প্রশ্ন জাগে শুধুমাত্র একটি অসম্ভব খারাপ মানুষের অথবা কিছু খুব খারাপ মানুষের প্রস্থান কি এই জাতির ভাগ্যে পরিবর্তন আনতে পারবে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল এই জাতি, সে দেশ কি আমরা দেখতে পারবো?আমি বলি পারবো যদি আমরা আমাদের এই গণজাগরণকে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে পারি। আজ এই আন্দোলনে দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ আমারা চাইতেই পারি আর এই ধরনের চাওয়ার মধ্য দিয়ে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন আমাদের মধ্যে জাগ্রত হবে। এখনি সময় আমাদের নষ্ট রাজনীতিকে আমরা জনগনের মুখে দাঁড় করতে পারি। আর তা যদি না করি তাহলে ৭১ এর চেয়েও বেশী অত্যাচার আমাদের যুগে যুগে ভোগ করতে হবে এবং একসময় আমাদের আজকের এই গণজাগরণ কিছু হতাশা ছাড়া আর কিছুই আমাদের দিতে পারবে না। উদহারনস্বরূপ আমরা বলতে পারি ৯০ এর স্বৈরাচার আন্দোলন যেখানে যে আশা নিয়ে জনগণ আন্দোলন করেছিল সে আশার প্রতিফলন আমরা পরবর্তী সরকারগুলোর মাঝে আশানুরূপ দেখতে পাই নি। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে আর তা হল এই জাতি এখনো আন্দোলন ভুলেনি এবং দরকার হলে একদিন আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা একটি সুন্দর রাষ্ট্রব্যবস্থার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করবে।
৮ টি মন্তব্য : “প্রসঙ্গঃ শাহবাগ চত্বর”
মন্তব্য করুন
সবার আগে ফোকাস স্থির রাখতে হবে।
সবথেকে পুরাতন যে পাপ, তার থেকে নিষ্কৃতি পেতে হবে জাতিকে আগে।
তাহলে পরবর্তী লক্ষ্যে পৌঁছাবার কনফিডেন্স, স্থিরতা পেতে সহজ হবে।
অবশ্যই যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং তাদের প্রাপ্য দণ্ড জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হবে।
রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ আমাদের স্বপ্নের অন্যতম প্রধান অংশ।
রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়ে যেন হোঁচট খেতে না হয় তাই বলেছিলাম আমরা আমাদের নষ্ট রাজনীতকে জনগণের মুখে দাঁড় করে একটি সত্যিকারের রেনেসাঁ এই দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। ভিন্নমত থাকতে পারে তবে বর্তমান রাজনীতিও আমাদেরকে প্রতি পদে পদে শেষ করে দিচ্ছি যা সহ্যের বাহিরে চলে গেছে।
রাজাকারের ফাঁসি এখন সময় মাত্র, তাই গনজাগরনের নতুন মাত্রা তৈরি করাটাই শ্রেয়।
এই অসহ্যতার মাত্রা কি রাজাকারদের ভি সাইন দেখানোর সময় উপলব্ধ অসহ্যতার মাত্রার বেশি না কম?
এটা সম্ভবত খুব ভুল কথা বললেন। এখনো একটা রাজাকারেরও ফাঁসি দেয়া হয় নি। রায় হয়েছে মাত্র একটার। একাত্তরে রাজাকার ছিল প্রায় কয়েক হাজার। সরাসরি খুন ও লুঠে জড়িত ছিল অন্ততপক্ষে কয়েক শ। এদের সকলের উপযুক্ত শাস্তি আগে বাস্তবায়ন না হলে শাহবাগের একটা দাবিও অর্জন হচ্ছে না।
সহমত
শামীম মুরাদ
যেভাবেই হোক নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে ৫২, ৭১ এর মতো আমাদের গর্বের জায়গাগুলোকে নিয়ে আর কেউ কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করতে না পারে। (সম্পাদিত)
আজকের প্রজন্ম উত্তাল গনজোয়ারে যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলেছে তাতে বিজয় অনিবার্য। তারুন্যের চোখেমুখে দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালী জাতিয়তাবাদের চেতনা উজজ্বল হয়ে ফিরে এসেছে। বিজয় সুনিশ্চিত। জয় বাংলা ॥
একাত্তরের বেশি অত্যাচার এই জাতিকে ভোগ করতে হবে কেন? একাত্তরের আগে পরে আমি তো এমন চিহ্ন দেখি না।
আন্দালিব তোমার কাছে এখনকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হতে পারে, আমার কাছে নয়। যাই হোক বিস্তারিত কথা বলে আমি কোন পার্থক্য আনতে চাই না, শুধু বলতে আজকের কুৎসিত রাজনীতি হতেও আমরা মুক্তি চাই ।