ক্লাস এইটের ঘটনা।
ম্যাথ ক্লাসে সম্পাদ্য করাতেন পি. কে. রায় স্যার। ছোট্টবই, সিলেবাস দু’দিনেই শেষ। তখন আবার আইসিসিএলএম এর প্রস্তুতি চলছে। স্যার ছিলেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের দায়িত্বে। তো ঘটনার দিন স্যার ক্লাসে এসে বললেন, “আমারতো সিলেবাস শেষরে.. এখন কিতা খরাইতাম?” [স্যার সিলেটী ভাষায় কথা বলতেন]
আমি কিছু না ভেবেই বললাম, “স্যার, এখন তাইলে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত হোক।”
আর যাই কোথায়! স্যার শান্তভাবে বললেন, “অ্যাই, তুই ওবায় আয়..” আমি গেলাম। কাছে যাবার সাথে সাথেই আমার কলার ধরে এমন হ্যাচকা টান দিলেন যে উপরের তিন-চারটা বোতাম গেল ছিড়ে। তারপর শুরু হল বক্সিং। সাথে সিলেটী ভাষায় স্যারের গর্জন।
“তোরে আমি ব্লো মারিয়া উঠাইলাইমু… পাঞ্চ খরিয়া তোর স্টমাক খানা খরিলাইমু… নাড়িভুড়ি সবতা গালাইলাইমু।” সাথে সমানে মাইর.. কিল, ঘুষি, লাথি, থাপ্পর, উষ্ঠা.. কিচ্ছু বাদ পরেনাই। এমন মাইর আমি আমার জীবনেও খাইনি।
সেই থেকে আমি স্যারের ব্ল্যাকলিস্টে।
এই উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের ধাক্কা আমাকে মেট্রিকের হায়ারম্যাথের প্র্যাক্টিক্যালেও সইতে হয়েছিল। স্যার ছিলেন ইন্টারভিউ বোর্ডে। রেজাল্ট সবাই ২৫ এ ২৫, শুধু আমি ১৭!
দোস্ত...তোর সেই মাইর খাবার কথা আমি আমার জীবনেও ভুলবো না,এমন মার আমি জীবনেও দেখি নাই আমার লাইফে.....
আমাদের ব্যাচের একটা মাত্র ছেলে ইউসুফ যাকে আমি কখনো রাগতে দেখি নাই,মন খারাপ করতেও দেখি নাই..এমনকি পি.কে স্যারের সেই ভীষণ মার খাবার সময়ও দেখি ওর মুখে সেই হাসি লেগেই আছে।
তবে মানুষজন কে রাগানোর বেলায় ইউসুফ ওস্তাদ।ফাইনাল পরীক্ষা,ও আমার পাশের সিটে.কিছুক্ষন পর
আমি দেখি ও মনের সুখে গান গাইতেছে..."ও পিয়া ও পিয়া পিয়াআআআ..তোম সানে....."
হায়রে ইউসুফ। আমরা যখন ১২ এ ও তখন ১০ এ। ওকে আমি কখনো আমাদের আগে ফলইনে যেতে দেখিনাই। আমাদের সাথে সাথেই হেলে দুলে কখনো ফ্রন্টরোন দিতে দিতে যেত। পোলাপান অতীষ্ট হয়ে গেছিল ওর উপরে। কখনো যদি দেখতাম ও আগে চলে গেছে মানে নেমে দেখি ও আমাদের পাশে নাই তখন মনে হত আরে অসুখ করল না তো ছেলেটার।
ইউসুফ ভাই,
জটিল লাগসে!!!
আরো মাইর খাওয়া এবং দেবার কাহিনী চাই 😀
উষ্ঠাও দিসে!!!এইটা ক্যামনে দিল ভাই???
কনক দোস্ত.... তুই নকল সাপ্লাই দিতে লেইট করতেছিলি, তাই আমার গান গাওয়া ছাড়া কিছু করার ছিলনা :p
তপুভাই... কলেজে থাকতে লেইট করার কারণে শান্টিং খাইতাম প্রিফেক্ট আর এ্যাডজুটেন্টের... আর এখন খাই বাপ-মা, বউ-বাচ্চার কাছে =(
জিহাদ.. মাইর খাইসি অনেক... বাট দেয়ার চান্স পাই নাই... বেশী আলস ছিলাম। আরো মাইর খাওয়ার কাহিনী আসতেছে... ওয়েট কর।
ফুয়াদ... ভাল কথা বলছ... উষ্ঠা কেম্নে খাইছি এটা একটা গবেষণার বিষয়... দাড়াও, তপুভাইরে লাগাইতেছি, উনি গবেষণার জন্য নতুন বিষয় খোজঁতেছেন।
ওয়েট করতে করতে বুড়া হয়ে গেলাম তো ভাইজান। আপ্নে কৈ :(( :((
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ধৈর্য ধর। আর্সাতদিন পর এক বছর হৈবো। 😀 😀 😀
:khekz: :khekz:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
বউ বাচ্চা পরিবারকে 'ঠিক টাইমে' সময় দেবার কারণেই হয়তো বেচারা আর সিসিবিরে সময় দিতে পারেনাই 😉
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ওরে তো ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করতে দেখি রেগুলার।
দিমু নাকি একখান?
কী বলেন কাইয়ূম ভাই? :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কি দিবি?? পরিবার পরিজন লিমিটের ভিত্রে রাখার মাল ম্যাটেরিয়ালের বিজনেসে নামছিস নাকি ইদানিং ;;) বিয়াপার্স্না অবশ্য, ব্যবসা ব্যবসাই ;;;
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আপনার লাগবো নাকি? :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
এর সাথে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের কোনো সম্পর্ক নাই। বেকুব। 🙂 সময় ডাই নষ্ট। x-(