আমরা হয় “A”লীগ বা “B”দল এর লোক। কিন্ত কজন আমরা বুকে হাত রেখে বলতে পারি, যে, আমরা আসলে কোন কারো দায়বদ্ধ নই। নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বুঝি এভাবেই বদলে যাবে। আমিও কিন্ত নিরপেক্ষ নই। আমি শুধু আমার কলিজা আর পরানের পরাণ বাংলাদেশের পক্ষে। দেশে জন্য ক্ষতিকর সব কিছুই আমার জন্য বিরক্তিকর। আর দেশের জন্য সুখকর সবটাতেই আমার নিখাদ আনন্দ। আজকাল আনন্দিত হতে পারি না, বিরক্তিতে BP 100-140,
বিস্তারিত»মিরাজ
আমার প্রেম এখনো থমকে আছে কাঁধ ছুঁই ছুঁই চুলে!
দেড়শ বছরের পুরনো এই শহরে এখনো যুবকের কাঁধ অবধি ঝাঁকড়া চুল দেখলে
চমকে উঠি।
গলার স্বর নামিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, এই শোন!!
বিস্তারিত»নিরাপদ অণুব্লগ
১
আমি মানুষটা সবসময়ই একটা এ্যডভেন্চারাস টাইপের। একটু ঝুঁকিপ্রবণ। আমার কাছের মানুষ, বন্ধুবান্ধবকে জিজ্ঞেস করলে সবাই এক বাক্য তা স্বীকার করবে। ধ্যাৎ লেখাটার শুরুতেই কেমন জানি আমি আমি টাইপ হয়ে যাচ্ছে। আসলে যে কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো এই চ্ল্লিশোর্ধ বয়সে এসেও আমার স্বভাবটা বদলে যায়নি। জীবনের ব্যাপারে আমি একইভাবে প্যাশনেট, উচ্ছ্ব্সিত এবং স্বাপ্নিক। সেদিন বসে বসে ভাবছিলাম গত দশকে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন কী আর আগামী দশকে অগ্রাধীকারের ভিত্তিতে সবচেয়ে প্রধান লক্ষ্যমাত্রা কী।
সেই তো আমার বধু
সেই তো আমার বধু
——————– ড রমিত আজাদ
প্রাচীন প্রেমের ব্যাথা ভুলে যাকে বেঁধেছি জীবন ডোরে,
বিরহ অতীত সবকিছু ফেলে, তুলেছি বাসর ঘরে,
পুরাতন স্মৃতি আঁখিজলে ধুয়ে, নতুন স্বপনে পুলকিত হয়ে,
মনময়-প্রাণময় রয়ে, যে দিয়েছে আজ এ হৃদয় ছুঁয়ে,
সেই তো আমার বধু ।
যে বলেছে ঘুচে দেবে, পুরাতন যত ক্ষত,
ফেলে আসা দিন, বিনিদ্র নিশি,
ফেইসবুকে রুচি চানাচুর মেলে না তাই সিসিবির দরজায়।
(১) বাড়ছে টিউশন ফি, বাড়ছে ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়াম এদিকে গাছ কেটে বসানো হয়েছে প্রমাণ সাইজের এক হাস্কি। জায়গার নাম হাস্কি প্লাজা। এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তবে অামি মজা লুটে যাচ্ছি। মিশিগান টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্কট হলো এই হাস্কি। দেখতে নেকড়ের মত (সম্ভবত নেকড়ের দূরসম্পর্কের আত্মীয়) এই কুকুর ভবিষ্যতে পালার বড় ইচ্ছে।
(২) হাটাচলার রাস্তায় বেশী নকশা করতে নেই।
বিস্তারিত»সবই দেখি তা না-না-না!
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবই দেখি তা না-না-না।
লালনের গান বা তার দর্শন বোঝার ক্ষমতা হয়ে ওঠেনি পুরোপুরি। কিন্তু কিছু কিছু গানের কথা মাঝে মাঝে দারুন ভাবে প্রভাবিত করে। এই গানটা তার মাঝে একটা। ইদানিং কালে আমাদের ধর্মানুভূতির নাজুকতা দেখে। গানের মূল ভাবের সাথে সেটা কত দূর যায় জানি না, তবে বিশেষ করে প্রথম চার লাইনের সাথে খুব মিল পাই।
বিস্তারিত»চার্চ, শুঁড়িখানা ও অশনির সংকেত
গল্পটা মোটামুটি এরকম – একদিন এক চার্চের ঠিক সামনেই একটা শুঁড়িখানা চালু হল। এহেন দুষ্কর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে চার্চের পাদ্রি-পুরুতগন দিন রাত ওই শুঁড়িখানার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে নালিশ দিয়ে প্রার্থনা করতে লাগলেন। তাঁদের লাগাতার বদ-দোয়ার কারনেই হোক কিংবা নিছক কাকতালীয়ভাবেই হোক, কয়েকদিন পরেই বজ্রপাত হয়ে শুঁড়িখানাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। তখন শুঁড়িখানার মালিক আদালতে গিয়ে চার্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল। সে বলল, শুঁড়িখানার বিরুদ্ধে এই চার্চের পাদ্রি-পুরুতদের প্রার্থনার কারনেই সেটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিস্তারিত»সিসিবি জমজমাট!
জাতিসঙ্ঘে ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলায় ভাষণ দেয়া উচিত
ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিঃ মোদী এবার জাতিসঙ্ঘে হিন্দিতে ভাষণ দিয়েছেন। উপমহাদেশের একটি অন্যতম ভাষাকে বিশ্বসমাজে তুলে ধরার জন্য আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল হিন্দিতে কেন? বাংলায় কেন নয়?
ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য দিয়ে একটি রাষ্ট্রের নিজস্ব আইডেন্টিটি তৈরি হয়। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকেরই উচিত যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে তাঁদের সেই আইডেন্টিটি গুলোকে সমুন্নত করা। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি আছে ভাষা সম্পর্কিত, যেমন, রাষ্ট্রভাষা,
গ্রামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা
গ্রামে (কুমিল্লার চান্দিনায় ) একটি গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে মনস্থির করেছি । এই উদ্যোগ সফল করে তুলতে আপনারা যারা বই দিয়ে সাহায্য করতে পারেন অনুগ্রহ করে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানাবেন। যে সব বই আমাদের মনের সংকীর্ণতা দূর করে আমাদেরকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে ,ইহলৌকিক মঙ্গল ও পারলৌকিক মুক্তির পথ দেখিয়ে সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়তা করবে তার একটি চমৎকার সংগ্রহ গড়ে তুলতে চাই। আপনাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা (বাংলা কিংবা ইংরেজী ) অসংখ্য বই থেকে গুটি কতেক ঐ পাঠাগারকে দিতে চান?
বিস্তারিত»আমার বন্ধু লুবনা
কলেজে থাকাকালীন সময়ে আমি কখনই লুবনার প্রিয় বন্ধু ছিলাম না। লুবনা বরং আমাকে মারতো সময় সুযোগ পেলে। মার্চ পাস্ট করে একাডেমিক ব্লকে যাচ্ছি তো লুবনা আমার অক্সফোরড শু খুলে দিলো লাথি মেরে। সাইডে বসে জুতো পরছি, ও এমন একটা লুক দিল যে মনে হতো দেখিস একদিন আমিও… সেই একদিন কখনোই আসে নাই ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময়ে। অনেক কারিগরী করে দুই ইঞ্চির একটা বিনুনি করলাম চুলে,
বিস্তারিত»তুমি আমার বধু নও কেন?
তুমি আমার বধু নও কেন?
———————-ড. রমিত আজাদ
বিচ্ছেদের সহস্র যোজন দূরত্ব থেকে, তোমাকে অবলোকন করার একমাত্র অবলম্বন
আকাশ-প্রযুক্তির মোহময় পটভুমিতে, প্রস্ফুটিত পদ্মের মতো ফুটে থাকা
তোমার ঐন্দ্রজালিক প্রভাচিত্রে কি এক দুর্নিবার পূর্ণিমার স্ফুরণ!
তোমার অসিক্ত বসনে সমুদ্রের উদ্বেল নীলাভ ঢেউয়ের কি এক অদ্ভুত আকর্ষণ !
এ যেন ঘন তমসার রহস্যময় রজনীতে গভীর ঘুম থেকে ডেকে তোলা
ডাকিনী নিশির মোহনী সম্মোহন!
আলাপনঃ দুই
– বাবার পাঞ্জাবীর নীচে ন্যাপথলিনের সুবাস মাখা একটি বাজুবন্দ সযতনে রাখা আছে এখনো। মায়ের স্মৃতির এই গয়নাটি ঘুমোয় অনন্তের ঘুম আর আমি অনন্ত তৃষ্ণা নিয়ে অপেক্ষা করি তোমার। চায়ের আড্ডায় চকিতে কোন হরিণ চোখে চোখ পড়তেই মনে হতো আহা! এই কি সেই মেয়েগো, যাকে খুঁজে ফিরছি আজন্মকাল?
– একই শহরের আলো হাওয়ায়, একই রোদ জল, রংধনু আর ছুটে যাওয়া তারাদের দেখেই আমাদের বেড়ে ওঠা,
বিস্তারিত»কেন আমি বিশ্বাস করি মালালা ই নোবেল শান্তি পুরস্কার এর যোগ্য বিজয়ী
Social conformity বলে একটা টার্ম আছে সাইকোলোজি তে। চারপাশের মানুষদের কথাবার্তা, আচরণ ও অভিমত অনেক সময় আমাদের নিজেদের অজান্তেই আমাদের অপিনিয়নকে প্রভাবিত করে.. মালালা নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর আমার ফেসবুক নিউজফিডে ঢুকে এই কথাটাই মনে হলো.. হতে পারে মালালা পাশ্চাত্য মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে অনেক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, তার মানে এই না যে এতে তার অর্জন খাটো হয়ে গেছে।গেছে।ক্রিটিকালি চিন্তা না করে সব কিছুকে জেনারালাইজ করে ফেলাটা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।
বিস্তারিত»ঈদ মুবারক (অনুব্লগ)
৪ অক্টোবর ২০১৪। বেলা ৩টা। বাড়ি যাবার জন্য অটো ঠিক করতে বের হচ্ছি । দরজা খুলতেই দেখি, জুতোজোড়া হাওয়া। বাড়ি যাবার আগেই কুরবানি হয়ে গেছে। অগত্যা স্যান্ডেল পায়ে বের হওয়া। বার্মা থেকে আগত এই পাদুকা যুগল অং সান সুকীর মত দীর্ঘ সংগ্রামে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। রাজপথে সারমেয়দলের কার্তিকপূর্ব বেহায়াপনা আর সদন্ত গর্জন। চৌদ্দ হুলের হলাহলশংকামুক্তার্থে ত্রস্ত পদচারণ।অতঃপর কুড়ি কদমদৈর্ঘ্য অতিক্রমের পূর্বেই পটপট শব্দে পাদুকাযুগলের প্রতিবাদী আত্মহনন।
বিস্তারিত»