কি বলব বলুন?

মাস্টার্স করেছিলাম জার্মানিতে। ওরা বলে ডিপ্লোম । ডিপ্লোম আরবাইট (মাস্টার্স থিসিস) করেছিলাম ZSR এ(Center for Radiation Protection and Radiocology) । একটা ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রজেক্ট ছিল এটা। কাজ করছিলাম PSI (Paul Scherer Institute) Switzerland এর Injector 2 Cyclotron এ।
ringcyc
এটি একটি সর্বাধুনিক কণা ত্বরণ যন্ত্র (state of the art particle accelerator) যা উচ্চ শক্তি সম্পন্ন প্রোটন রশ্মি তৈরী করে। আমার গবেষনা ছিলো এই প্রোটন রশ্মি দিয়ে দীর্ধ অর্ধজীবন (long half life) সম্পন্ন অণুগুলোকে স্বল্প অর্ধজীবন (short half life) এর অণুতে রুপান্তরিত (transmute) করা। পৃথিবীকে আগামী প্রজন্মের বসবাসের উপযোগী করার জন্য ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় পদার্থকে ধ্বংস করার এটা হচ্ছে একটা সর্বাধুনিক (cutting edge) প্রযুক্তি । কাজেই পরমাণু বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা মানব কল্যান নিয়ে কাজ করছিলাম।

এখন নীচের ছবিটি দেখুন।
nuclear_explosion1
একটি পরমাণু বোমা। ঠিক এইরকম একটা বোমা হিরোসিমাতে একমুহুর্তে কি করেছিল দেখুন
180px-atomiceffects-hiroshima
মুহুর্তের মধ্যে ৮০০০০ মানুষের মৃত্যু এবং আঘাত ও তেজস্ক্রিয়তার কারণে সর্বমোট ৯০০০০০-১৪০০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। (তেজস্ক্রিয়তার পরবর্তী প্রভাবে অসুস্থতা ও বিকলাংগতার হিসাব বাদ দিয়ে)।

প্রশ্ন তাহলে বিজ্ঞান মানেই কি ধ্বংস ?

নীচের ছবিটি দেখুন।
vaccin_3
একটি ছোট শিশুকে টিকা দেয়া হচ্ছে । যা শিশুটির সুস্থ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয়।
কাজেই দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান ধ্বংস না সৃষ্টি তা কে কিভাবে ব্যাবহার করছে তার উপর নির্ভর করে।

নিচের ছবিটি দেখুন। ওপেনহাইমার ও আইন্সটাইন
einstein_oppenheimer

পরমাণু বোমার জনক দুইজন কি কথা বলছিলেন? হিরোসিমায় তাদের সাফল্যের কথা? নাকি পরমাণু বোমা নিয়ে চলমান গবেষণার কথা বলছিলেন? জানি না। কেবল জানি হিরোসিমার ধ্বংসের জন্য এই মহত প্রাণ বিজ্ঞানীকে সন্ত্রাসী ভাবতে পারি না। আমাদের আজকের সভ্যতার পিছনে যার অবদান অসামান্য।

১৯০০ সালে আইন্স্টাইন সুইস ফেডারেল ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক করেন ( এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন Rontgen, Debye, Otto Stern, Pauli, Bloch, Guillaume সহ আরো ২১ জন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী)। আইন্স্টাইন ১৯১২ তে এখানে তত্বীয় পদার্থবিদ্যার প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। তার গবেষণার অনেক বিষয়ের মধ্যে ছিল diffusion এবং viscosity. একি প্রতিষ্ঠানে ঘটনাচক্রে যে বিষয়ে আমি পিএইচডি করছি।

কেউ আমার কথায় ভেবে বসেন না যেন আমি নিজেকে বড় কিছু ভাবছি। এটা অনেকটা বি এন পি সরকারের সময় বগুড়ার সবার সাথে তারেক জিয়ার যে সম্পর্ক ছিল, আইন্সটাইনের সাথে আমার একই সম্পর্ক। আমরা একই ইন্সটিটিউটের একই বিভাগের ছাত্র। ব্যাস আর কিছু না।

আব্দুস সালাম (তত্বীয় পদার্থবিদ) দূর্বল পারমানবিক আকর্ষন বলের তত্বের জন্য ১৯৭৯ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। পারটিকেল ফিজিক্সের পুরোধা ছিলেন তিনি। তিনি একসময় বলেছিলেন

“The Holy Quran enjoins us to reflect on the verities of Allah’s created laws of nature; however, that our generation has been privileged to glimpse a part of His design is a bounty and a grace for which I render thanks with a humble heart.”
(তথ্যসুত্রঃ http://nobelprize.org/nobel_prizes/physics/laureates/1979/salam-bio.html)

তার নোবেল বাংকুয়েট ডিনারের স্পীচ টা তুলে দিলাম। অনুবাদ করার দুঃসাহস হলো না।

Banquet Speech
Abdus Salam’s speech at the Nobel Banquet, December 10, 1979

Your Majesties, Excellencies, Ladies and Gentlemen,

On behalf of my colleagues, Professor Glashow and Weinberg, I thank the Nobel Foundation and the Royal Academy of Sciences for the great honour and the courtesies extended to us, including the courtesy to me of being addressed in my language Urdu.

Pakistan is deeply indebted to you for this.

The creation of Physics is the shared heritage of all mankind. East and West, North and South have equally participated in it. In the Holy Book of Islam, Allah says

“Thou seest not, in the creation of the All-merciful any imperfection, Return thy gaze, seest thou any fissure. Then Return thy gaze, again and again. Thy gaze, Comes back to thee dazzled, aweary.”

This in effect is, the faith of all physicists; the deeper we seek, the more is our wonder excited, the more is the dazzlement for our gaze.

I am saying this, not only to remind those here tonight of this, but also for those in the Third World, who feel they have lost out in the pursuit of scientific knowledge, for lack of opportunity and resource.

Alfred Nobel stipulated that no distinction of race or colour will determine who received of his generosity. On this occasion, let me say this to those, whom God has given His Bounty. Let us strive to provide equal opportunities to all so that they can engage in the creation of Physics and science for the benefit of all mankind. This would exactly be in the spirit of Alfred Nobel and the ideals which permeated his life. Bless You!

From Les Prix Nobel. The Nobel Prizes 1979, Editor Wilhelm Odelberg, [Nobel Foundation], Stockholm, 1980

Copyright © The Nobel Foundation 1979

ভদ্রলোক কি বোকা ছিলেন তাই না? নোবেল বাংকুয়েট ডিনারে তিনি পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানীদের সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কথা বলেন, কোরান থেকে কোট করেন। যেখানে কেউ কেউ শুধু আপ কোয়ার্ক, ডাউন কোয়ার্কের নাম জেনেই আল্লাহর অস্তিত্ব যে নেই তা প্রমান করে ফেলেছে। আর পারটিকেল ফিজিক্সে নোবেল পাওয়ার পরও তিনি তা বুঝতে পারলেন না? আসলে মনে হয় বিজ্ঞানের সাথে তার জ্ঞানের ”বিবর্তন” হয় নাই। কিন্তু বাকি বিজ্ঞানী যারা ঐ ডিনারে ছিলেন তারাও তো তার বক্তব্যের অসারতা ধরিয়ে দিতে পারতেন ?

নীচের ছবিটি দেখুন। একটি কোল্ট এম ৪ রাইফেল।
colt-m4-04

মানুষ মারার এই অস্ত্রটি কিন্তু এই দাড়িয়ালা ভদ্রলোক তৈরী করেননি।
7329107_9f5f308a39
তৈরী করেছিলেন নীচের দাড়িয়ালা ভদ্রলোক
200px-samuelcolt

বিজ্ঞানী বা gunsmith Samuel Colt.

দাড়িয়ালা মুসলমান মানুষ দেখেই অনেকেই নীচের তিনটার মধ্যে একটা সিদ্ধান্তে পৌছান-
১। মুসলমান মাত্রই সন্ত্রাসী।
২। দাড়িয়ালা মুসলমান মাত্রই সন্ত্রাসী।
৩। দাড়িয়ালা মাত্রই সন্ত্রাসী।

কিন্তু তাহলে একটা সমস্যা দেখুন।
abdus_salam
১। আব্দুস সালাম (মুসলমান এবং দাড়িয়ালা)
kakoli_withloves-mdx-91984

২। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর (দাড়িয়ালা এবং ব্রাক্ষ্)

উনারা কি সন্ত্রাসী ?

সিধ্বান্ত নেয়ার ভার আপনার।

স্যার আইজ্যাক নিউটন বলেছিলেন তিনি জ্ঞান সমুদ্রের তীরে নুড়ি কুড়াচ্ছেন। জ্ঞান সমুদ্র পাড়ি দেয়া তো দূরের কথা পানিতে পা ভেজানোর কথাও বলেন নি। আর আমি সেই ছোটবেলা বেরিয়েছিলাম জ্ঞান সমুদ্র দেখবো বলে। তা যদি কক্সবাজার অবস্থিত হয় তবে আমি সিলেট থেকে রওয়ানা হয়ে এখনও হবিগঞ্জ পার হইনি। জীবনের অর্ধেক কেটে গেছে ইতিমধ্যে।এই জীবনে কখনও কক্সবাজার পৌছাব বলে মনে হয় না। আর সমুদ্র পাড়ি দেয়া তো দূরের কথা।

তবে পথ চলতে চলতে এতোটুকু জ্ঞান হয়েছে বিজ্ঞান সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে এসেছে। আর সভ্যতার প্রথম মানদন্ড হচ্ছে পর মত, পর বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখানো। তবে বিজ্ঞানের নামে যখন কেউ অন্যের বিশ্বাসকে গালি দেয় তখন কি বলব ? বিজ্ঞান অসভ্য? কিভাবে বলি? আব্দুস সালামের সহকর্মী বিজ্ঞানীরা তো তার বিশ্বাসকে কখনও আঘাত করেন নি। কে সভ্য আর কে অসভ্য তা ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে। বাংলা ভাইর মতো ধর্মান্ধ আর এদের মতো বিজ্ঞান অন্ধদের আচরনের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখি না।

কথায় কথায় আপ কোয়ার্ক আর ডাউন কোয়ার্কের উল্লেখ করা আর আর তৃষ্ণার্ত অবস্থায় এক গ্লাস ঠান্ডা পানির কথা বলতে যেয়ে পানিতে দ্রবীভূত ম্যাগনেসিয়ামের শিয়ার মডুলাস ১৭ গিগা পাস্কেল এই তথ্য দেয়া যে সমান অপ্রয়োজনীয় তা বুঝতে বিজ্ঞান জানার দরকার হয় না। সাধারণ মাত্রা জ্ঞান থাকলেই যথেষ্ট।

আজকাল জনপ্রিয় হওয়ার একটা সহজ উপায় হলো ধর্ম, বিশেষ করে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা। ভিতরে কি আছে না আছে ব্যাপার না, কষে একটা গালি দিলেই আপনি হিট। বিশ্বাস না করলে এই সিসিবিতেই দেখুন।

বিঃ দ্রঃ

মডারেটরদের বলছি। অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করে যদি পোস্ট লিখা যায় তাহলে এখানে মডারেশন ব্যাপারটা না থাকাই ভাল। যার যা যেভাবে ইচ্ছা লিখবে। মডারেশনের পর তা ছাপা হলে মনে হয় এটা ক্যাডেটদের অফিসিয়াল মত। মডারেশন না থাকলে মনে হবে যার যেরকম ইচ্ছা সেরকম লিখেছে। একান্ত ব্যাক্তিগত অনুভুতি। ব্লগ কর্তৃপক্ষ শুধু ডিসক্লেইমার দিয়েই দায় এড়াতে পারবে না । অন্যথায় ব্লগের নাম ক্যাডেট কলেজ ব্লগ বদলে অন্যকিছু করা উচিত। কারন ক্যাডেট কলেজের নাম নিয়ে যাই বলা হবে আমি চাই বা না চাই ক্যাডেট হিসেবে তার একটা অংশ হয়ে যাব। জোড় গলায় বলছি আমি কোনোভাবেই এই ধরনের কোনো কমিউনিটির অংশ হতে চাই না।

৮,৮৯৫ বার দেখা হয়েছে

৯৬ টি মন্তব্য : “কি বলব বলুন?”

  1. আমি ভাই ক্যাডেট কলেজ়ের কেউ না তবুও মাঝে মধ্যো উকি ঝুকি মারি(আমার ক্যাডেট বন্ধুদের লেখা পড়ার জন্য)। প্রফেসর আব্দুস সালাম ছিলেন কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের লোক যারা ইসলাম থেকে খারিজ। এখানে death section বিস্তারিতভাবে লেখা আছে।

    জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      নাসের,
      কাদিয়ানীরা কিন্তু ইসলাম ছেড়ে যায় নাই, নাকি?

      তারমানে কি দাড়ালো, ওরা নাস্তিক নয়। তাহলে ত ফাহিমের উল্লেখ করা প্রফেসর সালামের উদ্ধৃতির মর্ম ঠিকই থাকল, তাই না?


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
        • ফাহিম (৯০-৯৬)

          ভাই যদি আপনি মুসলমান হোন তবে বলি, না হলে পড়ার কোনো দরকার নেই।

          আল্লাহ বার বার বলেছেন ফিতনা না করতে। আর ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। আমরা যারা সুন্নি বা শিয়া তারা নিজেরাই কি ঠিকমতো ধর্মটা পালন করি। কিয়ামতের দিন নিজের হিসাব দিতে দিতেই জীবন শেষ হয়ে যাবে। অন্যকেউ ঠিক না বেঠিক মুসলমান তার সার্টিফিকেট দেবার সময় পাবো না। ধর্মের ব্যাপারে নিজের জানার জন্যই সব জিনিষ এখনো বাকি রয়ে গেছে। এখনো কোরান পড়ি বাংলা বা ইংরেজী অনুবাদ পড়ে। অনুবাদক যা বলে তাই বিশ্বাস করি। কিন্তু আরবী বিশেষ করে কোরানের আরবীর অনুবাদ যে কতো জটিল তাতো নিশ্চয় জানেন। তারপর রয়েছে কতো তাফসীর। হাদিস গুলোও জানতে হবে। এসব জানতে জানতে কাদিয়ানীরা মুসলীম না অমুসলীম তা জানার সময় আমি পাবো বলে মনে হয় না। আবার আল্লাহ বলেছেন তুমি না জেনে কোনো মুসলমানকে কাফির বলো না। কাজেই তাদের মুসলমান্ত্বের সার্টিফিকেট দেবার ভার আমি আল্লাহর উপর ছেড়ে দেই। আর আসলে আমি কে, কি ঠিক আর কি বেঠিক তা বিচার করার ?

          জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অসম্ভব ভালো লাগলো...

    কতটা ভাল লাগল তা বলে বোঝাতে পারছি না...
    :salute: :salute: :salute:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    ভাইয়া সব মিলিয়ে এই পোষ্ট ভাল লাগল। কিছু ক্ষেত্রে আমার চিন্তা ভাবনার সাথে মিলেনি তবে আমি আপনার লেখাটা শাব্দিকভাবে না নিয়ে আপনার চিন্তাটা নিয়েছি, মানে আপনি কি চাচ্ছেন তা। মডারেটর প্যানেল এর ইউজার দের মতামত এবং চাহিদা চিন্তা করা উচিৎ। আমার মনে হয় ব্লগ এডজুট্যান্ট একটা পোষ্ট দিতে পারেন যেটায় সবার মতামত প্রতিফলিত হবে কমেন্টের মাধ্যমে। এরপর মডারেটর প্যানেল সেটা নিয়ে একটা অনলাইন মিটিং এ বসতে পারে। সিসিবি এখন আর ছোট এবং পরীক্ষামূলক কিছু নয়। অনেক অনেক বেশি দায়িত্ব তৈরি হয়েছে এর।

    জবাব দিন
  4. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    বাংলা ভাইয়ের উদাহরনটা যথার্থ।

    ভাবছিলাম, বিবর্তনের বর্তমান চর্চার ধরন এবং সভ্যতার মাপকাঠি হিসেবে তা অপব্যাবহার+ব্যাবহারের অসংগতি নিয়ে একটা পোষ্ট দিবো। কিন্তু তা'র আর দরকার হলোনা। এখানে বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে যেসব তথ্য দিয়ে যুক্তি দাড় করালে, তা আমার সাধারন ধারনাগুলোর থেকে অনেক বেশি জোড়ালো।

    ক্লাসমেট হিসেবে আবি গর্ববোধ করছি। :boss:


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • ফাহিম (৯০-৯৬)

      মাহমুদ, আমি আসলে বিজ্ঞানের কোনো যুক্তি দেই নি। আসলে দেব কোই থেকে বিজ্ঞান বা ধর্ম দুই ব্যাপারেই আমার জ্ঞান সাধারণ জ্ঞানের উপরে উঠতে পারে নি। শুধু এইটা বলতে চেয়েছি বিজ্ঞান মানেই নাস্তিকতা না। তোর ভাল লেগেছে জেনে ভালো লাগল।

      জবাব দিন
  5. অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করে যদি পোস্ট লিখা যায় তাহলে এখানে মডারেশন ব্যাপারটা না থাকাই ভাল। যার যা যেভাবে ইচ্ছা লিখবে। মডারেশনের পর তা ছাপা হলে মনে হয় এটা ক্যাডেটদের অফিসিয়াল মত। মডারেশন না থাকলে মনে হবে যার যেরকম ইচ্ছা সেরকম লিখেছে। একান্ত ব্যাক্তিগত অনুভুতি। ব্লগ কর্তৃপক্ষ শুধু ডিসক্লেইমার দিয়েই দায় এড়াতে পারবে না । অন্যথায় ব্লগের নাম ক্যাডেট কলেজ ব্লগ বদলে অন্যকিছু করা উচিত। কারন ক্যাডেট কলেজের নাম নিয়ে যাই বলা হবে আমি চাই বা না চাই ক্যাডেট হিসেবে তার একটা অংশ হয়ে যাব। জোড় গলায় বলছি আমি কোনোভাবেই এই ধরনের কোনো কমিউনিটির অংশ হতে চাই না।

    শতভাগ সহমত ভাইয়া।

    জবাব দিন
  6. এহসান (৮৯-৯৫)
    তৃষ্ণার্ত অবস্থায় এক গ্লাস ঠান্ডা পানির কথা বলতে যেয়ে পানিতে দ্রবীভূত ম্যাগনেসিয়ামের শিয়ার মডুলাস ১৭ গিগা পাস্কেল এই তথ্য দেয়া যে সমান অপ্রয়োজনীয় তা বুঝতে বিজ্ঞান জানার দরকার হয় না।

    বিজ্ঞান না জানলেও এটাও বুঝানো যাইতেছে যে লেখক ভাব নিতে চাইতেসে আর পাঠকরে 'অগা' প্রমান করতে চাইতেসে। যাই হোক কিছু মানুষের স্যালুট ঠিকই পাওয়া যায়। যেই দেশের যেই ভাও... নিজের ঢোল নিজে না পিটালে যখন স্যালুট মিলেনা, তাই তোমার এপ্রোচ সময়োপযোগী।

    অন্য একটা পোস্টে রায়হান ভাই বলেছিলো

    আপনি এক চিমটি সত্যের সাথে এক মুঠো মিথ্যে মিশিয়ে তাকে প্রচারণার জোয়ারে ভাসিয়ে দিন, বারবার বলতে থাকুন, তত্ত্বের বিরুদ্ধে তত্ত্ব দাঁড় করান, এবং আরেকটু বুদ্ধিমান হলে সেটি ইংরেজী ভাষায় এবং ছাপার অক্ষরে লিখুন। ...... ইংরেজীতে কি কেউ আর মিথ্যে বলে?

    তাই ফাহিম তোমার পোস্টে আরো ইংরেজীর ব্যবহার দরকার ছিলো। নাইলে তো মনে হচ্ছে দুনিয়ার কিছুই দেখো নাই এখনো বরং শাহজালাল ইউনিভার্সিটির মফস্বল ক্যাম্পাসে পইড়া আছো।

    যাই হোক...বেশী মত দিয়া ফালাইতেছি। আমিও ফয়েজ ভাই এর মত শুধুই তামাশা দেখবো ভেবেছিলাম। আমিও ভাব লই... কেউ মনে কষ্ট পাইলে দু;খিত। এর বেশী কিছু বলতে পারবো না। কারন আমি যখন অফেন্ডেড ফীল (একটু ইংলিশ!!) করেছি তখন আমিও সরি শুইনাই নিজেরে সামাল দিসি। 🙁

    জবাব দিন
  7. সাজিদ (২০০২-২০০৮)
    অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করে যদি পোস্ট লিখা যায় তাহলে এখানে মডারেশন ব্যাপারটা না থাকাই ভাল।

    ১০০০ ভাগ একমত :thumbup: :thumbup:

    এখেত্রে সিসিবির রেডবুকের ৪ নং পয়েন্টও তুলে দিচ্ছি-

    ৪। অন্য কারও বিশ্বাসকে কটাক্ষ করে কিছু লেখা যাবে না। অন্য কারও বিশ্বাসকে আঘাত না করে নিজের বিশ্বাসের কথা লেখা যাবে। তবে, অবশ্যই নিজের বিশ্বাসের প্রচারণামূলক কোন লেখা প্রকাশ করা যাবে না। রাজনৈতিক প্রচারণাও তাই নিষিদ্ধ।

    জবাব দিন
      • আলম (৯৭--০৩)

        দোস্ত, মডারেটররা ফাঁকিবাজ হননাই, ওনারা বরং বেশি দায়িত্বসচেতন হয়েছেন।
        আমি 'নিয়মিত' লেখক হওয়া সত্বেও আমাকে "মডারেশনের জন্য জমা" দেয়া লাগে, এরপর ওনারা চেক্‌ করে পাবলিশ করেন। (কারন আছে অবশ্য... কারন, আমি একসময় একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষে ওকালতি করসিলাম! অথচ যে আমাকে সেই ওকালতিতে "বাধ্য" করসিলো, তার কোনো বিহিত হয়নাই!!) 🙁

        জবাব দিন
        • ব্লগ এডজুট্যান্ট

          মাহমুদুল আলম,

          আপনার মন্তব্যটি আপত্তিকর এবং বিভ্রান্তিমূলক। আপনাকে মোটেও কেবল মাত্র একটা পোস্টের প্রেক্ষিতে নিয়মিত লেখক থেকে আবার অবদানকারীতে পরিণত করা হয়নি। এর আগে আপনাকে দুইটি পোস্টে ভিন্ন ভিন্ন কারণে দুইবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। কাজেই সর্বমোট তিনবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছিলো আপত্তিকর লেখার কারনে।
          প্রথমবার অশ্লীলতার কারনে , দ্বিতীয়বার সরাসরি ব্যক্তি আক্রমনের জন্যে এবং তৃতীয়বার সাম্প্রদায়িকতার জন্যে। সেই প্রেক্ষিতেই আপনাকে তৃতীয়বার সতর্কীকরণ সহ অবদানকারীতে রুপান্তরিত করা হয়েছে। আপনার যদি সেই ব্যাপারে কোন অভিযোগ বা নিজের কার্যক্রমের স্বপক্ষে উপযুক্ত কারণ প্রদর্শন করার থাকে তবে ব্লগ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ সবসময়ই খোলা আছে।যোগাযোগ করুন: contactএটcadetcollegeblog.com.

          কিন্তু দয়া করে তৃতীয় কোন পক্ষের ব্লগে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।

          জবাব দিন
  8. জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

    ফাহিম,

    অসাধারণ! পানির উদাহরণ তা জটিল আছে। কঠিন শব্দ ব্যবহার করার জন্যে যদি কেউ কোন ধর্ম পছন্দ করেন তাহলে scientology নামে নতুন একটা ধর্ম আছে। অনেক celebrity-রা তাতে বিশ্বাসী। তবে ব্যাপার হচ্ছে, মেলা টাকার ব্যাপার। মনে হয়, বাংলাদেশে শাখা নাই!

    যাইহোক, তোমাদের মত বিজ্ঞানীদের মনে হয় কথা বলার সময় এসেছে। চুপ করে মজা দেখা, দ্বায়িত্ব এড়িয়ে চলার আরেক নাম।

    তুমি আমার কলেজের, ভাবতেই বুকের ছাতি, হাতির সমান হয়ে যায়।

    জবাব দিন
  9. রবিন (৯৪-০০/ককক)
    আর আমি সেই ছোটবেলা বেরিয়েছিলাম জ্ঞান সমুদ্র দেখবো বলে। তা যদি কক্সবাজার অবস্থিত হয় তবে আমি সিলেট থেকে রওয়ানা হয়ে এখনও হবিগঞ্জ পার হইনি। জীবনের অর্ধেক কেটে গেছে ইতিমধ্যে।এই জীবনে কখনও কক্সবাজার পৌছাব বলে মনে হয় না। আর সমুদ্র পাড়ি দেয়া তো দূরের কথা।

    :boss: :boss:

    জবাব দিন
  10. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    কারন ক্যাডেট কলেজের নাম নিয়ে যাই বলা হবে আমি চাই বা না চাই ক্যাডেট হিসেবে তার একটা অংশ হয়ে যাব। জোড় গলায় বলছি আমি কোনোভাবেই এই ধরনের কোনো কমিউনিটির অংশ হতে চাই না।

    স্যালুট ফাহিম ভাই।
    অসাধারণ।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  11. পাভেল (১৯৯৩-৯৯)
    অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করে যদি পোস্ট লিখা যায় তাহলে এখানে মডারেশন ব্যাপারটা না থাকাই ভাল।

    একজন এসে বলল "তোর ভাই একটা চোর"। বলে চলে গেল দুইটা গালি দিয়ে।
    অন্য একজন এসে বলল "আমি কিছু সাক্ষ্য প্রমাণ দেখলাম যেগুলা সাজেস্ট করতেছে তোর ভাই চুরি করছে। তোর সাথে এইগুলা শেয়ার করা দরকার।"
    দুইটা কেস যে different সেইটা সবাই বুঝে। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের মডারেটররা দ্বিতীয় ব্যক্তির যৌক্তিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা কে সম্মান করেন। উনারা আছেন প্রথম ব্যক্তির গলা ধাক্কা দেওয়ার জন্যে। জুবায়ের অর্ণব, মুহাম্মদ, এবং আরো অনেকে(হয়ত আমিও) ২য় দলে পড়ি।
    যারা আহত হচ্ছেন সহজেই তাদের কাছে প্রশ্ন, আপনাদের বিশ্বাস কি এতই ঠুনকো যে কিছু যুক্তির কথা বিজ্ঞানের কথা শুনে আঘাত পেয়ে যাচ্ছেন? সোনা আগুনে পুড়ে খাটি হয় বলে জানতাম। ধর্ম আকড়ে ধরে যদি সত্যের সন্ধান পেয়েই থাকেন তাহলে সেই সত্য টাকে একটু ঝালাই করে নিন না আমাদের ছুড়ে দেওয়া আগুনে।

    জবাব দিন
  12. ফাহিম (৯০-৯৬)

    ভাই পাভেল, এই পোস্টটা নাস্তিকদের (তুমি যদি নিজেকে নাস্তিক মনে কর তবে তোমার ও) জন্য না। আমি নাস্তিকদের কোনো পোস্টে কমেন্ট ও করি না। আমি সূরা কাফিরুন লিখে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। যে সূরার মানে হচ্ছে তোমার ধর্ম তোমার আমার ধর্ম আমার। এর মানে হছে প্লিজ তুমি তোমার মতো শান্তিতে থাক আর আমাকে আমার মতো শান্তিতে থাকতে দাও। তারপর ও তোমাদের একজন এই সূরার পোস্টে হাসির কবিতা লিখছে। আমি তার ও কোনো জবাব দেই নি। তুমি ত অনেক বিজ্ঞান জান। তো পদার্থ বিজ্ঞানে কাজের সংগা হচ্ছে

    কাজ = প্রয়োগিত বল * অতিক্রান্ত দূরত্ব

    তুমি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছ তোমার উপর আমি আর আমার উপর তুমি যতই বল প্রয়োগ করি না কেন কেউ জায়গা থেকে নড়বে না। তো অকাজে সময় নষ্ট করার মতো সময় আমার নেই।

    আমি এই পোস্ট লিখেছি বিশ্বাসীদের জন্য। আমি জানি কোনো নাস্তিকের পোস্টের কারণে কোনো বিশ্বাসীর বিশ্বাস টলবে না। তবে বিজ্ঞান মানেই নাস্তিকতা, এটা ভেবে বিজ্ঞানের প্রতি অনেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। নিজের ছেলেমেয়েকে আর বিজ্ঞান পড়তে পাঠাবে না। আমাদের দেশের জন্য সেটা যে কতো বড় ক্ষতি তা তুমি বু্ঝতে পার কিনা তা আমি জানি না। আমার পোস্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেখানো যে আব্দুস সালামের মতো বিজ্ঞানীও বিজ্ঞান ও ধর্ম একসাথে চালিয়ে গেছেন। কাজেই বিশ্বাসীদের বিজ্ঞান থেকে দূরে থাকার কোনো কারণ নেই।

    আর মডারেটরদের কেন বলেছি জান

    এখানে কয়জন আছে যারা যাকে বাবা বলে ডাকে তিনি যে আসলেই তার বাবা তা ডিএনএ পরীক্ষা করে প্রমান করে তারপর ডাকা শুরু করেছে। প্রত্যেকে তার বাবাকে চিনে নেয় মায়ের উপর বিশ্বাস, আর তার চারপাশে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট জিনিষ আর তার প্রতি বাবার ভালবাসা দেখে। ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখে নি বলে কালকে তুমি যদি এসে কাউকে বলো যে সে জারজ আমার মনে হয় না কেউ ভালোভাবে নেবে। আর যেহেতু মডারেশন হয়ে এই লেখা ছাপা হয় তখন মনে হবে ক্যাডেট কলেজের ছেলেরা কাউকে জারজ বলা ও সাপোর্ট করে কারণ তার সপক্ষে তো ডিএনএ টেস্ট করা হয় নি। এ জন্য বলেছি যে মডারেশনের দরকার নেই। যার যা ইচ্ছা লেখুক। আর নাহলে ক্যাডেট কলেজের নাম ব্লগ থেকে বাদ দিয়ে দিতে। তাহলে তুমি বা তোমরা কোথায় কি করছ বা বলছ তা দিয়ে আমার কিছু আসে যাবে না।

    জবাব দিন
    • পাভেল (১৯৯৩-৯৯)

      ফাহিম ভাই আমি আস্তিক ও না নাস্তিক ও না agnostic বলতে পারেন।
      লিখার কিছুটা পড়ে ভাল লাগতেছিল বলে পুরাটাই পড়ছি। কিন্তু শেষে এসে আপনি যখন বললেন বিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার কথা তখন একটু খারাপ লাগছে। ধর্মের বিরুদ্ধে আমি কথা বলি কিন্তু কাউকে আঘাত বা কষ্ট দেওয়ার কোন ইচ্ছা আমার কখনো থাকে না। আমি কিছুটা নতুন ব্লগে তবু আমার অল্প কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় মনে হইছে মুহাম্মদ, জুবায়ের কেউ অন্যকে শুধুমাত্র hurt করার উদ্দেশ্য নিয়ে লিখে না।

      মডারেশনের পর তা ছাপা হলে মনে হয় এটা ক্যাডেটদের অফিসিয়াল মত।

      অফিসিয়াল মত বলে আদৌ কিছু আছে ফাহিম ভাই? ক্যাডেটরা কোন একটা issue তে ভিন্নমত কি পোষণ করতে পারে না? আমিতো আরো গর্ব করে আমার ননক্যাডেট বন্ধুদের বলতে চাই দেখ আমরা ধর্মের মত সেনসিটিভ বিষয়ে আলোচনা করি। কিন্তু somewherin র মত গালি গালাজের কম্পিটিশনে নামি না।

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)
        কিন্তু somewherin র মত গালি গালাজের কম্পিটিশনে নামি না।

        পাভেল খুব ভাল লাগল তোমার কথা। মনের মেঘ কেটে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।

        তুমি একটা কাজ কর, তুমি যত গুলো কমেন্ট করেছ সেগুলো আবার একটু পড়, দেখত এই কমেন্ট গুলো আরও সহজ ভাবে করা যায় কিনা। বক্তব্য একই থাকবে কিন্তু প্রকাশ হবে ভিন্ন ভাবে।

        কিছু মনে করনা, সিসিবি জন্য এটা বলতে পারলাম, অন্য ব্লগে হয়ত বলতে পারতাম না।


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
        • পাভেল (১৯৯৩-৯৯)

          খাইছেরে কোথাও কি গালি গালাজ দিছি নাকি। আগে :frontroll: লাগাই।
          ফয়েজ ভাই মনে হয় সব সময় বুঝতে পারি না কোনটাতে লোকে কষ্ট পাবে। কোথাও কাওরে অনিচ্ছাকৃতভাবে দু:খ দিলে আগেই স্যরি কয়া রাখি 😛
          তবে সেইক্ষেত্রে শয়তানের কুপ্ররোচণাই মূলত দায়ী। আমি নিষ্পাপ 🙂 শয়তানের জন্যে আজীবন :frontroll: শালারে :gulli2: করা উচিৎ

          জবাব দিন
      • ফাহিম (৯০-৯৬)

        ভিন্নমত পোষন করতে অবশ্যই পারে। দেখো আমি মুসলিম। আমি এক আল্লাহ তে বিশ্বাস করি। আমার এক প্রিয় নিস্ঠাবান হিন্দু বন্ধু আছে। সে দেবতাদের উপর বিশ্বাস করে। আমি তাকে বলি না তোমার বিশ্বাস ভুল আমারটা ঠিক অথবা সে বলে না তারটা ঠিক আমারটা ভুল। কিন্তু আমরা ধর্ম নিযে আলাপ করি। বিদেশে আসায় সুবিধা হয়েছে অনেক ধরনের মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। অনেক ধর্মের মানুষ। আমার কলিগ জেরুজালেম যায়, রাজনৈতিক কারনে আমি যেতে পারবো না শুনে সে আমাকে জেরুজালেমের গল্প শুনায়। আমি ভাটিকান যাই শুধু ক্যাথলিকদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা দেখতে। কোনো সমস্যা হয় না। আমরা নিজেরটায় বিশ্বাস করি, অন্যের বিশ্বাস ও জানার চেস্টা করি, কিন্তু আমার বন্ধুকে বলি না তোর দেবতা নেই, ট্রিনিটি মিথ্যা। সেও আমাকে বলে না এমন কিছু। আমার মতে এটাই আমার সভ্যতা ।

        কিন্তু তুমি যাদের নাম করেছ তারা তা করে না। ঈশ্বরকে অবিশ্বাস করাটা ও একটা ধর্ম। তার অবিশ্বাস নিয়ে সে থাকুক। কিন্তু সে যখন বলে আমি ভুল আমার ঈশ্বর ভুল, তখন তা শালিনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। অন্য ব্লগের সাথে আমাদের পার্থক্য এই যে আমরা ক্যাডেট। প্রতিকুল পরিবেশে ও সহজে আমরা ধৈর্য হারাই না। তাই বলে আমাদের ধৈর্য অসীম নয়।

        ডিএনএ প্ররীক্ষা করে নি বলে তুমি কারো বাবা নিয়ে এই ব্লগে সন্দেহ প্রকাশ করে দেখ, সবাই কতটুকু ধৈর্য ধরে তোমার বক্তব্য শুনে। আর আমাদের মুসলিমদের কাছে আমাদের স্রস্টা বাবা মায়ের চেয়েও প্রিয় আপন। এরপরও যদি তুমি ওদের কথায় কোনো অফেন্সিভ কিছু না পাও তবে তো তুমি আমাদের দেশের গোড়া রাজনীতিবিদ দের মতো। আওয়ামিলীগের কেউ শেখ হাসিনার কোনো ভুল পায় না , তেমনি বিএনপির কেউ ও খালেদা জিয়ার কোন ভুল পায় না।

        তোমরা যদি তারপরও এই আলাপ চালিয়ে যেতে চাও তাহলে চালাও। কিন্তু ক্যাডেট কলেজ ব্লগের নাম বদলে করো। কারণ আমি ও ক্যাডেট, আমার মতো আরো অনেক ক্যাডেট যারা ব্লগে আছে বা নেই তারা অফেন্ডেড। মনে রাখতে হবে এই ব্লগ কে বানিয়েছে তাতে কিছু আসে যায় আসে না, ক্যাডেট কলেজের নাম নিলেই তাতে আমরা হিসসা হয়ে পড়ি।

        জবাব দিন
        • পাভেল (১৯৯৩-৯৯)

          একটু ভেবে দেখবেন শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াও কিন্তু অনেকের কাছে বাবা/মার মত। আমার বাবা/মা যদি আজকে বিশিষ্ট দুর্নীতিবাজ টাইপের কেউ হন তখন তারা আর শুধু আমার প্রাইভেট ডোমেইনের লোক থাকেন না। তখন সিসিবিতেই লোকে খারাপ কথা বলতে থাকবে। আমার যতই খারাপ লাগুক সবার তখন অধিকার আছে খারাপকে খারাপ বলার। আমি হয়ত সহ্য করতে পারব না। সেইক্ষেত্রে আমি হয়ত লোকজনকে বুঝাতে চাইব যে তোমরা ভুল জান। অথবা আমি ঐ পোস্টগুলা ইগনোর করব। কিন্তু আমিতো সবাইকে এই বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে বলতে পারি না। কেউ যদি জাস্ট ফর দি সেক ওফ হার্টিং মি এইগুলা আলোচনা করে মডারেটররাইতো ঐসব পোস্ট ব্লক করে দিবে।
          রেসপেক্ট জিনিসটা বাবা/মা, হাসিনা/খালেদা, ঈশ্বর/ধর্ম কেউ এমনি পেয়ে যায় না। এইটা earn করতে হয় বলেই আমার ধারনা। আমরা কেউ কেউ মনে করি হাসিনা/খালেদা, ঈশ্বর/ধর্ম এরা miserably fail করছে এই বিষয়ে। এরা এখন পাবলিক ডোমেইনের জিনিস হয়ে গেছে। তাই আমরা কথা বলে যাই সবাইরে সচেতন করতে।

          অফটপিক: ফাহিম ভাই, আই ফিল ভেরি লো হোয়েন সামোয়ান ইজ ওফেন্ডেড ফর মি। আপনারে অফেন্ড করাতে আমার যতটুকু অবদান আছে আই এম স্যরি ফর দ্যাট।

          জবাব দিন
          • ফাহিম (৯০-৯৬)

            তুমি বোঝনি আমি কি বলতে চেয়েছি। প্রশ্নটা তার বাবা ভাল কি খারাপ তা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে যাকে একজন বাবা বলে জানে সে আসলেই তার জন্মদাতা বাবা কি নয় ? খারাপ ভাল সেই প্রশ্ন অনেক পরের কথা।

            তুমি বলেছিলে আমাদের ব্লগ অন্য ব্লগ থেকে আলাদা। তাহলে জাহিদ ভাইয়ের পোস্টে ´´বহুদিন পরে প্রাণ খুলে হাসলাম!''(লিংকটা দিতে পারলাম না) জুবায়ের অর্ণবের মন্তব্য পড়ে দেখ

            আপনারা ক্রিয়েইশনিস্টদের দুই একটা ছোটখাট দঙ্গল বানিয়েছেন দেখে আমোদ পাচ্ছি, আপনাদের একজন ফ্রেইড হয়েলও আছে দেখা যাচ্ছে, যারা অনবরত একে অপরের প্রসংসা করে যাচ্ছেন। অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা ভাল হয়েছে এই কারণে যে, আমাদের গনতন্ত্র, ফ্রীস্পিচ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র, মানবাধিকারের মত ব্যাপারগুলো যা আমরা ডিফেন্ড করবো জীবনের বিনিময়ে হলেও, এবং যা নির্ধারণ করবে কোন মূল্যবোধ ব্যবস্থার পতাকার নীচে আমরা এক হব এর ঘাড়ে ব্রন্জ এইজ ডেজার্ট ক্যামেল স্টোরির রামদা দিয়ে কোপ কারা দিবে তাদের আমরা আগে আগেই চিনে ফেলছি।

            তোমার যদি মনে হয় জাহিদ ভাইয়ের পোস্ট যারা পছন্দ করেছেন তাদের এখানে অফেন্ডেড হওয়ার কিছু নেই তাহলে কথা বলে লাভ নেই।

            কলেজ়ে থাকতে মুসলিমদের জুম্মা আর মাগরিবের নামাজে যেতে হোত। কিন্তু কোনো হিন্দু বা অন্য ধর্মের কাউকে তার ধর্ম বদলাতে বলা হতো না। অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান করা ক্যাডেট কলেজ আমাদের শিখিয়েছে।তুমি তোমার বাবা, মা বা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করবে কিনা এটা তোমার ব্যাপার। কিন্তু ক্যাডেট কলেজ আমাদের শিখিয়েছে বড়দের অবশ্যই শ্রদ্ধা করতে হবে। ক্লাস সেভেনে ঢুকার পর ক্লাস এইটের ভাইয়ারা এটাই শিখিয়েছে, নিজেরাও এইটে উঠার পর এটাই সেভেনকে শিখিয়েছি। এটাই ক্যাডেটদের চেতনা। নাহলে এই ব্লগে কেউ আসবে না। সেজন্য বলেছি এই ধরনের জ্ঞান বিতরন করতে হলে ব্লগের নাম বদলে ফেল। তারপর আমাকে সম্মান করার কোনো দরকার নেই। যতো ইচ্ছা যাকে ইচ্ছা গালি দেও। যতক্ষন পর্যন্ত ক্যাডেট কলেজের নাম নিয়ে কিছু করছ না ততোক্ষন তোমার ব্যাপারে আমার কোনো আগ্রহ নেই।

            জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

        পাভেল, কিছু মনে করোনা, একটা কথা বলি।- agnostic হল তারাই যারা সৃষ্টিকর্তা আছে কি নাই সেই বিষয়ে নিশ্চিত না+ বিশ্বাস করে যে এই ব্যাপারটা প্রমান করা সম্ভব না। কাজেই, এগ্নষ্টিকরা কখনো সৃষ্টিকর্তা-বিষয়ে বিতর্কেই নামে না। 🙂


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
  13. সাইদ মর্তুজা আসিফ এহসান (১৯৯৮ - ২০০৪)

    "এখানে কয়জন আছে যারা যাকে বাবা বলে ডাকে তিনি যে আসলেই তার বাবা তা ডিএনএ পরীক্ষা করে প্রমান করে তারপর ডাকা শুরু করেছে।"

    =)) =)) =))

    জবাব দিন
  14. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ধর্মানুভূতি জিনিসটাও গবেষণার বিষয়। ঠিক কি করলে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এবং সেটার ভিত্তি কতটুকু সেটা নিয়ে অনেকেই লিখেছেন। ধর্মানুভূতির কথা আসলে যে একই সাথে আরও হাজারটা অনুভূতির কথা উঠে আসে সেটাও সত্যি। যেমন, সাহিত্যানুভূতি, সঙ্গীতানুভূতি ইত্যাদি ইত্যাদি। অনুভূতির গাঢ়তা এবং তাতে আঘাত লাগার মানদণ্ড নিয়ে এখানে আলোচনা করতে চাই না। তবে সেটা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা শুরু হওয়ার সময় এসেছে। কারণ আমরা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগার নাম করে পৃথিবীর সবকিছুকেই ঠেকিয়ে দিতে পারি না। সেক্ষেত্রে জ্ঞানের চর্চা ব্যাহত হবে। আমি আসলেই মনে করি, একটা ধর্মীয় রাষ্ট্রে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগার নাম করে যে সেন্সর আরোপ করা হবে তার বদৌলতে সেটার জ্ঞান চর্চা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই কারও ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিতে চাই না। ধর্মানুভূতির কোন প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞা নেই। যখন বিশুদ্ধ জ্ঞানের আলোচনা আসে তখন এই অনুভূতির নাম করে কোন কিছু এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব কি-না সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তারপরও সামাজিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে সে ধরণের স্পর্শকাতর বিষয় এড়িয়ে যাওয়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে গেছে।

    তবে যখন বিজ্ঞানের অঙ্গনে ধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা হয় তখন আমি কথা বলি। আপনি আবদুস সালামের কথা বলেছেন। আবদুস সালাম নিজেও ধর্ম এবং বিজ্ঞানের স্বতন্ত্র বলয় মানতেন। সে সময় যখন সদ্য আবিষ্কৃত বিগ ব্যাং এর সাথে কুরআনের সাদৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা চলছিল তখন তিনি বলেছিলেন: "বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল, আর কয়েকদিন পর যখন বিগ ব্যাং ভুল প্রমাণিত হবে তখন কি সে অনুযায়ী তোমরা কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যাও পরিবর্তন করবে?" (সূত্র এই মুহূর্তে দিতে পারছি না)

    তাই যতক্ষণ বিজ্ঞান ও ধর্ম আলাদা থাকছে ততক্ষণ আমি ধর্ম নিয়ে কোন কথা বলি না। আমি মনে করি এটাই সর্বোত্তম উপায়। আমি সবসময়ই বিজ্ঞানের কথা বলি। কিন্তু বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে অযাচিত প্রমাণের চেষ্টা করি না, সেটা করার কোন দরকারও নেই। সকল যুগেই প্রতিষ্ঠিত ধর্ম বিরোধীদের অস্তিত্ব ছিল। আর আধুনিক বিজ্ঞানের জন্ম তো মাত্র কয়েক শত বছরের। এথেনীয় সভ্যতার গুরুদের ধর্মকে অস্বীকার করার জন্য বিজ্ঞানের প্রয়োজন পড়েনি। এটা প্রত্যেকেরই নিজস্ব মুক্তচিন্তার ফসল। এটা প্রকাশের অধিকার সবারই আছে, তবে কার প্রকাশ কতটা যুক্তিসম্মত সেটা সময়ই বলে দেয়। যেমন বর্তমানে প্লেটো-এরিস্টটলদের তুলনায় ডিমোক্রিটাস-এপিকিউরাসদের যুক্তিগুলো বেশী গ্রহণযোগ্য ঠেকছে।

    মন্তব্যে মনে হল আসলেই সেন্সরিং এর কথা এসেছে। সেক্ষেত্রে প্রথম কাজটা হবে "ধর্মানুভূতি"-কে সংজ্ঞায়িত করা। আগে প্রয়োজন ছিল না, কারণ আগে সবকিছুই ধর্মের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন ধর্মীয় নেতারা যাকে ধর্মানুভূতি বলত তাই ছিল সত্য। কিন্তু এখন যেহেতু সবকিছু ধর্মের নিয়ন্ত্রণে নেই সেহেতু ধর্মানুভূতির যাচ্ছেতাই সংজ্ঞা দেয়া যাবে না। সংজ্ঞা ঠিক করার পর দেখতে হবে কি কি করলে এই অনুভূতিতে আঘাত লাগে। তারপর সেই অনুভূতিতে আঘাতের কারণগুলোকে ছাটাই করতে হবে। এই ছাটাই করতে গিয়ে আবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কি কি নষ্ট হয়ে গেল সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। দ্বার বন্ধ করে দিলে যে অনেক সময় সত্যও প্রবেশ করতে পারে না এটা তো অনেকেই মানেন।

    (মন্তব্যটা কতটা প্রাসঙ্গিক হল জানি না। আমি কেবল আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা বললাম।)

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      আর ফাহিম ভাই, নিজেকে যেভাবে আইনস্টাইনের খুব কাছের প্রমাণ করতে চেয়েছেন সেটা ভাল লাগেনি। এটাকে আমার মিসলিডিং মনে হয়েছে। আপনার লেখার মাধ্যমে বোঝা যাবে আপনি কার কতটা কাছের লোক। সেটা আলাদাভাবে ধরিয়ে দেয়ার কি কোন প্রয়োজন আছে? অড লেগেছে বলেই কথাটা বললাম।

      আর আপনি আইনস্টাইনের ডায়লগের অপব্যাখ্যাটা ধরলেন না কেন? এই ব্লগের মন্তব্যেই আইনস্টাইনের ধর্ম-বিজ্ঞান বিষয়ক ডায়লগের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। আইনস্টাইন যে প্রতিষ্ঠিত ধর্মে (ইহুদি) বিশ্বাস করতেন না সেটা তো আপনি জানেনই। তিনি নিজের মধ্যেই একজন স্রষ্টা তৈরী করেছিলেন। সেই স্রষ্টার অনুগামী হয়ে তিনি যে ধর্মের কথা আমাদেরকে শুনিয়েছেন সেটাকে বলা যায় মহাজাগতিক ধর্ম, এটা তার নিজস্ব, এর প্রচারও তিনি করেননি, কারণ তিনি বোধহয় বুঝতে পেরেছিলেন ধর্ম প্রচারের বিষয় নয়। উপরে মন্তব্যের সাধারণ ভুলটা আপনিই ধরিয়ে দিবেন তাই আশা করছিলাম।

      মিসলিডিং বলেছি এইজন্য যে, এটা পড়ে প্রথমেই অনেকে ধরে নেবেন যে আপনি অনেক উপরের লেভেলের, তারপর আপনি যা বলবেন তা-ই মেনে নেবে। এটা কি সঠিক পন্থা? আমি এটাকে মিসলিডিং বলি।

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

        মুহাম্মদ, আমি লক্ষ্য করেছি তুমি ৯৫% সময়ে "মাল মাল" কথা বল, ৫% উলটা পালটা হই যায়।

        এইটা মনে হয় বয়সের জন্য। ব্যাপার না ঠিক হয়ে যাবে। :thumbup:


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
            • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

              আপনের কাছ থেকে রিকমেন্ডেশন পাইয়া আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কিন্তু আনন্দিত হলে চলবে না। আমার কাজ এখন ঐ ৫ পার্সেন্ট ঠিক করা। চেষ্টায় আছি, আর বয়সও তো বাড়তেছে।

              জবাব দিন
              • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
                আমার কাজ এখন ঐ ৫ পার্সেন্ট ঠিক করা।

                মুহাম্মদ,

                এইখানে কি বললে তুমি?!! 😮 😮 😮

                তোমার এতটাই আত্মবিশ্বাস জন্মে গেছে যে তুমি অলরেডী সব জেনে বসে আছো? :no: খুবই কষ্ট পেলাম।

                এইখানে এই বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করবো না। সময় পেলে আমাকে মেইল করো যদি আসলেই জানতে চাও আমি কেন এভাবে বললাম। আর যদি মনে করে থাকো যে, আসলেই তোমার যথেষ্ট জানা হয়ে গেছে, তাহলে তোমার জন্য আমার শুভেচ্ছা থাকল।


                There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                জবাব দিন
                • কামরুলতপু (৯৬-০২)

                  ভাইয়া কিছু মনে করবেন না আপনি মনে হয় ওর কথাটা ধরতে পারেননি। ফয়েজ ভাই বলেছে ও ৯৫ পারসেন্ট সময় ভাল ভাল কথা বলে বাকি ৫ পারসেন্ট সময়ে উলটাপালটা কথা বলে। তাই ও বলেছে সেই ৫ পারসেন্ট উলটাপাল্টা কথাবার্তা ঠিক করবে। আমার কাছে কথাটা খারাপ লাগেনি। তবে আমিও ভুল বুঝতে পারি। সবাই অনেক বেশি উত্তেজিত কি? জুনিয়রদের ভুল বুইঝেন না ভাইয়া।

                  জবাব দিন
                  • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

                    মুহাম্মদের কথা ভুল বোঝার জন্য আমি আমার ব্যান চাই। :grr: :grr: :grr:

                    আবেগ কাজ করলে বুদ্ধি ভোতা হয়া যায়। এটারই প্রমান হাতে হাতে পেলাম।

                    তারপরেও বিলি, মুহাম্মদ মেইল কইরো। 😀 মেইল এ তোমারে সরি কমু, জনসমক্ষে আমার একটা মান-ইজ্জত আছে না। 😛


                    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                    জবাব দিন
                • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

                  না মাহমুদ ভাই। আমি আসলে বোঝাতে চাই নাই যে, আমি অনেক কিছু জেনে গেছি। আর ফয়েজ ভাইও তো বোধহয় সেটা বলতে চাননি।

                  অনেক বড় ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। এতে আমারও দোষ আছে। এভাবে লেখা ঠিক হয়নি।

                  আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছি: আমি ৯৫% প্রশংসার চেয়ে ৫% সমালোচনা নিয়ে বেশী চিন্তিত এবং সেই সমালোচনার অংশটুকুই আজীবন শুধরে যেতে থাকব।

                  কর্ডিয়ালি বলছি মাহমুদ ভাই, আপনি আমার কমেন্টটা যেভাবে নিয়েছেন আমি আসলে সেরকম না। 🙁 🙁

                  জবাব দিন
      • ফাহিম (৯০-৯৬)
        কেউ আমার কথায় ভেবে বসেন না যেন আমি নিজেকে বড় কিছু ভাবছি। এটা অনেকটা বি এন পি সরকারের সময় বগুড়ার সবার সাথে তারেক জিয়ার যে সম্পর্ক ছিল, আইন্সটাইনের সাথে আমার একই সম্পর্ক। আমরা একই ইন্সটিটিউটের একই বিভাগের ছাত্র। ব্যাস আর কিছু না।

        এই কথার মাধ্যমে আমি আমার অবস্থান বুঝিয়েছি। তুমি বুঝনি নাকি বুঝেও বিকৃত করছ তা বুঝতে পারছি না। ব্যাপারটা অনেকটা রংপুরের রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে সবার এরশাদকে মোগো ছাওয়াল বলার মতো। এলাকার কেউ বড় হলে সবাই তার নাম নেয়।

        তুমি যদি আমার পোস্ট পর তাহলে বুঝতে পারবে স্রষ্টা আছেন কিনা তা প্রমাণ করার জন্য আমি এই পোস্ট লিখি নি। আমি বলেছি প্রত্যেকটা জিনিষই ভিন্ন আংগিকে দেখা যায়। আব্দুস সালামের কথা বলে আমি বুঝাতে চেয়েছি বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানী মানেই নাস্তিক তা সত্যি নয়। আব্দুস সালাম স্রষ্টায় বিশ্বাসী কিনা তাদিয়েই স্রষ্টা আছেন কিনা প্রমান হয়ে যাবে এতোটুকূ বোকা আমি নই আর ক্যাডেটদের বিবেচনা শক্তিকে আমি এতো ছোট করে দেখিও না। আর আমার ধর্ম এতো ঠুনকো নয় যে তার টিকে থাকার জন্য আব্দুস সালাম বা আইন্সটাইনের বিশ্বাসের সাহায্য লাগবে। তাই আইন্সটাইন কোন ধর্মের তা জানার আমার দরকার পরে নি। আর এটা জানার জন্যতো তোমরা আছই।

        তুমি বলেছ

        তবে যখন বিজ্ঞানের অঙ্গনে ধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা হয় তখন আমি কথা বলি।

        খোলা মন নিয়ে এই ব্লগের কিছু পোস্ট পড় তাহলে দেখতে পাবে ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা না থাকতে ও শুধু ধর্মকে আঘাত করার জন্য কিছু পোস্ট লিখা হয়েছে।

        আমি আমার একটা পোস্টে কোরানের একটা সূরা দিয়ে বলেছি যে তোমাদের ধর্ম তোমাদের আর আমাদের ধর্ম আমদের। তোমাদের যেহেতু স্রষ্টা নেই তাহলে স্রষ্টা আছেন কিনা তা নিয়ে তোমরা কথা বলো কেনো ?

        মুসলমান কেউ তো কোনো হিন্দুকে যেয়ে বলে না যে দেবতা মিথ্যা আর হিন্দুরা ও এসে মুসলমানদের বলে না আল্লাহ মিথ্যা। এই কারনেই আমাদের এখানে শত শত বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করে আসছে। তোমরা বাংলা ভাই বা বাল থ্যাকরের মতো আচরন করছ কেনো? তোমাকে তো কেউ বলে নাই যে তুমি মুহম্মদ নাম ব্যবহার করতে পারবে না। এটা ইসলামের নবীর নাম। কোনো অবিশ্বাসীর এই নামে নেয়া যাবে না। অন্যরা এতোটুকু সহিষ্ণু হতে পারলে তোমরা পারবে না কেনো ?

        জবাব দিন
        • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

          আমার কোন কথাটা আপনার অসহিষ্ণু মনে হয়েছে সেটা বলেন নি। আমার মনে হয় না আমি উপরের মন্তব্য দুটিতে কোন অসহিষ্ণু আচরণ করেছি। আমি কেবল দুটা বিষয় পরিষ্কার করতে চেয়েছি:

          - ধর্মানুভূতির কোন সংজ্ঞা নেই এবং কি করলে এটা ভঙ্গ হয় সেটাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আর এই অনুভূতিকে কেউ পাহারা দেয়ার দায়িত্ব নিলে আরও অনেকগুলো অনুভূতিকেও তার পাহারা দিতে হবে।
          - আপনার প্রথমে দেয়া ক্রেডেনশিয়াল মিসলিডিং। আপনি কেন এই ক্রেডেনশিয়াল দিয়েছেন সেটা আগেই বুঝেছিলাম- এরশাদের উদাহরণ দিয়ে তো সেটা আবারও বুঝালেন। কিন্তু তারপরও এই পোস্টে এটার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। এটা বরং উল্টো মিসলিডিং হতে পারে। ইতিবাচক কি করতে পারে?

          আর আমি তো এখানে কারও ধর্ম পালনকে কটাক্ষ করতে চাইনি। আমি কেবল সেন্সরিং এর বিপক্ষে কথা বলেছি। কেউ কোন কিছুকে শ্রদ্ধা করলেই তার সমালোচনা করা যাবে না এটা আমি মনে করি না। সবকিছুকেই সমালোচনার সম্মুখীন হতে হবে- এটাই কেবল বলতে চেয়েছি।

          আমি এখানে কোনকিছুর সমালোচনাও করিনি। বরং "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it"- বিট্রাইস হলের এই কথাটার পক্ষে কিছু বলতে চেয়েছি। বলতে চেয়েছি যে, উদার মনে সকল সমালোচনা গ্রহণ করা উচিত, তারপর সেগুলোর প্রত্যুত্তর দেয়া উচিত।

          ধর্মের জন্যও "সমালোচনা এবং সমালোচনার জবাব" ভিন্ন অন্য কোন পথ আছে বলে আমার মনে হয় না। অথচ আপনি সেই সমালোচনার দ্বারই বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন। সামাজিকভাবে যখন এই সমালোচনা বন্ধের নিয়ম করা হবে তখন যে কি অরাজকতার সৃষ্টি হবে সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। দ্বার বন্ধ রাখার চেয়ে খুলে রাখা উত্তম- এই সাধারণ কথাটা বলেছি বলে আমার আচরণকে "বাংলা ভাই"-সুলভ বলে দিলেন!!!!!!!!??????

          বাংলা ভাই- মানে আমি বুঝি, নিজস্ব বিশ্বাস সমাজে প্রতিষ্ঠার জন্য যারা সহিংস পথ বেছে নেয় তারা। আমি কি নিজের বিশ্বাস সিসিবি-তে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোন সহিংস পথ বেছে নিয়েছি? আমি তো নিজের বিশ্বাসের কথা বলিই নাই। সেটা প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই করি নাই, সহিংস উপায়ে তো দূরের কথা। শুধু সেন্সরিং এর বিপক্ষে কথা বলেছি: এটা তো কোন বিশ্বাস থেকে না। মানুষের কমন সেন্সেই তো বোধহয় বলে যে, সমালোচনা শুনে সেটার জবাব দেয়ার মত পরিবেশ সমাজে থাকা উচিত; উন্মুক্ত আলোচনার পরিবেশ থাকলেই তো সহিংসতার সম্ভাবনা কমে যায়।

          জবাব দিন
          • ফাহিম (৯০-৯৬)

            আমি এও বলেছি মডারেশন উঠিয়ে দাও। ক্যাডেট নন ক্যাডেট যার যা ইচ্ছা লেখুক। কোনো সমস্যা নাই। মডারেশন থাকলে মনে হয় তুমি সহ আর যারা মডারেশন করছে তারা কি শুনলে আমার খারাপ লাগবে আর কি শুনলে খারাপ লাগবে না তা ঠিক করে দিচ্ছে। তোমার কাছে যা খুব জ্ঞানের কথা মনে হচ্ছে তা আমার কাছে অশ্লীল ও অফেন্সিভ মনে হচ্ছে। তো মডারেশন না থাকলে মনে হবে একজন যা ইচ্ছা লিখেছে। আর মডারেশনের পর মনে হয় ব্লগ কতৃপক্ষের তাতে সম্মতি আছে। ফ্রীডম অফ স্পীচের কথা বলবা আর মডারেটর ও হবা সেটাকি হিপোক্রেসি না ?

            মাহমুদুল আলম,

            আপনার মন্তব্যটি আপত্তিকর এবং বিভ্রান্তিমূলক। আপনাকে মোটেও কেবল মাত্র একটা পোস্টের প্রেক্ষিতে নিয়মিত লেখক থেকে আবার অবদানকারীতে পরিণত করা হয়নি। এর আগে আপনাকে দুইটি পোস্টে ভিন্ন ভিন্ন কারণে দুইবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। কাজেই সর্বমোট তিনবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছিলো আপত্তিকর লেখার কারনে।
            প্রথমবার অশ্লীলতার কারনে , দ্বিতীয়বার সরাসরি ব্যক্তি আক্রমনের জন্যে এবং তৃতীয়বার সাম্প্রদায়িকতার জন্যে। সেই প্রেক্ষিতেই আপনাকে তৃতীয়বার সতর্কীকরণ সহ অবদানকারীতে রুপান্তরিত করা হয়েছে। আপনার যদি সেই ব্যাপারে কোন অভিযোগ বা নিজের কার্যক্রমের স্বপক্ষে উপযুক্ত কারণ প্রদর্শন করার থাকে তবে ব্লগ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ সবসময়ই খোলা আছে।যোগাযোগ করুন: contactএটcadetcollegeblog.com.

            কিন্তু দয়া করে তৃতীয় কোন পক্ষের ব্লগে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।

            আমার পোস্টে ব্লগ এডজুটেন্ট একজনকে এই কমেন্ট করেছে। তারমানে ব্লগ এডজুটেন্ট সব কমেন্ট ও দেখে। ভাল। তাহলে জাহিদ ভাইএর পোস্টে অর্ণবের

            আপনারা ক্রিয়েইশনিস্টদের দুই একটা ছোটখাট দঙ্গল বানিয়েছেন দেখে আমোদ পাচ্ছি, আপনাদের একজন ফ্রেইড হয়েলও আছে দেখা যাচ্ছে, যারা অনবরত একে অপরের প্রসংসা করে যাচ্ছেন। অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা ভাল হয়েছে এই কারণে যে, আমাদের গনতন্ত্র, ফ্রীস্পিচ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র, মানবাধিকারের মত ব্যাপারগুলো যা আমরা ডিফেন্ড করবো জীবনের বিনিময়ে হলেও, এবং যা নির্ধারণ করবে কোন মূল্যবোধ ব্যবস্থার পতাকার নীচে আমরা এক হব এর ঘাড়ে ব্রন্জ এইজ ডেজার্ট ক্যামেল স্টোরির রামদা দিয়ে কোপ কারা দিবে তাদের আমরা আগে আগেই চিনে ফেলছি।

            এই কমেন্টের জবাবে কিছু বলে নাই। তার মানে হচ্ছে ব্লগ কতৃপক্ষের তাতে সম্মতি আছে। তারা একমতের মানুষ।

            এইজন্য বলছি ব্লগের নাম সিসিবি থেকে শুধু সি টা কেটে দাও তার পর যা ইচ্ছা বল। আমরা ফিরেও তাকাব না।

            জবাব দিন
            • ফাহিম (৯০-৯৬)

              তুমি কি মনে কর কোন মুসলমান যদি হিন্দুর মন্দিরে যেয়ে বলে মুর্তির মানে নেই, দেবীর মুর্তি সরাও বা কোন হিন্দু যদি মুসলমানের মসজিদে যেয়ে বলে মুর্তি বসাও তখন শান্তি থাকবে। ঠিক এই কাজ টা করে বাল থ্যাকরে আর বাংলা ভাইরা। বিজ্ঞানের নাম ভাঙ্গিয়ে তোমরা কয়েকজন ঠিক একই কাজ করছ। তোমার কাছে তো কোনো বিশ্বাসী মানুষ এসে বলে নাই মুহম্মদ ধর্ম ঠিক না বেঠিক। কেউ করলে না তুমি তোমার মুল্যবান মতামত দিবা। এটা আমাদের সবার কমন ব্লগ। এখানে তোমারা এটা করতে পারো না। এজন্য বলছি ব্লগের নাম বদলাও। তোমাদেরই বেশি সুবিধা হবে।

              জবাব দিন
              • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

                ফাহিম ভাই, প্লিজ কুল ডাউন।
                আমার কাছে কিন্তু মনে হয়েছে জাহিদ ভাইয়ের পোস্ট টা কেন্দ্র করেই বিবর্তন আর ঈশ্বর কথাটা প্রথম উঠছে।
                সিনিয়র হিসাবে অনুরোধ করবো জুনিয়রদের কোন কিছু বেয়াদবুই মনে করলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তবে ধর্মের বিরুদ্ধে আলোচনাতো হতেই পারে। এতে এতটা ক্ষিপ্ত হওয়াটা বাড়াবাড়ি রকম মনে হলো। মাইন্ড করলে আগেই:frontroll: :frontroll: :frontroll: দিয়া লই।
                বস ঠান্ডা মেজাজে পুরা ব্যাপারটা ভাবেন।

                জবাব দিন
              • তৌফিক (৯৬-০২)

                ফাহিম ভাই, আপনি যে মন্তব্যটা উদ্ধৃত করছেন, ওইটার প্রতি উত্তরে অনেক কিছু লিখে আবার ডিলিট করে দিয়েছি। সম্মান খোয়ানোর চান্স আছে বলে আমার মনে হয়েছে। আপনার মতো আমিও দেখতে চেয়েছিলাম মডারেশন কিছু হয় কিনা।

                আমি একবার বহুত চিল্লাচিল্লি করছিলাম রেড বুক পরিবর্তনের পর, মডারেশন কতটুকু পরিবর্তন হলো বোঝার জন্য।

                ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে যাই, মডারেশনের উপর আস্থা উঠে যাচ্ছে।

                জবাব দিন
                • তৌফিক (৯৬-০২)

                  ভালো কথা, আরেকটা কথা যোগ করে যাই। মডারেশনের কাজটা খুব সম্ভবত কঠিন হওয়ার কথা। আমি জানি, এই কাজটা সকলকে খুশি করে করাও সম্ভব নয়। এই জিনিসগুলো স্বীকার করেই আমি আমার মতামত দিয়েছি।

                  জবাব দিন
                    • কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

                      নাহ, তৌফিকের এই স্টেপটা ভালো লাগলোনা 🙁
                      আলমের পোস্টের লিঙ্ক দিয়ে বিচারের দায়িত্ব সবার উপর ছেড়ে দিয়ে কিসের বা কার বিচার চাইছ ভাই বুঝতে পারছিনা। মডারেটর দের? মডারেশন ক্রাইটেরিয়ার? আমি সিসিবির সাধারণ একজন পাঠক হিসেবে আমার কাছে এইটা "আমি কোনই বিতর্কে যাব না। " এর মত সরল মনে হলোনা। স্যরি।
                      বরং মনে হল পুরান কোন তর্ক উস্কে দেয়া।
                      কয়েকটি লেখা, এবং সেই লেখাগুলোয় কিছু মন্তব্য/প্রতি মন্তব্যের জের ধরে সিসিবিতে কিছুটা লু হাওয়া যাচ্ছে, সেটি আমরা সবাই বুঝতে পারছি। কিন্তু এর মধ্যেও কি আমরা আমাদের পুরাতন শিক্ষাটার কিছুটা হলেও উত্তরণমূলক প্রতিফলন দেখছিনা বিতর্কের কন্টেন্ট এবং এপ্রোচে? সাধারণ পাঠক হিসেবে আমি নিজেকে লাভবান ভাবছি, একজন এক্স ক্যাডেট হিসেবে সিনিয়র জুনিয়র সবার অসহিষ্ণু আচণ আমাকে কিছুটা বিব্রত এবং কষ্ট দিলেও আমি নিশ্চিত থাকছি দিন দিন উই আর ডুয়ং এন্ড গেটিং বেটার, অন্তত একাডেমিক তর্ক বিতর্কে। আমি এও ভাবছি সবসময়ের মতোই আমরা এই কথা কাটাকাটি থেকেও কিছুটা শিখব যেটা আমাদেরকে সামনের দিনগুলোতে আরো ম্যাচিউর করবে অন্য যেকোন বাংলা ব্লগসাইটের তুলনায়। এর আগে এধরণের কোন পোস্টে দুই তিনটা কমেন্টের পরই সিচুয়েশন খারাপ হয়ে যেতো, এখন সেরকম হচ্ছেকি?
                      আলমের লেখাটার রেফারেন্স এখানে এজন্যেই আমার কাছে মিস লিডিং লাগছে কারণ তখনো সিসিবির রেডবুকে ধর্ম সংক্রান্ত লেখালেখির ব্যাপারে হার্ড লাইন ছিলো (যতটুকু আমার মনে পড়ছে), কিন্তু আলমের পোস্টের সমসাময়িক আরো কিছু প্রতি-পোস্টে সবার আলোচনায় রেডবুক মডিফিকেশনের ব্যাপারটিও উঠে আসায় পরে সবার সম্মতিতেই আমরা এই ধরণের আলোচনা ভিন্নমতের প্রতি সমান শ্রদ্ধা বজায় রেখে চালিয়ে যাবার ব্যাপারে সহমতে এসেছিলাম। এমনকি আলমের পোস্টটাও তুলে আনার কথা হয়েছিলো। আলম নিজেই রাজি হয়নি। (যে পোস্টের লিঙ্ক দিলি সেইটার কমেন্টেই দেখলাম)

                      এবং আমার পার্সোনালি মনে হচ্ছে, ফাহিম ভাই উপরে আলমের কমেন্টে ব্লগ এডু স্যারের যে কমেন্ট টা কোট করেছেন অর্ণবের কমেন্টের সাথে রেখে সেটাও কিছুটা মিস লিডিং। বস, বেয়াদবি নেবেননা, আমি যতটুকু বুঝলাম, আলম ডিরেক্ট এডু স্যারের সিদ্ধান্তের কথা বলাতেই হয়তো এডু মডুরা তাদের স্ট্যান্ড এই ক্ষেত্রে পরিষ্কার করার জন্য আলমকে উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু অর্ণবের কমেন্ট তো কিছু পাঠকদের প্রতি (এবং আমার চোখে যথেষ্ট আপত্তিকর ভঙ্গিতে লেখা) এখানে এডু স্যারদের কি বক্তব্য থাকতে পারে? আলম আর অর্ণবের কমেন্ট দুটো পাশাপাশি রেখে মডারেশন নিয়ে কথা উঠানোটা কি যায় এক্ষেত্রে বস্‌? আবারো সবিনয়ে বলছি, ভুল হলে সিনিয়র ভাই হিসেবে ধরিয়ে দেবেন, নিশ্চয়ই মাথা পেতে নেব। সিসিবির মডারেশন যদি একটা সাইডে বায়াসড হয় তবে কি আপনারই পোস্ট করা সুরাগুলো কি পাবলিশ হতো? আমি একজন সাধারণ সিসিবি রিডার, লিখতে পারিনা, কিন্তু সারাদিন পড়ি, আমার নিজের বিশ্বাস যাইহোক, আমার কাছে কেনো যেনো মনে হচ্ছেনা সিসিবির উপর বা এর মডারেশনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলার মত কিছু হচ্ছে।


                      সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

                    • কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

                      উপরে মাহমুদ ভাইয়ের কমেন্ট টা বেশ লাগসই মনে হচ্ছে এখন,
                      আবেগ কাজ করলে বুদ্ধি ভোতা হয়া যায় আমরা সবাইই আবেগের জায়গায় এসে কিছুটা থমকে যাচ্ছি হয়তো।


                      সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

                    • তৌফিক (৯৬-০২)
                      কিন্তু যখন লেখায় অন্য কারও নামোল্লেখ করে তাকে হেয় করা বা অন্যের ধারণাকে কটাক্ষ করা হবে, তখনই তা সমর্থনের অযোগ্য হয়ে পড়বে।

                      রেডবুক পরিবর্তনের পরে রায়হান আবীরের একটা পোস্টে আলমের পোস্ট নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। ওই পোস্টে অনেকেই মত দিয়েছিলেন যে, আলমের শেষ প্যারাটা কটাক্ষপূর্ণ। এ কারণে এই লেখাটায় ব্লগ এডুর আপত্তি। আমারও এই আপত্তিতে কোন আপত্তি নাই। কিন্তু গত কয়েকদিন এই নীতির ব্যতয় ঘটানো হয়েছে (আমার দৃষ্টিতে)। ফাহিম ভাইয়ের সূরার পোস্টে জুবায়েরের ছড়া দেয়াটা কি কটাক্ষ না? যে কমেন্টের কথা ধরে আমি এখানে আমার মতামত দিয়েছি, ওইটাও তো চরম কটাক্ষপূর্ণ। তবে, ব্লগ এডু নীরব কেন?

                      কাইয়ূম ভাইকে ধন্যবাদ। মডারেশনের কাজটা কঠিন এবং সবার সহযোগিতা না পেলে তা আরো কঠিন হয়ে পড়ে। আমার হয়তো এভাবে তুলনা করাটা ঠিক হয়নি। তবে বর্তমান রেডবুক অনুসারেও তো কটাক্ষপূর্ণ বক্তব্য নিষিদ্ধ হওয়ার কথা।

                      অন্য কারও বিশ্বাসকে কটাক্ষ করে কিছু লেখা যাবে না। অন্য কারও বিশ্বাসকে আঘাত না করে নিজের বিশ্বাসের কথা লেখা যাবে। তবে, অবশ্যই নিজের বিশ্বাসের প্রচারণামূলক কোন লেখা প্রকাশ করা যাবে না। রাজনৈতিক প্রচারণাও তাই নিষিদ্ধ।

                      সূরার পোস্টে ছড়া দেয়া বা ঈশ্বর কি করেছে না করেছে এইসব বলে কি ধর্মগ্রন্থ আর ঈশ্বরবাদীদের কটাক্ষ করা হচ্ছে না?

                      মডারেশনকে একেবারে সামনে নিয়ে আসা বা মোটাদাগে মডারেশনের সমালোচনা করা মাত্রাবহির্ভূত কাজ হয়েছে স্বীকার করে নিচ্ছি। কাইয়ূম ভাইকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। বড় ভাইরা এজন্যই তো আছেন। :hug:

                    • তৌফিক (৯৬-০২)

                      ব্লগ এডুকে ধন্যবাদ সূরা কাফিরুনের পোস্টে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। এরকম ব্যবস্থা নিজ উদ্যোগে নিলেই সর্বাংগ সুন্দর হতো বলে আমার বিশ্বাস। আমি হেয় করছি না, শুধু বলছি যে, রেডবুকের সরাসরি লংঘন ব্লগ এডুর নিজ দায়িত্বে তদারকি করা উচিত।

                      আবারো ধন্যবাদ।

                    • ফাহিম (৯০-৯৬)

                      রেড বুকের রূল

                      ৪। অন্য কারও বিশ্বাসকে কটাক্ষ করে কিছু লেখা যাবে না। অন্য কারও বিশ্বাসকে আঘাত না করে নিজের বিশ্বাসের কথা লেখা যাবে। তবে, অবশ্যই নিজের বিশ্বাসের প্রচারণামূলক কোন লেখা প্রকাশ করা যাবে না। রাজনৈতিক প্রচারণাও তাই নিষিদ্ধ।

                      ৯। অন্য কাউকে আক্রমণ করে কিছু বলা যাবে না। এমন কিছু করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ আক্রমণকারীর উক্ত লেখা বা মন্তব্য মুছে ফেলতে পারবেন। এছাড়া কেউ আক্রান্ত বোধ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হল। সেক্ষেত্রে অভিযোগ পর্যালোচনা করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

                      অর্ণবের উদ্বৃতি

                      আপনারা ক্রিয়েইশনিস্টদের দুই একটা ছোটখাট দঙ্গল বানিয়েছেন দেখে আমোদ পাচ্ছি, আপনাদের একজন ফ্রেইড হয়েলও আছে দেখা যাচ্ছে, যারা অনবরত একে অপরের প্রসংসা করে যাচ্ছেন। অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা ভাল হয়েছে এই কারণে যে, আমাদের গনতন্ত্র, ফ্রীস্পিচ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র, মানবাধিকারের মত ব্যাপারগুলো যা আমরা ডিফেন্ড করবো জীবনের বিনিময়ে হলেও, এবং যা নির্ধারণ করবে কোন মূল্যবোধ ব্যবস্থার পতাকার নীচে আমরা এক হব এর ঘাড়ে ব্রন্জ এইজ ডেজার্ট ক্যামেল স্টোরির রামদা দিয়ে কোপ কারা দিবে তাদের আমরা আগে আগেই চিনে ফেলছি।

                      তোমার কি মনে হয় না ৪ ও ৯ নম্বর রূল ভাংগা হয়েছে। যারাই জাহিদ ভাইয়ের পোস্ট পছন্দ করেছে তাদের সে সরাসরি আঘাত করেছে। আলমের মন্তব্যের জবাবে এডজুটেন্টের উত্তর প্রমান করেছে ব্লগ এডজুটেন্ট এক্টিভ। কাজেই এই মন্তব্য সে দেখে নাই তা বলতে পারবে না। এখন যদি মনে হয় যে অর্নব যা বলেছে তা ব্লগ এডজুটেন্টের কাছে আপত্তিকর মনে হয় নি তাহলে আমার কিছু বলার নেই। শুধু এইটাই বলব যে মডারেশন উঠিয়ে দিলে ভাল। তাহলে একজনের কারণে আর একজনকে দায়ী করা হবে না।

                      সূরা কাফিরুনের এই খানে দেয়ার অর্থ বুঝেছ তুমি? যারা অবিশ্বাসী তাদেরকে ধর্মের কথা শোনানোর জন্য এই সূরা দেয়া হয় নি। এটা অন্যবিশ্বাসের মানুষের প্রতি শান্তির আহবান। ধর্মকে সবাই অসহিষ্ণু বলে। কিন্তু এই সূরাই বলেছে যে ভাই তর্ক বাদ। তুমি তোমার মতো থাক আর আমি আমার মতো থাকি। অর্নবের পোষ্টের বক্তব্যে ধর্মে বিশ্বাসী যারা আহত হয়েছে তাদের পক্ষ হতেই এই শান্তির আহবান। সেই সূরার মন্তব্যে সে ধর্মকে কটাক্ষ করে আবার কবিতা লিখেছে।

                      আমি এর আগেও একবার একটা সূরা দিয়েছিলাম। সূরা বাকারার কিছু আয়াত। যেখানে যুদ্ধে শহীদের কথা বলা হযেছিল। বিডিয়ার এর ঘটনায় আমাদের যারা মারা গিয়েছিলান তখন এই ব্লগেই বলা হয়েছে উনারা শহীদ। মৃত্যুর পর যেখানে থাকুক তারা ভাল থাকুক। এই সূরা তাই বলেছিল যে উনারা ভাল থাকবেন। কই সেইদিন তো এরা বলল না যে এই সব বোগাস কথা। যারা মরে গেছেন তারা শেষ। তাদের আর ভাল খারাপ কিছুই নেই। এইটা কি ডাবল স্টান্ডার্ড না ?

                      আমি কিন্তু বলি নাই কি ছাপবা আর কি ছাপবা না ? আমার কথা হছে ফ্রীডম অব স্পীচের কথা বললে মডারেশন না থাকা ঊচিত। মডারেশন থাকলে মনে হয় এখানে নিশ্চিন্তে আসা যাবে। যেহেতু মডারেটরা আছে যারা আমার মতই ক্যাডেট তখন নিশ্চয়ই অফেন্ডেড হওয়ার মতো কিছু থাকবেনা। মডারেটরদের প্রতি আস্থাই এর কারন। কিন্তু মডারেশন না থাকলে এই প্রস্তুতি থাকবে যে এখানে যা ইচ্ছা তা লেখা হতে পারে। ব্লগে ঢুকলে নিজ দায়িত্বে ঢুকব।

                    • কামরুলতপু (৯৬-০২)

                      ভাইয়া ,
                      থাক না ভাইয়া এইবারের মত। যারা মেম্বার তাদের কমেন্ট সরাসরি চলে আসে তাই সেটা মডারেটরদের চোখ এড়াতেই পারে। আমি যেমন এইসব পোষ্টে কখনো আসি না কমেন্ট ও করি না। আপনি ভাইয়া এইটাকে বাদ দিয়ে দেন। চুপ থাকা মানেই তো আর মেনে নেওয়া না। যেহেতু বেশি হয়ে যাচ্ছে আসেন আমরা এটা নিয়ে আর কথা না বলি।
                      সবাই মিলে আবার আনন্দের স্মৃতিচারণ করি।
                      সবাই মিলেই থাকব।

              • ফাহিম (৯০-৯৬)

                ভাই মুহাম্মদ, তুমি বললা যে ক্রেডেনশিয়াল দেয়ার কারনে কেউ মিসলিড হতে পারে। তুমি তো হও নি। কারন তুমি বুদ্ধিমান । আর বুদ্ধিমান মাত্রই জানে নামে না ফলেতে পরিচয়। তো তোমার যতটুকু বুদ্ধি আছে অন্যদের তা নাই তুমি কিভাবে ভাবলা আমি তা ভাবি। তুমি যদি কিছু বছর আগের জাফর ইকবাল সাহেবের প্রথম আলোয় ছাপানো লেখাগলো দেখো তাহলে দেখবে প্রতিটি লেখার নীচে আছে

                জাফর ইকবাল
                কম্পিউটার বিজ্ঞানী, বিভাগীয় প্রধান, ডীন, প্রভোস্ট, সিন্ডিকেট সদস্য

                এতোগুলো টাইটেল শুধু ব্যাবহার করা হযেছে তার কথা যাতে মানুষ শোনে তার জন্য। বিশ্বাস করানোর জন্য না। বিশ্বাস যার যার নিজের ব্যাপার। তুমি নিজ়েই তার ক্রেডেনশিয়াল ব্যাবহার করতে চেয়েছ তোমার গণিত নিয়ে একটা পোস্টে। আমার উদ্দেশ্য ছিল ও তাই। বিজ্ঞান নিয়ে আমি যখন কথা বলি তখন আমার বলতে হয় আমি বিজ্ঞান কতোটুকু জানি। আমি পদার্থবিদ্যাতে পিএইচডি করছি। ভাল। ইংলান্ডে কিছু ইউনিভার্সিটিতে ২০০০ পাঊন্ড দিলে যেকোন বিষয়ে পিএইচডির সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। যার মূল্য কি তা তুমি বোঝ ? এইজন্য ক্রেডেনশিয়াল দিতে হযেছে।

                যাই হোক ক্রেডেনশিয়াল যাই দেই না কেনো আমার বক্তব্য ছিল

                ১। নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ধ্বংস ও সৃষ্টি যেকোনো কিছু করতে পারে।
                ২। হিরোসিমার জন্য আইন্সটাইনকে আমি সন্ত্রাসী বলি না।
                ৩। আব্দুস সালাম পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পেযেছিলান।
                ৪। তিনি নোবেল ডিনারে আল্লাহ ও কোরানের কথা বলেছিলেন।
                ৫। বিজ্ঞানী মাত্রই নাস্তিক না।
                ৬। কোল্ট এম ৪ এর মতো অস্ত্র কোনো ধর্ম প্রাণ মানুষ বানায় নি।
                ৭। বানিয়েছে বিজ্ঞানী কোল্ট।
                ৮। মুসলমান বা দাড়ীয়ালা মাত্রই সন্ত্রাসী না যেমন আব্দুস সালাম, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর।এটা তুমি ইউরোপ বা ইঊ এস এ তে গেলে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় দেখবা।
                ৯। আমি বলেছি ফ্রীডম অব স্পীচের কথা হলে মডারেশন উঠিয়ে দেয়া ভাল। এটা ডাবল স্টান্ডার্ড হয়ে যায়।
                ১০। ডাবল স্টান্ডার্ড চালাতে হলে ব্লগের নাম বদলে ফেলা উচিত। তখন সব ক্যাডেট তাতে জড়িত হবে না।

                ভাইয়া বলবা কি কিসে কিসে আমি মিসলীড করার চেষ্টা করেছি।

                জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
      একটা ধর্মীয় রাষ্ট্রে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগার নাম করে যে সেন্সর আরোপ করা হবে তার বদৌলতে সেটার জ্ঞান চর্চা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

      মুহাম্মদ,

      জ্ঞানচর্চা মানে হলো একটা অজানা বিষয়কে জানা আর আর তারপর সেই বিষয়টাকে অন্যদের জানানো হল জ্ঞানপ্রচার। আশা করি, জ্ঞানচর্চা আর প্রচারের মধ্যে পার্থক্যটা ধরতে পারছো। যে বিষয় এখনো জানাই হয়নি, প্রমান করা হয়নি, সেটাকে জ্ঞান বলে না, বলে মতবাদ।


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
  15. সাব্বির (৯৮-০৪)

    ফাহিম ভাই,
    আমরা গনতন্ত্র কেনো চাই? কেনো এক নায়কতন্ত্র নয়।

    এটা আপনার বিষয় নয় জানি, আশা করছি মাহমুদ ভাই এসে কিছু বলবেন।
    তবুও প্রশ্নটা আপনাকে।আপনি আপনার ধারনাটা বলবেন কস্ট করে প্লীয।
    ধ ন্য বা দ ।

    জবাব দিন
    • ফাহিম (৯০-৯৬)

      জানিনারে ভাই। একটা সময় ছিল যখন সবাই বলতো সমাজতন্ত্রই সব সমস্যার সমাধান। আজকে কেউ তা খুব একটা আর বলে না। আমার কিছু কলিগ আছে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার। ওরা বলে ওদের বাবা মা নাকি বলেছে মার্শাল টিটোর সময় ওরা খুব ভাল ছিলো। ইরাকের কেউ বলে সাদ্দাম হোসেনের সময় ওরা ভালো ছিল কেউ বলে এখন ওরা সাদ্দাম হোসেনের সময়ের চেয়ে ভাল আছে। আর গনতন্ত্র কি জিনিষ আসলে তাই আমি ভাল বুঝি না। গনতন্ত্র মানে যদি শুধু জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকারের শাসন বোঝায় তাহলে তো আমাদের দেশে গনতন্ত্র আছে। আমরা কি ভাল আছি ?

      আসলেই আমি কিছুই জানি না। মাহমুদ ভাল বলতে পারবে।

      জবাব দিন
  16. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ফাহিম তোমার পোস্ট তো ব্যাপক হিট হয়ে গেল। 😀

    এখন একটু রেস্ট নাও না, নাকি রেস্ট না নিলেও চলবে। 😉

    কি যে কর না মাঝে মাঝে............... 😕


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  17. ফাহিম (৯০-৯৬)

    ফয়েজ ভাই,
    সামনের অগাস্টে আমার পিএইচডির থিসিস জমা দিতে হবে। ল্যাব আর থিসিস লিখা ছাড়া অন্য কিছুর সময়ই পাচ্ছি না। এর মাঝখানে কয়দিন পুরা নষ্ট হলো। এমনিতেই এই ব্লগ থেকে একেবারে বের হয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল । ফিতনা (ফ্যাসাদ) থেকে দূরে থাকাই আমার পছন্দ। এই পোস্টটা আমার শেষ পোস্ট ও এই মন্তব্যটাই আমার শেষ মন্তব্য। আমি এই পোষ্টটা লিখেছি শুধু নিজের জন্য। হিট হওয়া বা কাউকে জ্ঞান বিতরনের কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। পরকালে যখন আল্লাহ বলবেন তোমার ভাইয়েরা যেখানে তোমার সামনে আমাকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিল তখন তুমি কি করছিলে। আমি আমার জবাবের জন্যই এই পোষ্ট লিখেছি। কারো যদি ভালো লাগে তবে সেটা বোনাস আর খারাপ লাগলে আমি দুখিত। আপনারা সবাই ভাল থাকেন।

    জবাব দিন
  18. তৌফিক (৯৬-০২)

    ফাহিম ভাই, যাবেন না প্লীজ। আমাদের ব্লগটা এখনো নতুন। রীতিনীতি তাই এখনো ঠিক হয়নি। আস্তে আস্তে দেখবেন সবই আবার আগের মতো ফুরফুরে হয়ে যাবে। নিজেও থিসিস লিখছি। জানি কতটা ব্যস্ত আছেন (কিছুটা হলেও)। সুতরাং এখন আর লেখার আবদার করবো না। থিসিস জমা দিয়েই আপনার এডভেঞ্চার কাহিনী লিখে ফেলবেন। আমরা অপেক্ষায় থাকব।

    জবাব দিন
  19. জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

    প্রিয় ফাহিম ভাই,
    সম্প্রতি আপনার এই পোস্টের রিপ্লাই হিসেবে দেওয়া আমার একটি পোস্ট সিসিবি সেন্সর করে। এটা বলাই বাহুল্য যে, সরাসরি আমাকে সম্পর্কিত করে লেখা এরকম ডিস্টার্বিং একটি অপিনিয়ন অবস্যই আমি ডিফেন্ড করার অধিকার রাখি। আমার এই লিঙ্কে সেটা দিচ্ছি http://ccb111.blogspot.com/ । ভাল থাকবেন, আমরা ধরে নেব এরকম অপ্রিতীকর একটা ব্যাপার আমরা এখানেই শেষ করতে পারলাম।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।