আমার মতো অনেকের শৈশব জুড়ে আছে মনে হয়, মাইকেল জ্যাকসন। সেই থ্রিলারের ভূতের নাচ, অথবা বিলি জিনের সেই মুন ড্যান্স এখনো কি আমাদের মুগ্ধ করে না? বিলি জিন গানটার ভিডিও দেখে ঢাকায় তখন মাইকেল জ্যাকসনের স্টাইলের জুতা পাওয়া যেতো, পোলাপান সাদা মোজা দিয়ে সেই জুতা পড়ে কি ভাব টাই না নিতো। অনেক বির্তক জন্ম দেওয়া এই নায়ক কিন্তু ঠিকই গেয়েছিল কালো আর সাদা মানুষদের সাম্যর গান,
বিস্তারিত»সাপ্তাহিক…(২)
আবার বৃহঃস্পতিবার চলে আসছে… কি শান্তি। ইদানিং বৃহঃস্পতিবারের মজা শুরু হয় লাঞ্চের থেকে, মেন্যু খালি কলেজের ইম্প্রুভ ডিনারের কথা মনে করে দেয়… এমনিতে এই সপ্তাহে এতোই ব্যস্ত ছিলাম যে কোন দিক দিয়া দিন চলে গেল টেরই পাই নাই। এক দিক দিয়া ভালই লাগে, তাড়াতাড়ি ছুটির দিন চলে আসে কিন্তু পরীক্ষার শিডিউলের দিকে তাকালেই মনে মধ্যে হায় হায় শুরু হয়ে যায়, তারপরেও থার্সডে নাইট বলে কথা।
বিস্তারিত»সহজিয়া-১
অনেক দিন ধরেই লিখব লিখব করছিলাম কিন্তু লেখা হয়ে উঠছে না আলসেমির জন্য।মাথায় কিছু জিনিস ঘুরছে।সবার সাথে শেয়ার করার জন্য লিখতে বসলাম।
কিছু দিন আগেই ঘড়ির কাটা এক ঘণ্টা এগিয়ে গেল।সরকার বলছে যে এতে করে দেশের নাকি ২০০ মেগাওয়াট current বাচবে।আমার কাছে কথাটা খুব হাস্যকর মনে হয়েছে।কারন,আমার কাছে মনে হয়েছে,যারা বলছেন যে এতে দেশের ২০০মেগাওয়াট current বাচবে তারা ২০০ মেগাওয়াট মানেই জানেন না।কারন,আমাদের দেশের market ও অফিস গুলোতে দিনের আলো বা sunlight কেউ ব্যাবহার করেন না।সবাই লাইট জালিয়ে রাখেন।market গুলোতেও একই অবস্থা।গাউছিয়া বা newmarket এর উদাহরন।এরা সবাই লাইট জালিয়েই যার যার কাজ করেন।আর এখন তো সব অফিসেই এয়ারকুলার চলে।এটাতো আর দিনের আল বা রাত দেখে চলে না।তাই এক ঘন্টা এগিয়ে আনলেও যতটুকু সময় এসি চলবে এক ঘন্টা পিছালেও একই সময় এসি চল্বে।তাই সরকার থেকে current savings এর যে বাণী ছাড়া হচ্ছে সেতা সরকার কে বলতে হয় তাই বলা।ডেলাইট সেভিংস করে খুব বেশি হলে ৪০ থেকে ৫০ মেগা ওয়াট current বাচানো সম্ভব।গতকাল খবরে দেখলাম আমাদের minister বলছেন যে কাল দেশে ৬০ মেগাওয়াট current বাচানো গেছে।ডেলাইটের সুফল পেতে তিনি আরো কিছুদিন সময় চেয়েছেন।কিন্তু আমার মনে হয় অবস্থার খুব একটা change হবে না।সরকার যেটা করতে পারে সেটা হল current খুব ভালভাবে রেশনিং করতে হবে।সিস্টেম লস কমাতে হবে।এসি চালানোতে সময় বেধে দিতে পারে।অযথা আলোকসজ্জা বন্ধের ঊদ্যোগ নিতে হবে।আমার বাসার সামনে একই জায়গায় তিনটি বাতি আছে।এসব অপচয় বন্ধে কঠিন নিয়ম ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।পাওয়ার ব্যাবস্থাপনায় যোগ্য লোক বসাতে হবে।এবং অতি দ্রুত সঠিক পরিকল্পনা করে এই খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।নয়তো দেশের ভবিষ্যত বলতে কিছুই থাকবে না।
তপু ভাইয়ার অপারেশন …
গত ২৩ তারিখে ভাইয়ার অপারেশন হয়ে গেছে।অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে।ওর সাথে ওখানকার বন্ধু,বড় ভাই আর ভাবীরা আছেন।ডঃ বলেছেন ইনশাল্লাহ এক সপ্তাহের মধ্যেই হাঁটতে পারবে।গতকাল থেকেই ভাইয়া একটু একটু হাঁটতে পারছে।
সবাই ভাইয়ার জন্য দোয়া করবেন…………………
কিছু ছবি আর একটা ভিডিও
জুন মাস আমার খুব প্রিয় একটা মাস। ইংল্যান্ডে আসার পর ব্যাপারটা আরো পোক্ত হয়েছে। কারন বছরের সেরা আবহাওয়া থাকে জুন মাসে।খালি টি-শার্ট আর ফ্লিপ ফ্লপ পড়ে অফিস করা যায়। বিশাল বড় দিন (খালি ফজরের নামাজ পড়তে হালুয়া টাইট হয়ে যায়)। অফিস থেকে বের হবার পড়েও অনেকক্ষন দিনের আলো থাকে। বাজারে প্রিয় ফল আমের আমদানী ঘটে। বাসায় ফিরবার পর আমের জুস খেতে খেতে বউ এর আজাইর্যা প্যাচালও সহনীয় হয়ে উঠে।
বিস্তারিত»জ্বরের ঘোরে!!!
১। সিসিবি তে কেমন জানি মরা অবস্থা চলছে। সহজে কেউ লেখা দিতে চায় না। ঘন্টার পর ঘন্টা সিসিবি খুলে বসে থাকি কেউ তো লেখা দিচ্ছে না বরং কারো কমেন্ট দেখে যদি একটু মনটা ভরে। কমেন্টের জাদুকর জুনা আরও গরীব হয়ে ফিরে আসছে, আশা করা যায় নতুন নতুন কমেন্টে সে আবার আমাদের মুগ্ধ করবে। কিন্তু কেম্নে কি? শেষ মেষ আমার মত ভাদাইম্মা লেখক ও লিখতে শুরু করল।
বিস্তারিত»বাজেট, সাদা-কালো টাকা আর মামলার গল্প
১.
১৯৯৬, সাল অনেক দিন পর আবার ক্ষমতায় আওয়ামি লীগ, হাসিনা আপা মন্ত্রী খুজছেন। প্রায় সব মন্ত্রনালয়ের লোক পাওয়া গেছে, বাকি শুধু অর্থমন্ত্রী । তো ইন্টারভিউ বোর্ড বসল, তোফায়েল, আমু, রাজ্জাক আর আপা নিজে। একেক জন আসে, আপা খালি একটা প্রশ্ন জিগায় … ” কনতো মিয়া, ৪ যোগ ৪ কত ? ” সবাই বলে, আপা, এইডা তো সবাই জানে, ৮। আপা মন খারাপ করে বলেন –
স্বপ্নপূরণ……….অতঃপর কেম্নে কি??!!
আজকে একটা দিন গেল বটে। অসম্ভব রকমের গরমের মধ্যে অফিসের কাজে জীপে (নন-এসি অবশ্যই) দু’শ কিলোমিটার পাড়ি দেয়া খুব একটা আরামের কিছু না। তবে যাত্রা শুরু করার পর নিজের অজান্তেই একা একা মিটমিট হাসতে লাগলাম। আমার যাত্রাপথে ঝিনাইদহ পড়বে। ১৫ টা মিনিট সময় কি পাওয়া যাবে না? অবশ্যই যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। সহযাত্রীদের বিশ্রামের সুযোগ দিয়ে প্রবেশ করলাম সেই গেট দিয়ে যেটা পার হলে আজ ২০ বছর পরেও মনে হয় এখনও ক্যাডেট আছি।
বিস্তারিত»ফারজানার জন্য কনসার্ট
ক্যাডেট ফারজানার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করুন
আপডেটঃ
আগামী ২৫শে জুন সন্ধ্যা সাতটায় এমেক (AMEC-Association of Mymensingh Ex-Cadets)’র উদ্যোগে মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের মেধাবী ছাত্রী ক্যাডেট ফারজানার জন্য কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। একদফা চিকিৎসা শেষ করে ফারজানা বাংলাদেশে আসলেও তার আরো কয়েকবার কেমো দেয়া বাকি রয়েছে, এবং সেজন্যে এখনো বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন। সেই চিন্তা থেকে এমেক এই কনসার্টের আয়োজন করেছে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে।
আমি গরীব, কারন আমি অ নে ক গরীব…!!!
তাইফুর ভাইএর পোষ্টে কামরুল ভাই কমেন্ট করেছেন “আপনার আর জুনার উপর মেজাজ বহুত খারাপ আছে।” ভাবটা এমন আমি যেন আমি ইচ্ছে করে এখানে অনিয়মিত হয়েছি…আমি জানি, এখন যদি আমি আমার দুঃখের কথা বলা শুরু করি তাহলে এখানকার কোমলমতি বড় ও ছোট ভাই-বোনেরা কাঁদতে কাঁদতে পা ব্যাথা করে ফেলবেন…
কত বছর পর অনলাইনে আসলাম ঠিক করে বলা মুশকিল…যতদূর মনে পড়ে, শেষবার যখন অনলাইন ছিলাম তখন বৃটিশ সরকার উপমহাদেশ থেকে যাব যাব করতেছে…ন্ না…মনে পড়ছে…তখনো ব্লগের অনেকে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিত ‘ইটস কম্লিকেটেড’
বিস্তারিত»দন্ডিতের সাথে, দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে …
অনেক দিন ধরে “ব্লগ লিখি, ব্লগ লিখি” করেও ব্লগ লিখা হচ্ছে না। সময়ের অভাব, টপিকের অভাব এবং সর্বোপরি “কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি”র চক্করে ঘুরপাক খেতে খেতে, কি-বোর্ড আর আঙ্গুলের শত্রুতা চিরস্থায়ী হওয়ার আগেই তাই উপস্থিতি জানান দেয়া টাইপ পোষ্ট … বিয়াপওক তাড়াহুড়ায় লিখা … তাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি দিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ করতেই পারি।
“দন্ডিতের সাথে, দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে,
শ্রেষ্ঠ সে বিচার”।
একটা গোপন কথা ছিল বলবার
মায়ের কাছে শোনা; আমার জন্ম নাকি এক ঝড়ের রাতে, কালবৈশাখী ঝড়। মুষুলধারে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার তান্ডব উপেক্ষা করে তুমি বাইরে বসেছিলে, নানাবাড়ির বারান্দায়, চওড়া বেঞ্চিটির উপর। ভেতর বাড়ি থেকে আমার গগনবিদারী কান্না শোনবার জন্য তোমার অধীর উৎকন্ঠা। আমি নাকি পৃথিবীর আলোয় এসে ছোট্ট চোখ দুটো পিটপিট করে কিছু খুজছিলাম, বোধহয় তোমাকেই। আমায় দুহাতে জড়িয়ে তুমি প্রাণভরে দেখছিলে, আর আমি, পরম মমতার ছোয়া পেয়ে যেন নিজের অস্তিত্বের মর্মার্থ উপলব্ধি করে নিচ্ছিলাম।
বিস্তারিত»আমার ক্যাডেট লাইফ এবং প্রবাস লাইফ
২১ শে মে ১৯৯২ – প্রায় ৫৫০ এর মত নিবো’ধ কিছু বালক-বালিকার সাথে নিবো’ধ আমিও বোধশক্তি বৃদ্ধির জন্যে ক্যাডেট কলেজ নামক দেশের সনামধণ্য এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাণে নিজেকে বিষজ’ন দিলাম।জয়েন করার দিন আমার সাথে বাবা,মা ছাড়াও গিয়েছিল আমার প্রতিবেশী এক আপু।সবকিছুই ক্যামন যেন একটা ঘোরের মত মনে হচ্ছিল ।আর আমার এবং আমার সজ্জনদের যেভাবে আপ্যায়ণ করা হচ্ছিল আমার কাছে কলেজের সবাইকে মনে হচ্ছিল ফেরেশতা। আনুষ্ঠানিকতা ছেড়ে যখন হাউসে গেলাম তখন আমার কাছে মনে হচ্ছিল সব সিনিয়র ভাইরা আমার দিকে বিশেষ যত্ন নিচ্ছে ব্যাপারটা আমার কাছে আরও দারুণ লাগছিলন।
বিস্তারিত»কলেজ ছুটিতে মস্ত বড় সারপ্রাইজ!
কলেজ থেকে ছুটিতে আসা আমার জন্য সবসময়েই একটা দারুণ আনন্দের ব্যাপার ছিল। সত্যি কথা বলতে, ক্লাস সেভেন থেকে টুয়েলভ এর প্রতিটা মুহূর্তেই আমি থাকতাম হোমসিক। ক্যাডেট লাইফটার অন্য একটা মজা ছিল, এটা ঠিক; মজাও করেছি – কিন্তু সেটা আমার বাড়ির প্রতি দুর্বলতাটাকে কখনও ম্লান করতে পারেনি। ছুটির দিনগুলো শেষ হয়ে আসলে আমি আস্তে আস্তে মনমরা হয়ে পড়তাম। ছুটির প্রতিটা দিনই আমি উপভোগ করতাম। যদিও বেশীর ভাগ সময় কাটাতাম ক্যাডেট কলেজের ফ্রেন্ডদের সাথেই।
বিস্তারিত»রাফখাতা (সাপ্তাহিক…১)
ক. আহ… বৃহঃস্পতিবার রাত। সেই কলেজ লাইফ থেকেই সপ্তাহের সেরা সময়। মাঝে শুধুমাত্র বিএমএ’র ১ম তিন টার্মের বৃহঃস্পতিবার রাত বাদ দিলে এই রাত আসলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। তবে এখন কোর্সে এসে এই ভাল লাগার মাত্রাটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। ক্লাস, খাওয়া, পড়াশুনা, হোম এসাইনমেন্ট এই চক্করে পুরা যন্ত্র হয়ে গিয়েছি। তাই এখন বৃহঃস্পতিবার রাতগুলো আরো অসাধারন হয়ে উঠেছে।
খ. পুরো সপ্তাহের এই যান্ত্রিক জীবনের মাঝে মেন্টাল রিলিফের বিষয় আছে দুইটি…
বিস্তারিত»