নব্বই এর দশক থেকে বাঙলাদেশে ফাষ্ট ফুড জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে।
দুপুরে বা রাতে ডিনার করার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই হাতে ওকে গো ফর ফাষ্ট ফুড। যদিও বাঙলাদেশে ফাষ্ট ফুড খাওয়া একটা স্টাইল। প্রেম করবা, যাও ফাষ্ট ফুডের দোকানে।
সে যাই হোক বিশ্বজুড়ে ম্যাক বা ম্যাকডোনাল্ডস এর নাম কে না জানে। ম্যাক আজ আমেরিকার প্রতীক, ধনতন্ত্রের প্রতীক, ক্যাপিটালিজমের প্রতীক।

ম্যাক তাদের ফুডে সুন্দরমতো এই পিঙ্ক বস্তুটি ব্যাবহার করতো।
শোধ
এই ধরুন যুগ দুয়েক আগে, এই বিস্তৃত মিরপুর বারো অঞ্চলে গা ছমছমে এক জঙ্গল ছিল। চাকলী গ্রাম থেকে কালশী- কালাপানি অঞ্চলে যেতে, হাতে লাঠি অথবা দা নিয়ে যেতে হত। তখন চাকলী গ্রামের মন্দির থেকে পূবে বেশ কিছুদূর এগোলে একটা ছোট সুন্দর জলাশয় ছিল। সেই জলাশয় এবং তার আশেপাশের গাছগুলোতে চমৎকার সংসার গুছিয়েছিল এক সাদা বক। আজ যেখানে ধুরন্ধর আট তলা বিল্ডিংটা উঠছে ঠিক সেখানে তার আদরের সন্তানরা খেলতো।
বিস্তারিত»গণজাগরণ মঞ্চ ও কিছু অপপ্রচার
এই লিখাটা বিডি নিউজ ২৪-এর জন্য লিখলাম গতরাতে। আজ সকালেই পোস্ট করে দিল? সাধারনতঃ পোস্ট করার আগে ২-৪ দিন কিউ-এ থাকে। ঐসময়ে কিছু ইম্প্রুভ করা যায়। এটার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ পাই নাই। এখানেই তাই কিছুটা ইম্প্রুভ করে রি-পোস্ট করছি। কি আর করা…
———————————–
চাঁদাবাজি আর চাঁদাসংগ্রহ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটো কাজ। একটিতে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও বলপ্রয়োগের ব্যাপার জড়িত থাকে। তাই একে ‘এক্সটরশন’ বলে।
বিস্তারিত»লিমনের জগত
ফজরের আজানের ধ্বনিতে আফরোজা বানু ধড়মড় করে জেগে উঠলেন। অনেকদিন বাদে আজ আবার একই দুঃস্বপ্ন দেখলেন। কিছুক্ষণ বিছানায় চুপচাপ বসে রইলেন তিনি। তার শ্বাসপ্রশ্বাস এখনো স্বাভাবিক হয়নি। প্রচণ্ড পিপাসায় গলা শুকিয়ে আছে। পাশেই লিমনের বাবা এখনো গভীর ঘুমে। ধীরে ধীরে উঠে পড়লেন আফরোজা। ওযু করে ফজরের নামাযে দাড়িয়ে গেলেন। আজ লম্বা সময় ধরে সিজদায় পড়ে রইলেন। মোনাজাতের সময় প্রতিদিনের মত আজও গাল ভিজে গেল। জায়নামাজ গুটিয়ে বারান্দায় চলে এলেন তিনি।
বিস্তারিত»বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন নিয়ে ভাবনা
এই লিখাটা ৬ মার্চ নতুনবার্তায় গিয়েছিল। এখানেও আর্কাইভ করছি।
দেশের একটি প্রধান পত্রিকায় প্রকাশিত আজকের (৫ মার্চ ২০১৪) এক সংবাদে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রস্তাবটি গৃহিত হলে দরিদ্র গ্রাহকের মাসিক ব্যয় বাড়বে ১০০ টাকা আর ধনী গ্রাহকের ব্যয় বাড়বে মাত্র ১২ টাকা।
তবে যা বলা হয় নাই, তা হলো, ওই “ধনী” গ্রাহকদের বিল ইউনিট প্রতি আর ১৫ পয়সা করে বাড়ানো হলে তাদের মাসিক ব্যয় “দরিদ্র” গ্রাহকগণের সমান হয়ে যেতো।
বিস্তারিত»তবু ফিরে ফিরে আসি (হতে পারতো ফেইসবুক, আপাতত সিসিবি)
পাঠক হিসেবে প্রায় প্রতিদিন লগ-ইন করে লেখা ও মন্তব্য পড়ে মন্তব্য করা বড় কষ্টকর। বিশেষ করে নিয়মিত হাতিঘোড়া লেখার অভ্যাস থেকে পাঠকের অবস্থানে নেমে আসলে হাত নিশপিশ করতেই থাকে। সেই অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে যখন সামাজিক মাদক ফেইসবুকে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়া হয়। লোক দেখানো হচ্ছেনা। কি ভাবছি বলা হচ্ছে না। কি দেখছি লেখা হচ্ছে না। ছবি তোলা হচ্ছে না। ফেইসবুকে যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করেছি।
বিস্তারিত»হুইসেল
সেবছর অন্যসব বছরের চেয়ে শীত বেশ খানিকটা জাঁকিয়ে পড়েছে। সকালবেলা বিরেন মাস্টারের বাসায় গেলে, শরীর ভাল নেই অজুহাতে মাস্টার ছুটি দিয়ে দেন। এই কড়াল শীতকে অগ্রাহ্য করে বাইরের বাংলো ঘরে ঘণ্টাখানেক ছাত্রকে বিদ্যাশিক্ষা করাবেন না- সেটা জানা ছিল বলেই বিরেন স্যার আমার সবসময়ের প্রিয় শিক্ষক।
সেদিন স্যার আমার পায়ের আওয়াজ শুনেই ভেতর থেকে বলে উঠেছিলেন-
-এই ঠাণ্ডায় বাইরে কি রে? যা ঘরে গিয়ে লেপের নিচে ঢুকে ১৩’র ঘরের নামতা মুখস্ত কর।
বিস্তারিত»চারাগাছের পাতা ৬
একজনের শূন্যস্থান কখনোই আরেকজনকে দিয়ে পূরণ করা যায়না। সেই শূন্যস্থানটি যত ক্ষুদ্র কিংবা তুচ্ছই হোক।
শৈশবের চার আনা দিয়ে কেনা ঝাল চকলেটের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেনি বড়বেলার দামি কিটক্যাট কিংবা ক্যাডবেরি সিল্ক। স্কুল থেকে ফেরার পথে নোংরা ইউনিফর্ম পরা জেলেপাড়ার গরিব ছেলেটার নানান গল্প ফিরিয়ে দিতে পারেনি কেউ। বন্ধুত্ব কবেই ফুরিয়েছে। বেইমান মস্তিষ্ক ঝাপসা করে দিয়েছে তার চেহারাটাও। তবু তার হলদেটে সাদা শার্টের প্রতি তীব্র আকর্ষণ একবিন্দু কমলো না আজও।
বিস্তারিত»সক্রেটিসের এ্যাপোলজি – পর্ব ১০
সক্রেটিসের এ্যাপোলজি – পর্ব ১০
মূল বক্তৃতাঃ মহাজ্ঞানী সক্রেটিস
লিখেছেনঃ প্লেটো
অনুবাদঃ ডঃ রমিত আজাদ (Dr. Ramit Azad)
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
বিচারের জুরি সক্রেটিসকে দোষী সাব্যস্ত করলো
খুব সামান্য ভোটের ব্যবধানে মহাজ্ঞানী সক্রেটিসকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। ৫০০ জন বিচারকদের মধ্যে সক্রেটিসের বিরুদ্ধে জুরি ছিলেন ২৮০ জন, পক্ষে ছিলেন ২২০ জন। তারপর সেই সময়কার রীতি অনুযায়ী তাঁকে দ্বিতীয়বার বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ দেয়া হলো।
১৯ ডিসেম্বর, অনশন
সিরিয়াল ১৫
১৯ ডিসেম্বর, অনশন
ক্লাস শেষে বাসায় এসে ফোন দিলাম
আমিঃ আজকে একটু আসবেন নাকি?
আরিফঃ কেন?
আমিঃ এমনিতেই
আরিফঃ তাহলে তো আসা যাবে না।তোমার জন্য আসতে বললে আসব।
আমিঃ তাহলে আসা লাগবে না। কারণ আমি বলব না আমার জন্য আসতে
আরিফঃ ভেবে দ্যাখো আর আসব না।
আমিঃ না আসলেন!
এই প্রথম আরিফ সাহেব রাগ করে কল কেটে দিলেন।আর কল ধরে না।
বিস্তারিত»তেলাপোকা
ছোট্ট অনুরোধঃ – দয়াকরে বাচ্চাদেরকে তেলাপোকা দেখিয়ে কখনই ভয় দেখাবেন না।
রাত ১০ টা। বিছানায় চুপচাপ বসে আছি, ভার্সিটির হলে। রুমমেটদের গল্প শুনছি, আর মনে-মনে কিছু একটা ভাবছি। এমন সময়, হটাৎ দেখি রুমের মেঝের উপর একটা তেলাপোকা হাঁটা-হাঁটি করছে। এই প্রাণীটিকে আমি মোটেও সহ্য করতে পারি না। রাতে মশারি না টাঙিয়ে শুলে পরদিন সকালে আমার পায়ের বুড়আঙ্গুলের উপরের যে লোমগুলো ঊধাও হয়ে যায়,
বিস্তারিত»কথা-রূপকথা
সবাই রাজা হতে চায়, রাজপুত্তুর হতে চায়,
আমিও চেয়েছিলাম।
কিন্তু শেষমেষ কি হল?
হয়ে গেলাম সেনাপতি।
লোহার বর্ম পরে, তরবারি উচিয়ে আমি ঘুরে বেড়াই,
ছায়ার মত লেগে থাকি রাজার সাথে, রানির সাথে,
রাজকন্যার সাথে।
আমি যে সেনাপতি।
আমার চারপাশে কত রাজা-রাজড়ার ভিড়,
ঘোড়া ছুটিয়ে হাতি নাচিয়ে ওরা আসে।
কারও চাই রাজ্য,
কারও বা – রাজকন্যে
কেউ আবার দুটোর আশায় বুক বাঁধে।
স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্ন নিয়ে কাঁটাছেড়া
দুঃস্বপ্নময় মাঝরাত
মাঝরাতে হঠাৎ জেগে যখন প্রচণ্ড গরমে আপনি ঘামছেন এবং মাথার উপরে ক্লান্ত নিস্তেজ সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণন কিঞ্চিৎকর মনে হচ্ছে, আপনার আশেপাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না ডাকার মত কিংবা কথা বলার মত এটা ঠিক সেই সময়ের গল্প। যাপিত জীবনের সকল সাফল্য ছুঁয়ে নিজেকে সফল এবং ভাগ্যবান মনে করে, না হারানোর বিলাস কষ্টে আত্মমগ্ন হয়ে যখন দুঃখবিলাসে ডুবতে চাচ্ছেন হয়তো বা এটা সেই সময়ের গল্প।
তদন্ত প্রতিবেদন
ভদ্রলোকের এই খেলাটা
বেজায় রকম শক্ত !
বুঝতে হবে এই কথাটা
সংগঠক ও ভক্ত।
জিতলে পরে সোনার ছেলে
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
গরবেতে বুক ফুলে যায়
আমিই জয়ের রুপকার !
হারলে পরে প্যাঁচায় ত্যানা,
গালি দিয়ে তুলবো ফেনা।
ঘোল খা বেটা বিড়াল ছানা
জিতলে পাবি প্রণোদনা !
ক্ষুদে কবিতা-৩
বন্দী
ছাপোষা খাঁচা মুক্ত হতে
উড়াল দেই বর্ণমালার আকাশে।
অন্তর্জালে বন্দী!
খেলা
ভদ্রলোকের খেলাটা বেজায় শক্ত।
এই কথাটা বুঝে ক’জন
শাসক কিংবা ভক্ত ?
প্রেম
অন্ধ হয়ে যাবো ।
তবু ভালোবাসি
ঝালাইয়ের শ্বেত শুভ্র আলো।
