুরুত্ব এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। গণতন্ত্রের রীতি নয় যে সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রভাভিত করবে। যদিও এটা ঘটে থাকে কিন্তু সেটা রাষ্ট্রযন্ত্রের দুর্বল গণতান্ত্রিক কাঠামোর প্রমান দেয়।
আপনি বোধহয় অকার্যকর শব্দটার অর্থ আমি যে অর্থে বুঝিয়েছি সেটা ধরতে পারেন নাই। রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন বিষয়ে সামরিক বাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না।
আর সামরিক অফিসার রা রাজনীতি সচেতন হতে পারেন। কিন্তু আবারও বলছি রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।
আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সামরিক বাহনীর কাজ নয়। আপনি আবেগের বশবর্তী না হয়ে নির্মোহভাবে বিষয়টি বিচার করে দেখুন। আমাদের সামরিক বাহিনীকে ছোট করে দেখার উদ্দেশ্যে এই ব্লগ লেখা নয়। কিন্তু আনার আশা আমার দেশ উন্নততর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে উঠুক।
আর গণতান্ত্রিক সরকার যদি শান্তিকালীন সময়ে তাদেরকে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা ইত্যাদি কাজ করায় তাহলে আমি ষেই সরকারের অযোগ্যতার প্রশ্ন তুলব এবং বলব যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তারা রক্ষা করতে পারছেন না।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
ইন্টারেস্টিং আলোচনা হবে মনে হইতেসে। এখন সময় থাকলেও আমার মাথায় তেমন কিছু আসতেসে না। তাই আপাতত গ্যালারিতে বসলাম। আগে একটু জ্ঞান অর্জন কইরা লই।
🙁 🙁 হায় হায় আমি তাইলে আগ বাড়ায়া কথা কইলাম ক্যান!ধরা খামু না তো??!! চিন্তায় আছি-আইজুদ্দিন 🙁
আচ্ছা যখন আগুন লাগে না তখন তো ফায়ার ব্রিগেড এর কোনো কাজ নাই, তখন কি আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিলুপ্ত/স্থগিত করে রাখবো?
আমরা জনসাধারণকে প্রাথমিক সাধারণ অগ্নিনির্বাপন জ্ঞান দিলাম। তারপর লিস্ট করলাম, প্রয়োজনের সময় জনগনকে ভলেণ্টারি ওয়ার্ক হিসেবে ফায়ার সার্ভিসে কাজ করতে হবে। এতে করে বিশাল বাহিনী পোষার কোনও দরকার হয়না।
আবীর, দ্বিমত পোষন করছি। প্রাথমিক সাধারণ অগ্নিনির্বাপন জ্ঞান দিয়ে ছোটখাট আগুন নেভানো যাবে, কিন্তু বড় ধরনের বিপদ মোকাবেলার জন্য সুপ্রশিক্ষিত বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের দেশে এখন বহুতল ভবন প্রচুর। এসব ভবনে আগুন লাগলে আমাদের প্রশিক্ষিত দমকল বাহিনীই হিমসিম খাচ্ছে, আর তুমি বলছো সাধারন জনগনকে দিয়ে ঐসব আগুন নেভানো যাবে? আমাদের এখন আরো উন্নত অগি-নির্বাপন যন্তপাতি আমদানী করা উচিত, কারন বহুতল ভবনের সংখ্যা দিদিন বাড়ছে, সেই সাথে প্রয়োজন আরো উন্নত অগ্নি-নির্বাপন প্রশিক্ষনের।
আর ভলেন্টারি ওয়ার্ক হিসেবে ফায়ার সার্ভিসে কাজ করার কথা বললে? বেশ অবাক হলাম। যেদেশে আগুন লাগলে হাজারো মানুষের ভিড় জমে যায় তা কেবলমাত্র দর্শক হিসেবে দেখার জন্যে, দমকলের গাড়ি যাদের কারনে আগুনের কাছে পর্যন্ত যাবার রাস্তা খুজে পায়না, সেদেশের মানুষ করবে ভলেন্টারী ওয়ার্ক? যদি তাই হতো তাহলে এদেশের আরো আগেই অনেক উন্নতি হতো।
দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী এসব তোমাদের কাছে হাতি পোষার মতো মনে হয়, তাইনা? আজ মায়ানমার আমাদের দেশে এটাক করলে এই সেনাবাহিনীকেই গুলি খেয়ে মরতে হবে, কোন ভলান্টিয়ার পাওয়া যাবেনা। (আমার দুই কোর্সমেট ৩ মাস ধরে চকোরিয়ার মাঠে ডিফেন্স সাজিয়ে অপেক্ষা করছে কবে একটা আর্টিলারী শেল এসে পড়বে ঘাড়ের উপরে...)। আর, যদি মায়ানমার এটাক করে এবং ওদের চেয়ে উন্নত যুদ্ধাস্ত্র না থাকার কারনে যদি আমরা হেরে যাই তাহলেও দোষ যাবে এই পোষা বাহিনীর ঘাড়েই। ওভাবে মরার জন্য নতুবা কোন স্যুয়রেজের পাইপ দিয়ে লাশ হয়ে বের হবার জন্যই তো অপেক্ষা করছি ভাই, নতুবা এই পোষ মানার তো সার্থকতাই থাকবে না...
স্যরি, পারসোনালি নিয়ে ফেলেছি আবারো, এসব কথা শুনলে ইমোশনাল হয়ে যাই, কি করবো বল? সবার কাছে অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী 🙁 🙁 সিসিবিতে মনে হয়না আর বেশিদিন থাকতে পারব 🙁
সিসিবিতে মনে হয়না আর বেশিদিন থাকতে পারব
x-( x-( মামা এই্ডা কি কইলেন? কথা ফিরায়ে নেন শিজ্ঞিরি x-( x-(
আমরা এইখানে সবাই আলচনার মাধ্যমে কিছু না কিছু শিখব,কেউ ভুল করলে একজন আরেকজনকে ঠিক করে দিবো।আমরা আমরাই তো! 😡 😡
রহমান ভাই,
আমি কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত দেই নাই। আমি একটা প্রস্তাব করেছি। বাংলাদেশের জন্য এটা ফলপ্রসু কীনা সেটাও বলিনাই। আর সেনাবাহিনীর কথা তো বলিইইইইই নাই!!!
একটু দেখিয়ে দিলে খুশী হই, আমি কোথায় এই কথা বলেছি।
আর হ্যা মাসফু ভাইকে বলছি! আমার প্রস্তাবটাকে সুশীল, অমনশীল বলার আগে বুঝে বলেছেন? বাংলাদেশে এই জিনিস না হলেও দুনিয়াতে মোটামুটি সবচেয়ে বেশি দাবানলদের দেশ অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এভাবেই চলে? বুঝছেন?
আমি এই লেখার প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করিনাই। মন্তব্য করেছি, রেশাদ ভাই একটা অংশে। এবং সেটা আমি নিজে বানাইনাই।
একমত হতে পারছিনা রায়হান । অস্ট্রেলিয়াতে প্রত্যেকটি রাজ্যের নিজস্ব দমকল বাহিনী আছে এবং আমার জানামতে প্রত্যন্ত এলাকার জন্য রুরাল ফায়ার সার্ভিস নামে দমকল আছে । এখানকার প্রায় সব সাবার্বে একটা করে ফায়ার স্টেশন অবশ্যই থাকবে এবং এরা সবাই নিয়মিত বাহিনীর সদস্য । ভলান্টিয়ার ফায়ার ফাইটার আছেন সংখ্যা বলতে পারছিনা, তারা জরুরী সময়ে রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্য করে থাকেন ।
হায় হায়। প্রাথমিক অগ্নিনির্বাপন জ্ঞান দিয়ে তারা জরুরী অবস্থায় সাহায্য করেন কীভাবে??? তাদের ডাকা উচিত চুটকা অবস্থায়, বা অজরুরী অবস্থায়।
ভলান্টিয়ার ফায়ার ফাইটারদের ওয়েবসাইট টাতে চোখ বুলায়ে যা বুঝলাম ভলান্টিয়াররা রুরাল ফায়ার সার্ভিসের আন্ডারে কাজ করে । ট্রেনিং ও পর্যাপ্ত দেয়া হয় । অস্ট্রেলিয়ান ফায়ার ফাইটার নিয়ে আর কথা না বলি । তারচেয়ে অনটপিক কথা বলি আর শুনি 🙂
আমি কী বলেছিলাম পর্যাপ্ত ট্রেনিং দেওয়া হবেনা??
ভলেণ্টারি কইরা তারা আগুন নিভাইতে পারতেছেনা??
রুরাল বাহিনী আছে, কিন্তু যেহুতু তাদের বেশ ভালো সংখ্যক ভলেন্টারি ওয়ার্কার আছে সেহেতু প্রচুর সংখ্যক পার্মানেন্ট কর্মী পোষার ঝামেলা থেকে তারা মুক্ত। বছরের একটা সময়ই দাবানল হয়, ঐ একটা সময়ের মুকাবেলার জন্য সারা বছর কাউরে রাখার দরকার হচ্ছেনা।
আগেই বলছি আমি পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়া কথা কইনাই। রেশাদ ভাইয়ের মন্তব্যে ফায়ার সার্ভিসের কথা আসছে, তাই বলছি। অস্ট্রেলিয়াতে সারাবছরের একটা নির্দিষ্ট সময় মুকাবেলার জন্য সারাবছর কর্মী পোষা হয়না।
ভুলটা কই করলাম?
@রায়হান আবীর, আমার কমেন্টটা খেয়াল করো ভাল করেঃ
আমি "তোমাদের" বলতে এখানে তোমাকে (দমকল বাহিনীর মতো বিশাল বাহিনী পোষার বিপক্ষে কথা বলার কারনে) এবং হোসেনকে (পুরা পোষ্টের বিষয়বস্তু নির্ধারণ এবং সেনাবাহিনী বিলুপ্তিকরনের আইডিয়ার জন্য) এবং যারা বিভিন্ন বাহিনীকে পোষা বাহিনী বলে মনে করে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত টক-শোর বিভিন্ন বিখ্যাত (!) ব্যক্তিদের সাথে একমত পোষন করে থাকেন তাদেরকে সম্মিলিতভাবে বুঝিয়েছি। আমার কমেন্টটা শুধুমাত্র তোমার উদ্দেশ্যে করা ছিলনা, অনেকের উদ্দেশ্যে ছিল। এখন ক্লিয়ার তো?
এইটা কী বললেন রহমান ভাই!!!!! কষ্ট পাইলাম.....।
আবেগে ইমোশনাল হইয়া এই কথার তীব্র প্রতিবাদ জানাইতাছি। ইরাম করলে কিন্তু খেলমু না রহমান ভাই। কথা ফিরায়া লন শিজ্ঞিরি। x-(
আরে, রহমান হালায় জনপ্রিয়তা টেস্ট করতাছে ;;; কে যে এই ফালতু টেস্টিং সিস্টেমটা আবিষ্কার করছিলো সিসিবি'তে 😡 হালারে হাতের কাছে পাইলে x-(
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
পিকনিকের দুইদিন আগে কেউ একজন মনে হয় কাজের চাপে পিকনিকে যাইব না - এমন কিছু কয়া জনপ্রিয়তা টেস্ট করছিলো। সেই ব্যাক্তিকে পাকড়াও করা খুবই দরকার 🙂 🙂
কী বলেন কাইয়ুম ভাই?
x-( তীব্র সহমত আমিন ভাই x-(
ঠিকই কইছেন ভাই। কে যে এই ফালতু সিস্টেম চালু করছে। হাতের কাছে পাইলে ওঁরে লুঙ্গি পিরায়া লঙ্গাপ করায়ে রাখা দরকার :grr:
কি বলেন কাইয়ুম ভাই 😀
রায়হান এটা কি মন্তব্য করলা । প্রাথমিক সাধারণ অগ্নিনির্বাপন জ্ঞান দিয়ে চুটকা আগুন নিভাতে পারলেও ব্যাপক আকারের কোন আগুন নেভানো সম্ভব হবে না । আগুন যে কি ভয়াবহ দাবানলের মত ছড়ায় সেটা অস্ট্রেলিয়াতে গত কয়েক বছর ধরেই দেখছি । এই পোস্টে তো মনে হচ্ছে আবার মারামারি লেগে যাবে । সেনাবাহিনী ভাল না খারাপ, আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর দরকার আছে কিনা, এসব প্রশ্ন অবান্তর । সেনাবাহিনীর ভূমিকা কিভাবে আরো গনমুখী করা যায় অথবা কিভাবে আরো স্বচ্ছতা বাড়ানো যায় এ ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে । আলোচনা হতে পারে সেনাবাহিনীর সাথে সিভিল সোসাইটির কমিউনিকেশন কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে । ভারতের সেনাবাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী হোয়া স্বত্তেও ভারতকে কখনো সেনা শাসনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়নি । আমাদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে? এ ব্যাপারে কেউ জানলে আমাদের জানান ।
আরে আমি আবার কী করলাম। কাউরে খোঁচা দেই নাই, কিছু করিনাই। আমার চাচা পাঁচ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন, উনি আমারে কইলো দাবানলে সবাই ভলেন্টারি ওয়ার্ক করে, আমার আইডিয়া পছন্দ হইছিল, সেইটা শেয়ার করলাম। আমি তো এইটা বাংলাদেশে ইম্পিমেন্ট করলেই সব সমস্যা মিট্টা যাইবো এমন মতবাদ দেইনাই। আজব!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
সহমত ... ঐ ... :boss:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ঐ, একমত, সহমত, do... সবগুলা একলগে জানাই গেলাম :boss: :boss: :boss:
রহমান ভাই, সিসিবি ছাইড়া যাইয়েন নাআআআ! (সিনেম্যাটিক ইশটাইলে থাকতে কইলাম। এখন আপনি চলে গেলে রওশন জামিলের মতোন হাত-পা ছড়ায়ে কানতে হইবো) 😕
ঐ
ঐ
প্রাথমিক সাধারণ অগ্নিনির্বাপন জ্ঞান দিয়ে ছোটখাট আগুন নেভানো যাবে, কিন্তু বড় ধরনের বিপদ মোকাবেলার জন্য সুপ্রশিক্ষিত বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে।
একশতভাগ সহমত।আর্মি বা দমকল বাহিনী পোষা হাতি পোষার সমান-এই কথাটা একেবারেই আমাদের দেশের তথাকথিত সুশীলদের মত হয়ে গেল।আমার মনে হয় আমাদের উচিৎ গঠনমূলক সমালোচনা করা,সেনাসহ যে কোন বাহিনী/ক্যাডারের সমস্যাগুলো উত্তরনের চেষ্টা করা।"এই গরীব দেশে এত টাকা দিয়ে আর্মি পুষে লাভ কি উঠায় দিলেই তো হয়"- এই জাতীয় কথাবার্তা খুবই অ-মননশীল।বরং কোথাও অপচয় হয়ে থাকলে কিভাবে সেটাকে এফিশিয়েন্ট করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখাই মনে হয় বেশি প্রোডাকটিভ।
@রায়হান,
তুমি যে বললা দমকলের প্রস্তাবটা শুধু রেশাদ ভাইয়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবং এইটা শুধু একটা আইডিয়া শেয়ারিং-এর বেশি কিছুনা-সেইক্ষেত্রে আমার স্পষ্ট উল্লেখ করা ”এই গরীব দেশে এত টাকা দিয়ে আর্মি পুষে লাভ কি উঠায় দিলেই তো হয়”- এই জাতীয় কথাবার্তা খুবই অ-মননশীল মন্তব্যটা যে তোমার কথার সূত্র ধরে আসলেও তোমাকে উদ্দেশ্য করে বলা না বরং সুশীলদেরকে বলা সেইটা বুঝতে পারনাই কেন তা আমি জানিনা।আমি কথাটা বলছি তাদের জন্য যারা বলে আর্মি উঠায়ে দেওয়া উচিৎ তাদের প্রতি।সুতরাং দুনিয়ার সবচেয়ে বড় দাবানলের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় দমকল কিভাবে চলে সেই জ্ঞানটা আমাকে না দিলেও পারতা,বুঝলা?
@রায়হান
আমার প্রস্তাবটাকে সুশীল, অমনশীল বলার আগে বুঝে বলেছেন?
আর হ্যাঁ, সুশীলদের প্রতি মন্তব্যটা বুঝেই করেছি।তবে তোমার প্রস্তাবকে আলাদা করে লক্ষ্য করে না,বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আর্মি/দমকল উঠায়ে দেওয়া নিয়ে যেসব সুশীল টক শতে কান ঝালাপালা করে তাদের উদ্দেশ্যে।তুমি সেই দলে পড় কিনা/তাদের মত চিন্তা কর নিয়া সেইটা তোমার বিবেচনা।যদি না পড়,তাহলে দয়া করে আলগা জ্ঞান দিতে আইসোনা।
আলগা জ্ঞান কই দিলাম সেইটা বুঝায় বলেন।
আমি কমেন্ট করছি বাংলাদেশের সুশীলদের আর্মির/দমকলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে করা মন্তব্য এবং পুরা পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে আর তুমি কমেন্ট করছ রেশাদ ভাইয়ের মন্তব্যের একটা অংশ নিয়ে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা সম্পর্কে।এইখানে বাংলাদেশে এই জিনিস না হলেও দুনিয়াতে মোটামুটি সবচেয়ে বেশি দাবানলদের দেশ অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এভাবেই চলে? বুঝছেন? অংশটুকু আলগা জ্ঞান।
আলগা জ্ঞানকে যেভাবে সংগায়িত করলেন, তাতে করে তো সকল ব্লগের, সকল মন্তব্যেরে ৬০ ভাগ আলগা জ্ঞানের পর্যায়ে পড়ে। কারণ ৬০ ভাগ জিনিস আমি কোনোদিন শুনিনাই। এখন আমি যেই জিনিস শুনিনাই, যেই জিনিসে আমার জ্ঞান নাই, সেইটা কেউ আমারে কইলে আমি কী তাইড়া আইসা কমু, আলগা জ্ঞান দিয়েন না?
আলগা আর শক্ত জ্ঞানের পার্থক্যটা আপনার কাছ থেকে জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
একটা সোজা কথা বলি- আমি সুশীলদের উদ্দেশ্যে কমেন্ট করছি আর তুমি সেই কমেন্টের পরে সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস নিয়া কিছু জ্ঞান দিলা, জ্ঞানের আগে জিজ্ঞাসা করলা আমি আমার মন্তব্য বুইঝা করছি কিনা আর জ্ঞান দেবার পরে জিজ্ঞেস করলা বুজছি কিনা।নিজের মন্তব্যটা দেখঃ
আর হ্যা মাসফু ভাইকে বলছি! আমার প্রস্তাবটাকে সুশীল, অমনশীল বলার আগে বুঝে বলেছেন? বাংলাদেশে এই জিনিস না হলেও দুনিয়াতে মোটামুটি সবচেয়ে বেশি দাবানলদের দেশ অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এভাবেই চলে? বুঝছেন?
যেখানে আমি বার বার বলতেছি যে তোমার মন্তব্যকে আলাদা করে কিছু বলা হইতেছে না,বলা হইতেছে আর্মি/দমকল ইত্যাদি নিয়ে সুশীলদের মনোভাব নিয়ে- সেইখানে সেইটাকে টোটালি আউট অব কনটেক্সট নিজের গায়ে নিয়া "আমার প্রস্তাবটাকে সুশীল বলার আগে বুঝে বলছেন?" প্রশ্ন করা, তারপর পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দাবানলের দেশ কোনটা এবং তার অগ্নিব্যবস্থাপনা কিভাবে হয় সেই তথ্য দেওয়া,এবং সবশেষে সেইটা বুঝছি কিনা সেই প্রশ্ন করা- পুরা জিনিসটাই "আলগা"। এইটা তুমি যদি না বুঝ তাইলে সেই জিনিস তোমারে বুঝানো আমার সাধের লিস্টে পড়েনা,সাধ্যেরও বাইরে।আর তোমারে আলগা জ্ঞান-শক্ত জ্ঞানের পার্থক্য শিখানোর মত যোগ্যতাও আমার নাই।আমার মনে হইছে উপরের মন্তব্যে তুমি অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমারে কিছু জ্ঞান দিতে চাইছিলা তাই বললাম,আর কেন এইরকম মনে হইলো সেইটাও বললাম।
এখন বাকি তোমার বিবেচনা-এই ব্যাপারে আমি মাপ চায়া যাইতেছি;এই প্রসঙ্গে এর বেশি কিছু বলার নাই আমার।আর এই জিনিস নিয়া আমার এত মন্তব্য করাটাও যে পোস্টের মূল উদ্দেশ্যের বাইরে চলে যাইতেছে সেইটাও বেশ বুঝতে পারতেছি-তাই এই বিষয়ে আমি এই কমেন্টের পর ডেড-স্টপ।তোমার যদি আর কোন সংজ্ঞা,বর্ণনা ইত্যাদি জানার থাকে দয়া করে এই অধমরে নিস্তার দিও 🙂
আমার প্রথম কমেণ্ট যে মনগড়া কিছু না, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাই আমি অস্ট্রেলিয়ার প্রসংগ আনছি। অতি অল্পতে উত্তেজিত হয়ে যান বিধায় সেইটা না বুঝে আপনার মতো জ্ঞানী মানুষকে আলগা জ্ঞান দিতে আসছে একজন এই ধারণা হইছে আপনার।
যাক,নতুন কোন সংজ্ঞা/বর্ণনা জানতে চাওনাই দেইখা হাঁপ ছাইড়া বাঁচলাম 🙂
তুমি কইলা- আমার প্রথম কমেণ্ট যে মনগড়া কিছু না, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাই আমি অস্ট্রেলিয়ার প্রসংগ আনছি।
মন্তব্যটা আমার নাম উল্লেখ কইরা (নামের শেষে ! চিহ্নও আছে 😀 ) করা ,এবং এখন কইতেছ তোমার কথা যে মনগড়া না সেইটা বুঝাইতে অস্ট্রেলিয়ার কথা আনছ।সবই ঠিকাছে-কিন্তু সমস্যা হইলো,তোমার কমেন্টরে আমি কোথাও "মনগড়া" বইলা দাবী করিনাই,তুমি বানায়া কিছু কইছো তাও কইনাই। কাজেই যেই দাবী আমি করিনাই সেই দাবীর সপক্ষে প্রমান আমারে কেন দিলা তা অনেক চেষ্টা কইরাও বাইর করতে পারলামনা।যে এই দাবী করছে তারে অস্ট্রেলিয়া,ইন্ডিয়া,পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা থিকা শুরু কইরা হাইতি পর্যন্ত যা যা আছে সব কিছুর উদাহরণ দাও আমার কোন সমস্যা নাই , এই নিরীহ মানবসন্তান আমারে রেহাই দিলেই খুশি হব।
অতি অল্পতে উত্তেজিত হয়ে যান বিধায় সেইটা না বুঝে আপনার মতো জ্ঞানী মানুষকে আলগা জ্ঞান দিতে আসছে একজন এই ধারণা হইছে আপনার।
আমি উত্তেজিত হইছি এইটা তোমার কল্পনা- আর ব্লগে তোমারে আমি খুব পছন্দ করলেও অতি অল্পতে বা অতি বেশিতে উত্তেজিত হই কিনা সেইটা বোঝার মত পরিচয় তোমার সাথে আমার হইছে বইলা আমার মনে হয়না।আমি কখন উত্তেজিত হই বা না হই এইরকম ফালতু বিষয় নিয়ে নতুন হাইপোথেসিস না আনলেই মনে হয় সবার জন্য মঙ্গল-ব্যক্তিচরিত্র বিশ্লেষণটা নিজের কাছেই রাখি।
(এইবার আসলেই অফ যাইতে হইবো ভাই,পরীক্ষার পর আবার দেখা হবে 🙂 )
লেখকের কাছ থেকে নৌ ও বিমান বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে গনতন্ত্র ভিত্তিক একটা পোস্টের দাবী জানায়ে গেলাম 😉 ....
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
দোস্ত, তুই কই? সিসিবিতে লেখস না ক্যান? তোরে খুব মিস করি 🙁 । বেশি মিস করি তোর কমেন্টগুলা। আগে না ভাবী সহ সিসিবি পড়তি। মাঝে মাঝে একটু উকি দিস বন্ধু :ahem:
আমারে উকি দিতে কস ?? ... তুই নিজেই তো সেন্টু খাইয়া চইলা যাইতেছিস ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
😀 :)) মামা, আবার প্রমাণ করলি যে, তুই কমেন্টে বস্ :boss: । তোরা না আসলে তো কমুই, আমি একা একা ফাইট দিয়া যাইতেছি, আর কত? নিজেরে 'সংখ্যালঘু' টাইপ মুনে হইতাছে। সাপোর্ট দে ব্যাটা 😡
সেনাবাহিনী তো সংখ্যা লঘুই ...
৩০ কোটি বাংলাদেশী ... আর ৩ হাজার বাংলাদেশী সেনাবাহিনী মিলিয়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন কত দাড়াল ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
=)) =)) =))
বক্তব্য পড়লাম। উপরের মন্তব্যগুলোও পড়লাম। সবকিছু পড়ে একটা কথা মনে হল; যদি কেউ কিছু মনে না করেন, তাহলে সিসিবির অন্ধ ভক্ত একজন আমজনতা পাঠক হিসাবে মনের কথাটা শুধুমাত্র বলতে চাচ্ছি। কোন ভুল কথা বললে, কাউকে আঘাত করে থাকলে, আগে থেকে ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছি।
আমাদের ডাক বিভাগের পারফর্মেন্স খুব ভাল, অধিকাংশ চিঠিপত্র হাতে পৌঁছায় না। আজকাল অধিকাংশ মানুষ-ই তাই সামান্য বেশি টাকা খরচ করে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করছেন। সেনাবাহিনী আর দমকল বাহিনীর সাথে সাথে ডাক-বিভাগটাকেও উঠিয়ে দিলে কেমন হয়?
আমি একজন বি এস সি ইঞ্জিনিয়ার। আমার আব্বু এবং অধিকাংশ আত্মীয়-স্বজন ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হওয়াই এই দুই পেশার মানুষদের সম্পর্কে আমার কিছুটা হলেও ধারণা আছে।
সড়ক ও জনপথের পারফর্মেন্স খুব ভাল, প্রতি বছর রাস্তা বানায়, প্রতি বছর রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। একই রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রতি বছর না হলেও দুই-তিন বছরে তো টাকা খরচ করতেই হয়।
আমার সিনিয়র এক ভাইয়া (ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী) একবার বলেছিলেন যে, পিডিবি নাকি জেনারেশনের চেয়ে ট্রান্সমিশনের জন্য বেশি টাকা নেয়, কারন জেনারেশনের জন্য টাকা নিলে বিদ্যুৎ তৈরি করে দেখাতে হবে, ট্রান্সমিশনে সেই ভয় নাই; পকেটে ভালমত-ই ঢোকানো যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন এ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) আমি খুন হতে দেখেছি, তার বৌ এবং এক বছরের বাচ্চাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি পেতে শুনেছি। আঙ্কেলের একমাত্র অপরাধ(!!) ছিল কন্ট্রাক্টরের সাথে সমঝোতা করে দুই নম্বুরি সিমেন্ট ব্যবহারের সাপোর্টে রিপোর্ট না দেওয়া, যেখানে কি না ওই কন্ট্রাক্টর নিয়মিতভাবে সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের বাড়িতে আনলিমিটেড উপঢৌকন (হয়ত, ব্যাংকে ক্যাশ ও) পাঠাতেন। একই বিল্ডিং-এ কোয়ার্টার বলে সবকিছুই সবার জানা থাকে। হয়ত এই সবার স্বার্থহানি হচ্ছিল দেখেই ওই আঙ্কেলকে এক বছরের বাচ্চা আর বৌকে অসহায় অবস্থায় রেখে অকালেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। তাতে কি!
ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং এ চান্স পাওয়া থেকে শুরু করে পাশ করা অবধি যা কষ্ট হয়, তা তো পুষিয়ে নিতেই হবে। সরকারি হাসপাতাল-কে শুধু বেতন পাওয়ার জন্য হাজিরা দেওয়ার জায়গা, আর ক্লিনিক-ই আসল কর্মস্থল মনে করা ডাক্তার; আর ২০,০০০টাকা (সর্ব সাকুল্যে) বেতনের যেই সরকারী চাকরি করা ইঞ্জিনিয়ার বাচ্চাকে ২০,০০,০০০টাকা ঘুষ দিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তি করল, সেই ইঞ্জিনিয়ার; এদের জন্য আরো টাকা খরচ করা মোটেও হাতি পোষা নয়। এ তো তাদের ন্যায্য পাওনা!!
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
( :no: :no: :no: :no: :no: )
:salute:
আমিও সংখ্যালঘু হপো :((
সাথে আনসার ও ভিডিপি 😉 বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও বিস্তারিত মত আশা করছি।
=)) সবচেয়ে বড় কথা আমর
সেনাসদস্যগণ শান্তিকালীন সময়ে কখনই একটি রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক হতে পারবেন না। শুধুমাত্র যুদ্ধ বাধলে তাদেরকে নাগরিকত্ত্ব প্রদান করা হইবে ... মু হা হা :grr:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:)) :khekz: =))
:pira: :pira: :pira:
তাইফুর ভাই আপনার এই মন্তব্যের ভিতরে কিন্তু শ্লেষটা পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে পোস্টের বিরোধিতা করে নাই। বরং পোস্ট টাকে শক্তিশালী করেছে।
খেয়াল করুন:
আমি একজন ব্যক্তি সেনাকর্মকর্তা কে কিছুই বলইনাই। বলেছি সামরিক বাহিনী নামের প্রতিষ্ঠানকে।
আপনি যে ব্যক্তিগত সচেতনতার কথা বললেন সেটাই কি গণতন্ত্রের মুল কথা নয়? ব্যাক্তি অবস্থান থেকে সচেতনতা খুবই জরুরী।
কিন্তু আমার প্রসঙ্গ ছিল প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর ক্ষত্রে। প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী কিন্তু ব্যাক্তি পর্যায়ের মতামতের উপর গড়ে উঠেনা। কারন সামরিক বাহিনীর প্রধান বিষয় হচ্ছে চেইন অফ কমান্ড। সামরিক বাহিনী দ্বারা বাংলাদেশে যে কয়েকটি ক্ষমতা দখল ইত্যাদি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে সেখানে কি ব্যাক্তি সেনারা একই মত পোষণ করত? কয়জন সেনা সদস্য জিয়ার আমলে সত্যিকার অর্থে রক্তারক্তির সাথে সহমত পোষণ করত। যুদ্ধের সময় যে চেইন অফ কমান্ড অত্যন্ত জরুরী সেই চেইন অফ কমান্ড কিন্তু রাজনৈতিক কাজে মোটেও গণতান্ত্রিক নয়। একারনেই কিছু সেনা অফিসার একসাথে হয়েই ক্যু করা যায় কারন তাদের বিনাপ্রশ্নে মান্য করার মত অধস্তন বাহিনী আছে।
সামরিক বাহিনী কোন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নয় এটা আশাকরি সামরিক বাহিনীতে কর্তব্যরত বড় ভাইরাও স্বীকার করবেন। এখানে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তনের চেয়ে চেইন অফ কমান্ড বেশী গুরুত্বপূর্ণ। সেকারনেই কিছু অফিসারের অসৎ উদ্দেশ্যের ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে।
যে প্রতিষ্ঠানের কাঠামো এবং পরিচালনা পদ্ধতি গণতান্ত্রিক নয় সেই প্রতিষ্ঠান কখোনৈ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রক্রীয়ার সাথে যুক্ত থাকা উচিৎ নয়। তাতে ভয়টা অনেক বেশী।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
হোসেন ভাই ... তুমি মাইন্ড কর নাই দেইখা ভাল্লাগ্লো ... :boss:
তুমি একজন ব্যক্তি সেনাকর্মকর্তা কে কিছুই বল নাই। বলেছ সামরিক বাহিনী নামের প্রতিষ্ঠানকে ... একজন ব্যক্তি সেনাকর্মকর্তা কে নিয়ে বললে একজনের উপর দিয়া যাইত ... প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বলেছ বলেই সবার উপর দিয়া গ্যাছে ... 😉 বুঝাইতে পারলাম।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আচ্ছা বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিরক্ষানীতি নাই?
শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনী কি করবে না করবে সেটা তো সেখানেই লিখা থাকা উচিত। আছে নাকি এরকম কিছু? থাকলে একখান কথা আছে,
সেনাবাহিনী শান্তিকালীন সময়ে কি করবে না করবে সেটা ঠিক করে দেয় সরকার। সরকার যদি বেতাল কিছু করে, গণতান্ত্রিক এই দেশে জনগণ ভোটের মাধ্যমে সরকারকে তালে আনার চেষ্টা করলেই পারে।
🙁 বিছিঃএছ পরীক্ষার জন্য সংবিধানের আর্টিকেল মুখস্ত কর্তেছি বৈসা।কিছু পাওয়ামাত্র জানামু এই পাকা কথা দিতাছি 🙁
মাস্ফ্যুরে, দোয়া করিস ভাই, যেন সন্মানের সাথে ফেল করি ~x(
এইখানে সমস্যাটা হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে যখন সামরিক বাহিনী সরকারকে হস্তক্ষএপ করে সেটা কিন্তু সাংবিধানিক উপায়ে করে না। ক্যু ইত্যাদি জিনিস তো কিছু ক্ষমতালোভীর উচ্চাভিলাস থেকে হয়।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
একজ্যাক্টলি। আমি যা বলতে চাইছি ওইটাই বের হয়ে আসছে। কি করা উচিত আর কি করা উচিত না- এই পোড়ার দেশে সেটা ভেবে কেউ (জাতি অর্থে) কোন কাজ করে না।
আইচ্ছা ... তাইলে সেনাবাহিণীকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করলেই মনে হয় ল্যাঠা চুকে যায় ... 😉
বাপ্তেই বালো লাগে ... সৈনিকের ভোটে ইউনিটের সিও নির্বাচিত হবে ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হলে যুদ্ধক্ষেত্রে কিভাবে যুদ্ধ করবে? বরং সামরিক বাহিনী যেজন্যে গঠন করা হয় সেই কাজেই তারা নিয়জিত থাকুক। রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতালোভী অসৎ দের উদ্দেশ্যে ব্যভৃত না হোক।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
:-/
??????
:ahem: ( :grr: )
?????????
:dreamy: :dreamy: :dreamy:
ভাল কথা ... গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের পর নির্বাচিত প্রতিনিধির অসৎ উদ্দেশ্যের ফলাফল কেমন হয় হোসেন ?? যেই দেশে গণতন্ত্র মানে 'খুব পঁচা আম' আর 'খুবই পঁচা আম' এই দুইয়ের মাঝ থেকে যে কোন একটা বেছে নিয়ে খাওয়া সেই দেশে ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
হ্যা আমাদের গণতন্ত্রের অবস্থা খারাপ। তো আমাদের তাহলে ঠিক করতে হবে আমরা কি এই গণতন্ত্রটাকে ভালো করব নাকি স্বৈরতন্ত্র রাজতন্ত্রে ফেরত যাব। যদি আমরা মনে করি সামন্ত সমাজই ভালো তাহলে স্বৈরতন্ত্রে/রাজতন্ত্রে ফেরৎ যাই, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারনে সামরিক বাহিনী প্রধান ভুমিকা পালন করবে। শুনতে পাই শায়েস্তা খাঁর আমলে টাকা আট মন চাল পাওয়া যেত। সুতরাং খারাপ তো কিছু না। যেহেতু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমাদের কিছু দিচ্ছে না, আপনি নিজেও বুঝিয়ে বললেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর আস্থা নেই আপনার, সুতরাং শুধু শুধু গণতন্ত্র গণতন্ত্র না খেলে আমাদের মধ্যযুগে ফেরত যাওয়া উচিৎ।
আপনি সম্ভবত আমার আগের বক্তব্যটি আমি যেই অর্থে বলেছি সেই অর্থে নেন নি। সামরিক বাহিনী অগনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এটা বলার মাধ্যমে আমি কিন্তু সামরিক বাহিনীর নিন্দা করি নি।সেনাবাহিনীকে গণতান্ত্রিক হবার কোন সুযোগ নেই কারন তাদের তৈরী করা হয় যুদ্ধ করার জন্যে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে নয়।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান উপাদান গুলো যেগুলো তার নীতিনির্ধারন করবে সেগুলোকে গণতান্ত্রিক হওয়া চাই তাই নয় কি?
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
আমি সাধারণত সরকারী চাকরির চেষ্টা করি না, বাসার ঘ্যাঙ্ঘ্যানানিতে মাঝে মাঝে বিসিএস জাতীয় ঝঞ্ঝাটে জড়াতে হয়। আমার আম্মুর অনেক আফসোস আমাকে নিয়ে, আমি কেন পিডিবি, বিডব্লিউবিডি এসব জায়গায় এপ্লাই করি না। রিসেন্টলি পানি উন্নয়ন বোর্ডে জয়েন করেছে রুয়েটের মেক্যানিকালের ফার্স্ট বয়। সে নাকি সকাল ১১টার আগে অফিসেই যায় না। ২টায় লাঞ্চে আসে, তারপর ইচ্ছা হলে আবার অফিসে যায়, ইচ্ছা না হলে যায় না। এটা দেখে আমার আম্মুর খুব কষ্ট হয়, কারণ আমাকে কোন কোন সরকারী ছুটির দিনেও অফিসে যেতে হয়। এই কষ্ট দূর করার জন্য আমাকে আরইবি-র এপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করে পাঠানো হল, আমি মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এপ্লাই করলাম। বিবেকের তাড়নাই আমার এক বন্ধুকে ফোন করলাম। আমার এই বন্ধু ১০মাস হল পিজিসিবি-তে জয়েন করেছে। সিলেবাস জানার চেয়ে গল্পই হল বেশি। আর সেই গল্পে জানতে পারলাম, ইচ্ছা না হলে সে সারাদিনেও অফিসে যায় না, এক্টাই আফসোস তার- সিরাজগঞ্জে এন্টারটেইন্মেন্টের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। আমি ঢাকায় থেকে আমার বান্ধবীর বিয়েতে যাওয়ার সময় পাই না, আমার এই বন্ধু অবশ্য সিরাজগঞ্জ থেকে চলে আসে।
এই ঘটনা বলার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, বাংলাদেশের সরকারী চাকরিজীবিদের উপার্জন কতটা হালাল, সেটা ভেবে দেখা।
আমি বেশ কয়েকজন আর্মি অফিসারকে জানি, যাদেরকে নিয়মিতভাবে শুক্রবারেও অফিসে যেতে হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও সেনানিবাস সংলগ্ন জেলার বাইরে যাওয়া সম্ভব হয় না।
আমার অবশ্য এর পরেও মনে হয়, সামরিক বাহিনীর বাজেট বাড়ানো অতিমাত্রায় অন্যায় হয়ে গেছে।
ডিস্ক্লেইমারঃ এই মন্তব্য লেখক অথবা অন্য কাউকে সমালোচনা করার, অথবা কটাক্ষ করবার জন্য নয়। তবুও কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। ২৫শে ফেব্রুয়ারির পরে আমার সহ্যক্ষমতা অনেক কমে গেছে, আজকাল আমি খুব অল্পেই অনেক বেশি রিয়্যাক্ট করে ফেলি। স্যরি।
বিশাল আলোচানা চলছে ... চলুক ... তবে ব্যাক্তিগত কিছু মতামত হচ্ছে:
আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সেনাবাহিনীর ব্যাপারে যেটা সবচেয়ে বেশী দরকার, তা হচ্ছে "সচ্ছতা" । জনগন আর সেনাবাহিনীর মাঝে যে বিশাল gap সেটাই সমস্যা হয়ে দাড়ায়। সেনাবাহিনী অবশ্যই একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং যে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য "শক্তিশালী সেনাবাহিনী" অবশ্যই একটি সম্পদ। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের "সামরিক বাজেট" আর "শিক্ষা বাজেট" এ দুইয়ের মাঝে যে বিশাল পার্থক্য সৃষ্টি হচ্ছে , তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুব একটা সুখকর নয়। সেনাবাহিনীর মত একটি সংগঠিত এবং সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় লাভ আদায়ের জন্য শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা যেতে পারে; যেমনটি করা হয়েছিল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরীতে। তবে এই ব্যবহার যেন শুধু রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রধান হিসেবে সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। সেনাবাহিনীর এ ধরনের ব্যবহারের আরও দু একটি উদাহরণ দিচ্ছি, যেমন ধরুন: "বিডিআর শপ" , এ ধরনের বিভিন্ন দোকানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাইকারদের কালোবাজারি তথা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন সম্ভব। এরকম আরও অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে সেনাবাহিনীর secondary ব্যবহার সম্ভব। অর্থাৎ যখন primary কাজ (যুদ্ধ, অশান্তি ইত্যাদি) থাকবে না, তখন এসব কাজে employ করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই এগুলো হবে রাষ্ট্রের তত্বাবধানে। সামাজতন্ত্র অবশ্য সেনাবাহিনীর যথার্থ ব্যবহারের বিষয়ে গণতন্ত্রের চেয়ে কিছুটা বেশী সচেতন।
[এখানে প্রকাশিত মতামত একান্তই আমার ব্যক্তিগত ।]
আমাদের দেশে কোনো ব্যবস্থাই আদর্শ অবস্থায় নাই। যদি সবাই এক সাথে ভালো হয়ে যেতো, যদি সবাই আদর্শ আচরণ করতো, তাহলে অবশ্যই এই পোস্ট লেখার দরকার পড়তো না। মন্তব্যে উঠে আসা সামরিক/বেসামরিক/সরকারি/বেসরকারি ক্ষেত্রগুলোর দগদগে ঘা গুলোও চোখে পড়তো না।
কিন্তু বাস্তবতা হলো যে এই ঘা সারা দেশজুড়েই ছড়ানো। প্রতিটা মানুষই কোনো না কোনো শতাংশে "খারাপ" (ক্ষতিকর কাজে নিয়োজিত অর্থে)। দেশ বা রাষ্ট্রের মাঝে রাষ্ট্র আইডিয়াটা সম্ভবত আমাদের চর্চায় নাই। দেশপ্রেম বললে আমাদের যে আবেগটার কথা মনে পড়ে, শপথের কথা মনে পড়ে সেইটা রাষ্ট্রপ্রেম বললে পড়ে না। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো (সামরিক/বেসামরিক/সরকারি/বেসরকারি) এই রাষ্ট্রের স্বার্থেই কাজ করে। সবগুলো বিভাগের দোষ-ত্রুটি আবাই মিলেই করেছি, তাই সেটার দায়ভারও আমাদের।
মজার ব্যাপার খেয়াল করলাম, আমাদের দেশের কোন একটা সেক্টর একেবারে খুব ভালো অবস্থায় চলছে না। করাপ্ট সবাই হয়ে গেছে, কেউ বেশি কেউ কম। তার মানে একে অপরকে ল্যাং মেরে আসলে কোনো লাভ নাই, ঠিক হৈলে সবাই মিলেই ঠিক হতে হবে।
সামরিক বাহিনীর কাজ নিয়ম মেনে সামরিক বাহিনী করতে পারবে যখন রাজনীতিবিদ ও সরকারি বিভাগগুলো নিয়ম মেনে কাজ করবে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন-
এই গন্ধওয়ালা মনোভাব, আঙুল দেয়ার বাসনা যতোদিন না ঠিক হবে ততদিন গন্ধশোঁকাই সার। 🙁
আমার অভব্য ভাষার জন্যে ক্ষমা চাইছি। এর চেয়ে ভদ্র উদাহরণে বাস্তবতার তীব্রতা প্রকাশ করতে পারছি না বলে দুঃখিত। 🙁
হঠাৎ সামরিক বাহিনী নিয়ে পড়লে কেন বুঝলাম না।
এটা আলোচনা করলে কেমন হয় " তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশে মাসে দশ টাকা বেতন দিয়ে প্রথম শ্রেনীর একজন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পাশ করে দেশের জন্য কি করা উচিৎ এবং আমরা কি করছি?"
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভলো একটা কথা কইছেন। কিন্তু শুধু ইঞ্জিনিয়ার নিয়া পড়তে হইবো ক্যান? যাহোক আমি গ্যালারিতে আছি আলোচনা দেখতে।
এমনে চলতে থাকলে তো কোন টপিক নিয়াই কথা কওন যাবোনা 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
গ্যালরিতে বয়া পড় জিহাদ আমার মত। 😀
@ জিহাদ
টপিক নিয়ে কথা বলা যাবে না কেন, অবশ্যই বলা যাবে, তবে টপিকটা কথা বলার মত একটা উপযুক্ত টপিক হতে হবে, এবং এ ধরনের আলোচনা করার জন্য পর্যন্ত রেফারেন্স সহ কথা বলতে হবে।
হোসেনের পোস্ট সব দিক কাভার করেনি, রেফারেন্স নেই কোন, পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে হঠাৎ মাথায় কিছু চিন্তা চলে এসেছে এবং পোস্ট করে দিয়েছে, ক্রোনলজিক্যাল ইফেক্ট কি হতে পারে তা তার মাথা ছিল না।
যথেস্ট ইমম্যাচিউর পোস্ট, এ ধরনের পোস্ট গার্বেজ পয়দা করে শুধু।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ডাক্তার আর বিসিএস ক্যাডারেরা কি এমন পূণ্য করেছে যে আমরা তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব না। সামরিক বাহিনী, দমকল বাহিনী, ডাক বিভাগ, ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে সাথে ডাক্তার আর বিসিএস ক্যাডারদের কাজকর্মও ভেবে দেখা দরকার।
ডিস্ক্লেইমারঃ ডাক বিভাগ তো বিসিএস ক্যাডারের মধ্যেই পড়ে 😕 ~x(
আঁধার্বৌদি,
সিট কই পড়ছে? আমার আইডিয়াল কলেজে। 🙂
রূপক অর্থে বলি: সরকার হচ্ছে ঈশ্বর। প্রধানমন্ত্রী প্রধান দেবতা। মন্ত্রী ও এমপিরা হচ্ছেন সব পাতি দেবতা এবং দেবী। অসুর হচ্ছে তারাই যারা এই সরকারকে অপোজ করে- তা সে ভাল উদ্দেশ্যেই হোক আর খারাপ উদ্দেশ্যেই হোক। বিদেশী প্রতিপক্ষও এক ধরণের অসুর। তো এই অসুর ঠেকানোর জন্য দেবতা আর্মি এবং পুলিশ বাহিনী গঠন করেন। এদেরকে কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে সেটা পুরোপুরিই দেবতার ওপর। কিন্তু দেবতার দুর্বলতার আশ্রয় নিয়ে অনেক সময় দেবতার চেলা-চামুণ্ডারাই দেবতা হয়ে বসে, পুরাণ ঘাটলে এর ভুরি ভুরি উদাহরণ পাওয়া যাবে, আর পুরাণ সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। দেবতা ও তার কর্মী বাহিনীর ঝড়ে ছিন্ন ভিন্ন হই আমরা, যাদেরকে দাস হিসেবে গণ্য করার চেষ্টা করা হয়।
সমাজ মানেই দেবতা-অসুর এর লড়াই। এই লড়াই যতদিন থাকবে ততোদিন সামরিক বাহিনীও থাকবে। দেবতার চূড়ান্ত ক্ষমতার পরিচয় হচ্ছে মানুষ মারার লাইসেন্স দেয়া। মানুষ মারলে পাপ নাকি পূণ্য সেটা সমাজরূপী ঈশ্বরই নির্ধারণ করে। মুখে কোন নাম না নিয়ে মানুষ মারলেই আপনি পাপী। কিন্তু কারও নামে মানুষ মারুন- বাস আপনি দেবতার প্রিয়পাত্র। কিলিং ইন দ্য নেইম অফ- ঈশ্বর, দেশ, সমাজ, নিরাপত্তা, শান্তি- গানের কয়েকটা লাইন না দিয়ে পারছি না-
Those who died are justified, for wearing the badge, theyre the chosen whites
You justify those that died by wearing the badge, theyre the chosen whites
ব্যাজের মাধ্যমে মানুষ মারার লাইসেন্স দেয়া হয় এমন কোন কিছুর অস্তিত্ব চাই না। কিন্তু আমাদের সমাজ বাস্তবতায় সেটা সম্ভব না। তাই ধীরে ধীরে এগোতে হবে। সামরিক বাহিনীর যুক্তিবাদী মানুষদেরই এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। disarmament ই আমাদের দরকার। তবে নিজেরা নিরস্ত্র হয়ে যাওয়ার আগে আম্রিকাকে নিরস্ত্র করা দরকার। NASA-র প্রতি আমার কোন দরদ নেই একটি কারণে- যে বিমানগুলো আফগানিস্তানে শত শত মানুষ মেরেছে সেগুলো তাদেরই তৈরি।
এমন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যে পৃথিবীতে একজন মানুষের মাধ্যমে আরেকজন মানুষকে মারার কোন চেষ্টা করা হবে না। অস্ত্র তৈরি হবে না। নিউক্লীয় অস্ত্র দিয়ে কাউকে সজ্জিত করার চেষ্টা করা হবে না। এজন্য আমি সামরিক বাহিনীর যেকোন ধরণের আধুনিকায়ানের বিরোধী যদি সে আধুনিকায়ন এর অর্থ হয়ে মানুষ মারার আরও দুর্ভেদ্য অস্ত্র উদ্ভাবন বা ক্রয়। কিন্তু জানি এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবার নয়। তারপরও কল্পনা করে যাই, স্বপ্ন দেখে যাই-
You may say that I'm a dreamer
But I'm not the only one
I hope someday you'll join us
And the world will live as one
হোসেন,
তোমার এই পোষ্টের বিষয়বস্তুটাই আমার কাছে যেন কেমন কেমন লেগেছে। মনে হয়েছে সেনাবাহিনীকে মর্চুয়ারীতে পাঠিয়ে সবাইকে তা কাটাছেড়া করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আহবান জানিয়ে এক ধরনের উস্কানী দেয়া হচ্ছে।
আমার তো মনে হয় ভিন্ন মত নয়, কে সেনাবাহিনীর কত ভুল ধরতে পারে তা দেখানোর জন্য এক ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়েছে, আর ফলে কিছু দর্শক অলরেডী গ্যালারীতে বসে আছে।
এ বিষয়ে আন্দালিবের উপরের মন্তব্যটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে :thumbup: ।
তোমার পোষ্টের এক জায়গাতে বলেছঃ
তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছ যে, এখন আমাদের সেনাবাহিনী বিলুপ্ত হওয়া উচিত। আজ যদি হঠাৎ করে যুদ্ধ লাগে দেশে, তাহলে হঠাৎ করেই সব সেনা সদস্যদের কি একত্র করতে পারবা? এরা যদি বিলুপ্ত হয় তাহলে এসব সেনা সদস্যদের সারা বছরের কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবা? সেনা সদস্যরা সারা বছর যদি প্রশিক্ষণ না নেয়, তাহলে কিভাবে যুদ্ধ করবে?, আর তাহলে কিভাবে একটা সুদক্ষ সেনাবাহিনী তোমরা আশা করো? সত্যিই বেশ অবাক হলাম তোমার ধারনা দেখে।
তোমার পোষ্টের আরেক অংশে লিখেছঃ
কথাটাকে আমি যদি আরেকটু ঘুরিয়ে এভাবে বলিঃ সামরিক অফিসারদেরকে বা সেনাবাহিনীকে রাজনীতিবিদরা হাতে রাখতে অত্যন্ত আগ্রহী হন তাহলে কি খুব একটা ভুল বলা হবে? কেন সরকার বদল হলে সেনাপ্রধান সহ সব জিওসি এবং উপরস্থ সামরিক কর্মকর্তারা বদল হয়ে যায় বলতে পারবা? কেন জেনারেল এবং অন্যান্য উপরের লেভেলের প্রমোশন বোর্ডে রাজনীতিবিদরা সুপারিশ করে বলতে পারবা?
তুমি শুধু এটুকু ইনশিউর কর যে, ভবিষ্যতে সেনা অফিসারদের প্রমোশন বোর্ডে রাজনৈতিক কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না, আর সরকার পরিবর্তন হলে তার সাথে সাথেই সেনাবাহিনীর কমান্ডেও কোন পরিবর্তন আসবে না; আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, তাহলে কোন সেনা অফিসারও রাজনীতিতে কোন আগ্রহ দেখাবে না এবং যোগ্য লোকই যোগ্য আসনে আসীন হবে। কি পারবে ওটা ইনশিউর করতে, পারবে কি সর্ষের ভিতরের ঐ ভূত তাড়াতে? যদি পার তবেই শুধুমাত্র এই অভাগা দেশের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব, ঐ টক-শো করে আর ব্লগ লিখে, কমেন্ট করে কোন ফায়দা হবেনা। তোমাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে দুঃখিত। আমি তোমার পোষ্টের বিষয়বস্তুর সমালোচলা করলাম মাত্র, ব্যক্তি হোসেনকে নয়, ধন্যবাদ।
রহমান ভাই, আমার মন্তব্যটা পড়ে দেখেন বস! মনে হচ্ছে এই কথাগুলোই একটু ঘুরিয়ে লিখেছি আমি 🙂 আপনার সাথে এই বিষয়টায় চিন্তার মিল দেখে ভালো লাগতেছে 🙂
স্যার মনের কথাটাই বলেছেন। ধন্যবাদ স্যার।
রহমান ভাই যদিও আমাকে সরাসরি কিছু বলেন নাই কিন্তু গ্যালারি শব্দটাতে বিরক্ত হয়েছেন এবং তার ব্যভারকারী আমি নিজে তাই এ ব্যাপারে নিজের অবষ্থান পরিষ্কার করছি। ভাইয়া প্রথমবার আমি যখন গ্যালারির কথা বলেছি তখন আমি আসলেই একটি প্রাণবন্ত আলোচনা দেখার আগ্রহ নিয়ে বসেছিলাম। এ ব্যাপারে আামর জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে ওয়াকিবহাল থাকায় আমি অযথা কোন মন্তব্য করে পোস্টের মূল আলোচনা থেকে সরতে চাইনি। কিন্তু তারপরের মন্তব্যগুলো দেখে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছি। কারণ আমি নিজের বোধ থেকে এক কমেন্টে যা বুঝছি আরেকজন তা বুঝছে না। তারপরেও নিজে মন্তব্য করতে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে আমি পোস্ট এবং রিলেটেড কথাবার্তা কিছুই বুঝি নাই। অতএব আমি আলোচনায় না গিয়ে আবার গ্যালারি শব্দটা ব্যবহার করছি। তার মানে এই নয় এইখানে সবাই এসে আর্মিকে নিয়ে কাটা ছেড়া করবে আর সেটার মজা দেখতে আমি এখানে গ্যালারিতে বসেছি।
আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে পারছি না। আপাতত এটুকু বলি ঘ্যালারি শব্দের এইরকম মানে আপনি করবেন বুঝলে আমি এটা ইউস করতাম না। আপাতত :frontroll: :frontroll: :frontroll:
"তুমি শুধু এটুকু ইনশিউর কর যে, ভবিষ্যতে সেনা অফিসারদের প্রমোশন বোর্ডে রাজনৈতিক কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না, আর সরকার পরিবর্তন হলে তার সাথে সাথেই সেনাবাহিনীর কমান্ডেও কোন পরিবর্তন আসবে না; আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, তাহলে কোন সেনা অফিসারও রাজনীতিতে কোন আগ্রহ দেখাবে না এবং যোগ্য লোকই যোগ্য আসনে আসীন হবে। "
সহমত. 🙂 🙂 🙂
😮 😮 :no: :no:
আল্লাগো, ১০০০ বছর আগের ক্রুসেড আমলেও ক্যাডেট কলেজ ছিলো নাকি?? আর সেই যুগের একজন ক্যাডেট আবার ব্লগিংও করে!! 😮 😮
সবাইকে সালাম
বড়ই উত্তপ্ত অবস্থা দেখছি....
আন্দালিব ভাই 😀 ভাল উপমা হয়েছে
তবে শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর ভুমিকা আছে, নাহলে দুনিয়ার সব দেশে সেনাবাহিনী থাকতো না।
তোর প্রোফাইল ছবি দেইখা ডরাইছি 🙁
;;) এইটা কি টান্টু আহমেদ, মাস্রুফ?
নাহ এইটা টান্টু না। ঐ ব্যাটা ৯৯-০৫
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বাংলাদেশে যখন সামরিক শাসন চলেছে বা শেষ হয়ে গেছে তখনও এর প্রভাব উপলব্ধি করার বয়স হয় নি। তাই সামরিক শাসন নিয়ে মন্তব্য করব না। কিন্তু ২০০৬ এর ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে ২০০৯ এর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত সময়টা ক্যান্টনমেন্টের বাইরে থেকেছি। হঠাত করে মনে হলো আর ডেপ্লয় হয়ে গেলাম এভাবেতো আমরা ডেপ্লয় হইনি। মনে পড়ে সেদিনের কথা যেদিন আমরা প্রথম ক্যাম্প স্থাপন করতে যাই, সাধারণ জনগন আমাদেরকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে দেখলাম তারাই আর আমাদেরকে পছন্দ করছে না। কারণটা খুবই সাধারন। যারা আমাদেরকে ডেপ্লয় হতে দেখে খুশি হয়েছিল, তারা যখন নিজেদের দুর্নীতির গভীরতাটা টের পেয়েছে তখন তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। তখন তাদের কাছে আর সেনাবাহিনী ভালো নয়। তখন সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। শান্তিকালীন বা যুদ্ধকালীন সময় যে কোন সময়ে সেনাবাহিনী ডেপ্লয় হতে গেলে উপরওয়ালার হুকুম ছাড়া কিছুই করতে পারে বলে আমি মনে করি না।
আর যদি করতে পারত তাহলে ২৫ ফেব্রুয়ারীর ইতিহাসটা অন্যরকম হতো। চোখের সামনে নিজের ভাইয়ের শরীর রক্তাক্ত হতে দেখতে হতো না।
গ্যালারিতে বসে অনেকক্ষণ দেখলাম, পড়লাম। এবার কিছু বলি :
এক. বোঝা যায়, হোসেন বিষয়টা নিয়ে কোনো পড়াশুনা করেনি। প্রস্তুতি নেয়নি। ফলে লেখাটা খুবই খাপছাড়া, যুক্তিহীন এবং একপেশে হয়েছে। অন্য আরো কারো কারো মন্তব্য একই দোষে দুষ্ট। যেমন আবীরের।
দুই. সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি নেই, ওই প্রতিষ্ঠানের কারো কারো উচ্চাভিলাষ- বিষয়গুলো প্রতিটি আলাদা আলাদা আলোচনার যোগ্য। এতো স্বল্প পরিসরে সেটা অসম্ভব। এতে বরং বিভ্রান্তিই বাড়বে।
তিন. তাই এরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে, সুস্থ-প্রাণবন্ত বিতর্ক চাইলে মূল লেখাটা হতে হবে আরো সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিতে জোরালো। নয়তো, প্রথম দিককার মন্তব্যগুলোর মতো পুরো আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে, সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কাও থেকে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো লাগলো অনেক যুক্তিপূর্ণ মন্তব্য পড়ে। পরের দিকে আলোচনাটা অনেকটা সুস্থ হয়ে এসেছে।
চার. রাজনীতিকরণ সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। কোনো প্রতিষ্ঠান এ থেকে মুক্ত নেই। আমাদের দূর্ভাগ্য সম্ভবত এটাই। পেশাদারিত্ব, যোগ্যতা, দক্ষতা- এসব কিছু ছাপিয়ে সব পেশাতেই, সব প্রতিষ্ঠানে দলবাজি জায়গা করে নিয়েছে। এজন্য এককভাবে রাজনীতিকরা নন, আমাদের সব পেশার লোকজনও দায়ী। কারণ আমরা অযোগ্যরাও উপরে উঠতে চাই, প্রয়োজনে যোগ্যদের ল্যাং মেরে ফেলে দিয়ে হলেও।
পাঁচ. সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন আছে মেনে নিয়েই হোসেন তার পোস্টে শান্তিকালে পুরো প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করার কথা বলেছে। এরকম কোনো ধারণা আমি আগে পড়িনি। সেটা সম্ভব কিনা, বাস্তব কিনা- কে জানে! তবে আরো অনেকের মতো আমি অস্ত্রমুক্ত, হিংসামুক্ত, যুদ্ধ-হানাহানিমুক্ত, ভালোবাসা আর শান্তির একটা বিশ্ব চাই। জানি এটাও অবাস্তব, কল্পনা; তবে অযৌক্তিক না। তবু সেই স্বপ্ন দেখে যেতে থাকবো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
অনেক মন্তব্য পড়ার পর নিজের বোধ শক্তি সম্পর্কে যে নুন্যতম ভালো ধারণা ছিল সেটা অবশিষ্ট নাই। অনেকক্ষণ পর্যন্ত বুঝি নাই পোস্টের আলোচ্য বিষয় কি? এমনকি পোস্টের প্রতিক্রিয়াগুলোর সাথে পোস্ট মিলাতে আমাকে গলদ ঘর্ম হতে হচ্ছে।
আমি যতটুকু বুঝেছি তা বলি। আমার ভুল হলে কেউ শুধরে দিবেন। হোসেন এই পোস্টে সেনাবাহিনীর পটভূমি নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেছে আর ঐতিহ্যগত ভাবে সেনাবাহিনীর রূপ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে সেনাবাহীর আধুনিকায়নের সাথে সাথে এর পরিবর্তন ফুটানোর চেষ্টা করেছে। তার কাছে মূল খেদের অংশ ছিল আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর অংশগ্রহন নিয়ে। এবং সম্ভবত এইটা নিয়ে খারো দ্বিমত নাই। আমার কাছে মন হয় আমদের এই ক্যু কালচার পরবর্তী কালে বাধ্য করেছে সব সরকারকেই আর্মি তোষণ নীতি মেনে চলতে। এর ফলে সেনাখাতে বাজেট বেড়েছে। এখন গ্রহণ যোগ্য তথ্য ছাড়া এই বাজেট বাড়ার ব্যাপার আর্থসামাজিক প্রয়োজন এইগুলা বিশ্লেষণ কঠিন হবে। আর আামর মত নির্বোধের সেটা বুঝাও কঠিন হবে।
হোসেনের সাথে আরেক জায়গায় একমত, সেটা হলো আভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা যেমন অপারেশন ক্লিন হার্ট জাতীয় ব্যাপারে আর্মির ইনভল্বমেন্টের বিকল্প ভাবা উচিত।
তবে আমি পোস্টের সাথে দ্বিমত বড় একটা জায়গায়
এই সিদ্ধান্ত দেয়াটা খুব সম্ভবত হোসেনের নিজের। এই ব্যাপারেই সে মত পাল্ট মত চেয়েছে। এ ব্যাপারে আমি বলি, আমি নিজে বিশ্বাস করি দেশের সার্বভৌমত্বের খাতিরে একটি শৃঙ্খলিত সেনাবাহিনী থাকবে বর্তমান বাজেট নিয়েই (ডাটা জানি না বলে আঢার হাতড়ানৈ হলো), তবে শান্তিকালীন সময়ে আমাদের সেনাবাহিনীকে গণমুখী করতে হবে। গণমুখী করার প্রকিয়াটি সম্পর্কে আমি নিজেই খুব বেশি ক্লিয়ার যে তা না। তবে দেশের জংণের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে সে সব জায়গা আর্মি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে ইত্যাদি।
পোস্টের কমেন্টের অনেকগুলৈ আমি পোস্টের সাথে রিলেট করতে পারিনি (রায়হানের ঘোষিত অফটপিক বাদ দিয়েও)। আর কিছু কিছু জায়গায় ইমোশনের দ্বারা সরলীকৃত হয়েছে আমাদের ভাব।
( ব্লগের সবার মতই ব্যাক্তিগত। অতএব আমারটাও এর ব্যাতিক্রম নয় । )
অনেক্ষন ধরে সব গুলো মন্তব্য পড়লাম। আমি আপাতত এ বিষয়ে বলতে চাচ্ছি না। তবে একটি কথা না বললেই নয়, এই পরিসরে এই ধরনের আলোচনা না হওয়ায় ভাল। অনেকেই মূল পোষ্টে লেখক কি বলতে চেয়েছে সেটা বোঝেননি এবং অনেকেই ইমোশনাল হয়ে গেছে। তবে পুরা পোষ্ট এবং আলোচনা হাওয়ার উপর দিয়ে গেছে, কোন রেফারেন্স, ডাটা ইত্যাদি ছিল না।
ধর্ম.....রাজনীতি.....আর এখন মনে হচ্ছে সেনাবাহিনী.....এই তিন বিষয়ে আলোচনা শুরু হলেই কেন যেন একটা তালগোল পাকিয়ে যায়...ব্লগের পরিবেশটা গুমোট হয়ে উঠে।
সামহোয়্যার, সচলায়াতন ইত্যাদি থেকে আমাদের এই ব্লগটা কি অনেকটা আলাদা নয়? আমরা কি পারি না এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে?
কমেন্ট, কাউন্টার-কমেন্ট, কাউন্টার-কাউন্টার-কমেন্ট এর মাধ্যমে আমরা কি আমাদের নিজেদের প্রোথিত বিশ্বাস/ধারনাকে সমুন্নত রেখে অন্যের প্রতি শ্লেষমেশানো বক্তব্য ছুঁড়ে দেয়ার সহজাত প্রবণতাকে আড়াল করতে পারছি? মনে হয় না....
আমার সম্পূর্ন নিজস্ব একটা মতবাদ আছে। আবারও বলি "সম্পূর্ন নিজস্ব"। তা হল, বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আমরা মানুষ মাত্রই অন্ধ, তা সে যেই বিশ্বাসই হোক না কেন। "তালগাছ আমার" সিন্ড্রম থেকে আমরা প্রকৃতপক্ষে ক'জন বেরিয়ে আসতে পারি (বা আসতে চাই!)।
হাজারো তথ্য, উপাত্ত, চার্ট উপস্থাপন করলেও মনে প্রাণে আমরা আমাদের বিশ্বাস থেকে সরে আসতে চাই না। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বা আদর্শের ব্যক্তি নিজের সামনে অপকর্ম করতে দেখলেও তাঁর দলের লোককেই সমর্থন করে যাবেন, এটাই কি স্বাভাবিক নয়? মনেপ্রাণে নাস্তিক একজনকে যত কুদরতই দেখানো হোক সে এই জনমে আল্লাহ-খোদাকে আমলেই আনবে না। আর তাই আজন্ম সেনা-প্রেমীকে যেমন সেনা-বিরোধী বানানো যায় না, তেমনি এর উলটোটাও সত্যি।
তাই বলি কি, (তালগাছ আমার), এ ধরণের আলোচনা থেকে আপাতত: একটা লং-ব্রেক নেই! অন্য কিছু, যেমন, শেওয়াগ, আশরাফুল ইত্যাদির দিকে দৃষ্টি দেই! ব্লগ জমে উঠবে, আর এই চান্সে আমার ডিসিপ্লিন সংশ্লিষ্ট পুরানো রোলটা প্লে করতে পারব, সবাই বলেন "আমিন"...
আমিন :boss: :boss: :boss:
আপনার মতামতের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
১।ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এর সাথে অন্য ব্লগের পার্থক্য হচ্ছে এখানে আমরা সবাই ভাই/বোন।সে কারনেই অন্য ব্লগের চুলোচুলি এখানে হয়না।তার মানে এই নয় ক্যডেট কলেজ ব্লগ এ পৃথিবীর যাবতীয় বিভ্রান্তিকর টপিক এড়িয়ে যাবে।আমি যদি ভুল হই ভুল মেনে নিতে সমস্যা কোথায়।ভদ্র ভাবে কাউকে ভুল বলাতে দোষ আছে বলে আমার মনে হয় না।আমাদের শিক্ষা তো এখানেই।
২।বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করে।যারা করে তাদের মাঝ থেকেই অবিশ্বাসী তৈরি হয়।আবার অনেক অবিশ্বাসী মানুষ ধর্মপ্রাণ মানুষে পরিণত হয়।আমি আলোচনা না করলে বুঝবো কিভাবে আমি কি চাই?
৩।আমাদের সবার আগে সেনাবাহিনী সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত।কারন আমরা(এক্স-ক্যাডেট, আর্মি পারসান) সেনাবাহিনীকে যতটুকু চিনবো অন্যান্য সাধারণ জনগন ততটুকু কখনো জানতে পারে না।দেশ যেমন আমার, তেমনি বাকি সবার।আমার মনে হয় না এদেশের সুস্থ্য কোন মানুষ ২৫ ফেব্রুয়ারী চায়।এজন্যই আলোচনা দরকার।যদি সত্যি না জানি আমি বিচার করবো কিভাবে।
যে যতটুকু জানে ততটুকু দিয়েই বিচার করে।তারমানে এই নয় যে শুধু আমি ঠিক বাকি সব ভুল।তালগাছটি আমার বললে ব্লগিং করার কোন দরকার কি আছে? তাহলেতো হিটলার ও বলতে পারে আমি ভালো লোক।নিজের চিন্তাকে শুধু নিজের দৃষ্টি দিয়ে না দেখে সবার দৃষ্টি দিয়ে দেখার জন্যই মনে হয় ব্লগ লেখে সবাই তাই না?
সবশেষে...
কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে সরি।আমার ধারণায় কোন ভুল কেউ দেখিয়ে দিলে খুশি হব।
আমিন :boss: :boss: :boss: :boss:
সবাই বলেন “আমিন”
:thumbup:
এই পোস্টের বেস্ট কমেন্ট !