এবারে একেবারে জমকালো ঠাণ্ডা পড়েছে মেলবোর্নে।
এইটুকু লিখে মনে হলো, প্রতি বছরই কি এরকমই লিখি? নাকি এবারের ঠাণ্ডা আসলেই অনেক বেশি?
প্রতি বছরই মনে মনে প্রস্তুত থাকি, বছরে এক সপ্তাহ সর্দি-কাশি লাগিয়ে বসে থাকবো বাসায়। রুটিনের মত করেই। এবং ব্যস, ওই একবারই। তারপরেই আবার পুরো বছরের জন্যে মুক্তি।
কিন্তু এবারের ঠাণ্ডা আমাকে ভালোই বাগে পেয়েছে। মাসখানেক আগে সোনামুখ করে সপ্তাহখানেক সর্দি জ্বরে ভুগলাম,
রোহিঙ্গা ভাবনা
একটি অবুঝ শিশু
বর্মী বর্বরতার শিকার হয়ে গৃহত্যাগী
দীর্ঘ পথ হাঁটা ক্লিষ্ট, ক্লান্ত তার শরণার্থী মায়ের
পায়ের পাতার উপর মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
খোলা আকাশের নীচে পাতা বিছানো কোন তরুতলের মাটি তার শয্যা।
মাটিতে বসে তার শীর্ণদেহী, স্নেহময়ী মা
পরম মমতায় আরেকটি শিশুকে বুকে নিয়ে আনমনে স্তন্যদান করছে।
সহায় সম্বলহীন, উৎকন্ঠিত,
লিয়েরি কনস্ট্যানটাইনঃ দাসের নাতি থেকে ব্যারন হয়েছিলেন যিনি!
[ব্যারন লিয়েরি নিকোলাস কনস্ট্যানটাইন ছিলেন বিধ্বংসী বোলার, বিদ্যুৎগতি সম্পন্ন ফিল্ডার এবং মারকুটে ও নির্দয় ব্যাটসম্যান! তাঁর টেস্ট পরিসংখ্যান তেমন সমৃদ্ধ নয় (১৯ গড়ে ৬৩৫ রান এবং ৩০ গড়ে ৫৮ উইকেট) যতখানি তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার (২৪ গড়ে ৪৪৭৫ রান এবং ২০ গড়ে ৪৩৯ উইকেট)। কিন্তু তাঁর অর্জন এবং অবদান শুধুমাত্র সবুজ মাঠের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি ছিল!
বিস্তারিত»মুক্তচিন্তা, চিন্তার মুক্তি নাকি মুক্তমন?
আমার বন্ধুদের ভাইবারে একটি গ্রুপ আছে। চব্বিশ ঘণ্টা আড্ডা চলে সেখানে। রাতে ঘুমানোর সময় নোটিফিকেশন বন্ধ করে করে রাখতে হয়। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বন্ধুরা। দেশে আমরা যখন ঘুমাচ্ছি, আমেরিকা-কানাডার বন্ধুরা তখন অফিসে যাচ্ছে; অথবা কেবল ঘুম থেকে উঠেছে। বেশিরভাগই ঠাট্টা-মশকরা ও কৌতুক লিখে পাঠায় সবাই। অনেক গুরুগম্ভীর জ্ঞানের আলোচনাও চলে হরদম। অনেকে আবার সে নিজে কত জানে তাও জাহির করতে চায়।
মাঝে-মাঝেই কেউ-কেউ ধর্ম নিয়ে কথা বলে বসে।
~ কথার ভাঁজে উপহার অপেক্ষমান সেই ছুরি ~
[ অল্প কবিতা অল্প গল্প ~ একটি ‘অকল্প’ ]
অনেক দিন কথা হয় না।
আট দিন এগারো ঘন্টা। একে কি অনেক বলে !
সব খবর ভালো তো ?
যেমন হয় আর কি।
অভিমান নাকি রাগ !
বলেছি !
রাগ তো বিশ্বের সুলভতম বিষয়টি বৈ অন্য কিছু নয়।
সেজন্যেই তো ওসব করা ছেড়েছি।
মন অবশ্য মানুষের সব দিন এক রকম থাকেনা।
জিদান – কিং অফ লিজেন্ডস
আচ্ছা সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? সবাই মারামারি শুরু করে দিবেন কে বড় তা নিয়ে। পেলে নাকি ম্যারাডোনা? কিন্তু যারা অন্ধ নয়, যাদের চোখ খোলা, তারা এই দুইজনের সাথে আরেকটা নাম নিশ্চিন্তেই যোগ করবেন- জিনেদান জিদান। বিংশ শতাব্দীর অবিসংবাদিত ফুটবল যুবরাজ।
আলজেরিয়ান দরিদ্র পরিবারে জন্মানো জিদান এর ক্যারিয়ার এর মূল পর্বটা শুরু যখন তার উপর চোখ পড়ে এ এস ক্যানসের ভ্যারার্ডের।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে জিদান যখন Bordeaux ক্লাবে,
বিস্তারিত»আনবিয়ারেবল মিনিংলেসনেস অফ বিয়িং
দীর্ঘ ছুটিতে কোথাও যাইনি আমি। কোন রেস্টোরেন্টে, শপিংমলে, বইয়ের দোকানে, পার্কে, বন্ধু-বান্ধবের চৌকোনা ঘরে, কোন সভায়-আড্ডায়–কোথাও না। কোন প্রেমিকের মুঠোয় যাইনি, রিকসায় ঘেঁষিনি। নদী-সমুদ্র,পাহাড়-জঙ্গল কোথাও নিজের শ্বাসমূল খুঁজিনি। তেড়িয়া অভিযাত্রীর ঘাড়ে শুয়ে থাকা ক্যামেরার চোখে আমাজনের দুর্গম নাড়ী-নক্ষত্রে ঘুরেছি (ইউটিউবে)। এই দীর্ঘ আলস্যমোড়ানো ছুটিতে আমার হাত-পায়ের আড়মোড়া ভাঙাতে বুয়া চিকুনগুনিয়ায় নিরুদ্দেশ হল। আমরা–আমি আর আমার ঘরের দেয়াল আঁকড়ে থাকা দশাসই টিকটিকি তবু স্থানচ্যুত হলাম না।
বিস্তারিত»বিবিধ উপলব্ধি – দ্বিতীয় পর্ব
ছয়
একাধিক অসফল বিবাহের ট্রমা কাটিয়ে নতুন সম্পর্কের প্রচেষ্টায় থাকা এক নারী সম্পর্কে জনৈক ভদ্রমহিলার কটুক্তিতে আহত হয়ে ফেসবুকে পাবলিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন একজন প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা ধারণকারিণী।
স্ট্যাটাসদাত্রীর মূল চাওয়া হলো, ভালবাসা খুজে ফেরা নারীর প্রতি যেন সহানুভুতি দেখায় অন্যেরা।
এই চাওয়াটা অমায়িক কিন্তু তা পুরন করতে গিয়ে তিনি কটূক্তিকারী ভদ্রমহিলাকে যেসব প্রশ্নবানে জর্জরিত করেছেন,
প্রেম-বন্ধুত্ব-সেক্স বিষয়ক ভ্যানডায়াগ্রাম
এক
এইটা মনেহয় না খুব রিসার্চড কোনো ব্যাপার।
তারপরেও দিস ক্যান বি ইউজড এক্সপ্লেইনিং মেনি থিং এবাউট রিলেশনশীপ।
সেদিন বন্ধুদের আলাপে উঠে এলো, আজকাল ডিভোর্স বেড়ে যাওয়ার ইস্যুটি।
ভাবলাম, এই ভ্যান-ডায়াগ্রাম দিয়ে একটা ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করি……
হিস্ট্রিকালি এই দেশে রিলেশনশীপ ছিল মূলত এরেঞ্জড বিবাহ নির্ভর।
সেখানে তাই ফ্রেন্ডশীপের ব্যাপারটা গৌন ছিল।
দেখা যেতো,
একদিন শুধু ছবি হয়ে যেতে হবে
যতই অনিচ্ছা থাক,
একদিন শুধু ছবি হয়ে যেতে হবে।
চলে যেতেই হবে, অমোঘ নিয়মে,
এক অনন্ত যাত্রাপথে, আদেশভুক্ত যাত্রী হয়ে।
কেউ যেতে চায় না, তবু যেতে হয়।
চিরনিদ্রায় শুয়ে থাকতে সেই রেখাঙ্কিত সারিতে,
যেখানে ঘুমিয়ে থাকবে আরো অজানা অনেকে,
তবে কার পাশে কে ঘুমোবে, তা অজানাই রবে।
সব কিছুই থেকে যাবে। খোলা ধূলিমাখা ল্যাপটপ,
অগোছালো টেবিল,
গুড প্যারেন্টিং : জেনে নিন, কতটা ভাল আপনার প্যারেন্টিং
কে না চায়, তাঁর শিশুটি সঠিক প্যারেন্টেইং-এর মধ্য দিয়ে বড় হোক?
সবাই-ই তা চায়। কিন্তু সবাই কি আর দিতে পারে তা?
আপনি কি পারছেন?
আমি জানি, আপনি আপনার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু তা গুড প্যারেন্টিং-এর জন্য আসলেই যথেষ্ট কিনা, আপনার শিশুটির সঠিক বেড়ে ওঠায় তা যথাযথ ভূমিকা রাখছে কিনা, তা কি জানেন?
জানতে চান?
দেখুন তো, আপনার ক্ষেত্রে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর কি কি পান:
১) আপনার শিশুটি কি আপনার কাছ থেকে পাওয়া যত্নআত্তি ও মনোযোগ নিয়ে মোটামুটিভাবে সন্তুষ্ট ও সুখী?
বিস্তারিত»প্রত্যুষের ভাবনা ও প্রার্থনা
আমরা সকলেই ঘুরছি।
বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সবকিছুই নিজ আবর্তে ঘুরছে।
হে সকল গতির নিয়ন্ত্রক, তোমার আদেশে
এক নিমেষে সব গতিতে যতি নেমে আসে।
প্রতি অনুপলে কোন না কোন গতি থেমে যায়,
আবার প্রতি অনুপলে নতুন কোন গতি সৃষ্টি হয়।
হে মহাবিশ্বের অধিপতি,
নিশ্চয়ই তুমি সকল গতির মহানিয়ন্ত্রক!
তোমার আদেশেই কঠিন বাঁধন
এক নিমেষে ছিন্ন হয়,
আবার যোজন যোজন দূরের বস্তু
এক পলকে আবদ্ধ হয়।
স্ট্রেস, ক্রিকেট, সাকিব ও দু’টি কথা…
বছর খানেক আগে সদা হাস্যজ্বল সারা টেইলর ক্রিকেট বিশ্বকে হতবাক করে জানিয়েছিলেন যে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন! ইংল্যান্ড নারী দলের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান নাকি মাঝে মাঝেই তীব্র প্যানিক এটাকের শিকার হতেন! সাধারণত ব্যাটিং এ নামার আগে ড্রেসিং রুমে অপেক্ষার সময়ে এটাক বেশি হত, তবে মাঝে মাঝে ফিল্ডিং করার সময়ও তিনি এই সমস্যায় ভুগেছেন! মানসিক এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার আশায় কিছুদিন তিনি ক্রিকেট থেকে দূরেও ছিলেন…
বিস্তারিত»নস্টালজিয়াঃ সময়ের পালাবদল
নস্টালজিয়াঃ সময়ের পালাবদল
আহমদ মাহবুব-উল-আলম
[আহমদ, সিসিআর, ১৯৮৮-’৯৪]
১। ক্যাডেট কলেজে ৭ম শ্রেণীতে পড়ার সময় ক্লাস টুয়েলভের বড় ভাইদের দানবাকৃতির মনে হতো। সময় গড়ালো, আমরা যখন টুয়েলভে, নতুন ইণ্টেক যখন ক্লাস সেভেনে ভীতু-ভীতু চেহারা নিয়ে ভর্তি হতো, ভাবতাম ওদের মা-বাবা-দের কোন দয়া-মায়া নেই, এইটুকুন বাচ্চাদের কেউ ক্যাডেট কলেজে পাঠায়!!
২। আমাদের সময়ের এক প্রিন্সিপাল ম্যাডাম (মিসেস প্রিন্সিপাল) একবার তাঁর বাসায় তিনশ ক্যাডেটকে একসাথে দাওয়াত করে শবে বরাতের হালুয়া রুটি খাইয়েছিলেন।
বিস্তারিত»ভাল থেকো পাখি তুমি
ভাল থেকো পাখি তুমি, ভাল থেকো।
আজীবন সুখে থেকো, আদরে আদরে।
ভালবাসায়, মমতায়,
স্নেহের বাঁধনে থেকো।
চোখের তারায় তারায় দুষ্টুমি নিয়ে থেকো,
টোল পড়া দুটি গালে হাসি নিয়ে থেকো।
যে তোমার দুষ্টুমিকে হাসিমুখে প্রশ্রয় দিবে,
এমন উদার লোকের কাছেই যেন চিরদিন থাকো!
উড়ে যাবার ঠিক আগে আগে,
তোমার কান্নার আওয়াজ এখনো আমার কানে বাজে।
তুমিহীন এ ঘরে ফিরে এসে আমি আর ঘুমোতে পারিনি,