পাই দিবস+আইনস্টাইনের জন্মদিন

গতকাল ছিল (১৪ই মার্চ) বিশ্ব পাই দিবস। ১৪ই মার্চ পাই দিবস কেন হল, তা অনেকেই জানেন। ৩.১৪, মার্কিন নিয়মে পাইয়ের এই মানটি ১৪ই মার্চকে নির্দেশ করে। পাইয়ের এই আনুমানিক মানের তাৎপর্য মেনে প্রথম পাই দিবস পালন শুরু হয়েছিল আমেরিকার স্যান ফ্রানসিস্কোর একটি বিজ্ঞান জাদুঘরে। এক্সপ্লোরেটোরিয়াম নামের এই জাদুঘরে দিবসটি পালন শুরু করেছিলেন ল্যারি শ। শ’কেই তাই পাই দিবসের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ১৯৮৮ সালে পাই দিবস পালন শুরু হয়। সে হিসেবে এক্সপ্লোরেটোরিয়ামে এবার ২০তম আন্তজার্তাকি পাই দিবস পালিত হচ্ছে। আমরা সাধারণত কোন দিবস পালন শুরু করি রাত ১২:০০ টা’র পর থেকে। কিন্তু পাই দিবস পালন শুরু হয় রাত ১:৫৯ এ। কারণ বুঝতেই পারছেন, পাইয়ের মান ৩.১৪১৫৯…। এই সময়টিকে তাই পাই মিনিট বলা হয়। মানুষের পক্ষে এর থেকে সূক্ষ্মভাবে পাই দিবস পালন করা সম্ভব না। খুব বেশী হলে ১:৫৯:২৬ এ পালন শুরু করা যায়। কিন্তু কম্পিউটার আরও অনেক সূক্ষ্মভাবে পাই দিবস পালন করতে পারবে।

পাই

পাই নিয়ে একটা হেঁয়ালি বা প্যারাডক্সের উপস্থাপন করছি। পাই সংখ্যাটাই আসলে হেঁয়ালিপূর্ণ। তবে এইটা পুরোদস্তুর ব্যবহারিক হেঁয়ালি। ভবিষ্যতে কখনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসারের মাধ্যমে রোবো-মানবের জন্ম হলে তারা কখনই পাই দিবস পালন শুরু করতে পারবে না। কারণটা খুবই সোজা। পাইয়ের মান দশমিকের পর অসীম পর্যন্ত যায় এবং এর মধ্যে কোনরকম পৌনঃপুনিকতাও নেই। বেচারারা দশমিকের পর সংখ্যা বের করতে গিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেবে, যতদিন না মহাবিশ্বের মৃত্যু হয়। পাই সংখ্যাটা আমাদের মনে এমনই একটা মোহ ধরিয়ে দেয়। সীমার মধ্যে থেকেও অসীমের স্বাদ পাওয়া যায় পাই থেকে। অজানা বলেই পাই হয়তো এতোটা সুন্দর লাগে।

হেঁয়ালির কথাই যখন আসলো তখন আরেকটা কথা বলে ফেলি। বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত হল পাই। আজ থেকে ৪,০০০ বছর পূর্বে পাই বিষয়ে সচেতন হয় মানুষ। ব্যবিলনীয় ও মিশরীয়রা পাইয়ের ব্যাপারটা জানতো। গ্রিকরা পাই নামকরণটি করেছিল। সেই থেকেই পাইয়ের মান বের করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে মানুষ। ১৬১০ সালে এক জার্মান গণিতজ্ঞ দশমিকের পর ৩৫ ঘর পর্যন্ত নির্ণয় করেন। ১৭৮৯ সালে স্লোভেনিয়ার একজন ১৪০ ঘর পর্যন্ত, আর ১৮৭৩ সালে এক ইংরেজ শৌখিন গণিতজ্ঞ ২০ বছর সাধনা করে ৭০৭ ঘর পর্যন্ত নির্ণয় করে। পরে দেখা যায়, তার নির্ণয়কৃত সংখ্যা ৫২৮তম ঘর পর্যন্ত সঠিক, এরপরের সবই ভুল। ২০০২ সালে এক জাপানী গণিতজ্ঞ পাইয়ের বিশাল একটা মান বের করেছে। তার সংখ্যায় মোট ডিজিট ছিল ১,২৪১,১০০,০০০,০০০টি। অর্থাৎ ট্রিলিয়ন ঘর পর্যন্ত পাইয়ের আসন্ন মান নির্ণয় এখন কোন বিষয়ই না। এতো বিশাল মানগুলো দিয়ে কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বের পরিধি নির্ণয় করতে পাইয়ের মান মাত্র ৪৩ ঘর পর্যন্ত নিলেই হয়। পরিধির এই মান একটি প্রোটনের আকারের মত সূক্ষ্ম হয়।

মাত্র ৪৩ ঘর দিয়েই আমাদের জানা সর্বাধিক পরিধিটা প্রোটনের আকারের মতো সূক্ষ্মতার সাথে মেপে ফেলা যাচ্ছে। তারপরও গণিতবিদদের আগ্রহের অন্ত নেই পাইয়ের মান নির্ণয়ে। এর শেষটা যেন দেখেই ছাড়বে তারা। মানুষ সবসময়ই অসীমকে নিজের মধ্যে অনুভব করেছে এবং অসীমকে জানার সে অদম্য স্পৃহার চাবিকাঠি হতে পারে পাই। পাইকে সবচাইতে রহস্যময় ও অদ্ভুত সুন্দর এক সংখ্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এ জন্যই।

জ্যামিতির জগতে পাই আমাদেরকে একেবারে ধাঁধার মধ্যে ফেলে দেয়। এ বিষয়ে সবাই একমত যে, বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত হল পাই। কিন্তু, আপনাকে যদি বৃত্তের পরিধির নির্দিষ্ট মান দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে পাইয়ের মান ব্যবহার করে সেই বৃত্তের ব্যাস বের করতে পারবেন কি? কিংবা ব্যাস দেয়া থাকলে পরিধির মান নির্ণয় করতে পারবেন? জীবনেও পারবেন না। কারণ পাইয়ের মানই আপনি জানেন না। এই অসংগতি কিন্তু বাস্তব জগত সম্বন্ধে আমাদের চিন্তাধারার অসংগতিকেই নির্দেশ করে। অসীমের জ্ঞান ছাড়া সংগতিপূর্ণ চিন্তাধারাটি বের করা সম্ভব না। সত্যি কথা বলতে, পরিপূর্ণ বৃত্ত বলতে কিছু নেই। পরিপূর্ণ কেন নয়, এবার বলছি,
বৃত্তের ব্যাস কিন্তু সম্পূর্ণ সূক্ষ্মভাবে নির্ণয় করা সম্ভব না। কারণ এটা ইলেকট্রন, প্রোটন বা আরও ছোট কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত। সুতরাং কখনই দৈর্ঘ্য পূর্ণরূপে নিণয় করা সম্ভব না। মানুষের পক্ষে সম্ভব না, কারণ তারা ত্রিমাত্রিক স্থানের বাসিন্দা। একমাত্রিক হলে কিন্তু পাইয়ের নির্দিষ্ট মান বের করা যেতো। এমনও তো হতে পারে, পাই মাত্রার জ্ঞান অর্জন করার চাবিকাঠি।

এর আগে বলেছিলাম, পাইয়ের মান ৪৩ ঘর পর্যন্ত ধরে পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বের পরিধি নির্ণয় করলে তা প্রোটনের আকারের সমান সূক্ষ্ম হয়। আমরা যদি আরও সূক্ষ্ম পরিধি নির্ণয় করতে চাই তাহলে কিন্তু আরও ডিজিট নিতে হবে। কখনও মনে হয়, কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের জগতে বিশেষ কোন অবদান রাখতে পারে পাই। তবে এতে কোন সন্দেহ নেই, গণিত ও বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে এখন পাইয়ের জয় জয়কার।

মহামতি পাইকে সম্ভাষণ জানাতে কি করছে এক্সপ্লোরেটোরিয়াম? এবারে তাই দেখা যাক: (২০০৮ সালের অনুষ্ঠানসূচী)
১:০০ – পাই ধাঁধা দিবেন জনৈক পদার্থবিজ্ঞানী। উপস্থিত সবার জন্য।
১:৩০ – পাই শোভাযাত্রার জন্য সবাইকে জড়ো করা।
১:৫০ – শোভাযাত্রা শুরু হবে। সবাই পাই সঙ্গীত গাইবে।
২:০৫ – পাই দিবসের বিশেষ খাবার পরিবেশনা।
বিজ্ঞান জাদুঘরটির কেবল ম্যাকবিন থিয়েটারেই এই অনুষ্ঠানগুলো হবে। এছাড়া অন্য কয়েকটি স্থানে চলবে এটি।

একই সাথে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে পাই দিবস। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড পাই দিবস পালনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে প্রথম থেকেই। গতকাল, অর্থাৎ ১৩ই মার্চ (২০০৮) প্রথম আলোতে পাই নিয়ে এক অসাধারণ প্রবন্ধ লিখেছেন মুনির হাসান। তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত আছেন। তবে দুঃখের বিষয়, এবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় পাই শোভাযাত্রাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। মুনির হাসান কোন কারণ লিখেন নি তার প্রবন্ধে। তার প্রবন্ধ থেকে একটি পাইকাব্য তুলে দিচ্ছি এখানে:

How I need a drink,
alcoholic in nature (or of course)
after the heavy lectures
involving quantum mechanics

প্রথম লাইনটা ভাঙিয়ে দিলেই মাহাত্ম বুঝবেন, How (৩) I (১) need (৪) a (১) drink (৬)।

পাই নিয়ে আমাদের মাতামাতির কোন শেষ নেই যেন। অবশ্য এর শেষও চাই না আমরা। পাই রহস্যময় হলেও একটু একটু করে উদ্‌ঘাটিত হচ্ছে। আপনারাও পাই দিবসে মেতে থাকুন পাইয়ের সৌন্দর্য্যে। পরিশেষে কয়েকটা বিশেষ তথ্য সরবরাহ করছি:

দশমিকের পর ১০০ ঘর পর্যন্ত পাইয়ের মান:
π=3.141592653589793238462643383279502884197
169399375105820974944592307816406286208998
6280348253421170679

আপনি চাইলে নিচের তিনটি সূত্রের যে কোনটি দিয়ে পাইয়ের মান বের করা শুরু করতে পারেন। অনেক দূর পর্যন্ত সঠিক মান পাবেন:
π/2 = (2*2*4*4*6*6*8*8*…) / (1*3*3*5*5*7*7*9*…)
π/4 = 1 -1/3 + 1/5 – 1/7 + 1/9 – 1/11 + …
π = 3 + 1/10 + 4/102 + 1/103 + 5/104 + 9/105 + …

পুনশ্চঃ পাই দিবসের পাশাপাশি ১৪ই মার্চ আইনস্টাইনের জন্মদিন। সেই সাথে এ বছর দ্বিতীয় বারের মত পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক টক লাইক আ ফিজিসিস্ট দিবস। তাই সবাইকে অনুরোধ করবো পদার্থবিজ্ঞানীর মত কথা বলতে। কারণ, যে কেউ পদার্থবিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো সহজ করে বুঝে নিতে পারে, বোঝাতেও পারে অন্যকে।


লেখাটা আসলে গত বছরের (২০০৮) পাই দিবস উপলক্ষ্য লিখেছিলাম। সচলায়তনে প্রকাশিত হয়েছিল। পরীক্ষার কারণে এ বছরের পাই দিবস, টক লাইক আ ফিজিসিস্ট দিবস এবং আইনস্টাইনের জন্ম দিবস উপলক্ষ্যে কিছুই করতে পারিনি। পুরনো লেখাটাকেই সময়ের প্রয়োজনে সামান্য বদলে নিয়ে পোস্ট করে দিলাম…

এবার খাবার পরিবেশনের পালা। সবার জন্য পাই কেক:
cake pi
খেতে খেতে একটা কৌতুক শোনেন। পাই কৌতুক: (i পাইকে বলছে “be rational”, পাই প্রত্যুত্তরে i কে বলছে “get real”)
joke
কৌতুকটা সহজ করে দিচ্ছি: (আগেই বুঝে ফেললে এটা পড়ার দরকার নেই)
i হল কাল্পনিক সংখ্যা তথা unreal, আর পাই হল অমূলদ সংখ্যা তথা irrational.
i পাইকে বলে, ভাই এত পার্ট না মাইরা আগে rational হন, আর পাই ধমকের সুরে বলে, আগে ব্যাটা তুই real হ তারপর কথা কইস 😀

৬৫ টি মন্তব্য : “পাই দিবস+আইনস্টাইনের জন্মদিন”

  1. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    মুহম্মদ, তোমার লেখাটা বুঝলাম। পাই নিয়েও আমার বেশি বিদ্বেষ নেই। কিন্তু পাই দিবসের বাংলাদেশীয় আদিখ্যেতার উপর আমি বেশি রকম বিরক্ত।

    এবার পাইয়ের ডাইলেমার সাথে আরেকটা যোগ করি। সেটা হলো রুট ২ এর মান নিয়ে। একক লম্ব একক ভুমি বিশিষ্ট সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজ রুট ২। এর মানও তো দশমিকের পর অসীম। কিন্তু এটা নিয়ে কোন উচ্ছাস নাই কেন???

    এবার বলি, অনেকের গুরু জাফর সাহেবের ব্যাপারে। তিনি সবখানে বলে বেড়ান মুখস্থ অশ্লীল শব্দ মুখস্থকে না বলো আবার টিনি পাই দিবসে পাইয়ের মান মুখস্থকারীদের বিজয়ীদের পুরস্কার দেন। আরো আদিখ্যেতা চলে। পাই আকৃতির নেইল পলিশ লাগানো পাই য়ের জুস (পাইনআপেলজুস) ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাধি জরা দুর্যোগের এই দেশে এ হেন ছয়াবলামিতে আমার বিরক্তই লাগে শুধু। একান্ত নিজস্ব মত প্রকাশ করলাম। মাইন্ড খাইলে সরি।

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      আমিন ভাই, পাই নিয়ে শুধু বাংলাদেশে না পৃথিবীর সব দেশেই উৎসব হয়। রুট টু বা অন্যান্য অমূলদ সংখ্যা বাদ দিয়ে পাই নেয়ার কারণ তো বুঝতেই পারছেন: পাইয়ের মত ব্যবহার আর কোনটিরই নেই।

      এখানে আরেকটা কথা বলি: পাই দিবস একটা উৎসবের নাম। এ নিয়ে বিরক্ত হওয়ার কোন কারণ আমি পাইনি। কারণ বড়দিন বা বিজয় দিবস যেমন একটা উৎসব, পাই দিবসও তেমন একটা উৎসব। যারা গণিত ভালোবাসেন তারা গণিতের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রদর্শনের একটা উপায় হিসেবে পাই দিবসকে বেছে নেন। আপনি কি বড়দিন বা বিজয় দিবসের আতিখ্যেতা দেখে বিরক্ত হন? পাই এর মান মুখস্থ করার তো কোনই দরকার নেই। কিন্তু মানুষ নিছক মজার জন্য অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজ করে, এগুলোর অধিকাংশেরই কোন যৌক্তিক কারণ ও ফলাফল নেই। পাই এর মান মুখস্থ করাটাকেও আমি উৎসবের একটা মজার উপাদান হিসেবে দেখি, এটা সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই... 🙂

      জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

        উৎসব বললে মেনে নিলাম। কিন্তু মজার জন্য পাইয়ের মান মুখস্থ করাটাও ধরলাম ঠিক আছে কিন্তু এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা আর বিজয়ীর নাম পত্রিকায় আসার মত কর্পোরেটিকরণের ব্যাপারটাকে অস্বীকার করবার উপায় নাই । ব্যবহারের জন্য পাইয়ের এত দাম? আমি জানতাম না। যা হোক সীমার মাঝে অসীমের সবকিছুই আমাকে সমান আনন্দ দেয়। বিজয় দিবস কিংবা বড়দিনের সাথে পাই দিবসকে মেলানো বোধ হয় ঠিক হচ্ছে না। একটি ধর্মীয় উৎসব আরেকটি জাতীয় উৎসব। তার সাথে কি পাই দিবসের তুলনা? আমাদের দেশের সাক্ষরতার হার ৩০ বা টার কাছাকাছি। পড়ালেখা ঠিকভাবে শিখে আরো কম। গণিত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করনে ওয়ালা লোক আরো কম। ইনোভেটিভ যে কোন কিছু আমার ভালো লাগে। ব্যক্তিগট ভাবে জাফর সাহেবকে অপছন্দ করলেও তার গণিত অলিম্পিয়াডকে আমি সব সময় স্বাগত জানাই।
        এখন আমি অফিস থেকে বেরুচ্ছি। বাসায় পৌছে আরো আলোচনার আশা রাখি।
        (যদি কারেন্ট এলাউ করে)।

        জবাব দিন
        • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
          কিন্তু এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা আর বিজয়ীর নাম পত্রিকায় আসার মত কর্পোরেটিকরণের ব্যাপারটাকে অস্বীকার করবার উপায় নাই ।

          একমত।

          বিজয় দিবস কিংবা বড়দিনের সাথে পাই দিবসকে মেলানো বোধ হয় ঠিক হচ্ছে না।

          আসলেই ঠিক হয়নি। বেশী স্থূল হয়ে গেছে। তবে ভবিষ্যতে এটাও ঠিক হতে পারে। বর্তমানেও মানুষের অধিকাংশ উৎসব আবর্তিত হয় ধর্মকে কেন্দ্র করে। ভবিষ্যতে সেটা বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করেও হতে পারে। হয়ত আজকের এই পাই দিবসই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ আন্তর্জাতিক উৎসব হবে।
          বিজয় দিবস, বড়দিন, পূজা- ইত্যাদি যে দিবসের নামই বলেন না কেন- এটাতে সবাই অংশ নিতে পারে না। কারণ কিছু হল জাতীয় দিবস আর কিছু হল গোষ্ঠীকেন্দ্রিক দিবস- কিন্তু পাই দিবসে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশ নিতে পারে। এটার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা কিন্তু তবে বেশী হওয়ার কথা।

          আন্তর্জাতিকতা যত বাড়বে আন্তর্জাতিক উৎসবের গুরুত্বও বোধহয় তত বাড়বে। তবে সেটা কতদূর হয় সেটা কল্পনা করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নাই। যখন মহাজাগতিকতা (cosmic citizenship) শুরু হবে তখন গণিত বা বিজ্ঞানকেন্দ্রিক দিবসগুলোর গুরুত্বই হবে সবচেয়ে বেশী।

          জবাব দিন
  2. তানভীর (৯৪-০০)

    মুহাম্মদের ইদানিংকালের লেখাগুলা (সচলে পুরনো হলেও আমাদের ব্লগে তো নতুন) খুব আরাম করে পড়া যায়। মানে, আমাদের বুঝার মত করে আর কি! 😀 😀

    একবার কলেজে ম্যাথ ভাইবায় আমাদের খুব প্রিয় একটা স্যার (হাবিব স্যার) আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- বল তো পাই কি? আমি কেমন যেন ভ্যাবাচেকা খেয়ে উত্তরটা দিতে পারিনি। 🙁 🙁 স্যার বেশ আহত হয়ে উত্তরটা দিয়ে আমাকে আর কোন প্রশ্নই করেননি। আজ অবধি ঐ উত্তর ভুলে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

    জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    বেশ ঝরঝরে লেখা।
    পাই দিবসে 'পাই' খাওয়া হোক এখন।
    যাঁরা পাই-এর মান নিয়ে
    পাই পাই হিসেবে ব্যস্ত,
    কামনা করি তাঁরা আখেরে
    মোক্ষ 'পাই'বেন।
    দিবসের শুভেচ্ছা বুঝিয়া 'পাই'লাম।
    মুহাম্মদকে ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  4. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    পাই পুই যাই হোক শেষ পর্যন্ত তো অংকই। পোলাপাইন তো অংক করতে চায় না, এই জন্য গনিতজ্ঞবিশরদরা এই সব গান বাইর করতেছে, আগ্রহ বাড়ানো লাইগ্যা 😀

    এই রকম ইউনিক নাম্বার আরও কিছু মনে হয় পাওয়া যাবে, এর পর সেই দিবস, তার পর, ধর লংমার্চ (শোভাযাত্রা কয় এইটারে) এর পর ক্যাক কাটাকাটি, এরপর আনন্দ ঘুম। আমার অনুভূতি সেই দুষ্ট ছেলের মত, যে তার ছোট ভাইকে বলে " ওই কইছ না কিন্তু, মায় তরে অংক শিখাইতেছে"।

    মানুষের সীমাবদ্ধতা দেখ, পাই জিনিসটা নিজেই বানাইছে, নিজেই নাম দিছে, এখন নিজেই কয় আজিব তো, এইটার মান কত? :))

    মাহমুদের কথাই ঠিক, আমরা কি নিয়ে মাতামাতি করব এইটাও ঠিক হয়ে থাকে, কি যেন একটা টার্ম কইছিল, খুব হাউ কাউ করলা তুমি আর মাহমুদ, ভূইল্যা গেছি।

    তয় তুমি আমার কথাও মাইন্ড খাইওনা কইলাম। আমি আউলা মানুষ তো, আউলা বাউলা কথা বেশি কই। আর আমি তো তোমার পাংখা, ভক্তের কথাই মাইন্ড খাওয়া শাস্ত্রে বারন 🙂


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
      তয় তুমি আমার কথাও মাইন্ড খাইওনা কইলাম। আমি আউলা মানুষ তো, আউলা বাউলা কথা বেশি কই। আর আমি তো তোমার পাংখা, ভক্তের কথাই মাইন্ড খাওয়া শাস্ত্রে বারন

      মাইন্ড করি নাই।

      একটা জিনিস বুঝছি: আমার চিন্তাধারা আর আপনের চিন্তাধারা পুরাপুরি বিপরীত (১৮০ ডিগ্রি)

      তবে কথা হইল, সব মানুষ কিন্তু এক জিনিস নিয়া হাউ কাউ করে না। যার যেইটা পছন্দ সে সেইটা নিয়া হাউকাউ করে। একে আবার অন্যের হাউকাউয়ে বিরক্ত হয়। যেমন আমার পছন্দ বিজ্ঞান, তাই আমি এইটা নিয়া হাউকাউ করি।
      কিন্তু এইখানের কমেন্ট দেখলেই বুঝবেন পাইয়ের সৌন্দর্য্য অনেককেই স্পর্শ করে না। আমাকেও যেমন অনেক কিছুর সৌন্দর্য্য স্পর্শ করে না। কারণ খুব স্বাভাকিক, সৌন্দর্য্য জিনিসটাও সার্বজনীন না।

      এটা সবকিছুর ক্ষেত্রেই সত্য। একই গান বা একই কবিতা সবার ভাল লাগে না, একেক জনের প্রিয় শিল্পী একেক জন। এটাই স্বাভাবিক।
      তাই কোন একটা বিষয়ে কিছু মানুষের হাউকাউ দেখেই সেটাকে হেজেমনির সাথে তুলনা করে দেয়া ঠিক না। এজন্যই আপনের এই কথাটার বিরোধিতা করছি:

      আমরা কি নিয়ে মাতামাতি করব এইটাও ঠিক হয়ে থাকে, কি যেন একটা টার্ম কইছিল, খুব হাউ কাউ করলা তুমি আর মাহমুদ, ভূইল্যা গেছি।

      মোটেই না। আমরা কি নিয়ে মাতামাতি করবো সেটা হেজেমনি বা সমাজ ঠিক করে দেয় না। আমরা কি নিয়ে মাতামাতি করবো সেটা আমরা নিজেরাই ঠিক করি, ব্যক্তিই তা ঠিক করে। যে ব্যক্তি নিজে ঠিক না করে হেজেমনি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মাতামাতি করে তাকে সুসভ্য (মোতাহের হোসেন চৌধুরীর "সভ্যতা" বই অবলম্বনে) বলা যায় না।

      জবাব দিন
  5. সাজিদ (২০০২-২০০৮)

    মাহমুদ ভাই ড্যান ব্রাউনের একটা বইতে দেখলাম ফাইএর (পাই না) মহাত্য বর্ণনা করতেসে, পড়ে মনে হইসে সেটা পাইএর চেয়েও ইম্পর্ট্যান্ট, তাহলে ফাই নিএও কি কোন দিবস আছে?

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      তোমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কি বলে? পাই এর চেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট আর কিছু পাইছ? পাই উঠায়া নিলে ম্যাথে আর কি থাকে একটু খেয়াল কইরা দেখ।
      ড্যান ব্রাউনের কথা মনোযোগ দিয়া শুইন না। কারণ সে ভাল থ্রিলার লেখলেও টেকনিক্যাল অনেক ভুল আছে তার লেখায়। যেমন:
      এঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনসে কণা-প্রতিকণা নিয়া অনেক উল্টাপাল্টা অবৈজ্ঞানিক কথা কইছে।
      ভিঞ্চি কোড পুরাই একটা কন্সপাইরেসি থিওরির উপর দাড় করানো। এর ঐতিহাসিক ভিত্তি বেশ কম।
      ডিজিটাল ফোরট্রেসে কম্পিউটার নিরাপত্তা নিয়া প্রায় সবই ভুল বলছে।
      ডিসেপশন পয়েন্টেও অনেক ত্রুটি আছে।

      এজন্য তার থ্রিলারের মানে কোন টান পড়ে নাই (ড্যান ব্রাউন আমার প্রিয় থ্রিলার লেখকদের একজন)। কিন্তু সেটাকে যদি কেউ ফ্যাক্ট ধরে আগানো শুরু করে তাইলে কিন্তু মুশকিল।

      আর দিবস নিয়া একটা ভুল ধারণা শুধরায়া দিই। দিবসটা কিন্তু কোন পাইবাদী সংগঠন বানায় নাই। পায়বাদ বলতেও কিছু নাই। পাই এর সৌন্দর্য্য দেখে যারা মুগ্ধ হইছে তারাই একসাথে এই সৌন্দর্য্য উদযাপন করার জন্য এই উৎসব করে যার মধ্যে আমিও একজন। এর বেশী কিছু না।
      এখন অনেক লোকে যদি অন্য কিছুর সৌন্দর্য্য দেইখা সেটা নিয়া একটা দিবস উদযাপন করতে চায় তাইলে কি কোন অসুবিধা আছে? কারও কোন ক্ষতি হইতাছে নাকি এতে?

      আসলে উপরের অনেকগুলো নেতিবাচক কমেন্টের পর তোমার কমেন্টটাও নেতিবাচকভাবে নিছি। এই জন্য অনেক কিছু বলে ফেললাম। কথাগুলো সবাইকে উদ্দেশ্য করেই বলা।

      জবাব দিন
      • সাজিদ (২০০২-২০০৮)

        আয় হায় আমিত পাই দিবসের বিপক্ষে কিসু বোলি নাই 🙁 , বলসিলাম পাই দিবসের মত ফাইএরো কোন দিবস আসে নাকি যেটা সেলিব্রেট করা যাইত, কারোন অংক এমনিতেও পোলাপাইন ভয় পায়, দিবস টিবস করলে লোকজনের আগ্রহ একটু বাড়ত,

        আর ড্যান ব্রাউন ফাইকে ডিভাইন সংখা বলসিল, কি সব হাতের সাথে পায়ের রেসিও, গাছের পাতার রেসিও বর্ণনা করে এক্সেম্পলও দিসে (সঠিক রেফারেন্স দিতে পারতিসিনা, বইটা খুজে পাচ্ছিনা আপাতত) তাই মনে হইসে সেটা পাইয়ের চেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট, যদিও এখোনো কোন অংক করতে গিয়ে সেটার ইউস করসি কিনা মনে পরে না......

        জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)
        আসলে উপরের অনেকগুলো নেতিবাচক কমেন্টের পর তোমার কমেন্টটাও নেতিবাচকভাবে নিছি।

        কথাটা ভালো লাগলো না। নেতিবাচক কমেন্ট বলতে কী বুঝাতে চাইলে?
        আমি তোমার গণিত ভালো লাগার প্রতি কোন কটাক্ষ করিনি কিংবা এমন কিছু বলিও নি। আমি পাই দিবস বাংলাদেশে পালনের আদিখ্যেতা নিয়ে আমার ভাবনা গুলো বলার চেষ্টা করছিলাম। এটা সত্যি, অন্য কোন ব্লগে আমি একথা কখনো বলবো না। সিসিবিকে আপন ভাবি বলেই বলেছিলাম। এনিওয়ে, শুভ পাই দিবস। আর ভবিষ্যতে তোমার ব্লগে কমেন্ট করার আগে নেতিবাচক মন্তব্য সচেতনভাবে এড়িয়ে চলব।

        জবাব দিন
        • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

          আমি কিন্তু নেতিবাচক মন্তব্য এড়িয়ে চলতে বলিনি। আমি বলেছি কমেন্টগুলো নেতিবাচক ছিল এবং সেই নেতিবাচক কমেন্টগুলো লক্ষ্য করেই কিছু কথা বলেছি উপরের মন্তব্যে। এর মাধ্যমে নেতিবাচক কমেন্টকে নিরুৎসাহিত করতে চাইনি। সেগুলো সম্পর্কে আমার ধারণা বলেছি কেবল।

          জবাব দিন
          • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

            নেতিবাচক কমেন্টের আইডিয়াটা আমার কাছে পরিষ্কার না এইখানে। তোমার বলাবলির জন্য না, আমার মনে হয়েছে আমার কমেন্ট গুলো আমি নিজে পরিষ্কার করে বলতে পারিনি। তাই মিস ইন্টারপ্রিট হয়েছে। নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে নিয়েই নেতিবাচক কমেন্ট পরিহারের পক্ষে। পজিটিভ কমেন্ট মিসইন্টার প্রিট হলে সমসয়া নেই। কিন্তু এই জাতীয় মন্তব্য করার সময় আমারি লক্ষ্য করা উচিত ছিল। আগেই বলেছি অন্য কোন ব্লগ হলে আমি কখনোৈ এই কঠা বলটাম না। কিন্তু সিসিবির সদস্যদের প্রতি অধিকার বোধ করি বলেই অকপটে মনে যা এসেছে বলেছি। আমার বক্তব্যগুলো আমি নিজেই আবারো পড়লাম। তারপরে তোমার প্রতিক্রিয়া। আর কিছু বলার নাই। মানুষের নিজস্ব চিন্তা বিশ্বাস পছন্দের প্রতি আমি কতটা শ্রদ্ধাশীল সেটা আমার কাছের মানুষরা সবাই জানে। আমি আবার বলছি তোমার ভালো লাগা গণিতের প্রতি ভালোবাসাকে হেয় করার ধৃষ্টতা আমার কখনো ই ছিল না- আমার কমেন্ট গুলো পরে আমার কখনো টা মনেও হয়নি। আমার বক্তব্যগুলো খুব পরিষ্কার ভাবেই আমি বলেছি। কিন্তু তোমার প্রতিক্রিয়া আমার ভালো লাগেনি। হতে পারে আমিও মিস ইন্টারপ্রিট করেছি। যাহোক আমি ব্লগে আসি সবার সাথে একটা সুন্দর সময় কাটাতে। তাই অহেতুক বাদানুবাদ বর্জন করাটা বুদ্ধিমানের কাজ মনে করেই আগের কমেন্ট করেছি।

            জবাব দিন
  6. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    মুহাম্মদ পাই দিবসের শুভেচ্ছা।

    একটা মজার জিনিস কি জানস। এই দেশে এখন যেই দিবসই হোক না কেন, পোলাপান ডেটিং করতে বের হয়ে পড়ে। বিজয় দিবস বল, একুশে ফেব্রুয়ারী বল, ঈদ বল- সবি এখন ভ্যালেন্টাইন ডে। আজকেও ডিইউ চত্বরে এমন কিছু হইছে কীনা কে জানে।

    বৈজ্ঞানিক ব্লগ প্রচন্ড অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য করার জন্য নিজেরে ব্যান করলাম। 😛

    জবাব দিন
  7. জিহাদ (৯৯-০৫)

    গণিতে আমার জ্ঞান তেমন একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নাই। কিন্তু তার পরও পাই রে আমি বড় ভালা পাই।

    সবাইরে পাই দিবসের বাসি শুভেচ্ছা।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  8. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    পাই রে আমি ভয় পাই নাকি আমারে পাই ভয় পায় বুঝতাছিনা 😀
    মুহাম্মদের এই লেখাটা আগে পড়া ছিলোনা। চমৎকার লাগলো :boss: :boss: আহারে এইভাবে মেট্রিক ইন্টার লাইফে যদি কেউ বুঝায়া পড়াইতো তাইলে কি আইজকা আমার আর এই দশা হয় :bash: :bash:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  9. তৌফিক

    লেখা ভালো ছিল। পরীক্ষা কেমন হইতেছে?

    তোমার জোকটা পইড়া আরেকটা জোক মনে পইড়া গেল।

    প্রশ্নঃ একটা জোক কখন প্যাথেটিক হয়ে যায়?

    উত্তরঃ জোকটা যখন বুঝায়ে দিতে হয়।

    জাফর ইকবাল স্যারের "টুকি আর ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান" উপন্যাসে টুকি আর ঝা এরকম এক সমস্যায় পড়ছিল। যাউজ্ঞা, মনে দুঃখ নিয়ো না। আমার জোকগুলা ৯৯% প্যাথেটিক হয়া যায়, লোকজন বুঝে না।

    সিসিবি ইদানীং মরা মরা লাগে, দলবলসহ এই রকম পোস্ট ছাড়া শুরু কর।

    জবাব দিন
  10. আহসান আকাশ (৯৬-০২)
    পাই উঠায়া নিলে ম্যাথে আর কি থাকে একটু খেয়াল কইরা দেখ।

    কোন ভাবে কি উঠায়া দেয়া যায় না...... দুনিয়ায় অনেক শান্তি আসত তাহলে ( এটি একটি মানবিক আবেদন)


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  11. ইউসুফ (১৯৮৩-৮৯)

    মুহাম্মদ

    সত্যিই খুব ভাল লাগল। মাঝে মাঝে মনে হয়, জৈবিক আর মানবিক কর্মহীন একটা দ্বিতীয় জীবন যদি পেতাম শুধুমাত্র জানার জন্য, তাহলে হয়তো তোমাদের কাছাকাছি যেতে পারতাম।

    অনটপিক: পাই কে আজকে খুব ভাল পাই-লাম।

    জবাব দিন
  12. রকিব (০১-০৭)
    How (৩) I (১) need (৪) a (১) drink (৬)।

    আমার একটা প্রশ্ন আছে। drink -এ তো ৫টা অক্ষর আছে। তাহলে drink (৬) এর ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার হচ্ছে না।

    মুহাম্মদ ভাই, দারুণ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। ভালো লাগলো।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  13. রকিব (০১-০৭)

    সম্ভবত এটা হবে ভাইয়াঃ
    How (৩) I (১) want (৪) a (১) drink (৫), alcoholic (৯) of (২) course (৬), after (৫) the (৩) heavy (৫) lectures (৮) involving (৯) quantum (৭) mechanics (৯)!

    সেক্ষেত্রে পাই এর মান দাঁড়ায়- ৩.১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭৯......


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  14. রকিব (০১-০৭)

    আরেকটা সনেট আছে যেটায় ৭৫ ঘর পর্যন্ত আছে।

    Now I defy a tenet gallantly
    Of circle canon law: these integers
    Importing circles' quotients are, we see,
    Unwieldy long series of cockle burs
    Put all together, get no clarity;
    Mnemonics shan't describeth so reformed
    Creating, with a grammercy plainly,
    A sonnet liberated yet conformed.
    Strangely, the queer'st rules I manipulate
    Being followéd, do facilitate
    Whimsical musings from geometric bard.
    This poesy, unabashed as it's distressed,
    Evolvéd coherent - a simple test,
    Discov'ring poetry no numerals jarred.
    এখানে ১০ অক্ষরসম্পন্ন শব্দগুলোকে ০ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। :-B


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  15. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    আরে আমি এই লেখা মিস করলাম কেমনে। ঐদিন কই ছিলাম মনে পড়তেছে না। পাই দিবস আবার জাপানে হোয়াইট ডে হিসেবে বিখ্যাত। ভ্যালেন্টাইন ডে তে মেয়েরা ছেলেদের গিফট দেয় আর ছেলেরা সেটার ফিরতি গিফট দেয় এই দিনে।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।