কিছুদিন হচ্ছে সবাই ডায়েরী টাইপের লেখা দিচ্ছে, তাই আমারো শখ হলো এই ধরনের কিছু লেখার। প্রথমেই ভাবছিলাম কি নাম দিয়ে লিখবো, সব খুল নাম গুলোতো দখল হয়ে গিয়েছে। ফয়েজ ভাই খেরোখাতা আর আউলা চিন্তা দখল করে রেখেছেন, তানভীর নিয়েছে এলোমেলো, রবিন লিখছে দিনলিপি নাম দিয়ে আর মাহমুদ দখল করেছে আজাইরা প্যাচাল।
কিছু দিন আগে এক্স ফাইলস রিভিশন দিতে গিয়ে, একটা পর্ব দেখলাম, musings of a lonly man। এই পর্বটাতে সেই চেইন স্মোকিং ম্যান, যে ভালো নাকি খারাপ এখনো বুঝতে পারিনা, তার জীবনের নানা কাহিনী দেখিয়েছে। অবাক হয়েছিলাম সে প্রেসিডেন্ট কেনেডি আর মার্টিন লুথার কিং এর হত্যাকারী ছিলো দেখে। এই পর্বের শেষে ওর একটা মনোলগ আমার কাছে দারুন লেগেছিল,– জীবনটা আসলে চকলেট বাক্সের মতন, অধিকাংশই বোরিং স্বাদের চকলেট, মাঝে মাঝে দুয়েকটা ক্যারামেল বা মিন্ট পাওয়া যায়, কিন্তু তাদের স্বাদ ঠিকভাবে বুঝে ওঠার আগেই দেখা যায় মুখের মধ্যে মিলিয়ে গিয়েছে। এইভাবে খুজতে খুজতে এক সময় দেখা যায়, প্যাকেটটাই শেষ। ফরেস্ট গাম্পেও মনে হয় চকলেট আর জীবন নিয়ে ডায়লগ আছে, জীবনটা এক বাক্স চকলেটের মতন, — তুমি জানোনা পরের ক্যান্ডিটা কোন ফ্লেভারের হবে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে দ্বিতীয় দর্শনটাই পছন্দ করি। যা হোক, এই পর্বটা দেখে মনে হলো, লেখার নাম অসংলগ্ন চিন্তা দেই।
গত দুতিন সপ্তাহ বিশাল দৌড়ের ওপরে কাটালাম। এই উইকএন্ডগুলোতে শুধু শুয়ে বসে কাটিয়েছি। এয়ার এশিয়ার ব্যাপক মুল্যহ্রাসের সুবাদে বেড়াতে বা হানিমুন করতে আসা বন্ধু-বান্ধব বা সিনিয়ররা কেউ বিশ্বাস করেনা যে আমি এখনো মালেয়শিয়া কিছুই বেড়াইনি, এমনকি কুয়ালালাম্পুরের কাছাকাছি গেন্টিঙ্গেও যাইনি। আসলে আলসেমির পাশাপাশি, ঠিক করে রেখেছিলাম, এই সমস্ত জায়গাগুলোতে একা যাবো না, বউ নিয়েই যাবো। কিন্তু বউ যখন বেড়াতে আসলো, বেড়াতে যাবার আগে দেখলাম, বাচ্চার ঠান্ডা লেগে আছে। আর যাওয়া হলো না। এই গত সপ্তাহেও ঝকক এর আমাদের ব্যাচের শহীদুল আর দুজন ঘুরতে এসেছিলো, ওদের সাথে অবশ্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্যস্ততার জন্যে বেড়াতে পারিনি। আগামী মাসে আমাদের কলেজের এক বন্ধু আসবে হানিমুনের জন্যে, যথারীতি বলে রেখেছি আমার বাসাতেই ওঠার জন্যে। এবার অবশ্য ইচ্ছে বা সময় থাকলেও ওদের সাথে ঘোরা যাবে না। কিছু কিছু সময় আছে, যখন তিন জন মানে বিশাল গেদারিং ……
এখানে প্রথম দুমাস অদ্ভুত কেটেছে। উইকএন্ডগুলোতে বাসাতে বসে বসে নেটে ঘাটাঘাটি করতাম শুধু। দেশ থেকে ফোন এলে উত্তর দেবার সময় নিজের গলার স্বর নিজের কাছেই অচেনা লাগত। সিসিবির সাথে পরিচয় হবার পরে অবশ্য এখন আর বোরিং লাগে না। দারুন দারুন পোস্টের পাশাপাশি ততোধিক মজার কমেন্টগুলো পড়তে পড়তে দারুন সময় কেটে যায়। মাঝখানে যে দুদিন সিসিবি বন্ধ ছিলো, সে দুদিনে টের পেয়েছি এই সাইটটা আমার কতটুকু দখল করে ফেলেছে।
দেশে থাকতে ভাবতাম, বাইরে থাকাটা মনে হয় তেমন কঠিন কিছু না। অনেকেই তো থাকছে, আমি কেনো পারবোনা …… এখন বাইরে এসে একেবারে ভালো লাগেনা। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু বান্ধব্দের তো বটেই, ঢাকার ভাঙ্গাচোরা নোংরা রাস্তা, জ্যাম, রিকশা, কোলাহল, সীসাভর্তি বাতাস – সব কিছু মিস করি। মাঝে মাঝে বউ ফোন করলে জানাই যে আর ভাল্লাগছে না, দেশে ফিরবো। সে অনেকক্ষন আমার যুক্তি তর্ক শুনে বলে – তা শেষ পর্যন্ত কি ঠিক করলা ? তখন আবার বলি, দুই তিন বছর বাইরে চাকরী করবো, তারপরে আর কোনো কথা নাই, দেশে ফিরবই ফিরব। আসলে দেশ ছেড়েছি যে টার্গেট নিয়ে, সেটা পুরন না করে দেশে গিয়ে মনে হয়না শান্তি পাবো। তবে দেশে ফিরবই ইনশাল্লাহ। আমার ঢাকার নীলক্ষেত, বিদেশের যেকোনো বুক স্টোর থেকে অনেক সমৃদ্ধ, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে মবিল দিয়ে ভাজা সিঙ্গারা খেতেও কোনো সমস্যা নেই।
সিসিবিতে প্রথম ঘোরাঘুরি করার সময় একদিন ভেবেছিলাম, ইংরেজী টিভি সিরিজ নিয়ে পোস্ট দেবো। ঠিক সেদিন রবিন তার ভালোবাসার বন্ধুত্ব সিরিজটা শুরু করলো। সিরিজটা ফলো করা শুরু করলাম। প্রথম দিকে ভালোই চলছিলো, কিন্তু হঠাৎ করে সে ডজার হয়ে যাওয়ায় বিরক্ত হয়ে আমি নিজেই একটা সিরিজ লেখা শুরু করি। সেজন্য ইংরেজী সিরিয়ালের লেখাটা আর হয়ে ওঠেনি।
ফ্রেন্ডস, এক্স-ফাইলস, সাইনফেল্ড এই তিনটা সিরিজ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। তিনটাই জটিল সিরিজ। গত দুই মাস ধরে দেখছি স্ক্রাবস আর হুজ লাইন ইজ ইট এনিওয়ে।
স্ক্রাবস, মুলত ডাক্তারি পেশা নিয়ে। দুই বন্ধু সেক্রেড হার্ট হাসপাতালে ইন্টার্নশীপে, একজন মেডিসিনের ডাক্তার (জন ডোরিয়ান) এবং আরেকজন সার্জন (ক্রিস টার্ক) হিসেবে যোগদান করে। ডোরিয়ান পরিচিত হয় মেডিসিনের আরেক ইন্টার্ন এলিয়ট রেইডের সাথে। ওইদিকে টার্ক প্রায় প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যায় হাসপাতালের নার্স কারলা এস্পিনোজার। একে একে আরো আসে সিনিয়র ডাক্তার পেরী, মেডিসিন বিভাগ প্রধান বব কেসলো এবং হাসপাতালের জ্যানিটর। এই সিরিজটা মোটামুটিভাবে ডোরিয়ানের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে আবর্তিত হয়েছে। সিরিজের কাহিনী কমেডি টাইপের হলেও অনেক গুরুত্বপুর্ন/ভারী/জটীল ব্যাপারও খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি তিন নম্বর সিজন শেষ করে অধীর আগ্রহ নিয়ে ৪ আর ৫ ডাউনলোড শেষ হবার অপেক্ষাতে আছি।
হুজ লাইন ইজ ইট এনিওয়ে অনেকটা গেম শো টাইপের। ড্রু ক্যারির উপস্থাপনায় ওয়েন, কলিন আর রায়ান এবং একজন গেস্ট (বিভিন্ন পর্বে বিভিন্ন জনকে আনা হয়) নানা রকম মজার কাজ কর্ম করে। গেস্টদের মধ্যে ব্র্যাডকে নিয়ে যে পর্বগুলো হয়েছে সেগুলো আমি বেশী উপভোগ করেছি। ওদের খেলাগুলোর মধ্যে আমার সব চেয়ে মজা লাগে উইয়্যার্ড নিউজকাস্টার। চারজনকে সংবাদ উপস্থাপক, সহকারী উপস্থাপক, ক্রীড়া এবং আবহাওয়া প্রতিনিধি হিসেবে অভিনয় করতে হয়। তবে উপস্থাপক ছাড়া বাকি সবার চরিত্র একটু ভিন্ন রকম হয়।
এছাড়া বাকি খেলাগুলোর মধ্যে টু লাইন সিনারি, সিনস ফ্রম দ্য হ্যাট, হো ডাউন – বেশ মজার। আমি এই শো এর ১, ২, ৪ এবং ৫ এর বেশ কিছুদুর দেখে ফেলেছি, কিন্তু ৩ নম্বরটা এখনো ডাউনলোড শেষ হচ্ছে না।
দেশে থাকতে ডক্টর হু নামে সায়েন্স ফিকশন/ফ্যান্টাসি টাইপের একটা সিরিয়াল দেখা শুরু করেছিলাম। পরে বুঝতে পারি, এই সিরিজ আসলে শুরু হয়েছিলো ষাটের দশকে। মাঝখানে অনেক দিন বন্ধ থাকার পরে ২০০৫ এ আবার শুরু করা হয়। আমি এই ২০০৫ এ শুরু হওয়া পর্বগুলোকে প্রথম পর্ব ভেবে দেখা শুরু করে ছিলাম। সিরিজের মুল চরিত্রের নাম ডক্টর এবং ব্যাক্তিগত জীবনে ঊনি একজন টাইমলর্ড। টারডিস নামে ওনার একটা বাহন কাম ডিভাইস আছে, যেটা দিয়ে টাইম এবং স্পেস ভেদ করে যেকোনো সময় বা জায়গাতে
চলে যাওয়া যায়। ২০০৫ এ নবম ডক্টরের গল্প শুরু হয়। পর্বের কাহিনীগুলো প্রধানত পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহে দুষ্টু অ্যালিয়েনদের ভয়াবহ সব ষড়যন্ত্র কিভাবে পন্ড করে দেয়া যায় তা নিয়ে। এই সব ষড়যন্ত্র পন্ড করার জন্যে ডক্টরকে সাহায্য করে পৃথিবীর নায়িকারা। ১ম এবং ২য় সিজনে ডক্টরের সঙ্গিনী থাকে রোজ টেইলর, ৩য় সিজনে মার্থা জোন্স (আমার ফেবারিট) এবং ৪র্থ সিজনে ডোনা। প্রথম দিকে দেখার সময় এক পর্বের কাহিনীর সাথে পরের পর্বের কাহিনীর মিল না থাকায় মনে করেছিলাম হিরোজ সিরিজটার মতন টানা না দেখলেও হবে। পরে টের পেয়েছি ব্যাপারটা সে রকম না। এই টাইম লর্ডদের একটা বৈশিষ্ট্য আছে, খুবই গুরুতর আহত হলে এরা পুরো শরীর রিজেনারেট করে নতুন চরিত্রে বদলে যেতে পারে। ১ম সিজনের শেষে এই রকম দেখে অবাক হয়েছিলাম (মূল চরিত্রের অভিনেতা বদল করার ভালো সিস্টেম)। মাঝে মাঝেই ডক্টর, টাইমলর্ড আর তাদের অনেক পুরোনো শত্রু ডাহলেকদের নিয়ে কিছু স্মৃতিচারন করতেন। এই চারটা সিজনেও ডাহলেকরা বেশ কয়েকবার পৃথিবী দখলের চেষ্টা করেছিলো, কিন্তু ডক্টর এবং তার সঙ্গিনী তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেননি। ২০১০ এ নতুন সিজন আসবে এবং নতুন ডক্টর এবং যাথারিতী নতুন সঙ্গিনীও আসবে। অধীর অপেক্ষাতে আছি। এইটা নিয়ে বেশী বকবক করছি, কারন আমি প্রথম দিককার পর্বগুলোও (১৯৬৩ – ১৯৮৯) খুজছি। টরেন্ট খুজতে গিয়ে দেখি ২০০৫ এর আগের সব পর্ব একসাথে আছে কিন্তু ১৫০ গিগাবাইটের মতন সাইজ। কোনো রকমে প্রথম ২০টা পর্ব নামালাম, কিন্তু ৩য় পর্বের পরে থেকে আর চলে না। ইংল্যান্ডে যারা আছেন, তারা কি একটু কষ্ট করে দেখবেন এই পুরোনো পর্বগুলো পাওয়া যায় কিনা ??
ডক্টর হু এর মতই আরেকটা সিরিজ টর্চউড। একদা ডক্টর প্রথম এলিজাবেথের (তখনও রানী হননি তিনি) মুখোমুখি হন এবং তাকে একটা ভয়াবহ বিপদের হাত থেকে বাচান, কিন্তু ঘটনাচক্রে হবু রানীর খুবই গোপন একটা ব্যাপার জেনে যান। রানী তখন ডক্টরকে প্রতিরোধ করার জন্যে টর্চউড সংস্থা গঠন করেন। এদের কাজ পৃথিবীকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালিয়েনদের হুমকী থেকে রক্ষা করা। তবে টর্চউডের এজেন্টরা সবাই পৃথিবীবাসি মানুষ। শুধু এজেন্টদের সর্দার জ্যাক হার্কনেস একবার ডক্টরের সাথে কাজ করার সময়, টাইমলর্ডদের অমরত্ব ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। কি মজা !!! অমর চির যুবক। তবে সিরিজের মূল চরিত্র গোয়েন, এক জন পুলিশ অফিসার, যে কিনা একটা সিরিয়াল কিলারের খোজ করতে গিয়ে টর্চউডের সামনা সামনি হয়। বেচারী খুবই হতবাক হয়ে গিয়েছিলো যখন টর্চউডের এজেন্টারা তারই সামনে খুন হয়ে যাওয়া একটা লোককে পুনর্জীবিত করে, তাকে কে খুন করেছে, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে। পরে সেই সিরিয়াল কিলারকে ধরতে সক্ষম হলে তাকে টর্চউডের এজেন্ট বানানো হয়। ডক্টর হু এর সাথে বেশ মিল থাকলেও খারাপ লাগে না দেখতে।
জুলাই মাস থেকে শুরু হবে ইউরেকার তৃতীয় সিজন। এই সায়েন্স ফিকশন সিরিজটা কেনো মাঝে একবছর ব্রেক দিলো বুঝলাম না। প্রথম সিজনটা খুবই দারুন ছিলো, দ্বিতীয় সিজনটাও বেশ ভালো চলছিলো। কাহিনীর শুরুটা মোটামুটি এমন – জ্যাক নামে এক ইউ এস মার্শাল বৃষ্টির মধ্যে পথ হারিয়ে জিনিয়াসদের শহর ইউরেকাতে উপস্থিত হয়। শহরের মধ্যে ব্ল্যাক হোল তৈরী করা হচ্ছে জেনে সে রীতিমতন আতংকিত হয়ে যায়। পরে সে সেই ব্ল্যাক হোল বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং প্রথম পর্ব শেষে তাকে তার কৃতিত্বের জন্যে ইউরেকার
শেরিফ বানানো হয়। সিরিজটাতে জ্যাককে বিজ্ঞান সম্পর্কে অ-জ্ঞান দেখালেও, উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সে নানা রকম বিপদ আপদ থেকে ইউরেকাকে রক্ষা করতে থাকে। অ্যালিয়েন টাইপের প্রানী না থাকলেও অনেক রকম কাল্পনিক প্রযুক্তি দেখায় বলে দেখতে ভালোই লাগে।
কয়েকদিন আগে দেখা শুরু করেছি ট্রু-ব্লাড, আমার এক কলিগ বভানীর সৌজন্যে। সে প্রথম সিজনের পর্বগুলো ডাউনলোড করে আমাকে দিয়েছে। ভ্যাম্পায়ার কাহিনীতে এই সিরিজটা বেশ নতুনত্ব এনেছে। এখনো প্রথম সিজন শেষ করিনি, এদিকে দ্বিতীয় সিজন শুরু হয়ে গিয়েছে।
আশা করি সবার কাছে থেকে আরো ফ্যান্টাসি বা ফিকশন টাইপের সিরিয়ালের সাজেশন পাবো। দেখা যাক, জনগন কি বলে ……
১ম
:awesome: :awesome:
টিভি খুব একটা দেখা হয়না। কিন্তু আপনারা যেভাবে লোভ দেখাচ্ছেন, বোধহয় শুরু করতে খুব একটা দেরী হবে না।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:)) :)) :))
😡
🙂 :teacup: খাও
আমার নাম মনে হইলো B-) B-) B-) B-)
থ্যাঙ্কু ভাই 😀 😀
সালাম ভাইয়া।
FRIENDS, SEINFIELD ছাড়া আমার ভাল লাগতো FRAISER, EVERYBODY LOVES RAYMOND, TWO AND HALF MAN, ELLEN, কমেডী।
ডক্টর দের নিয়ে দেখতাম ER, SCRUBS কয়েকটা পর্ব দেখেছিলাম।
দেশে থাকতে The Girl from Tomorrow দেখতাম। অন্য গ্রহ থেকে একটা মেয়ে আমাদের পৃথিবীতে চলে আসে। এরকম গল্প দিয়ে শুরু হয়।
এইখানে এসে টকশো The Ellen DeGeneres Show দেখতাম।
DANCING WITH THE STARS USA version এটা দেখি, বছরে ২বার হয়। ফেব্রুয়ারী আর সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি তে। একজন Dancer এর সাথে একজন সেলিব্রেটি। মোট ১২ টা জোড়া। ভাল লাগে। আমি যেহেতু নাচ পছন্দ করি। 😀
আর আমি FOOD TV মোটামুটি সব অনুষ্টান দেখতাম। 😀
সব দেখতাম বলছি এজন্য এখন দেখিনা, DANCING WITH THE STARS বাদে। 🙂
ধন্যবাদ ভাবী ...... তবে আমি এখন প্রধানত ফ্যান্টাসি খুজতেসি ...।।
ইংরেজি সিরিয়াল দেখা শুরু করেছিলাম প্রিজন ব্রেক দিয়ে। প্রথম দুই সিজন ভাল লেগেছিল। এরপর একে একে লস্ট, হিরোস, কাইল এক্সওয়াই ইত্যাদি দেখা হল। এখন এইসব সিরিয়াল একেবারে বোরিং লাগে। সিরিয়াস টাইপ ইংরেজি সিরিয়াল দেখা পুরোপুরি বাদ দিছি।
এখন শুধু কমেডি দেখি। ফ্রেন্ডস এর অনেক প্রশংসা শুনেছি, এখনও দেখা হয়নি। অচিরেই দেখব মনে হয়। বর্তমানে আমার প্রিয় টিভি সিরিয়াল "দ্য বিগ ব্যাং থিওরি" (সিটকম অবশ্যই)। এইটাকে কেউ ছাড়াইতে পারে নাই।
এরপর "থার্টি রক" বেশ ভাল লেগেছে। "হাউ আই মেট ইউর মাদার" কিছুটা দেখার পর বাদ দিছি, একেবারেই ভাল লাগে নাই।
এখন দেখছি "এক্সট্রাস"- বিবিসির কমেডি সিরিয়াল। খুবই ভাল। এখন বিগ ব্যাং এর পর আমার প্রিয় সিরিয়াল এক্সট্রাস। সিনেমার এক্সট্রাদের নিয়ে করা। প্রতি পর্বেই একজন ফিল্ম স্টার অতিথি অভিনেতা হিসেবে থাকে। এই ব্যাপারটা আরও মজার।
তবে শপথ করে ফেলেছি- জীবনে কমেডি ছাড়া অন্য কোন সিরিয়াল দেখব না। সিরিয়াস দেখতে চাইলে মুভি, নো সিরিয়াল।
এক্স-ফাইলস বিটিভিতে দেখেছিলাম। এখন নতুন করে আর দেখতে ইচ্ছে করে না। কারণ জিনিসটা পুরাই ছদ্মবিজ্ঞান (pseudo-science) নিয়ে করা। এর চেয়ে রিয়েল সায়েন্স ফিকশন সিরিয়াল দেখতে ভাল লাগে। তারপরও এক্স ফাইলসের প্রশংসা করি। আজকালকার হিরোস বা ফ্রিঞ্জের চেয়ে অনেক ভালো, কাহিনীগুলা খুব সুন্দর।
হিরোজ প্রথম আর দ্বিতীয় সিজন তা যাও ছিলো, তিন এ এসে একেবারে মাখায়ে ফেলসে। তারপরেও দেখি ...
কমেডি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস, সাইনফেল্ড আর স্ক্রাবস দেখে ফেলো ......
বিগব্যাং এর উপ্রে আপাতত কিসু নাই.... :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
সিরিয়াল দেখার অভ্যাস নাই।
তবে পোস্ট পড়ে ভালো লাগছে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ধন্যবাদ ......
কঠিন হইছে। কিন্তু আগের সিরিজ টা কই?
কোনটা ?????
যেটা একেক পর্ব একেক নাম এ লিখতেছিলেন
শেষ করে দিসি তো বহু আগে ...... কই আসো তুমি ??? 😮 😮 😮
আমার মনে হইছিলো ঐটা আরেকটু লিখবেন
বিয়া কইরা ফালাইসে তো ...... আর কি নিয়া লিখবো ...... ?
বিয়ার পরেও তো কাহিনি থাকে
রবিন ভাইয়া, প্রোফাইল এর ছবি চেইঞ্জ করলেন কেন?
এমনি। কয়েকদিন পর পর করি। 😛
বিয়ার পরের কাহিনী বুইজ্জ্যা নিতে হয় ...... লেখা ঠিক না ...... :-B :-B
:grr:
The Twilight Zone ফ্যান্টাসি, সায়েন্স ফিকশন, সাসপেন্স।
The Rockford Files মিস্ট্রী।
দা টোয়াইলাইট যোন সার্চ করে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ ভাবি ......... আজকেই সার্চ করতেসি ...
MERLIN হল fantasy
How I met your mother, Office, Entourage এগুলো comedy, demonoid এ পুরা সিজন আছে দেখতে পারেন ।
হুমমমম ............ মার্লিন টা ট্রাই করে দেখবো ......
ভাইয়া, কেএল আশেপাশে কোথাও যেতে চাইলে একটা ফুন দিয়েন ... আমি মোটামুটি সব দেখে ফেলছি ... আমদের এ দিকে একদিন আসেন না ... একসাথে Transformer দেখা যায় ...
দাঁতের ব্যথাতে কাইত হইয়া আছি ভাই ...... তোমাদের ওই দিকে যাবো দেখি একদিন ......
PUSHING DAISIES হল fantasy
হিন্দী সিরিয়াল দেখা, ইংরেজী সিরিয়াল দেখা আর ফুটবল খেলার মধ্যে গুণগত কোন পার্থক্য নাই :-B
:gulti: :gulti: ভাগি
স্যাম, এইটা কি বল্লা? সিরিয়াল আর ফুটবল এক হইলো? নাহ, আমি হতাশ হইলাম, এই কথা শুইনা
ওর কাছে বোমাবাজি করা আর আনন্দ করার মাঝেও কোন পার্থক্য নাই। আপনি হতাশ হইয়েন না রিবিন ভিই। এখন আমি পালাই, নাইলে আমারে বোমা মারবে।
সবাই যদি বুঝতো :dreamy: :dreamy:
:thumbup:
এহসান ভাই !!!!!!!!! আপনিও ?????!!!!!
সামিয়া, তুমি তো ইংরেজি সিরিয়াল বা ফুটবল কোনোটাই দেখোনা ... তুমি জানলা কেম্নে ????
ফ্রেন্ডস ছাড়া আর কোন সিরিয়াল দেখা হয় না। আমি খুবই অজ্ঞ।
ইশ পোস্টে দেয়া বেশ কয়েকটা সিরিয়াল ডাউনলোড করতে মনচাইতাছে, কিন্তু এই দুর্দান্ত নেট স্পিড নিয়া কী যে করি 😡 😡
দোস্ত, ভালো লেখছোস। সিরিজগুলো দেখতে ইচ্ছা করতাছে। দেশে দেখা যায় এরকম কয়েকটা দেখি প্রায়ই,কিন্তু এক্কেবারে ফলো করা বলতে যেটা বুঝায় সেইটা আর করা হয়ে উঠেনা, নেট থেইকা তাই ডাউনলোডের কোন বিকল্প নাই, কিন্তু ওই যে ফাটাফাটি স্পিড 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ুম ভাইয়া, রাগ করতেসেন কেন? ছোড ভাইদের বলেন, ওরাই আপনারে ডাইনলোড করে দিবে। চিন্তা করবেননা, এমন কিছু কিন্তু মিস করতেসেননা। 🙂
কাইয়ুম ভাই,আমি বেনটেন পুরাটা ডাউনলোড করে রাখছি আপনার ছেলের জন্য.... :tuski: :tuski:
তার্তারি কিসু একটা করেন...আমার হার্ডডিস্কের জায়গা বেশি নাই... 😡
বন্য ভাইডি, কাইয়ুম ভাইয়ার কোন সাড়া পাচ্ছিনা তাই আপাতত তোমার ভাতিজা আর ভাবী'র জন্য পাঠায় দাও। বাচ্চাদের সাথে দেখতে আমিও বসে যাই কিনা। 😛
ভাবী ,কাইয়ুম ভাইরে তো চিনেন না...সময়মত না পাইলে পাঙ্গা দিয়া আমার ছালবাকলা তুইলা ফেলব :no: :no:
তুমি ভয় পেওনা, আমি উনার জন্য চা বসাচ্ছি। উনি আবার আমাকে ভাবী বলেছেন কিনা। আমারে মনে হয়না কিছু বলবে।
এই সুযোগে আমারে পাঠিয়ে দাও।
অফটপিকঃ তুমিই তো পাঙ্গাইতে চাও, উনার নাম দিচ্ছ কেন?
তাতে আমার লাভটা কোথায়??? 😡 😡 😡
অট: ব্যান চাওয়া আর পাঙ্গানো কি এক??আপ্নার কি মনে হয় আমি প্রিন্সিপাল স্যারকে পাঙ্গাই!!!! 😮 :(( :frontroll: :no: ~x(
=)) =))
বেলাডি ফরেস্টি :grr: :grr:
আরো কয়েকটা সিরিয়ালের নাম ধ্রায়া দিমু কিনা ভাবতাছি :grr: :grr: লাইনে ডাউনলোড কইরা ডিভিডি রাইট কইরা পান্থপথে রিপোর্ট করবি :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
বন্য, বেন টেন অ্যালিয়েন ফোর্স ও ডাউনলোড দাও .........
আমার কাছে 1TB হার্ড ডিস্ক আছে।
ব্যাপক একখান পোস্ট হৈসে।প্যারালালি অনেকগুলা সিরিয়াল নিয়া লেখসেন দেখি। 😀
আরো লিখেন সিরিয়াল নিয়া। :thumbup:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ধন্যবাদ জিহাদ ...... 🙂 🙂 🙂
আমি মাত্র একটা সিরিয়ালই পুরাটা দেখছি- F.R.I.E.N.D.S.
ধুর...পুরা কমেন্ট দেয়ার আগেই এন্টার চাইপা দিলাম। 😕 😕
ফ্রেন্ডস দেখে দারুন মজা পেয়েছিলাম। পাশ করে বের হওয়ার পরের বেকার দিনগুলায় ফ্রেন্ডস ছিল আমার নিত্যসঙ্গী।
আরেকটা সিরিয়াল দেখা শুরু করেছিলাম- সেক্স এণ্ড দ্য সিটি। কিন্তু কেন জানি এইটা ভালো লাগে নাই।
লেখাটা ভাল লাগল মইনুল ভাই। কেন জানি ইউরেকা দেখতে ইচ্ছা করতেছে।
ট্রু-ব্লাড কইথেকে ডাউললোডামু..।..।..।.....।..।...
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এইখানে সার্চ মারেন বস ............