প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৮: মাই নেম ইজ খান)

পূর্বের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৫)

 

আমার শহরের বেশিরভাগ ট্যাক্সি ড্রাইভারই পাকিস্তানি। কখনো কখনো ফোন করে ট্যাক্সি ডেকে আনলে ড্রাইভার এসে সালাম দিয়ে উর্দুতে কথা বলা শুরু করেন, সেলামালেকুম খাঁসাব, ক্যায়সি হেয় আব? কাঁহা যাইয়ে? ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বলি আমি বাঙালী, তেমন একটা উর্দু জানিনা। তাঁরা তখন আকাশ থেকে পড়েন, বলেন, আমরা আর তোমরা তো প্রায় একই –

বিস্তারিত»

শেষ ট্রাক কিংবা একটা উপন্যাসের বই

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ড্রাফটিং হচ্ছে। এবার সরাসরি ক্যাডেট কলেজ থেকে ক্যাডেটদের নেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক মনে হওয়ায় খুব দ্রুত ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে আবার রেডি-ও হচ্ছি। আমরা কয়েকজন আবার মাত্র জার্মানী থেকে একটা মহড়া দেখে আসলাম তাই আর নতুন করে কাপড় পাল্টাতে হচ্ছে না। হাউজের সামনে নিচে সবাই ফল-ইন আকারে দাড়িয়ে যাচ্ছে — কোন এক কারণে সবাই হাউজের দিকে হাত নাড়াচ্ছে যেন এইমাত্র তারা একটা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে আসছে!

বিস্তারিত»

ভালবাসার একাল…সেকাল

‘ ভালোবাস মানুষেরে

যদি চাও তুমি তারে’ –

প্রেমিক শিল্পীর এই গান হৃদয়ে জাগরুক রয়েছে… আজীবন থেকেও যাবে। মানুষকে তো মানুষই ভালোবাসবে। আর আমরা এই কাজটি করার কথা ভাবলেই সর্বাগ্রে বিপরীত লিঙ্গের কথাই মনে করি।

যুগে যুগে এই ভালোবাসা তাঁর নিজস্ব রূপ নিয়ে আমাদের সামনে আবির্ভুত হয়েছে।

কেমন ছিল ভালবাসার যুগীয় রুপান্তর?

একটা সময় ছিল যখন কেউ ‘ভালবাসার জন্য দুরন্ত ষাড়ের চোখে লাল রুমাল’

বিস্তারিত»

সিরিয়াল রিভিউ

ব্যানশী
আইএমডিবি লিঙ্ক

ব্যানশী দেখে শেষ করলাম এই উইকেন্ডে, দুই সিজনে মোট ২০ এপিসোড। দারুন লেগেছে, রেটিং করলে ফারগো, ট্রু ডিটেকটিভের পরেই ব্যানশীকে রাখবো।
ব্যানশী আমেরিকার একটি ছোট শহর, অপরাধী নায়ক জেল থেকে ১৫ বছর পরে ছাড়া পেয়ে তার প্রেমিকাকে খুঁজতে এসে নতুন নিযুক্ত শেরিফ খুনের সাথে জড়িয়ে যায়। ঘটনাক্রমে শেরিফের ব্যাজ এবং পরিচয় চুরি করে নায়ক, এবং ক্রিমিনাল থেকে শরিফ হুড বনে যায়,

বিস্তারিত»

ইনসোমনিয়া

আমাদের সেইন্টমারটিন পার হয়ে,
দেশের জলসীমায় কিম্বা তারও বাইরে
কোন এক অজানা দ্বীপে হারিয়ে যাবার কথা ছিল।
তোমার স্বপ্ন ছিল বালিয়াড়ি থেকে খানেকদূ্রে,
বাশের একটা ছোট্ট ঘর, আর অর্কিড।
আমার চাহিদা আরো ছোট,
একটা বারান্দা আর ঝোলানো হ্যামক।
আমাদের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাবার কথা ছিল।
কথা ছিল সিং শোর ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে
ছবি তুলবো একদম মনের মত করে,

বিস্তারিত»

ইয়াহু চরিতঃ বাল্যখিল্য কড়চা

গোলবাস্টো মোমারেন এভলেস গুরডিলো শেফিন মুলি উলি গিউ

লিলিপুটদের সর্বশক্তিমান সম্রাট যিনি একই সাথে বিশ্বের আনন্দ ও ভীতি, পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত যার সাম্রাজ্য, যিনি রাজার রাজা, মানব সন্তানদের থেকেও উঁচু, যাঁর পদভারে জমিন কাঁপে, যাঁর মাথা সূর্যকে স্পর্শ করে এবং যার আঙ্গুলের হালকা ইশারায় পৃথিবীর সমস্ত রাজার হাঁটু কাঁপে, যিনি বসন্তের মত মনোরম, গ্রীষ্মের মত আরামপ্রদ, শরতের মত ফলপ্রসু কিন্তু শীতের মত ভয়ংকর ।

বিস্তারিত»

ফ্রেঞ্চ কিস্

ঢংঢংঢং …… গীর্জার ঘন্টায় ঘুম ভাঙল। চোখ মেলেই দেখি সিলিং থেকে ঝুলছে ঝাড় বাতি। অবাক হবার পালা! এ আমি কোথায়এলাম! অচেনা ঘর? নাকি হারিয়ে গেছি আমি? মনটা বড় ভুলো। এসেছি তো একটা লম্বা ছুটি কাটাতে, কিন্তু দুষ্টু মনটা যেন রয়ে গেছে কর্মব্যস্ত জীবনে। ঘুম ভাঙল ছুটিতে,মন রয়ে গেল অফিসে। তাতে কি? আড়মোরা ভেঙে, গরম লেপটা সরিয়ে,পা রাখলাম -১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঘেরা স্যুইটজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে, আমার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শয়নকক্ষে।

বিস্তারিত»

ইয়াহু চরিতঃ বাল্যখিল্য মূল্যবোধ

250px-Gullivers_travels

 

 

 

 

 

 

লিমুয়েল গালিভার ছিলেন এক মহাপণ্ডিত। ইয়াহু জাতির বৈশিষ্ট নিয়ে ভয়ানক নাক সিটকাতেন। এজন্য তাকে অনেকে মঙ্গল গ্রহের মানুষ বলতো। মনুষ্য সমাজে তিনি জোনাথন সুইফট নামে পরিচিত ছিলেন। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করে উদ্ভট চিন্তাধারা আর আজব সব প্রথা সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেন  তিনি।

বিস্তারিত»

করাতটা উপরে পাঠান। মগডালে বইসা আছি। সময় থাকতে কাইটা ফালাই।

প্রফেসর ডঃ জাফর ইকবাল। আমার মতে উনার হেটার্স ক্লাবের স্পেকট্রামের মত বড় স্পেক্ট্রামের হেটার্স ক্লাব আর কারো নাই। বাম, ডান, মধ্যম, আধা-বাম-কিছুটা-ডান, ছুপা সুশীল ইত্যাদি সবাই উনার কথাবার্তায় কম বেশী তেড়েফুঁড়ে উঠেন। কারণ সময়-অসময়ে উনার মতামত, চিন্তা-ভাবনা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। স্পেক্ট্রামের মানুষগুলো যেন আশা করে বসে থাকে, কবে মানুষটি একটি বিতর্কিত কথা বলবেন। কিন্তু যখন এই মানুষটি কিছু কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, ভবিষ্যতের ভয়াবহ পরণতির কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চান তখন উনার পাশে মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না।

বিস্তারিত»

নিলীন তুষারকন্যা

নিলীন তুষারকন্যা
—————- ড রমিত আজাদ

গিয়েছিলাম পরের ক্ষেতে,
হিমের সাথে ভাব জমাতে।
হলুদ ফুল আর ঘাসের মাঠে,
তুষার জমে চাদর পাতে।
চারিদিকে সাদার খেলা ঝলোমলো,
আকাশ ঢাকা ঘন মেঘে কালো কালো,
এই বুঝি এই ঝুপঝুপিয়ে সন্ধ্যা এলো,
সন্ধ্যা তো নয় রূপ জ্বালানো কন্যা এলো।
তুষার দেশের কন্যা সে যে!
তাই বুঝি তার চরণ পাতায়,

বিস্তারিত»

বিমূর্ত জোছনায় মোহনা

বিমূর্ত জোছনায় মোহনা
—————– ড রমিত আজাদ

ঐ নদী তোলে ঝড়, সুরের লহরী, ঢেউয়ের মাতম তুলি,
ঐ সাগরের বুকে হারিয়েছে নদী, বাসনা হৃদয় খুলি,
সাগরের ঢেউ আর নদীর প্রবাহে মোহনায় মাতামাতি,
বিমূর্ত জোছনা উথাল হয়েছে, আহলাদে রাতারাতি।

ধরাধরি করি জড়ায়েছে দেহ, পাণির উপরে পাণি,
নবীন কেশের ঘ্রাণ জড়িয়েছে, হৃদয়ে আঁচর টানি,
তবুও সাধনা, এখানে মোহনা,

বিস্তারিত»

যাযাবরের দৃষ্টিপাত

আমার পড়ার অভ্যাস তৈরী হয়েছিলো একেবারে ছোটবেলা থেকেই। পড়াটা শুধু গল্পের বইকেন্দ্রিক ছিল না, চোখের সামনে যা পড়তো তাই পড়া শুরু করে দিতাম, নতুন বা পুরাতন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, লিফলেট এমনকি লন্ড্রি থেকে কাপড় ফেরত দেবার সময় পুরোনো পত্রিকার যে টুকরো কাপড় দিয়ে কাপড়গুলো মুড়ে দিত সেটাও বাদ যেত না।

সেবা প্রকাশনীর কল্যানে এই পড়ার ক্ষুধা মেটানোর জন্য বিশাল ভান্ডার পেয়ে গেলাম, গোয়েন্দা রাজু থেকে শুরু,

বিস্তারিত»

Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগান – ৪র্থ সংস্করণঃ তোমার শীতল স্পর্শে আমার ফ্রস্টবাইট।

অল্প লিনাক্স বিদ্যা কার্যকরী
লাইব্রেরীর তিনটি তলার মোট শ-খানেকের উপরে কম্পিউটারের সবগুলো কারো না কারো দখলে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় তলার ৬টি কম্পিউটার খালি পড়ে আছে। অবাক হয়ে কাছে গিয়ে দেখি ছয়টি কম্পিউটারের স্টিকারে লিখা “লিনাক্স বুট অনলি।” চলচিত্রের বিখ্যাত ভিলেন প্রয়াত রাজিবের মত অট্টহাসি দেয়ার ইচ্ছা সংবরণ করে একটিতে বসে পড়লাম। আইন ও পলিসি সায়েন্সের ছাত্র হয়ে লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি ভালবাসাটা বেশখানিকটা “সমাজ বহির্ভূত”

বিস্তারিত»

দোস্ত দুশমান

বন্ধু আমার বড়ই দুষ্টু। মস্তিষ্কের নিউরনে অনুরণন করে ঠিক যেমন বড় বড় ক্যাল্কুল্যাস এর শেষ টেনে ছাড়ে, যেমন করে সব সময় স্যারের শেখানো, দেখানো নিয়মের বাইরে তাকে অংক করার নেশা চেপে ধরে, ঠিক তেমনি সেই গুচ্ছগুচ্ছ নিউরন দিয়েই ছুটিতে গিয়ে কিছু একটা বাগিয়ে নিয়ে আসে। বাগাবে না কেনো? সেতো বাগানোরই বয়স। তো যাই হোক, বন্ধু আমার গত ছুটিতে এক বালিকার সাথে ফোনআলাপের তুঙ্গে পৌছে এসেছে।

বিস্তারিত»

তুমি বধু না হয়ে প্রেমিকা হয়ে রইলেই ভালো করতে

তুমি বধু না হয়ে প্রেমিকা হয়ে রইলেই ভালো করতে
—————————— ড রমিত আজাদ

তুমি বধু না হয়ে প্রেমিকা হয়ে রইলেই ভালো করতে,
তখন তুমি আমার কাছে প্রেম ছাড়া আর কিছুই চাইতে না,
আমিও তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতাম রাশি রাশি,
স্বপ্ন দেখতাম তোমার হাত ধরে সমুদ্র দেখার,
গায়ে গায়ে ঘেষে তোমার পাশে ছাদে বসে অপরূপ জোৎস্না দেখার,
সেইসব স্বপ্নে বিভোর হয়ে কেটে যেত একের পর এক নির্লোভ বসন্ত।

বিস্তারিত»