যারা এখনো এই শাহবাগ : প্রজন্ম চত্ত্বর এ আসার মধ্যে কোন লাভ খুজে পাচ্ছেন না (এবং অফিসে যেতে একটু দেরী হচ্ছে বলে যারা আমাদের এই তারুন্যের জাগরন কে গালাগালি করছেন ) তাদের বলছি, ৭১ এ যখন আমাদের পূর্বপুরুষেরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল তাদেরও কোন ব্যাক্তিগত লাভ ছিল না। তারা যুদ্ধ করার জন্য কোন বেতন পেতনা। নিজের কাজ বাদ দিয়ে, সব ছেড়েছুড়ে শুধু মাত্র একটা স্বাধীন দেশের স্বপ্নের জন্য জীবন বাজী রেখে তারা যুদ্ধ করেছিল। যাদের অনেকে ফিরে আসেনি। অনেকে নিজের কর্মক্ষমতা হারিইয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের এই বেগার খাটার জন্য (পাগলামীর জন্য) আমাদের নিজস্ব একটা মাতৃভূমি আছে, আছে অসাধারন একটা পতাকা, সুমধুর ভাষা।
একই সময়ে যারা পাকিস্তানীদের দোসর ছিল (রাজাকার, আল বদর, আল শামস, ইত্যাদি) তাদের মাসিক বেতন ছিল, লুটপাটের সুযোগ ছিল আর ছিল আমাদের মায়েদের (বোন বলছি না কারন তৎকালীন সকল নারীই আমার মায়ের বয়সী বা আরো বয়স্কা) ধর্ষন করার অনুমতি।
এখন আমরা যারা শাহবাগে যাই, যারা সেখানে আছেন, অবস্থান করছেন, তাদের কোন ব্যাক্তিগত কোন স্বার্থ নেই। শুধু মাত্র প্রানের টানে আর বিবেকের দায় থেকেই এই মানবিক গন জাগরন। জামাতের কর্মীদের মত আমাদের সামনে চাকরি, ব্যাবসা বা উচ্চশিক্ষার হাতছানি নাই। যারা এটাকে পাগলামী বলেন তাদের কে বলছি, এখনো যদি আপনার পিতার হত্যাকারী আর মাতার ধর্ষনকারীর বিচারের দাবী কেন করবেন না বোঝেন, নিজের লাভ খোজেন আর ব্যাক্তিগত কিছু অসুবিধা আপনার কাছে মূখ্য হয় তবে আমি নিশ্চিত আপনি আর বেঁচে নেই। যদিও আপনি হেটে চলে বেড়ান, তিনবেলা খান আর মাঝে মাঝে ফূর্তি করেন। এ ছাড়া মৃত মানুষের সাথে আপনার কোন পার্থক্য নেই।
যদিও জানি কাজ হবেনা তবুও যারা এখনো মনে করেন যে তার কি লাভ এসব পাগলামী করে, তাদের জন্য একটা আফ্রিকান গল্প বলছি।
“এক লোকের তাঁর খামারে গরু, ছাগল আর মুরগী খুব যত্ন নিয়ে পালত। সেই খামারের এক কোনায় একটা ইঁদুর গর্ত করে বাস করত। একবার ইঁদুর দেখল যে খামারের মালিক একটা ইঁদুর মারা কল নিয়ে এসেছে। সে খুব ভয় পেয়ে গরুর কাছে গিয়ে বলল, “বস আমাকে মারার জন্য খামার মালিক কল কিনে নিয়ে এসেছে।
গরু বলল তোকে মারার জন্য কল এনেছে তো আমার কি? যা বেটা ভাগ। একই রকম উত্তর মুরগী আর ছাগলও দিল।
সেই রাতে খামারের মালিক কলটা লাগাল। ভাগ্যক্রমে ইঁদুর সেখানে সেরাতে ধরা পড়েনি, কিন্তু মালিকের বঊ ভুলে ওই কলে পা দিয়ে একটা ইনফেকশন বাধায় ফেলল।
খামার মালিক তখন ডাক্তার ডেকে আনল। ডাক্তার এসেই বলল একে বেশি করে পুষ্টিকর চিকীন স্যুপ খাওয়াও।
খামার মালিক তখন মুরগী জবাই করে স্যুপ বানায় বউকে খাওয়াল। সাত দিন পর ডাক্তার আবার আসল। দেখে টেখে বলল, এরতো প্রোটিনের অভাব। একে বেশী করে মাংস খাওয়াও।
গরু আর ছাগল তার পরে জবাই হল। মাংস রান্না হল……
ইঁদুর কিন্তু লুকিয়ে চুরিয়ে তখনো বেচে ছিল………”
:boss:
:thumbup:
ধন্যবাদ রুহুল এই পোস্টের জন্য।
ইঁদুরেরা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছে এবারে।
আরেকটু টাইট দিলেই...
ভালো লেখা।জয় বাংলা
:thumbup:
কোন কোন বিশেষ সময়ের তথাকথিত পাগলামীই জাতির জন্য মাইল ফলক হয়ে রয়।