১৯৯১ সালের ৬ই জুন…পরিচিত ক্যলেন্ডারের পাতার তারিখ গুলার মাঝে এই দিনটাতে এসে একবার হলেও মনটা থমকে দাঁড়ায়।ওই একই দিনে পথ চলতে শুরু করেছিলাম যারা এক সাথে…তাদের সবাইকে জানাই অভিনন্দন।
বিস্তারিত»খুচরো কথা- ১
১.
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে বাইরে। মাঝে মাঝে মুষুলধারে বৃষ্টির জন্য কান পেতে থাকি, সাড়া মেলে না। বৃষ্টি দেখাটা আমার নেশা, বেশ পুরানো অভ্যাস। সময়ের শুকনো রঙগুলো বৃষ্টির জলে ভিজিয়ে স্মৃতির ক্যানভাসে রঙ চড়াতে বেশ লাগে। আবছা হয়ে যাওয়া ছবিগুলোয় উজ্জ্বল রঙচ্ছটা জ্বলতে থাকে, ফেলে আসা সময়ের জোনাকগুলো আমার ভেজা মনে আলো ছিটিয়ে হারিয়ে যায়। আমি বসে থাকি; একা কিংবা বাস-ছাউনিতে দাঁড়ানো এক দঙ্গল মানুষের ভিড়ে।
আশার কাছে খোলা চিঠি
দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
“মেয়েটির সৌজন্যে একটি চিঠি লিখেছিলাম কিন্তু আজো সেটা পোস্ট করা হয় নি”
এর পর থেকে শুরু করছি…
ব্লগের শিরোনামটি মাসরুফ ভাইয়ের দেওয়া । আমি আর পরিবর্তন করার দুঃসাহস দেখাই নি । হাজার হলেও বড় ভাই 😀
আদনান ভাই, তানভীর ভাই, মাসরুফ ভাই, রকিব ভাই এবং মাহমুদ ভাই এর নির্দেশে আমার পোস্ট না করা চিঠির অজুহাতগুলো লিখছি :-B
আমি ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর থেকেই চিঠি লিখতে এবং পেতে খুব ভাল লাগত ।
বিস্তারিত»টিপাইমুখ আরেক মরণ ফাঁদ্
বরাক একটি আন্তর্জাতিক নদী। প্রায় পনের বছরের অধিক সময় ধরে ভারত বরাক নদির উপর টিপাইমুখ বাধ দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। স্থানীয় জনগণের বিরোধিতা মুখে তারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারছিলোনা। অতিসম্প্রতি তারা টিপাইমুখ বাধ নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু করে দিয়েছে।
ভুমিকা
টিপাইমুখ বাধ যে নদিতে দেওয়া হবে তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। উজানের দেশ ভাটির দেশের সাথে আলোচনা ব্যতীত আন্তর্জাতিক নদী হতে পানি প্রত্যাহার বা বাধ স্থাপন করতে পারেনা।
অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৫
মিশন শেষে দেশে ফিরে কাজে জয়েন করে রংপুরের ‘কালবেলা’ আমায় মেইলে লিখেছিল – ‘‘দেশে আসেন বস্ – তারপর দেখবোনে কত লেখা দিতে পারেন ব্লগে’’। কথাটা আমার তখন পুরোপুরি উপলব্ধিতে আসেনি। আমি হেসেছিলাম মনে মনে। সেই জোশেই লাইবেরিয়া থেকে এসে ছুটির মধ্যে গরম গরম এবিসি রেডিওতে জমকালো গেট টুগেদারে শামিল হলাম। ব্লগের প্রিন্সিপাল, ভিপি, অ্যাডজু, আমার বন্ধু জুলহাস সহ আরো সব তুখোর ব্লগারদের সাথে দেখা হলো।
বিস্তারিত»কতদিন ডাব চুরি করিনা !
কয়লা ধুইলে ময়লা যায়না।
তাই রিইউনিউন ‘০২ তে গিয়েও ডাব চুরি করেছিলাম।
সেটা ছিল আমার সবচেয়ে বড় অভিযান।
পুরো গাছ খালি করেছিলাম(৬০-৭০ টা ডাব)।
৩ দিনেও সবাই মিলে খেয়ে শেষ করতে পারিনি।
আহারে ! কতদিন হয়ে গেল! :dreamy:
বিস্তারিত»দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
আমি তখন ক্লাস সেভেনে । এক ফ্রেন্ডের কাছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স দেখে কি মনে করে যেন স্কুল কুইজটা পুরণ করে পাঠিয়ে দিলাম :-B
একরাতে প্রেপের পর সানি ভাই আমাকে বললেন যে আমার একটি পার্সেল আছে । পার্সেল খুলে দেখলাম কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০০২ সালের আগস্ট সংখ্যা । প্রথমে ভেবেছিলাম আব্বু হয়ত বাসা থেকে পাঠিয়েছে । পরবর্তীতে ১০ জন কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় নিজের নামটি ১ নাম্বারে দেখে কতটা আনন্দিত এবং বিস্মিত হয়েছিলাম সেটা আমার স্পষ্ট মনে আছে :dreamy:
ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত মোট ২৯ বার কুইজ বিজয়ী হয়েছি :clap:
এর মধ্যে ২০০৪ সাল মানে ক্লাস নাইন খুবই ভাল কেটেছে :hug:
যেহেতু প্রায় মাসেই একটি কমন নাম কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় থাকত সেহেতু আমি বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলাম অচিরেই :shy:
তারপর থেকে শুরু হল আমার চিঠি আসা :chup:
দিনবদলের হাওয়ায় এখন তো সব কলেজেই মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে ।
বিস্তারিত»জন্মদিনে আমার ক্ষুদ্রতম পোষ্ট…
আজ থেকে তের বছর আগে কিছু নিষ্পাপ কিশোর-কিশোরীর পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দশটি বিশেষ কারাগার।
১৯৯৬-২০০২ ইনটেকের সকল পাপীদেরকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মদিন।
:awesome: :awesome: :awesome:
বিস্তারিত»বর্ষপূর্তি …
এবং আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে …
কালো রঙ্গের একটা ভাঙ্গাচুরা গাড়ি। সামনে দাড়িয়ালা ড্রাইভার। আর পেছনে আমি আর তুই। তুই আমাকে আর্কির বিল্ডিং থেকে পার করে দিলি ১৫ মিটারের মতো দুরত্ব। এইটুকু সময়ের মধ্যে আমি শুধু জিজ্ঞেস করতে পারলাম, তেসরা জুন বানানে “স” হবে নাকি? বললি, হ্যাঁ।
তার কিছুক্ষণ আগে, মধুর ক্যান্টিনে। অবশ্য আমরা ঠিক করছিলাম, যদি কখনও কোন অনুষ্ঠানে আমাদের দুইজনেরই যাওয়ার কথা থাকে- তাহলে আমরা যেকোন একজন যাবো।
বিস্তারিত»আনলাকি তেরতম জন্মদিন বিষয়ক আজাইরা পোস্ট
আজ আমাদের ব্যাচের জন্মদিন। গতকাল দুপুরে আমার অফিসের তেরতলার উপর হতে বৃষ্টির শুভ্রতরঙ্গ কেবল তেরবছর আগের (একদিন কম) একটি দিনের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। আমি অবশ্যি এমনিতে একটু বেরসিক আর কাঠখোট্টা স্বভাবের লোক। আবেগ খুব বেশি আমাকে ছোয় না। বৃষ্টি দেখে আমার বন্ধুদের চরম রোমান্টিক মূহুর্তে আমি “কিছুই লাগে না” জাতীয় নির্লিপ্ততায় অনেকের বিরক্তির কারণ হয়ে যাই । কিন্তু কিছু জায়গায় চরম বেরসিকেরও একটু ধাক্কা লাগে।
বিস্তারিত»খেরোখাতা – খিচুড়ী খাইতে মনডা কান্দে
চিটাগাং এ ধুমায় বৃষ্টি পড়ে। ইসসিরে………………..।
কলেজে থাকলে ডাইনিং এ নির্ঘাৎ খিচুড়ী দিত। মাসুদ স্যার এইটা কামটা করত পুরাই উড়াধুড়া। বৃষ্টি হইলে নির্ঘাৎ খিচুড়ী। আর শুক্কুরবার হইলে তো কথাই নাই, এক নম্বর ফুটবল গ্রাউন্ডে খেলাটা যা জমত না, ফাটাফাটি। ইসসিরে………।
খিচুড়ীর সাথে যদি গরুর ভূনা বা ইলিশের ভাজি হইত, তাইলে লা জওয়াব। পত্রিকায় দেখলাম সাগরে নাকি মেল্লা ইলিশ ধরা পড়তেছে। গত তিরিশ বচ্ছরের মইধ্যে রেকর্ড।
বিস্তারিত»অপেক্ষা-আহসান কবীর(১/১৭)
বেক্সকা নাইট এ আমাদের যে সুভিনিয়রটা বের হয়েছিল সেখানে নিয়মিত লেখক সিসিবির সায়েদ ভাই এর মতো ১ম ব্যাচের আহসান কবীর ভাই ও আছেন।
এবারে ওনার লেখাটা পড়ে অন্যবারের মতোই ভাল লাগলো তাই চিন্তা করলাম সিসিবিতে শেয়ার করি
আশাকরি ভালো লাগবে।
অপেক্ষা-আহসান কবীর(১/১৭)
বিবাহ :
জেনারেল নলেজে এ আমরা সংক্ষিপ্ত শব্দের পূর্নরূপ শিখতাম। যেমন বিএ ডিসি- বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কপোরেশান।
এডু বৃত্তান্ত
কলেজে এডজুটেন্ট স্যারের ভাবসাব দেখে মনে হইত আর যাই হোক জীবনে আর্মিতে গেলে অবশ্যই এডু হইয়ে ক্যাডেট কলেজে আসব-কি তাঁর শান শওকত(নো অফেন্স টু আমাদের এইখানের শওকত হোসেন মাসুম ভাই),কি তাঁর গেটাপ সেটাপ-পুরাই ঝিকিঝিকি পমপম মার্কা অবস্থা।ক্যাডেট লাইফে আমি মোট চারজন এ্যাডজুটেন্ট স্যার পেয়েছি-পিসিসির মেজর আজাদ স্যার(১), আরসিসির মেজর সাঈদ স্যার(২),পিসিসির মেজর ইউসুফ স্যার এবং সবশেষে সিসিআরের মেজর নবী স্যার।এঁদের মধ্যে মেজর ইউসুফ স্যার ছিলেন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে-প্রায় চার বছর।উনার কিম্ভুতকিমাকার কর্মকান্ড প্রায়শঃই ক্যাডেটদের নানান আনন্দের খোরাক যোগাত।
বিস্তারিত»নর এবং নারীর শব্দ কলহ
লেখাটি খুব সাধারণ মানের বিক্ষিপ্ত চিন্তা প্রসূত। তাই এটিকে খুব গুরুত্বের সাথে না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি
১। একটি বইয়ের টাইটেল বাংলা অনুবাদ করলে এমনটা দাঁড়ায় পুরুষ এসেছে মঙ্গল হতে নারী শনি হতে। অর্থাৎ পুরুষ হল কল্যাণকর এবং শুভ। নারী অকল্যাণকর এবং অশুভ।
২। নার শব্দের অর্থ আগুন। এখন যদি প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে খেলা করি দেখি কি দাঁড়ায়
নার = আগুন
নার+ই = আগুন+ই
নারী = আগুনি
আগুনি মানে আগুন হতে তৈরি।
শিথিলায়ন
ঘুম ধরানো আরাম বলয়, হালকা বোজা চোখ
মনের মাঝে চিন্তাগুলো একটু শিথিল হোক;
শ্বাস-প্রশ্বাসের উঠা-নামায় ছন্দ হবে ঢিল,
মনের সাথে ভাবের সাথে প্রকৃতির এ কি মিল!
গাত্রে যত দূষণ সবই হারাবে বাতাসে,
ধীরে ধীরে শরীর যেন শান্ত হয়ে আসে;
গভীর কল্পদেশে এবার হবে ভেসে যাওয়া ~
থিতিয়ে যাওয়া শরীর উড়ায় কোন উত্তুরে হাওয়া!
অস্তিত্বের পরিচয়ে শুধুই আমার মন
চিন্তাশক্তির নিমজ্জনে করে বিচরণ।