১। নির্বাচনের ব্যাপারে আমার প্রথম অভিজ্ঞতা, আম্মুর হাত ধরে টোটো করে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ। কারণ আমার এক মামা সেবারের মেম্বার পদপ্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন প্রবল উৎসাহে আম্মুকে বললাম, আম্মু ভোট দিতে যাব।
আম্মু আমার উৎসাহকে পাত্তা না দিয়েই বললেন, “যাওয়া লাগবেনা। কখন আবার কি থেকে কি হয়ে যায়!”
২০০১ এর নির্বাচনের পর আজ আবার নির্বাচন দেখলাম। এবারো ভোট দিতে পারিনি। তবে নিশ্চিত করেছি, কারোরই যেন “কি থেকে কি” না হয়ে যায়।
২। সেবারের নির্বাচনে বাবা প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন। বাবা বললেন, কোন এক প্রার্থী মাত্র ১৪ টি ভোট পেয়েছে।
আমি বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তাহলে কি উনার আত্মীয়রাও উনাকে ভোট দেন নাই?
বাবা বললেন, নিজে দিয়েছে কিনা তাতেই সন্দেহ আছে।
গল্পের মতোই মনে হয়েছিলো সব। বিশ্বাস হয়নি আমার।
এবারের নির্বাচনে আমার এলাকায় একজনের প্রচারনায় এলাকা ছাড়ার যোগান হয়েছিল। যেখানেই তাকাই, তার মুখে পান খাওয়া হাস্যোজ্জ্বল চেহারার ছবি। সারাদিন কানে হেডফোন লাগায় রাখি যেন তার গুনগান সম্পর্কিত মাইকিং আর কানে না আসে।
আজ নির্বাচনেও দেখি ভোটকেন্দ্রের পাশে তার প্রচারনার জন্য কম করে হলেও ১৫ জন কর্মী। ভোটগণনা শেষ হলে আগ্রহবোধ করেই তার খোঁজ নিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখি ১২০০ ভোটদাতার মাঝে সে মূল্যবান ৭ টি ভোট পেয়েছে।
এতোদিনে বাবার বলা সেই গল্প বিশ্বাস হলো।
দেখি ভাই, আমিও কয়েকদিন পরে নির্বাচনে দাড়াতে পারি। লেখা ভাল লাগল।
মার্কা জানায়ে দাড়াইয়ো। নইলে দেখবা তোমার আর তোমার বউ ছাড়া আর কেউ ভোট দেয়নাই!
মুরগী মার্কায় কেউ দাড়াইলে ভোট দিমু তারে। অনেক পোলাপানের টিজ নাম মুরগী :))
জীবনের প্রথম ভোট দিছিলাম ৯/১০ বছর বয়সে, এরশাদকে "না" ভোট দিয়ে B-) । পুরা কেন্দ্রে ঐটা সহ আর মাত্র একটা ভোট পরেছিল "না" বাক্সে। এতো অল্প বয়সে ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য হইছিল, কারণ আমার বাবা ছিলেন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ভোট কেন্দ্রে ছিল শুধু মাত্র কিছু সরকারী কর্মকর্তা+কর্মচারী যারা সারাদিন ধরে বাক্সে ব্যালট ফেলেছে। আমি ছোট ছিলাম বলে বেচেঁ গেলাও আরেকজন যে 'না' ভোট দিছিল, তাকে চৌকিদারের দাবড়ানী দেওয়া হয়েছিল। x-(
আর আইনের মধ্যে থেকে প্রথম ভোট দিছি ২০০১ এ 🙂
ইলেকশন সব সময়ই একটা উৎসবের আবহ তৈরী করতো আমাদের এলাকায়। বিদেশে থাকায় আর যে কবে এমন উৎসবে যোগ দিতে পারবো!
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx