এতটা স্বাধীনতা চাইনি। ছোটবেলা থেকে আব্বু আম্মু একটু বেশিই কেয়ার নিত। স্কুল -কোচিং শেষে বন্ধুরা যখন খেলত বা ঘুরতে যেত আমি তখন আব্বু কিংবা আম্মুর সাথে বাসায় ফিরতাম।আর শুধু চাইতাম একটু বড় হতে।ক্যাডেট কলেজেও ভ্যাকেশন শেষে সবাই যখন একা একাই কলেজ যেত, আমাকে কলেজ যেতে হতো আব্বু আম্মু দুইজনার সাথে। ” আম্মু আমি বড় হইছি। একা একা যেতে পারি।” কথাটা বাতাসেই মিলায় যেত। আম্মু শুনে শুধু হাসত। আর আমার মুখ স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি কালো হয়ে যেত। হোৎাৎ করে কেন জানি একটু বেশিই বড় হয়ে গেলাম। সেই এইচএসসির পর থেকে শুরু। এক সময় এসএসসির পর বন্ধুদের সাথে গেটটুগেদারে ঢাকা আসার জন্য আব্বু আম্মুর সাথে অনেক জেদ করতে হয়েছিল। ফলাফল স্বরূপ আসতে পেরেছিলাম, কিন্তু ওইযে….. আব্বু আম্মুও সাথে। তারপর…….. গতদুই বছর হল ঢাকায় আছি। কোচিং, ভার্সিটি, মেসে ওঠা, ভার্সিতি চেঞ্জ, মেস চেঞ্জ…………. অনেক কিছুই হলো। কিন্তু পুরাই একা। কেউ আসেনি। সব কিছু একা করতে হয়েছে। ফোনে কি অবস্থা জিজ্ঞাসা করলে শুধু একটু রাগই দেখাতে পেরেছি ” এখানে একজনের সাথে দশ জন করে আসছে, আর আমি একা একা দৌড়া দৌড়ি করছি।”
ওপার থেকে শুধু একটু হাসি ভেসে আসছে।
” কি করবি বাবা!! আমরা যে যেতে পারছি না।”
সন্ধ্যায় আযানের একটু পর বাসার দরজা নক করলে আম্মু রাগ হতো।
” এত দেরী করে আসার কি দরকার। খেলে ওখানেই থাকতি!!”
গলায় অনেক অনুনয় বিনয় থাকত। এখন আর তা নেই। ফোনে শুধু পরামর্শ ” এত রাত করে বাইরে থাকিস না বাবা।”
মনে করে খুব মজাই আছি। নাহ। কোন মজা নেই। সব অভিমান। রাস্তা পার হতেও খুব আলসামো লাগে। মনে হয় কেউ যদি একটু হাতটা ধরে পার করে দিত। এতটা স্বাধীনতা চাইনি। এতটা বড় হতে চাইনি।
২ টি মন্তব্য : “না চাওয়া স্বাধীনতা”
মন্তব্য করুন
নদীর একুল কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
এতটা স্বাধীনতা চাইনি। এতটা বড় হতে চাইনি -- কথাটা ভালো লাগলো।